নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাইমিনুল ইসলাম বাপ্পী-র ব্লগ

একলা চলো রে

ভালো নাম মোহাইমিনুল ইসলাম বাপ্পী।কল্পবিজ্ঞান, সাইকোলজিক্যাল গল্প এবং ফ্যান্টাসি নিয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। এসব নিয়েই লিখছি অল্পবিস্তর।

একলা চলো রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ অসম্পূর্ণ নিঃশ্বাস

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭



তিথি হাতের মুঠি খুলছে আর বন্ধ করছে, বন্ধ করছে আর খুলছে। সে দ্বিধান্বিত বেশ। যা বলতে চাইছে পল্লবকে, সেটা বলা ঠিক হবে কিনা বুঝতে পারছে না। আবার না বললেও অপরাধবোধে ভুগছে সে, অদ্ভুত দোটানা।

বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে বেশ! ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে বারান্দায় বসে একটা বই পড়ছে পল্লব। বইয়ের নাম- দা ওলড ম্যান এন্ড দা সী। ভাবলেশহীন মুখে পাতা উলটে যাচ্ছে সে। মাঝে মাঝে বৃষ্টির ছাঁট এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে তার চশমার কাঁচ, অন্যমনস্কভাবে আঙুল দিয়েই সেটা মুছে নিচ্ছে সে।

তিথি পল্লবের পাসে গিয়ে বসে পড়ল। ওকে দেখে মিষ্টি করে হাসল পল্লব।

“গুড মর্নিং। বেশ সকাল সকাল উঠে পড়েছ তিথি। আরেকটু ঘুমালে পারতে, ছুটির দিন আফটার অল।”

তিথি হাসার চেষ্টা করল। কিন্তু হাসি পেল না তার। গলাটা ভীষণ শুকনো ঠেকছে, এক গ্লাস পানি পেলে ভালো হতো। পল্লব জিজ্ঞেস করল-

“কি ব্যাপার, তোমাকে এমন নার্ভাস দেখাচ্ছে কেন তিথি?”

“পল্লব, আই ওয়ন্ট টু কনফেস সামথিং!”

“কনফেস করতে চাও? কি কনফেস করবে?”

“জানি না তুমি রাগ করবে কি না। হয়তো বলা উচিত হচ্ছে না তোমাকে, কিংবা আরও আগেই বলা উচিত ছিল, জানি না উচিত অনুচিত কি! কিন্তু, আমার মনে হচ্ছে, তোমাকে বলতেই হবে!”

পল্লব হাতের বইটা বন্ধ করে সজাগ চোখে তাকাল তিথির দিকে। তারপর মৃদু হেসে বলল-

“যা বলতে চাও, নির্ভয়ে বলে ফেল তিথি। আমি কিছু মনে করব না।”

“হ্যা, জানি তুমি কিছু মনে করবে না। সে ভরসাতেই বলার সাহস পেয়েছি। আগের মতো বদমেজাজি নেই তুমি, ইনকন্সিডারেট নেই। তবুও দ্বিধা হচ্ছে!”

“ঠিকাছে তিথি, তোমার যদি অস্বস্তি হয় তাহলে পরে বলতে পারো, না বললেও অসুবিধা নেই।”

“না না, আমি বলব।”

“আচ্ছা বলো।”

“আসলে ঘটনাটা হচ্ছে, বিয়ের আগে একটা ছেলে আমাকে পছন্দ করত। এক তরফা ছিল ব্যাপারটা, আমি তেমন পাত্তা দিতাম না ছেলেটাকে। ওদিকে বিয়ের পর তুমি আস্তে আস্তে ব্যস্ত হয়ে পড়লে। সারাক্ষণ কাজ নিয়ে পড়ে থাকো, ঠিক ঠাক সময়ে বাসায় আসো না, ঠিকমতো কথা বলো না, কারণে অকারণে উপেক্ষা করে যাও আমাকে। ঠিক তখন সেই ছেলেটার সাথে আমার দেখা হলো আবার। এখনো বিয়ে করেনি সে। এন্ড………..উই হ্যাভ স্টার্টেড ডেইটিং!”

“হোয়াট?”

