নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ষড়যন্ত্রের চাকা

০১ লা জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০০

স্বাধীন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক বা না-ই থাকুক, দলটির বিরুদ্ধে সদা চলমান ষড়যন্ত্র এখন একটি ঐতিহাসিক সত্য। ক্ষমতায় থাকলে এই দলটিকে সর্বদা অস্বস্তিতে রাখতে দেশের ভেতরে এবং বাইরে বিভিন্ন মহল তৎপর থাকে আর ক্ষমতার বাইরে থাকলে যাতে কোনো অবস্থায়ই দলটি ক্ষমতায় যেতে না পারে, সেই ষড়যন্ত্রে একাধিক শক্তিশালী মহল তৎপর থাকে। ক্ষমতায় থাকাকালে যারা এসব ষড়যন্ত্রে নানাভাবে ইন্ধন জোগায়, তারা অনেকেই দলের ভেতরের লোক হয়ে থাকে। এদের কাজ হচ্ছে নিজেদের ‘বঙ্গবন্ধুর সৈনিক’ বলতে বলতে মুখে ফেনা তোলা, কারণে-অকারণে সব জায়গায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর বঙ্গবন্ধুর নাম বিক্রি করা আর দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে আখের গুছিয়ে নেওয়া। এরা এতই নাদান যে বুঝতেই পারে না, তারা দলের কত বড় ক্ষতি করছে। এদের মূল কাজ হচ্ছে অর্থের বিনিময়ে দলের পদ-পদবি বিক্রি করা, আর প্রতিপক্ষের হয়ে সরকারের কাছে তদবির করা, রাস্তায় রাস্তায় ঘোরা ছাত্রলীগের প্রকৃত কর্মীদের কোনো রকমের মূল্যায়ন না করে অন্য দলের লোকজনের জন্য অর্থের বিনিময়ে সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা। এর বাইরে আছেন সরকারের এক শ্রেণির সামরিক-বেসামরিক আমলা, যাঁরা নিজেদের সব সময় সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে মনে করেন। শেষের দিকে এসে সরকার যাতে অস্বস্তিতে পড়ে, তার জন্য এঁরা দিনরাত ওভারটাইম কাজ করেন। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা-দুর্ঘটনা দেখে মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে যে তাঁদের কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে গেছে। প্রথমে আসি নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায়। একজন ছাপোষা শিক্ষক একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির কাছে যে কত অসহায়, শিক্ষক শ্যামল কান্তির ঘটনা তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোনো স্তরের শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা সর্বজনবিদিত। কলকাতায় ছাত্র থাকাকালে সাংবাদিক শফিক রেহমানের বাবা সাইদুর রহমান বঙ্গবন্ধুর শিক্ষক ছিলেন। তিনি আজীবন তাঁকে শ্রদ্ধা করে গেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী, অধ্যাপক রেহমান সোবহান, অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী, সাহিত্যিক অধ্যাপক আবুল ফজল প্রমুখ শিক্ষককে বঙ্গবন্ধু অসম্ভব শ্রদ্ধা করতেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর দুজন জীবিত শিক্ষক অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে এখনো মাথা নিচু করে কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর আমলে নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তির ঘটনা ঘটা অসম্ভব ছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যার আমলে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা যে ঘটল বা ঘটছে, তা অনেকের কাছে সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক ঠেকছে। হতে পারে, আওয়ামী লীগ গঠনে ওসমান পরিবারের বড় অবদান ছিল বলে তিনি এখনো অনেকটা সংবেদনশীল রয়েছেন। কিন্তু সব কিছুর তো একটা সীমা আছে। পুরো ঘটনাই যে শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র নয়, তা কিভাবে বলি! দেশের সর্বোচ্চ বিচারাঙ্গনে যেসব বাগ্যুদ্ধ হচ্ছে, তা কিছুতেই স্বস্তিদায়ক নয়। এরশাদ ক্ষমতা দখলের সময় যে কয়টি অজুহাত দিয়েছিলেন, তার মধ্যে একটি ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিচারপতি আবদুর রহমানের দেওয়া একটি বক্তৃতা, যেখানে তিনি বিচারপতি সাত্তারের মেয়াদকালের কিছু বিষয়ের সমালোচনা করেছিলেন।
