নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্তর মম বিকশিত করো/ অন্তরতর হে/ নির্মল করো, উজ্জ্বল করো,/ সুন্দর কর হে

মহান অতন্দ্র

কবিতার মত মেয়ে

মহান অতন্দ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকার ডাক্তারবাড়ি

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

ঘটনা ১
আমেরিকাতে একজন বাঙালি প্রফেসরকে সাপে কেটেছে। সাপে কাটলে যেটি হয় সবার ভীষণ দৌড়াদৌড়ি অবস্থা। যে করেই হোক বিষ নামাতে হবে। বিষ নামাতে প্রফেসর সাহেবের আত্মীয় স্বজনরা ধরাধরি করে তাকে হাসপাতালে এনেছেন। আমেরিকা বলে কথা। সবার আশা, আমেরিকার ডাক্তার, নিশ্চয়ই বাংলাদেশের ডাক্তারদের থেকে দ্রুত কিছু করবেন।
দু ঘণ্টা পার হয়েছে। ডাক্তার সাহেব তাকে দেখেননি। নার্স তাকে দেখেছেন। অতি যত্ন সহকারে রোগীর কেস হিস্ট্রি নিয়েছেন। দাদা-নানা কাউকে আগে সাপে কেটেছে কিনা জানতে চেয়েছেন। এরপর ভেতরে ঢুকে গেছেন।
রোগী, রোগীর আত্মীয়স্বজন অস্থির। নার্সকে ডাকছেন। কি ভাই কিছু করলেন না। নার্স বলছেন, দাঁড়ান দেখি কি হয়। আরে ভাই আমাকে তো সাপে কেটেছে । হুম, দাঁড়ান দেখি কি হয়। ভাই আমাকে সাপে কেটেছে, সাপে। আরে বললাম তো দেখি কি হয়।
মানে ব্যপারটা অনেকটা এরকম আপনি মরেন কিনা সেইটা দেখার জন্যই অপেক্ষা করছে তারা। যাই হোক সে যাত্রা প্রফেসর সাহেব আল্লাহ্‌র রহমতে বেচে গেলেন।

ঘটনা ২
এক বাঙালি ভাবীর বাচ্চা হবে। বাবা-মা পাশে কেউ নেই। প্রথম সন্তান। স্বামী বেচারা পি এইচ ডি করেন। সারাদিন ল্যাবে পড়ে থাকেন। গর্ভবতী হলে যা হয়। আগের কোন অভিজ্ঞতা নেই। এসময় নানান উপসর্গ দেখা যায়। আর একটু কিছু হলেই ভয় লাগে।
ভাবীরও তাই হচ্ছে। কিছু হলেই তিনি চিন্তিত হয়ে হেলথ সেন্টারে ফোন দিচ্ছেন। আর হেলথ সেন্টার থেকে বলছে চিন্তার কিছু নেই। তবুও তার চিন্তা কমছে না। তখন পাশের বাসার ভাবী, যে আগেই মা হয়েছে তার কাছে তিনি ছুটে যাচ্ছেন। পাশের বাসার ভাবীই তখন তার কাছে বড় ডাক্তার।
পাশের বাসার ভাবীও ডাক্তারি করার সুযোগ পেয়ে হাত ছাড়া করছেন না। বুঝলে, পেটে তেল মালিশ করবা, আরাম পাবা। সবসময় আপওয়ার্ড ডিরেকশনে করবা। আর মালিশ হল সব রোগের মহা ঔষধ। ভাবীর পেইন উঠেছে। পাশের বাসার ভাবী দেখে বলে দিলেন এতো লেবার পেইন। মালিশে কাজ হবে না। তাড়াতাড়ি ডাক্তারকে ফোন কর। ভাবী হেলথ সেন্টারে ফোন দিলেন। আমাকে তাড়াতাড়ি ভর্তি কর। এই এই...
হেলথ সেন্টার থেকে তাকে বলা হল একটা প্যাড পুরা ভিজতে হবে তা না হলে তারা ভর্তি করবে না। ভাবী এদিকে সারাদিন ব্যথায় অস্থির। তার ব্যথা দেখে তার স্বামীও বুঝতে পারছেন না কি করবেন। পাশের বাসার ভাবীও আর কোন পরামর্শ দিতে পারছেন না। আবার হেলথ সেন্টারে ফোন। আহা আপনাদের বললাম তো পুরা প্যাড না ভিজলে আসতে পারবেন না। অবশেষে সারাদিন পর ভাবীর পুরা প্যাড ভিজলে, তবেই তারা ভর্তি নিলেন। এবং তার কিছুক্ষণ পর ভাবীর এক ফুটফুটে মেয়ে হল।

