নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন উল্লেখ করে কোনো রায় দেয়নি কানাডার আদালত।

০২ রা আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:২৯




বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন উল্লেখ করে কোনো রায় দেয়নি কানাডার আদালত। দেয়ার কথাও নয়।

কানাডার আদালতের রায়ের একটি ছোট অংশে বলা হয়েছে, কানাডার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট এমন কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ উল্লেখ করেনি যাতে প্রতীয়মান হয় যে, বিএনপি সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত কোনো সংগঠন।
সেটাও সত্য। ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের কাজ এসব না, কোন এখতিয়ারও নেই ভিন দেশী একটি রাজনৈতিক দলের দোষ খুজে বের করা।

যেটা হয়েছে -
মোহাম্মদ জিপসেদ ইবনে হক নামের একজন বিএনপি কর্মীর রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাক্ষান হয়, সে শেষ চেষ্টা হিসেবে কানাডার ফেডারেল কোর্ট এ আপিল আবেদন করে। গত ১৫ই জুন মামলায় আদালত আপিল খারিজ করে দিয়ে পুর্ববর্তি মামলার রায় উল্লেখ করে একটি পর্যবেক্ষণ দেয়।



পুর্ববর্তি রায়ে যা ছিল।
উল্লেখ, ২০১৭ সালে ঢাকার মিরপুরের স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী মোহাম্মাদ জুয়েল হোসেন গাজী কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন। সে আবেদন বিশ্বাসযগ্য করতে কয়েকটি মামলার এজাহার আবেদনে যুক্ত করেছিল, সেগুলো ছিল বোমা হামলা আগুন সন্ত্রাস ইত্যাদি। এসব দেখে তার এই আবেদন নাকচ হওয়ার সময় কানাডার ফেডারেল কোর্টে রিভিউর আবেদনে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলা হয়েছিল।

এর পর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে আরেকজন বিএনপির কর্মী মো. মোস্তফা কামাল নামে আরেক ব্যক্তি কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে দ্বিতীয় দফায় বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়।
একই বছরের অক্টোবরে মাসুদ রানার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন একই কারন দেখিয়ে নাকচ করা হয়।
এরপর ২০২২ সালে ছাত্রদল কর্মী সেলিম বাদশার অভিবাসন নাকচ করার সময়ও বিএনপিকে স্পষ্ট ভাবেই সন্ত্রাসী সংগঠন উল্লেখ করেন কানাডার আদালত।

সর্বশেষ এইবার ১৫ জুন মোহাম্মদ জিপসেদ ইবনে হক নামে এক বিএনপিকর্মী কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করলে তা পুর্ববর্তি উচ্চআদালতের রায়ের আলোকে তথা 'বিএনপিকে একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী সংগঠন' হিসেবে প্রতিষ্ঠিত কারন দেখিয়ে জিপসেদ ইবনে হক
নামের একজন বিএনপি কর্মীর রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নাকচ করে দেন দেশটির ফেডারেল কোর্ট।
রায়ের পর্যবেক্ষনে বলা হয়, ওই ব্যক্তি এমন একটি দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যেই সংগঠন নাশকতায় জড়িত থেকে বল প্রয়োগ করে সেই দেশের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করছে।

তবে এবার আদালত আলাদা ভাবে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন উল্লেখ করে কোনো রায় দেয়নি কানাডার আদালত।

যুক্তরাষ্ট্রেও বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল বলে রায় হয়েছিল

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রেও বিএনপিকে টায়ার থ্রী মাত্রার সন্ত্রাসী দল বলে রায় হয়েছিল। গত এক যুগ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন আদালত তাদেরকে সন্ত্রাসী উপাধি দিয়ে যাচ্ছে, তারেক জিয়ার বিরুদ্ধেও মার্কিন হুলিয়া এবং ফ্লাইট ব্যান এখনো বিদ্যমান। কিন্তু বাংলাদেশী মিডিয়াতে আমরা কিছুই জানি না!



মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:২০

অক্পটে বলেছেন: কিন্তু আসলে কি বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন? আওয়ামীলীগ থাকতে কোন কারনে বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল বলা হবে? তাদের অবশ্যই ভুল হয়েছে। কোথায় আকাশ আর কোথায় পাতাল।

০২ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অবস্যই বিএনপি সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদি সংগঠন।
মার্কিন জাষ্টিস ডিপার্টমেন্ট ও হোমল্যান্ড সিকুরিটির তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে বিএনপিকে টায়ার থ্রি স্তরের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত।
২০১৪ সাল থেকে এ বছর পর্যন্ত বিএনপির দলীয় পরিচয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করা একজন আবেদনকারীর আবেদনও মঞ্জুর করে নি ইমিগ্রেশন অথরিটি।
নিউইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস ও নিউজার্সির অভিবাসন সংশ্লিষ্ট আদালতের রায়ে দেখা যায়, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কর্তৃপক্ষ বিএনপিকে 'টায়ার-থ্রি' বা তৃতীয় ক্যাটাগরির সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে - এই মর্মে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ায় বিএনপির কর্মীরা রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার প্রাথমিক যোগ্যতা হারিয়েছে। এ কারণে বিএনপির পরিচয়ে আবেদনকারীদের বিভিন্ন রাজ্যে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, শুধুমাত্র টেক্সাসের এলপাসো ডিটেনশন সেন্টারে বিএনপির পরিচয়ে আশ্রয় প্রার্থনাকারী ৮০ জনের বেশি বাংলাদেশী আটক রয়েছে।
আদালতের রায়সমূহ পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করার ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট গঠন, সংখ্যালঘু নির্যাতন, মৌলবাদ সমর্থন ও সহিংসতা সৃষ্টি এবং গণতান্ত্রিক সরকারকে বলপ্রয়োগ করে উৎখাত সহ ১৬টি কারণ উপস্থাপন করেছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কর্তৃপক্ষ ।

টায়ার থ্রি সন্ত্রাসী সংগঠন বলতে এমন সংগঠনকে বোঝায় যারা আন্ডারগ্রাউন্ড নয়, নিষিদ্ধ নয় এবং যাদের গঠনতন্ত্র প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা মানবাধিকারবিরোধী কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না। কিন্তু বাস্তবে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় ও সহিংস কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করে বা ইন্ধন যোগায়। ওদের ভাষায় আনডেসিগনেটেড টেরর গ্রুপ।
রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার সুবিধা করতে ২০১৫ সালে আমেরিকার বিএনপি সমর্থকরা টায়ার থ্রি সন্ত্রাসী তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে লেক্সিসনেক্সিস নামে একটি ল ফার্মকে নিয়োগ দিয়েছিল। কিন্তু লাভ হয় নি।
রাষ্ট্র হিসেবে আমেরিকা সবকিছুই করছে নিজের দেশকে হোমল্যান্ডকে সুরক্ষা দিতে,
কিন্তু ভিন দেশে ব্যাবসা ও রাজনীতির সুবিধার জন্য বিএনপি কেন, তালেবানদের সাথে পর্যন্ত হাত মেলায়।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই সন্ত্রাসী দল কে শক্ত হাতে দমন করতে হবে।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২২

কামাল১৮ বলেছেন: ঠাকুর ঘরে কে————।

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

কলাবাগান১ বলেছেন: জামাত-বিনপি খুব উজ্জবীত তার ছাপ দেখা যাচ্ছে স্টিকি পোস্ট এর কমেন্ট এর কমেন্টে.....গত ১৫ বছর ধরেই তারাই উজ্জবীত।

০২ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধারাবাহিক ভাবে ৫ বার দুর্নিতিতে চ্যাম্পিয়ন।
ধারাবাহিক ভাবে আম্রিকা ও কানাডার দৃষ্টিতে ৫ বার সন্ত্রসিতে চ্যাম্পিয়ন।
এই দলের সমর্থকরাও পাকিস্তান ও তালেবানদের সমর্থক
গত ১৫ বছর ধরেই তারা উজ্জিবিত ....

০২ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

মার্কিন আদালতের বহু রায় থেকে একটি রায়ের লিঙ্ক দিলাম
আদালতের রায়

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: বিএনপি একটা বদমাইশ দল। এরা জাতির জন্য ক্ষতিকর।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:৫১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সব ভুয়া।

০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোন কিছুই ভুয়া নয়।
উপর একটি কমেন্টে লিংক দিয়েছি, ভালো করে পড়ে দেখুন। ইংরেজি কম বুঝলে গুগল ট্রান্সলেটর দিয়ে বঙ্গানুবাদ করে নিন।
কিছুই না পারলে একজন আমেরিকান ইমিগ্রেশন লইয়ার এর কাছে জিজ্ঞাসা করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.