নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২১

সম্ভবত আশির দশকের শুরুতে শান্তিনগরে থাকতাম। মূল সড়কটি পাকা এবং মোটামুটি প্রশস্ত। তবে একটু বর্ষণে হাঁটুজল; ভারী বর্ষণে বুকজল! তাছাড়া শান্তিনগরে অশান্তির অন্যতম কারণ ছিল— মেরামতের অভাবে এবড়ো-খেবড়ো রাস্তায় রিকশায় উঠে মাজাভাঙা জার্নি। এখনো নাকি বর্ষাকালে শান্তিনগরের রাস্তা জনগণের অশান্তির অন্যতম উত্স। তেমনি অবস্থা অভিজাত এলাকার তথাকথিত ভালো ভালো সড়কে যেমন— ধানমন্ডি ২৭ নং মোড়। রিকশার সিটের ওপর দুপা তুলে যাত্রী গুনগুন করে আওড়ায়— কোথায় সড়ক, কোথায় নরক কে বলে তা বহুদূর? অথচ সড়কে বা মহাসড়কে স্বর্গ-সুখ থাকার কথা।
দুই. কথাগুলো মনে পড়ল জাতীয় সংসদে ১ জুন মাননীয় অর্থমন্ত্রীর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতার পর। তার বাজেট বক্তৃতার মূল সুর ছিল— উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের। উন্নয়নের মহাসড়কে আমরা উঠতে চাই বা উঠে আছি, সেটা বড় কথা নয়; বড় কথা সেই মহাসড়ক কতটা নিরাপদ ও জনকল্যাণকর। মহাসড়ক, হোক তা চার লেনের রাস্তা কিংবা রেল, নেহাত ভৌত অবকাঠামো, যা উন্নয়নের জন্য দরকারি অথচ যথেষ্ট শর্ত নয়। শুধু প্রবৃদ্ধির হার ও মাথাপিছু আয়ের নিরিখে উন্নয়ন হিসাব করলে হবে না, দেখতে হবে প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু গড়পড়তা আয় মানুষের জীবনের গুণগত মান উন্নীত করেছে কিনা; জানতে হবে গড়পড়তা বার্ষিক মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬০০ ডলার হওয়া সত্ত্বেও কেন মানুষ শহরের বস্তিতে কিংবা গ্রামের কুটিরে মানবেতর জীবনযাপন করে; বোঝা দরকার উন্নয়নের মহাসড়কে ওঠা দেশে ব্যাংক লুটপাটকারীদের কিংবা বিদেশে অবৈধভাবে অর্থ পাচারকারীদের বিচার হয় না কেন? শামসুদ্দিন আবুল কালাম রচিত পথ জানা নেই গল্পে রাস্তা সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ কি কেবলই সড়ক! একটা নতুন জীবনেরও রাস্তা— সুখের আর সমৃদ্ধির...। তারপর দুঃখজনক পরিণতি। গহুর আলীর মতো দরিদ্র ওই রাস্তা বানায় অনেক আশা নিয়ে কিন্তু গহুর আলী তখন উন্মাদের মতো সড়কটাকে কোপাইতেছে। চিত্কার করিয়া বলিতেছে ভুল, ভুল অইছিলো এই রাস্তা বানাইন্যা। এ সড়ক তার জন্য নরক হিসেবে ধরা দেয়।
তিন. একজন মানুষ হিসেবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অনেক কৃতিত্বের অধিকারী। তবে একজন অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার দুটো কৃতিত্ব বা রেকর্ডের কথা না বললেই নয়। প্রথমত. তিনি বর্তমান সরকারের আমলে টানা নয়টি বাজেটসহ মোট ১১টি জাতীয় বাজেট প্রণয়ন, উপস্থাপন ও বাস্তবায়নের পুরোধা। অর্থাৎ বাংলাদেশে এ-যাবৎ পেশকৃত মোট ৪৬টি বাজেটের মধ্যে তার নেতৃত্বে ১১টি পেশ হয়েছে। দ্বিতীয়ত. যে সময়টায় ৭০-৮০ হাজার কোটি টাকার বাজেটের কথা শুনলে মানুষের পিলে চমকে যেত, বিশেষত অর্থনীতিবিদদের চোখ কপালে উঠত, ঠিক সেই সময় তিনি লক্ষকোটি টাকার বাজেট দিয়ে ভয় ভেঙে দিলেন। এ বছর নির্ভয়ে ও নির্ভার ৪ লাখ কোটি টাকার বাজেট পেশ করলেন। এটা ঠিক যে, অধিকাংশ বাজেট বাস্তবায়নে সমস্যা ছিল, বস্তুত কোনোটাই সফল সমাপ্তির মুখ দেখেনি, কিন্তু এই যে ১ লাখ কোটি থেকে ৪ লাখ কোটিতে পৌঁছা, এটা কম কিসে। আমাদের ধারণা, ৪ লাখ কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয় জেনেও বাজেটের আকার বড় রাখা হয়েছে প্রধানত দুটো কারণে— নির্বাচনপূর্ব বাজেট সচরাচর বড় থাকে। এখানে অর্থনৈতিক বিবেচনার চেয়ে লোকরঞ্জন ও মনোরঞ্জন প্রাধিকার পায়। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রকল্পগুলোর একটা বড় অংশের বরাদ্দ ১ কোটি টাকার নিচে। ঘুষ, দুর্নীতি, অর্থ অপচয়ের কারণে হয়তো শেষমেশ দাঁড়াবে ৩০-৪০ লাখ টাকা। এ টাকা দিয়ে জনকল্যাণমূলক কী হতে পারে? দ্বিতীয়ত. থিংক বিগ, টক বিগ বলে যে কথাটা, সেটাও সম্ভবত বাজেট বড় রাখার পেছনে অন্যতম একটি কারণ।
চার. অর্থমন্ত্রী বলেছেন, জীবনের শ্রেষ্ঠতম বাজেট দিয়েছি। সম্ভবত তা-ই। তবে চাঁদেরও যে কলঙ্ক থাকে, তা ভুলে গেলে চলবে না। তার শ্রেষ্ঠতম বাজেটের অন্যতম দুর্বল দিকটি সম্ভবত ব্যাংক আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানো। এমনিতে সুদের আয়ের ওপর কর বসানো আছে, এর সঙ্গে এবার বাড়ানো হলো আবগারি শুল্ক— যা পৃথিবীর কোনো দেশে আছে বলে মনে হয় না। আবগারি শুল্কের আরেক নাম পাপ কর বা সিন ট্যাক্স। সাধারণত ভোগ নিরুত্সাহিত করার জন্য মদ, সিগারেট ইত্যাদির ওপর পাপ কর তথা আবগারি শুল্ক বসানো হয়। যে কেউ প্রশ্ন রাখতে পারেন, আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক কি এ কারণে যে, ব্যাংকিং খাতে এত নৈরাজ্যের পরও আমরা ওখানে অর্থ গচ্ছিত রাখছি, সে পাপের খেসারত? আমরা অনুরোধ করব, মাননীয় অর্থমন্ত্রী এ পাপ কর থেকে আমাদের এবারের মতো রেহাই দেবেন।
পাঁচ. কান টানলে যেমন মাথা আসে, ব্যাংকের আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক প্রসঙ্গে ব্যাংকের বিশৃঙ্খলাজনিত পরিস্থিতি সামনে চলে এল। এবং এটা ভালো বাজেটের একটা মন্দ দিক। কয়েক বছর ধরে ব্যাংকিং খাতে সোজা ভাষায় লুটপাট চলছে এবং পাপীদের শাস্তি বিধান না করে এসব প্রতিষ্ঠান বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। যেমন— এ অর্থবছরেও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর জন্য ২ হাজার কোটি টাকা পুনঃপুঁজিতে বরাদ্দ কতটা নৈতিক ও অর্থনৈতিক বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। এমনকি এ ব্যাপারে বাজেট বক্তৃতায় আলোচনা-সমালোচনাও নেই। দুঃখজনকভাবে প্রতি বছর যে বিশাল অংকের অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, সে সম্পর্কেও বাজেট বক্তৃতায় টুঁ শব্দটি নেই। একদিকে ব্যাংক লুটপাট, অন্যদিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ গেল বছরে ১১ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি, যা দিয়ে পদ্মা সেতুর মূল অংশ নির্মাণ করা যেত। অবৈধ অর্থ পাচার— তাও বর্তমান আমলে সর্বোচ্চ— বন্ধে ব্যর্থ হয়ে জনগণের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা শ্রেষ্ঠতম বাজেটের বড় দুর্বল দিক। অসুস্থ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো বাঁচিয়ে রাখতে গেল কয়েক বছরে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা (গড়পড়তা প্রতি বছর ২ হাজার কোটি টাকা) বরাদ্দ রাখা হয়েছে। দ্য গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি রিপোর্ট বলছে, ২০০৫ থেকে ২০১৪— এ দশকে বাংলাদেশ হাজার হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে এবং শুধু ২০১৪ সালে ৬ থেকে ৯ বিলিয়ন ডলার অর্থ অবৈধভাবে পাচার হয়েছে। এটা এখন অর্থনীতির জন্য