নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্তর মম বিকশিত করো/ অন্তরতর হে/ নির্মল করো, উজ্জ্বল করো,/ সুন্দর কর হে

মহান অতন্দ্র

কবিতার মত মেয়ে

মহান অতন্দ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

ও হেনরির দেশেঃ বাস পর্ব

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০০

আজকের সকালটা কেমন ছিল বলি। গোসলের পর মেয়েদের চুল ভাল করে মুছে নিলে যেরকম হয় সেরকম। স্নিগ্ধ মায়াময় পরিছন্ন আদ্র তবে ঠিক ভেজা নয়। গত কদিনের সকাল ছিল ভীষণ বাজে। বৃষ্টি নেই, তবে সারাদিন পানির ফোঁটা আর স্যাঁতস্যাঁতে একটা গুমোট ভাব।

সকালে বাস ধরলাম। সিট পেলাম বাসে। তবে সে ভার্টিক্যাল বরাবর। বাস ছাড়লে মাথাটা দেখি ঘুরছে, গুলিয়ে যাচ্ছে সব। বেশিক্ষন সে অসুবিধা থাকেনি, এক সময় সয়ে গেল। বাস আমার বরাবর খুব ভাল লাগে। সকালের বাস মানেই এক দল লোকের গন্তব্যে ছোটা। সারাদিনের সব আয়োজন হয়ত বেধে নিয়েছে সাথে। কারো চোখে কিছুটা তন্দ্রা, চুল এলোমেলো, তাড়াহুড়ো করতে হয়েছে। আবার হয়ত অনেকের ছিল ধীর প্রস্তুতি, পরিপাটি চুল, ভাঁজহীন পোশাক, লিপিস্টিকের রঙ মেলাতেই ১৫ মিনিট লেগেছে। নিশ্চয়ই বিশেষ কেউ আছে ওর কাজের জায়গায়, অথবা ও ওরকমই। বিকেলের বাস মানে আবার ঘরে ফেরার দল। সবার যেন একটু গা এলানো, মুখে সারাদিনের ধকল। সাথের খাবারের বক্সটা খালি, আর সকালের ভাঁজহীন পোশাকে কিছুটা ভাঁজ।

আমেরিকা এসে এ শহরেই প্রথম বাসে চড়া আমার। প্রথম ক’মাস গাড়ি ছিল না। বাসে করে সবখানে যাওয়া হত। ২০ পাউন্ডের চালও আমরা বাসে করে এনেছি। ডাউন টাউনের বেশ কাছেই বাসা। একেবারে ঘরের কাছেই নামিয়ে দেয় বলা যায়। তবুও ২০ পাউন্ড চাল নিয়ে ২০ কদম হাঁটাও তো দায়। এ দেশের সবকিছুর বদনাম করলেও বাসগুলোর প্রশংসা করতেই হবে। এ দেশে লোক কম, বাসের সংখ্যাও তাই বেশি নয়। প্রতি ৩০ মিনিট আর কিছু রুটে ১ ঘণ্টা পর পর বাস ছাড়ে, তবে সে একেবারে ঠিক সময়েই। আবার স্ট্যান্ডে পৌঁছে যে প্ল্যাটফর্মে থামবার কথা ঠিক সেখানেই থামে। বাসগুলোর নম্বর থাকে। যেমন ১০ নম্বরটি প্ল্যাটফর্ম ১০ এই থামবে। ১০ এর পর হয়ত আমার ১ ধরতে হবে। তাই প্ল্যাটফর্ম ১ আসতেই আগে নেমে গেলে ভাল, হাঁটা কম লাগে, সুবিধে হয়। কিন্তু সে সুবিধের অনুরোধ এখানে করা যাবে না। একটু পর পর স্টপেজ। রেলের মত দড়ি টানলেই সামনের স্টপেজে থামে। বাসের স্ক্রিনে বড় করে লেখা আসে ‘স্টপ রিকুয়েস্টেড’। এই দড়ি টানার ব্যাপারটা ভাল। আমার মত সরু গলার লোকদের জন্য তো বটেই। ‘ভাই নামব’ বলতে হবে আর ড্রাইভারের কান পর্যন্ত সে পৌঁছাবে কিনা এই নিয়ে ভাবতে হয় না। প্রতি স্টপেজে আবার বাসের নম্বর দেয়া থাকে। যেখানে বাসের সিম্বল নেই, তার মানে এই রাস্তায় বাস চলে না। অথবা অমুক নম্বরটি নেই, মানে অমুক রুটের বাসটি এ রাস্তা দিয়ে যায় না। তবে বাসে একবার উঠলেই হল, কোথায় থামবে বলে খুব চিন্তারও কারন নেই। বাসের ভিতরে রুট ম্যাপ থাকে। ওঠাতে চোখ বুলিয়ে নিলেই হয়। আর আমার মত যারা অলস, উঠে গিয়ে সে না নিয়ে আসলেও অসুবিধা নেই, পড়ে না বুঝলেও অসুবিধা নেই। বাস যেখান থেকে ছাড়ে, ঘুরে এসে আবার ঠিক সেখানেই থামে। প্রথম প্রথম বাসের নম্বর গুলিয়ে আমাদের কয়েকবার এরকম হয়েছে। তবে লাভ ই হয়েছে তাতে। বিনে পয়সায় পুরা শহরটা ঘোরা হয়েছে। স্টুডেন্টদের জন্য এ শহরে বাস ফ্রি, শুধু আইডিটা একবার স্লাইড করলেই হল।

