নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্তর মম বিকশিত করো/ অন্তরতর হে/ নির্মল করো, উজ্জ্বল করো,/ সুন্দর কর হে

মহান অতন্দ্র

কবিতার মত মেয়ে

মহান অতন্দ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

তৃষ্ণার ফেব্রুয়ারি

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১১

আমার একটা পরিচিত মহল আছে। আর সবার যেমন থাকে। সেই মহলে অনেকটা উন্মাদিনী হিসেবেই আমাকে সবাই চেনে। আমি যখন স্কুলে পড়তাম ক্লাসের সবচেয়ে দুরন্তদের মধ্যে আমিও একজন ছিলাম । কিন্তু একটা সময় পর যখন হরমোনেরা ধেয়ে আসছিল, একেবারে বদলে গিয়েছিলাম আমি।



স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় কখনও প্রথম হওয়া হয়নি আমার। বড় বোন হয়েছিল। আমার বাবা যিনি সাড়ে ১৫ বছর বয়সে যুদ্ধে গিয়েছিলেন আমার প্রথম না হওয়ার ব্যাপারটা একেবারেই মানতে পারেননি।



আমার বাবা-মায়ের সংসারটা ছিল খুব অদ্ভুত। সেখানে সবাই এরকম মুখাবয়ব নিয়ে থাকত, যেন বাকিদের প্রতি তার কোন অনুভূতি নেই। বরং বলা যায় সে যেন বেশ বিরক্তই। আমার ধারনা ছিল পরিবারের সবচেয়ে বিরক্তিকর অপাংক্তেয় সদস্যটা আমিই। তার একটা কারণ ছিল। একটা বিরক্তিকর কাজ আমি প্রায়ই করতাম। লুকিয়ে লুকিয়ে বাড়ির লোকদের ডায়রি পড়ে ফেলতাম।



আমার বাবা, তার যুদ্ধের সময়কার ডায়রিতে লিখেছিলেন যুদ্ধের ট্রেনিং এর সময় তিনি নিয়মিত ট্রেনিং করতেন এবং ট্রেনিং শেষে প্রতিদিন সন্ধ্যায়, ক্যাম্পের দেয়াল টপকে ওপারের শাড়ি পরা বিহারী মেয়েদের নিয়ম করে দেখতেন। সেইসব বিহারী মেয়েদের দেখলে তার ট্রেনিঙের ক্লান্তি, যুদ্ধের ঝক্কি অনেকটা যেন কেটে যেত। এরকম একটা ডায়রি পড়ে খুব অবাক হয়েছিলাম আমি। যেন এক অচেনা বাবাকে চিনেছিলাম সেদিন।



বাবাকে সবসসময় প্রচণ্ড রগচটা, একরোখা আর ভয়ংকর মানুষ হিসেবেই আমরা চিনতাম। পরিবারের সকলেই তাকে খুব ভয় পেতাম। বাবা আসার শব্দ পেলেই আমরা যে যেখানেই থাকতাম হাতে বই নিয়ে বসে পড়তাম। বই হাতে ছাড়া বাবা- আমাদেরকে কখনই দেখতেন না। তবু কেন স্কুলের পরীক্ষা গুলোয় প্রথম হতাম না। কিছুতেই বাবার বোধগম্য হত না।



আমার বাবা, যিনি তখনকার ম্যাট্রিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে দুটি লেটার পেয়েও ডাক্তার- ইঞ্জিনিয়ার হতে পারেননি, বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম তার বড় সন্তানটিকে ডাক্তার- ইঞ্জিনিয়ার করতে পারেননি যেন একটা দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে বসলেন। এইবার তিনি করেই ছাড়বেন।



আমিও হয়েছিলাম কিছুটা। তবে তাদের মনের মত করে নয়। অনেকটা ঠিক একারনেই পরিবারের সাথে ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়ছিল আমার। একসময় আমি আবিস্কার করলাম এই দুরে যেতে যেতে দুরত্ত্ব অতিক্রম করতে না পারা এক ভয়ংকর নিঃসঙ্গ মানুষ হয়ে গেছি আমি।