এই মুহূর্তে দেশের সুশীল সমাজ আর মিডিয়ার আলোচনা-সমালোচনার সর্বাধিক ব্যবহৃত বিষয় হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে রাতের অন্ধকারে ভাস্কর মৃণাল হক নির্মিত ও স্থাপিত গ্রিক দেবী লেডি থেমেসিসের আদলে বানানো তাঁর একটি অদ্ভুত দেশি সংস্করণের অপসারণ। এটি অপসারণের জোরালো দাবি তুলেছিল ধর্মব্যবসায়ী হেফাজতে ইসলাম। ওই ভাস্কর্যটি ওই স্থানে কার হুকুমে নির্মিত হয়েছিল, তা কেউ পরিষ্কার করে বলছেন না। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে কোনো কিছুর নির্মাণ বা অপসারণ প্রধান বিচারপতির অনুমতি ছাড়া সম্ভব নয়। ঠিক একইভাবে জাতীয় সংসদ ভবনে কিছু করতে হলে স্পিকারের অনুমোদন লাগে। মূর্তি আর ভাস্কর্য যে এক জিনিস নয়, তা জোরালোভাবে সরকারের দায়িত্বশীল কাউকে বলতে শোনা যায়নি। বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া ভাস্কর্য দিয়ে ভরা, যার বেশির ভাগই সনাতন ধর্মের মহাকাব্য রামায়ণ ও মহাভারতের চরিত্রের আদলে তৈরি করা। সেখানেও অর্ধশিক্ষিত মোল্লারা আছেন, কিন্তু তাঁরা কোনো কিছু নিয়ে উচ্চবাচ্য করার সুযোগ পান না। মৃণাল হকের ভাস্কর্য অপসারণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন বিপ্লব চলছে। কয়েকজন স্বঘোষিত বামপন্থী সুশীল বেশ জোর গলায় বলে চলেছেন, সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই জেনে তারা এখন হেফাজতকে হাত করার চেষ্টা করছে। এটি মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে, রিজভী-ফখরুলের হয়ে কথা বলা শুরু করেছে এ দেশের সুশীলদের সেই চিরপরিচিত মুখগুলো। কেউ যদি বলে, এই ভাস্কর্য স্থাপন ও অপসারণ দুটিই সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য পূর্বপরিকল্পিত ছিল, তা কি অন্যায় হবে? দেশে যখন শিখা অনির্বাণ আর শিখা চিরন্তন স্থাপিত হয়, তখন দেশের কিছু অর্ধশিক্ষিত ধর্মব্যবসায়ী চিৎকার শুরু করে দিল—শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশে অগ্নিপূজা শুরু হয়ে গেছে এবং এসব স্থাপনা ভাঙার তারা ঘোষণা দিয়েছিল। বাস্তব কারণেই তাদের ওই দিকে অগ্রসর হওয়ার আর সাহস হয়নি। কেউ কেউ প্রচার করছেন, এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অপরাজেয় বাংলা’ ভাঙতে আসবে এই হেফাজতিরা। হেফাজতিরা ঠিকই জানে, এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যা এই উপমহাদেশের মানচিত্র বদল করে দিয়েছে। কিন্তু এসব বিষয়ে আওয়ামী লীগের খুব কম নেতাকর্মীই কথা বলতে পারেন বা এর যে প্রয়োজন আছে, তা উপলব্ধি করেন। স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, শনিবার রাতে মৃণাল হক নিজে তাঁর নির্মিত ভাস্কর্যটি সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে আবার প্রতিস্থাপন করছেন।
আর কয়েক দিন পর অর্থমন্ত্রী সংসদে ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরের বাজেট ঘোষণা করবেন। চারদিকে খবর রটেছে, এবার তিনি যাঁরা ব্যাংকে টাকা জমা রাখবেন তাঁদের জমা অর্থের ওপরও কর আরোপ করবেন। এমন অদ্ভুত ব্যবস্থা অন্য কোনো দেশে আছে কি না জানি না। সব জায়গায় সুদের ওপর কর হয়, জমার ওপর নয়। তা যদি হয়, তাহলে সামনের নির্বাচনে প্রতিপক্ষের হাতে সরকারকে ঘায়েল করার জন্য এমন মোক্ষম হাতিয়ার তুলে দেওয়ায় তারা অর্থমন্ত্রীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। একজন বিচক্ষণ অর্থমন্ত্রী এমন কাজটি করবেন, তা বিশ্বাস হয় না। তবে সাধারণ মানুষের অনেকেই মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে এমন আত্মঘাতী কাজ করতে দেবেন বলে মনে হয় না।