এ শহরের বাসগুলো মেয়েরাই চালায়। প্রথম প্রথম কিরকম জানি লাগত চোখে। আর স্বাস্থ্যবান বাসগুলো নিয়ে ডাউন টাউনের সরু ব্যস্ত রাস্তায় যখন টার্ন নিত, আমার তো প্রতিবারেই মনে হত, সামনের কার টাকে এই বুঝি থেবড়ো করে দেবে। ড্রাইভার অল্প বয়সী মেয়ে হলে সংশয় বাড়ত। না থেবড়ো হত না একদিনও। মেয়েগুলোর হাতের দখল ভাল। ঠিক টার্ন নিয়ে ফেলত। বাসের মহিলাগুলো একটু পুরুষালি মনে হয়েছে আমার কাছে। আমি দেখেছি এরা খুব একটা সাজে না। ইউনিফর্ম পরতে হয় এদের। মুখে একটা মিলিটারি ভাব, ভীষণ রুখো চুল। তবে এদের অনেকেই আবার খুব কথা বলে। বাসে উঠে মিলিটারি মুখ নিয়েই বলে কেমন আছো তোমরা? কেমন চলছে দিনকাল। এদের অনেককে আবার সামনের যাত্রীদের সাথে গল্প জুড়তেও দেখেছি। হয়ত সারাদিনে এদের একটা কথাও হয়নি কারো সাথে, যন্ত্র চালিয়ে এরা হাঁপিয়ে গেছে। গল্পে একটু জীবন খোঁজে, অথবা এরাও আমার মত, আগুন্তুকের সাথে পরিচয় উপভোগ করে। নামবার সময় অনেক যাত্রী ড্রাইভারকে থ্যাংক ইউ বলে দেখেছি। আমিও বলি। এ নর্মসগুলো আমাদের কলেজে খুব শেখাতো । বলত থ্যাংক ইউ তাকেই বেশি দেবে যাকে কেউ কখনও দেয় না। দেশে আমি অনেক রিকশা ওয়ালা সবজি ওয়ালাকে থ্যাংক ইউ বলেছি। এদের অনেকেই উত্তরে ওয়েলকাম বলেছে। অনেকেই কিছু বলেনি, শুধু ঘুরে তাকিয়েছে।

বাসের সবচেয়ে চমৎকার ও উপকারী ব্যাবহার হচ্ছে প্রতিবন্ধীদের জন্য। এ দেশে যে হুইল চেয়ার ছাড়া নড়তে পারে না। সেও সবখানে একা যায়। বাসগুলো প্লাটফর্মে যখন থামে। প্রতিবন্ধী দেখলে ড্রাইভার উঠে এসে একটা সুইচ টেপে। একটা বড় প্লেটের মত বেরিয়ে এসে প্লাটফর্মে লাগে। হুইল চেয়ারে বসা যাত্রী তার হুইল ঘুরিয়ে বাসে উঠে যায়। ড্রাইভার আবার সুইচ টিপলে প্লেটটা কোথায় জানি উধাও হয়ে যায়। ড্রাইভার সামনের সিট ফোল্ড করে যাত্রীকে জায়গা করে বসিয়ে সিট বেল্ট বেঁধে দেয়। আবার নামবার সময়ও একই কায়দা। ড্রাইভারগুলো খুব ভাল। অবশ্য ভাল হওয়াটাই হয়ত এদের চাকরি। এ দেশে খুব বৃদ্ধরাও একা চলে। তবে বেশীরভাগ বাসে। বাসে চড়ে আমার মত গরীব আর যাদের শারীরিক সামর্থ্য নেই গাড়ি চালাবার।

