নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীর উদাহরন দিলেন আসিফ নজরুল

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯

রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীর উদাহরন দিলেন আসিফ নজরুল।
জামাতি প্রপাগান্ডা মেশিনের তৈরি কথিত সুখরঞ্জন বালী গুম।
ওনার হিষ্টরি শুনেন। অনেক লম্বা।
সুখরঞ্জন বালী ছিল মুলত রাষ্ট্রপক্ষের একজন সাক্ষী।
দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর কোন এক সময় সে জামাতি অর্থ জামাতি ত্রাসের কাছে পক্ষত্যাগ করে, এবং পুনরায় সাক্ষী হতে চায়, উলটো সায়েদির পক্ষে!
রাষ্ট্রপক্ষ প্রতিবাদ জানায়। দুইপক্ষেই স্বাক্ষ্য দিতে চাওয়া সুখরঞ্জন বেসিকালি দুইপক্ষের জন্যই বৈরি সাক্ষী (Hostile witness)। উৎকোচের বিনিময়ে হষ্টাইল সাক্ষী আদালতে গ্রহণ হলেও মেরিট অগ্রহনযোগ্য।
২০১২ সালের ৫ নভেম্বর দেলুর পক্ষে তার স্বাক্ষ্য দিতে আসার কথা ছিল। তারপর হঠাৎ সে উধাও। কিন্তু সুখরঞ্জন তখন টাকা পেয়েও উভয় পক্ষের টানাটানিতে ভয় পেয়ে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে তার ভাইয়ের বাসায় আশ্রয় নিতে সীমান্ত পার হয়, কিন্তু ধরা পরে যায়।

জিজ্ঞাসাবাদের জবাবে সুখরঞ্জন বালি বিএসএফের কাছে স্বীকার করেছিলেন যে তিনি বনগাঁয় তাঁর বড় ভাই পরিতোষ বালির বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্য বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। পরে পুলিশ গ্রেফতার করে সীমান্ত পার হওয়ার অপরাধে। জেলেই আবার পড়ে ভারতীয় জামাতের খপ্পরে, তৃনমুলের প্রশ্রয়ে ভারতীয় জামাতের সবচেয়ে ব্যায়বহুল আইনজীবীর মাধ্যমে ছাড়িয়ে এনে ভারতীয় মিডিয়াতে জামাতিদের তৈরি বানোয়াট বক্তব্য দেয়।
সরকার কি এত বোকা যে সুখরঞ্জন বালীকে গুম না করে ভারতীয় মিডিয়ার হাতে তুলে দিবে?
সুখরঞ্জন বালিকে এবারও হাজির করেছে জামাত। বানোয়াট শিখিয়ে দেয়া বক্তব্য দিচ্ছে। দিবেই। সায়েদির বিরুদ্ধে সাক্ষীদের শিরোচ্ছেদ করে গুপ্তহত্যা পরিনতি সে দেখেছে।
তখনকার 16 মে, 2013 বিবিসির রিপোর্ট টি দেখুন - সুখরঞ্জন বালির নথিপত্রে অপহরণের কথা নেই


মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই রাজাকারের চ্যাপ্টার ক্লোজ।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রাজাকারের চ্যাপ্টার ক্লোজ হয়নি।
অনেক বড় বড় মাপের কথিত শুশীলগন নিজেদের লেজ উম্মুক্ত করা শুরু করেছেন।

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬

কিরকুট বলেছেন: কে ? আসিফ নজরুল ? হা হা হা !! :D এই লোক পারেও । স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান । দুস্টু ছেলে ।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আসিফ নজরুল এখন বলতে চায় সায়েদির বিচার অবিচার হয়েছে। মানে বয়স কম দেলোয়ার শিকদার ভিন্ন লোক ইত্যাদি।
অতচ গণআদালতে গোলামআজমকে ফাঁসি দিতে সে ছিল সবচেয়ে পরিশ্রমি আইন বিসারদ।
কিন্তু জামাতি অর্থে একসময় তিনি মাথা বিক্রি করলেন।

আদালতেও আসামী পক্ষ থেকে জোড়ালো ভাবে 'দেলোয়ার শিকদার' ভিন্ন লোক বলা হচ্ছিল। সায়েদির বয়স ৭১ এ ১১ বলা হচ্ছিল।
কিন্তু ট্রাইবুনালের তদন্তকারিরা সায়িদির ভিটে বাড়ির সিএস দাগ দলিলে পিতার নাম ইউসুফ শিকদার, বাড়ির নাম শিকদার বাড়ি থাকায় আসামী পক্ষের দাবি সহযেই নাকোচ হয়ে যায়। মামলাও সহজ হয়ে যায়।

বাপের দেয়া নাম দেলোয়ার শিকদার। ডাক নাম দেলু।
এরপর নামের মাঝে হোসেন যুক্ত হয়।- দেলোয়ার হোসেন শিকদার
এরপর নামের শেষে সায়েদী যুক্ত হয় - দেলোয়ার হোসেন সায়েদী
এরপরে নামের আগে মাওলানা যোগ করে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সায়েদী
সর্বশেষ মাওলানা বাদ দিয়ে হয়ে যায় আল্লামা।
আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সায়েদী

৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: আসিফ নজরুল লোকটা গভীর জলের মাছ।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৩:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