ঘটনা ৩
এক নেপালি ছাত্রের জ্বর হয়েছে। অনেকদিন জ্বর ডাক্তার তাকে স্টুডেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করালেন। কিন্তু তার জ্বর তখন খুব খারাপ পর্যায়ে পৌছে গেছে। তাকে কাছাকাছি বড় শহরের হাসপাতালে রেফার করা হল। ৪ দিন ছেলেটিকে হাসপাতালে থাকতে হল। পাহাড় সমান বিল এল। একজন বলল, চিন্তা কর না। চ্যারিটিতে এপ্লাই কর। মাফ হয়ে যাবে। মাফ হয়েই তাকে ৫০০০ ডলার দিতে হল। প্রতি মাসে সেই বিলের কিস্তি শোধ দিতে ছেলেটির নাজেহাল অবস্থা। ওদিকে তার বাবা নেপাল থেকে তাকে ফোন করছে কিরে এ মাসে টাকা পাঠাবিনা? গত মাসেও পাঠাসনি!

ঘটনা ৪
এক বাঙালি ছাত্র একদিন ঠিক করল তার সব বন্ধু বান্ধবকে রান্না-বান্না করে খাওয়াবে। বেচারি অনেক আনন্দ নিয়ে রান্না করতে যেয়ে হাত কেটে ফেলল। ভীন দেশ, শেষে সেপটিক ফেপটিক হয় কিনা। ভয়ে সে হেলথ সেন্টারে গেল। হেলথ সেন্টারে থেকে তাকে যত্ন করে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হল। ব্যান্ডেজ শেষে বিল ধরিয়ে দেওয়া হল ১০০০ ডলার। পরে চ্যারিটিতে এপ্লাই করে সেটি মাফ হয়ে হল ২০০ ডলার।
ছেলেটি ভীষণ রেগে গেল আর বৃথাই রাগে গজ গজ করতে লাগল, এখনাকার ডাক্তার নার্সদের হাত সোনা দিয়ে বাধানো নাকি! সামান্য ব্যান্ডেজের জন্য ১৫ হাজার টাকা।

ঘটনা ৫
এক শ্রীলঙ্কান মেয়ে, তার ওভারিতে সিস্ট ধরা পড়েছে। সেমিস্টার মাঝ তখন মাঝ পথে। দেশে যাওয়ারও উপায় নেই। আমেরিকাতেই অপারেশন করা হল। বিল আসল ১৫ হাজার ডলার।

ঘটনা ৬
এক বাঙালী ছাত্রীর বাচ্চা হবে। ল্যাবার পেইন উঠেছে। ছাত্রী যন্ত্রণায় চিৎকার করছে আর তার স্বামীকে বলছে আমাকে শীঘ্রই হাসপাতালে নাও। কিন্তু ডাক্তার বলছে এখন না। সময় হলে তারা বলবে। ছাত্রীর আগেও এখানে বাচ্চা হয়েছে। ছাত্রীর স্বামী ভাবল, চিৎকার তো আগেও করেছে। বাচ্চা হওয়ার সময় এরকম তো একটু হয়ই। ডাক্তার নিশ্চয়ই ভুল বলবেন না।
ছাত্রী একসময় অসহ্য ব্যাথায় অস্থির হয়ে গেল। অবশেষে তার স্বামী ডাক্তারের পরামর্শ অগ্রাহ্য করে তাকে যখন হাসপাতালে নিল ততক্ষণে তার পেটের বাচ্চাটি মারা গেছে। আমাদের দেশে এরকম হলে আমরা হাসপাতাল ভাংচুর করি। তারা কিছুই করলেন না। ছাত্রীর অবস্থা তখন খুব খারাপ। স্বামী বেচারার তখন একমাত্র চিন্তা যে করেই হোক তার স্ত্রীকে বাঁচাতে হবে।
.
.
.
এরকম আরও অসংখ্য উদহারন দেওয়া যাবে। এবার নিজের ঘটনা বলি।
অবিবাহিত মেয়েদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হয়। অনেক সময় সেটি কোন সমস্যাই নয়, নিতান্তই স্বাভাবিক। কিন্ত মেয়েরা যেহেতু এগুলো কাউকে খুব একটা বলে না এবং তাদের নিজেরও কোন ধারনা নেই। তাই অহেতুক দুশ্চিন্তা করে। ডাক্তার কালে ভদ্রে দেখায়। ভাবে কিভাবে বলবে, কিছুটা ইম্বেরেসিং। আর দেখালে ডাক্তাররাও হাসাহাসি করে। বলে, বিয়ে হলে ঠিক হয়ে যাবে।