এ শহরের সব গরীবদের দেখা যায় বাসে উঠলে। যাত্রী ছাউনিতে দেখেছি, এরা প্রায়ই টাকা চায়। নেশা করে এদের অনেকে, চোখমুখেই সে সুস্পষ্ট। অনেকে আবার সত্যি গরীবও। তবে পোশাক পরিচ্ছদে সে বোঝা দায়। এদেরকে টাকা দিতে নিষেধ করে সবাই। হয়ত মানিব্যাগ নিয়ে ছোঁ মেরে দৌড় দেবে। অথবা দেবার জন্য থেমেছি, গান দেখিয়ে বলল, যা আছে সব দাও। এ দেশে গান এলাউড। আর খুন তো অহরহই হয়। আমাদের দেশে লোকেরা কোন একটা কারনে খুন করে; অভাব প্রতিহিংসা ক্ষমতা। এ দেশের লোকেরা কারন ছাড়াই খুন করে। হয়ত কোন কাজ নেই, চলো একটা খুন করা যাক। জীবনের এক ঘেয়েমিতা তাতে একটু কাটল। এ শহর নিয়ে লিখলে আসলে দু তিনটে বই অন্তত লেখা যায়। কালোদের শহর ভীষণ বৈচিত্র্যময় মনে হয় আমার কাছে।

কালোদের শহরে এসে প্রথম যে কথাটা শুনেছি তা হল এ শহর নিরাপদ নয়। মাঝেই মাঝেই মোবাইলে সেক্সুয়াল এসল্ট, রোবারির এলার্ট আসে। তবে বুদ্ধি করে চললে ঠিক অতটা অনিরাপদও নয়। কালদের মধ্যে যারা ভাল, দেখেছি এরা ভীষণ ভাল আর সরল হয়। আর যারা উৎশৃঙ্খল, সেটা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এরা যখন গাড়ি ছোটায়, দ্রিম দ্রিম আওয়াজ ফেলে দেয় বুকে। এত বেশি ডেসিবেলের শব্দে গান বাজায়, আর বিট তো আছেই। এমনকি স্কুলের ভিতরের রাস্তাতেও এরা তাই করে। এদের চালচলন এমনই যে কাউকে পরোয়া করে না। বিটের শব্দ শুনেই বোঝা যায় শরীরে কতটা আগুন জ্বলছে। বয়ফ্রেন্ড হিসেবে কালো ছেলেদের ডিমান্ড ভাল। প্রচুর সাদা মেয়েরা কালো ছেলে নিয়ে ঘোরে। তবে এখনও পর্যন্ত সাদা ছেলের কালো গার্ল ফ্রেন্ড আমি দেখিনি। কালোদের সাজপোশাক ভারী উৎকট। এরা সাদাদের মত লুকিয়ে সাজতে জানে না। রংচংঙা পোশাক আর এক গাদা অদ্ভুত মালা টালা পরে। সাদারা অনেক মেকাপ করে। তবে খুব খেয়াল করে না দেখলে, চট করে ধরা যায় না সৌন্দর্যের রহস্য।

অনেক লম্বা হয়ে যাচ্ছে লেখা। অদ্ভুত এ শহর নিয়ে আর একদিন লিখব। মরগ্যানের লেখাটা লিখব আগামীদিন। এ শহরে বেশীরভাগ লোকের নকল চুল, তবে মরগ্যানের চুলটি আসল। মরগ্যান মেয়েটির গল্প লিখতেই হবে। মরগ্যানের হৃদয়টা আমি কাঁচ ভাঙা করে দিয়েছি। তবে মরগ্যান কাঁদেনি। কালোরা আমাদের মত এত ফ্যাস ফ্যাসিয়ে কাঁদে না। এদের চোখে আমি যা দেখেছি তা হল বারুদ।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: বৈদেশিক মজার অভিজ্ঞতাগুলো ভাল লেগেছে ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমাদের অভিজ্ঞতা সমমানের না হলেও কাছাকাছি।। কোথায় পশ্চিম আর মধ্য!!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৫

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হুম ঠিকই বলেছ। ধন্যবাদ আপু।

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:১২

কেএসরথি বলেছেন: +

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৫

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা।

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৪

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: প্রাঞ্জল এবং সাবলীল বর্ণনা।পুরো স্বাদই পেয়েছি।
ভালো লাগার পোষ্ট।
অনেক ধন্যবাদ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৬

মহান অতন্দ্র বলেছেন: স্বাদ কি তেতো না মিষ্টি কে জানে। ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১১

সাহসী সন্তান বলেছেন: অনেক সুন্দর এবং সাবলিল বর্ননা! খুবই ভাল লাগলো.......!!

