নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

সেলিম জাহাঙ্গীর

সেলিম জাহাঙ্গীর যে দ্যাশে নাই জীন মরণরে আমার মন ছুটেছে সেই দ্যাশে গুরু লওনা আমায় তোমার সে দ্যাশে

সেলিম জাহাঙ্গীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ যে সর্ব ভুতে আছে এটা হাদীস এবং কোরআনের কোথাও উল্লেখ নাই---ডা: জাকির নায়েক।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০৭

গতকাল ৩ এপ্রিল ২০১৪ রাতে পিচ টিভিতে একটা প্রোগ্রাম দেখছিলাম। মঞ্চে ছিলো ডা: জাকির নায়েক ও রবি শঙকর। কিন্তু রবি শংকরের একটি কথার প্রেক্ষিতে জাকির নায়েক বললেন আল্লাহ যে সর্ব ভুতে আছে এটা হাদীস এবং কোরআনের কোথাও উল্লেখ নাই। আমার বড় অবাক লাগলো কথাটা শুনে নায়েক সাহেব এটা কি বললেন?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৮

কষ্টবিলাসী বলেছেন: আল্লাহ্‌পাক আরশে আজিমে সমাসীন আছেন। "সবকিছুতে ঈশ্বর আছে" এটা হিন্দু বিশ্বাস, সম্ভবত। আমি ভুলও হতে পারি। জাকির নায়েক বলে থাকলে ভুল বলছেন। লিঙ্ক দিন প্লিজ।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫০

হোসেন মনসুর বলেছেন: একটু ভাল করে শুনলে ডা: জাকির নায়েক-এর লেকচারে আরো অনেক ভূল পাবেন যা আমরা অন্ধ ভক্ত হওয়ার কারণে দেখতে পাইনা। আপনি যে লেকচারটি শুনেছেন তাতেই রয়েছে রবি শংকরের বক্তব্যে যে, "কে বলে তাকে দেখা যায় না, প্রিয়াকে প্রশ্ন কর সে তো তাকে ছাড়া কিছুই দেখে না''- এ কথাটি হযরত আলী(রাঃ)-এর" আমি এমন কোন স্রষ্ঠার ইবাদত করি না, যাকে আমি দেখি না" এই উক্তিটি দ্বারা সমর্থিত অথচ ডা: জাকির নায়েক শুধু মাত্র ডিবেটে জয়ের জন্য তাহা অস্বিকার করেন। ডা: জাকির নায়েকের সঠিক ইসলাম প্রচারটা মূখ্য নয় বরং তার মূখ্য উদ্দেশ্য হল যে কোন প্রকারে ডিবেটে জয় লাভ করে এটা প্রমাণ এবং প্রচার করা যে, ডা: জাকির নায়েককে কেউ ডিবেটে হারাতে পারেনা।

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:০৪

মশিকুর বলেছেন:
শ্রী শ্রী রবি শংকরের কথার প্রেক্ষিতে নয়, এক দর্শকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই আলোচনা করেছিলেন। যেকোনো কারনে হোক ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে..

তিনি বলেছেন, মহাভারত এবং উপনিষদে আছে যে সব কিছুতেই ঈশ্বর রয়েছেন, অর্থাৎ যেকোনো কিছুই ঈশ্বর। কিন্তু আমারা মুসলমানরা এটা বিশ্বাস করি না। পবিত্র কুরআন এবং এমন কোন সহিহ হাদিস নেই যেখানে এ কথা বলা আছে। এমন কি পবিত্র বেদ যা শ্রী শ্রী রবি শংকরও হিন্দুদের সবচেয়ে পবিত্র গ্রন্ধ বলে স্বীকার করলেন, সেখানেও এ কথা নেই। পবিত্র বেদে রয়েছে যে, ঈশ্বর কেবল মাত্র একজন। যা পবিত্র কুরআনেও রয়েছে। সৃষ্টিকর্তা যখন পৃথিবী তৈরি করেছেন তার জ্ঞানের কিছুটা প্রানিদের শিক্ষা দিয়েছেন, আমদের মাঝে তার জ্ঞানের কিছু অংশ রয়েছে, কিন্তু তিনি প্রানিদের মধ্যে নেই। তাহলে দেখা যাচ্ছে পবিত্র বেদ এবং কুরআন একই কথা বলছে "সৃষ্টিকর্তা কেবল একজনই, সব কিছুই সৃষ্টিকর্তা না, বরং সৃষ্টিকর্তার জ্ঞানের কিছু অংশ সবকিছুতে রয়েছে।" >> হুবুহু তো মনে নেই তবে কথাগুলো মোটামুটি এরকমই ছিলো।

