নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানতে চাই,জানাতে চাই

মোমেন মুন্না

ফেইসবুক (InversE EquatioN) :htps://www.facebook.com/inverseme

মোমেন মুন্না › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেখা-অদেখা(কুয়াকাটা)

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৮

ঈদের ছুটিতে বন্ধুরা সবাই দেশের বাড়িতে আছি।সবাই মিলে সিদ্বান্ত নিলাম বেড়াতে যাব। যেহেতু সময় কম তাই ভাবলাম কাছে কোথাও যাব।আমাদের কাছাকাছি জায়গা বলতে আমরা কুয়াকাটা বুঝি।৩য় শ্রেনী থেকে ১০ম শ্রেনী এই সময় পিকনিক মানেই কুয়াকাটা। সবাই মিলে বার সকালে রওনা দিলাম।সাগর কন্যা খ্যাত কুয়াকাটা আমাদের চোখের সামনে বদলেছে কয়েক ধাপ। ২০০৩-০৪ এর দিকে যারা কুয়াকাটা গেছেন তারা দেখেছেন এখানে অনেক বড় নারিকেল বাগান ছিল যার এখন কোন অস্তিত্ব নেই।২০০৭ এ ঘূর্নিঝড় সিডর এর পর কুয়াকাটার পরির্বতনটা বেশি হইছে।সাগর পারের আয়তন কমে গেছে,ঝাউবনের অনেক অংশ হারিয়ে গেছে। জায়গাটা মনে হয় সবার কাছে অপরিচিত।আগে জায়গা সম্পর্কে কিছু কথা বলে নেই।

কুয়াকাটার যারা ২-১ দিনের জন্য আসেন তাদের কাছে অনেক জায়গা অদেখা থেকে যায়।সমুদ্র সৈকতের যে অবস্থা তাতে বিকল্প এসব জায়গা গুলোকে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা প্রয়োজন।



মিসরি পাড়া:

কুয়াকাটা আছে বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচিন রাখাইন উপ জাতি। দেখার মত আছে এদের বিচিএ জীবন ধারা আর বিশাল আকারের বৌদ্দ মূর্তি।যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন ভাল নেই বলে খুব একটা জনপ্রিয়তা নেই।



সোনার চর:

এলাকাটি বনজ সম্পদে পূর্ণ সমুদ্রতীরের এ এলাকা বিভিন্ন নদী/খাল দ্বারা বিভাজিত।স্থানীয়ভাবে এ বন ফাতরার জংগল নামে পরিচিত।সমুদ্রতীরবর্তী হরিণঘাটা মোহনায় এর অবস্থান।এ বন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভুমি।বন ও সমুদ্রের অপুর্ব সম্মিল ঘটেছে এখানে।বনবিভাগ সৃজিত এ বনে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ বৃক্ষ রয়েছে।বানর, বনমোরগ, শিয়াল, বেজি. চিতাবাঘসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর এবং পাখির অভয় আশ্রম এ সোনারচরে। শীতকাল আর বসন্তের পাতাঝরা মৌসুমে সোনারচর এক অনাবিল সৌন্দর্যে ভরে ওঠে। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি থাকলেও এর যাতায়াত ব্যবস্থা দুর্গম হওয়ার কারণে এলাকাটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। বেশ কয়েক ঘর মৌসুমী জেলের বসতি এখানে। সমুদ্র থেকে মৎস্য আহর ও শুটকি উৎপাদন এদরে কাজ। সোনারচরে সুর্যাস্তের সোনালী আভা বনের বৃক্ষরাজিতে সোনালী বিচ্ছুরণ ঘটায়। এ সৌন্দর্যের তুলনা নেই। এ সৌন্দর্য যারা একবার উপভোগ করেছেন, তারা শত বাঁধা উপেক্ষা করে সেখানে যাবেন বারেবারে। ফাতরার জঙ্গলখ্যাত সোনারচর আর আশারচরের মোহনীয় হাতছানি ভ্রমণ পিপাসুদের পক্ষে উপেক্ষা করা কঠিন।এছাড়াও আছে লেবুর চর,সুটকি পল্লী ইত্যাদি



যোগাযোগ-

কোন পথে যাবেন এসব পর্যটন কেন্দ্রগুলো দেখতেঃ

বাস:



ঢাকা গাবতলি ও সায়েদাবাদ উভয় জায়গা থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায়। এসি নন-এসি দুই ধরনের বাস পাওয়া যায়।

ভাড়া: এসি ৯০০-১০০০ টাকা নন-এসি ৪০০-৭০০ টাকা



লঞ্চ:



বরিশাল বিভাগে আসবেন,লঞ্চে ভ্রমন না করলে ভ্রমনে অপুর্নতা থেকে যাবে।বিলাশ বহুল লঞ্চ গুলো প্রতিদিন ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচল করে।প্রতি দিন রাত ৭:৩০,৮:৩০ ও ৯:৩০ এ বরিশালের লঞ্চ পাবেন।খুব সকালে বরিশাল পৌছে।এখান থেকে সরাসরি কুয়াকাটার বাস পাবেন।লোকজন বেশি থাকলে মাইক্রো বাসে যেতে পারেন।কুয়াকটা সড়ক পথের বেহাল দশা কয়েক বছর ধরে কেটে গেছি।



ভাড়া:



শ্রেনীভেদে লঞ্চ ভাড়া বিভিন্ন । একজন কেবিন ১০০০-১৫০০ টাকা। দুইজন কেবিন ১৫০০-২৫০০ টাকা। লোকজন বেশি থাকলে ডেকে আসতে পারেন জন প্রতি ২০০ টাকা। এখান থেকে কুয়াকাটার বাস ভাড়া জন প্রতি ১৫০ টাকা।

কুয়াকাটা থেকে মিশ্রিপাড়া যেতে পারবেন ভ্যান ,মাইক্রো বাস বা মটর সাইকেলে। সোনার চরের উদ্দেশ্য সকাল ১১টায় ট্রলার ছেড়ে যায় বিকেলে আবার নিয়ে আসবে।সোনার চরে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। কুয়াকাটা থাকা খাওয়ার জন্য সব শ্রেনীর হোটেল-মোটেল আছে।

সোনার চরের যোগাযোগ থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হলে পর্যটন স্থান হিসেবে গড়ে তোলার সম্ভাবনা রয়েছে।সরকারি ভাবে কিছু কাজ করা হচ্ছে যা প্রয়োজনের তুলনায় অল্প। কুয়াকাটার বর্তমান যা অবস্থা তাতে সাগর কন্যা টিকিয়ে রাখতে সোনার চরের ভুমিকা অপরিহার্য।



:P:P:P:P:P:P:P:P:P:P:P:P:P:P:P:P:P:P



তো দাদো ও বইনেরা সামনের শীতে সোমায় পাইলে মোগ সোনার চরডা দেইক্কা যাইয়েন।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.