নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রণোদনা এখনই কেন?

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০৫

স্টিমুলাস প্যাকেজ বা ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রণোদনার প্যাকেজ এখনই দিতে হবে কেন?
আগে বিপর্যয়টা শেষ হোক, সবকিছু ওপেন চালু হোক।
চীন বাদে অন্যান্নদের সাথে রফতানি আমদানি ব্যাবসা সবই বন্ধ। বলতে গেলে সবই বন্ধ, টাকা দিবে লোন দিবে, ভাল কথা ।
কিন্তু এখন কেন?
কর্পোরেট জায়েন্টরা আমাদের অর্থনীতির জন্য দরকার অবস্যই, তবে এখন প্রণোদনার সময় নয়। ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রণোদনার সময় এখনও আসেনি। সময় এলে এবং সামর্থ থাকলে করোনা পরবর্তীকালে এসব প্রায়োরিটি পেতে পারে।


যা দেখা যাচ্ছে করোনার ভয়াল থাবা দীর্ঘমেয়াদে থাকবে।

বিশ্বের ধনাড্ড পরাশক্তিরাই এখন বিপদগ্রস্ত, কেউ কারও সহযোগিতায় এগিয়ে আসার মত অবস্থায় নেই, আমাদের বিপদ আমাদেরকেই মোকাবেলা করতে হবে।


করোনা টেষ্টের লাইন। নিউইয়র্ক কুইনসে করোনা টেষ্টের জন্য রোগি কোয়ালিফাইড কি না সাক্ষাতকার চলছে। যথেষ্ট অসুস্থ না হলে টেষ্ট করছে না, লাইন থেকে বের করে দিচ্ছে।



বর্তমানে বাংলাদেশে আমাদের প্রধান প্রায়োরিটি হওয়া উচিত কৃষি। যে করেই হোক আমাদের খাদ্যের পর্যাপ্ততা মৌজুদ এবং সবরারাহ চেইন মেইনটেইন করতে হবে। অনাবাদী জমি ১০০% ব্যবহার করতে হবে,প্রণোদনা দিয়ে ডিজেল,সার এর দাম কমাতে হবে,বিনামূল্যে বীজ সরবরাহ করতে হবে,কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে,কৃষক ও কৃষিবিদদের মূল্যায়ন করতে হবে।

কিন্তু বাংলার মানুষ গুজবে বিশ্বাসি, ডিম, দুধ খাওয়া ছেড়ে দিছে, ডিমে, দুধে নাকি করোনা।
দুধ ডিম হচ্ছে পুষ্টি, পুষ্টির মাধ্যমেই মানুষ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি হয়। যাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বেশী তারাই করোনা সারভাইব করতের পেরেছে। আমরা ডিমদুধ খেয়ে কৃষকদের কিছু উপকার করতে পারতাম
পশুপাখি গরু মুরগীতে করোনা ভর করতে পারে না, ডিমে দুধে থাকার প্রশ্নই আসে না। ধরে নিলাম আছে, এরপরেও কাচা খেলেও করোনা হবে না, পাকস্থলির এঞ্জাইমে ভাইরাস মরে যাবে। ভিম ভাজি সিদ্ধ করলে যে কোন জার্মস মরে যাবে আর আমরা তো জ্বাল দিয়ে খাই, আর দুধ জ্বাল দিলে আগুনের কাছে সব জীবানু বা এন্টিবায়োটিক শেষ।


করোনা মোকাবেলায় আমাদের গ্রামীণ জীবনযাত্রায় সুবিধা রয়েছে। শহরের হোম-কোয়ারেন্টাইন এবং গ্রামের হোম-কোয়ারেন্টাইনে বাজার এবং মসজিদ মন্দির নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই গ্রামে হোমকোয়ারেন্টাইন অটোমেটিক কার্যকর হয়ে যায়।
আপাতত লকডাউনে মানুষজনদের ক্ষেতে খামারে সচেতনভাবে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বাজার এবং মসজিদ-মন্দিরে যাতায়াত সম্পুর্ন বন্ধ করতে হবে।





