নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

সেলিম জাহাঙ্গীর

সেলিম জাহাঙ্গীর যে দ্যাশে নাই জীন মরণরে আমার মন ছুটেছে সেই দ্যাশে গুরু লওনা আমায় তোমার সে দ্যাশে

সেলিম জাহাঙ্গীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেবলা কি পদদলিত?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

ধর্মে যতকথা শোনা যায় প্রকৃতপক্ষে ততটা কাজ হয়না। তবে গালগপ্প ভরা স্বঘোষিত ডিগ্রীধারী আলেমদের ধর্মীয় বাণী আর রিতিনীতি মেনে চলে বলো কয়জন? কোরআন ও শরীয়া মতে ধর্মে এই করা যাবে না, সেই করা যাবে না; নানান সুরে আর কথার অলংকারে ভরা আলেম ওলামাদের ওয়াজ নসিয়ত শুনলেই জানা যায়, স্ব-ধর্মের আদলে গড়া সেইসব আলেমদের বিবেগ-বৃদ্ধি চিন্তা চেতনা মনন ও অন্তর। কৌতুহল বশত ধর্মের কোন খুটি নাটি বিষয়াদির কথা ধরে তাদের কাছে জানার জন্য যদি বলা হয় তারা এক বাক্যে পাশ কাটিয়ে যান। কারন হিসাবে আমি প্যান্ট সার্ট পড়া মানুষ; মাথায় টুপি নাই, গায়ে জুব্বা নাই, মুখে দাড়ী নাই, মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজের সারিতে আমায় দেখতে পাননা; সব মিলিয়ে তাদের ভাষায় একজন বেনামাজি মুশরিক তার সাথে আবার কিসের কথা।

আমার প্রশ্নঃ

১। আমার গায়ে জুব্বার বদলে যদি স্ক্রীন গেঞ্জি কিংবা জামা প্যান্ট থাকে তবে কি আমার আল্লাহ্ সমন্ধে জানার আগ্রহ থাকতে পারেনা?

২। মাথায় টুপির বদলে যদি ফ্যালকাপ, আর মুখে দাড়ীর বদলে যদি ক্লিন সেভ থাকে তাহলেকি আমার এবাদত হবে না। কিংবা আল্লাহ্ তা কবুল করবেন না?

৩। মসজিদে যদি না যায় কিংবা কেউ আমাকে নামাজ পড়তেই দেখল না তা থেকে কি ধরে নেয়া যেতে পারে যে মানুষটি বেনামাজি?



এমনতো হতে পারে কেউ হাতে ব্যাসলেট, মাথায় ঝুটি, স্ক্রীন গেঞ্জি কিংবা জামা প্যান্ট পরেও সে সরল পথে পরিচালিত হয়।আল্লাহ্ সম্বদ্ধে তার অন্তর মুমিন। এমনো মানুষ আছে মাথায় টুপি গায়ে জুব্বা, মূখে দাড়ী ও হাতে তসবি তার পরেও অন্তরে কুটিলতা কিংবা বাঁকা পথের চলার সভাব রয়েছে। সে মুমিন নয় যে পাঁচ ওয়অক্ত নামাজ পড়বে আবার অপকর্ম সব’ই করবে। আসলে কে মুমিন এর জন্য কোন পোশাক পরিচ্ছদের দরকার হয়না দরকার হয় শিরক মুক্ত, কু-চিন্তা মুক্ত নফস্ এর। যে নফস্ নিজের নিয়ন্ত্রে চলে এবং পরিচালিত হয় জনকল্যাণ মূখী মানব সেবায়।

অনেকে আছেন যারা কেউ কেউ গোপনে আল্লাহর তাকুয়া আদায় করে। আল্লাহ্ র এবাদত কেবল মসজিদেই করতে হবে তানাহলে হবে না এমন কথা কেউ হলপ করে বলতে পারবে না। আর কেউ যদি বলে মসজিদ ছাড়া ইবাদত হবে না তাকে অবশ্যই ভালো করে জান্তে হবে গোপন ইবাদত কি? এবং কেনই গোপন ইবাদতের কথা আল্লাহ্ বলেছেন। রাসুল (সাঃ) পাহাড়ের গুহায় গোপনে কি ইবাদত করতেন।পৃথিবীর আদী থেকে মতান্তরে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পাইগম্বর এর জীবনী পুরো না জানলেও আমরা যতটা জানতে পায় তাতে দেখা গেছে বেশীর ভাই নবী বা রাসুল তার নবুয়ত পেয়েছে গোপন ইবাদত করে। প্রকাশ্য ইবাদত মানুষকে দেখানো যায় আল্লাহকে দেখানো যায় না। এই সব বিষয় গুলি ভালো করে জান্তে হলে জ্ঞান আহরণের বিকল্প নাই। পোশাক আশাক ইবাদতের অংশ নয়; তা দিয়ে কোন ইবাদত হয়না, দাড়ী টুপি দিয়ে কোন উপাষনা কিংবা প্রর্থনা হয় না। প্রকৃত পক্ষে সালাত কিংবা আল্লাহ্ র তাকুয়া আদায় হয় অন্তরের চাওয়া পাওয়া ও একিনের উপর ভিত্তি করে। অনেককে বলতে শুনেছি কাবার দিকে মূখ করে পেশাব-পায়খানা করা যাবে না, এনম হাদীসও আছে। নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ



১। আবু আইউব আনছারী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন: রাছুল (সাঃ) বলেছেন, মল-মুত্র ত্যাগের সময় কেহ কেবলামুখী বসবে না। কেবলার দিকে পিঠও দিবে না,পূর্ব বা পশ্চিমমুখী বসবে না। [দ্র: বোখারী, ১ম খ. ১২ সংস্করণ, আ. হক; হাদিছ নং-১১৪, পৃ: ১২৫; হামিদিয়া লাইব্রেরী]



২। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, লোকেরা বলে, যখন তুমি পেশাব-পায়খানায় বসবে, তখন তুমি কিবলার দিকে কিংবা বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করবে না। আমি একদিন আমাদের ঘরের ছাদে উঠে দেখলাম রাছুল্লাহ (সাঃ) দু'টি ইটের উপর বসে বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে পায়খানা- পেশাবের জন্য বসে আছেন। [ দ্র: বোখারী, ১ম খ. ১২ সংস্করণ, আ. হক; হাদিছ নং-১১৫, পৃ: ১২৫; হামিদিয়া লাইব্রেরী।



প্রকৃতপক্ষে কিবলার দিকে কিংবা বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে পেশাব-পায়খানা করা যাবেনা এটা ঠিক নয়; এটা অন্তত আমি বিশ্বাস করি না। অবশ্য এমন যদি কোন কঠিন বিধান থাকতো তবে আল্লাহ্ কোরআনে তার পবিত্র কালাম দিয়ে স্পষ্ট বলে দিতেন আর সব অন্য বিষয় গুলির মত। মনে রাখতে হবে আমার মনের উদ্দেশ্য কি, উদ্দেশ্য কাকে বলে। আপনি কি ভাবছেন সেটা আপনার মনের একান্ত চিন্তা-ভাবনা। আপনার উদ্দেশ্য কেবলাকে অপবিত্র করা যদি হয় সেটা ভিন্ন ও গর্হিত কাজ। আর যদি মনের উদ্দেশ্য তানা হয় তাহলে পাপ হতে পারে না। পেশাব-পায়খানার যেমন একটা উদ্দেশ্য আছে; ঠিক কাবা আর বায়তুল মোকাদ্দাস ঘর সম্পূর্ণ আলাদা ব্যাপার। পেশাব-পায়খানা যদি কেবলাকে খাটো করতে করা হয় সেটা উদ্দেশ্য। আর যদি কেবল তাগিদের প্রয়োজনে পেশাব-পায়খানা তাহলে সেটা কখন’ই নয় কটাক্ষের খাতায়।কেবলার দিকে মুখ করে পশাব পায়না কেউ করতে’ই পারে সেটাকে বিধান করে বন্ধ করার কথা বলা বরং তিনাকে সেই উদ্দেশ্যে ফিরিয়ে নেয়ার মত আরকি। আমি যা বলতে চাচ্ছি তাহলো কেউ পেশাব-পায়খানা করছে; এই অপবিত্র অসুচি সময় শরীয়তের এই বিধান মনে আসলে আগে সেই পবিত্র ঘরগুলো ছবি তার চোখে আগে ভেসে আসবে পেশাব-পায়খানা করতে করতে।সেটা কি ভালো কাজ? বরং এই বিধান যদি না থাকতো তাহলে এই নাপাকি কাজের সময় কেই এই পবিত্র ঘরগুলোকে মনে করতো না। তাহলে অনেক বলবেন শরীয়তে এই কথা না বললে মানুষ কেবলার দিকে মুখ করে অনায়াশে তখন পেশাব-পায়খানা করতো। আমি একমত নয়; এটা মোটেও সঠিক কথা নয়।যেমন ধরুন এই বিধি নিষেধ কেবল আজ থেকে ১৪ শত বছর আগের। তার আগেও রয়েছে তাওরাত, জাব্বুর ও ইঞ্জিল। এই সব কিতাবে এমন বিধি নিষেধের কথা নাই।বেদ ও গীতাতেও এমন নিষেধের বাণী পাওয়া যায় না। তাহলেকি ইহুদি, খ্রীষ্টিয়ানরা তাদের কেবলাকে কোন দিন কটাক্ষ করেছে? সনাতন ধর্মের হিন্দুরা কি কোন দিন মন্দিরের দিকে পেশাব-পায়খানা করতে গিয়ে কটাক্ষ করেছে? করে নাই বরং মনে করানোটা’ই এক ধরনের খারাপ চিন্তা। আমি মনে করি নাপাকি মল-মূত্র ত্যাগের সময় এই বাণী মনে পড়াটাও এক ধরনের মনে করিয়ে দেওয়া। আপনারা যারা নামাজ পড়েন তারা ভালো করে জানেন যে, আপনি বাসায় বা কোন ফাকা জায়গায় নামাজ পড়ছেন। কন্তিু আপনার নামাজের সামনে দিয়ে কেউ যাতায়াত করছে, সে ক্ষেত্রে আপনার সামনে একটা ইট, চেয়ার, বেঞ্চ অথবা কোন নিরেট বস্তু রেখে দিলেই চলবে। কেন? সেই বস্তুটি আমার সামনে দিয়ে যাতায়াতরত মানুষের পতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলো।যদি একটি ইট, চেয়ার, বেঞ্চ আপনার সামনের যাতায়াতরত মানুষটির প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে, তাহলে হাজার হাজার মাইল দূরে রয়েছে কেবলা। সামনে পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, বটবৃক্ষ বাড়ীঘর; শত শত হাজার হাজার রয়েছে। সেই সব পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, বটবৃক্ষ বাড়ীঘর গুলো কেন আপনার কেবলার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না?