একবার ভাবির সাথে গল্পে গল্পে এ ব্যাপারে বলছিলাম। উনি আমাকে বললেন, তুমি স্টুডেন্ট হেলথ সেন্টারে দেখাও না কেন। এরকম সাধারন সব ‘মা ও শিশু সঙ্ক্রান্ত’ সমস্যা এখানে সব ফ্রি। ফ্রি পেলে বাঙালি আলকাতরাও খায়। আর আমি মাসে মাসে হেলথ ইনস্যুরেন্সের এত টাকা গুনছি। আমি আলকাতরা খেতে হেলথ সেন্টারে গেলাম।

এক নার্স আসলেন। অনেকক্ষণ ধরে আমার উচ্চতা ও ওজন নিলেন। যেন উচ্চতা ও ওজন থেকেই রোগ নির্ণয় করা যাবে। এবার দু ঘণ্টা ধরে কেস হিস্ট্রি নিলেন। তার কথা বার্তা শুনে প্রথমে ভেবেছিলাম উনিই ডাক্তার। পরে বুঝলাম নয়। যাই হোক সামান্য কাজে আমার বাবা-মা দাদা-নানার কেস হিস্ট্রি নেওয়া হল। অধিকাংশই ভীষণ অশালীন আর অদ্ভুত প্রশ্ন। অবলীলায় জিগ্যেস করছিলেন। আর আমি লজ্জায় লাল হচ্ছিলাম। যেমন তোমার ক জন সেক্স পার্টনার .........তোমার বাবা – মায়ের কজন ...
যাই হোক টেস্ট ফেস্ট করিয়ে আমি নাচতে নাচতে বাড়ি আসলাম। আর আমাকে জানানো হল আমার কিছুই হয়নি।

এতক্ষণ খুব নেগেটিভ কথা বলেছি এবার পজিটিভ কিছু বলি

পজিটিভ ঘটনা
আমেরিকাতে এক বাঙালী স্টুডেন্ট দম্পতি কোথাও যাচ্ছিলেন। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তারা এক্সিডেন্ট করলেন। মেয়েটি ৫ মাসের গর্ভবতী ছিল। মেয়েটির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ৫ মাসের ডেলিভারি করানো হল। মেয়েটির শরীরে করানো হল আরও কিছু মেজর অপারেশন। ৫ মাসের বাচ্চাটিই ইনকিউবেটরে বড় হতে লাগল। বাচ্চাটি এখন সুস্থ। তবে হাসপাতাল থেকে পাহাড় সমান বিল আসল। এই পাহাড় সমান বিল আর গাড়ি বাবদ তারা ইনস্যুরেন্স থেকে ভাল ক্ষতিপূরণ পেল। আর্থিক ঝামেলায় পড়তে হল না।

আমরা সবসময় আমাদের দেশের ডাক্তারদের গালিগালাজ করি। এরা বড়ই চামার, ডাকাত শ্রেণীর। মায়া দয়া নেই। ৫০০ টাকা ভিজিট রাখে। এসি নইলে ফ্যানের তলায় বসে সামান্য দুটো ওষুধের নাম লিখতে এত টাকা! আর সামান্য জ্বর হয়েছে। দুদিন পরে এমনিতেই সেরে গিয়েছে। আর ডাক্তার দিয়েছে কিনা ব্লাড টেস্ট, ইউরিন টেস্ট। মাঝখান থেকে শুধু শুধু ২০০০/৩০০০ টাকার নিরর্থক অপচয়।

তবে আমেরিকাতে আপনার একই রকম সমস্যার জন্য ২০০০/৩০০০ টাকা নয় ২০০০/৩০০০ ডলার গুনতে হবে। আপনি ভাবতে পারেন কারেন্সিরও তো বড় পার্থক্য। তুমি বেতন পাও ডলারে আর শুধু ডাক্তার বিল ডলারে দিতেই তোমার যত আপত্তি। একজন গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট এই দেশে খুব ভাল ফাণ্ড থাকলে প্রতিমাসে সাধারণত ১৫০০-২০০০ ডলার পায়। সেটার সবটাই যদি তাকে ডাক্তার বাড়ির পিছনে ব্যয় করতে হয়। তাহলে বাকি বাড়ি ভাড়া ...হেন তেন ...।