আমার সত্যিকার অর্থে কোনদিন সই টাইপ কোন বন্ধু ছিল না। উচ্চমাধ্যমিকে অসুস্থ হবার পর থেকে আমার একমাত্র বন্ধু ছিলাম আমিই । আমার বাবা-মা কেউ আমার অসুস্থ হবার কথা প্রথম দিকে জানতেন না। কারন আমি জানতাম তারা ধরে নিবেন লেখাপড়া থেকে রেহাই পাবার এ এক চমৎকার যুতসই ছুতো।



যখন একদম সুস্থ হয়ে গেলাম, আমার মা যিনি তার জীবনের অধিকাংশ সময় আমাকে বকাঝকা করে কাটিয়েছেন এক বছর প্রতি বৃহস্পতিবার – শুক্রবার রোজা রাখলেন। আর আমাকে বললেন তুমি যে অসুস্থ হয়েছিলে কখনও কাউকে বলবে না। কারণটা না বললেও আমি এর কারণ সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত ছিলাম। আমার মা ভয় পেয়েছিলেন এতে আমার বিয়ে নিয়ে ঝামেলা হতে পারে। আমি আমার মায়ের কথা রাখিনি। প্রচণ্ড ভালবাসবে বলে একজন মানুষ প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার দরজায় যেদিন কড়া নাড়ল, আমি সেদিনই তাকে সবটা বলে দিয়েছিলাম।



যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম আমি, দোতলায় একটা রুম পেয়েছিলাম । রুমটার নাম ছিল বাতায়ন। দক্ষিণ মুখী রুমটার বড় একটা বাতায়নের পাশে থাকার ব্যাবস্থা হয়েছিল আমার। আমার রুমমেটরা অধিকাংশ সময় ছিল স্থানীয়। মাঝেই মাঝেই রুম খালি থাকতো। তবে একেবারেই খালি নয়। আমি দু একটা আরশোলা আর দেয়ালের এক – দুই ধেড়ে টিকটিকি।



মাঝে মাঝে হলের হুলো বিড়ালটা দরজার ফাঁকি দিয়ে আমাকে দেখে যেত আমি কেমন আছি। হুলোটা আমাকে ভালবাসত কিনা জানি না তবে একদিন তাকে দেখে প্রচণ্ড ভয়ই পেয়েছিলাম। সেবারের সামারের ছুটিতে সবাই বাড়িতে গেলেও আর সব ছুটির মত হলে থেকে গিয়েছিলাম আমি । যদিও ছুটিতে বাড়িতে গেলে আমার খুব ভাল লাগত।



আমার ভাই- বোনের সাথে আমার বয়সের পার্থক্য ১১-১৪ বছর। তবু তাদের সাথে সব খেলাই খেলতাম আমি । আমরা পুতুলের পেট কাটতাম। সেখানে মুরগীর ডিম ঢুকিয়ে আবার সেলাই করে দিতাম। আমার ভাই-বোন এতে খুব খুশি হত। ওরা ভাবত এখনি নিশ্চয়ই পুতুলটার ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোবে । কিন্তু বাচ্চা বেরোবার আগেই আমার মা এসে, আমার দু ভাই-বোনকে দু চড় বসিয়ে, সেই ডিম বের করে ভেজে, সকালের নাস্তায় আমাদেরকে খেতে দিতেন।



আমাকে মা চড় মারতেন না। আমার জন্য সারাদিন থাকত বিরামহীন কটু বাক্য বর্ষণ। আমার এরকম অদ্ভুত শিশুতোষ আচরণে বিরক্ত হয়ে মাঝে মাঝে বলতেন তুই আর বাড়ি আসবি না। আমি মায়ের এই কথাটা রেখেছিলাম। ঈদের ছুটি ছাড়া সাধারণত বাড়ি যেতাম না।



