নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

সেলিম জাহাঙ্গীর

সেলিম জাহাঙ্গীর যে দ্যাশে নাই জীন মরণরে আমার মন ছুটেছে সেই দ্যাশে গুরু লওনা আমায় তোমার সে দ্যাশে

সেলিম জাহাঙ্গীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

১ পর্বের পর ২য় পর্ব- কেবল সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত না খেয়ে থাকা, পানাহার না করা, স্ত্রীসম্ভোগ হতে বিরত থাকাই রোজা নয়।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৭

Click This Link



তবে এখান থেকে শুরু মানে এটা প্রতীক বা রূপক। আসল রোজা বুঝবার জন্য চেনার জন্য রাসুল (সাঃ) প্রতীকের মানে মোহকামাত যা রূপকের ছায়ায় আচ্ছাদত,বিধায় ইসলামের সামাজিক আনুষ্ঠানিকতার কোন মূল্যই নাকে না। কোরআনের রোজা সব সময় সার্বক্ষাণিক এবং সার্বজনীন তায় যারা কেবল পানাহার স্ত্রী সম্ভোগ ইত্যাদি হতে বিরত থাকাকেই রোজা বুঝে এবং পার্থিব বা জাগতিক বিভিন্ন হরেক রকমের খাবার খাওয়াকে ইফতার জানে এরা ওহাবী মৌলবাদ তথা ধর্মভ্রষ্ট প্রতারক। এই সমস্ত নির্বোধ তথাকথিত আলেম মৌলবাদিগণ এই জন্যই রমজান মাসে হোটেল বন্ধ করার জন্য মিছিল সভা সমাবেশ ও মানববন্ধন করে থাকে। উদ্ধেশ্য তাদের একটাই জোর করে, বাধ্য করে রোজা রাখতে মানুষকে প্রেসার দেওয়া। এই সমস্ত জঘন্য কুকীর্তি কেবল মুসলমান সামাজেই আছে। রোজার হাকিকত এরা বুঝে না এবং বুঝতে চায় না। এরা ধর্মের লেবাস পরে যুগে যগে অবস্থান করে বিধায় সাধরণ মানুষ তাদের চিনতে পারে না। মুয়াবিয়া-ইয়াজিদ তাদেরই গুরু পোষা মৌলবীগণ রোজা বলতে শুধু জৈবিক দেহের পানাহারাদি হতে বিরত থাকাকেই বুঝেছে; পার্থিব সন্ধ্যা বেলাকে ইফতার বুঝেছে আর বুঝেছিলো বলেই অনুসারীগণও বর্তমানে সেটাই মানুষকে বোঝাচ্ছে। আসলে ধর্মীয় লেবাসের অন্তরালে এরা কারা? এইসব মানুষগুলো নবী বংশের মাথার উপর তালোয়ার ধরে হত্যা যজ্ঞ চালিয়ে তাদের মতবাদগুলোকে প্রতিষ্ঠা করতে আল্লাহ, রাসুলের দোহায় দিয়ে ইসলামের নামে আজও চালিয়ে যাচ্ছে নানান ওয়অত নসিয়ত, এজমা কিয়াস। কারবালা যুদ্ধে ইয়াজিদ পরাজিত হয় নাই, হয়েছিলো নবীর আওলাদ হুসাইন (রাঃ)। যিনারা নবীর আওলাদরে হত্য করলো তারা কোন ইসলাম প্রতিষ্ঠার লড়াই করছেলো কেউ বলতে পারবেন? তেবেকি হুসাইন (রাঃ) ইসলামের দুশমন ছিল? যে হুসাইন (রাঃ) এর সাথে মতবাদ হলো যুদ্ধ হলো? এই কুলাঙ্গার ইয়াজিদদের দেয়া নতুন নতুন মতবাদ তারা সফলভাবে ইসলাম ধর্মের মধ্যে প্রবশ করিয়ে গেছে যা অদ্যাবদি অধিকংশ মুসলমান কাঁধে নিয়ে বেড়াচ্ছে বহাল তবিয়তে।

কোরআনে বলা হয়েছে : “শাহরু রামাদান্নাল্লাজী উনযিলা ফীহিল কোরআনু হুদাল্লিন্নাছি ওয়া বায়্যিনা তিম্মিনাল হুদা ওয়াল ফুরকান“ অথাৎ: রমজান মাস ইহাতে কোরান নাযিল হয় যাহা মানুষের জন্য একটি হেদায়েত এবং হেদায়েতের একটি ব্যাখ্যা এবং ফুরকান। রমজান কথাটি “রমজুন“ শব্দ হতে আগত। রমজান মানে জ্বলে যাওয়া বা পুড়ে যাওয়া। কারণ, যেহেতু রমজানে সমস্ত গুনাহকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়, তথা জীবাত্মার গুণ- খাছিয়াত পরিহার করে ইনসানিয়াত প্রতিষ্ঠিত হয়; তায় একে রমজান বলা হয়। এমাস পার্থিব কোন মাস নয়। পার্থিব মাস কথাটা রূপক বা আসলের উপমা স্বরূপ বলা হয়েছে। এই রূপকের পর্দা ভেদ করলে আসল বা হকিকত পাওয়া যাবে। কাজেই রমজান মাসে কোরআন নাজিল হয় এই মাস চিরন্তন-শাশ্বত কালের মাস, যা অখন্ড কালে বিরাজিত।



১ পর্বের পর ২য় পর্ব- কেবল সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত না খেয়ে থাকা, পানাহার না করা, স্ত্রীসম্ভোগ হতে বিরত থাকাই রোজা নয়।---------------চলবে

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: স্ত্রীসম্ভোগ কি ধরনের শব্দ ! B:-) B:-) B:-)

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: স্ত্রীসম্ভোগ কথাটি আসল শব্দ। অনেকে বলে স্ত্রী সহবাস কিন্তু কথাটি ঠিক নয় , স্ত্রীর সাথে সহবাস অর্থ স্ত্রীর সাথে সহ অবস্থান। আমরা স্ত্রীর সাথেই টিভি দেখি, গল্প করি,আড্ডা মারি এইগুলো সহ অবস্থান ও সহবাসের মধ্যে পড়ে, এক কথায় একসাথে বাস। স্ত্রীর সাথে মেলা মেশা কথাটিও ঠিক নয়। কারন স্ত্রীর সাথে এক বিছানায় ঘুমানো স্ত্রীর হাতের নাওয়া খাওয়া এই গুলো মেলামেশা ও সহবাসের সাথে পড়ে। এই গুলো রোজা থেকে করা যাবে। কিন্তু স্ত্রীসম্ভোগ করা যাবে না। আশা করি বিষয়টি ক্লিয়ার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.