নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্তর মম বিকশিত করো/ অন্তরতর হে/ নির্মল করো, উজ্জ্বল করো,/ সুন্দর কর হে

মহান অতন্দ্র

কবিতার মত মেয়ে

মহান অতন্দ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইবুড়ো মেয়ে

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

আইবুড়ো মেয়ে অনেকটা বাসি খাবারের মত। খাবার বাসি হলে লোকে যেমন ভীষণ ভাবে, এত খাবার শুধু শুধু নষ্ট হবে, একটা বিহিত যদি করা যেত। বাসি ভাত আছে, আচ্ছা তেল মরিচ দিয়ে ভেজে ফেল, তরকারী আছে গরম দিয়ে ফেল। ভাজা হলে, খাওয়া গেলে লোকের স্বস্তি আর তা না হলে যতক্ষণ না বিহিত হচ্ছে লোকের ভারী চিন্তা। এত মজার খাবার যদি টাটকা টাটকা খাওয়া যেত। এই টাটকা টাটকা খাওয়া মানে অল্প বয়সে মেয়েটির বিয়ে হয়ে যাওয়া।

আইবুড়ো মেয়ে বলতে সমাজে বাস করে আমি এটাই বুঝেছি। বিয়ের আগে আমি অনেকদিন আইবুড়ো ছিলাম। বিয়ের পর যখন দেখলাম এই তোমার কবে গতি হবে এই নিয়ে লোকে ভাবছেনা, ব্যাচেলররা আমাকে নিয়ে আড়ালে অশ্লীল রসিকতা করছে না, বিবাহিত সুখী পুরুষেরা গায়ের একটু কাছে সরে এসে গলা খাদে নামিয়ে কথা বলছে না, তখন আমি বুঝলাম তাহলে আমি বোধ হয় আর আইবুড়ো নেই। একটা স্বামী থাকার কারনে বুড়ো শব্দটা যেহেতু আমার ঘাড় থেকে নেমে গেছে, তাহলে নিশ্চয়ই আমি ধীরে ধীরে আবার তরুণী হয়ে উঠছি।

আমার আইবুড়ো বয়সটা কবে থেকে শুরু হয়েছিল ঠিক মনে নেই। তবে পাস করার পর থেকে এই শব্দটা আমাকে ঘন ঘন শুনতে হত। আমার সাথে যে ছেলেগুলো বেরিয়েছিল তারা এসব শুনত না। আমার চেয়ে যারা বছর পাঁচ-সাতের বড় এমনকি তারাও শুনত না। কারন তারা ছেলে, নিজের পায়ে দাঁড়াবে, স্বনির্ভর হবে, এজন্য সময় লাগবে। এটাই যেন স্বাভাবিক। তবে আমি যেহেতু মেয়ে, আমার জন্য এটি স্বাভাবিক নয়। আমি দাঁড়াবো অন্যের পায়ে, স্বনির্ভর হবার জন্য যে সময়ের প্রয়োজন তার দরকার আমার নেই। পরনির্ভর হলেও আমার বেশ চলবে। স্বামীর ঘাড়ে চড়ব আর দুটাকার সুচ কিনতেও করুন চোখে হাত পাতব।

অথচ দু’কলম লেখাপড়া যা শিখেছি, ছেলেগুলোর মতই তো শিখেছি আমি। এমন তো নয়, ছেলেগুলোর চেয়ে মেয়ে বলে ক’নম্বরের বেশি সুবিধা আমাকে দেওয়া হয়েছে। ওরা ঘাড় গুঁজে পড়লে ঘাড় আমিও গুঁজেছি, ওরা সারাদিন স্কুল কোচিং করলে আমিও করেছি। তবে ওদের কেন স্বনির্ভর হবার প্রয়োজন। একই লেখাপড়া করে আমার কেন সে প্রয়োজন নেই! তাহলে বোধ হয় একটা ভাল বর জোটাতেই আমার এই লেখাপড়া। আর তা যদি নাই হয় পাস করার আগে থেকেই সারাক্ষন লোকে এত বিয়ে বিয়ে করত না, আমার আত্মীয় নয় স্বজন নয়, তবুও কবে আমার বিয়ে, এই ভেবে মাথার চুল ছিঁড়ত না। ব্যাপারটা তাহলে এই; তুমি যদি ডাক্তার হও, নিশ্চিত ডাক্তার জুটবে, ইঞ্জিনিয়ার হলে ইঞ্জিনিয়ার জুটবে। ইউনিভার্সিটি গ্রাজুয়েট হও গুণী পাত্র জুটবে। আর যদি কিছুই না হও, তবুও জুটবে। তবে সে জোটায় অনিশ্চয়তা আছে। সেই অনিশ্চয়তা কাটাতেই এতদিনের লেখাপড়া। এইম ইন লাইফ রচনায় অমুক তমুক হতে চাই কথাটাও শুধু শুধু লিখেছি। বরং সেখানে লেখা উচিৎ ছিল আমার জীবনের লক্ষ্য অল্প বয়সে একটি ভাল বিয়ে হওয়া।

