নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার দায়িত্ব পাওয়ায় আপত্তি জানিয়েছিল দুই দল।

এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান আম্পায়ারস কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু। তাঁর দাবি, নারী বা পুরুষ বিবেচনা করাটা বৈষম্য। তবে দুই দল দাবি করেছে, নারী নন, অনভিজ্ঞ বলেই জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার জেসির দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে কথা বলেছিলেন তারা। ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথোপকথনে মৌখিকভাবে নিজেদের অখুশি মনোভাব প্রকাশের কথা স্বীকার করেছেন টিটু, ‘আমরা আসলে আপত্তি তুলিনি। আমরা এমনিতে বলাবলি করছিলাম যে ম্যাচের মেরিট অনুযায়ী তো এত বড় ম্যাচে জেসি আম্পায়ার হতে পারে না। আমরা বলছিলাম এত বড় ম্যাচে আরও ভালো আম্পায়ার দরকার ছিল। আমরা অফিসিয়ালি অভিযোগ করিনি

প্রথম আলো ৪ দিন পর আজ একটি ফরমায়েসি সাফাই রিপোর্ট করেছে।
এতকিছু অযুহাত দিয়েও সেদিনের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি।
কিছু একটা হয়েছিল নিশ্চিত। কারণ খেলা শুরু করতে ১৫ মিনিট দেরি হয়েছিল এই নারী আম্পায়ার বিতর্কে। কেউ অফিসিয়ালী লিখিত আপত্তি করেনি সত্য, কিন্তু খেলা শুরুর আগে নারী আম্পায়ারের বিরুদ্ধে নারী বিদ্বেষ মুলক কথাবার্তা হয়েছে।



প্রথম আলোর সাফাই রিপোর্টেও দেখা যাচ্ছে।
তবে দুজনই (মুসফিক ও রিয়াদ) বলেছেন, বড় ম্যাচ ছিল বলে এই ম্যাচে অভিজ্ঞ আম্পায়ার আশা করেছিল। সাথিরা জাকির যদিও এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করেছেন, তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এর আগে অন ফিল্ড আম্পায়ারিং করেননি।
(আন্তর্জাতিক ম্যাচ বড় নাকি ঢাকা লীগ বড়?) সে জন্যই মাঠে তাঁকে দেখে অবাক হয়েছিলেন তাঁরা। তবে এ নিয়ে কারও আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ ছিল না। (মৌখিক অভিযোগ ছিল)
মুশফিক প্রথম আলোকে বলেছেন, "দুই ক্লাবের পক্ষ থেকে যদি কিছু বলা হয়েও থাকে, সেটা সাথিরা জাকির নারী আম্পায়ার বলে নন, তা হতে পারে এ রকম বড় ম্যাচে লিগে কারও অন ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক হচ্ছে দেখে"।
এতেই বোঝা যায় কিছু একটা হয়েছিল নিশ্চিত। কারণ খেলা শুরু করতে ১৫ মিনিট দেরি হয়েছিল এই নারী আম্পায়ার বিতর্কে।
কিন্তু কর্তৃপক্ষ প্রবলভাবে অনড় থাকায় নারী আম্পায়ার পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। এবং ১৫ মিনিট পর খেলাটিও শুরু হয়েছে এবং কোন অপ্রীতিকর ঘটনা বাদেই খেলাটি সম্পূর্ণ হয়েছে।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:২৩

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: এই হিসুতে বেশীর ভাগ মানুষের পুরুষ বিদ্বেশ কোন ভাবে ঢাকা যাচ্ছে না! যে যত যাই বলুক, তাদের মাথায় পেরেক ঢুকে গেছে যে মহিলা বলেই সমস্যা হয়েছে! আম্পিয়ার নিয়ে সমস্যা কি এই প্রথম? আগে যতবারই সমস্যা হয়েছে ততবারই পুরুষ আম্পিয়ার নিয়েই সমস্যা হয়েছে। কিন্তু তখন পুরুষ বলে কেউ বলে নি। এখন ক্যারাকলে মহিলা পড়ে গেছে, অমনি সব কাপড় খুলে রাস্তায় নেমেছে!

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এখানে আম্পায়ারিং সমস্যা না।
খেলার শুরুতেই আপত্তি উঠেছিল। আমাদের জাতীয় দলের কিছু সদস্যের অতি ধার্মিকতা শো করা নতুন কিছু না।
রিসেন্ট তানজিম সাকিবের নারী বিদ্বেষী মনোভাব দেখেন নি?

