নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাইমিনুল ইসলাম বাপ্পী-র ব্লগ

একলা চলো রে

ভালো নাম মোহাইমিনুল ইসলাম বাপ্পী।কল্পবিজ্ঞান, সাইকোলজিক্যাল গল্প এবং ফ্যান্টাসি নিয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। এসব নিয়েই লিখছি অল্পবিস্তর।

একলা চলো রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্যান্টাসি গল্পঃ রক্ততৃষ্ণা

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২


হরর সিনেমাটার সিনগুলো দেখতে দেখতে শিহাবের হাফ হাতা টিশার্টের নিচের নগ্ন বাহুতে নখ বসিয়ে দিল অহনা। শিহাব একটু ব্যথা পেলেও কিছু বলল না। অনেক বলে কয়ে অহনাকে সিনেমা দেখতে যেতে রাজি করিয়েছে, মুহূর্তটাকে নষ্ট করতে চায় না। যদিও অহনা এত থাকতে হরর মুভি দেখতেই কেন রাজি হল সেটা শিহাব বুঝতে পারেনি। কে জানে? একেক জনের হয়তো একেক জেনারের সিনেমা পছন্দ!
এই মুভিটার নাম Mist, কুয়াশা। কোন এক দেশ হঠাৎ করে ঘন কুয়াশায় ছেয়ে যায়। অদ্ভুত কিছু প্রাণী এসে মানুষের উপর হামলা চালায় কুয়াশার মধ্যে। ভয়াবহ রকমের আতঙ্কজনক গল্প। সিনেমা যতই ভয়ংকরত্বের দিকে যাচ্ছে, শিহাবের বাহুতে হাতের নখ ততোই চেপে বসছে। একসময় একটা অর্ধেক কাটা লাশ দেখে খুব বেশি ভয় পেয়ে মুখ দিয়ে গোঙানির মত শব্দ করে উঠল অহনা। নখ দিয়ে প্রচন্ড চাপ বসাল শিহাবের হাতে। তার লম্বা নখ মাংস ভেদ করে ঢুকে যেতেই শিহাব আর্তনাদ করে উঠল।
"অহনা, কি করছ তুমি?"
চমকে উঠে হাত সরি নিল অহনা।
"সরি সরি, আমি বুঝতে পারিনি....একি, তোমার তো দেখি চামরা কেটে গেছে। সরি শিহাব, এক্সট্রিমলি সরি! চলো, এই ভয়ের মুভি আর দেখব না,বাইরে গিয়ে তোমার বাহুতে এন্টিসেপটিক লাগিয়ে দেই!"
*** *** ***
শিহাব বাসায় এসেছে আধঘণ্টা হয়ে গেছে। কিন্তু তার বাহু থেকে এখনো রক্ত পড়ছে চুয়ে চুয়ে। বেশ অবাক হল সে। শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার কথা, কিন্তু যাচ্ছে না।
শিহাবের বড়ভাই প্লাবন ডাক্তার, বাসায় আসতেই ভাইকে দেখাল সে ক্ষতটা। প্লাবন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখে অবাক হয়ে বলল,
"নখের আঁচরের দাগ হলে এমন করে চুয়ে চুয়ে রক্ত পড়ছে কেন? তোকে তো আর জোঁকে কামড়ায়নি। জোকের শরীরে হেরুডিন নামক এক ধরণের রাসায়নিক বস্তু থাকে, যেটা রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। কিন্তু সেটা তোর বন্ধুর নখে আসবে কেমন করে?"
শিহাব আমতা আমতা করে বলল, "কি জানি ভাইয়া, ইনফেকশন টিনফেকশন....!"
শিহাবকে থামিয়ে দিয়ে প্লাবন আবারও বলল,
"আরে আরে, নখের দাগগুলো এমন কেন?"
"কেমন ভাইয়া?"
"মানুষের নখ তো হয় সামান্য বাঁকা, কিন্তু এই দাগগুলো দেখ! মনে হচ্ছে নখ নয়, ছুরি দিয়ে আঁচর দেয়া হয়েছে। একদম সোজা সোজা দাগ!"
শিহাব দেখল, আসলেই তাই। নখের দাগ বলে মনে হচ্ছে না! অহনার নখগুলো কেমন তা অবশ্য ভাল করে দেখা হয়নি কখনো।
ঘটনাটা অদ্ভুত মনে হলেও কিছুক্ষণ পর রক্ত পড়া বন্ধ হতে বিষয়টা নিয়ে মাথা ঘামাল না আর সে।
*** *** ***
কয়েকদিন পরের কথা। রিকশায় ঘুরছিল শিহাব আর অহনা। বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঝুম বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। বিকেলের আকাশ মেঘে ঢেকে যাওয়ায় সন্ধ্যা মনে হচ্ছে। শো শো বাতাস বইছে, বাতাসের সাথে তাল মিলিয়ে বৃষ্টিবলয় একেক সময় হেলে পড়ছে একেক দিকে।
শরীর কিছুটা ভিজে গেছে অহনার। ঠান্ডা বৃষ্টির দাপটে সে কাঁপছে একটু একটু করে। শিহাবের গায়ের সঙ্গে সেঁটে এলো সে কিছুটা। অহনার কাঁপুনি টের পেয়ে শিহাব তার চোখের দিকে তাকাল। এই কাঁপুনি কি শুধুই ঠান্ডার দাপট? না প্রেমের প্রকোপ?
শিহাব নিজের ঠোঁট দিয়ে অহনার ঠোঁট ছুঁয়ে দিল। কাঁপুনিটা আরও বেড়ে গেল অহনার। শিহাবের ঠোঁট নিজের নরম ঠোঁটের ভেতর টেনে নিল সে। গভীর চুম্বনে দু’জন কিছুক্ষণের জন্য স্থান-কাল ভুলে বসল।
হঠাৎ শিহাব খেয়াল করল, জিভে নোনতা-উষ্ণ কিছু ঠেকছে। অহনাকে দেয়া এটা শিহাবের প্রথম চুমু নয়, স্বাদের তীব্র পার্থক্য টের পেয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে নিল শিহাব। টের পেল জিভ গড়িয়ে রক্ত পড়ছে।
অহনা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল-“কি হয়েছে শিহাব?”
শিহাব জিভে আঙুল ঠেকিয়ে চোখের সামনে সে আঙুলটা নিয়ে আসল আবার। রক্ত লেগে লাল হয়ে গেছে। অস্ফুট স্বরে অহনা বিস্ময় প্রকাশ করল। “মাই গড, এটা কি করে হলো শিহাব?”
“বুঝতে পারছি না। ব্যথা করছে না জিভে, কিন্তু রক্ত পড়ছে অনবরত!”
“কেমন করে হলো এটা? আমি কি...”
“নাহ, যা ভাবছ তা নয়। অন্য কোন ব্যাপার আছে।”
“কি ব্যাপার?”
“বুঝতে পারছি না।”
সেদিন ঘরে ফেরার পরও অনেকক্ষণ ধরে রক্ত পড়ল শিহাবের।