“আয়াম সরি, পল্লব। আমি একটা সম্পর্কে জড়িয়ে যাই ওর সাথে, এবং আস্তে আস্তে বুঝতেও পারলাম যে এটা ভুল করছি, প্রতারণা করছি তোমার সাথে। আবার তোমার আচরণও বদলে গেছে গত ক’মাসে। আগের চেয়ে অনেক দায়িত্ববান হয়েছ তুমি, অনেক সৎ হয়েছ, পরিবারের প্রতি সহমর্মী হয়েছ। তাই আমিও ঠিক করলাম, ইট’স হাই টাইম আই স্টপড চিটিং!”

পল্লব একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। স্মিত হেসে বলল- “ইট’স ওকে তিথি। ভুলটা আসলে আমারই। আমিই এতদিন উদাসীন ছিলাম তোমার প্রতি। সরি।”

“না না পল্লব, ভুল ভাবছ। যতোই যা হোক, এভাবে তোমার সাথে প্রতারণা করার অধিকার নেই আমার।”

“যাই হোক, যা হয়েছে, ভুলে যাও তিথি।”

তিথি পাশ ঘেঁষে বসে পল্লবের হাতে হাত রাখল। এই মুহূর্তে বাইরের বৃষ্টি খুব সুন্দর লাগছে তার, পল্লবের হাতটাও উষ্ণ ঠেকছে।

হঠাৎ বড়সড় একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে পল্লব বলল-

“আসলে কি জানো তিথি, আমার মনে হয় না তোমার ঐ ছেলেটার সাথে সম্পর্কটা শেষ করে দেয়া উচিত। ছেলেটাকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত তোমার!”

তিথি আকাশ থেকে পড়ল। পল্লব কি এতটাই রেগে গেছে যে প্রচ্ছন্নভাবে তাকে জানাতে হচ্ছে সেটা!

“পল্লব, আমি সত্যিই সরি। আমি আসলে……”

“না না তিথি, তুমি ভুল বুঝছ, আই মিন ইট। তোমার সত্যিই এই নতুন সম্পর্কের ব্যাপারে সিরিয়াস হওয়া উচিত।”

“কেন?”

“কারণ, তোমার তাকে দরকার হবে। আমি বেশিদিন বেঁচে নেই তিথি।”

“মানে? কি হয়েছে তোমার? কোন অসুখ ধরা পড়েছে?” কেঁপে উঠল তিথির কন্ঠ।

“না তিথি, কোন অসুখ ধরা পড়েনি আমার। আসলে আমার আয়ু শেষ হয়ে এসেছে।”

“কেন এ কথা বলছ পল্লব? বত্রিশও পেরোয়নি তোমার বয়স।”

“জানি। আমি তোমাকে এখন কিছু অদ্ভুত কথা বলব তোমাকে। তুমি কি বিশ্বাস করবে?”

“হ্যা করব। কেন করব না!”

“প্লিজ সিরিয়াসলি নিও আমার কথা। আমি একবিন্দু রসিকতা করতে যাচ্ছি না তোমার সাথে।”

“অবশ্যই সিরিয়াসলি নেব পল্লব। বলো কি কথা!”

“সেটা হলো, আমি আসলে পল্লব নই।”

“হোয়াট?”

“হ্যা, ঠিক শুনেছ। আমি পল্লব নই। আমার নাম আফসার উদ্দিন।”

“কি বলতে চাচ্ছ, খুলে বলো!”