ধন্যবাদ পোস্টের জন্য!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৭

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ও। শুভ কামনা , ভাল থাকুন।

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

আলোরিকা বলেছেন: সব প্রকৌশলী , ডাক্তাররা যদি এরকম ভাল লিখতে শুরু করে , তাহলে দরিদ্র লেখকগণ কোথায় যাবে! :P আমি অবশ্য দেখেছি সায়েন্স ব্যাক গ্রাউন্ডের লোকদের সাহিত্য বোধ ভালই হয় । শুভ কামনা , ভাল থাকবেন :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৮

মহান অতন্দ্র বলেছেন: কি যে বলেন! আমি যা মনে আসে তাই লিখি। সত্যি কথা আমি আপনাদের সকলের কাছ থেকে শিখছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আরও দীর্ঘ হলেও পড়তাম.... :)
প্রবাস জীবনের সবকিছু স্বদেশীদের কাছে কৌতূহলের বিষয়...

আমি শুনেছি সিভিল মানুষের হাতে যুক্তরাষ্ট্রে যত মানুষ মারা যায়, জঙ্গি হামলায় তার চেয়ে অনেক কম।
ভালো থাকবেন... নিরাপদে থাকবেন

গরিব থাকবেন না ;)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হা হা মজার কথা বলেছেন শেষে। আপনাকে ধন্যবাদ মইনুল ভাই। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভাল লাগল।

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

আবু শাকিল বলেছেন: আপনার সব লেখাই মনে হয় ফেসবুকে পড়া হয়ে যায়। :)
খুব সাধারন বর্ননায় অসাধারন লিখেন । অভিজ্ঞতা কম-বেশি থাকে সবার থাকে কিন্তু আপনার মত সুন্দর উপমা দিয়ে অনেকেই লিখতে পারে না।
ধন্যবাদ আপু।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: আপনিও তো দেখছি আমাকে পচিয়ে গন্ধ বের করে ছাড়বেন। লেখক সবাই কম বেশি ভাল লেখে। সবার সব লেখা ভালও হয় না। আর আমি তো সবে শুরু করেছি । নিজের যাচ্ছেতাই টা কিন্তু আমি ঠিক টের পাই। ভাল থাকবেন, আর এক হাড়ি শুভ কামনা।

৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১১

বৃতি বলেছেন: ভালো লাগলো বেশ- সুন্দর বর্ণনা :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি। তোমার লেখা আমার খুব ভাল লাগে। তবে তুমি খুব কম লেখ ইদানীং। হয়ত পোষ্ট কর না, সে টাও হতে পারে।

১০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হে মহান অতন্দ্র আপু। সাবলীল লেখনি মুগ্ধ করল। পড়ে ফেললাম। লম্বা মনে হয়নি শেষ হয়ে গেল দ্রুতই।

আমাদের দেশে লোকেরা কোন একটা কারনে খুন করে; অভাব প্রতিহিংসা ক্ষমতা। এ দেশের লোকেরা কারন ছাড়াই খুন করে। হয়ত কোন কাজ নেই, চলো একটা খুন করা যাক। জীবনের এক ঘেয়েমিতা তাতে একটু কাটল।

আসলেই সত্যি। সভ্যতার পরিমাপ করলে আমেরিকানরা এখনো উচ্চমানের সভ্য হতে পারেনি।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩৪

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হুম এরা শুধু নিজেরাই নিজেদের সভ্য বলে বেড়াই। খুব যে অসভ্য তা বলছিনা। আসলে সভ্য অসভ্যের সংজ্ঞাটাও তো জায়গা বেঁধে আলাদা। আমাদের দেশে কোন ছেলে মেয়েকে জড়িয়ে ধরলে কি বাজে অসভ্য ছেলে আর এ দেশে বলবে কি ভাল ম্যানার জানা ফ্রেন্ডলি ছেলে :D

১১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: পড়তে ভালোলাগছিলো। প্রতিটা দেশ নিজের মত করে আলাদা। কিছু না কিছু পার্থক্য থাকে, সুক্ষ কিংবা স্থুল। প্রতিটা এ ধরনের লেখার কিছু না কিছু ব্যাপার উঠে আসে। এই পোস্টেও এসেছে।

শুভকামনা রইলো। :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩৬

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ নদী। খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন বলতে হবে। ধৈর্য আছে আপনার। আপনাকে শুভ কামনা।

১২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: খুব সুন্দর লিখনি।আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের জানার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপুনি।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩৬

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়ামনি।

১৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

জসিম বলেছেন:
আপনার হেনরি পর্ব দেখি এখানে তুষার রাজ্যের সাথে অনেক মিল. বাস যাত্রার পুরোটাই বলা যায়. অনেক সুন্দর লিখেছেন. ছোট ছোট অনুভূতিগুলো গুছিয়ে বেশ সুন্দর করে সাজিয়েছেন.