উদীয়মান একটি ক্যান্সার। এ ধরনের রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পারলে উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুভ না-ও হতে পারে। আমরা আশা করেছিলাম মাননীয় অর্থমন্ত্রী উন্নয়ন মহাসড়কে গড়ে ওঠা গর্তগুলো কীভাবে সামাল দেবেন, তা নিয়ে কিছু বলবেন কিন্তু আখেরে পেলাম ইগনোরেন্স ইজ ব্লিস অর্থাৎ অজ্ঞতা আশীর্বাদ! মনে রাখতে হবে যে, ক্রমবর্ধিষ্ণুভাবে বিদেশে অর্থ পাচার দেশে বিদ্যমান বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের অনুপস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত করে।
অর্থনৈতিকভাবে অসুস্থ ব্যাংকের পুনঃপুঁজিকরণ বন্ধ এবং অবৈধ অর্থ পাচার যদি সিকিভাগও রোধ করা যেত তাহলে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা এমনকি কৃষি খাত অধিকতর শক্তিশালী করা যেত। অথচ অর্থের অভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাত গড়পড়তা পাচ্ছে জিডিপির মাত্র ৪ শতাংশ, সেখানে হিসাবটা হওয়া উচিত কমপক্ষে ১০ শতাংশ! মহাসড়ক বানাতে হলে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার দরকার, শ্রমিক দরকার, যা আসবে শিক্ষা থেকে। আর শিক্ষার সঙ্গে যেহেতু স্বাস্থ্য সম্পর্কিত, তাই শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ আরো বাড়ানো উচিত।
বিশেষত উচ্চতর শিক্ষায় বরাদ্দ জিডিপির ১ শতাংশের নিচে, যেখানে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক হতে হলে ৫ শতাংশ দরকার। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে উন্নত অর্থনীতি হতে হলে সস্তা শ্রমভিত্তিক উত্পাদন থেকে জ্ঞানভিত্তিক প্রবৃদ্ধিতে যেতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার উদাহরণ টেনে বলা যেতে পারে যে, দেশটি জিডিপির ৮ শতাংশ ব্যয় করে শিক্ষা ও উচ্চতর গবেষণা এবং অতিরিক্ত ২ শতাংশ গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে (আরঅ্যান্ডডি)।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি প্রশংসনীয়। তবে এও সত্যি যে, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী এ দুই খাতের বরাদ্দ হওয়া উচিত জিডিপির ১২ শতাংশ, অথচ বর্তমানে তা ৫-৬ শতাংশ। ভৌত অবকাঠামোর মহাসড়ক থেকে সত্যিকার অর্থে উন্নয়ন-এর মহাসড়কে যেতে হলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক বরাদ্দ বাড়ানোর বিকল্প নেই। দক্ষিণ কোরিয়া বরাবর মানবসম্পদ উন্নয়নে (শুধু শিক্ষা ও গবেষণায়) জিডিপির ৮ শতাংশ ব্যয় করেছে বলে উন্নয়নের মহাসড়কে উঠতে পেরেছে। অন্যদিকে আমাদের বাজেট বরাদ্দের বড় অংশ ব্যয় হয় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও নির্মাণ খাতে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য এ ব্যয় যথেষ্ট নয়। আশা করব, সামাজিক খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ঘটবে।
উন্নয়নের মহাসড়কে উঠতে গিয়ে যে মেগা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল, তার প্রধান দুটো উদ্দেশ্য ছিল। যার একটি হলো, সময়মতো নির্ধারিত খরচে শেষ করা এবং যেজন্য নির্মিত হয়েছে, সেই সেবা প্রদান করা। কঠিন বাস্তবতা এই যে, মেগা প্রকল্পে প্রথম উদ্দেশ্য কখনো সাধিত হয়নি, যেমন— চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প খরচমূল্য প্রায় ২ হাজার কোটি থেকে দ্বিগুণ হয়ে যায়, যদিও এখনো অসমাপ্ত। অতিরিক্ত ব্যয় মেটাতে গিয়ে সরকারকে ঋণ নিতে হচ্ছে, ঋণ পরিশোধে ব্যয় হচ্ছে করের টাকা অথচ সামাজিক খাতের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেয়া যাচ্ছে না।
