নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবতার শত্রুদের কেউ পছন্দ করে না

১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০০

বাংলাদেশে এত সব ঘটনা ও অঘটনের ঘনঘটা থাকে যে একটির ক্ষত না শুকাতেই আরেকটি ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ফলে দ্রুতই আগেরটি তামাদি হয়ে যায়। আলোচনা-সমালোচনার বাইরে চলে যেতে থাকে। কিন্তু আমরা এ কথাটি মনে রাখি না যে একটিকে আড়াল করে আপাতত হাঁপ ছাড়লেও এসব ঘা সমন্বিতভাবে ক্যান্সার তৈরি করবে। আমাদের রাজনীতির ক্ষমতাবানদের একটি স্থ্থূল রক্ষাকবচ আছে। তারা জনগণকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারঙ্গম। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষা ও ক্ষমতার ভিত শক্ত করতে অপকীর্তি করে যায় আবার দোহাই দিয়ে বলে, এসব করছে দেশ ও জনগণের মঙ্গলচিন্তায়। আমাদের রাজনীতিগুরুদের ধারণামতো, মানুষ যদি এতটাই বোকা হতো, তবে এসব বাণীর নেশায় বুঁদ হয়ে থাকত। সারকথা হচ্ছে মানুষ অতটা মূর্খ নয়। সম্প্রতি একটি গোষ্ঠী সংঘশক্তির ভয় দেখিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা ঐতিহ্যবাহী দলটিকেও কাদায় নামাতে পেরেছে। কাগজে দেখলাম, এসব গোষ্ঠী ঈদের পর নাকি রাজপথ কাঁপিয়ে তুলবে। অন্যদিকে এসব মোকাবেলা করার জন্য সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে। বলা হয়, অজ্ঞাত কুলশীলদের লাই দিয়ে মাথায় তুললে এমনই হয়।
ইসলাম ধর্মে মুসলমানদের রাষ্ট্রে ভিন্ন ধর্মের সংখ্যালঘু মানুষদের নিরাপত্তা প্রদানের কথা বারবার বলা হয়েছে। একটি ভাস্কর্যের জন্য ইসলাম ধর্মের মতো একটি উদার ও মহান ধর্ম গেল গেল বলে যারা চেঁচাচ্ছে তাদের এই বলায় কোনো যুক্তি নেই। আমার মনে পড়ে না ২০১২ সালের ২৯-৩০ সেপ্টেম্বর রামু, উখিয়া, টেকনাফ, কক্সবাজার আর চট্টগ্রামে সভ্যতাবিধ্বংসী অমানবিক নিষ্ঠুর ঘটনা যখন ঘটেছিল বৌদ্ধদের ওপর; কোথাও কোথাও হামলা হয়েছিল হিন্দু মন্দিরে; তার জন্য কি কোনো প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছিল এসব ইসলামী দল? মহানবীর জীবনাদর্শ মানলে সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহস দেওয়ার কথা ছিল। পবিত্র কোরআন শরিফের অবমাননার গুজবটিই বড় হয়ে গেল। আর মূল্যহীন হয়ে গেল মানবতার প্রশ্নটি। গত বছর একইভাবে গুজব ছড়িয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হিন্দু মন্দির আর হিন্দুদের বাড়ি ভাঙচুর হলো—তখনো এসব ইসলামী নামধারী দলকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে দেখিনি। ঘুষ, দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি—এসব নিয়েও তো কোনো প্রতিবাদ করতে দেখি না তথাকথিত ইসলামী দলের নেতাদের! সব রেখে সমাজের ভেতর ফ্যাসাদ তৈরি করার মধ্যে যারা তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখে, তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা থাকার কথা নয়।
