নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্তর মম বিকশিত করো/ অন্তরতর হে/ নির্মল করো, উজ্জ্বল করো,/ সুন্দর কর হে

মহান অতন্দ্র

কবিতার মত মেয়ে

মহান অতন্দ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাহাদের শৈশব

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১২

পর্বঃ ১



ইন্তি বিন্তি দুইবোন সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ে।ইন্তি ফাইভে আর বিন্তি থ্রিতে। তাদের দুবোনের কাজ হল নিয়ম মত স্কুলে যাওয়া। আর সময় পেলেই মারামারি করা । এ নিয়ে তাদের মা শায়লা বেগম মহা বিরক্ত । আজকেও শায়লা বেগম বেশ বিরক্ত। ইন্তি তার জ্যামিতি বক্স হারিয়ে ফেলেছে । কিন্তু সে এজন্য বিন্তিকেই দায়ী করছে। কারন সে দেখেছে বিন্তি প্রায়ই তার বক্সে হাত দেয়। কম্পাসটা দিয়ে প্রায় সে গোল গোল কিছু আঁকে ।



বিন্তি বলেছে সে নেয়নি । তাই হারানোর প্রশ্নই আসে না ।



স্কেল বক্স হারানোর ঘটনা নতুন না। ভীষণ বিরক্ত হলেন শায়লা বেগম । দুবোনকে বেদম পেটালেন। বিন্তি কাঁদছে । ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে ।জ্যামিতি বক্সটা সে এত আগলে আগলে স্কুলে রাখল আর বাড়ি এসে দেখে নেয় । মা ইন্তি আপাকে মেরেছে । ইন্তি আপার কাল পরীক্ষা । ইন্তি আপা এবার বৃত্তি পরিক্ষা দিবে । কাল ইন্তি আপার কোচিং এ অঙ্ক পরীক্ষা। ইন্তি আপা সবসময় খুব ভাল নাম্বার পায় । স্কুলে তার রোল এক । কালকের পরীক্ষায় এক নাম্বার কম পেলে ইন্তি আপা খুব কষ্ট পাবে ।



বিন্তি কিছুতেই বলতে পারে না । স্কুলে থেকে আসার সময় কানা পুকুরটার কাছে সে পড়ে গিয়েছিল। একটা বড় কুকুর তাড়া করছিল। তখন কি স্কেল বক্সটা পড়ে গিয়েছে । স্কেল বক্স পানিতে ভাসে কিনা বিন্তি বুঝতে পারছে না। ইন্তি আপাকে জিগ্যেস করা যায়। কিন্তু আপা তাতে বুঝে ফেলবে ।

বিন্তির বাবা গফফার সাহেব বাড়িতে ফিরেছেন। সন্ধায় তিনি বিন্তি কে নিয়ে বেরোলেন, উদ্দেশ্য ইন্তির জন্য বক্স কেনা । গফফার সাহেব জানতে চাইলেন বিন্তি কিছু খাবে কিনা । বিন্তির খুব বলতে ইচ্ছে করল তাকেও একটা স্কেল বক্স কিনে দেওয়া হোক। স্কেল বক্স পানিতে ডোবে কিনা সেই পরীক্ষা যেন সে করতে পারে ।



বিন্তি চকলেট আর ক্রিম রোল নিয়ে বাড়ি ফিরল। ক্রিম রোল নিয়ে ইন্তির খুব আগ্রহ নেই। সে অঙ্ক করছে। এক অঙ্ক বার বার করছে , সংখ্যা বদলে বদলে করছে। ইন্তির ধারণা মনিকাও করছে। মনিকা মেয়েটা ইদানিং বেশ ভাল করে, প্রায় পরীক্ষায় ইন্তির সমান সমান পায়। তার খুব ভয় করে মনিকা আবার প্রথম হয়ে যাবে নাতো ।



পরদিন ইন্তি বিন্তি স্কুলে গেল। তাদের স্কুল একসাথে শুরু হলেও তারা কখনও একসাথে যায় না। বিন্তি যায় নয়টায়। সে আর স্কুলের দারোয়ান সবার আগে স্কুলে পৌছায়। নয়টায় স্কুলের গেট খোলা হয়। স্কুলের গেট খুললে সে ক্লাসের তালা ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। তার মত আরো অনেকেই আগে আগে আসে । তারাও প্রথমে বসার জন্য তালা ধরার লাইন দেয়। কিন্তু কেউ বিন্তির সাথে পেরে ওঠে না। সাড়ে নয়টায় ক্লাস খুলে দেওয়া হয় ।