“বলছি। আমি আফসার উদ্দিন। খুলনার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার জন্ম হয়েছিল ১৯২০ সালে। আমার জীবন কেটেছে খুব সাদামাঠা ভাবে। ছাত্র হিসেবে সাধারণ মানের ছিলাম, চাকরী জীবনেও সাধারণ এক সাধারণ কেরানী ছিলাম। আমি বিয়ে করছিলাম এক সাদাসিধে গ্রামের মেয়েকে। দু’টো সন্তান হয়েছিল আমার। সন্তানদের কেউ অসাধারণ মেধা নিয়ে জন্মায়নি। কেউই জীবনে খুব সফল হয়নি। আমার মতোই সাধারণ জীবন কাটিয়েছে ওরাও, হয়তো এখনও কাটাচ্ছে, কি জানি! যাই হোক, ৮২ বছর বয়সে ম্যালেরিয়া হয়ে আমার মৃত্যু হয়। সাদামাঠা জীবনের ঘানি অনেক দূর টেনেছি।
গড়বড়টা শুরু হয় আমার মৃত্যুর পরেই। মৃত্যুর পর চোখ মেলে তাকাতেই দেখি একটা ছিমছাম শহুরে বাসার সাদা চাদর বিছানো বিছানায় শুয়ে আছি আমি। আমার পাশেই একটা ছোট্ট মেয়ে পুতুল নিয়ে খেলছে। রুমের মধ্যে একটা আয়না ছিল। আয়নার সামনে দাড়িয়ে দেখি, আমি এক তাগড়া যুবক। কেঁপে উঠলাম ভয়ে। নিজেকে নিজে প্রশ্ন করলাম-‘কে এটা!’ আমার মস্তিষ্কেই উত্তরটা তৈরি হলো, যেন কিছু পুরনো ফাইল চোখের সামনে চলে এসেছে, এমন ভাবে। আমি বুঝতে পারলাম, আমার নতুন নাম রাজিব। আমি একজন পুলিশ অফিসার। বুঝতে পারলাম যে আমার স্ত্রীর সাথে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। যে মেয়েটাকে বিছানায় খেলতে দেখেছি, সে আমার নিজের মেয়ে। বাসায় আমরা ছাড়াও একটা কাজের ছেলে থাকে, তার নাম মতিন। আমাদের বাসা ঢাকার কলাবাগানে। শুধু তাই নয়, রাজিব নামের লোকটার জীবনের যে কোন ঘটনা আমি চাইতেই মস্তিষ্কে পেয়ে যাচ্ছিলাম।
পাঁচ মাস বেঁচে ছিলাম আমি রাজিব হিসেবে, তারপর একদিন হার্ট এটাকে মারা গেলাম। মারা যাবার কিছুক্ষণ চোখ মেলে আবিষ্কার করলাম, আমি বরিশালের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের খেটে খাওয়া চাষি।
তিন মাস আমি চাষির জীবন যাপন করেছি, তারপর একদিন মারা গেলাম গাড়ি চাপা পড়ে। সেই থেকে গত তের বছরে আমি অনেক বার মরেছি, নতুন নতুন জীবন পেয়েছি, আবার মরেছি, কোন জীবনই কয়েক মাসের বেশি দীর্ঘ হয়নি। প্রত্যেকবার মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগ করেছি আলাদা ভাবে।
কখনো কখনো চেষ্টা করেছিলাম ফেলে আসা জীবনের মানুষগুলোর পরিবারের সাথে দেখা করার। করেছিলামও, তারা কেউ আমাকে নতুন রূপে চিনতে পারেনি। তিন মাস আগে পল্লব হিসেবে জীবন পাওয়ার আগে, আমি ছিলাম একজন স্কুল শিক্ষক। পল্লব হিসেবেও আমার জীবন খুব বেশিদিন স্থায়ী হবে বলে মনে হয় না! তিথি, তুমি কি আমার কথা বিশ্বাস করছ?”

তিথি হা করে তাকিয়ে আছে, তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে বিশ্বাস এবং অবিশ্বাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে আছে। সে ইতস্তত করে বলল-

“তোমাকে বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই পল্লব! তোমার আজগুবি গল্প কেউই বিশ্বাস করবে না। কিন্তু জানি না কেন, আমি ভীষণ ভাবে টের পাচ্ছি যে তুমি সত্য বলছ। আমি অদ্ভুত, অজানা কোন কারণে তোমাকে বিশ্বাস করেছি।”

“বিশ্বাস যদি করেই থাকো, তাহলে নিজের স্বার্থেই প্লিজ, এই নতুন রিলেশনকে সিরিয়াসলি নাও তিথি।”

“না, সেটা হবে না পল্লব। প্রকৃতি কোন অদ্ভুত খেলা শুরু করেছে তোমার সাথে। আমি এই খেলা সাঙ্গ করে দেব। তুমি কথা দাও পল্লব, তুমি যদি কোন কারণে এবার মারা যাও, তাহলে পরের বার যে জীবন পাবে, যে জীবনই হোক না কেন, কুলি হও, ভিখারি হও, বাসের হেল্পার হও, সত্তর বছরের বুড়ো হও, ষোল বছরের কিশোর হও, ডাজ নট ম্যাটার! তুমি আমার কাছে ফিরে আসবে। আমার সঙ্গে তোমার বাকী সব ক’টা জীবন কাটাবে, প্লীজ কথা দাও!”

