নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিউ নয়। নাম না জানা একটি সিনেমার কাহিনী।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:৩৭

অনেক আগে একটা জার্মান মুভি দেখেছিলাম। আজ একটি খবর দেখে হটাৎ মনে পড়লো।

অনেক আগে স্কুলে থাকতে, জার্মান দুতাবাস লাইব্রেরির অডিটরিয়ামে।
তখন ধানমন্ডি ২নং রোডে জার্মান কালচারাল সেন্টারে বিকেলে প্রায়ই মুভি, ডকুমুভি দেখাতো।
সিনেমার নামটি মনে নেই। জার্মান ভাষায় ইংলিশ সাবটাইটেলে গতানুগতিক সাধারন সর্টফিল্মের মত একটি ছবি।

ছবির কাহিনী মুলত কয়েদিদের জেল জীবনের কাহিনি। ৮০ দশকের পশ্চিম জার্মানির একটি জেলের কাহিনী সবটাই আধুনিক জেলখানার ভেতরে, জেলার, কয়েদি, জেল ওয়ার্ডেন, খুনি আসামী, অন্যান্ন জেলখানার মত কয়েদিদের নেতা একজন ভয়ঙ্করদর্শন খুনিআসামী। নামটা মনে নেই, নাম দিলাম গামা। তার জন্য ভাল খাবার, ভাল ব্যাবস্থা কথায় কথায় যাকে তাকে মারধর, জেলরক্ষীদের ধমক।

তার একটা খুব ঘনিষ্ট সহচর চামচা ছিল, গামার হয়ে স্পাইয়ের কাজ করতো। অলয়েজ গামার সাথে চলতো।
প্রতি বছর ত্রাস শৃষ্টি করে জেল নেতা নির্বাচনে এই বিশালদেহি গামাই ১০০% ভাগ ভোটে জিততো প্রতি বছর। ভয়ে আসামী কয়েদি তো বটেই। তার বলিষ্ঠ দীর্ঘ দেহ আর ঘোলাটে চোখ পাকানো দেখলে জেল রক্ষীরাও ভয়ে কুকরে থাকতো, তার ব্যক্তিত্ব ও ভীতিকর গেটাপ দেখে চিফ ওয়ার্ডেন এমনকি জেলারও পারলে সেলুট দেয়। সবাই ভয়ে সমিহ করতো তার পরামর্শ শুনতো। মুলত গামা ও তার হ্যাংলা দেহের চামচা এ দুজনই সিনেমাটির মুল চরিত্র। এদের নিয়েই জেলে ভেতরে হাসি কান্নার সাদামাটা একটি ছবি।
তবে এই ছবির কাহিনীর শেষদিকে ছোট হাস্যকর একটি অংশ ভীষণ ভাবে দাগ কেটেছিল আমার ছোটমনে ।

আবার জেলে নির্বাচন হচ্ছে, আগের মত তার চামচাও নির্বাচনি প্রচার চালাচ্ছে .. সবাই নিশ্চিত এবারও গামা ১০০% ভোটে জিতবে। অপজিশনে গতানুগতিক একজন দাড়িয়েছে, প্রচার নেই গামার কাছে সে কিছুই না।
সবাই লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছে .... । বিকালে জেলার নির্বাচনি ফল ঘোষনা করছে ... সব কয়েদি ফ্লোরে বসা, হাস্যজ্জল মুখে গামা ও তার হ্যাংলা সহচর।

কি আশ্চর্য! গামা হেরে গেল।
বিশাল ব্যাবধানে হেরেছে। সবাই আশ্চর্য! স্তম্ভিত। বিজয়ী প্রার্থিও বিস্মিত! পরাজিত গামা ভোট পেয়েছে মাত্র ১টা।
মানে নিজের শুধু নিজের ভোটটি পেয়েছে।
চামচাও তাকে ভোট দেয় নি। ক্ষিপ্ত গামা উঠে দেখে পাসে চামচা নেই। ফলাফল শুনেই ভেগেছে।
গোপন ভোট। চামচা ভেবেছিল তার ১টা ভোট না দিলে কোন শালা জানবে কে দিছে না দিছে?
কিন্তু গামা মাত্র ১ ভোট পাওয়াতে হাতে নাতে ধরা পরে গেল চামচা। পালাচ্ছে চামচা। বিশাল দেহী গামা হন হন করে হাটছে .. ডাকছে চামচাকে উচ্চস্বরে, কোথায় তুই .... .. আর উদ্ভ্রান্তের মত এঘর থেকে ওঘর পালিয়ে বেড়াচ্ছে চামচা, রান্না ঘরে পালায়, বাক্সের নিচে লুকায় .. এই মুখ কিভাবে দেখাবে গামাকে ...

