নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন উচ্চতায় দেশের অর্থনীতি

১৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:১১

অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক সংবাদ যে, জিডিপি প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। ১৫ মে ২০১৭ তারিখ মানবকণ্ঠসহ সহযোগী দৈনিকগুলোর প্রতিবেদনে প্রকাশ, চলতি ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরেও মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৭ শতাংশ ছাড়াবে। তবে এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের অভিমত হলো, জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৮ শতাংশ। তারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার আশঙ্কাও করছে। তবে এ সত্য এখন প্রমাণিত যে, দিনে দিনে নতুন উচ্চতা স্পর্শ করছে দেশের অর্থনীতি। আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি। আশার কথা হলো যে, এই অর্থনৈতিক মুক্তির পথেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ এবং এ জন্য বিগত মহাজোট ও বর্তমান জোট সরকারের দূরদর্শী কর্মপরিকল্পনার প্রশংসা করতেই হয়।
অর্থনৈতিক মুক্তি একটি দেশ ও জাতির জন্য সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ। অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য যেমন সর্বাগ্রে প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা তেমনি দরকার দূরদর্শী কর্মপরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়ন। স্মরণ করা আবশ্যক যে, এর আগে প্রায় এক দশক দেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ বৃত্তে আটকে ছিল। এই বৃত্ত ভেদ করার কৃতিত্ব বিগত মহাজোট ও বর্তমান জোট সরকারের। আমাদের সার্বিক অগ্রগতির লক্ষ্যে আরো দূরদর্শী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও এর যথাযথ বাস্তবায়ন প্রয়োজন। চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে ১ হাজার ৬০২ ডলার হবে এও আশা করা হচ্ছে। গত অর্থবছরে চূড়ান্ত হিসাবে মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৪৬৫ ডলার। এ হিসাবে এক বছরে মাথাপিছু আয় বাড়ছে ১৩৭ ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসের (জুলাই-এপ্রিল) তথ্য বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয়ের এই হিসাব করেছে। বাংলাদেশ যে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে বিদ্যমান বাস্তবতাই এর বড় প্রমাণ। বিদ্যমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, গতবারের মতো এবারো সেবা ও শিল্প খাতের ওপর ভর করে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। যদিও শিল্প খাতে তুলনামূলক বিচারে প্রবৃদ্ধি কিছুটা কম হয়েছে তবুও তা আশাব্যঞ্জকই। প্রবৃদ্ধি অর্জনের এই অগ্রগতি ও মাথাপিছু আয় বাড়ার যে চিত্র মিলেছে এজন্য সরকারকে আমরা অভিনন্দন জানাই। সন্দেহ নেই যে, সরকারের ধারাবাহিকতা এবং দেশের সব শ্রেণী পেশার মানুষের যার যার অবস্থান থেকে অবদান রাখার কারণেই ফুটে উঠেছে প্রত্যাশিত চিত্র। বিদ্যমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণে এ তথ্যচিত্রও মেলে যে, বিশ্বের মাত্র দুটি দেশ এবার ৭ শতাংশের ওপর প্রবৃদ্ধি নিয়ে যেতে পেরেছে। বাংলাদেশ এর একটি এবং অন্যটি ভারত। সন্দেহ নেই যে, আমাদের জন্য এটি এক বিস্ময়কর সফলতা। কারণ গত সরকারের যথাক্রমে প্রথম প্রা শেষ অবধি এবং বর্তমান সরকারের প্রথম আমলে রাজনৈতিক অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি বিরাজ করা সত্ত্বেও এই যে চিত্র মিলেছে কিংবা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ব্যাপার।
দেশের দায়িত্বশীল সবাই মিলে যদি স্ব স্ব ক্ষেত্রে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখাসহ নেতিবাচক বিষয়গুলো পরিহার করা সম্ভব হয়, তাহলে বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে ঈর্ষণীয় অবস্থানে অবশ্যই যেতে পারবে বলে আমরা মনে করি। বিশ্বব্যাংক বলেছে, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রশংসার দাবিদার। এতকিছুর পরও বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির সুযোগ বিদ্যমান।’ কৃষি, শিল্প, সেবা খাতসহ আমাদের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলোর প্রতি আরো বিশেষ নজর ও এসব ঘিরে নতুন নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণসহ এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা জরুরি। চাই দেশপ্রেম বোধে উজ্জীবিত হয়ে দেশ-জাতির কল্যাণে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়া এবং জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্যের ভিত মজবুত করা। রফতানি ও রেমিট্যান্সে কিছুটা যে নেতিবাচক প্রভাব বইছে এর নিরসন ঘটানোর লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়াও সমভাবেই জরুরি। সব ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়টিও অত্যন্ত জরুরি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

র ম পারভেজ বলেছেন: দেশের অর্থনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে রসাতলে যাচ্ছে!!!

২| ১৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক সংবাদ এমন সংবাদ সব সময় চাই। হতাশার কথা শুনে আর তিতা হতে চাইনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.