ইন্তি প্রথম বেঞ্চে দুটো জায়গা বরাদ্দ করে। একটা অদিতি আর সিমির জন্য । অদিতি খুব বড় লোকের মেয়ে। ওর বাবা-মা ডাক্তার। বিন্তির মা বলেছে ডাক্তাররা খুব বড়লোক হয়। তারা মিনিটে মিনিটে শ’য়ে শ’য়ে টাকা উপার্জন করে। মার খুব ইচ্ছা ইন্তি আপা ডাক্তার হোক। অদিতিও ইন্তি আপার মত দশটায় আসে। তারপর বিন্তিকে একটা প্যাড দেয়। কি যে সুন্দর প্যাডগুলো। বিভিন্ন ওষুধের ছবি আঁকা থাকে ।



বিন্তি কোনদিন জায়গা না রাখতে পারলে অদিতি তাকে প্যাড দেয় না। বিন্তি জায়গা রাখার প্রানপন চেষ্টা করে। প্যাডগুলো ইন্তি আপার খুব কাজে লাগে। গফফার সাহেব ইন্তিকে নোট করে দেন ওতে। মাঝে মাঝে দু একটা বিন্তিকে দিলে বিন্তি ছবি আঁকে । সিমি তাকে কিছু দেয় না। তবু সিমির জন্য জায়গা রাখতে তার ভাল লাগে ।



বিন্তি আজ ক্লাসে কিছুতেই মন বসাতে পারে না। তাকে বিশেষ একটি কাজ করতে হবে। স্কেল বক্স পানিতে ভাসে কিনা তার খুব জানা দরকার। তবে তার মনে হয় নতুন বক্সটা ভাসবে। ইন্তি আপার নতুন বক্সটা খুব সুন্দর। প্লাস্টিকের , উপরে রঙিন ফোম দেওয়া, কার্টুন আঁকা ।



ইন্তি স্কুলে খুব সতর্ক থাকে। রুমা মেয়েটা খুব চুরি করে । একদিন মনিকা বলল ও দশ টাকা হারিয়ে ফেলেছে। মিস সেটা রুমার ব্যাগে পেল। তার নতুন বক্সটা খুব সুন্দর তার খুব পছন্দ হয়েছে। তবে বাবা বলেছে এটা হারালে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হবে। আজ খুব অদ্ভুত একটা ঘটনা ঘটেছে। স্কুলে আসার সময় সে কানা পুকুরের কাছে তার পুরনো বক্সটা পেয়েছে। কিভাবে এখানে আসল সে কিছুতেই বুঝতে পারল না। নিশ্চয়ই তার ব্যাগের চেইন খোলা ছিল। বিন্তির জন্য তার খুব খারাপ লাগে। মা তার জন্য বিন্তি কে কত মারল। সে ঠিক করেছে বাড়িতে এসে বক্সটা বিন্তিকে দিয়ে দেবে। ওর যা ইচ্ছে করুক ।



ইন্তি বাসায় এসে দেখে মা বিন্তি কে খুব মেরেছে। কারন সে স্কুল ড্রেসে একগাদা কাদা লাগিয়েছে। কোত্থেকে লাগিয়েছে কিছু বলছে না। ভীষণ রেগে আছে মা। বিন্তির স্কুল ড্রেস কেঁচে দেওয়া হয়েছে। ফ্যানের বাতাসে শুকনো হচ্ছে ।



বিন্তি অনেক খুঁজেও বক্সটা পায়নি। তার ধারনা পুকুরের কচুরিপানার সাথে ভেসে চলে গেছে। তবে তার মন আজ খুব ভাল । আজকে বাসায় পাখির মাংস রান্না হয়েছে। ছোট চাচা এসেছেন। ছোট চাচা আসলে তার খুব ভাল লাগে। ছোট চাচা আসলে মা কখনও মারেন না। ছোট চাচা প্রতিবার কিছু না কিছু নিয়ে আসেন। তবে ছোট চাচা আসলে তাদের ঘুমোতে অসুবিধা হয় । তাদেরকে বাবা –মার সাথে শুতে হয়। বাবার সাথে শুতে তার একদম ভাল লাগে না। বাবা খুব নাক ডাকেন ।