দেশে এখন ভয়াবহ গরম এবং দিনে কমপক্ষে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লোডশেডিং হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সরকারবিরোধীরা বলছেন, সরকার যে এত বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলেছে, তা স্রেফ ভাঁওতাবাজি। এই সময় এ ধরনের লোডশেডিং সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য করা হচ্ছে বললে কি বাড়িয়ে বলা হবে? বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কম্পানিগুলো বলছে, তারা নাকি রমজান মাসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য মেরামতের কাজ হাতে নিয়েছে বলে এই বিপর্যয়। এটি চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা এবং অপেশাদারির নিদর্শন। রক্ষণাবেক্ষণ আর মেরামতই যদি করতে হয়, তাহলে তা পরিকল্পিতভাবে শীতকালে করা হলো না কেন? আর একদল প্রচারে লেগে গেছে এই বলে যে দেশ নাকি খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তা যদি হয়, তাহলে বিদেশ থেকে কেন সরকার চাল আমদানি করছে? বাকিরা বলা শুরু করল, সব কিছু ভাই ধাপ্পাবাজি, থলের বিড়াল নাকি এখন বের হওয়া শুরু হচ্ছে। যারা নিজেদের আওয়ামী লীগের জন্য অপরিহার্য বলে মনে করে, তারা কেউ বলেন না হাওর অঞ্চলে কত পরিমাণ পাকা ধান অকালবন্যায় নষ্ট হয়েছে। কয়েক দিন আগে ভারতের অরুণাচল প্রদেশে বিশ্বের দীর্ঘতম রেল সেতু উদ্বোধন হলো। ৯.৯৫ কিলোমিটারের এই সেতু তৈরিতে খরচ হয়েছে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা। সমালোচকরা প্রশ্ন রেখেছেন—তাহলে ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতু নির্মাণে বাংলাদেশে কেন ২৮ বা ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে আইনস্টাইন হওয়ার প্রয়োজন নেই। সরকারের কোনো একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা রাত-দিন যাঁরা বঙ্গবন্ধুর নাম জপ করেন, তা তাঁরা জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করবেন না। কারণ সরকারে কে এলো আর কে গেল তা মোটেও তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। তারা তাদের স্বার্থ নিয়ে সার্বক্ষণিক ব্যস্ত। কয়েক দিন আগে পূর্ব লন্ডনে গিয়েছিলাম। সেখানে জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীদের বর্তমানে নিয়মিত সরকারবিরোধী আসর বসছে। শুনি, পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হচ্ছে, সামনের নির্বাচনে কিভাবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা যায়। তাদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন তারেক রহমান। ব্রিটিশ সরকারের বদান্যতায় লন্ডনে জামায়াত অত্যন্ত শক্তিশালী। এই রমজানে বিভিন্ন বাংলা টিভি চ্যানেল ব্যবহার করে জাকাত-ফিতরার নামে সাধারণ ধর্মপরায়ণ বাঙালিদের কাছ থেকে লাখ লাখ পাউন্ড হাতিয়ে নেবে। এর একটি বড় অংশ যাবে আগামী নির্বাচনে ‘আওয়ামী লীগ ঠেকাও’ ফান্ডে, বাকিটা যাবে জঙ্গিবাদের অর্থায়নে। ছিটেফোঁটা কিছু যাবে মসজিদ মাদরাসার ফান্ডে। কোনো স্কুল-কলেজের ফান্ডে এক টাকাও যাবে না। এসব কাজের জন্য দেশ থেকে বেশ কিছু ধর্মব্যবসায়ীকে এরই মধ্যে লন্ডনে নিয়ে আসা হয়েছে। অন্যদিকে লন্ডনপ্রবাসী আওয়ামী লীগ নামধারীরা ব্যস্ত সামনের নির্বাচনে তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে।
দেশের আওয়ামীবিরোধী পণ্ডিতজনরা প্রচার করছেন, আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সে জন্যই তারা হেফাজতকে খুশি করার জন্য যা যা করার প্রয়োজন তা করছে। বাস্তব হচ্ছে, সরকার বা শেখ হাসিনা যা-ই করুন, হেফাজত বা তার সমগোত্রীয়রা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের বাক্সে একটি ভোটও যদি দেয়, তবে তা হবে দুর্ঘটনা। না দিলে তেমন কোনো ক্ষতি নেই, যদি আওয়ামী লীগ তাদের নিজস্ব ভোটব্যাংক ধরে রাখতে পারে; আর যদি প্রায় ৪০ ভাগ দোদুল্যমান ভোটারের একটি অংশকে নিজেদের দিকে টানতে পারে। এর জন্য চাই একটি শক্তিশালী প্রচার সেল, যারা আওয়ামী লীগ সরকারের এই দুই মেয়াদের চোখ ধাঁধানো অর্জনগুলো জনগণের ভাষায় তাদের সামনে তুলে ধরতে পারে। যা বঙ্গবন্ধু ছয় দফার ক্ষেত্রে করেছিলেন। এই সব কাজ নব্য হাইব্রিড আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে হবে না বা তাদের করার সেই সক্ষমতা নেই। এর জন্য চাই ভালো হোমওয়ার্ক।
