নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

সেলিম জাহাঙ্গীর

সেলিম জাহাঙ্গীর যে দ্যাশে নাই জীন মরণরে আমার মন ছুটেছে সেই দ্যাশে গুরু লওনা আমায় তোমার সে দ্যাশে

সেলিম জাহাঙ্গীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

`মূর্তি আর মূর্তি পূজা এক নয়"

২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:২৬

সুপ্রিমকোর্টের সামনের মূর্তি অপসারণ । মূর্তি আর মূর্তি পূজা এক নয় এটি হেফাজতের মত ধর্মান্ধরা বুঝবে না। কারন তাদের যে মাদ্রাসা লাইনে লেখাপড়া। এই মাদ্রাসায় এইসব জ্ঞান দেওয়া হয়না। তাদের পড়ানো হয় হাদীস-কোরআন, ইজমা, কেয়াশ।
সুপ্রিমকোর্ট কোন ইসলামিক ইবাদতখানা নায়। মূর্তি স্থাপন কোন মসজিদের চত্ত্বরে ঘটেনি। ঈদগাহের মিম্বরে ঘটেনি। তারচেয়ে বড় কথা, এটি মূর্তি পূজার খাতিরেও স্থাপন করা হয়নাই। প্রতি বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ঐ মূর্তির পায়ের নিচে কেউ পুষ্পস্তবক অর্পণ বা মোমবাতি প্রজ্বলন করবে এমনটির উদ্দেশ্যেও এটি স্থাপন করা হয়েছিলো বলে আমি মনে করিনা।
আমাদের প্রায় সকলের ঘরের শোকেসে ছোট ছোট নানান ধরনের পুতুলের প্রতিকৃতি আছে সেটি কোন মূর্তি পূজা নয়। কারন এটাকে কেউ দুধকলা এমনকি জবাফুল কিংবা ধুপও দেয়না, দিবেও না। এমনটিকেও যেমন মূর্তীপূজা বলা যাবে না। ঠিক কোর্টের সামনেরটিও মূর্তীপূজা নয়।
সোলামান (আ) তিনিও পূর্তি (ভাস্কর্য) তৈরী করতেন, করাতেন কোরআন তার জ্বলন্ত উদাহরণ। চলুন একটু দেখে নেয় ইসলামের দৃষ্টিতে কোরআনের সেই আয়াত।

সূরা সাবা ৩৭:১৩ আয়াতঃ يَعْمَلُونَ لَهُ مَا يَشَاءُ مِن مَّحَارِيبَ وَتَمَاثِيلَ وَجِفَانٍ كَالْجَوَابِ وَقُدُورٍ رَّاسِيَاتٍ اعْمَلُوا آلَ دَاوُودَ شُكْرًا وَقَلِيلٌ مِّنْ فَلَمَّا قَضَيْنَا عَلَيْهِ
অর্থঃ তারা সোলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী দুর্গ, ভাস্কর্য, হাউযসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত। হে দাউদ পরিবার! কৃতজ্ঞতা সহকারে তোমরা কাজ করে যাও। আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পসংখ্যকই কৃতজ্ঞ।
আল্লাহর হুকুমে দাউদ পরিবার এই কাজটি করতো। কিন্তু যারা নাবুজের দল তাদের কোরআনের এই আয়াতগুলো চোখে পড়বে না। এবং চোখে পড়লেও তা মানবে না।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি। সুপ্রিমকোর্টের সামনের মূর্তি অপসারণ দাবী করে আসছিলো তথাকথিত ইসলাম নামধারী হেফাজতে ইসলাম। আমি মনেকরি সরকার হেফাজতের একটি দাবী মানলো~ তারমানে তাদের ভিত কিছুটা শক্ত করেদিলো । আপনারাও ক্ষমতায় থাকার ভিত শক্তের খেলায় হেফাজতের ফাঁদে পা দিয়েছে বলে আমি মনে করি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী হেফাজতে ইসলামের সমস্ত দাবী মানলেও তারা নৌকায় কখনো ভোট দিবেনা, সুযোগপেলে ছোবল দিবে। তারা এই দেশ মানেনা, দেশের স্বাধীনতা মানে না। হেফাজতে ইসলামে জামায়াতের প্রেতাত্মা ভর করে আছে তার জন্ম লগ্ন থেকে। আপনি গুটিকয়েক ধর্মমান্ধ মানুষের কথায় ভাস্কর্যটি অবশেষে সরালেন? আপনার কি মনে হয় প্রগতিশীলরা এই দেশে সংখ্যায় খুবই কম। আপনাকে প্রগতিশীলরা অনেক ভালো বাসে। আজ ভোটের লোভে কিংবা তাদের সাথে জোট বাঁধার আশায় এই গুটিকয়েক ধর্মান্ধ মূর্খদের কথায় কোর্টের ভাস্কর্য অপসারণ করলেন। আগামীকাল ওরাই দেশের স্বাধীনতার ভাস্কর্য এবং এমনকি আপনার বাবার ভাস্কর্যগুলো ভাংতে দিধা করবে না!