সিনেমাটি মনে পড়ল আজ খবরে আলোচিত ক বাবুনগরী পরাজিত হয়ে ২য়ও হতে পারেনি লাষ্ট পজিশন হয়েছে।
তার প্রাপ্ত ভোট মাত্র ৩।
কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার প্রধান হেফাজতের আমীর আল্লামা শাহ্‌ আহমদ শফীর শুন্যপদে নির্বাচনে বাবুনগরির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মাওলানারাও গোপন ভোটে নেতাকে ভোট দেয়নি।
নিজের ভোট বাদে মাত্র ২টা ভোট।
সেই গামার সেই সহচরের মত চিহ্নিত হয়ে গেল অনেকেই। কি একটা অবস্থা।

সম্প্রতি হাটহাজারিতে জুনায়েদ বাবুনগরির নেতৃত্বে ৩ দিনব্যাপি নজিরবিহীন দাঙ্গাহাংগামা করে আল্লামা শাহ্‌ আহমদ শফীকে ৩ দিন খাদ্য পানীয় অসুধ বন্ধ অবরোধ করে জোড়পুর্বক পদত্যাগে বাধ্য করে উচ্ছেদ, প্রকারন্তরে হত্যা করার পর। জুনায়েদ বাবুনগরি গ্যাং সব দখল ও নেতৃত্ব সুসংহত করে। কিন্তু পরে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার নেতৃত্ব নিয়ে একটা অস্থিরতা চলছিল।

বেফাকের অধীনে ছয়টি কওমি স্তরে সারা দেশের ১৩ হাজার কওমি মাদ্রাসা রয়েছে।
এসব মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৮ লাখ। সম্প্রতি কওমি শিক্ষা সনদের সরকারি স্বীকৃতি থাকায় এর গুরুত্ব বেড়েছে বহুগুণ।
ফলে সঙ্গে কওমি আলেমদের যোগাযোগও বেড়েছে। বেড়েছে কর্তৃত্ব। এতোদিন হেফাজতের আমীর আল্লামা শাহ্‌ আহমদ শফীর হাতে বেফাকের নিয়ন্ত্রণ ছিল। তিনি মারা যাওয়ার পর বেফাকের মূল এই পদটিতে নতুন কাউকে বসানো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল কওমি সংশ্লিষ্টদের। বিশেষ করে বেফাকের সভাপতি পদাধিকার বলে বাংলাদেশের কওমি শিক্ষার সর্বোচ্চ সংস্থা আল-হাইআ’তুল উলয়ার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে থাকেন।

এই হট নিউজটি বেশীরভাগ পত্রিকায় ছাপায় নি, বিবিসি বাংলা, মানবজমিনে নেই খবরটি। প্রথম আলোতে ছোট করে এসেছিল, এরপর লাপাত্তা।




মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:৫৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: এই পুরো ব্যাপারটাতেই হালুয়া রুটির বিষয় জড়িত - আপনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নিবাচকদের এতটা ব্যাক্কল ভাবেন কেন ? তারা নিজেদের সুযোগ সুবিধা যেখানে বেশি সেখানেই ভোট দিবেন। এখানে আবেগ বা ইমোশনের কোনো স্থান নেই।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ওনারা এত আক্কেলধারি মহান হয়ে থাকলে সরকারি উৎকোচে/সুবিধায় বার বার বশিভুত হয় কিভাবে। নৈতিকতা কোথায়?
ওনাদের এর আগের ওস্তাদও উৎকোচে/সুবিধায় নৈতিকতা হারিয়ে হাসিনার কাছে বশিভুত হয়েছিল।

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:১০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কিছু কিছু মুভি এমনই অনেক দিন পর মনে পড়ে।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