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাসান ভাই, 'নারীত্ব' বা 'মোল্লাবাদিতা' না, 'অনভিজ্ঞতা' ছিল ইস্যু। এটাকে এখন অন্য রঙ দেয়া হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।

বিশ্বকাপ ফুটবলে নারী আম্পায়ার ছিল গতবার। আমাদের দেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল লেভেল ক্রিকেটে পুরুষ আম্পায়ারের পাশাপাশি ফিমেইল আম্পায়ারের ইন্ডাকশনের অ্যাটেম্পট নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। এটা আমাদেরকে আরো অনেক গর্বিত করবে। বিশ্বকাপে কোনো বাংলাদেশী আম্পায়ার (পুরুষ) দাঁড়ালে গর্বে আমাদের বুক ফুলে ওঠে, একজন নারী আম্পায়ার দাঁড়ালে সে গর্ব আরো অনেক বেশি পরিমাণে বাড়বে (যদিও একটা গ্রুপ এটার বিপক্ষে যাবে, তবে সেটা ইগনোর করতে হবে।) তবে, ফিমেইল আম্পায়ারদের সেভাবে গড়ে তোলার জন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার দরকার।

এবারের এই ইস্যুটা কোনো না কোনোভাবে ফিমেইলদের ইন্ডাকশনে আরো সহায়ক হবে বলে আমার মনে হচ্ছে।

তবে, এ ইস্যুটাকে কোনোভাবে মোল্লা, মৌলবাদ, ইত্যাদি রঙে রাঙানোটা হবে একটা ঘৃণ্য প্রয়াস। সবকিছুতে ইসলাম, মোল্লাতন্ত্র জড়ানো ঠিক না।

এ নিয়ে তো আমি নিজেই একটা পোস্ট দিতে চাইছিলাম :)

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ সোনাবিজ ভাই।
পোষ্ট দিতাম না। কিন্তু গত দুই দিন জাবৎ সোশাল মিডিয়াতে প্রচন্ড বিপুলভাবে এই ঘটনার নিন্দা জানানো হচ্ছিল।
তাই ঘটনাটি হাল্কা করার জন্য আসিফ নজরুল সহ কিছু প্রতিক্রিয়াশীল সেলিব্রেটি পোষ্ট দিয়ে এর মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করছে।

এ ইস্যুটাকে কোনোভাবে মোল্লা, মৌলবাদ, ইত্যাদি রঙে রাঙানোটা সবকিছুতে ইসলাম, মোল্লাতন্ত্র জড়ানো ঠিক না।

আমি জড়াইও নি, আসলে একজন নারী বিদ্বেষী হতে মোল্লা, মৌলবাদ লাগে না, আপনার অফিসের কিছু কিছু স্টাফদের আচরন কথা বার্তা দেখলেই বুঝবেন। উন্নতদেশেও শিক্ষিতদের ভেতরও দেখা যায়। এ কারনেই দেশে দেশে জেন্ডার সমতা আইন করতে হয়েছে। অল্প কিছুবছর আগেও আমেরিকায় মহিলাদের ভোটাধিকার ছিল না।

এবারের এই ইস্যুটা কোনো না কোনোভাবে ফিমেইলদের ইন্ডাকশনে আরো সহায়ক হবে বলে আমার মনে হচ্ছে।
আপনার এই কথাতেও আমি একমত।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মহিলা দেখলেই জঙ্গি জামায়াত শিবির হেফাজত ছাগু কাঠমোল্লা এদের জ্বলে। কারণ ওরা সমকামী ও গে। ফলে নারীদের জেলাস করে।ওরা চায় পুরুষ ওদের দিকে তাকাক। মাঠে একজন নারী থাকলে ওদের জ্বলে নারীর প্রতি জেলাসি থেকে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ইয়াল্লা ... কি শুনলাম এইটা।

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৫

পুরানমানব বলেছেন: হাডুডু বাংলাদেশের জাতীয় খেলা।
যাহা ঘটে নাই তাহা ঘটাইয়া দেওয়া কিছু লেখকের কাজ।
একটা ফালতু বিষয় নিয়ে নাচানাচি করা হচ্ছে , যেখানে খেলোয়াড়রা নিজেরাই নিজেদের অবস্থান বারবার পরিষ্কার করিয়াছে। তারপর একদল টানিয়া নিচে নামানোর দল এখনো গাছবলদের মতন ইহা লইয়া টানিতেছে।

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৭

পুরানমানব বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মহিলা দেখলেই জঙ্গি জামায়াত শিবির হেফাজত ছাগু কাঠমোল্লা এদের জ্বলে। কারণ ওরা সমকামী ও গে। ফলে নারীদের জেলাস করে।ওরা চায় পুরুষ ওদের দিকে তাকাক। মাঠে একজন নারী থাকলে ওদের জ্বলে নারীর প্রতি জেলাসি থেকে।
ভালো একখানা ডাক্তার দেখানো জরুরি হইয়া পড়ছে।

৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:১৯

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: লেখক বলেছেন:
এখানে আম্পায়ারিং সমস্যা না।
খেলার শুরুতেই আপত্তি উঠেছিল। আমাদের জাতীয় দলের কিছু সদস্যের অতি ধার্মিকতা শো করা নতুন কিছু না।
রিসেন্ট তানজিম সাকিবের নারী বিদ্বেষী মনোভাব দেখেন নি?


