নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তারিক রানা চৌধুরী

তারিক রানা চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহীদ জিয়া - অন্তিম দিবসের স্মৃতিকথন

৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

প্রিয় প্রেসিডেন্ট / আরেকটা ত্রিশে মে আজ / সাত্রিশ বছর আগে , চট্টগ্রামে গিয়েছিলেন আপনি / একদিন আগে, উনত্রিশে মে , উনিশ শত একাশি / বাংলাদেশ বিমানের এি বিশেষ ফ্লাইটে / সকাল দশ ঘটিকা , বঙ্গোপসাগর এর তীরবর্তী আর কর্ণফুলী নদীর মোহনায় , পতেঙ্গা বিমানবন্দরে , অবতরণের পর থেকেই আপনি দারুন ব্যস্ত হয়ে উঠলেন , যে কাজে এসেছিলেন , বীর চট্টলায় / প্রিয় প্রেসিডেন্ট পতেঙ্গা বিমান বন্দর থেকে সািট হাউজ যাবার সড়কে , আপনার স্মৃতিতে নিশ্চ্য় ই ফিরে এসেছিল , পঁচিশে মার্চ উনিশ শত একাত্তর , এই সড়কে ই সেনা বহর থেকে আপনি বিদ্রোহ ঘোষণা করে বলেছিলেন উই রিভোল্ট , আমরা বিদ্রোহ ঘোষণা করলাম. বিদ্রোহ ঘোষণা করলাম , শোষক পস্চিম পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে. / আপনার ভয়ার্ত চেহারা দেখে , সারেন্ডার করলো , গাড়িতে সব পাকিস্তানী সেনা / এই সড়কেই গাড়ি নিয়ে জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করার নির্দেশ দিয়ে , ব্যারাকে আপনার কমান্ডিং অফিসার পাঞ্জাবি পাকিস্তানী লোফ্টেন্যান্ট কর্নেল জানজুয়া অপেক্ষারত ছিল , অনুগত পাকিস্তানী সেনাদের হাতে আপনার মৃত্যুর নিশ্চিত খবরের/ কিন্তু নিজ বাসভবনেই যে , সেকে্ড ইন কমান্ড মেজর জিয়াউর রহমানের হাতে আত্ম সমর্পন করতে হবে, ব্যাটা জানজুয়া ,স্বপ্নেও কল্পনা করেনি , সেটাই বাস্তব হল / ডিয়ার প্রেসিডেন্ট , চট্টগ্রাম আপনাকে রোমাঞ্চিত করে , স্বপ্ন দেখায়, বিপ্লবী হবার আহ্বান জানায় , শরীরের প্রতিটি রক্ত কণিকায় বারুদ জ্বালিয়ে দেয় , যে বারুদের স্ফুলিঙ্গে , ছা্পান্ন হাজার বগমাইলের সাড়ে সাত কোটি ভয়াত মানুষের আত্ম চিৎকার আপনাকে ভাবিয়ে তুলে / আপনি ভুলে জান ঢাকায় অরক্ষিত প্রিয়তমা স্ত্রী আর দুটি নাবালক সন্তান দের কথা , নিমেষেই পর হয়ে যায় তারা , আর আপন হয়ে যায় সাড়ে সাত কোটি নিরীহ বাঙালি / আপনি হয়তো ভেবেছিলেন , সারে সাতকোটি জনতা বাঁচলে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের প্রতিটি ইঞ্চি পাকিস্তানিদের কবল থেকে মুক্ত করতে পারলে , তারপর দেখা যাবে , নিজ পরিবারের কে বাচলো, কে মরলো / প্রিয় বিপ্লবী নেতা , এর পর পর ই আপনি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করলেন , আমি মেজর জিয়া বলছি , তারপর ঘোষণা দিলেন ঐতিহাসিক স্বাধীনতা যুদ্ধের , যার সরাসরি ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তখনকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ / প্রিয় প্রেসিডেন্ট ঊনত্রিশে মে সেই সকালেই সোজা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ , হালকা চা নাস্তা মুখে দিয়েই ব্যস্ত হয়েছিলেন দলের নেতাদের সাথে সভায় ,দুপুর গড়ালেই তৈরী হয়ে চলে গিয়েছিলেন চন্দনপুরা শাহী জামে মসজিদে / সর্ব জনপ্রিয় রাষ্ট্রপ্রতি কে দেখেই , মসজিদের মুসল্লিরা পথ করে দিিলেন , সামনের কাতারে যাবার / প্রিয় রেসিডেন্ট , আপনি পিছনের যে কাতার সামনে পেয়েছিলেন , সেখানে দাঁড়িয়েই পবিত্র জুমারুই রাকাত ফরজ ামাজ , ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে , আদায় করেন , নামাজ শেষে সমবেত মুসল্লিদের সাথে কুশল বিনিময় করলেন / তারপর আবার সার্কিট হাউজ , সবাইকে নিয়ে সাদামাটা দুপুরের আহার , এরপর খানিকটা বিশ্রাম / সুপার একটিভ প্রেসিডেন্ট , এরপর বিকাল পাঁচটা থেকে আবার সেই লম্বা সাক্ষাৎ সভা , এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি , স্থানীয় বুদ্দিজীবী এবং গণ্যমান্যদের সাথে , তারপর রাত নয়টা থেকে আসল যে উদ্দেশ্যে সেবারের চাটগাঁ আগমন / দলের দুটো উপদলের কলহ বিবাদের অবসান ঘটানোর উপায় বের করা / এর পর