ধন্যবাদ.
মরগ্যানের কথা শোনার অপেক্ষায়.

ভালো থাকুন

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩৭

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ। আমেরিকা দেশটাতে মনপলি চলে। সব জায়গা একই রকম মনে হয়। হুম মরগ্যানের গল্পটি সময় করে লিখব।

১৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫

সুমন কর বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা বা বাসের স্মৃতিচারণ ভালো লাগল।

মরগ্যান মেয়েটির গল্প, শোনার অপেক্ষায় থাকলাম....

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩৮

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন দা। লিখব আগামিদিন । সেই পর্যন্ত শুভেচ্ছা।

১৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

জেন রসি বলেছেন: আপনার বাসে চলার গল্প পড়তে পড়তে এই দেশের বাসের কথা মনে পরে গেল। যেখানে মাঝে মাঝে ঝুলে থাকতে হয়!!চমৎকার সাবলীল লেখা। ভালো লেগেছে।আর কালোদের সম্পর্কে ওই দেশে এক ধরনের খারাপ ধারনা দেওয়া হয় যা আমার কাছে সত্য মনে হয়না।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪০

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হুম এই দেশে দেখেছি সাদা কালোদের তফাৎ টা খুব বড় করে দেখে। বাইরে বাইরে খুব ভাল ভাল, কিন্তু ভেতরে ভেতরে রেসিজম ঠিক থাকে। কালোদের দেখেছি আমেরিকাতে জন্ম, এখানে বেড়ে ওঠা। তবুও কথা বলা কালচার সাদাদের থেকে যেন একটু আলাদাই। ধন্যবাদ রসি আপনাকে।

১৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভালো লাগছিলো পড়তে। তবে বাসের কথা পড়তে পড়তে বিকেলে কাওরানবাজার সিগন্যাল থেকে বাসে ওঠার নিত্যদিনের যুদ্ধের কথা মনে পড়ে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ঐ যুদ্ধটা আমিও করেছি অনেক দেশে থাকতে। দেশের আর কি দোষ বলুন। ছোট দেশ, এত মানুষ। কিছু সমস্যার সমাধান খোঁজা সত্যিই খুব কঠিন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপানাকে।

১৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

সোহানী বলেছেন: খুব ভালো লাগলো লিখাটা। তবে ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম সত্যিই অসাধারন। হবেই না বা কেন... আমাদের মতো গাদা গাদা মানুষ নেই যখন সুন্দর সিস্টেম দাড়ঁ করাতে পারে ইজিলি।++++

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হুম এদের কিছু আসলে নিজে থেকে ভাল করতে হয় না। লোকজন নেই এমনিতেই সমস্যা কমে যায়। আর আমাদের এত চেষ্টা করেও জীবন বিষিয়ে ওঠে। ধন্যবাদ সোহানি।

১৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দারুণ লাগল পড়তে, লিখতে থাকুন... :)

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২০

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা :)

১৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

প্রামানিক বলেছেন: পুরোটাই পড়েছি। খুব ভাল লাগল । ধন্যবাদ

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক। আর শুভ কামনা।

২০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গোসলের পর মেয়েদের চুল ভাল করে মুছে নিলে যেরকম হয় সেরকম। স্নিগ্ধ মায়াময় পরিছন্ন আদ্র তবে ঠিক ভেজা নয়।
অসাধারণ ! পুরো লিখাটাই !!

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

২১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

গোর্কি বলেছেন:
পঠনে মুগ্ধতা জানাই। শুভকামনা।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: শুভকামনা আপনাকেও এবং ধন্যবাদ।

২২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সুখপাঠ্য লেখায় ভালোলাগা রইলো।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২০

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

২৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার ব্লগে আসলাম। এসেই পোস্ট টা লাইক করে নিলাম। সামনে আর কি কি পোস্ট করেছেন দেখতে যাচ্ছি।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ইদানিং খুব অলস হয়ে গেছি। কাজেরও ব্যাস্ততা আছে। ব্লগে আসি না অনেকদিন। ধন্যবাদ ভাইয়া পড়বার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.