অনেকে যুক্তি খণ্ডনে বসবে বিয়ে করেও তো পড়া যায়, চাকরি করা যায়। হুম সে তো যায়ই, তবে আমার সংসারের কাজ, রান্নাঘরের কাজগুলো কে করবে। স্বামীকে পানির গ্লাসটা কে এগিয়ে দেবে। ভাল মেহমানদারি করে কে সংসারের মুখ উজ্জ্বল করবে। সমাজের নিয়মে সংসারের পাতিলের কালি যদি আমাকেই তুলতে হয়, তবে আমাকে আর একটু সময় দাও। একটু ক্যারিয়ারটা গুছাতে দাও। ঝকঝকে অফিসের চেয়ারে বসে দু’ একটা ফাইল আমাকেও সাইন করতে দাও। আমাদের ক্লাসের ‘ক’ এর মায়ের মত ঢাকা মেডিক্যাল থেকে পড়ে হাউজয়াইফ হতে তো আমি চাই না। আর আমার জীবন দর্শন অন্যের সাথে না মিলতেও পারে। পছন্দের সঙ্গী চাইলেই তৎক্ষণাৎ সেটাও না মিলতে পারে। আর বিয়ের কি এমনই বা দেরী হয়েছে আমার। মেয়েদের আর কত অল্প বয়সে বিয়ে হতে হয়। এখন তো সবাই পাস করে বাইশে-তেইশে। এ দেশে যখন পড়তে এসেছি তখন তো পঁচিশও হয়নি।

যখন দেশে ছিলাম, পাস করার পর নিজের টাকাই খেয়েছি পরেছি। তবুও যতদিন বিয়ে না হয়েছিল নিজের বাবা-মায়ের অভিব্যাক্তি এমন ছিল যেন তাদের ঘাড়ে চেপে বসেছি আমি। তারপর বিয়েটা হল। তারা স্বস্তি পেল, যেন তাদের ঘাড় থেকে নেমে আমি স্বামীর ঘাড়ে উঠলাম। তাদেরকে আমি দোষ দিচ্ছি না। দুশ্চিন্তারা আসতেই পারে। কিন্তু অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা মাঝেই মাঝেই প্রচণ্ড বিরক্তিকর, সেইসাথে বিব্রতকর তো বটেই। এ দেশে যখন প্রথম পড়তে এলাম, সবাই একটা বিরাট হা করল যেন আমিই নারী কলম্বাস, যে এ দেশে প্রথম একা এসেছি। আমি অন্তত বারোটি মেয়েকে চিনি যারা দেশের বাইরে একা একা পড়তে এসেছে। আর একা আসলে কি হয়? আমাদের দেশের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপত্তা এই দেশে আছে। না কিছুই হয় না, তবুও তো স্বামী সাথে নেই, বিপদে আপদে চেপে বসার জন্য স্বামীর মজবুত ঘাড় নেই। এ দেশে এসে ভাবলাম এখানকার বাঙালীরা বুঝি আলাদা। কিন্তু ঢেঁকি তো স্বর্গেও ধান ভানে।

দেশ বলতে এখানে শুধু বাঙালিদের সাথে আড্ডা। সেখানেও দেখি একই প্রশ্ন। অনেকের তো বদ্ধ মুল ধারনাই ছিল, ছেলে পাওয়া যাচ্ছে না। কোন ছেলেই আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে না এবং সার কথা বিবাহের জন্য একটি ছেলে পাবার যোগ্যতাও আমার নেই। ছেলে পাওয়া যাচ্ছিল না, এ কথা অবশ্য সত্যিই ঠিক। যার সাথে আমার কথা বলে আরাম হবে, শুয়ে আরাম হবে, বসে আরাম হবে, খিলখিলিয়ে আরাম হবে বলে আমি মনে করি ঠিক সেই ছেলেটি পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেককে পাওয়া যাচ্ছিল, নর্থ আমেরিকাতেই থাকত তারা। এদের অনেকে আমার জন্য দেবদাস হবে বলে পরবর্তীতে ছেলের বাবা হয়েছিল, আদর্শ স্বামী হয়েছিল। তবে সেসব আমার ভীষণ ব্যাক্তিগত কথা কাউকে বলার প্রয়োজন মনে করতাম না, সাথের মেয়েটা হয়ত কিছু জানত কিন্তু এতে আমার অনাত্মীয়দের দুশ্চিন্তা ভীষণ বাড়ত আর বাকিদেরটা দিব্যি বুঝতাম, এসব ব্যক্তিগত কথা শোনার জন্য এদের মন কতটা টন টন করত।