*** *** ***
শিহাবের বন্ধু রবিন। পেশায় কেমিস্ট সে। পরের দিন সন্ধ্যায় শিহাব তার বাসায় গিয়ে উপস্থিত হলো। রবিন শিহাবকে দেখে সহাস্যে বলল-
“বলা নেই, কওয়া নেই, হঠাৎ তুই। বিয়ে টিয়ে করছিস নাকি শীগগির?”
শিহাব একটু গম্ভীর। সরাসরি কাজের কথায় চলে গেল সে। কয়েক ফোঁটা রক্তে সাঁটা একটা প্লাস্টিকে মোড়া টেস্ট টিউব ছোট প্যাকেটে পুরে বাড়িয়ে দিল সে রবিনের দিকে।
“এখানে আমার কিছু রক্ত আছে, তুই কি টেস্ট করে দেখবি যে এখানে হেরুডিন নামক কোন রাসায়নিক বস্তু আছে কি না?”
“বাপরে বাপ! কি হয়েছিস বল তো? ডিটেক্টিভ নাকি পাগলা সায়েন্টিস্ট?”
“ঠাট্টা নয় রবিন। আমি সিরিয়াস!”
“কি হয়েছে বলতো?”
“কিছু মনে করিস না। আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না এ ব্যাপারে। অন্তত এখনই নয়!”
রবিন অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকল শিহাবের দিকে।