এজন্য সবাই যেটি করে। অসুখ বিসুখ করলে দেশে চলে যায়। যেমন আমার পরিচিত একজন এখন দেশে গেছেন কারন তার একটি ছোট অপারেশন করতে হবে। এই খানে যেটা ৩০০০-৮০০০ ডলারের ব্যাপার। এর থেকে অনেক কম খরচে তিনি ১৫-২০ হাজার টাকায় বাংলাদেশ থেকে সেটি করে আসতে পারেন। আর দাতের সমস্যা হলে তো কথায় নেই। দেশে যাওয়া অনেকটা অনিবার্য। কারণ এখানকার ইনস্যুরেন্স ডেন্টাল কভার করে না।

কিন্তু সবসময় তো দেশে যাওয়ার পরিস্থিতি থাকে না। আক্কেল দাত নিয়ে ঝামেলায় পড়েছি আমি। ডাক্তার বলেছে আমার দাত নাকি কান দিয়ে উঠছে মানে কানের দিকে চলে গেছে। দাত তোলা প্রয়োজন। সেমিস্টার শুরু হয়ে গেছে। দেশেও যেতে পারছি না। তাই আমি আর আমার স্বামী এখন চিপেস্ট ডেন্টাল ইনস্যুরেন্সের খোঁজে দৌড়াচ্ছি।

স্বামী বেচারার কথা একটু বলি। এখানে দাতের মত চোখ নিয়েও ঝামেলা। ইনস্যুরেন্স কভার করে না। যেটা মোটামুটি সাধ্যের বাইরে। বেচারার আবার চশমা হারানো রোগ। দেশ থেকে আসার সময় পাঁচটা চশমা বানিয়ে এনেছে। চশমার বিল দেওয়ার সময় শ্বশুর রেগে জিগ্যেস করলেন তুই চশমা কি চোখে দিস না খাস?

ও উত্তরে মুচকি হাসল। আমিও হাসলাম আর মনে মনে ভাবলাম। বাইরে থেকে এই আমেরিকার জীবন যাদের কাছে এত সুখের মনে হয়, সেই তারাই যদি জানত আমেরিকার চিকিৎসা ব্যাবস্থার কাছেই কি পরিমান অসহায় এখানকার সবাই!

আসল কথা হল কোন কিছুই নয়, দেশের মত নয়।

অনেকে হয়ত ভাবছেন, ঢং। কি যে সুখে আছো, জানি তো। পুড়ে মরার ভয় তো অন্তত নেই। তাদের জন্য সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ থেকে কটি লাইন তুলে দিচ্ছি

“দেখিলাম পোড়া মাঠ। যতদূর দিগন্তের পানে
দৃষ্টি যায়, দগ্ধ – ক্ষুদ্ধ ব্যাকুলতা শান্তি নাহি প্রাণে
ধরিত্রীর কোনখানে” ।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

আহলান বলেছেন: ভালো লাগলো ...

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪

মহান অতন্দ্র বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭

যোগী বলেছেন:
অনেক কিছু জানলাম।
অবাক ব্যাপার এখানে আমি একজন সরকারী হাসপাতালের প্রফেসর কে দেখাই তাকে প্রতি বারের জন্য পে করি বাংলাদেশী টাকায় ২৫০ টাকার মত। তবে ইনস্যুরেন্স বোধহয় বাকিটা কাভার করে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হুম ব্যয়টা অনেকটাই নির্ভর করে রোগের ধরণের উপর। আমি আমার অনেক সমস্যা বিনা পয়সায় দেখিয়েছি কারণ সেগুলো ইনস্যুরেন্সের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ যোগী। ভাল থাকবেন ।

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: দেখিলাম পোড়া মাঠ। যতদূর দিগন্তের পানে
দৃষ্টি যায়, দগ্ধ – ক্ষুদ্ধ ব্যাকুলতা শান্তি নাহি প্রাণে
ধরিত্রীর কোনখানে” ।
অনেক সুন্দর

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ :) । ভাল থাকবেন।

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: ভালো জিনিস জানলাম :) :)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হে হে হে :D :D :D

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

জেকলেট বলেছেন: পড়ে মজা পেলাম।

এ দিকে UK ভালো। মেজরিটি কেস এ ডাক্তার ফি লাগেনা। শুধু মেডিসিন ফি।

তাও আবার অনেক সময় ডাক্তার সাদা কাগজে মেডিসিনটির নাম লিখে দেয়ে। কারন ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন থাকলে আবার যে মেডিসিন ই কিনুন মিনিমাম ৪ পাউন্ডের মত দিতে হয়। তাই যে মেডিসিনের দাম ৫ পাউন্ডের কম তা ডাক্তার সাদা কাগজে লিখে দেয়ে।