করনায় মৃত ব্যাক্তিকে নিয়ে ভয়ের কিছু নেই

মৃত ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস বাঁচতে পারেনা, ভাইরাস বৃদ্ধিও হয় না। করোনায় মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে অন্য কোনো ব্যক্তির শরীরে ট্রান্সমিশন হয় না।
এছাড়া করোনা ভাইরাস রক্তে থাকে না। ত্বকেও থাকে না। ত্বকে হাচি-কাশির লালা থেকে থাকলেও ঘন্টাখানেক পর শুকিয়ে গেলে ভাইরাস শেষ। রক্তপরিক্ষায় করোনা ভাইরাস ধরা পরে না। মানবদেহ প্রতিরোধ ক্ষমতা রক্তে সংক্রমন ঠ্যাকাতে প্রানপন চেষ্টার কারনেই জ্বর আসে।
ভাইরাসের অবস্থান থাকে ফুসফুসে,
তাই করোনা টেষ্ট করতে শ্বাস নালি থেকে সোয়াব কাঠির মাধ্যমে স্যাম্পল নিয়ে পিসিআর টেষ্ট করতে হয়। রক্ত নেয়া হয় এইচসিটি কাউন্ট ও সিবিসি টেষ্ট করতে।
মৃত ব্যক্তি নিস্বাস-প্রস্বাস নেই, কাশি নেই ভেতর থেকে কিছু বের হওয়ার উপায় নেই। দেহে স্কিনে করোনা ভাইরাস থাকে না, থাকার কথাও না। আর দেহে পচন শুরু হলে ফুসফুসে থাকা করোনা ভাইরাস এমনিতেই মারা যাবে।
মৃত ব্যাক্তিকে নিয়ে ভয়ের কিছু নেই, ইভেন বডি প্লাস্টিকের ব্যাগে সিল করা না থাকলেও।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:০৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: যেটা দিয়েছে সেটাও খেয়ে ফেলবে নেতারা। যেভাবে চাল চুরি করছে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চাল চুরি করছে!
এভাবে বলাটা ঠিক হল না। বলা উচিত ছিল চাল চোরদের ধরা হচ্ছে। এজন্যই নিউজ করা সম্ভব হয়েছে।
এতদিন ওরা নির্ভয়ে চাল চুরি করে যাচ্ছিল, এখন একে একে ধরা হচ্ছে।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

নতুন বলেছেন: নতুন করে শুরু করার আগে কোন টাকা সাহাজ্য নয়।

আর অবশ্যই কৃষি কাজে আর চিকিতসায় এখন বিনিয়গ করা দরকার।

দেশের বাজারের দিতে নজর বাড়াতে হবে আমদানী কমাতে হবে।

বিশ্বমন্দায় আক্রন্ত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সব দেশ।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: একমত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ। নতুন ভাই।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


১ টাকাও যদি গার্মেন্টস'কে দেয়া হয়, সেটা অন্যায় হবে: গার্মেন্টস আগুনে, কিংবা ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, ক্রেতাদের শীপমেন্ট বন্ধের কারণে উৎপাদন বন্ধ।

সব ক্যাশ খাদ্য, জ্বালানী ও কৃষিতে ব্যয় করতে হবে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ একমত হওয়ার জন্য।
আপনার পোষ্টও পরে আসলাম , ভাল লিখেছেন।