*** *** ***
পরদিন পত্রিকার একটা খবর আকৃষ্ট করল শিহাবকে। যেখানে বলা হচ্ছে, চট্টগ্রাম এর “আগ্রাবাদ জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর” থেকে সাওয়া দেবীর মূর্তি চুরি গেছে। ছোট একটা মূর্তি। কোন একজন ভিজিটর চুরি করে নিয়ে গেছে হয়তো। কতদিন আগে চুরি গেছে বলা মুশকিল, তবে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ দু’দিন আগে আবিষ্কার করেছে বিষয়টা।
পত্রিকায় আরও লিখেছে যে, সাওয়া দেবীর মূর্তিটি তিনশো বছরের পুরনো। চাকমা উপজাতি তিনশো বছর আগে, মোঘল শাসনামলে যখন মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল, তখন তারা সঙ্গে করে দেবীর মূর্তি নিয়ে এসেছিল। ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই এই মূর্তিটি সরকারী তত্ত্বাবধায়নে আছে। চাকমারাও এই মূর্তি সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন এনথ্রপলজির প্রফেসর শুধু এই নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকে মিউজিয়ামের কিউরেটর এবং অন্যান্য কর্মচারীদের দোষারোপ করে সমালোচনামূলক প্রবন্ধ লিখেছে। তার মতে, সারা পৃথিবীতে সাওয়া দেবীর এটিই একমাত্র অবশিষ্ট মূর্তি। বহু বছর আগে মায়ানমারের কোন এক অতি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাওয়া দেবীর উপাসনা করত।
শিহাবের এই সংবাদটা চোখে পড়েছে, কারণ শিহাব জানে এই মূর্তিটি কে চুরি করেছে। কিছুদিন আগে ঠিক একই রকম একটা মূর্তি সে অহনার বাসায় দেখেছে।
গত বছর চট্টগ্রামে বেড়াতে গিয়েছিল সে অহনাকে নিয়ে। আগ্রাবাদের জাতি-তাত্ত্বিক জাদুঘরেও গিয়েছিল দু’জনে। শিহাবের অগোচরে নিশ্চয়ই মূর্তিটি তখন চুরি করেছিল অহনা।
অহনাকে এভাবে অকপটে চোর ভাবার পেছনে শিহাবের একটা গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি রয়েছে। শিহাবের অনেক দিনের ধারণা যে, ক্লেপটোম্যানিয়া রয়েছে অহনার। ক্লেপ্টোম্যানিয়া হলো একটি মানসিক রোগ, যাদের এই রোগ হয় তারা নিজেদের অজ্ঞাতেই বিভিন্ন জিনিস এখান থেকে-সেখান থেকে চুরি করে নিয়ে যায় ব্যক্তিগত ব্যাবহারের জন্য। মেয়েদের মধ্যে ক্লেপ্টোম্যানিয়া বেশি দেখা যায়।
শিহাব আগেও লক্ষ্য করেছে অহনাকে, আলগোছে-অন্যমনস্কভাবে অন্যের ছোটখাটো জিনিস নিজের ব্যাগে ঢোকাতে দেখেছে। একবার শিহাবের দামী লাইটার না বলে গিয়েছিল সে। আরেকবার নিয়েছিল শিহাবের হাত-ঘড়ি। শিহাব ভেবেছিল হয়তো মজা করার জন্য মাঝে মাঝে এসব নেয় সে। কিন্তু আস্তে আস্তে তার সন্দেহ হলো যে নিছক মজা করা এসবের উদ্দেশ্য নয়, এটি অহনার মানসিক ব্যাধি। মূর্তি চুরির ঘটনায় বিষয়টা পরিষ্কার হলো। শিহাব ঠিক করল এই বিষয়ে অহনার সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবে সে।
তবে এই মুহূর্তে শিহাব সেই এনথ্রপলজির প্রফেসরের সঙ্গে কথা বলার কথা ভাবছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকে সে প্রফেসরের ফোন নাম্বারটা খুঁজে বের করল। মনে মনে কথা গুছিয়ে নিল প্রথমে, তারপর কল করল তার নম্বরে।
রিং হলেও ধরছে না কেউ। প্রায় বিশ সেকেন্ড পর শিহাব যখন কল কেটে দেয়ার কথা ভাবছে, তখন একটা ভারী গম্ভীর কণ্ঠ বলে উঠল-
“হ্যালো, হু ইজ দিস?”
“স্যার আপনি আমাকে চিনবেন না। আমার নাম শিহাব। আমি পত্রিকায় সাওয়া দেবীর মূর্তি চুরি নিয়ে লেখাটা পড়েছি।”
“আচ্ছা, বেশ! বেশ!! বলুন কি করতে পারি এখন?”
“আমি আসলে সাওয়া দেবী সম্পর্কে জানতে চাই। ইন্টারনেটে ঘেঁটেও তার সম্পর্কে কোন তথ্য পেলাম না।”
“পাওয়ার কথাও নয়। সাওয়া দেবী একটা বিলুপ্ত অধ্যায়। মূর্তি চুরির সঙ্গে সঙ্গে তার অবশিষ্ট স্মৃতিটুকুও মুছে গেল।”
“স্যার, কোন ভাবেই কি কোন তথ্য পাওয়া সম্ভব নয় তার সম্পর্কে?”
“আমি একটা জার্নালের জন্য সাওয়া দেবীকে নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলাম। যদিও সেটা প্রকাশিত হয়নি। জার্নাল সম্পাদকের কাছে গুরুত্বহীন লেগেছে লেখাটা! বাঞ্চ অফ স্ট্যুপিডস! যাই হোক, আমার কাছে সেই প্রবন্ধের একটা সফট কপি আছে। আপনি চাইলে ইমেইল করতে পারি আপনাকে।”
“সো নাইস অফ ইউ স্যার। আমি আপনার নম্বরে আমার ইমেইল আইডি টেক্সট করে দিচ্ছি।”
“ইউ আ ওয়েলকাম...বাট...আপনি এই মূর্তিটি নিয়ে এতটা আগ্রহী কেন বলুন তো?”
সত্যি কথাটা বলল না শিহাব। “তেমন কোন কারণ নেই স্যার। আমি এসব পুরনো মূর্তি, বিলুপ্ত জাতি ইত্যাদি বিষয় জানতে সবসময় একটু আগ্রহ বোধ করি।”
সেদিন রাতেই শিহাব ইমেইল পেল প্রফেসরের কাছ থেকে। সাওয়া দেবীর উপর প্রফেসরের লেখা প্রবন্ধটা পড়ে দু’টো বিষয় শিহাবকে অবাক করল।
প্রথমত, দেবীর যে মূর্তিটি শিহাব পত্রিকায় এবং অহনার কাছে দেখেছে, সেটাতে তার শরীরের অর্ধেকটা বানানো হয়েছে শুধু। অর্থাৎ পেট, বুক আর মাথা। শরীরের নিচের অংশ নেই। প্রফেসরের প্রবন্ধে দেবীর পুরো শরীরের একটা স্কেচ আছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে দেবীর পা নেই, পায়ের জায়গায় জলপরীর মতো একটা লেজ। তবে সেটা মাছের লেজ নয়, সাপের লেজের মতো দেখতে। কালচে-লাল রঙের লেজ। জোঁকের মতন।
দ্বিতীয় বিষয়টা শিহাবকে প্রচন্ড বিস্মিত করল, সেটা হলো, “সাওয়া” শব্দের অর্থ। বার্মিজ ভাষায় সাওয়া শব্দের অর্থ হলো- জোঁক!