১৯৯৬ তে আফগানিস্থানে তালেবানরা ক্ষমতা পায়। ক্ষমতা পাওয়ার সাথে সাথে তারা সেদেশের গুরুত্বপূর্ণ সব ভাস্কর্য ধর্মের দোহাই দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা শুরু করে। ২০০১ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধমূর্তি ‘বামিয়ান ভাস্কর্য’ তারা ভেঙ্গে ফেলে। শুধু ভেঙ্গে ফেলা নয় তারা মনে করেন এটি তাদের ঈমানী দায়ীত্ব। ইরানের মসুল শহরে জঙ্গীগোষ্ঠী আইএস একটি যাদুঘরের সব ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলে সেটি ইলেক্ট্রিক মিডিয়াতে আমরা সকলে দেখেছি। আজকের দিনে বাংলাদেশে সেই একই মানসিকতার বীজ বপন হলো। আমি মনে করি সুপ্রিমকোর্টের সামনের মূর্তি অপসারণ করা হেফাজতের মিশনের সূচনা। আজ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এমনকি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই। আজ আপনারা রাষ্ট্র ক্ষমতায়। কিন্তু যদি এমন হতোঃ আপনারা বিরোধী দল আর চারদলীয় জামায়াত-বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে এই ভাস্কর্য সরানোর কাজটি যদি করতো তাহলে আপনারা কি বলতেন এবং কি করতেন? তায় বলি যা করবেন ভেবে করুন, এটা উপদেশ নয় পরামর্শ।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৪৭

ইরফান আহমেদ ইমন বলেছেন: ভাস্কর্যটা কোন ধর্মের প্রতি খারাপ কিছু তো ইঙ্গিত করছেনা।বরং আইন সবার জন্য যে সমান সেই প্রতীক বহন করছে ।
সব মিলিয়ে এখানে একটা রহস্য থেকে গেল....

২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৪৭

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: ঠিক তাই রহস্য থেকেই গেলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কমেন্টস করার জন্য।

২| ২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মাদ্রাসাগুলোতে দরকারী নলেজ আদৌ দেয়া হচ্ছে কিনা বুঝা মুশকিল।

২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৫০

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: দেয়া হচ্ছেনা ঠিক তানয়। তবে যা দেওয়া হয় তা দিয়ে পৃথিবী চলেনা। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৩১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আদ্যোপান্ত পাঠ করিলাম, যাহা বুঝিলাম তাহা পরবর্তীতে বলিব। আপাতত আপনি আমাকে ধর্মান্ধ শব্দের তাথ্যিক বিশ্লেষণ করত বুঝিয়ে দেবেন বলিয়া আশা করিতেছি!


অপেক্ষায় রইলাম...