এখন আমার বিয়ে হয়েছে। টন টন থেকে আমি রক্ষা পেয়েছি। তবে আমার চেয়ে বয়সে কিছুটা ছোট বড় আর সমবয়সী কিছু মেয়ে আছে, এরা এখনও রক্ষা পায়নি। সমাজের টনটনে চোখ এখন এদের দিকে। লোকে এখন বিভিন্ন ইস্যু সমাধানের চেয়ে এগুলো নিয়ে আলোচনা করতে ভালবাসে। এরা কেন বিয়ে করছে না এটাও এখন একটা ইস্যু। দেশে ফোন করলেই অমুকের তমুকের বিয়ের কথা আসে। আমি যেহেতু এখন বিবাহিত সেই ইস্যুতে আমিও বসি। তবে এই ইস্যুর বিষয়টি আসলে আমি যেন আমার আগেরদিনগুলো দেখতে পাই। অথচ যে মেয়েগুলো নিয়ে এত আলোচনা হয়। এদের অনেকের বাড়ির গল্পটা আমি জানি। অনেকের বাবা নেই, ছোট ভাইবোন আছে তাদের দেখতে হয়। মা নেই, বাবাকে দেখতে হয়। যেখানে মেয়েটির সম্মান ও প্রশংসা পাবার কথা সেখানে কেন বারবার একই প্রশ্ন করে মেয়েটিকে বিব্রত করা হয় আমি বুঝি না। আর অনেক মেয়েই আছে সৌন্দর্যে শিক্ষায় যোগ্যতায় ব্যক্তিত্তে মননে তাদের ধারে কাছে যাবার মত কোন ছেলে তো আমি দেখি না। জীবনে সঙ্গীর প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই আছে। তবে মূল্যবোধ আর ব্যাক্তিত্তের সংঘাত যেন সেখানে না হয়, সেটাই কাম্য। আমার মনে হয় শিক্ষিত মেয়েরা এই বিষয়টা নিয়ে খুব বেশি ভাবে। আর ছেলেরা খুব সহজেই বিয়ের কথা বলে ফেলে। মেয়েরা বলতে পারে না, হয়ত চাই ও না। অনেক মেয়ের পরিবারেই অভিভাবক নেই, হয়ত বাবা মারা গেছেন। তাদেরকে সে ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে পারেন, তবে অবশ্যই সেটা নির্দিষ্ট ভদ্রতা বজায় রেখে করলেই ভাল। সারাক্ষণ বিয়ে কেন করছনা বলে মাথা ব্যাথা করে নয়।

এদের কারো কারো পছন্দের কেউ থাকতেও পারে, তার যখন ইচ্ছা তাকে তখন বিয়ে করতে দিন। ক্যারিয়ার পরিবার নিয়ে নিশ্চয়ই তার আলাদা ভাবনা আছে। ধৈর্য ধরে সে থাকলে আজাইড়া পাবলিক হিসেবে কিছু ধৈর্য আপনিও ধরুন। আর মেয়েদের শুধু শুধু আইবুড়ো বলবেন না। কিছু ঝানু বুড়ো আছে যারা বিয়ের জন্য বিশ একুশের মেয়ে খোঁজে তাদের বেশি বেশি করে আইবুড়ো বলুন। শেষ কথা, আমার বিয়ে আমি করব, যখন খুশি তখন করব, যাকে খুশি তাকে করব।