*** *** ***
পরদিন সকালে রবিন যখন ফোন করে শিহাবকে জানাল যে- হ্যা, শিহাবের দেয়া সেই রক্তে হিরুডিন নামক বস্তু পাওয়া গেছে; তখন শিহাব সত্যিকার ভাবে চিন্তিত হলো। অতিপ্রাকৃত কিছুতে বিশ্বাস করেনি সে কখনও। কিন্তু অহনার উপর সাওয়া দেবীর ছায়া যে পড়েছে, সেটা অস্বীকার করার কোন উপায় রইল না আর। শিহাব ঝড়ের বেগে অহনার বাসার উদ্দেশে রওয়ানা দিল।
অহনার বাসায় ঢুকে রীতিমতো ধাক্কা খেল সে। বাসার বাইরে প্রতিবেশীদের ভীর জমে গেছে। ভেতরে সবাই কান্নাকাটি করছে। অহনার বাবা, ভাই, মা...সবাই কাঁদছে। অহনার ছোটভাই রাতুলকে সামনে পেয়ে তার কাঁধ চেপে ধরল শিহাব।
“কি হয়েছে রাতুল? অহনা কোথায়?”
রাতুল ভাঙা গলায় উত্তর দিল-“আপু সারারাত নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে রেখেছে শিহাব ভাই! কেউ দরজায় নক করলে ভয়ংকর গলায় বলেছে যে দরজা খোলার চেষ্টা করতে সে আত্মহত্যা করবে। ভেতরে বসে সারারাত গলা ফাটিয়ে চিৎকার করেছে আপু। যেন প্রচন্ড যন্ত্রণায় ভুগছে!”
শিহাব দৌড়ে গিয়ে অহনার ঘরের দরজার সামনে কান পাতল। ভেতর থেকে চিৎকারের আওয়াজ আসছে না বটে, কিন্তু ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। কেমন যেন অপার্থিব সে শব্দ। শিহাব দরজার কড়া নেড়ে বলল-“অহনা, কি হয়েছে তোমার? দরজা খোলো!”
ভেতর থেকে অপরিচিত পুরুষালী নারী গলায় অহনা জবাব দিল, “শিহাব তুমি এসেছ? দরজা খুলে রেখেছি, ঢুকে পড়ো!”
ভেতরে ঢুকে যা দেখল শিহাব, তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না সে।
একটা শাড়ী পড়ে আছে অহনা, মেঝেতে চিত হয়ে শুয়ে আছে। চোখ ভিজে আছে জলে। সবকিছুই স্বাভাবিক, একমাত্র অস্বাভাবিক বিষয় হলো, শাড়ীর নিচের দিকে পা দেখা যাচ্ছে না অহনার। পায়ের জায়গায় একটি পুরুষ্টু লেজ, যেটা বৃহদাকার সাপের মতো এদিক সেদিক নড়াচড়া করছে। লেজের রঙ কালচে লাল; ঠিক যেন একটি জোঁক।