২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৪৫

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: কোনো ধর্মই উগ্র অথবা অন্ধ নহে। ধর্মই মানুষকে আলোর এবং সঠিক পথ দেখাই, মানুষকে সম্প্রিতি ও মানবপ্রিতি শেখায়। কোনো ধর্মই বলেনা অন্য ধর্মকে আঘাত বা কটুত্তি করতে। কোনো ধর্মেই অসমতা, সাম্প্রাদায়িকতার ঠাই নেই। কিন্তু যারা এইগুলো নাজেনে করে, ধর্মের বিরুদ্ধে অপব্যাখ্যা দেয় তারাই ধর্মান্ধ। আশা করি উত্তর পেয়েছেন।

৪| ২৮ শে মে, ২০১৭ ভোর ৪:১৩

অনিন্দ্য অবনী বলেছেন: প্রগতিশীল আর এভাবেই শাসকের দল অপরের পদ লেহনের সূত্র ধরে পালাক্রমে ধর্ষন করে চলেছে গনতন্ত্র তথা শার তথা সাধারনের মূল্যবোধটাকেও ভূলুন্ঠিত করে চলেছে স্বমহিমায়।।

২৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: বেশ বলেছেন।

৫| ২৮ শে মে, ২০১৭ ভোর ৪:২৩

কানিজ রিনা বলেছেন: গ্রীক দেবী মূর্তি যা নিয়ে প্রশ্ন বিদ্ধ, তা নিয়ে
হেফাজত দল রক্ত পাত ঘটাতে চাচ্ছিল।
যা কখনও কারও কাম্য নয়। সবার উপরে
মানুষ সত্য। একটা শিল্পি মন একটা ভাসকার্জ
গড়তে পারে তা সুপ্রিম কোর্ট প্রান্তে থাকতেই
হবে সেটা কোনও সমাধান না।

প্রধান মন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধার করা সবারই
দায় দায়ীত্ব্য। এটা কোনও পূজনীয় মন্দির না
যে মন্দির থেকে মূর্তি সরানোর সিদ্ধান্ত
নেওয়া হয়েছে। ধন্যবাদ,

২৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনি বলছেন একটা শিল্পি মন একটা ভাসকার্জ
গড়তে পারে তা সুপ্রিম কোর্ট প্রান্তে থাকতেই
হবে সেটা কোনও সমাধান না।

ভাস্কর্য সরানো না সরানো বিষয় নয়। ভাস্কর্য সারালেও যেমন কোন যায় আসে না ঠিক তেমন রাখলেও কিছু এসে যায়কি?

৬| ২৮ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

খরতাপ বলেছেন: আপনাদের কান্নকাটি দেখে মনে হয়, পূজা করা হয় - এরকম মূর্তি ভেঙে দিলে আপনাদের কোন আপত্তি থাকত না, কারণ তাহলে শান্তির এই দেশে একটা অসাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির সুযোগ মিলত। আরে গাধা, পূজা করা মূর্তি ভাংতেই তো আরও বাধা আছে। কাবা ঘরের মূর্তিগুলোতে যতদিন পূজা করা হত, ততদিন তো কেউ ভাঙার উদ্যোগ নেয়নি। যখন ঐসব পূজা করার আর কেউ থাকলো না, নবীজি তখনই তো সাহাবীদেরকে পাথালেন ওগুলো ভাঙার জন্য।

পূজা হয়না - এরকম মূর্তি কোন কাজের না। এগুলা ময়লা আবর্জনা ছাড়া আর কিছু না।

২৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: `মূর্তি আর মূর্তি পূজা এক নয়" বিষয়টি বুঝে উঠুন তারপরে কথা।

৭| ২৮ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯

অয়োমল_মুবিন বলেছেন: কাবা ঘরের মূর্তিগুলো যতোদিন পূজা করা হয়নি ততোদিন ভাংগা হয়নি, যখন থেকে এইসব মূর্তি পূজা বন্ধ হয়ে যায় তার পরই ভেংগে ফেলা হয়। এইখানথেকেও আপনি বুঝতে পারেন যে মূর্তি পূজা না করা হলেও তা ভেংগে ফেলা উচিত।
আর আপনি যে আয়াতটি লিখলেন তার অর্থের প্রথম দুইটি শব্দ দেখেই আপনার বুঝা উচিত ছিলো, "তারা সোলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী", আচ্ছা আপনাকের একটা প্রশ্ন করি, আপনি কোন নবীর উম্মাত?? নিশ্চয় সোলামান [আ:] এর না- তাইনা??? সুতরাং সোলায়মান [আ:] এর উপর নির্দেশীতো কাজ আপনার উপর নির্দেশীতো নয়। এটা সোলায়মান [আ:] এর উম্মাতদের জন্য।

২৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আয়োমল মুবিনঃ সোলায়মান (আ) এর অনুসারী নাহলেকি? কোরআন থেকে তাদেরকি বাদ দেওয়া হয়েছে? পৃথিবীতে সকল নবীর মিশন ছিলো শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আল্লাহর তাকুয়া আদায় করার দাওয়াত দওয়া। কোরআনে সকল নবীর ঘটনা বার বার বলা হয়েছে কেন? এইসব কাহিনী আল্লাহর বলার কারন কি? একটু কোরআন মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। ভাস্কর্য বানাতো সোলায়মান পরিবার সে জন্য আল্লাহ তাদের মানা করেন নাই বরং বলেছেঃ কৃতজ্ঞতা সহকারে তোমরা কাজ করে যাও।

৮| ২৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: অয়োমল_মুবিন বলেছেন: কাবা ঘরের মূর্তিগুলো যতোদিন পূজা করা হয়নি ততোদিন ভাংগা হয়নি, যখন থেকে এইসব মূর্তি পূজা বন্ধ হয়ে যায় তার পরই ভেংগে ফেলা হয়। এইখানথেকেও আপনি বুঝতে পারেন যে মূর্তি পূজা না করা হলেও তা ভেংগে ফেলা উচিত।
আর আপনি যে আয়াতটি লিখলেন তার অর্থের প্রথম দুইটি শব্দ দেখেই আপনার বুঝা উচিত ছিলো, "তারা সোলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী", আচ্ছা আপনাকের একটা প্রশ্ন করি, আপনি কোন নবীর উম্মাত?? নিশ্চয় সোলামান [আ:] এর না- তাইনা??? সুতরাং সোলায়মান [আ:] এর উপর নির্দেশীতো কাজ আপনার উপর নির্দেশীতো নয়। এটা সোলায়মান [আ:] এর উম্মাতদের জন্য।
আপনার জানা উচিৎ, সুলেমান (আ) আমাদের ধর্মেরও নবী। তিনিও ইবরাহীম (আ) এর ধর্মের নবীদের একজন। মহানবী (সা) কোনও নতুন ধর্মের প্রবর্তন করেননি, তিনি ইবরাহীম (আ) এর ধর্মকে সংশোধন করতে এসেছিলেন। যদি আপনি আদৌ কুরআন পড়ে থাকেন তো জানার কথা।
লেখকের কথার যুক্তি আমি মানি, কিন্তু শুরুতে আপনি যেভাবে কোরআন, হাদীস, ইজমা, কিয়াসের উপেক্ষা করলেন তা আমার পছন্দ হয়নি কিছু মনে করবেন না।
বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার সাথে যে ইসলামী নীতিদর্শন পড়ানো হয় তার সাথে শান্তির ধর্ম ইসলামের সম্পর্ক খুবই সামান্য। প্রকৃত ইসলামের বদলে সেখানে যা শেখানো হয় তার সাথে সৌদি আরবের কট্টরপন্থি ওয়াহাবী নীতিরই কেবল তুলনা চলে। বছরে সৌদি ইসলামের উন্নতির নামে ওয়াহাবী নীতি প্রচারের যে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে তার প্রেক্ষিতে আমাদের মাদরাসাগুলো একগাদা আবর্জনার জন্ম দিচ্ছে।
এখন এগুলোর জন্য আপনি কেন ইসলামের শরীয়াহর চারটি মূল উৎস নিয়ে তামাশা করবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.