তাহলে আমি যদি বলি আমারা অনেকেই নামাজ আদায়ের সময় জায়নামায ব্যবহার করি। সেই জায়নামাযে নানান মসজিদ, মদিনা শরিফ এমনকি কাবা ঘরের ছবি দেখি যেটা নামাজ আদায়ের সময় পায়ের নিচে থাকে। তবেকি আমরা বলবো যে, মসজিদ, মদিনা শরিফ ও কাবা ঘরকে নামাজিরা পদদলিত করছে? যদি পেশাব-পায়খানা এই হাজার হাজার মাইল দূরে থেকে কেবলাকে কটাক্ষ করতে পারে তাহলে কেন এই নিকটে পায়ের নীচে জায়নামাজে অংকিত মসজিদ, মদিনা শরিফ ও কাবা ঘর এর উপর দাড়ানো ব্যাক্তির পায়ের নিচে রেখে সেগুলোকে কটাক্ষ করা হবে না বলুন? আমি জানি উপরে উল্লেখিত হাদীসের বিপরিত মূখি কথা আলেম ওলামাদের জানা নাই; আর থাকলেও সেই জ্ঞান নেই যে, জ্ঞানের কথা কোরআন বলেছে। অনেকে ঘুমানোর কথাও বলেছে একই; কাবার দিকে পা দিয়ে ঘুমানো যাবে না। আমি সেলিম জাহাঙ্গীর মনে করি কোন দিক বা স্থান এটা মূল বিষয় নয়; প্রকৃত সত্য হলো আমার মনের আসল উদ্দেশ্য। আমি মনে করি ইসলাম ধর্ম এত জটিল কোন ধর্ম নয় তা, কোরআনে মাবুদ স্পষ্ট অনেকবার বলেছেন। আমরা না জানার কারনে এই সত্য ধর্মকে অনেক কঠিন ও জটিল করে তুলেছি দিনের পর দিন। সত্য চির দিন’ই সত্য মিথ্যার বেসাতির আবরন নয়, সঠিক তাকুয়া আদায়ের ব্রত নিয়ে এগিয়ে চলতে হবে সামনের দিকে এটা হোক সকলের সরল পথের প্রত্যাশা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্য চির দিন’ই সত্য মিথ্যার বেসাতির আবরন নয়, সঠিক তাকুয়া আদায়ের ব্রত নিয়ে এগিয়ে চলতে হবে সামনের দিকে এটা হোক সকলের সরল পথের প্রত্যাশা ..

২| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৪৬

alicebobby বলেছেন: মহান সাইট আরো পোস্ট রাখা! [build now gg](https://buildnowgg.io)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.