*** *** ***
পাঁচ বছর পরের কথা। রাঙামাটির ঘন জঙ্গলের মধ্যে একটি মন্দির-মতো ঘর, বাঁশ দিয়ে তৈরি। ঘরের মাচানের মধ্যে অহনা শুয়ে আছে। সারা শরীর নগ্ন। কোমরের নিচ হতে পা পর্যন্ত লম্বা কালচে লাল লেজটা এলোমেলো নাড়ছে সে।
ঘরের সামনে ঘাসের উপর কয়েকজন আদিবাসী মানুষ হাঁটুগেড়ে বসে অদ্ভুত সুরে, বিচিত্র ভাষায় কিছু মন্ত্র জপছে। জপা শেষ হলে একটি কিশোরী মেয়ে এগিয়ে এলো অহনার দিকে। মাথা নিচু করেই সে কাছে গেল তার। চোখে চোখ মেলাল না ভুলেও। কিশোরীটি বুকের কাছে একটা ছাগল ছানা ধরে রেখেছে।
অহনার পায়ের কাছে, কিংবা পায়ের জায়গায় গজানো লেজের কাছে ছাগলটা রেখে এক পা-দু’পা করে করে পিছিয়ে গেল সে। অহনা তার লেজের মতো জিনিসটা দিয়ে পেঁচিয়ে ধরল ছাগল ছানাটাকে। চুষে চুষে খেতে লাগল ওটার রক্ত। ছাগলটা শান্ত হয়ে বসে রইল। ছোটাছুটি করল না। কোন ব্যথা পাচ্ছে না সে। যেমন জোঁক কামড়ালে ব্যথা পায় না কেউ!
দেখতে দেখতে চুপসে যাওয়া বেলুনের মতো ছাগলটা শুকিয়ে গেল, তার সব রক্ত শুষে নিল অহনা। ছাগলটা বুঝতেও পারল না কখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে সে।
অহনার রক্তপান শেষ হতেই আদিবাসীরা মুখ দিয়ে অদ্ভুত আওয়াজ করল-
“সাওয়ে নাথবুররম, সাওয়ে!”
“সাওয়ে নাথবুররম, সাওয়ে!”
তারপর অহনার দিকে দিকে পিঠ না দিয়ে আস্তে আস্তে পিছ-পা হয়ে বনের ভেতর হারিয়ে গেল সবাই। শুধু একজন চলে গেল না। তার গায়ে আদিবাসীদের মতোই পোশাক। মুখে লম্বা দাড়ি, চুলও লম্বা। সে আস্তে আস্তে অহনার পাশে গিয়ে বসে পড়ল। বসে একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলল। অহনা তার পুরুষালী মেয়ে গলায় তাকে বলল-
“শিহাব, এরা সাওয়ে নাথবুররম বলে এর মানে কি?”
শিহাব স্তিমিত গলায় উত্তর দিল-“এর মানে হলো- দেবী, তোমায় প্রণাম।”
অহনা দু’হাতে শরীরের ভর রেখে, লেজ নাড়িয়ে কষ্টেসৃষ্টে উঠে বসে শিহাবের কাঁধে মাথা রাখল। বলল-“তুমি কেন চলে যাচ্ছ না শিহাব? কেন পড়ে আছো এই জঙ্গলে? আমি অপয়া, আমার জন্য তুমিও কেন কষ্ট করছ?”
“তুমি অপয়া নও অহনা, ভাগ্যের পরিহাস তুমি! তোমায় ছেড়ে যাবার কথা অনেক ভেবেছি, কিন্তু পারিনি আমি। অনেক বার জঙ্গল ছেড়ে শহরের দিকে পা বাড়িয়েছি, কিন্তু তোমার অমোঘ টানে যে আমি আটকা পড়েছি দেবী, আমি যেতে পারব না কখনও তোমায় ছেড়ে।”
অহনার চোখ দু’টো ছলছল করে উঠল। অশ্রুসজল চোখেই সে শিহাবের ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়াল। সারা দিল শিহাবও। চুমু গভীর হতেই শিহাব নিজের জিভে রক্তের স্বাদ টের পেল, কিন্তু গা করল না।
তাদের অতিপ্রাকৃত প্রেমের সামনে সামান্য রক্তদান কিছুই নয়।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ বেশ ফ্যান্টাসি তো ;)

