নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

সেলিম জাহাঙ্গীর

সেলিম জাহাঙ্গীর যে দ্যাশে নাই জীন মরণরে আমার মন ছুটেছে সেই দ্যাশে গুরু লওনা আমায় তোমার সে দ্যাশে

সেলিম জাহাঙ্গীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেবল সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত না খেয়ে থাকা, পানাহার না করা, স্ত্রীসম্ভোগ হতে বিরত থাকাই রোজা নয়।

১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২৫

১ম পর্ব

রমজানে অনেকেই রোজা রাখবে কিন্তু রোজার মূল উদ্দেশ্য কেউ বোঝে না; কেবল জানে হাতেগুনা দু-একজন; এদের চেনা যায় না। রোজা ফার্সী শব্দ। আরবীতে রোজাকে বলা হয়ে থাকে সিয়াম। যারা রোজা পালন করে তাদের কে :সায়েম“ বলা হয়। “সিয়াম“ এর বুৎপত্তিগত অর্থ হলো বিরত থাকা। কি থেকে বিরত থাকা? কোন একটি কর্ম থেকে যেমন, খাদ্য খাওয়া থেকে বিরত থাকা। তাহলে উদ্দেশ্য কি? কেবল আল্লাহর হুকুম পালন করা? যদি ধরে নেয়া হয় মাবুদের হুকুম পালন করাই হচ্ছে রোজা, তাহলে আমাকে আল্লাহ রোজা থাকতে বলার জন্য তার ফায়দা কি? আমি রোজা না রাখলেই বা তার ক্ষতি কি? এমন প্রশ্নে নিজেকে আগে ভালো করে জাগ্রত করতে হবে। আমায় না খাওয়াইয়ে ভুখা রেখে আল্লাহর কি লাভ? আল্লাহ কোরআনে বলছে “ইয়া আইয়্যুহাল্লাযিনা আমানু কুতিবা আলাইকুমুচ্ছিইয়ামু কামা‘কুতিবা আলাল্লাযিনা ফি কাব্লিকুম লাআল্লাকুম তাত্তাকুন“ অর্থাৎ হে আমানুগণ বা ঈমানদারগণ অথবা ভক্তগণ, তোমাদের উপর সিয়াম কেতাবস্ত করা হলো যেমন কেতাবস্ত করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তীগণদের উপর, যেন তোমরা ত্বাকওয়া করো (বাকারা ১৮৩) তাহলে আল্লাহ বলছেন পূর্ববর্তীগণদের উপর এই রোজা দেওয়া হয়েছিলো। এখন কথা হতেই পারে তাহলে কোরআন কোন পূর্ববতীদের রোজান সময় নাজিল হয়েছিলো নাকি কেবল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর রোজার সময়? আল্লাহর নূরে সৃষ্টি মানুষ-ই কিতাব তা একটু গভিরে গেলে জানা যাবে। কি পাঠক গালি দিচ্ছেন? আমার লিখা পুরোটা পরে তার পরেনা হয় গালি দেবার কামটি করবেন। আল্লাহর নূরে সৃষ্টি মানুষ-ই কিতাব যা পাঠ করতে হয় শূন্য থেকে এবং এই কিতাব খোলা হয়েছে আল্লাহর মৌলিক সপ্ত সেফাত থেকে। কিতাবে বলছে সিয়াম কেতাবস্ত করা হলো মানে প্রত্যেক মানব সত্তার সাথে সিয়াম বা রোজা বিজড়িত আছে। সিয়াম সাধনা এমনই ইবাদত যা সকল ইবাদতের প্রধান দরজা স্বরূপ। রোজাকে উপেক্ষা করে কখনোই সত্যের দারস্ত হওয়া যায় না। ইনছানি বা মানবাত্মার গুণাবলী বিকশিত করার এবং তা হেফাজত করার ঢাল স্বরূপ হচ্ছে রোজা বা সিয়াম। রাসুল (সাঃ) বলতেন “ রোজা আত্মরক্ষার ঢাল স্বরূপ। কেবল সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত না খেয়ে থাকা, পানাহার না করা, স্ত্রীসম্ভোগ হতে বিরত থাকাই রোজা নয়। যদি তায় হয় তাহলে এটা কোরআন পরিপন্থি। কোরআনে এই রোজার কথা বলা হয়নি। নফসের দুনিয়ামূখী ক্রিয়াকলাপ হতে বিরত থাকা বা ইন্দ্রিয় পথে মস্তিষ্কে আগত বিষয় রাশিকে পরিশুদ্ধ করা বা আমিত্বের কলুষ হতে পবিত্র হয়ে মনকে আল্লাহর প্রতি রুজু রাখাকেই সিয়াম বা রোজা বলা হয়ে থাকে এবং কোরআনে ইহাকে সিয়াম বলা হয়েছে। সব যুগেইএই রোজা ছিলো বলে ইতিহাস প্রমানিত। সিয়াম হলো যা,বাহ্যিক দিকটা হলো সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার হতে বিরত থাকার আনুষ্ঠানিকতাই হচ্ছে রোজা। কিন্তু এটা অবশ্যই মূল রোজা নয়।



কেবল সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত না খেয়ে থাকা, পানাহার না করা, স্ত্রীসম্ভোগ হতে বিরত থাকাই রোজা নয়---



১ম পর্ব চলবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৮

পুকুরপাড় বলেছেন: নফসের দুনিয়ামূখী ক্রিয়াকলাপ হতে বিরত থাকা বা ইন্দ্রিয় পথে মস্তিষ্কে আগত বিষয় রাশিকে পরিশুদ্ধ করা বা আমিত্বের কলুষ হতে পবিত্র হয়ে মনকে আল্লাহর প্রতি রুজু রাখাকেই সিয়াম বা রোজা বলা হয়ে থাকে এবং কোরআনে ইহাকে সিয়াম বলা হয়েছে - কোথায় , কোন আয়াতে বলা হয়েছে ?

১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৯

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: অপেক্ষা করুন পরের লিখাগুলোর জন্য। আমার লিখাটি ধারাবাহিক ভাবে পড়তে থাকুন সব গুলো উত্তর পেয়ে যাবেন। কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অনকে অনেক ধন্যবাদ।

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬

নীলতিমি বলেছেন: কেবল সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত না খেয়ে থাকা, পানাহার না করা, স্ত্রীসম্ভোগ হতে বিরত থাকাই রোজা নয়।

রেসিস্ট টাইটেল!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.