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২২

ঢাবিয়ান বলেছেন: পিএম খুব সম্ভবত ব্যবসায়ীদের সাথে বসে এই প্যকেজ বানিয়েছে তাই এই অবস্থা। সিঙ্গাপুুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্রেফ ট্য্যক্স মউকুফ করেছে , আর কিছু নয়। কারন সরকারের ভালই জানা আছে কোন প্রতিষ্ঠানের হাতে কিরকম টাকা আছে। এখানে বরং সরকার প্রতিটা নাগরিকের ব্যাংকে এপ্রিল মাসে ৯০০ ডলার ট্রান্সফার করেছে, লো ইংকাম ফ্য্যমিলিদের ৩০০০ ডলার দেয়া হয়েছে। এখানে বেসিরভাগ নাগরিক বাড়ী কেনে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে। যারা জব হারিয়েছে, তাদের ইন্সটল পেমেন্ট আপাতত বন্ধ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। যে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ব্যপারে পরবর্তীতে ব্যববস্থা নেয়া হবে বলা হয়েছে। অর্থাৎৎ আগে জনগনকে এই দুর্যোগকালীন সময়ে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইউএসএ তেও ট্য্যক্স মউকুফ করেনি, তবে লোন দিচ্ছে।
ছোট ও মাঝারি ব্যাবসাপ্রতিষ্ঠানকে চাহিবা মাত্র লোন দিচ্ছে, আপটু ২ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত। ব্যাবসার টার্নআউট যাচাই করে।
যে কোন ক্ষুদ্র রাস্তার ব্যাবসায়ীও লোন এপ্লাই করা মাত্রই ১০ হাজার দিয়ে দিচ্ছে, বাকিটা যাচাই করে। ট্যাক্সি/উবার চালকদেরও ফাইনান্সিয়াল এসিষ্ট্যান্স ও লোন দিচ্ছে চাহিবা মাত্রই। আর স্টুডেন্ট লোনের কিস্তি আপাতত নেয়া হচ্ছে না।
হাউস রেন্ট ও হাউজিং লোন কিস্তি মৌকুফ হয় নি।
আর সাধারন পাবলিক কে দিচ্ছে ১২০০, পার পারসন। ফরেভার।

৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অথচ মানুষ করোনায় মৃতের জানাজায় শরীক হয় না। লাশের দাফন কাফনে ভয় পায়।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ সেলিমভাই।
আমি বুঝি না মৃত ব্যাক্তিকে নিয়ে এত ভয়ের কি আছে?

মৃত ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারেনা, তার বৃদ্ধিও হয় না। অন্য কোনো ব্যক্তিতে ট্রান্সমিশনও হয় না।
মৃত ব্যাক্তির ত্বকে হাচি-কাশির লালা থেকে থাকলেও ঘন্টাখানেক পর শুকিয়ে গেলে ভাইরাস শেষ।
ভাইরাসের অবস্থান থাকে ফুসফুসে, মৃত ব্যক্তি নিস্বাস-প্রস্বাস নেই, কাশি নেই ভেতর থেকে কিছু বের হওয়ার উপায় নেই।
তদুপরি মৃতদেহ প্লাস্টিক ব্যাগে সিল করা। এতে ভয় পাওয়ার আছে টা কি?
জানাজা পরতেও নাকি ভয়! এলাকার কবরস্থানে কবর দিতেও বাধা। ছাগলের হাইব্রিড হলে যা হয়।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৪১

রাফা বলেছেন: কৃষক /শ্রমিকদের কোন প্রতিনিধিই নেই সরকারের কাছাকাছি।কাজেই তাদের জন্য কোন স্টিম্যুলাস প্যাকেজও নেই। সবার আগে লুটপাটের জন্য প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করছে গার্মেন্টস ব্যাবসায়ীরা এবং তারা সফল হয়েছে।

আপনি বলছেন চোরেরা ধরা পড়ছে এখন।বাস্তবতা হইতেছে অত্যান্ত ক্ষুদ্র অংশই ধরা খাইছে।যারা ভাগাভাগী করতে রাজী হয়নি শুধু তারাই ধরা খাইছে। আর পেশাগতভাবে যারা চোর তাদের কাজ অব্যাহত আছে।

নিজের কনিস্টিটিউশনের খোজ করে দেখুন।আমার ঢাকা দশ আসনের এলাকাও এর বাইরে নয়।বরং ব্যাক্তিগত ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা অনেক যায়গায় ভালো কাজ করছে।
ধন্যবাদ,হা.কালবৈশাখী।

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: প্রনোদনার দরকার নাই কোনো ব্যবসায়ীদের। তারা বহু টাকার মালিক। এক দুই মাস ব্যবসা না হলে কিছু যায় আসে না। সুরকার তাদের চাপ দিলেই হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.