একটা অনুষ্ঠান বৃহস্পতি- শুক্রবার মিলিয়ে কমপক্ষে চারবার পুনপ্রচার করা হয়, যাতে সবাই ভালোভাবে বুঝতে পারে। এগুলো পুনপ্রচার হতেই থাকে। এখানে ভুল থাকা প্রায় অসম্ভব। কারন কখনও যদি ভুল তিনি করেই থাকেন, তাহলে সেটা তিনি প্রচার করবেন না।

আশা করি এবার কিছুটা পরিষ্কার হয়েছে।

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৩১

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: কষ্টবিলাসী, আমি অনুষ্ঠানটা সরাসরি পিচ টিভিতে দেখেছি যার ফলে কোন লিংক দিতে পারছিনা বলে দু:খিত। তবে এটা প্রায় পূর্ণ প্রচার হয় কখনো সময় পেলে দেখবেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৩৭

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: হোসেন মনসুর, আপনার কথার একটি রেফারেন্স খুব ভালো লেগেছে আপনি বলেছেন: "কে বলে তাকে দেখা যায় না, প্রিয়াকে প্রশ্ন কর সে তো তাকে ছাড়া কিছুই দেখে না''- এ কথাটি হযরত আলী(রাঃ)-এর" আমার কথাও তায়। কোরআনের কোন একজায়গায় আমি পড়েছি ঠিক এই মূহুর্তে মনে পড়ছে না। তবে কথাটি ঠিক এমন: আল্লাহ্ বলছেন যে রাসুলের হাতে হাত রাখলো সে আমার হাতে হাত রাখলো, যে রাসুলকে দেখলো সে আমাকে দেখলো। এই কথার একটি নিগুড় তত্ব রয়েছে। যেটা নিয়ে অনেক কথা বলা যায়। যাহোক ভালো থাকবেন, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৪৪

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: মশিকুর, আপনি বলেছেন সৃষ্টিকর্তা যখন পৃথিবী তৈরি করেছেন তার জ্ঞানের কিছুটা প্রানিদের শিক্ষা দিয়েছেন, আমদের মাঝে তার জ্ঞানের কিছু অংশ রয়েছে, কিন্তু তিনি প্রানিদের মধ্যে নেই। আপনি বলছেন তিনি প্রনীদের মধ্যে নেই। আমি এই বিষয় নিয়ে তর্কে যাবো না। তবে কোরআন কেবল মুখস্ত করবার আর হরপ এর ওপর চোখ রেখে পড়বার বিষয় নই। কোরআনকে হৃদয়ের সহিত হৃদয়ঙ্গম করে পড়তে হবে তবেই দর্শন জাগ্রত হবে। জাকির নায়েক একজন ভালো মুখস্তবিদ, তিনার সব কিছু পড়ে মাথায় ধারন করার ক্ষমতা প্রখর। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে এটা কিছুটা রোবটের মত। তিনি সফট ওয়ারের বাইরে যেতে পারেন না। তিনি অনেক পড়েছেন তবে তিনার মাঝে তার নিজস্ব কোন দর্শন আজও জাগ্রত হয় নাই বলে আমার ধারনা। ভালো তাকবেন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬

মশিকুর বলেছেন:
কথাগুলো আমি বলিনি, জাকির নায়েক সেই লেকচারে বলেছিলেন যে লেকচার শুনে আপনি অবাক হয়েছিলেন। জাকির নায়েক মুখস্তবিদ, রোবট হলে সমস্যা কি? তার কথা কুরআনের সাথে মিললে মানব আর না মিললে মানব না।

আপনি ঠিক বলেছেন "তবে কোরআন কেবল মুখস্ত করবার আর হরপ এর ওপর চোখ রেখে পড়বার বিষয় নই। কোরআনকে হৃদয়ের সহিত হৃদয়ঙ্গম করে পড়তে হবে তবেই দর্শন জাগ্রত হবে।" তাহলে কুরআন থেকেই দেখি কি বলা আছে তাতে..