ভালো ডাক্তার হলে আর কি।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হুম তাহলে তো অসুখ বিসুখ হলে ইউরোপ যেতে হয়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ভাল লাগছে।
+++

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দিশেহারা ।

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪

দীপংকর চন্দ বলেছেন: বরাবেরর মতো ভালো লাগা সাবলীলতায়।

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।

ভালো থাকবেন। অনেক।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা :)

৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: “দেখিলাম পোড়া মাঠ। যতদূর দিগন্তের পানে
দৃষ্টি যায়, দগ্ধ – ক্ষুদ্ধ ব্যাকুলতা শান্তি নাহি প্রাণে
ধরিত্রীর কোনখানে” ।


সৈয়দ মুজতবা আলী যথার্থই বলেছেন। আসলেই কোথায় শান্তি নেই। রবি ঠাকুর মনে হয় এটাই উপলব্ধি করে লিখেছিলেন,

নদীর এ পার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস,
ও পারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বস।
নদীর ও পার বসি দীর্ঘশ্বাস ছারে
কহে,যাহা কিছু সুখ সকলই ও পারে।(রবি.ঠাকুর)


ডাক্তারের এই হাসপাতাল, ডাক্তার আর নার্সেদের একই অবস্থা বিলাতেও। তবে এখানে সুবিধা আছে একটা। যদি ন্যাশনাল হেলথ ইনস্যুরেন্স করানো থাকে, তবে সব ফ্রি। বড় বড় অপারেশন থেকে ধরে ওষুধপত্র সবই ফ্রি। কিন্তু অ্যামেরিকার মতো এখানেও চোখ এবং দাঁতের কোন ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্স নাই। শুধুমাত্র অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ফ্রি। প্রাপ্ত বয়স্কদের বেলায় বিরাট টাকার খেলা। তাই কেউ যদি চোখ কিংবা দাঁতের অসুখের চিকিৎসা করাতে চান, হয় তারা দেশে চলে যান (প্রবাসী হল) আর না হয় ব্যাঙ্কক কিংবা ইন্ডিয়ায় গিয়ে চিকিৎসা করান। এমনকি যারা ব্রিটিশ তারাও একই কাজ করেন।
চিকিৎসা নিয়ে বিড়ম্বনার শিকার সব দেশেই আছে দেখা যায়। অথচ এটা মানুষের মৌলিক অধিকার।
অ্যামেরিকার ডাক্তারবাড়ি সম্বন্ধে অনেক কিছু জানতে পাড়লাম। বিড়ম্বনার ব্যাপারটা হয়তো সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু টাকার ব্যাপারে কী সবাই একই কাতারে পড়েন?
নিরন্তর শুভ কামনা রইলো মহান অতন্দ্র।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৫৬

মহান অতন্দ্র বলেছেন: টাকার ব্যাপারে কী সবাই একই কাতারে পড়েন না অবশ্যই। আমি শুধু স্টুডেন্ট কাতারের ব্যাপারে জানি। তবে শুনেছি এখানে বাচ্চাদের ব্যাপারটা যারা আমেরিকান সিটিজেন নয়, বাবা-মায়ের ইনকামের উপর নির্ভর করে।

১০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৫

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: একবার আমি এক্সিডেন্ট করে ইমারজেন্সিতে গেছি, এক্সিডেন্ট মেজর ছিল। বিকেল ৪ টায় গিয়েছিলাম। রাত ৯ টায় কোন ডাক্তার আসলো না বা কোন ধরনের টেস্ট করা হল না। পরে বিরক্ত হয়ে নিজে সাইন করে শরীরে চরম ব্যাথা নিয়ে ঘরে চলে আসছিলাম! এরপর শপথ নিছি আর জীবনেও ইমারজেন্সিতে যাব না!

আর ইন্সুরেন্সের কথা আর কি কমু, এই মেডিকেল ইন্সুরেন্সের পেইনে লাইফটা একদম ঝালাফালা। এর মধ্যে ওবামা কেয়ার হইছে মরার উপরে খাড়ার ঘা, এখন নাকি মাস্ট বি নাকি মেডিকেল ইন্সুরেন্স থাকতে হবে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৫৭

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হুম আপনার অভিজ্ঞতার সাথে মিলে যাচ্ছে অনেক অভিজ্ঞতা ।

১১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: বহুদিন পর আপনার কাছ থেকে একটা মনের মত পোস্ট পেলাম, থাংক ইউ সো মাচ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৫৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: পোস্ট টা আমার নিজের মনের মত হয় নাই। অনেক কিছু লিখতে ভুলে গেছি। পরে মনে হয়েছে। তবু আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ আশফাক।

