নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে স্পারসোর মুলকাজই আবহাওয়া ও কৃষিভিত্তিক ভু বিজ্ঞান

২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪


বাংলাদেশে স্পারসো কাজ করে মুলত স্যাটেলাইট এবং মহাকাশ সম্পর্কিত প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান, বেশিরভাগ কাজ শুধুমাত্র আবহাওয়া আর কৃষি ভিত্তিক। স্পারসো SPARSO বাংলাদেশের একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নয়। আবহাওয়া দফতরের মত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। যেটি কাজ করে ১৩টি ক্ষেত্র নিয়ে। এজন্য এর রয়েছে ১৩টি কারিগরি বিভাগ যার নেতৃত্বে রয়েছে সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণ।

স্পারসোর মুলকাজই আবহাওয়া ও কৃষিভিত্তিক ভু বিজ্ঞান।
১৯৭৪ এ বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়া ভূ উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।
এই কেন্দ্র তৈরি হয়েছিল আমেরিকার সহায়তায় নাসার ল্যান্ডশ্যাট স্যাটেলাইট থেকে কৃষি ও ভুপ্রকৃতি উপাত্ত সংগ্রহের জন্যই।
এটি হওয়ার কয়েক বছর পর সংস্থাটি স্পারসো নামকরন হয়ে কাজ শুরু হয়েছিল। টেলি যোগাযোগ বাদে আমেরিকার নাসার ল্যান্ডস্যাট সেটেলাইট ও বেতবুনিয়া গ্রাউন্ড স্টেশন এর মাধ্যমে কৃষি মানচিত্র নির্মান ও বিনিময় করা ছিল এই সংস্থার অন্যতম কাজ।
বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠান কাজ করছে স্যাটেলাইট, বিমান ও ড্রোনের মাধ্যমে ডাটা তথ্য সংগ্রহ করে কতটুকু ফসল হবে, তার একটা এস্টিমেশন দেশের পরিসংখান বুরোকে সর্বরাহ করা। এগ্রোফরেস্ট্রি ও ওশেনোগ্রাফি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। রিমোট সেন্সরিং এর মাধ্যমে ভূট্টা বা ধানের রোগ বা পোকার আক্রমন হয়েছে কি না, সেইটা নির্ধারণ করার চেষ্টা করা।
এসব মুল্যবান তথ্য উপাত্ত ও অন্যান্ন ডাটা একসময় পরিসংখান বুরোর মাধ্যমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) এর কাছে যায়, এরপর হাতঘুড়ে বিশ্ব শেয়ারবাজার ফোরকাষ্টার ব্লুমবার্গ, ভিজুয়াল ক্যাপিটালিষ্ট ইত্যাদির কাছেও যায়। বিশ্বে মোট প্রডাক্ট উদ্বৃত্ব না ঘাটতি এই তথ্য শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারিদের কাছে প্রতিদিন সকালের অতি জরুরি বিষয়।

যা বলছিলাম, স্পারসোর মুলকাজই আবহাওয়া ও কৃষিভিত্তিক ভু বিজ্ঞান। সবকিছুই কৃষি রিলেটেড।
চাঁদে রকেট পাঠানোর চেয়ে বাংলাদেশের মতো কৃষিপ্রধান দেশে এসব কাজই বেশি দরকার।
অনেকে বোকার মত ভাবছেন চাষাভুষারা কিভাবে একটি দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান হন?
স্পারসোর মুলকাজই আবহাওয়া ও কৃষিভিত্তিক, সংস্থার প্রধান হিসেবে একজন কৃষিবিদই বেষ্ট চয়েস। না হলেও সমস্যা ছিলনা।

পৃথিবীর সব উন্নত দেশে সরকারি সংস্থার প্রধান হবেন একজন সরকারের নিজস্য বিশ্বস্ত লোক, বিজ্ঞানী হওয়ার দরকার নেই।
উনি হবেন প্রধান এডমিনিসট্রেটর, পলিসি মেইকার ও মুল ডিসাইডিং অথারিটি। যিনি সরকারের নির্দেশিত পলিসি বাস্তবায়ন করবেন।
আমেরিকার নাসার বর্তমান চিফও কোন বিজ্ঞানী নয়। এমনকি লেখাপড়ায় বিজ্ঞানের ছাত্রও নয়।
নাসা চিফ বিল নেলসন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওকালতি পাশ করে ফ্লোরিডা বার এসোসিয়েশনের মেম্বার হয়ে ওকালতি করতেন। পরে রাজনীতি শুরু করেন। সিনেটর নির্বাচিত হয়ে জনপ্রীয় হয়েছিলেন। ২০২১ এ বাইডেন সরকারে ওনার নিয়োগও হয়েছে অন্যান্য এডমিনদের মত রাজনৈতিক বিবেচনায়।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭

রানার ব্লগ বলেছেন: কিছু কিছু বিষয়ের ডিফেন্ড করতে হয় না । নাম দিয়েছে মহাকাশ গবেষনা কেন্দ্র কাজ করবে কৃষিবিদ ।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কিছু কিছু বিষয়ের ডিফেন্ড করতে হয় হয় না, ঠিক আছে।
কিন্তু যখন হাজার হাজার অপপ্রচারকারিরা গালমন্দ করতে থাকে তখন কিছু বলতে হয়।

মহাকাশ গবেষনা কেন্দ্র পরিচালক একজন আমলা কৃষিবিদ। এটা দুর্ভাজ্ঞজনক।
অন্যান্ন সভ্য ও গণতান্ত্রিক দেশের মত এই পরিচালক হওয়া উচিত ছিল একজন রাজনীতিবিদের।
সরকারি সংস্থার প্রধান হবেন একজন সরকারের নিজস্য বিশ্বস্ত লোক, বিজ্ঞান রিলেটেড হলে ভাল, না হলেও সমস্যা নেই।
উনি হবেন প্রধান এডমিনিসট্রেটর, পলিসি মেইকার ও মুল ডিসাইডিং অথারিটি। যিনি সরকারের নির্দেশিত গবেষনা পলিসি বাস্তবায়ন করবেন।

আমেরিকার নাসার বর্তমান পরিচালক কোন বিজ্ঞানী নয়। এমনকি লেখাপড়ায় বিজ্ঞানের ছাত্রও নয়।
উনি একজন রাজনীতিবিদ সংসদ সদস্য। মানে মার্কিন সংসদের উচ্চকক্ষের একজন সদস্য (সিনেটর)
এই নাসা চিফ বিল নেলসন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওকালতি পাশ করে ফ্লোরিডা বার এসোসিয়েশনের মেম্বার হয়ে ওকালতি করতেন। একসময়ে আর্মিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ভিয়েতনামে যুদ্ধ করেছেন। পরে রাজনীতি শুরু করেন। সিনেটর নির্বাচিত হয়ে জনপ্রীয় হয়েছিলেন।


২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: কিন্তু যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। মানুষজন ট্রল করে ফেলেছে। বেচারা স্পারসো প্রধানের জন্য খারাপ লাগতেছে!

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:০৩

জগতারন বলেছেন:
রানার ব্লগ -এর সাথে সহমত !

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে। একমত হলাম। সব দেশকে চাঁদে কেন রকেট পাঠাতে হবে সেটার কারণ বুঝতে পারলাম না।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আমি কিছুদিন আগে অন্য একজনের পোষ্টে কমেন্ট করেছিলাম -

মহাকাশ অভিযানের মত দীর্ঘমেয়াদি গবেষনা অতি ব্যায়বহুল অভিযান প্রতিটি দেশ ইন্ডিভিজুয়ালি করার কোন মানে হয় না।
একই জিনিষ বার বার আলাদাভাবে আবিষ্কার করাও সময় ও অর্থের বিশাল অপচয়।
পৃথিবীর ২০০ দেশের মাত্র ৩ টি দেশে নিজস্ব লাঞ্চিং ফেসিলিটি সহ সক্রিয় স্পেস এক্সপ্লোরেশন কার্যক্রম আছে। এখন ভারত যুক্ত হয়ে দেশ হলো ৪ টি মাত্র। নিজস্ব লাঞ্চিং ফেসিলিটি তৈরি করতে ৫০ বর্গকিলোমিটার খালী জমি দরকার, সেটা কয়টা দেশের সেই সক্ষমতা আছে?
দরকার ছিল ছোটবড় সব সভ্য দেশগুলো একত্রিত হয়ে একটি স্পেস একাডেমি/অর্গানাইজেশন গঠন করতে পারে যারা কেন্দ্রীয় ভাবে বা বিচ্ছিন্ন ভাবে আর্থিক ও গবেষনা রিসোর্স বিনিময় করবে, এবং বড় বড় অভিযান পরিচালনা করবে।