বিন্তিরা খেতে বসেছে। গফফফার সাহেব নিজের থেকে দু টুকরো মাংস দুমেয়েকে দিলেন । বিন্তির সেদিকে মন নেয় । তার শুধু মনে হচ্ছে স্কেল বক্স কি পানিতে ভাসে। ইন্তি আপার ব্যাগ থেকে স্কেল বক্সটা নিতে হবে । নিয়ে পরীক্ষা করে সে তো আবার সঠিক জায়গায় রেখে দেবে।



বিন্তি ইন্তির ব্যাগে হাত দিয়েছে । আরে এই তো সেই পুরনো বক্সটা । কিভাবে এলো । ইন্তি নিজে বলেছে তার বক্স হারিয়েছে । ইন্তি আপা তো মিত্থ্যে বলে না । নতুনটা রেখে বিন্তি পুরনোটা নিয়েছে ।



বিন্তি এখন কানাপুকুরটার কাছে। কম্পাসটা ডুবে যাচ্ছে। কিন্তু পুরো বক্সটা ডুবছেনা । আশ্চর্য তো। একটা কুকুর তেড়ে আসছে । বিন্তি ছুটে পালাল।



ইন্তি আজো স্কুল থেকে আসার সময় কানা পুকুরটার কাছে বক্সটা পেয়েছে । এটা ভৌতিক কিছু কিনা সে বুঝতে পারছে না। বার বার এই পুকুরের কাছেই কেন বক্সটা পাওয়া যাচ্ছে । ইদানিং তার সাথে অনেক অদ্ভুত কিছু ঘটছে। কাল স্কুলে সালেহা মিস খাতা নিয়ে চিৎকার করছে তোমাদের মধ্যে ‘ই’ কে। খাতাটা ইন্তির । ইন্তির ঠিক মনে আছে সে পুরো নামটা লিখেছে । ইন্তি রহমান। কিন্তু সেটা শুধু ‘ই’ হয়ে গেল কি করে বুঝতে পারছে না । সে অবশ্য মহুয়ার কাছে শুনেছে অন্ধকারে লিখলে নাকি আসলে ভুতেরা তখন লেখে । সালেহা মিসের এমনিতেই মাথা গরম। সবসময় চেঁচামেচির মধ্যে থাকেন । শাড়ির উপর কেটস পরে স্কুলে আসেন। একবার ইমি মেয়েটা ক্লাসে শব্দ করে ক্লাসে কিছু করে ফেলল । সাথে সাথে প্রচণ্ড গন্ধ, সালেহা মিস চিৎকার দিয়ে উঠলেন। প্লিজ আমার ক্লাসে এসব করবে না। পরিবেশ দূষণ করবে না । পারমিশন নেবে বাইরে চলে যাবে। ইন্তি কিছুতেই বুঝতে পারে না এরকম কাজের জন্য কি করে পারমিশন নেওয়া যায়।



সালেহা মিস সবসময়ই খুব অদ্ভুত আচরণ করেন। একবার তাদের প্রথম সাময়িকের খাতা দেওয়া হয়েছে। রিমা মেয়েটা ৫০ এ ৫০ পেয়েছে। আরও অনেকেই পেয়েছে। রিমা গুণে দেখে তার আসলে ৬২ হয়। সে মিসকে গিয়ে বলল, মিস আমি তো ৫০ না ৬২ পেয়েছি। ক্লাসের সবাই হো হো করে হাসছিল। কিন্তু মিস খুব রেগে গেলেন। তুই ৫০ পেয়েও খুশী হোসনি, তোর আরও চায়। রেগে উনি কেটে কুটে ৪২ করে দিলেন। সালেহা মিসকে ইন্তি খুব ভয় পায়। আর ভয় পায় রজব স্যারকে। রজব স্যার বড় আপুদের ক্লাসে পড়ান। সবসময় একটা বেত নিয়ে ঘোরেন। আর এমনভাবে তাকান যেন এখনি সপাং করে বসিয়ে দেবেন।