সুখরঞ্জনের চেয়ে জামাতের কাছে বিক্রি হওয়ার সবচেয়ে বড় উদাহরণ মিনা রানী ওরফে মিনা ফারাহ।
১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামান তার বাহিনী নিয়ে কিশোরী মিনা রানীকে সপরিবারে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে। দেশ স্বাধীনের পর ফিরে আসে মিনারা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর মিনা আন্দোলনে সক্রিয় হয়। এক যুগের বেশি সময় ধরে জনকন্ঠ সহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে জামাতের বিরুদ্ধে কলম চালিয়ে গেছে। জিয়াকে রাজাকারের পুনর্বাসনের জন্য দায়ী করে 'হিটলার থেকে জিয়া' বই লিখেছে। গণহত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিচারের দাবিতে 'বাংলা হলোকাস্ট অ্যান্ড নাৎসি রিসার্চ সেন্টার' নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে। কামারুজ্জামানের যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ নিয়ে ভিডিও-চিত্র তৈরি করে। আমেরিকা থেকে ফিরে এসে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাক্ষী হয়।
তারপর?
সেই মিনা ফারাহ গত কয়েক বছর যাবত কী করছে?
সেও আসিফ নজরুলের মত মাথা বিক্রি করেছে।

৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২৪

কামাল১৮ বলেছেন: আসিফ নজরুল একজন জ্ঞানপাপী।

১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আসিফ নজরুল আইনের শিক্ষক হয়ে সব জেনেশুনেও উলটো পালটা বলছেন

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রপক্ষের মামলার চূড়ান্ত সাক্ষী ছিলেন ৮ জন।
রাষ্ট্রপক্ষের ৮ নম্বর সাক্ষী মোস্তফাকে ঢুকে নৃসংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে বিষয়টাকে সিঁধেল চুরির মতো করে সাজানো হয়।
প্রধান সাক্ষী মাহাবুবুর রহমান
২০১৩ সালের অক্টোবরে, প্রাণনাশের জন্য বাড়িতে জামায়াত শিবির হামলা চালালে তিনি সৌভাগ্যবশত প্রাণে রক্ষা পান।
২০২১ সালে ৭২ বছর বয়সী বৃদ্ধ, সাক্ষী জলিল শেখকে তাঁর দোকানে হামলা করে চাপাতি হাতে একজন অপরিচিত ব্যক্তি। জলিল শেখ গুরুতর আহত হলেও তার আশেপাশে লোকজন ও পুলিশ থাকায় দ্রুত উদ্ধার হয়ে প্রাণে বেঁচে যান।

এই গেলো হামলা ও নির্যাতনের চিত্র। সাক্ষীদেরকে লোভ দেখিয়েও ভারতে চলে যাওয়ার উপদেশ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ‌১৩ জুন ২০১৭ সালে প্রথম আলোতে সাক্ষী গৌরাঙ্গ সাহা বলেন, ‘সাক্ষ্য না দিতে সাঈদীর ছেলে এক ব্যাগ নিয়া আইছিল। বলছিল, “ভারত চলে যাও।” যাইনি।
সুখরঞ্জন বালির ক্ষেত্রে কী ঘটেছিল, নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। তিনি কি নিজ বিবেকে সাঈদীর পক্ষে স্বাক্ষ্য দিতে চেয়েছিলেন? তিনি কি গৌরাঙ্গ সাহার মতোই লোভনীয় কোনও অফার পেয়ে ভারত চলে গিয়েছিলেন? নাকি চাপ ও প্রাণভয়ে তিনি জামায়াতের পাপেট হয়েছেন?

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩

ধুলো মেঘ বলেছেন: জামাতী অর্থের ব্যাপারটা আপনার প্রপাগান্ডা। সরকার এই বিচারকে যত সিরিয়াসলি নিয়েছে - তাদের আর কোন কাজে এত ড্যাম সিরিয়াস ছিলনা। তাদের ঠিক করা একজন সাক্ষীকে তারা অবশ্যই কড়া নজরে রাখবে। এরকম একজন সাক্ষীকে জামায়েতের প্রতিনিধি যোগাযোগ করার সুযোগ কোথায় পাবে যে তাকে টাকা সাধবে? আর বালীর নিজেরও কি জানের ভয় নেই? সেই সময়ে বেশি ক্ষমতাবান কারা ছিল? আওয়ামী লীগ নাকি জামায়াত? জামাত যদি তাকে হুমকি দিত, তবে সে থানায় যেতে পারত, ডায়রি করতে পারত, প্রয়োজনে ছাত্রলীগের এসকর্ট নিতে পারতো, তা না করে ভারতে পালিয়ে যাবে কেন? আর আই পালিয়ে যাবার জন্য অপহরণের নাটকই বা সাজাতে হল কেন?

১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আপনাকে অনেক জ্ঞ্যানী বিচক্ষন হিসেবে জানতাম।
একজন গুরুত্বপুর্ন সাক্ষী সাখ্যদান শেষে দেশে চলে যায়, সরকার তাকে নিয়ে ভাবার কিছু নেই। কারন কাজ অলরেডি শেষ।
কিছুদিন পর ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায় কখন?
একজন সাক্ষীকে জামায়েতের প্রতিনিধি যোগাযোগ করার সুযোগ কোথায়? সবটা ইউনিয়ন ওদের দখলে।
বুঝেন না, গরিব সাক্ষী হিসেবে সরকারে কাছে যা পাওয়ার তো পেয়েই গেছে।
এরপর যা হয়েছে না দেখলেও বোঝা যায়। মোটা উৎকোচ আর ভারতীয় তৃনমুল সাপোর্টেড জামাতের কাছে আজীবন নিরাপত্তা,
আর না মানলে হয়রানি আর গুপ্তহত্যার ভয়। কি করবে?
একটা আন্তর্জাতিক ভাবে ওয়েল অর্গানাইজড মিলিট্যান্ট দলের কাছে ছাত্রলীগ কিছুই না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.