নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপির ভারত প্রেম কথা

১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

ম নে হয় আমরা একটা ট্রাজেডির যুগে বাস করছি। একটার পর একটা ট্রাজেডি। কোনোটা মানুষের সৃষ্টি, কোনোটা প্রকৃতির সৃষ্টি, সম্প্রতি বার বার ঘটে গেল কয়েকটি ট্রাজেডি। ব্রিটেনে ওয়েস্টমিনস্টার, ম্যানচেস্টার, লন্ডন ব্রিজে অনুষ্ঠিত বর্বর সন্ত্রাসী হামলা, তার পরই কেনসিংটনে বহুতল টাওয়ারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড এবং প্রায় একই সময়ে বাংলাদেশে ভূমিধসে অসংখ্য নর-নারীর মৃত্যু ও গৃহহীন হওয়ার ঘটনা জানান দিয়ে গেল, ট্রাজেডি এখন ধনী-গরিব সকল দেশেই সমানতালে ঘটতে পারে। তবে ধনীরা এ ট্রাজেডির আঘাত থেকে নিজেদের অনেকটা মুক্ত রাখার কৌশল জানে। মরে গরিবেরা। বাংলাদেশের পাহাড়ি ধস এবং ব্রিটেনের বহুতল ভবনের অগ্নিকাণ্ডও অ্যাক্ট অব গড নয়। গরিবের প্রতি ধনীদের অবজ্ঞা ও উপেক্ষার ফল। সন্ত্রাসী হামলার মতো এই ট্রাজেডিও মনুষ্য সৃষ্ট। লন্ডনের মিডিয়ায় সেকথা এখন উঠে এসেছে এবং ভবন নির্মাণেও গরিবের প্রতি উপেক্ষা ও অবহেলা সম্পর্কে লন্ডনে জন-বিক্ষোভ বাড়ছে।
লন্ডনে নিজেও বাস করি। এই সময় বার বার সন্ত্রাসী হামলা ও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিজেও যখন মুহ্যমান, তখন সংবাদপত্রে রঙ্গরসের খবর পড়তে ভালো লাগে না। কিন্তু দেশ থেকে আসা সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক ধরনের রাজনৈতিক খবর থেকে চোখও ফেরাতে পারি না। তাই ভূমিধসে ভয়াবহ বিয়োগান্ত ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক রঙ্গরসের খবরও পাঠ করতে হয়। বর্তমানে এই রঙ্গরসটি সৃষ্টি করেছেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
বিএনপি নেত্রীর কথাই যখন উঠল, তখন ব্রিটেনের বর্তমান মাইনরিটি সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সঙ্গে তার চরিত্রের একটা বিস্ময়কর মিল এখানে টানছি। এই মিলটি কাকতালীয়। কিন্তু নজর কাড়ার মতো মিল। গত ৮ জুনের নির্বাচনে মিসেস থেরেসা মে পার্লামেন্টে বিরাটভাবে আসন হারানোর পর এখন একটি ক্ষুদ্র আইরিশ দলের সমর্থন নিয়ে মাইনরিটি গভরমেন্ট গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এজন্যে টোরি সমর্থক কাগজেই তাকে আখ্যা দেওয়া হয়েছে a dead woman walking (একজন মৃত মহিলার হাঁটাচলা)।
তাকে ডেড উওম্যান আখ্যা দিয়েই একশ্রেণির মিডিয়া সন্তুষ্ট হয়নি। এক সমালোচক তাকে হারব্রিঙ্গার অব পলিটিকাল এন্ড ন্যাচারাল ডিজাস্টার আখ্যা দিয়েছেন। যুক্তি দেখিয়েছেন, ব্রেক্সিট-গণভোটে পরাজয়ের ফলে টোরি প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন যখন পদত্যাগ করেন এবং মিসেস থেরেসা মে পার্লামেন্টারি দলের নেতা নির্বাচিত হয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যান সে সময়েই ওয়েস্টমিনস্টারে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে ঘটে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা। একই ট্রাজেডির পুনরাবৃত্তি ঘটে তার ৮ জুনের নির্বাচনের প্রাক্কালেও। আবার এই নির্বাচনে তার রাজনৈতিক পরাজয়ও ঘটেছে। সুতরাং তাকে ‘ধ্বংসের দেবী’ আখ্যা দেওয়া যায়।