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫৯

প্রামানিক বলেছেন: আইবুড়ো নিযে চমৎকার লেখা। ধন্যবাদ

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:১০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: প্রথমেই বলে নেই আসছে নভেম্বরে আমর মেয়ে পচিশ পেরুবে।। তবুও ওর বিয়ের কথায় আমার প্রান কাঁদে।। কেন জানি না।।
আমার ইচ্ছে ওর পছন্দের ছেলেকেই ওর বর বানাবো,যদি থাকে।। মেয়েতো বরাবরই বলছে আব্বু-আম্মুর পছন্দটাই প্রধান।। তবুও কিন্তু থেকে যায়।। যাকে সারাজীবনে চড় মারি নি,তার জীবনের গুরুত্বপূর্ন সির্ধান্ত সেই নিক না কেন?? কারো কথায় কান দিলে চলবে?? এরা কি কেউ আমার কন্যার সংসারে প্রভাব রাখবে?? তাহলে??
ভাল লেগেছে বাস্তবধর্মী চিন্তাটা পরিপ্রেক্ষীতে জানালাম আমার কথাও।।
ভাল থাকুন সর্বদা।।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। আপনার মেয়ের জন্য শুভ কামনা।

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: আইবুড়ো মেয়ে নিয়ে লেখা টা পড়ে বারবার হোঁচট খেলাম। আমার ও বিয়ে হয়েছে বলা যায় আইবুড়ো হয়ে। তাই নিজের সাথে মিলিয়ে দেখছিলাম।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

মহান অতন্দ্র বলেছেন: আপনি পুরুষ কি মেয়ে জানি না। তবে সমাজের সংজ্ঞায় ছেলেরা কেন জানি আইবুড়ো হয় না!!! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমরা অনেকেই হয়তো মনে করি আইবুড়ো মেয়ে মানে সংসারের একটা বোঝা! এরা সংসারের জন্য একটা বাতিল মানুষ। কোন কাজে লাগেনা, শুধু শুধু বাবার অন্ন ধংস করে!

তবে আমি এর সম্পূর্ন বিপরিত। কারন বিয়েটাই জীবনের একমাত্র লক্ষ নয়। বিয়ে করা মানেই পরাধীন জীবনে প্রবেশ করা। মৃত্যুর আগ মূহুর্ত্ব পর্যন্ত যে পরাধীনতা আর ঘুচবার নয়। সুতরাং ব্যক্তি জীবনে প্রতিষ্টিত হতে হলে যা করার তা আইবুড়ো বয়সেই করে নেওয়া উচিত।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ! ভাল থাকবেন!

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

মহান অতন্দ্র বলেছেন: "কারন বিয়েটাই জীবনের একমাত্র লক্ষ নয়।" সহমত। বিয়ের প্রয়োজন আছে, তবে এটাই একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে না। শুভ কামনা আপনাকে। ধন্যবাদ।

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪

আব্দুল্যাহ বলেছেন: সমাজটা আমাদেরই, আমরা শিক্ষিত হয়েছি কিন্তু সভ্য নয়।
পুথিগত শিক্ষাগুলোকে কাজে লাগাতে পারলেই সামাজিক মূর্খতার শেষ আসবে।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

মহান অতন্দ্র বলেছেন: তবে মূর্খতা গুলো কেন যে শুধু মেয়েদের উপরেই চেপে বসে। ভাল থাকুন। ধন্যবাদ।

৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: চমৎকার লাগল। -এইম ইন লাইফ রচনায় অমুক তমুক হতে চাই কথাটাও শুধু শুধু লিখেছি। বরং সেখানে লেখা উচিৎ ছিল আমার জীবনের লক্ষ্য অল্প বয়সে একটি ভাল বিয়ে হওয়া- অসাধারণ

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬

মহান অতন্দ্র বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার লেখা পড়েছি। ভাল লাগে আপনার লেখা। ভাল থাকুন, শুভ কামনা।

৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮

আবু শাকিল বলেছেন: ফেবুতে পড়েছি ।
:)
লেখা চালিয়ে যান।ইন শা আল্লাহ পরিবর্তন আসবে ।
ভাল থাকবেন আপু। ধন্যবাদ

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৫৫

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। ভাল থাকবেন।

৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ভালো লিখেছেন। আমাদের সমাজের এই মনোভাবের পেছনে কারন আছে অনেক। ধর্মীয়, সামাজিক, আর্থিক সবকিছু মিলেই এই অবস্থা। পশ্চিমা দেশগুলিতে এটা সমস্যা না, কারন ওদের আর্থিক অবস্থা অনেক ভালো। আর অর্থ মানুষকে অনেককিছু থেকে মুক্তি দেয়। দেখবেন অতি নিম্নবিত্ত আর অতি উচ্চবিত্তরা এসবের ধার ধারেনা আমাদের দেশেও। একদলের অর্থের অভাবে মানসম্মানের চিন্তা থাকেনা, আরেকদল অর্থের প্রাচুর্য্যে সমাজের সব নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়।