গল্পটা রিপিট হয়ে গেছে।

+++++

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৭

একলা চলো রে বলেছেন: ধুর! এই সমস্যাটা বিরক্তিকর! যা হোক, ঠিক করে দিয়েছি। আপনাকে ধন্যবাদ ভৃগু, ভালো থাকবেন।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ভ্রাতা !!

রিপিট টা এডিট করে দিন ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৯

একলা চলো রে বলেছেন: করে দিয়েছি গিয়াসলিটন। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

আপনার নামটা চমৎকার, গিয়াস-লিটন না হয়ে ইতালীয় টাইপের নাম গিয়াসলিটান মনে হয়। :)

শুভকামনা রইল।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অদ্ভুত প্রেম। ভালো লাগলো।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১১

একলা চলো রে বলেছেন: ধন্যবাদ মাহবুব ভাই। ফ্যান্টাসির সঙ্গে প্রেমের যুগলবন্দী ভালো। ভালো থাকবেন। অনেক শুভকামনা রইল। :)

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

আরজু পনি বলেছেন:
গল্পের মধ্যে প্রত্নতত্বের মিশেল বেশ লাগলো ...

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৯

একলা চলো রে বলেছেন: প্রত্নতাত্ত্বিক ঘটনার মধ্যে ফ্যান্টাসি আনার চমৎকার সুযোগ রয়েছে। হেনরি রাইডারের কিছু বইয়ে চমৎকার প্রত্নতাত্ত্বিক ফ্যান্টাসি ধাঁচের গল্প পড়েছিলাম।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল, অনেক ধন্যবাদ।
ফেসবুকে বোধহয় একটা ছবি দেখেছিলাম, কোথায় হারিয়ে গেল পরে আর খুঁজে পাইনি। আপনার মেয়ের জন্য অভিনন্দন ও শুভকামনা জানবেন! ভালো থাকবেন। :)

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বেশ হয়েছে। ফ্যান্টাসি গল্পে বাংলা তেমন সমৃদ্ধ না , অন্যরকম ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৬

একলা চলো রে বলেছেন: অনেকটাই সত্য। বাংলা গল্পে ফ্যান্টাসির আনাগোনা খুব কম। পত্র পত্রিকায় কিছু ছোটগল্প ছাড়া পুর্ণাঙ্গ ফ্যান্টাসি নিয়ে কোন বই পড়েছি বলে এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। প্রফেসর শঙ্কুর কিছু বইয়ে মোটামুটি ফ্যান্টাসি ছিল। বাংলায় আরও কিছু বই পড়েছি যেগুলো কল্পবিজ্ঞান এবং ফ্যান্টাসি কিংবা হরর এবং ফ্যান্টাসির মাঝামাঝি ছিল।
অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য, ভালো থাকবেন তনিমা।

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পড়ে গেলাম একটানে।। একসময় দেখি শেষ।।
অতিপ্রাকৃত প্রেমের সামনে সামান্য রক্তদান কিছুই নয়,গল্পের মাঝে বাস্তবের এই কথাটুকু ভাল লাগলো আরো বেশী।।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৬

একলা চলো রে বলেছেন: প্রেম মানুষের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ অধ্যায়, মানব জীবনের সম্ভবত সবচেয়ে শক্তিশালী সম্পর্ক, সামান্য ত্যাগ-তিতিক্ষা এই সম্পর্কের সামনে ঠুনকো।
আপনার ভালোলাগা গ্রহণ করলাম সানন্দে। শুভকামনা রইল সচেতন হ্যাপী।