আজ শুক্রবার। দুপুরবেলা। বাবা-মা ঘুমাচ্ছে। ইন্তি বিন্তি বেরিয়ে পড়ল। তাদের বাসার কাছেই রুপগঙ্গা নদী। নদীতে যেতে খুব ভাল লাগে তাদের। তবে মা কখনও তাদের যেতে দেয় না। গোসলও করতে দেয় না। তারা অবশ্য লুকিয়ে ঝুঁকিয়ে এর আগেও এসেছে। আজকে অবশ্য তারা এসেছে বিন্তির পরামর্শে। বিন্তি বলেছে তারা ভাসা ভাসা খেলবে। কি কি জিনিস পানিতে ভাসে তার পরীক্ষা করা হবে। এজন্য তারা সাথে মায়ের ক্রিমের কৌটা, পুরানো টুথব্রাশ, কাঠের টুকরা, কাগজের নৌকা, ইন্তির পুরানো স্কেল আরও নানান জিনিষ নিয়েছে।



ইন্তি বিন্তি এখন তাদের রুপগঙ্গা নদীতে ভাসা ভাসা খেলছে। এই খেলায় তারা খুব মজা পাচ্ছে। খেলার নিয়মটা হল একজন কিছু একটা নির্দিষ্ট দুরত্তে ছুড়ে দিবে। সেটি ভাসতে থাকবে আর একজন নদীতে নেমে সেটি তুলে আনবে। এই পরীক্ষায় তারা দেখেছে সবকিছুই পানিতে ভাসে। লোহার পাতও পানিতে ভাসে তবে ভারী লোহা ডুবে যায়। ভাসা ভাসা খেলতে খেলতে তাদের সব পরীক্ষার উপকরণ ফুরিয়ে গেছে। বিন্তি বলেছে জুতা দিয়ে খেললে কেমন হয়। গাফফার সাহেব সম্প্রতি তার দুই মেয়েকে দুজোড়া জুতা কিনে দিয়েছেন। ইন্তি বইয়ে পড়েছে গরুর চামড়া দিয়ে জুতা বানানো হয়। গরুর চামড়া পানিতে ভাসে কিনা এটাও তো জানা দরকার। তাহলে গরু রচনা লেখার সময় এটা লেখাও যাবে।



তাদের দুবোনের একজন পালাক্রমে নির্দিষ্ট দুরত্তে পানিতে জুতা ছুড়ছে আর অন্যজন গিয়ে নিয়ে আসছে। কিন্তু এবারের ছোড়াটা খুব দুরে হয়েছে। বিন্তি খুব চিন্তিত। ইন্তি আপা পানিতে নেমেছে। ইন্তি আপার হাফ প্যান্ট ভিজে যাচ্ছে তবু জুতার নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না। জুতাটা ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। ইন্তি আপা জামা নামিয়েছে তার এখন গলা পর্যন্ত পানি। তবু জুতা ধরতে পারছে না। বিন্তির খুব ভয় লাগা শুরু করেছে। জুতা হারালে মা নিশ্চিত তাকে মেরে ফেলবে। আর অনেকদিন পর বাবা তাদের নতুন জুতা দিয়েছে। কিছুতেই এটি হারানো যাবে না।



বিন্তির খুব ভয় লাগছে। ইন্তি আপা ক্রমশ নদীর ভেতরে যাচ্ছে। ইন্তি আপা আবার ডুবে যাবে নাতো। বিন্তি এক দৌড়ে বাসায় এসেছে। বাবা-মায়ের ঘুম ভাঙিয়েছে। ঘটনাটা বলেছে। মা তাকে ঠাশ করে একটা চড় দিয়েছে। বাবা আর বিন্তি খুব জোরে ছুটছে এখন। যে করেই হোক জুতাটা উদ্ধার করা দরকার ।