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৬:৫০

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: বাংলাদেশের মহাকাশে যাওয়ার কোন দরকার নাই। কিন্ত স্পারসো নামে যেহেতু সরকারী একটা সেক্টর আছে সেখানে কেন আবহাওয়া ও কৃষিভিত্তিক ভু বিজ্ঞান নিয়ে কাজ হবে ? এসবের জন্য আলাদা অধিদপ্তরতো আছেই। যাই হোক আসলেতো আমাদের দেশে গবেষনা হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়্গুলতে কিছু মহতী ডেডিকেটেড টিচারের তত্বাবধানে অল্প বিস্তর গবেষনা হয় ।সরকারী
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) কি গবেষনা হয় সে সম্পর্কেও তেমন খবর দেখি না। বরং প্রকল্পের নামে ব্যপক লুটপাঠের অভিযোগ আছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯

শাহ আজিজ বলেছেন: ৯১ সালে ভয়াবহ সাইক্লোনএর পর জানমাল বাঁচানোর কৃতিত্ব নিয়ে স্পারসো আর দেশি আবহাওয়া বিভাগ টানা হেঁচড়া শুরুর পর স্পারসোর স্যাটেলাইট যা আবহাওয়া বিষয়ক বার্তা ও ছবি দিত তা বন্ধ করে দিল । স্পারসোর মুল অফিস ফ্রান্সে । সাইক্লোনের পরদিন আমি ঢাকা ফিরছিলাম হংকং থেকে ।

৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:২৬

ধুলো মেঘ বলেছেন: বঙ্গবন্ধু - ১ নামক এই স্পেশশীপের কাজ কি? এটি পাঠানোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশী সংস্থার নাম কি? এটি পাথাতে মোট কত টাকা খরচ হয়েছে? এটি দিয়ে এখন বছরে কত টাকা ইনকাম করা হচ্ছে?

৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি কিছুদিন আগে অন্য একজনের পোষ্টে কমেন্ট করেছিলাম -

মহাকাশ অভিযানের মত দীর্ঘমেয়াদি গবেষনা অতি ব্যায়বহুল অভিযান প্রতিটি দেশ ইন্ডিভিজুয়ালি করার কোন মানে হয় না।
একই জিনিষ বার বার আলাদাভাবে আবিষ্কার করাও সময় ও অর্থের বিশাল অপচয়।
পৃথিবীর ২০০ দেশের মাত্র ৩ টি দেশে নিজস্ব লাঞ্চিং ফেসিলিটি সহ সক্রিয় স্পেস এক্সপ্লোরেশন কার্যক্রম আছে। এখন ভারত যুক্ত হয়ে দেশ হলো ৪ টি মাত্র। নিজস্ব লাঞ্চিং ফেসিলিটি তৈরি করতে ৫০ বর্গকিলোমিটার খালী জমি দরকার, সেটা কয়টা দেশের সেই সক্ষমতা আছে?
দরকার ছিল ছোটবড় সব সভ্য দেশগুলো একত্রিত হয়ে একটি স্পেস একাডেমি/অর্গানাইজেশন গঠন করতে পারে যারা কেন্দ্রীয় ভাবে বা বিচ্ছিন্ন ভাবে আর্থিক ও গবেষনা রিসোর্স বিনিময় করবে, এবং বড় বড় অভিযান পরিচালনা করবে।


আপনার কথায় যুক্তি আছে । কিন্তু আপনাকে সেখানে মহাকাশ গবেষনার সুজুগ সৃষ্টি করতে হবে। আপনি যদি একজন কৃষি বিজ্ঞানী কে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বানিয়ে আটকে ফেলেন তা হলে ওনার যে পটেনশিয়ালিটি আছে তা উনি কোথায় দেখাবেন ? মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে কয়জন মহাকাশ গবেষক আছেন খোজ নিয়ে জানবেন । আমার তোমনে হয় একজন পাবেন কি না সন্দেহ আছে । একটা দুরবিন লাগিয়ে আকাশে চেয়ে থাকলেই যদি গবেষণা হতো তাহলে আমিও একজন বড় মাপের মহাকাশ গবেষক। কারন আমার একটা টেলিস্কোপ আছে যা দিয়ে আমি আকশ দেখি মাঝেমধ্যে । এটা আমার হবি ।

৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশটা দরিদ্র। দরিদ্র দেশে বিলাসিতা মানায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.