নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীটা দেখবো বলে কবিতার কাছে যাই!কবিতার কাছে আমি জীবন খুঁজে পাই
সেই রাতের পর থেকে চেয়ারম্যান শান্তির ঘুম দিতে পারে না!
উদ্বিগ্ন থাকে সারাক্ষণ!
ঝামেলা ঠেকানোর একটাই উপায়; সৌদামিনীর বিয়ে!
চেয়ারম্যান উঠে পড়ে লেগেছে সৌদামিনীকে বিয়ে দিতে!
যেভাবেই হোক সপ্তাহের মধ্যে বিয়েটা দিতে হবে
কোনো ল্যাঙ্গড়া- খুড়ো, চাষাভুষোকে দিতে হবে!
যে চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার সাহস দেখাবে না!
রূপবতী তো কি হয়েছে? গরীবও তো বটে!
কালক্ষেপন করা যাবে না!
লোক জানাজানি হলে কেলেঙ্কারি বাঁধবে!
সে রাত কেউ ভুলতে পারেনা!
না পারে সৌদামিনী না পারে তার বাবা!
চোখের সামনে মেয়ের এমন অবস্থা দশগাঁয়ে কেউ দেখেনি!
এখন তিনি শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকেন; মাঝেমাঝে ঢুকরে কাঁদেন!
চেয়ারম্যান! গ্রামের পাগল ছেলে অরিন্দম এর সাথে সৌদামিনীর বিয়ে ঠিক করেছেন!
কারোর কিছু বলার নেই!
লোকে জানে চেয়ারম্যান একটি অসহায় মেয়েকে সাহায্য করছেন!
মেয়েটার তো কেউ থেকেও নেই!
বিয়ের আগের রাতে অরিন্দমকে সবাই জোর করে সৌদামিনীর বাড়ী পাঠালো!
অরিন্দম মানুষের কূটবুদ্ধি বোঝেনা; অত্যন্ত সহজ সরল, হাবাগোবা ছেলে!
গুটিশুটি মেরে বসে আছে সৌদামিনী!
অরিন্দম কে দেখে সে ঢুকরে কেঁদে ফেললো!
এই পাগল তার স্বামী হবে; চেয়ারম্যান ওকেই বেছে নিয়েছেন!
ফুলশয্যার রাত অরিন্দম ঘরে ঢুকেই বললো,
চেয়ারম্যান আর কখনো আসবে না!
চেয়ারম্যানের বাসনা পূরণ হবে না!
আমি ওই রাতে সব দেখেছি!
চেয়ারম্যান আর কখনো আসবে না
©somewhere in net ltd.