স্থানীয় প্রশাসনের সাথেও কথা বলে নেওয়া , দলের নাম ভাঙিয়ে চলা হাতেগোনা অপরাধীের দল থেকে বহিস্কার এবং প্রশাসন যেন কোনো অপরাধীকেই ছাড় না দেন / এই প্রত্যয় ঘোষণা করার পর ,রাত এগারোটার একটু পর , আবার সেই সাদামাটা তরকারি দিয়ে রাতের আহার গ্রহণ / এর পরেই ফোন করলেন প্রিয়তমা স্ত্রী কে /ফার্স্ট লেডি বেগম খালেদা জিয়া তখন মইনুল রোডের বাড়িতে , ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সেই বাড়িতে তখনকার ফার্স্ট লেডি বেগম খালেদা জিয়ার অভিমানী কণ্ঠ , সারাদিনে , এই রাত গভীরে বুঝি মনে পড়লো আমাদের কথা / তার পরের মুহূর্ত একান্তে আলাপ চললো , প্রেমিক কমলের সাথে প্রেমিকা স্ত্রী পুতুলের / নিশ্চ্য় ই খবর নিতে ভুলেন নি , বড় ছেলে পিনো আর ছোট ছেলে কোকোর , কিশোর আর শিশু সন্তানদ্বয় নিশ্চিতে ঘুমা্ছিলেন মইনুল রোডের সেই বাড়িতে / ঘুমের ঘোড়ে , শিশু আরাফাত রহমান , বিছিরি এক দুঃস্বপ্ন েখে , আম্মু , আ্মু , আব্বু , আব্বু বলে কেঁদে উঠেছিল ,ফার্স্ট লেডি বেগম খালেদা জিয়া , পরম মমতায় শিশু কোকোকে জড়িয়ে ধরে বলেছিেন , ভয় পেয়োনাকো , বীর বাবার প্রিয় সন্তান , এইতো মা , তোমার পাশে ,কালকেই আব্বু ফিরে আসবে / ঘুমাও এখন / সেই বিদ্যুৎ চমকানো , বৃষ্টি বাদলের রাতে প্রিয় প্রেসিডেন্ট , আপনি ঘুমাতে গেলেন , সাকিট হাউজের চার্ নাম্বার কক্ষে / বাহিরে মাত্র চৌচল্লিশ জন পুলিশ আর কক্ষের আসে পাশে দুজন সামরিক নিরাপত্তা অফিসার সহ কয়েকজন সামরিক গার্ড / প্রিয় প্রেসিডেট , আপনি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে গেলেন , বাহিরে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছিলো , রাত চারটার দিকে এগিয়ে এলো ঘাতকের দল , মূল ফটকের দরজা দিয়ে প্রবেশ করেই নিক্ষেপ করলো দুটো রকেট লাঞ্চার/ চৌচলিশ জন পুলিশের কেউ ঠিক বুঝতে পারছিল না , হামলাটা করছে কারা , সামনে আগত সেনা বাহিনীর জীপ্ টাকি হামলা ঠেকাতে আসছে ? পুলিশ কনস্টেবল দুলাল মিয়া ,ঠিক ই বুঝতে পারছিলেন ওরাই মীর জাফরের দল , ঘাতক কে রুখে দিতে হাতে থাকা হালকা ওসির অস্ত্র দিয়েই শুরু করলেন প্রতিরোধ , রকেট লাঞ্চার আর এস এম জি গ্রেনেডের বিরুদ্ধে / আহা দুলাল মিয়া , ঘাতকের বুলেট আপনার মাথায় আঘাত করলেই লুটিয়ে পর্যগিলেন আপনি , আর সহকর্মীরা আহত হয়ে পালতে বাধ্য হয়েছিলেন, আপনার লাশ সাকিট হাউজ চত্বে রেখেই / ঘাতকেরা দোতলায় উঠে গিয়ে খুঁজতে থাকে আপনার রুম / প্রথমে নয় নম্বর কক্ষ /, ভুল রুম , তারপর নিশ্চিত হয়ে কক্ষ নম্বর চার্ ভাঙ্গার প্রস্তুতি / ইতিমিধ্যে খুন করা হয়েছে প্রিয় প্রেিডে্ট , আপনার দুজন নিাপতা অফিসার আর কয়েকজন গার্ড কে / কেউ একজন লাথি মেরে চার্ নাম্বার কক্ষের দরজা ভাঙার চেষ্টা চালানোর সময়েই , বেরিয়ে এলেন আপনি , মহামান্য রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান , বীর উত্তম / জুনিয়ার একজন অফিসার বললেন, ওই তো রাষ্ট্রপতি বেরিয়ে আসছেন /তাকে ঘিরে ধরলো কয়েকজন / দৃঢ় ভাবে জিজ্ঞাসা করলেন , কি হয়েছে ? একজন লেফটেন্যান্ট বললেন , মাননীয় রাষ্ট্রপতি ঘাবড়াবেন না , আপনার কোনো ক্ষতি হবে না , আমরা আপনাকে নিতে এসেছি , ষড়যন্ত্রণা কারীরা এভাবেই মিথ্যা কথা বলে বাকি জুনিয়র অফিসার দের নিয়ে এসেছিল সে রাতে, ঘাতক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মতিউর রহমান, কাপুরুষের মতো নিরস্ত্র প্রেসিডেন্ট , আপনাকে লক্ষ্য করে এস এম জি র ট্রিগার টিপে ধরলো , মুহূর্তেই ঝাঁজরা হলো আপনার পবিত্র দেহ , লুটিয়ে পরলেন পড়লেন , কক্ষ নং চার্ এর সামনে .ঘাতক মতিউর আপনার লাশের উপর বাকি গুলি চালালো , মুখ মন্ডল থেকে সমগ্র শরীর ঝাঁজরা করে দিলো / আপনি এর একটু আগেই শাহাদাত বরণ করলেন ,হে বাংলার বীর সন্তান , প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন . ( তারিক রানা চৌধুরী, লন্ডন , ৩০শে মে / ২০১৮, স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় ছাত্রদল নেতা )