আর আইবুড়া বয়স আসলে কোনটা আমাদের দেশে? আমার মনে হয় ২৫ পার হলেই আইবুড়ো ভাবা শুরু হয়। এর পেছনের কারনটা আসলে আমাদের সমাজের ছেলেদের মানসিকতা। এই অঞ্চলের মেয়েরা দেখতে সবচেয়ে আকর্ষনীয় থাকে মনে হয় ১৬-২৫ বছর বয়স পর্যন্তই। এরপর শারিরীক বৈশিষ্টের কারনে মুটীয়ে যেতে থাকে কিংবা লাবন্যে কিছুটা ভাটা পরে, এটাই মনে হয় সত্য। আর শুনতে অশ্লীল লাগতে পারে, তবে এটাই সত্য যে আমরা ছেলেরা, এবং ছেলেদের মা, বোন মামী, চাচী খালা সবাই কচি মেয়েই চায়। কচি মেয়েই উপভোগ্য হয় যে ছেলেদের জন্য এটাই সবার মনে গেথে বসা ধারনা। কুচকুচা হাড় চাবাইতেই যে আসলে সবচেয়ে মজা। মেয়েদের ব্যাপারটাও তাই।

আসলে আমরা এটা ভাবিনা, কচি মেয়েটাও একদিন বৃদ্ধ হবেই, ছেলেটাও হবে। কিন্তু তাদের এই বন্ধনটা সারাজীবনের, এখানে মানসিক উতকর্ষতার ব্যাপারগুলোই বেশি করে দেখা উচিত। তবে দিন এখন পাল্টাচ্ছে। আগের মত করে এখন বেশিরভাগ মানুষই ভাবেনা। পড়ালেখা শেষ হবার আগে বিয়ের জন্য তোরজোড় এখন অনেক কমে গেছে।

শুভকামনা রইলো।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৫৪

মহান অতন্দ্র বলেছেন: আমার মনে হয় ২৫ পার হলেই আইবুড়ো ভাবা শুরু হয়। এর পেছনের কারনটা আসলে আমাদের সমাজের ছেলেদের মানসিকতা। এই অঞ্চলের মেয়েরা দেখতে সবচেয়ে আকর্ষনীয় থাকে মনে হয় ১৬-২৫ বছর বয়স পর্যন্তই। এরপর শারিরীক বৈশিষ্টের কারনে মুটীয়ে যেতে থাকে কিংবা লাবন্যে কিছুটা ভাটা পরে, এটাই মনে হয় সত্য। আর শুনতে অশ্লীল লাগতে পারে, তবে এটাই সত্য যে আমরা ছেলেরা, এবং ছেলেদের মা, বোন মামী, চাচী খালা সবাই কচি মেয়েই চায়। কচি মেয়েই উপভোগ্য হয় যে ছেলেদের জন্য এটাই সবার মনে গেথে বসা ধারনা। কুচকুচা হাড় চাবাইতেই যে আসলে সবচেয়ে মজা। মেয়েদের ব্যাপারটাও তাই। " আপনার সরল স্বীকারোক্তি ও পড়বার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নারী পুরুষ বৈষম্য লাঘব হোক ।ভাল লিখেছেন । আইবুড়ো শব্দের সমাপ্তি কামনা করছি ।

১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি এখন আইবুড়া । :)

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৫৫

মহান অতন্দ্র বলেছেন: সমবেদনা থাকল ধন্যবাদ।

১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

সুমন কর বলেছেন: আইবুড়ো সম্পর্কে আপনার বিশ্লেষণ পড়লাম, ভালোই বলেছেন।

একটি মেয়ের পূর্ণ শিক্ষাজীবন শেষ করতেই তো ২৩/২৪ বছর চলে যায়। যদি পড়াশুনার মাঝে বিয়ে না হয়, তাহলে তো ঐ বয়সের পরই বিয়ে করতে হবে। সেটাকে শিক্ষিত পরিবার আইবুড়ো বলতে পারেনা।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৫৬

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হুম এটা আসলে ছেলে ও ছেলের বাবা মায়েরা বুঝতে চাইনা। ধন্যবাদ সুমন।

১২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: সুন্দর চিন্তা । ভাল লেগেছে ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৫৬