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৭

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ভালো লাগলো।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০১

একলা চলো রে বলেছেন: ধন্যবাদ মহান অতন্দ্র। সুন্দর নাম আপনার।

৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্পটা খুবই সুন্দর। এক কথায় শিহরন জাগানো! পড়তেও বেশ মজা লাগছিল।

ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৩

একলা চলো রে বলেছেন: আপনাকে শিহরিত করতে পেরেছি জেনে আনন্দিত হলাম সাহসী সন্তান।
শেয়ার করা কথাটা একটু যেন কেমন কেমন! যেন আমার লেখা নয়, অন্যের ভাল লেখা, আমি শেয়ার করেছি মাত্র। বিষয়টা তো এমন নয়। :)

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন ভাই।

৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪

কাজী নজরুলের ছাত্র বলেছেন: অসাধারণ লেগেছে।
পুরোটাই আনকমন,

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫

একলা চলো রে বলেছেন: ফ্যান্টাসি জেনারের লেখায় আনকমন কিছু নিয়ে আসার সুযোগ প্রচুর। মানুষের চিন্তা ভাবনার কোন সীমা পরিসীমা নেই। প্রতিটি মস্তিষ্ক, প্রতিটি চিন্তা আলাদা। তাই ইচ্ছেমতো কল্পনার ঘোড়ায় চেপে বসে বাস্তব-পরাবাস্তব যেখানে খুশী, যতদূর খুশী যাওয়া যায়।

আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ছাত্র সাহেব। :)

১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার প্লট ও বর্ণনা, একটানে পড়ে নিলাম। ফ্যান্টাসি গল্প হিসেবে ১০০% পারফেক্ট।

ভালো লাগা রইলো। প্লাস।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১১

একলা চলো রে বলেছেন: উৎসাহ এবং প্রেরণাদায়ক মন্তব্য রেখে যাবার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন সুমন কর। ইদানীং ফ্যান্টাসির দিকে হালকা ঝুঁকেছি।

অবশ্য ১০০% পারফেক্ট বলতে কিছু নেই। পারফেকশন হলো কন্টিনিউয়াস প্রসেস। সে দৃষ্টিকোণ থেকে পারফেক্ট বলা যাচ্ছে না এই গল্পটাকেও। এই যেমন, ১২ নম্বর কমেন্টে গল্পের কিছু ভুল ত্রুটি নিয়ে আলোচনা এসেছে দেখতে পাচ্ছি। তবুও আপনার প্রশংসা এবং প্রেরণা দানের প্রচেষ্টাটুকু টের পেয়ে ভীষণরকম ভালো লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।

১১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

Ashim Zaman বলেছেন: অসাধারন! আপনার লেখার ফিদা হয়ে যাচ্ছি.... কল্পনাশক্তি অসাধারন!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২১

একলা চলো রে বলেছেন: আপনার উচ্ছাসিত প্রশংসা পেয়ে লেখাটা স্বার্থক মনে হচ্ছে। একটা বইয়ে পড়েছিলাম যে - ইমাজিনেশন ইজ মোর ইম্পরট্যান্ট দ্যান নলেজ। কল্পনা সম্ভবত মস্তিষ্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। লেখার চেয়ে, বলার চেয়ে, জানার চেয়ে কল্পনার গুরুত্ব বেশি মনে হয় আমার কাছে। আপনি কল্পনা করতে উৎসাহিত করেছেন বলে ভালো লাগল খুব।
"ভিকি ডোনার" সিনেমাতে ইয়ামি গৌতম যে চরিত্রটিতে অভিনয় করেছিল, তার নাম ছিল আশিমা রয়। চরিত্রটি আমার অনেক প্রিয় ছিল। আপনার নামটা তার কথা মনে পড়িয়ে দেয়।
যাই হোক, ভালো থাকবেন আশিম জামান।

১২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

সুমিত আহসান বলেছেন: গল্পে অনেক খুঁত ছিলো।
বিশদ বর্ণনা ছিলনা বললেই চলে :(
আর হ্যাঁ অপরিচিত কোন প্রফেসরকে বলামাত্রই সে তার জার্নাল মেইল করে দিয়েছে, এরকম কয়েক যায়গায় তাড়াহুড়া রয়ে গেছে।
শুভকামনা রইলো আগামির আগামীর জন্য :)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১