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।

২| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: :(

৩| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: জানলাম, তবে বানানে ভুল না থাকলে পড়ে আরো ভালো লাগতো।

৪| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

লাবণ্য ২ বলেছেন: ভালো লাগল।

৫| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

তারিক রানা চৌধুরী বলেছেন: এই জন্য দুঃখিত ,মোবাইলের বাংলা কি বোর্ড খুব ঝামেলা দিচ্ছে, আশাকরি বানান গুলি ঠিক করতে পারবো/

৬| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

তারিক রানা চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ , আপনাকে /

৭| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০১

তারিক রানা চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ /

৮| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভালোলাগা দিলাম ।

৯| ৩১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

নিয়াজ সুমন বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো

১০| ৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

১১| ৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লিখাটা ভাল, প্যারা, দাঁড়ি কমার ঠিক থাকলে আর ভাল লাগতো ।

১২| ৩১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আরো ভালো করে সাজিয়ে লিখলে লেখাটা অনেক ভিউয়ার পেত...

১৩| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১:০৬

হবা পাগলা বলেছেন: পোস্টে সমালোচনার জন্য উত্তর দেওয়া প্রয়োজন। শুভকামনা রইল।

১৪| ০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৪

নিশি মানব বলেছেন: এটা কি ভাষন নাকি প্রবন্ধ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.