১২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৯

ময়ূখ কিরীটি বলেছেন: মাঝে মাঝে কিছু লেখা পড়লে লেখকের ওপর এত বিরক্তি লাগে যে বলার মতো না- লেখা পড়ে খুব কষ্টও লাগে আবার স্তম্ভিতও হয়ে যাই- স্বপ্ন দেখার পথে বাস্তবতাটা ভয় দেখায় বলে :(

নিজের চোখে দেখা কিছু কাহিনির সাথে মিল পেলাম আজ.....আমার কিছু রিলেটিভ অস্ট্রেলিয়া থেকে শুধূ দাঁতের চিকিৎসার জন্যই মাঝে মধ্যে দেশে আসে- বিষয়টা প্রথমে বুঝতাম না- যথেস্ট পেইনফুল!!

কেস স্টাডিগুলো নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা ছিল - যেমন ৬ নাম্বারে মেয়েটার বাচ্চা মারা যাবার পর স্বামী কি একদমই কোন স্টেপ নিতে পারেনি ওখানে??

এখনও ইচ্ছা আছে ওদেশে পাড়ি জমাবার.....খুব জানি যে- ওদের লাইফটা খুব কঠিন- প্রবাসী ফ্রেন্ডরা বলে রোবটের মতো.....রিলেটিভরা বলে- সময়ের সাথে চলি.......ফান্ডিংয়ের ওই টাকাটাও সময়ে কত অপ্রতুল হয়ে যায় বুঝতে পারি......জানি সানডের এক টুকরো হাসিমাখা সেলফির পিছনে ফেলে আসা পুরো সপ্তাহের কত কষ্ট লুকানো আছে :|

তারপরও কষ্ট স্বীকার করে কেষ্ট মেলাতেই হয়ত সবাই যায়- না হয় সুখের ছোঁয়া একটু দেরিতেই পেলাম- কিন্তু বন্দোবস্তটাতো পাকা করা যাবে!!!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:০০

মহান অতন্দ্র বলেছেন: বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত ভ্রাতা। তবে শুধু স্বাস্থ্য সেবার কথা ভেবে আপনি নিশ্চয়ই আপনার সপ্ন গুটিয়ে নিতে পারেন না। সবকিছুরই ভাল-মন্দ দিক থাকে। আপনার সপ্ন পূরণ হোক। শুভ কামনা রইল।

১৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩১

লাশকাটা ডোম বলেছেন: দেশের ডাক্তাররা এরকম গলা কাটলে বোধহয় খুনই হয়ে যেত :p :p

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:০৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: তা অবশ্য মন্দ বলেননি। তবে আমাদের দেশের লোকের সামর্থ্যটাও ভেবে দেখতে হবে। আমার মনে হয় চিকিৎসা সব দেশেই সহজ লভ্য হওয়া উচিৎ। সরকার পিটি প্যারেডের পিছনে এত টাকা ব্যায় না করে এই খাতে ভর্তুকি দিতে পারে।

১৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:২৪

পাপা জী বলেছেন: শান্তি নাই--এত সাবধানে থাকি যেন অসুস্থ না হই বা ডাক্তার দেখাইতে/হসপিটালে না যাইতে হয়-প্রাইভেট ইন্সুরেন্স এ মাসে মাসে এত টাকা দিতেও ইচ্ছা করে নাই- হায়রে কপাল এখন আমাকে ট্যাক্স ফাইলিং এর সময় individual shared responsibility পেমেন্ট দিতে হবে-আমার ইনকামের ১% পেনাল্টি --সুস্থ থাকার জন্য !!

ওবামা এই টাকা দিয়ে irresponsible(মোস্টলি কাউলা যারা কাজ করে না, বেনিফিট এ চলে, unhealthy লাইফস্টাইল লিড করে, স্মোক/ড্রিংক করে, বালতি ভরা চিকেন ফ্রাই আর চিজ খায়) দের ইন্সুরেন্স প্রিমিয়াম subsidy দিবে --এ কেমন বিচার।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৮

মহান অতন্দ্র বলেছেন: একই অভিজ্ঞতা ভ্রাতা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১৮

কলাবাগান১ বলেছেন: @পাপাজি,

আমাদের মত রেসিস্ট বোধহয় আমেরিকার কেকেকে ও না!!! আপনি যাদের কে কাউলা বলছেন, তাদের ই একজন এখন আপনার প্রেসিডেন্ট... ওবামা কেয়ার গরীবদের স্বাস্হ্য সুবিধা দেওয়ার জন্য শুধু 'কাউলা' দের জন্য না... স্বল্প আয়ের স্টেট গুলির দিকে তাকালে, আফ্রিকান-আমেরিকান দের চেয়ে সাদা রা বেশী সাবসিডি পাচ্ছে ওবামা কেয়ারে.....