মহান অতন্দ্র বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

মুর্শিদুল ইসলাম বিপ্লব বলেছেন: আই বুড়ো কথাটি এখন আমাদের সমাজে খুব শুনা যায় না । আর আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই শব্দটিকে বিশ্বাস করিনা , কেননা বিয়েটা একটা মানুষের সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যাপার। তাছাড়া আমরাত এখন মধ্যম আয়ের দেশে বাস করছি , সেখানে এ কথাটির ব্যবহার একদম বেমানান।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:০১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: 'আইবুড়ো' কথাটি সত্যিই ব্যাবহার করা হয় না। আমদের কথা বার্তা রুচিতে শিক্ষাগত কারণে অনেক পরিবর্তন এসেছে। তবে সেটার সাথে আয়ের কোন সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না। এই ভাসা গত পরিবর্তন আসলে ও এই বিবাহের ক্ষেত্রে আমাদের মানসিকতায় কতটুকু পরিবর্তন এসেছে, ভীষণ প্রশ্ন সাপেক্ষ। মেয়ে হয়ে বুঝেছি, এ সমাজে মেয়েদের শিক্ষা, ব্যাক্তিত্য কিছু নয়। বয়স এবং সৌন্দর্য ই সব কিছু। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

কিরমানী লিটন বলেছেন: "আইবুড়ো-আইবুড়ি" এসব আমাদের সমাজের পশ্চাদপদ চিন্তার বিকার মানুষদের ভাবনার স্লোগান-এর বিষ এখনো রয়ে গেছে সমজে ...

অনবদ্য ভালোলাগার চমৎকার লিখনি-শুভকামনা রইলো ...

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:০২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা রইল।

১৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

সুলতানা রহমান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আমার বিয়ে, যখন খুশি, যাকে খুশি...:D

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:০২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা রইল।

১৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২০

ঢাকাবাসী বলেছেন: সব জন্জাল মুর্খতা মেয়েদের উপরই কেন চাপানো হয় তার উত্তর কে দিবে জানা নেই। ভাল লাগল।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:০৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৪

দীপংকর চন্দ বলেছেন: সুচিন্তিত তেজোদীপ্ত সমাপ্তি!!

বরাবরের মতো সাবলীল, সুন্দর আপনার লেখা!

শুভকামনা থাকছে। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:০৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।

১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৯

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার কিছু কথা বলেছেন । আশা রাখি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হবে ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:০৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা ।

১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৪

কলাবাগান১ বলেছেন: "পড়াশোনা খুব বেশি লাগে না আমার। ভাল লাগে লিখতে,পড়তে, ঘর গোছাতে আর হাড়ি পাতিল মাজতে।"

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:০৫

মহান অতন্দ্র বলেছেন: এই পড়া মানে টেক্সট বই ছাড়া বাকি কিছু পড়া। ধন্যবাদ আপনাকে।

২০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩৩

HARUNUR-RASHID বলেছেন: ছেলেরাও আইবুড়ো হয়!

বরং ছেলেদের ব্যাপারটা আরো কস্টের। পরিবার, ক্যারিয়ার, ছোট ভাই-বোন, বৃদ্ধ মা বাবা, টাকা-পয়সা ইত্যাদি নানা সমস্যায় কত ছেলে যে আইবুড়ো হয় তার সঠিক পরিসং্খ্যান একটু দৃষ্টি দিলেই পাবেন।

মেয়েদের ছেলে না পাওয়ার চেয়ে ছেলেদের মেয়ে না পাওয়ার যন্ত্রনা ভীষণ কস্টের।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৫৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হুম ছেলে মেয়ে উভয়েই হয়ত এ সমস্যার স্বীকার। তবে সেটার অনুপাত করলে হয়ত ১০ঃ১ হবে। ধন্যবাদ।

২১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৪২

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: সন্তানদের নিয়ে অভিভাবকদের আাসলেই অনেক চিন্তা থাকে। মেয়ে হলে তা আরো প্রকট। আপনি যখন মা-বাবা হবেন তখন বুঝবেন। সবার চিন্তা চেতনা মানসিকতাকে বুঝা, সহযোগিতা করা উচিত ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০

মহান অতন্দ্র বলেছেন: সহযোগিতা মেয়েদের দিক থেকে থাকেই বলে আমি মনে করি। কিন্তু মেয়েদের মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপারটা নিয়েও অন্যদের ভাবা উচিৎ বলে আমি মনে করি। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক।

২২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: সবার মত আপনি ও প্রশ্ন করলেন আমি নারী না পুরুষ ?
ব্যাপার টা মন্দ লাগছে না আমার কাছে। একটু থাকি না হয় রহস্য হয়ে।

ধন্যবাদ

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হা হা হা। দেখা যাক তাহলে কবে রহস্যরে জট খোলা যায়। ধন্যবাদ আপনাকেও।

২৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: অনেকে আমার কথায় রেগে উঠবেন কিন্ত আমাদের সমাজের পুরুষরা বড় বেশি ভোগ বিলাসী।একটা যুবতী মেয়ে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে এটা কারো সহ্য হয় না।তাদের মনোভাব এই যে হয় নিজে তাকে ভোগ করতে হবে নয়ত অন্যকে দিয়ে করাতে হবে অর্থাৎ বিয়ে দিতে হবে।
দেখবেন একটা মেয়ে যখন কিশোরী থেকে তরুণী হয় তখন সবার চোখ তার দিকে হামলে পড়ে।তাকে বিয়ে তথা অন্যের হস্তগত না করতে পারলে তাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়।তাদের জন্যেই বাবামাকে খেয়াল করতে বাধ্য হতে হয় যে মেয়ে বড় হয়েছে।সমাজের চাপে অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল লোকের হাতে মেয়ে দিতে হয় আর জ্বালা বয়ে বেড়াতে হয় সারাজীবন।এদের জন্যেই সবদিক থেকে সেরা মেয়েটিও বিয়ে হতে দেরী হলে হীনমনতায় ভোগে।

সময়োপযোগী লেখাটির জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি।ভাল থাকবেন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মহান অতন্দ্র বলেছেন: সামাজিক অনেক অসংগতি সুন্দর ভাবে গুছিয়ে বলেছেন আপনার মন্তব্যে। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১২

ধমনী বলেছেন: 'আইবুড়ো' শব্দটা কীভাবে এলো? এটা কি নোয়াখালির শব্দ! আঁই বুড়ো?
কাঙ্খিত সময়ে ছেলেদের চাকুরি না হওয়া এবং মেয়েদের বিয়ে না হওয়া দুটোই অসহনীয়।:

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২০

মহান অতন্দ্র বলেছেন: শব্দের উৎপত্তি স্থল ঠিক জানি না। আর সুন্দর মন্তব্যে জন্য ধন্যবাদ।

২৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৩

বোকামানুষ বলেছেন: অনেকদিন পর অনেক ভাল একটা লিখা পড়লাম অনেক ধন্যবাদ আপনাকে +++++++

২৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে ও।

২৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: যৌবনকালে এ ধরণের "বার্ধক্য"র সম্মুখীন হওয়াটা সত্যিই খুব বিরক্তিকর। ভালো লাগলো লেখাটা।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

মহান অতন্দ্র বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন ভাইয়া। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২০

আমিনুর রহমান বলেছেন:


দারুণ বলেছেন ! আমি গত ২ বছর হলো ঢাকায় একাই থাকি। এর আগ পর্যন্ত হয় বাবা-মা না হয় বোনের সংসারে থেকে পায়ের উপর পা তুলে আরাম আয়েশে জীবন যাপন করেছি। এখন ঢাকায় আমি আর ২ ভাগ্নে আমার সাথে থাকে। বুয়া আছে উনি একবেলা কাজ করে যান তাই হয়ত ঘর/কাপড় পরিস্কার করতে হয় না কিন্তু রান্না-বান্না, কাটাকুটি নিয়মিত করতে হয় নিজের জন্য আর ভাগ্নেদের জন্য আমি ৩ জন মানুষকে নিয়ে যে হিমসিম খাই আর মাঝে মাঝেই মনে পালাই সব ছেড়ে। মেয়েদের তো হাজারটা কাজ থেকে। চাকুরী করে সংসার সামলাচ্ছে যে নারীরা তাদের প্রতি রইল আমার কদমবুসি।
আমাদের সমাজ পুরুষতান্ত্রিক তাই সামাজিকভাবেই নারীরা হেয় হচ্ছে পদে। তবে দিন দিন মানুষের ভাবনা ও মানসিকতার পরিবর্তন আসছে। আগে তো মেয়েরা শিক্ষিত বেশী হলে ছেলেই পাওয়া যেতো না তার যোগ্যততর। আমার ফুফু'র জন্য তার ভাইরা নাকি যোগ্য পাত্র পায়নি তার ফলশ্রুতিতে ফুফু চিরকুমারী হিসেবেই জীবনে শেষাগ্নে চলে এসেছেন।


পোষ্টে +

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এত সুন্দরভাবে সঠিক চিত্রটি তুলে ধরার জন্য।"তার ফলশ্রুতিতে ফুফু চিরকুমারী হিসেবেই জীবনে শেষাগ্নে চলে এসেছেন"। এরকম আমিও দেখেছি। আপনার পরিবার ও আপনার ফুপুর জন্য শুভ কামনা।

২৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫১

প্রীতি পারমিতা বলেছেন: বাস্তববাদী এবং সত্যি কথাগুলো এতো সুন্দর করে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।দারুণ হয়েছে।আশা করি,আমাদের নিজেদের আর সমাজের মানুষের ধারণাগুলো পরিবর্তিত হবে। :)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ পারমিতা।

৩০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:১২

সোহানী বলেছেন: ঠিক ঠিক ঠিক..... আহাএ কথাগুলো যদি রেকর্ড করে সব ছেলেদরে শোনানো যেত......+++++++++++

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ সোহানী। শুনিয়েও লাভ নেই। চিন্তা ভাবনার বদল এত সহজে হবে না হয়ত।

৩১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪

আলোরিকা বলেছেন: আমি ও আমার ছোট বোনকে বড় বোনের তেজোদীপ্ত নেতৃতের কারণে বেশ কিছু দিন আইবুড়ো থাকতে হয়েছিল । তো সে সময় দেখেছি বাবা-মার টেনশন , সমাজের টেনশন ! আজ তিন বোনই প্রতিষ্ঠিত , তিনজনেরই বিয়ে হয়েছে ,বাবু হয়েছে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত ,ভাল ( মানুষ হিসেবে ভাল ) বর হয়েছে - এসব দেখে সে সমাজই এখন আফসোস করে কেন যে মেয়ে গুলোকে কিছু না বুঝে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিলাম ! আমার মাকে বলে আপা কি ভাগ্য আপনার ! সো আইবুড়ো আপুনিগণ ওয়েট এন্ড সি , গিভ আ ড্যাম টু দিস পুওর সোসাইটি । একটাই জীবন নিজের স্বপ্নের মত সুন্দর করে বাঁচুন :) :)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

মহান অতন্দ্র বলেছেন: " একটাই জীবন নিজের স্বপ্নের মত সুন্দর করে বাঁচুন" সুন্দর বলেছেন।

৩২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩১

রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: একদম মনের কথাগুলোই বলে দিলেন লিখায়!আমাদের মতন স্বেচ্ছায় যারা আইবুড়ো থাকতে চায় তাদের ভাবনাগুলো মনেহয় একই টাইপ। আমাদের সমাজ যত আধুনিক,শিক্ষিত আর উদারমনার ভাব দেখাক না কেন, একটা মেয়েকে নিজের মতন করে থাকা এলাও করবেনা কিছুতেই। তার কিসে ভাল আর কিসে মন্দ তা নির্ধারণ করে দিবে গতানুগতিক মানসিকতার সমাজ আর আত্মীয়স্বজন।একটা ছেলেকে কিন্তু স্কুল-কলেজ থেকে "বিয়ের প্রপোজাল"র পেইন নিতে হয়না,কিন্তু মেয়েদেরকে সেই পেইন হজম করতে হয়, হজম করতে না পেরে দুটা কড়া জবাব দিলে বেয়াদব" টাইপ তকমাও জুটে। প্রায় এক যুগ ধরে বলা যায় একলাই চলছি, কোন আত্মীয়স্বজনের নিজ থেকে কোন দায়িত্ববোধ দেখলাম না আজও,না অসুখে বিসুখে-না প্রয়োজনে নিজ থেকে এগিয়ে এসেছে।কিন্তু এখন সবাই দায়িত্বপালনে অতি অতিসাহী,এক বিয়ে দেয়ার দায়িত্ব। আমি তাদের কারো খাইও না পড়িও না,আল্লাহর রহমতে থাকা খাওয়ার জন্য কারো মুখাপেক্ষী হতে হয়না,তারপরও যত পেইন হজম করতে হয়,যতধরণের কথা সহ্য করতে হয়,মাঝে মাঝে ক্লান্ত লাগে খুব। একটু আগেই একগাদা লেকচার শুনাইল এক আত্মীয় বিয়ের টপিকে। বিভিন্ন ভাবনা আসছিল মাথায়, ব্লগে আপনার এই পোস্ট যেন সেগুলরই প্রতিফলন।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: "কিন্তু এখন সবাই দায়িত্বপালনে অতি অতিসাহী,এক বিয়ে দেয়ার দায়িত্ব" ঠিক বলেছেন এ ব্যাপারে সবার আগ্রহ অনেক। আবার অনেক বাবা নেই এমন মেয়ের দেখেছি তাদের আত্মীয়রা আবার মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে বিয়ের দায়িত্ত নিলে আবার যদি খরচ দিতে হয়। এমন অনেক অনুড়া কন্যাকে দেখেছি। জীবন খুব জটিল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.