বাজেট বক্তৃতায় বড় অভাব ছিল অন্য একটা দিকের— সংস্কার। উন্নয়নের মহাসড়ক মানে মহাসংস্কারের কথা, বিশেষত অর্থনীতির রূপান্তরিত পরিবর্তনের জন্য সংস্কারের সুপারিশ রাখা উচিত ছিল, যেমন— আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা, বিনিয়োগ পরিবেশের আস্থার অভাব ও সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে গতিশীলতা ও অপচয় রোধ।
ছয়. বাংলাদেশে রাজস্ব সংগ্রামের মূল সমস্যা বিপুল কর ফাঁকি। কর ফাঁকি রোধে কঠিন পথে না গিয়ে যারা নিয়মিত কর দেন, তাদের ওপর কর চাপানো ঠিক হয়েছে বলে মনে হয় না। আগেই বলেছি, সরকারি ব্যাংকের লুট হয়ে যাওয়া অর্থ, অবৈধ পাচারকৃত অর্থ, ঋণখেলাপি ইত্যাদির কারণে সৃষ্ট অতিরিক্ত কর আদায় উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে বলে প্রতীয়মান হয়।
উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের শিরোনামে যে বাজেট পেশ হলো, তার জন্য অভিনন্দন। বাজেট বক্তৃতার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন, মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ ইত্যাদি লক্ষ্য নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। ভাবনা শুধু একটাই, আর তা হলো— বাজেট ঘাটতি মেটাতে অনুমেয় ৭ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ ও সহায়তা পাওয়ার আশা কতটুকু বাস্তব, তা ভেবে দেখতে অনুরোধ করছি। আর মেগা প্রকল্পের নামে দ্বিগুণ খরচ করে ১৫ বছর ধরে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ জিডিপির ২ দশমিক ২ শতাংশে ঝুলে আছে। তেমনি স্বাস্থ্য খাতেও। সামাজিক খাতকে বরাদ্দ-বঞ্চিত রাখা কতটুকু যৌক্তিক, তাও ভেবে দেখতে হবে। সর্বশেষে স্মরণ রাখতে অনুরোধ করছি যে, বড় মাপের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ছাড়া উন্নয়নের মহাসড়কে উঠলে দুঘর্টনার কবলে পড়ার শঙ্কা অনেক বেশি। দুঘর্টনা এড়াতে যথাযথ সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
সাত. প্রায় প্রত্যেক বাজেট বক্তৃতার শেষে সুশাসনের প্রয়োজনীয়তা ও করণীয় নিয়ে বেশ চমকপ্রদ মন্তব্য থাকে। কিন্তু কে বাঁধবে বেড়ালের গলায় ঘণ্টা। সুশাসন যে সোনার হরিণ এই বাংলাদেশে। আর এ ভয় আমাদের— উন্নয়নের মহাসড়কে চলতে গিয়ে যদি বেঘোরে প্রাণটা যায়?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

প্রথমকথা বলেছেন:


খুব সুন্দর বিশ্লেষণ বাজেট নিয়ে, অনেক কিছু বুঝলাম। শুভেচ্ছাসহ শুভ কামনা।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: এত বড় ব্লগ না লিখে মুল কথা গুলো অল্প কথায় লেখা যেত।

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৩০

শামসুল আলম জুয়েল বলেছেন: বেশ ভালো বলেছেন, শুভ কামনা রইলো ভাই।

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পড়ে খুব ভাল লাগলো ।
উন্নয়নের মহা সড়ক দেখুন (ফান)

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

জগতারন বলেছেন:
এ সমস্ত ছবি কোথায় পান ! এটি কি বাংলাদেশের ছবি ? @গিয়াস উদ্দিন লিটন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.