ছাত্র/ছাত্রী থাকা অবস্হায় হাসপাতালের বিল, ডাক্তার খরচ অনেক বেশী কস্ট.... স্বীকার করি কিন্তু আপনি চাকরীতে ঢুকে পড়লে সব পানির মত ই মনে হবে..। আজ ১০-১৫ বছর ধরে আমরা এখনাকার ডাক্তার/হাসপাতাল ইউজ করছি, কোন সমস্যা নাই।

কে বলল যে ডেন্টাল ইনস্যুরেন্স নাই... আজকেই আমি রুট ক্যানাল আর একটা দাতকে বাধানো শেষ করলাম (তিনবার ভিজিট করে), বিল আসল ~২০০০ ডলার কিন্তু আমি পে করলাম ৫০ ডলার (কো পে) আর আমার ইনস্যুরেন্স কাভার করবে ৭০% আর বাকী ৩০% কাবার করবে আমার স্ত্রীর ইনস্যুরেন্সে..... দেশে গিয়ে কেন দাত দেখাতে হবে?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

মহান অতন্দ্র বলেছেন: আপনি সত্যি ভাগ্যবান কলাবাগান১ যে ছাত্র অবস্থা কাটিয়ে উঠেছেন। আমি আমার মাস্টার্স ও পি এইচ ডি দুইটার কোনটিতেই স্টুডেন্ট ডেন্টাল ইনস্যুরেন্স পায়নি। আমার পরিচিত অন্য ছাত্রদেরও একই অবস্থা। প্রাইভেট ডেন্টাল ইনস্যুরেন্স ছাড়া গতি নেই।
আশা করি, এই ছাত্র অবস্থার সমাপ্তি হয়ে একটি চাকরি জুটলে আপনার মত সস্তি আমিও পাব। কারণ শুনেছি অনেক কোম্পানি থেকেই ইনস্যুরেন্স কাভার করা হয়।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:১৭

জাফরুল মবীন বলেছেন: মনোমুগ্ধতায় এক নাগাড়ে পাঠ করলাম :)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে আমিও খুব মুগ্ধ হলাম । ধন্যবাদ জাফরুল ভ্রাতা।

১৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

সোহানী বলেছেন: ভাইরে দেশের ডাক্তারদের পাল্লায় যদি পড়েন তাইলে আবার নতুন করে লিখাটা লিখতে হবে...... আমার ফ্যামিলির সবাই ডাক্তার হয়েও যে ভোগান্তি আমরা পেয়েছিল তা কোন এক সময় ব্লগে লিখেছিলাম দু:খে......

যাহোক সাবলীল লিখায় ভালো লাগা....+++++++

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২০

মহান অতন্দ্র বলেছেন: আপনার কথা অস্বীকার করছি না। তবে ভোগান্তি আসলে সব জায়গাতেই। সেই মুজতবা আলীর কথার মতন । "শান্তি নাহি প্রাণে
ধরিত্রীর কোনখানে” ।
অনেক ধন্যবাদ আপু।

১৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

তুষার কাব্য বলেছেন: “দেখিলাম পোড়া মাঠ। যতদূর দিগন্তের পানে
দৃষ্টি যায়, দগ্ধ – ক্ষুদ্ধ ব্যাকুলতা শান্তি নাহি প্রাণে
ধরিত্রীর কোনখানে” ।

বাহ শেষটা তো চমত্কার....

ভালো লাগলো অভিজ্ঞতার গল্প :)

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৫

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ তুষার কাব্য। ভাল থাকবেন।

১৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: এ ধরণের কিছু আগেও জানা ছিলো। আপনার লেখায় জানার পরিধিটা বিস্তৃত হলো। শুভকামনা।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৭

মহান অতন্দ্র বলেছেন: আমি আপনার লেখার একনিষ্ঠ ভক্ত। আপনার লেখা বরাবর আমাকে ছুঁয়ে যায়। বল্গে আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগলো হাসান ভাই।

২০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: অনেক কিছু জানাবার প্রয়াস।