“কথা দিলাম তিথি।”

এর ঠিক এগার দিন পর দুর্ঘটনা বসত বৈদ্যুতিক শক খেয়ে মারা যায় পল্লব। পল্লব মারা যাবার ঠিক দু’দিন পরে সুন্দরী এক তরুণী আসে তিথির বাসায়। তিথিকে বলে-

“তিথি, তুমি কি আমাকে চিনতে পারছ? আমি তোমার পল্লব! জানতাম, প্রকৃতি আমাদের এক হতে দেবে না। সে জন্যই বোধহয় এবার প্রথম বারের মতো আমি কোন নারীর জীবন পেয়েছি। তুমি ভালো থেকো তিথি। বিদায়!”

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই গল্পটা খুবই সুন্দর! তবে শেষটা যেন কেমন কেমন লাগলো। গল্পটাতো অনেকটা জাতিস্মর ধাঁচের লাগলো! তবে ভালই লেগেছে বলবো!

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭

একলা চলো রে বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু ভাই, আমি জাতিস্মর দেখিনি, বরং গতকালই আমাকে একজন বলল যে সৃজিতের ভাল কাজগুলোর একটা এটা এবং আমার দেখা উচিত। যদিও সৃজিতের অন্যান্য মুভিগুলো বেশ আগ্রহ নিয়েই দেখেছি। জাতিস্মরের সঙ্গে কি গল্পের প্লটের খুব বেশি মিল?

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমি কিন্তু ভাই এখনে কোন মুভির কথা উল্লেখ করিনি! হিন্দু সম্প্রদায় বিশ্বাস করে যে মানুষ মারা যাওয়ার পর সে আবারও কোন না কোন জীব জন্তুর/প্রানী হয়ে এই পৃথিবীতে আসে। আর এটাকেই মূলত জাতিস্মর বলে। এ সম্পর্কে অবশ্য বিস্তারিত জানতে আপনি হিন্দু ভাইদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

তবে জাতিস্মর নামক মুভিটা আমি দেখেছি। হ্যাঁ গল্পের পুরোটা জুড়েই রয়েছে পূর্ব জন্মে ঘটে যাওয়া সব ঘটনার ইতিবৃত্তি! ইচ্ছা হলে দেখতে পারেন, মনে হয় খারাপ লাগবে না!

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

একলা চলো রে বলেছেন: ও আচ্ছা। সেটা তো অন্য বিষয়। অনেকটা ক্লোন করার মতো। দ্বিতীয় বার জন্ম নিলেও মাতৃগর্ভ থেকে পৃথিবীতে এসে বড় হতে হয়, নতুন করে সব জানতে, বুঝতে, শিখতে হয়। দা ক্লোন সিনেমার গল্পও ওরকম ছিল। অনেক গল্পই আসলে আছে এই ধরনের প্লট নিয়ে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গুরুত্বপুর্ণ মন্তব্য রেখে যাবার জন্য। :)

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ইন্টারেস্টিং

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭

একলা চলো রে বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩

সুমন কর বলেছেন: বর্ণনা সাবলীল। কিন্তু অতিরিক্ত কাল্পনিক !! তাই আমার কাছে তেমন ভালো লাগে নি... :(

বর্ণনার জন্য প্লাস।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬

একলা চলো রে বলেছেন: হা হা হা! ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো না লাগলেও অনেকে ভদ্রতা করে ভাল লেগেছে বলে, সেটা আবার ভাষার ব্যবহার দেখে ধরে ফেলা যায়। সোজাসাপ্টা ভাবে সত্য স্বীকার করে নেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ গ্রহণ করুন।

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: গল্পের মোড়গুলো ভাল লেগেছে তবে ফ্যান্টাসি একটু বেশিই।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫০

একলা চলো রে বলেছেন: গল্পটাকে ফ্যান্টাসি গল্প হিসেবেই লিখেছি। যুক্তির ধার ধারিনি তাই। আসলে সাইফাই লিখতে লিখতে মাঝে মাঝে প্লট, যুক্তি এবং বিজ্ঞানের প্রতি অনীহা চলে আসে, তখন রুচি বদলানোর জন্য এমন কিছু গল্প লিখে ফেলি। কল্পনাকে ছুটতে দেই ইচ্ছে মতো।

৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

সুলতানা রহমান বলেছেন: বেশ লাগলো গল্পটা।
শেষের দিকটাই অনেক মজার লাগলো।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

একলা চলো রে বলেছেন: শেষের দিকটাই গল্পটার প্রধান থিম। প্রথমটুকু ছিল অবতারণা মাত্র। আপনার ভালোলাগা গ্রহণ করলাম সানন্দে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

কিরমানী লিটন বলেছেন: অনেক ভাল লেগেছে- চমৎকার...