সূরা নং ২ আয়াত ৩১>> "তিনি আদমকে সবকিছুর নাম শিক্ষা দিলেন। পরে সেগুলো তুলে ধরে ফেরেশতাদের বলেলন, তোমরা এগুলোর নাম বল, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।"

এবার বলেন আদম(আঃ) কে আল্লাহ্‌ শিক্ষা দিলেন। সে শিক্ষা তার বংশধরের মধ্যে এসেছে কিনা? তবে আল্লাহর জ্ঞানের সম্পূর্ণটা শিখিয়ে দেননি। আল্লাহ্‌ যুগে যুগে নবী পাঠিয়েছেন মানুষদের শিক্ষা দেয়ার জন্য। নবীদের শিক্ষা দেয়ার জন্য পাঠিয়েছেন আসমানি কিতাব। ভাই এগুলো বেসিক জিনিষ, যদি আপনি মুসলমান হয়ে থাকেন।

যেহেতু কুরআন থেকে উদ্রিতি দিয়েছি তাই ধরে নিচ্ছি আপনি মেনে নিয়েছেন যে "সৃষ্টিকর্তা যখন পৃথিবী তৈরি করেছেন তার জ্ঞানের কিছুটা প্রানিদের শিক্ষা দিয়েছেন, আমদের মাঝে তার জ্ঞানের কিছু অংশ রয়েছে।"


এবার দ্বিতীয় অংশ, সৃষ্টিকর্তা কোথায় আছেন? তিনি কি সব জায়গায় আছেন? তিনি কি সব প্রাণীদের মধ্যে আছেন?


সূরা নং ৩২ আয়াত ৪>> "আল্লাহ্‌ আকাশ ও পৃথিবী এবং এদের মধ্যকার সব কিছুই ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, পরে তিনি আরশে সমাসীন হন........." (অন্তত আরও তিনটি আয়াতে একেবারে একই কথা লেখা আছে। যেমনঃ সূরা নং ৭ আয়াত ৫৪, সূরা নং ১০ আয়াত ৩, সূরা নং ১১ আয়াত ৭)

এর ঠিক পরের আয়াত, সূরা নং ৩২ আয়াত ৫>> "তিনি আকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত সবকিছুই পরিচালনা করেন। শেষে একদিন তার কাছেই সব কিছু ফিরে যাবে....." এবার প্রশ্ন করেন আল্লাহ্‌ সব কিছু কথা থেকে পরিচালনা করেন? আমরা কোথায় ফিরে যাবো? :)

আচ্ছা?? হজরত মুহাম্মদ(সাঃ) মিরাজে আল্লাহর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন কি প্রমান করতে??? যে আল্লাহ্‌ সব জায়গায় আছেন? নাকি আল্লাহ্‌ আরশে আছেন?

আল্লাহ্‌ ইসা(আঃ) তার কাছে উঠিয়ে নিলেন। কি প্রমান হয় আল্লাহ্‌ সব জায়গায় আছেন???


মনেহয় দুটি লাইনই এখন পরিষ্কার হয়েছে। আপনার পোস্টের জবাব এই পর্যন্তই।

শুভকামনা।।

**********************************************************

উৎসাহী পাঠকদের জন্য নিচের অংশঃ

মানুষের মধ্যে ঈশ্বর রয়েছে এটি খ্রিস্টানদের ধারনা। তাঁরা মনে করতো ঈসা(আঃ) ঈশ্বরের পুত্র এবং ঈশ্বর। তেমনি হিন্দুদের মহাভারত (যা হিন্দুরাও মানেন সরাসরি ঈশ্বরের বানী না, কেউ লিখেছেন) অনুসারে, সব কিছুই ঈশ্বর। যেমনঃ গাছ ঈশ্বর, পাখি ঈশ্বর, সাপ ঈশ্বর। আবার হিন্দুদের পবিত্র বেদ(যা হিন্দুরা মানেন ঈশ্বরের বানী) অনুসারে ঈশ্বর কেবল মাত্র একজন।