শায়লা বেগমের মেজাজ খুব খারাপ। মেয়ে দুটোকে আর তিনি মানুষ করতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে না। এরা সীমার বাইরে চলে গেছে। দুজনকেই খুব পিটিয়েছেন। তার অবশ্য এখন একটু খারাপ লাগছে। বুঝিয়েও বলতে পারতেন। মেয়ে দুটোকে গোসলে পাঠিয়েছেন। গোসল শেষে খাইয়ে ওদের ঘুম পাড়িয়ে দেবেন। আজ আর পড়তে বসাবেন না ।



শায়লা বেগম বাথরুমে ঢুকেছেন। ঢুকে হতভম্ব হয়ে গেছেন। এক বালতি পানিতে বিন্তি গন্ধসাবান গুলছে। মাকে দেখে সে বলল , সাবান পানিতে ডোবে কিনা সেই পরীক্ষা করছি।



(চলবে)



মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫১

জাফরুল মবীন বলেছেন: বিন্তিকে তো পুরাই আর্কিমিডিস মনে হচ্ছে :P

“তুই ৫০ পেয়েও খুশী হোসনি, তোর আরও চায়। রেগে উনি কেটে কুটে ৪২ করে দিলেন”-হাঃ হাঃ হাঃ... =p~

ভাললাগা ও শুভকামনা জানবেন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

মহান অতন্দ্র বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ে আমি তো হেসেই খুন। =p~ অনেক ধন্যবাদ জাফরুল ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।

২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহা সবার শৈশবেই কিছু কমন ব্যাপার থাকে
লেখায় +++++++++

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। ভাল থাকবেন ।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১০

আমি ইহতিব বলেছেন: মনে হলো শৈশবে ফিরে গেলাম। কারন আপনার গল্পটা পড়ে শৈশবের মতোই নিখাদ আনন্দ পেলাম।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

মহান অতন্দ্র বলেছেন: আনন্দ পেয়েছেন জেনে ভাল লাগলো। ভাল থাকবেন আপু ।

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:২৯

অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: হাহা!!! মজা পেলাম বেশ গল্পটা পড়ে।

২য় প্লাস।



চলুক। :) :)

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু।

৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:১৭

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ইন্তি বিন্তি, বিন্তি ইন্তি ...... মাঝে মাঝে তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছিল। বিন্তির এই ভাসা ভাসা খেলা শেষপর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামে, সেটা দেখার ব্যাপার। কেন এই খেলায় সে এতো আগ্রহী, সেটা এখনো জানতে পারি নাই। যেহেতু ধারাবাহিক, তাই হয়তো পরের কোন পর্বে পেতেও পারি।
ইন্তি, বিন্তির চাইতে ভালো ছাত্রী এটা বুঝা যাচ্ছে। কিন্তু তাই বলে বিন্তিকে খারাপ বলার কোন কারণ নাই। ইন্তি, ভালো রেজাল্ট করুক, এটা বরাবরই বিন্তি চায়। বড় বোনের প্রতি তার আলাদা একটা দরদ আছে বুঝা গেলো।
ক্যাটাগরি দিলে ভালো হবে। কারণ পাঠক জানেই না এটা কী গল্প না স্মৃতিচারণ নাকি অন্য কিছু। গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ক্যাটাগরি জানা আবশ্যক। ক্যাটাগরি জানার পর তাই পোস্টের বক্তব্যের রচনাশৈলী নিয়ে কথা বলবো। আজ এই পর্যন্তই। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো মহান অতন্দ্র।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী বাঙালী আপনাকে। এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার পরামর্শ গুলো মাথায় রাখলাম। ভাল থাকবেন।

৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! খুব ভালো লাগলো। চালিয়ে যান।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা। ভাল থাকবেন।

৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

তাশমিন নূর বলেছেন: চমৎকার শিশুতোষ। পড়ে খুব মজা পেলাম। চলুক।

৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ তাশমিন।

৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫১

অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: আমিও পিছনের বেঞ্চে বসে বসে বিন্তির মতো ভাবতাম । গল্পটা যেন একটা দির্ঘ্য মুচকি হাসি দিয়ে শেষ করতে পারি সেই আশায় রইলাম ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৪

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ । অবিবাহিত ছেলে । ব্লগে ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা ছাড়া উপন্যাস টাইপ সিরিজের প্রতি সবার আগ্রহ কম । তাই জানি না আসলে ঠিক কন্টিনিউ করব কিনা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.