শুভেচ্ছা রইলো।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৮

মহান অতন্দ্র বলেছেন: শুভেচ্ছা আপনাকেও ভ্রাতা। ভাল থাকবেন।

২১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৫৬

অন্তরন্তর বলেছেন: খুব সুন্দর করে এমেরিকার চিকিৎসা বা হাসপাতাল সারভিচ সম্পর্কে লিখেছেন। একবার
নিউ ইয়র্কে বেড়াতে গিয়েছিলাম তখন এই সম্পর্কে জেনে এসেছিলাম। যেহেতু আমি
অনেকদিন ইংল্যান্ড থাকি তাই বলতে পারি চিকিৎসা বা ডাক্তার অথবা হাসপাতাল এখানের
মত আর কোন দেশে নাই( টাকা ছাড়া)। হা আসলেই টাকা ছাড়া। একজন স্টুডেন্ট এন আই
নাম্বার পেলেই তার ডাক্তার ফ্রি এমনকি হাসপাতালে যে কোন রোগের জন্য যদি আপনাকে
২/৩ মাসও থাকতে হয়। এন আই নাম্বার স্টুডেন্টদের পাওয়া কঠিন না।
২০/২৪ বছর আগে যেই সুন্দর বা ভাল সারভিচ ছিল সেটা হয়ত এখন নেই। তার বিভিন্ন কারন আছে। মানুষ অনেক বেড়েছে, অর্থনীতি বেশ খারাপ তাই সরকারের পক্ষে যতটুকু
ফান্ড দেবার ছিল তা দিতে পারছে না। কিন্তু তাই বলে আমরা আসলেই খুব ভাল চিকিৎসা
পাচ্ছি। আমি স্টুডেন্ট না। আসলে যারা কাজ করছে তাদের বেতন থেকে একটা ট্যাক্স সরকারের কাছে চলে যাচ্ছে। এই ট্যাক্স থেকে কিছু টাকা চিকিৎসা ক্ষেত্রে খরচ করছে এবং প্রতি বছর তাদের এন আই বাজেট বিরাট। আমাদের দেশের জন্য এতা চিন্তাও করা যায় না।
আমার ছোট্ট একটা ঘটনা বলে শেষ করছি। আমার শরীর খারাপের জন্য আমি প্রায় দুই বছর
কাজ করতে পারছি না। চারটা অপেরাসন হল এই পর্যন্ত। তারউপর অন্যান্য ডাক্তার বা কেয়ারার তো আছেই। আমি যদি বাংলাদেশে এই চিকিৎসা করতাম বা এতবার ডাক্তার, হাসপাতাল অথবা অন্যান্য শুধু চিকিৎসার জন্য যা পেয়েছি তা করতে যেতাম তাহলে এক
কোটি টাকা দিয়েও হত না। আমার মনে হয় না যে ২২ বছর এই দেশে কাজ করে আমি এত
টাকা ট্যাক্স দিয়েছি। এই দেশে যারা স্থায়ীভাবে বাস করে তাদের কাজ করলে ট্যাক্স দিতে হচ্ছে আর কাজ না থাকলে আপনার জন্য সবই ফ্রি। জানিনা এই অবস্থা আর কতদিন চলবে।
ভাল থাকুন। শুভ কামনা। অনেক বড় মন্তব্য দিলাম বলে দুঃখিত।

২২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানা হল। তবে আপনিও তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন সেই শুভ কামনা রইল।

২৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১১

তাশমিন নূর বলেছেন: আমার সব অভিজ্ঞতা দেশের ডাক্তারবাড়িতেই। তাই আমেরিকার ডাক্তারবাড়ি নিয়ে মন্তব্য করার সুযোগ নেই। নেগেটিভ অভিজ্ঞতাগুলো পড়ার সময় হাসব, না কাঁদব, বুঝতে পারছিলাম না। যাই হোক, শেষে কলাবাগান আর মন্তব্য পড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলিলাম। :) :P



ভালো থাকবেন।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ । :)

২৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ১০ প্লাস। অনেক কিছু জানতে পারলাম আপু আপনার লেখাটা পড়ে । খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৫১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ও আপু । অনেক অনেক ভাল থাকবেন।

২৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

আদম_ বলেছেন: “দেখিলাম পোড়া মাঠ। যতদূর দিগন্তের পানে
দৃষ্টি যায়, দগ্ধ – ক্ষুদ্ধ ব্যাকুলতা শান্তি নাহি প্রাণে
ধরিত্রীর কোনখানে”
শুধুমাত্র মন্তব্য করার জন্য লগইন কর্লাম। অতীব চমতকার লেখা।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৫২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভ্রাতা। ভাল থাকা হোক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.