চোখ বন্ধ করে একটা নিউজ দেখে মন্তব্য করে বসে থাকলে হবে? আপত্তি উঠেছে অভিজ্ঞতা নিয়ে। উনি মহিলা আম্পিয়ার এটা নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠে নি। মুশফিক যে ঐ আম্পিয়ারকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন এতদূর আসবার জন্য, আবার খেলা শেষে (যখন মিথ্যা নিউজ ভাইরাল হয়ে পারেনি) ওয়েল ডান বলে আবারও অভিনন্দন জানিয়েছে, এই গুলা কি আপনাদের চোখে পড়ে না?

একটা মিথ্যা হিসু নিয়ে এতবড় ইস্যু করার পিছনে কারণ কি?

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আপত্তি উঠেছে অভিজ্ঞতা নিয়ে

আপনি এই নারী রেফারির অভিজ্ঞতা নিয়ে কোন জ্ঞ্যান রাখেন?

আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি।
একজন আইসিসি সার্টিফাইড আম্পায়ার। একসময় জাতীয় দলের হলে খেলতেন। উনি গত মাসে আইসিসির ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে জায়গা করে নিয়েছেন। এছাড়া ধারাভাষ্যকার হিসেবেও তিনি পরিচিত।

এর আগে মেয়েদের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও বিভিন্ন দেশেও লিগ ম্যাচও পরিচালনা করেছেন জেসি।

তারও আগে দেশে পুরুষদের ঢাকা ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগে ও তৃতীয় বিভাগেও খেলা পরিচালনা করেছেন ইতিমধেই দেশের সর্বোচ্চ লিস্ট এ ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে স্থান করে নেন তিনি। পদাধিকার বলেই ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে দায়ীত্ব পান।

সেদিনের ম্যাচ রেফারি ছিলেন রকিবুল হাসান।

তিনি বলেন, “একটা ভালো ম্যাচ হয়েছে, চমৎকার আম্পায়ারিং হয়েছে, কেউ কোন অভিযোগ করার মত সুযোগ দেয় নি। যে আম্পায়ারকে নিয়ে কথা হচ্ছে তার যোগ্যতা দক্ষতা প্রমাণিত, উনি সামনে বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করবেন, আজকেও মাঠে আছেন, আইসিসির একজন ডেভেলপমেন্ট আম্পায়ার তিনি, এখন যদি কেউ তাকে অনভিজ্ঞ বলে সেটা দুঃখজনক।”

৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৯

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: অভিজ্ঞতা শব্দটা নিয়ে আপনার জ্ঞান নিয়ে এখন আমার প্রশ্ন!

যাই হোক, আপনি ধরে বসে আছেন যে সবাই যেটা বলছে সেটা মিথ্যা। সেটা ধরেই বসে থাকুন।

৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯

তানবির আহমেদ বলেছেন: Dr. ASM Ridwan
MBBS, MD (Psychiatry)
Psychiatry (Mental Diseases, Brain, Mind, Drug Addiction) Specialist
Assistant Professor & Head, Psychiatry
Chittagong International Medical College & Hospital

৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৩

ধুলো মেঘ বলেছেন: ক্রিকেট মাসে সামকামিতা সমস্যা!

এতো বিরাট গোল বেঁধে গেল। প্লেয়াররা যদি চায় যে আম্পায়াররা তাদের খেলা নয়, পুরুষত্ব দেখুক - তাহলে আম্পায়ার নিয়োগ নিয়ে আইসিসিকে নতুন করে ভাবতে হবে।

১০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১০

শ্রাবণধারা বলেছেন: পুরুষতান্ত্রিক যে সংস্কারগুলো বাঙালীর মজ্জাগত সেগুলো কাটিয়ে ওঠা সহজ নয়। ক্রিকেট মাঠে নারী আম্পায়ার বিষয়টা একেবারে নতুন, এটা স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে বাঙালী পুরুষদের অনেক বছর সময় লাগবে।

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সমস্যাটা যে জেন্ডার কেন্দ্রিক এটাও অধিকাংশ বুঝতে পারেনা। নিজেকে প্রবোধ দেয়ার জন্য অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা ইত্যাদি বিষয়ের অবতরণা করে। অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা এটা তো পরের স্টেজের পরীক্ষা, আগে তো নারী-পুরুষ সমতার পরীক্ষায় পাশ করে আসতে হবে।