ধন্যবাদ মাইদুল ভাই।
কিছু মুভির নাম হারিয়ে গেলেও কাহিনী এমনই অনেক দিন পর মনে পড়ে।

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১২

নীল আকাশ বলেছেন: মৃত এবং জীবিত দুইজনই হেফাজতকে নষ্ট এবং নোংরা করে ফেলেছে।
মাদ্রাসার শিক্ষার মাঝে টাকাপয়সার লোভ ঢুকা ঠিক হয়নি।
আপনাকে ফেবুতে পেলাম না। সামু গ্রুপে আছেন? আমার ফেবু নাম জানেন কি?
লিংক

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সামু চেক করে দেখলাম, আপনি আছেন।
তবে দেখলাম। সামুর অনেকেই আমাকে আনফ্রেন্ড করে চলে গেছে। কি এমন পাপ করলাম।

বহুল আলোচিত সিনহার নিহত হওয়া পরবর্তি কিছু প্রশ্নের উদয় হওয়া নিয়ে একটি পোষ্ট দেয়ায় অনেকেই অসন্তুষ্ট হয়ে চলে গেছেন। যে কারনে যে কারনে 'সামু গ্রুপে' থাকার পরও অনেকের পোষ্ট চোখে পড়ে না। যদিও টেকনিক্যালি এমনটা হওয়ার কথা না।

তবে আমি কখনো কাউকে ব্লক করি না, পোষ্ট ভয়াবহ আক্রমনাত্বক ভাবে আমার মতবিরুদ্ধে গেলেও ব্লক করিনা
বরং সেই পোষ্ট আরো বেশী মনোযোগ দিয়ে পড়ি।
বিরুদ্ধ মত না জানলে ফাইট করার রিসোর্স পাব কোথায়?
ধন্যবাদ।

৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি The Shawshank Redemption মুভির কথা বলছেন?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
৩৮ বছর আগে দেখা, নাম ধাম কিচ্ছু মনে নেই।
তবে খুজে দেখবো, মুভিটি আমারও খুব ইচ্ছে আছে আবার দেখার।

৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাবু এবার পলিটিক্স বুঝবে । নতুন যে বেফাকুলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে উনার নাম কি। মাঝে ওয়াজের ভিডিও দেখি আর হাসি একজন আরেকজনের বিরোধী মৌল্লারাও

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড- বেফাকের নির্বাচনে
আল্লামা মাহমুদুল হাসান ৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমি পেয়েছেন ৫০ ভোট।
আলোচিত মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী মাত্র ৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুতে শুন্য পদে
শনিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলায় বেফাকের মজলিসে আমেলার সদস্যদের গোপন ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
বেফাকের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ১৪৭ জন সদস্যের মধ্যে ১২৫ জন সভায় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন বেফাকের সহসভাপতি মুফতি ওয়াক্কাস।
সঙ্গে ছিলেন খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী, হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জের মাদ্রাসায়ে নূরে মদিনার মুহতামিম আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী ও ঢালকানগর মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা জাফর আহমদ।

কওমি মাদ্রাসার সরকার স্বীকৃত সর্বোচ্চ সংস্থা ‘আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বেফাকের সভাপতিই হবেন আল-হাইয়াতুল উলইয়ার সভাপতি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যিনি বেফাকের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হবেন, তিনি হাইয়াতুল উলইয়ারও কো-চেয়ারম্যান হবেন।

২০০৫ সালে বেফাকের সভাপতি নির্বাচিত হন আল্লামা শাহ আহমদ শফী এবং ২০১৭ সালে নির্বাচিত হন আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়ার চেয়ারম্যান। তার মৃত্যুতে সভাপতির পদটি শূন্য হয়।
বেফাকের অধীন ছয়টি স্তরের সারা দেশের ১৩ হাজার মাদ্রাসা আছে। এসব মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৮ লাখ।

৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৫৭

জাহিদ হাসান বলেছেন: পৃথিবীতে BTS এর চাইতে জনপ্রিয় এমন তিনটি Band এর নাম বলুন।

৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: চামচারা এভাবেই একদিন না একদিন ধরা খায়। তখন পালাবার দিশা খুঁজে পায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.