একলা চলো রে বলেছেন: যে কোন অপরিচিত প্রফেসর হুট করে হয়তো জার্নাল পাঠিয়ে দেবে না, কিন্তু আমার নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিত প্রফেসরদের অনেককেই একটু বুঝিয়ে বললে তারা অপরিচিত কাউকেও সাহায্য করতে দ্বিধা করবে না বলে আমার বিশ্বাস, যতটুকু তাদের চিনেছি। চেনা জানা পরিগন্ডির বিবেচনাতেই তো লেখালেখি করি। তবে আপনার অভিযোগ নির্জলা সত্য, কয়েক জায়গায় আমি সচেতন ভাবে তাড়াহুড়ো করেছি , যেটা একদমই অনুচিত। একটা লেখা এক বসাতেই শেষ করার চেষ্টা করি বলে এমন হয়। কাজটা করা অনুচিত। লেখালেখির জন্য প্রশান্ত এবং স্থির মন আবশ্যক।

আপনার শুভকামনা সাদরে গ্রহণ করলাম। আশা করি এই শুভকামনা বিফলে যাবে না। আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন সুমিত আহসান।

১৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: বেশ ভাল গল্প। ভাললাগা রইল :)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫

একলা চলো রে বলেছেন: আমার ফ্যান্টাসি গল্প মায়াবী রূপকথার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। ভালোলাগা গ্রহণ করলাম। ফ্যান্টাসির উপযুক্ত বংলা প্রতিশব্দ অভিধানে পেলাম না খুঁজে। "মায়াবী রূপকথা" ফ্যান্টাসির বাংলা হিসেবে মন্দ নয়। :)

১৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

অপু তানভীর বলেছেন: চমৎকার গল্প ! সামুতে এরকম লেখা আসা অনেক কমে গেছে !

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

একলা চলো রে বলেছেন: ধন্যবাদ অপু তানভীর। সামুতে আসলেই অনেক কিছু বদলে গেছে। পরিচিত লেখক এবং পরিচিত ধাঁচের লেখা অনেকখানিই হারিয়ে গেছে। অনেক প্রিয় ব্লগার এখন আর ব্লগিং করেন না। পরিবর্তনটা ইতিবাচক হলে আপত্তি ছিল না, কিন্তু ততোটা ইতিবাচক নয়।
আশা করি সামুতে আগের মতো জমজমাট আসর ফিরে আসবে আবারও।
আপনি কিন্তু আমার প্রিয় ব্লগারদের মধ্যে একজন। আমার একটা গল্পের মুখ্য চরিত্রের নাম আপনার নাম থেকে ধার করা। গল্পটার নাম "নক্ষত্রকন্যা"।

১৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

জুন বলেছেন: গা ছম ছমে অতিপ্রাকৃত গল্পে অনেক অনেক ভালোলাগা । কাল রাতে পড়তে গিয়ে ভয়ই লাগছিল ।
+

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

একলা চলো রে বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুন। রাতের বেলা জেগে জেগে ভূতের গল্প পড়লে ভয় তো লাগবেই। :D :P
শুভকামনা জানবেন। ভালো থাকবেন।

১৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৪

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৮

একলা চলো রে বলেছেন: ভাল লাগা গ্রহণ করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে হানিফ রাশেদীন।

১৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

জিমার পেঙ্গুইন বলেছেন: দারুন গল্প! অনেক ভাললেগেছে

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৬

একলা চলো রে বলেছেন: আপনার ভালোলাগা পেয়ে ভালো লাগল খুব। আপনিও আমার শুভকামনা জানবেন জিমার পেঙ্গুইন।

১৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

তন্ময় দেবনাথ 007 বলেছেন: ভালো লাগলো

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

একলা চলো রে বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

আমি তুমি আমরা বলেছেন: পড়ে গেলাম একটানে।ভালো লাগলো :)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭

একলা চলো রে বলেছেন: আপনার মনোযোগ ধরে রাখতে পেরেছি জেনে আনন্দিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভালো গতিশীল একটা, গল্প। বেশ কিছিদিন আগেই মোবাইলে পড়েছিলাম, চমৎকার লিখেছেন, শুভেচ্ছা রইল।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

একলা চলো রে বলেছেন: মোবাইলে পড়ে আবার কম্পিউটারে লগিন করে খুঁজে খুঁজে পোস্টে এসে মন্তব্য করেছেন, সে জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১০

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: অসাধারন একটা লেখা। ভালো লাগলো।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

একলা চলো রে বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অভ্রনীল।

২২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

মুনতা বলেছেন: দারুণ লেগেছে।
+++

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৫

একলা চলো রে বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.