যেকেউ যেকোনোটা মানতে পারে আমার কোন সমস্যা নেই। তবে মহাভারত মানলে কেউ মুসলমান হবে না, বেদ মানলেও না। তেমনি কুরআন মানলে কেউ নিজেকে হিন্দুও বলতে পারবে না।
*************************************************************
তবে পবিত্র গ্রন্ধ গুলতে ভুল বোঝাবুঝির উপাদান রয়েছে। এজন্যই পূর্বের গ্রন্ধগুলো বিকৃত হয়ে গেছে। একমাত্র আরবি কুরআন ছাড়া কুরআনের যেকোনো অনুবাদ, যেকোনো হাদিস, জাকির নায়েকের লেকচার ১০০% সঠিক না। কারন এগুলো মানুষ রচনা করেছেন। আপনি জানেন হাদিস গুলো থেকে এখনও ভুল বের হয়? তবে সহিহ হাদিস গুলোতে ভুল নেই বললেই চলে। তবে এমন না যে ভবিষ্যতে ভুল বের হবে না।


এমনই ভুল বোঝাবুঝির উপাদান হল, আল্লাহ্‌ নিরাকার এবং সর্ববিরাজমান। শব্দ দুইটি পবিত্র কুরআনে আছে কিনা বা থাকলেও কোথায় আছে আমার ধারনা নেই(নিশ্চিত না)। আল্লাহর ৯৯ টি নাম এসেছে কুরআন থেকে। যেমনঃ দয়ার কোন লাইনের পর লেখা তিনি পরম দয়ালু, শাস্তির কোন লাইনের পর লেখা তিনি ন্যায়বিচারক, তেমনি আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ ইত্যাদি ইত্যাদি...

তবে শব্দ দুটি আছে হাদিসে। নিরাকার বলতে বুঝায় আকার নেই। এটা অর্থ কখনই অসীম না। অসীম হলে বুজতাম যে আল্লাহ্‌র বিস্তিতি আরশ থেকে অসীম পর্যন্ত। আসল কথা হল এটা বুঝার জ্ঞান আমাদের এখনও হয়নি। আমরা ৩ডি জগতে বাস করি। দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা দিয়ে আমরা আল্লাহর আকার নিধারন করতে পারবো না। আমরা যদি আরও উপরের মাত্রায় যেতে পারি তখন হয়তো ধার না করতে পারবো।

সর্ববিরাজমান দিয়ে আল্লাহর জ্ঞান সর্বত্র রয়েছে বা তার সৃষ্টি সর্বত্র ছড়িয়ে আছে বুঝে নিতে পারেন। তবে নিজে তিনি সর্বত্র নেই।
***************************************************************

৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২৭

হোসেন মনসুর বলেছেন: সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন,

"জাকির নায়েক একজন ভালো মুখস্তবিদ, তিনার সব কিছু পড়ে মাথায় ধারন করার ক্ষমতা প্রখর। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে এটা কিছুটা রোবটের মত। তিনি সফট ওয়ারের বাইরে যেতে পারেন না। তিনি অনেক পড়েছেন তবে তিনার মাঝে তার নিজস্ব কোন দর্শন আজও জাগ্রত হয় নাই বলে আমার ধারনা। জাকির নায়েক একজন ভালো মুখস্তবিদ, তিনার সব কিছু পড়ে মাথায় ধারন করার ক্ষমতা প্রখর। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে এটা কিছুটা রোবটের মত। তিনি সফট ওয়ারের বাইরে যেতে পারেন না। তিনি অনেক পড়েছেন তবে তিনার মাঝে তার নিজস্ব কোন দর্শন আজও জাগ্রত হয় নাই বলে আমার ধারনা।"

সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.