এরকম এক ছুটিতে রুমের দরজা খুলেছি আর ঠিক তখনই হুলোটা নিষ্ঠুর ভাবে আমার উপর ঝাপিয়ে পড়তে চাইল। আমি সেদিন সারাদিন ভয়ে রুম থেকে বেরোতে পারিনি। বাতায়নটার পাশে নিঃসঙ্গ ক্ষুধার্ত সময় কেটেছিল আমার। আমি জানি ছুটি হয়ে যাওয়া হলটাতে সেদিন খুব খিদে পেয়েছিল হুলোটার।



আমারও যেন এক মন খারাপ করা খিদে পেত সবসময়। এরকম খিদে পেলে আমি বেরিয়ে পড়তাম। বৃষ্টির দিনগুলোতে সবচেয়ে বেশি খিদে পেত আমার। আমি ছাতা নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম। ক্যাম্পাসের সবচেয়ে নির্জন জায়গাগুলোয় হাঁটতাম। খুব রোদ্দুরের দিনেও আমি বেরোতাম। পুকুর পাড়, মেডিক্যাল সেন্টার আর স্টাফ কোয়ার্টারের নির্জন জায়গাগুলোয় হাঁটতাম।



অনেকেই আমার হাঁটাহাঁটির কথা জানত। আমাকে উন্মাদিনী বলত। আমাকে নিয়ে খুব হাসাহাসি করত। আমার এই নিঃসঙ্গতা নিয়ে উপহাস করত। আমি ওদের উপহাসে ক্লান্ত হলে মাঝে মাঝে আমি যে নিঃসঙ্গ নয় এরকম একটা অভিনয় করতাম। কিন্তু সে অভিনয়ের সবটাই যেন ওরা ধরে ফেলত। প্রকৌশলের পাঠশালায় পড়ার কারনে আমার সহপাঠীদের প্রায় সকলেই ছিল পুরুষ। আমার পুরুষ সহপাঠীদের হাসাহাসির আর একটি বিষয় ছিল আমার লেখা কবিতাগুলো।



আমার কবিতায় আমি কোনদিন রম্য কিছু লিখিনি। ভয়ঙ্কর বিষণ্ণ ছিল সে সব কবিতা। একটা বন্ধু পাবার ভীষণ আকুতির কথা থাকত সেখানে। তবুও ওরা কেন জানি হাসত। একবার ওদের একজন আমাকে নিয়ে তার সাথে ডেটিং এর গুজব ছড়িয়ে দিল। যদিও তার সাথে ২ মিনিট এক সাথে দাড়িয়েও কথা বলিনি কোনোদিন।



ক্লাসে সবসময় আমি আর ‘ক’ একসাথে বসতাম। ‘ক’ ই আমাকে বুদ্ধি দিয়েছিল এরকম অন্যায়ের নিশ্চয় প্রতিবাদ হওয়া দরকার। ক্লাসের সবার সামনে আমি সেদিন প্রতিবাদ করেছিলাম। সবাই যেন খুব অবাক হয়ে সেদিন আমাকে দেখছিল। আমার প্রতিবাদের ভাষা ‘ক’ আগেই ঠিক করে দিয়েছিল। আমি পুরোটা বলেই ‘ক’ এর কাছে এসে ভয়ঙ্করভাবে কাঁপছিলাম । আমার কাপাকাপি আরও বেড়েছিল যখন ক্লাস শেষে চারটি ছেলে আমাকে ভয়ংকর ভাবে শাসিয়েছিল অপমানের শোধ নেবার জন্য।

কি ভয়ংকর অসহায় ছিলাম আমি সেদিন। আমি ওদের ক্ষমা করে দিয়েছিলাম। আমি জানতাম এ শাসানি ওদের ফুটন্ত রক্তের টগবগানি ছাড়া আর কিছুই নয় । বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষে সবাই খুব শীতল হয়ে গিয়েছিল। সবাই সবার প্রতি ভয়ংকর এক ভালবাসা নিয়ে দূরে সরে গিয়েছিল। আর ঐ ছেলেটি প্রচণ্ড ভালবেসে আমারই এক সহপাঠীকে বিয়ে করেছিল।