এক শ্রেণির আওয়ামী লীগ (সহযোগী সংগঠনসহ) নেতাকর্মীর চরম উদ্ধত আচরণে মানুষ খুবই বিরক্ত। সেদিন একটি অভ্যন্তরীণ ছোট বিমানবন্দরে ফ্লাইট ধরার জন্য বসে ছিলাম। ভিআইপি লাউঞ্জে একদল সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে একজন ভিআইপি প্রবেশ করলেন। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী। এয়ারলাইনসের এক কর্মকর্তাকে বোর্ডিং কার্ড আনার জন্য টিকিট দিলেন। কিছুক্ষণ পর সেই কর্মকর্তা ফিরে এসে জানালেন, সামনের দুটি সিট অন্য দুজন ভিআইপিকে দেওয়া হয়েছে, সুতরাং তাঁদের পাশের দুটি সিট বরাদ্দ করা হয়েছে। ভিআইপি লাফিয়ে বলে উঠলেন—‘জানো, আমরা দুজনই লাল পাসপোর্টধারী।’ বলতে বাকি রেখেছেন—তোমার স্পর্ধা তো কম নয়, আমাদের পাশের সিটে বসতে বলছ। ফ্লাইট ছিল আধা ঘণ্টার। লাল পাসপোর্ট পেলে যাদের শরীরের উত্তাপ বেড়ে যায়, আওয়ামী লীগ প্রধানকে ঠিক করতে হবে, এই রকম কয়জনকে তিনি আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেবেন আর কয়জনকে ছাঁটাই করবেন। জানা গেছে, তিনি ১০০ জনকে ছাঁটাই করবেন। করতে হলে করবেন। সঠিক, বিনয়ী ও শেখ হাসিনার মতো কাজপাগল মানুষকে মনোনয়ন দিলে হেফাজত কাকে ভোট দিল তাতে কিছু আসে-যায় না। তবে কর্মীদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, নির্বাচনের দিন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই লাখ ভোটার ছিল। এক লাখ ভোটার ভোট দিতে আসেননি অথবা তাঁদের আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। এর থেকে যদি শিক্ষা না নেওয়া হয়, তাহলে বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে। এসব প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করতে হবে। আধুনিককালে নির্বাচন একটি অত্যন্ত উঁচু মাপের কৌশলের খেলা। সব পক্ষই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। সবাই বিজয়ের পতাকা হাতে নিতে চাইবে। বিজয়ীদের বন্ধু থাকে। পরাজিতদের চারপাশে কেউ থাকে না। কাল যারা ছিল, তারা পরাজয়ের পর অন্য শিবিরের ঝাণ্ডা হাতে তুলে নেয়। অতীত অভিজ্ঞতা তা-ই বলে। আগামী নির্বাচনে বিজয়লাভের কোনো বিকল্প আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চিন্তা না করাই মঙ্গল। তবে তা সহজ হবে না। ষড়যন্ত্রের চাকা আরো জোরে ঘুরবে, আরো গভীর হবে। হেফাজত নির্বাচনে জেতাবে না। নিজের শক্তিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে ফল ভালো হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় সম্পদ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। সার্বিক বিচারে যে কেউ স্বীকার করবেন, তাঁর জনপ্রিয়তা দলকেই ছাড়িয়ে গেছে, যেমনটি তাঁর পিতার ক্ষেত্রে হয়েছিল। তবে সব দায়-দায়িত্ব তাঁর ওপর চাপিয়ে দিলে চরম অন্যায় হবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চোরকে চোর বলিলেও কি ষড়যন্ত্র!!!

লুটেরাকে লুটেরা বলিলে,
অথ পাচারকারীকে পাচারকারী বললে
গনতন্ত্রহত্যাকারীকে স্বৈরাচার বললে
গুম খুনের মাষ্টার মাইন্ডকে খূনি বললে
ব্যার্থ কে ব্যার্থ বললে,
কুেইক রেন্টালে কুইক লুটপাট করাকে লুটপাট বললে
ট্রানজিটে দেশ সিঙ্গাপুর স্বপ্ন দেখানোকে ধাপ্পাবাজি বললে--
জঙ্গি ট্রাম্প দিয়ে দেশকে বহুমূখি বিপদে ফেলার দায়ীকে দায়ী বললে

সত্য খুবিই তেতো! আর চোখ বন্ধ করে রাখলেই -দুনিয়ায় রাত নামে না!!!!!!!!!!!!!


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.