মিথ্যর ভিতরে, অন্ধকারের ভিতরে, পুারাতন যুগের নির্বোধ নিয়ম-কানুনের ভিতরে ডুবে থাকার এই এক সুবিধা, মনের গভীরে পুতি-দুর্গন্ধময় সংস্কারগুলোকে ইচ্ছা মতো ন্যায্যতা দেওয়া যায়।

১১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:২০

অ্যালেকজান্ডার ফ্লেমিং বলেছেন: নারীবিদ্বেষী পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব কুথায় গিয়া ঠেকেছে ভাবতে অবাক লাগে।
এক ভদ্রলোকের ফেসবুকের পোষ্ট চোক্ষে পড়ল।

*বাঁশবাগানের মাথার ওপর চাঁদ উঠেছে, ও গো;
খেলব নাকো বক্ষে নিয়ে হারাম বাঘের লোগো।
হারাম লোগো বইতে গিয়ে বক্ষ ওঠে কেঁপে;
আড়াল করি, তাই তো, লোগো হলুদ রঙের টেপে।
বাঘের ছবি আড়াল হলে অন্য সবই হালাল;
বসেন-বসেন, হাই জালালি; বসেন-বসেন, জালাল।
নিজের ছবি হালাল, হে হে, হারাম কেবল বাঘে;
মাসলা ঘুমায় নিজের বেলায়, বাঘের বেলায় জাগে।

ম্যাচের আগে সবাই যখন গায় যে কীসব গান,
তখন আমি বন্ধ রাখি কণ্ঠ-মগজ-কান।
সম্মিলিত হল্লা শুনি— 'বাংলা আমার সোনার',
আমার কি আর সময় আছে ওসব জিনিশ গোনার!
তখন আমি মূর্তি পুরো, পাথর জগদ্দল;
গাইব না গান— কসম আমার, বক্ষভরা বল।
গাইব কেন হারাম গানা— হুদাই ভ্যাগরভ্যাগর;
'বাংলা' হারাম, সঙ্গে হারাম রবীন্দ্রনাথ ট্যাগোর।

যেসব নারী চাকরিজীবী— জাহান্নামের খুঁটা;
মায়ের জাতি ঘরের বাহির— টপ টু বটম ঝুটা।
করছে কামাই পাপের বোঝা— পশ্চিমাদের ছক,
মারছে নারী চাকরি করে পুরুষজাতির হক।
থাকবে নারী ঘরের ভেতর— গেরস্তালি কাজে;
খেলবে কেন নরের খেলা, ভাবলে মরি লাজে।
নিদ্রা ভেঙে, মুমিন, জাগো; বিবেক জাগুক সবার;
নারীর আবার খায়েশ চাপে আম্পায়ারও হবার!
ভাবলে কাঁপে সোনার শরীর, কানের ভেতর ধোঁয়া—
আম্পায়ারিং সহজ এত! মেয়ের হাতের মোয়া!

উপস্থাপক, দলের মালিক, চিয়ার লিডার— নারী?
থাক না এখন ওসব কথা, বলতে কি সব পারি!
রোজার মাসে খেলার মাঝে দিনের বেলায় খাওয়া?
পাপ করেছেন কত্ত কাবেল, স্বয়ং আদম-হাওয়া।
এইটা তো, ভাই, রুজির ব্যাপার; এইটা হলো রুটি;
পাপিষ্ঠ তো কাতল-রুইও, আমরা সেরেফ পুঁটি।
দলের মালিক মাইয়ামানুষ— করার কী বা আছে;
বললে কিছু কিনবে দলে? রিজিক যাবে পাছে।
বাঁচতে হলে জানতে হবে; কাম অন, ডিয়ার গায়েজ—
চাকরি করা হারাম নারীর, মাইয়া মালিক জায়েজ।
'চাকরি' বানান কী যেন, ভাই— ঈ-কার? নাকি ই-কার?
আমরা সেরেফ পরিস্থিতির সহজ-সরল শিকার।
রাষ্ট্রে যখন কায়েম হবে কান্দাহারের কানুন;
খেলব তখন আসল খেলা— বঙ্গবাসী, জানুন।
উপ্রে নাচে ইমানকাঠি, ভিত্রে নাচে রুমিন;
এমন করেই রইছে বেঁচে বাংলাদেশের মুমিন।

বাঁশবাগানের মাথার ওপর চাঁদ উঠেছে, ও গো;
আমরা হলাম বেহেশতি ফুল, হিংসা কি হয় তোগো?*

আখতারুজ্জামান আজাদ
২৯ এপ্রিল ২০২৪

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.