আমার তখন চলছিল এক ভয়ংকর শীতল নিষঙ্গ জীবন। সেই জীবনে অসখ্যংবার ভীষণ অসহায় হয়ে ছিলাম আমি। আমার সেই অসহায় সময় গুলোতে অনেক ফেব্রুয়ারি এসেছিলো। সেইসব ফেব্রুয়ারিতে এক অদ্ভুত তৃষ্ণা পেত আমার। আমার তৃষ্ণা আরও বেড়ে যেত যখন পরিপুষ্ট তরুণীরা বাসন্তী শাড়ি পরে রাস্তায় হাঁটত। সবল প্রেমিকেরা ইট সুরকির রাজপথ মখমল গোলাপে ঢেকে দিত। আমি কোনদিন কাউকে আমার তৃষ্ণার কথা বলিনি। আর ওরাও আমাকে ‘যার তৃষ্ণা পায়না’ এরকম লোক বলেই জানত। কিন্তু ভিতরে ভিতরে এক ভয়ঙ্কর নিঃসঙ্গ তৃষ্ণার্ত হয়ে উঠছিলাম আমি। আমার নিঃসঙ্গতারা ক্রমে ক্রমে আরও বাড়ছিল।



নিঃসঙ্গ হতে হতে একসময় এই নিঃসঙ্গতাকেই ভালবাসে ফেললাম আমি। আরও নিঃসঙ্গ হতে সবাইকে ছেড়ে দূরে কোথাও হারিয়ে যাব বলে ছোটবেলায় যেরকম ভেবেছিলাম, তাই করলাম আমি।



আমি হারালাম। অচেনা নিঃসঙ্গ রাস্তায় একা হাঁটতে লাগলাম। আমার নিঃসঙ্গ রাস্তার বাকে এক যুবক পথিকের সাথে দেখা হয়ে গেল।

যুবক জানালো, যুবকও আমার সাথে হাঁটতে চায়। আমি চাইলেই তার সঙ্গী হতে পারি। ঠিক কবিতায় যেরকম লিখেছিলাম সেরকম সঙ্গী। আমি যুবককে বলেছিলাম আমাকে যে লোকে উন্মাদিনী বলে। উন্মাদদের সঙ্গ তো নিরাপদ নয়। যুবক আমাকে আশ্বস্ত করেছিল। সে আমাকে বলেছিল পৃথিবীর সকলেই উন্মাদ। যারা আমাকে উন্মাদ বলেছিল ওরাও নাকি আমার মতই উন্মাদ ছিল। ওদের কেউ কেউ অসহায় ছিল। কেউ কেউ ভয়াবহ নিঃসঙ্গ ছিল, সবার মাঝেও ভীষণ একা ছিল। তবে সকলেই উন্মাদ ছিল।



যুবক জানিয়েছিল সে নিজেও একজন উন্মাদ পথিক। বলেই সে উন্মত্তভাবে আমার হাত ধরেছিল সেদিন।



তারপর থেকে সেই উন্মাদ পথিকের সাথে হাঁটছি আমি।

তার সাথে আমার এবার কাটছে প্রথম ফেব্রুয়ারি। তৃষ্ণার ফেব্রুয়ারি।



*** লেখাটা দুদিন আগে লেখা।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৮

আবু শাকিল বলেছেন: এখানে মজা পেয়েছি

" পুতুলের পেট কাটতাম। সেখানে মুরগীর ডিম ঢুকিয়ে আবার সেলাই করে দিতাম। আমার ভাই-বোন এতে খুব খুশি হত। ওরা ভাবত এখনি নিশ্চয়ই পুতুলটার ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোবে । কিন্তু বাচ্চা বেরোবার আগেই আমার মা এসে, আমার দু ভাই-বোনকে দু চড় বসিয়ে, সেই ডিম বের করে ভেজে, সকালের নাস্তায় আমাদেরকে খেতে দিতেন।

সুখে কাটুক আপনাদের জীবন।
ভাল থাকবেন।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। ভাল থাকবেন।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

বেগুনী ক্রেয়ন বলেছেন: আরে! আপনার সাথে আমার অনেক মিল তো!