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

একলা চলো রে বলেছেন: আপনা ভালোলাগা পেয়ে ধন্য হলাম। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩৯

কষ্টের পৃথিবী বলেছেন: শেষটা অন্যরকম ছিল।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২১

একলা চলো রে বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্টের পৃথিবী।

৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

চন্দ্রাহত মৃন্ময়ী বলেছেন: এভাবে নিজের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে বেচে থাকার মাঝে কোন সুখ নেই ....গল্পটা ভালো লেগেছে কাহিনী কাল্পনিক তবুও কোথায় যেন রহস্য আছে কিন্চিত .......

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫

একলা চলো রে বলেছেন: তা তো বটেই। আমার আমিত্ব ছাড়া বেঁচে থাকতে হলে বেঁচে থাকার সংজ্ঞাই বদলে ফেলতে হবে। চন্দ্রাহত মৃন্ময়ী, আপনার ভালোলাগা গ্রহণ করলাম। শুভকামনা রইল।

১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৮

জেন রসি বলেছেন: গল্পে অনেক চমক ছিল!

সাবলীল লেখা ভালো লেগেছে।

++

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

একলা চলো রে বলেছেন: ভালো লাগা জানিয়েছেন বলে ভালো লাগল খুব। ভালো থাকবেন জেন রসি।

১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ফিনিশিংটা কষ্টের হলেও কেমন যেন হাসি পেলো। ভালো ছিলো লেখাটা।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

একলা চলো রে বলেছেন: হা হা হা! আপনার হাসি পাবার কারণটা আমি বুঝতে পারছি। আমি শেষের অংশটুকু বিস্তারিত লেখার কথা ভাবছিলাম, কিন্তু আমার মা ইদানিং আমার গল্পগুলো পড়ছে বলে সংক্ষেপে সেরেছি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভালোলাগা জানানোর জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য হাসান মাহবুব ভাই।

১২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:



অন্যরকম গল্প। পাঠক হিসেবে আমার পুরো মনোযোগ ছিলো গল্পে।
টুইস্ট ছিলো প্রতিটি স্তরে।

গল্পে +

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩

একলা চলো রে বলেছেন: আপনার মতো মনোযোগী পাঠক পেয়ে ভাগ্যবান অনুভব করছি। আপনা জন্য শুভকামনা রইল অনেক আমিনুর রহমান।

১৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

আহমাদ ইবনে আরিফ বলেছেন: সুন্দর প্লট

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

একলা চলো রে বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮

নিরীহ_প্রাণী বলেছেন: অদ্ভুদ লাগল।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

একলা চলো রে বলেছেন: ধন্যবাদ নিরীহ। :)

১৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:৪১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: চমৎকার লেগেছে, আইডিয়াটা অভিনব; এ ধরনের ছোট গল্পে পাঠক হিসাবে এটাই চাই যে চমক থাকবে, টুইস্ট থাকবে। তবে হঠাৎ করেই যেন শেষ হয়ে গেল, আরও বড় হলেও মন্দ হতো না। আর লেখার স্টাইল বরাবরের মতোই সাবলিল। শুভেচ্ছা রইল।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

একলা চলো রে বলেছেন: ধন্যবাদ দেবদূত ভাই। হ্যা, আমার বাকী সব গল্পের মতো এটাতেও শেষে এসে তাড়া চেপে বসেছিল। :(

১৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

রোদেলা বলেছেন: অদ্ভূত একটা গল্প পড়লাম,ভালোই লেগেছে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩২

একলা চলো রে বলেছেন: ভাললাগা পেয়ে ভাল লাগল, ভালো থাকবেন রোদেলা।

১৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৯

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: সাবলীল লেখা। রহস্যে ভরা ছিলো পুরো গল্পটা। শেষে এসে এভাবে মোড় নিবে ভাবতে পারিনি। এ বিষয়ে গল্প এর আগে কখনও পড়িনি। তাই আরো বেশী ভালো লেগেছে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১২

একলা চলো রে বলেছেন: আপনাকে নতুন ধরনের গল্পের স্বাদ দিতে পেরেছি জেনে আনন্দিত হলাম অভ্রনীল। ভালো থাকবেন।

১৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

মুনতা বলেছেন: ইন্টারেস্টিং লেগেছে। একটু ডিফরেন্ট।
+++

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৪

একলা চলো রে বলেছেন: তা বটে!! ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.