এই একুশ শতকে যখন মানুষ জীর্ণ পৃথিবীর ভার লাঘবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য মহাকাশে বসতি গড়ার উপযোগী ভূমি খুঁজে বেড়াচ্ছে তখনই আমাদের আবিষ্কার করতে হলো জ্ঞানমূর্খ অনেক মানুষ রয়েছে আমাদের সমাজে। তারা যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগের গুহাবাসী মানুষ। অস্তিত্বের প্রয়োজনে হামলে পড়ছে অন্য দলের ওপর। তাদের উসকে দেওয়ার জন্য স্বার্থবাদী রাজনীতি অঞ্চলের মানুষ নামের কতিপয় জীবও আছে। তাদের কদর্য নিয়ন্ত্রণে মুহূর্তে ভূলুণ্ঠিত হয় সভ্যতা।
মধ্যযুগের বাংলার সমাজ-সংস্কৃতি আমার পিএইচডি গবেষণার প্রধান বিষয় ছিল। তাই ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আরো গভীরভাবে জানার প্রয়োজন পড়েছে। আমি আমার সামান্য জ্ঞান নিয়ে যেটুকু ইসলাম বোঝার চেষ্টা করেছি, তাতে ছেলেবেলা থেকে যেভাবে ধর্মশিক্ষা পেয়েছি সেই ইসলামের সঙ্গে প্রকৃত ইসলামের দূরত্বই লক্ষ করেছি বেশি। আমার কাছে মনে হয়েছে ইংরেজ ও পাকিস্তানি শাসনামলে যেভাবে মতলবি ও প্রকৃত ধর্মচর্চা না করা মোল্লাদের মাধ্যমে সমাজে ইসলাম চেনানো হয়েছে, তাতে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা ও সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়নি। সাত শতকের শুরুতে আরব ভূমিতে জন্ম নেওয়া ইসলাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পেছনে ধর্মটির মানবিক আবেদনই সবচেয়ে কার্যকর ছিল। যে জীবনবিধান পবিত্র কোরআনে রয়েছে, যে শিক্ষা হাদিস শরিফে রয়েছে তা কখনো বাঙালি সাধারণ মুসলমানের কাছে তেমনভাবে উন্মোচিত হয়নি। এ দেশের বেশির ভাগ সাধারণ মুসলমান ধর্মগুরুদের কাছে শিখেছে কিভাবে অজু করে তাজিমের সঙ্গে সঠিক উচ্চারণ ও সুরে কোরআন খতম দেওয়া যায়। প্রতি খতমে কী পরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়। আমরা খুব কম মুসলমানই জানতে পেরেছি পবিত্র কোরআন শরিফ শুধু খতম দেওয়ার জন্য নাজিল হয়নি। কোরআন মুসলমানের ধর্মীয় সংবিধান। তা জানা আর সেইমত মানা হচ্ছে মুসলমানের কর্তব্য। হাদিস সম্পর্কে হুজুরদের বয়ানের বাইরে এ দেশের সাধারণ মুসলমানের হাদিস জানার সুযোগই বা কতটুকু ছিল।
আমি আমার সামান্য গবেষণার জায়গা থেকে বিনয়ের সঙ্গে বলব, যদি মুসলিম অধ্যুষিত এ দেশে মানুষকে প্রকৃত অর্থে কোরআন ও হাদিস শেখানো যেত, তবে তাদের উত্তেজিত করে ধর্মের নামে অন্য সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করানো, তাদের ধর্মপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার মতো উন্মাদ বানানো কঠিন ছিল। মানতে হবে বাংলায় ইসলাম প্রচারিত হয়েছে আল্লাহর প্রেম ও মানবিকতার বাণী প্রচার করে। ইসলাম প্রচারে সফল সুফি-সাধকরা একটি অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ তৈরি করেছিলেন। তাঁদের উদারতা আর ভ্রাতৃত্ববোধ ব্রাহ্মণ সেন শাসকদের দ্বারা পীড়িত বৌদ্ধ ও হিন্দু সম্প্রদায়কে আকৃষ্ট করেছিল। বেঁচে থাকার নতুন আশ্বাস পেয়েছিল তারা। তাই বাংলায় ইসলাম প্রচারিত হয়েছিল সাফল্যের সঙ্গে। মধ্যযুগে মুসলমান সুলতানরা বাংলার রাজক্ষমতা গ্রহণের পরও ইসলামের উদার নীতিতে কোনো ছেদ পড়েনি, বরং সুলতানরা অবলীলায় যোগ্য হিন্দুকে উচ্চ রাজপদ দিয়েছেন। হিন্দু-বৌদ্ধদের নিজ নিজ ধর্মপালনে সব অধিকার ছিল সুলতানি যুগে। এমনকি হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ অনুবাদ করার জন্য রাজকোষ থেকে অর্থ সাহায্য করেছিলেন বাংলার সুলতান। মোগল যুগে সুবা বাংলার সুবাদাররাও অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেছেন। তাই প্রায় ৫০০ বছর স্থায়ী বাংলার মুসলিমশাসিত মধ্যযুগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট ছিল।