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হুম সবার সাথেই সবার আসলে অনেক মিল থাকে। তবুও আমরা সবাই নিজেদের আলাদা ভাবতে ভালবাসি। কি অদ্ভুত ব্যাপার তাইনা।

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৬

কলমের কালি শেষ বলেছেন: সুন্দর সমাপ্তি । শুভ কামনা রইল....

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫০

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হুম ।

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপনা।
ভালো লাগল।
+++

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: উন্মাদ আর উন্মাদিনীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। ফেব্রুয়ারি মাসে নিশ্চয়ই আপনাকে ভালোবাসার তৃষ্ণায় পেয়েছিল। উন্মাদ যুবকটি সেই তৃষ্ণা মিটিয়ে দিয়েছে। যুবকের হাত ধরে এক বছর কাটিয়ে দিয়েছেন। এখানেও অভিনন্দন রইলো। ভালোবাসা দিবসে দু'জন নূতন করে এক বছর আগের তৃষ্ণা অনুভব করুন আর পরস্পরকে ভালবাসুন এই কামনাই করছি। আপনাদের যুগলবন্দী আমৃত্যু যুগল থাক, এটাই প্রত্যাশা। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো মহান অতন্দ্র।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:০৪

মহান অতন্দ্র বলেছেন: শুভ কামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১৩

জাফরুল মবীন বলেছেন: আমি আপনার ডায়েরি পড়ার ভক্ত সেটা হয়তো জানেন।তবে আজকের ব্যক্ত কথাগুলো পড়তে গিয়ে মনটা বেশ ভার হয়ে গিয়েছিল।যদিও সেটা শেষাংশে এসে অনেকটাই উবে গেছে আপনার স্বপ্নের মানুষের সাথে আপনার বাস্তব বিচরণের কথা জেনে।

শুভ হোক আপনাদের পথচলা;ভালবাসার পাগলামিতে কেটে যাক সারাটিজীবন-এ শুভ কামনা রইলো।

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জাফরুল ভাই। আপনার ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করলাম।

৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আপনার লেখাটা দ্বিতীয় বার পড়ে একটা কথা বলতে ইচ্ছা করলল

আপনি অতীতের কথা বলেছেন আমি বর্তমানের কথা বলছি

আমার কোন বন্ধু নেই। যদিও অতীতে ছিল অসংখ্য।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: আপনার অনেক বন্ধু হোক। একাকীত্ব কেটে যাক সেই কামনা থাকল। তবে আমার যে এখন বন্ধু হয়েছে তা নয়। শুধু একজন প্রয়োজনীয় বন্ধু আমি পেয়েছি। একা থাকার মধ্যে একটা ভাল লাগা আছে। আমার ভালও লাগে একা থাকতে।

ভাল থাকবেন।

৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: একা লাগার মধ্যে ভালোলাগা আছে ঠিকই
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেই ভালোলাগা ক্রমশই যন্ত্রণাময় হয়ে ওঠে।

তীব্র যন্ত্রণাকর। :(

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: দুখের পরে সুখ আসে বলেই জানি। ধৈর্য ধরুন ভ্রাতা। অনেক শুভ কামনা।

১০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বিষণ্ণ কথকতা ...
আপনাদের তৃষ্ণার্ত ফেব্রুয়ারির জন্য শুভ কামনা :)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ আপু । ভাল থাকবেন ।

১১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

তুষার কাব্য বলেছেন: তৃষ্ণার ফেব্রুয়ারি আনন্দময় হয়ে উঠুক ।নিরন্তর শুভ কামনা রইলো উন্মাদ উন্মাদিনী দু'জনের জন্যই ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ তুষার কাব্য । ভাল থাকবেন ।

১২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০১

তাশমিন নূর বলেছেন: দুজনের জন্যই শুভকামনা। নির্বিঘ্নে কেটে যাক জীবনের অনেক ফেব্রুয়ারি।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ তাশমিন।

১৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৫৩

অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: একা থাকার মধ্যে অন্যরকম মজা আছে । আমি একা থাকতে পছন্দ করি । তবে আমার বউ এই কথা শুনলে খবর আছে ।
তন্দ্রা আপা আপনার জন্য শুভ কামনা সবসময়।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩০

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হা হা হা । শুভ কামনা আপনার জন্যও ।

১৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাটা স্পর্শ করলো। হারিয়ে গিয়েছিলাম একজন একাকীর বিষাদযাপনে। শুভেচ্ছা রইলো।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: শুভেচ্ছার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া । ভাল থাকবেন।

১৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

যোগী বলেছেন:
ব্যাপারটা দারুন আপনার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা।

শুভ হোক আপনার তৃষ্ণার ফেব্রুয়ারি।
হুমম অনেক কাল আপনাকে একা থাকতে হয়েছে, তা সেই সময় ব্লগে আসলেই পারতেন। কিডিং B-)

ভালো কথা আপনার কবিতা কী আমরা পড়েছি?

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২৮

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ব্লগে আছে দুই একটা। পড়েছেন কিনা জানি না। সেই সময় আমি খুব বোকা ছিলাম। আমার ধারণা ছিল খুব জ্ঞানী গুণী লোকেরাই ব্লগিং করে। শুভ কামনার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৬

ময়ূখ কিরীটি বলেছেন: নি:সঙ্গতা বেশ উপভোগ করেছেন জীবন দিয়ে- এটা জানেন যে জীবনে একা থাকার মজাটুকু বুঝতে পেরেছে তার কাছে দুনিয়ার সব ভালোবাসাই নগণ্য :|

আপনার মতো আমিও একা থাকাকে খুব উপভোগ করি- হয়তো তৃষ্ণার্ত আমিও হই, হয়তো অনাচারী হয়ে ওঠে মন, হয়তো চিন্তাগুলোও অনেক বদলে যায়......তারপরও জীবনকে অন্যরকম একটা দিক থেকে দেখতে শিখেছি। চেষ্টা করছি নিজেকে আবার মূল স্রোতে নিয়ে আসার......তবে আমার সেই আমিকে কখনো হারাব না- অন্তর থেকে যাকে চিনেছি এতটা সময় জুড়ে। নিজেকে মাঝে মাঝে বিশেষ সাইকোলজিষ্টও মনে হয় এসব কারণে :)

তৃষ্ণার্ত হৃদয়গুলো তৃপ্ত হোক.......আপনার অনুভূতির বয়ানটা অসাধারণ, নিখুঁত আর প্রাণবন্ত লেগেছে!!!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩৬

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ময়ূখ কিরীটি। আপনার তৃষ্ণার্ত হৃদয়ও তৃপ্ত হোক। সেই কামনা থাকলো।

১৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩৫

নিলু বলেছেন: ভালো , লিখে যান

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩৬

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ নিলু।

১৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

আরমিন বলেছেন: বেলা শেষে আমরা সবাই একা!
আপনার নিঃসঙ্গতার সময়টা কেটে গেছে জেনে ভালো লাগছে, শুভকামনা আপনাদের জন্য !

লেখায় অনেক অনেক ভালোলাগা !

চার নাম্বার প্লাসটা আমি দিয়ে গেলাম। :)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১০

মহান অতন্দ্র বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো আপু। ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।

১৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯

আদম_ বলেছেন: এত সুন্দর লেখা। আপনি জাত সাহিত্যিক। লিখে যান।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৪৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: কি যে বলেন ভাই । তবুও ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.