এই দীর্ঘ উজ্জ্বল ঐতিহ্যে ছেদ পড়তে থাকে ইংরেজ শাসন যুগে। ইংরেজ শাসনবিরোধী এ দেশের মানুষ যাতে ঐক্যবদ্ধ না থাকতে পারে তাই শাসকরা জরুরি বিবেচনা করে সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরি করে। এই লক্ষ্যে টাকা ছড়িয়ে হাত করে কতিপয় হিন্দু পুরোহিত আর মুসলমান মোল্লাকে। তাদের শিখিয়ে পড়িয়ে দেয়। তারা শুরু করে তাদের ঘৃণ্য তৎপরতা। মুসলমানের ধর্মীয় উৎসবে যে দেশের হিন্দু নিজেরাও অংশ নিয়েছে, মুসলমানের মসজিদে নামাজের সময় কাঁসর ঘণ্টা বাজানো বন্ধ রেখেছে, হিন্দু হয়েও মহররমের মিছিলে অংশ নিয়েছে, মুসলমানরা প্রতিবেশী হিন্দুর পূজায় সমান আনন্দ পেতে চেয়েছে, নাড়ুর ভাগ নিয়েছে—অথচ আজ যার যার ধর্মের কতিপয় লোভী মানুষের প্ররোচনায় তাদের অনেকের মধ্যেই সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি তৈরি করা হলো। এ দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ইতিহাস তো শুরু হলো এভাবেই।
পাকিস্তান পর্ব ছিল বাঙালি মুসলমানকে প্রকৃত ধর্মচর্চা থেকে সযত্নে সরিয়ে রাখার কালপর্ব। এ ক্ষেত্রে প্রাচীন বাংলার ব্রাহ্মণ সেন রাজাদের সঙ্গে যথেষ্ট মিল ছিল পাকিস্তানি শাসকদের। ক্ষমতা দখলকারী বহিরাগত সেনরা প্রতিবাদী বাঙালিকে ভয়ের চোখে দেখেছে। নিজেদের অন্যায় শাসন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। তাই ধর্মের নাম ভাঙিয়ে নানা অনুশাসন চাপিয়ে দিতে থাকে সাধারণ বাঙালি হিন্দুর ওপর। শাসকরা জানত কোনো ধর্মই মানবতাবিরোধী কথা লিখে যায়নি। তাই ধর্মগ্রন্থ পড়তে পারলে তাদের প্রতারণা সাধারণের চোখে ধরা পড়ে যাবে। এ কারণে সাধারণ বাঙালি হিন্দু, যাদের শূদ্র বলে কোণঠাসা করা হয়েছিল, বলা হলো এরা লেখাপড়া করতে পারবে না। ধর্মগ্রন্থ পড়া শূদ্রের জন্য মহাপাপের হবে।
অনেকটা একই কাজ করেছিল পাকিস্তানি শাসকরা। বাঙালি মুসলমানকে প্রকৃত ইসলাম জানার সুযোগ দেয়নি। হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দিয়েছে বারবার। পাকিস্তান আমলে ইসলামী একাডেমি নামে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান হয়েছিল বটে; কিন্তু সচেতনভাবে এ একাডেমি পবিত্র কোরআনের তাফসির বাংলা ভাষায় রচনার উদ্যোগ নেয়নি। অর্থাৎ শাসক গোষ্ঠী জানত, বাঙালিকে যেভাবে শোষণ করছে তারা তা ইসলাম ধর্ম অনুমোদন করে না। এ কারণেই কোরআন জানার চেয়ে খতম দেওয়ার দিকেই দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেছে।
মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশ অর্জন করেছি ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ সামনে নিয়ে। কূটরাজনীতি সেখানেও ছন্দপতন ঘটাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়েছে স্বাধীন দেশে। ক্ষমতার কাছে ছুটে বেড়ানো কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বলবন্ত হচ্ছে সাম্প্রদায়িক শক্তি। দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। তারা তাদের অনুসারীদের সভ্যতা-সংস্কৃতি চর্চাবিমুখ রাখতে চায়। কারণ তারা জানে সভ্যতা-সংস্কৃতি মূর্খরা মানবতার বক্ষ বিদীর্ণ করতে দ্বিধা করবে না।
যেসব মুসলমান প্ররোচিত হয়ে রামু, উখিয়া, টেকনাফের বৌদ্ধ বিহারে আক্রমণ করেছিল, ধ্বংস করেছিল শত শত বছরের বৌদ্ধ বিহার স্থাপত্য, বুদ্ধের অমূল্য ভাস্কর্য আর মহামূল্যবান তালপাতার পুঁথি অগ্নিদগ্ধ করেছিল; তারা যদি ইতিহাস-ঐতিহ্যে মূর্খ না হতো, তাহলে এত বড় অন্যায় করতে পারত না। নিরীহ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িঘর তাদের হামলার শিকার হতো না। তারা জানত হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতিকে একসময় বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন বৌদ্ধ শাসক ও পণ্ডিতরা। অতীশ দীপঙ্কর, শীলভদ্র আর শান্তি রক্ষিতের মতো বাঙালি পণ্ডিত সে যুগের বিশ্বে নমস্য ছিলেন। এককালের বৌদ্ধ অধ্যুষিত এ জনপদে অনেক পরে ইসলাম ধর্মের বিকাশ ঘটেছে। অল্পসংখ্যক বহিরাগত মুসলমান বাদ দিলে এ দেশের বেশির ভাগ মুসলমানের পূর্বপুরুষ ছিল বৌদ্ধ ও হিন্দু। তাই হিন্দু-বৌদ্ধ সংস্কৃতি বিচ্ছিন্ন আমরা নই। পরে এ সংস্কৃতির সঙ্গে সমন্বিত হয়েছে ইসলামী সংস্কৃতি। এ কারণে বাংলার সব ধর্মের মধ্যে রয়েছে একটি সমন্বয়বাদী ধারা। ধর্মবণিকদের কবলে পড়ার আগে তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চিরচেনা রূপটিই ছিল এ দেশে।
মুশকিল হলো ধর্মব্যবসায়ী রাজনীতিকরা তাঁদের অনুসারীদের নিজ ধর্মও জানতে দেননি। ইসলাম ধর্ম এত ঠুনকো ধর্ম নয় যে কে কী বলল, তাতে ভেঙে পড়বে। মহাগ্রন্থ কোরআন এত দুর্বল নয় যে ফেসবুকে কে কী ব্যঙ্গ করল, তাতে কোরআন লাঞ্ছিত হয়ে গেল। এসব জ্ঞানমূর্খ কোরআনকে যদি বুঝতে পারত, তাহলে লা-কুম দীন ও কুম অলীয়া দীন বাক্যের তাৎপর্য বুঝত। আবার যদি মহানবীর বিদায়ী হজের বাণীর তাৎপর্য বুঝতে পারত, তাহলে জানত মহানবী নিজেই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য উম্মতদের নসিহত করে গেছেন।
যুগ যুগ ধরে ধর্মের লেবাস পরা এক দল মানুষ মানুষের ধর্মীয় আবেগকে ব্যবহার করে আসছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা অমানবিক হতেও কুণ্ঠিত হয় না। এ কারণেই আজ রাষ্ট্রকে সতর্ক হতে হবে, সতর্ক হতে হবে দেশপ্রেমিক রাজনীতিকদের, দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে। যার যার ধর্মের প্রকৃত সত্য ও সৌন্দর্য উন্মোচন করতে হবে। সভ্যতা ও ঐতিহ্য মূর্খরা স্বার্থবাদী ও মানবতার শত্রু হয়। তাই ধর্ম ও রাজনৈতিক বণিকরা প্রভাবিত করার আগেই সরল মানুষগুলোকে সভ্যতা ও ঐতিহ্য সম্পর্কে শিক্ষিত করে তোলার পদক্ষেপ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, অন্ধত্ব থাকলেই অন্ধকারের জীবরা ঘাড় মটকে দিতে চায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.