বাংলাদেশেও প্রায় একই ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯১ সালে। সাধারণ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো জয়ী হয়ে বেগম জিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের প্রাক্কালেই বাংলাদেশে ঘটে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এই ঝড়ে উপকূলীয় অঞ্চল প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, এজন্যে বেগম খালেদা জিয়াকে তখন নাম দেওয়া হয়েছিল তুফানি বেগম। এগুলো পুরনো কাসুন্দি। এখন বিএনপি নেত্রীর নতুন রঙ্গরসের কথায় আসি। সম্প্রতি ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলের এক ইফতার অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে নির্বাচন হয়নি। কেউ ওই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। কেবল আমাদের প্রতিবেশী দেশ (ভারত) দিয়েছে। কিন্তু এবার তাদের সুরটাও বদলে গেছে। তারা বুঝেছে তারা ভুল করেছে। ঠিক কাজ করেনি। সেজন্যে এবার যদি বিএনপি নির্বাচনে না যায়, ২০ দল না যায়, এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ একলা নির্বাচন করতে পারবে না।
একথা বলার পরেই তিনি নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের দাবি আওয়ামী লীগ সরকার গ্রহণ না করলেও আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও ২০ দলের যোগদানের নিশ্চিত আভাস দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা ও ২০ দল নির্বাচনে যাব।’ এই নির্বাচনে তার দলের যে জয় হবে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি আওয়ামী লীগের ছোট নেতাদের ভয় দেখিয়েছেন। বলেছেন আওয়ামী লীগের বড় নেতারা তাদের ব্যবস্থা করেছেন, অর্থাত্ দেশত্যাগের জন্য পকেটে টিকিট নিয়ে ঘুরছেন। অবস্থা খারাপ দেখলেই তারা উড়াল দেবেন। আপনাদের (ছোট নেতাদের) দিকে ফিরে চাইবেন না।
বেগম জিয়ার এই বক্তব্যকে রঙ্গরস বললাম এজন্যে যে, দেশের মানুষ যখন এক ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে, তখন তিনি দুর্গত মানুষের কথা বলার পরিবর্তে রাজধানীতে ইফতার পার্টি ডেকে দেশের রাজনীতি সম্পর্কে শুধু রঙ্গরসই করেনি, বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের মতো আবার কী ধরনের ভয়াবহ প্রতিহিংসার নীতি গ্রহণ করবে তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন। বলেছেন, নির্বাচনে পরাজিত হলে আওয়ামী লীগের বড় নেতাদের দেশ ছেড়ে পালাতে হবে এবং ছোট নেতারা পালাতে না পেরে মার খাবে।
এই ভয়টা দেশের অনেক মানুষই করছেন। এজন্যে তারা চান না, আগামী নির্বাচনে বিএনপি (লেজুড় হয়ে জামায়াত) আবার ক্ষমতায় আসুক। বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারলে তারেক রহমান সঙ্গে সঙ্গে দেশে ফিরবেন। তারপর দেশ জুড়ে আওয়ামী বধের নামে যে অত্যাচারের স্টিম রোলার চালানো হবে, তা ২০০১ সালের অত্যাচারকে ছাড়িয়ে যাবে। কত পূর্ণিমা শীলের কপাল পুড়বে তা কে বলবে। শুধু আওয়ামী লীগার বা আওয়ামী লীগের সমর্থক নয়, বিএনপি-জামায়াতের বিরোধী মাত্রেরই ওপর চলবে চরম নির্যাতন। সংখ্যালঘুরাও এই নির্যাতন থেকে রক্ষা পাবে না। বেগম জিয়াকে আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনি তার মনের এই গোপন ইচ্ছাটি ইফতার পার্টিতে ব্যক্ত করে ফেলেছেন।
রেগে গেলে অথবা চরম হতাশায় ভুগলে অনেক রাজনৈতিক নেতাই প্রলাপ বকেন। ঢাকার ইফতার পার্টিতেও বেগম জিয়া তাই বকেছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনকে যদি ভারত ছাড়া আর কোনো দেশ স্বীকৃতি না দিয়ে থাকে, তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটেন, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে বার বার আমন্ত্রণ পান কী করে? আর কী করেই-বা সেসব দেশের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি করেন? আর গতকাল মাত্র তিনি সুইডেন ঘুরে এলেন। সুইডেনের রাজা, প্রধানমন্ত্রী সংসদের স্পিকার সকলেই তাকে সংবর্ধনা জানিয়েছেন এবং দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছে।
হাসিনা সরকারকে সমর্থনদানের ব্যাপারে ভারত সরকার তার ভুল বুঝতে পেরেছে এমন চমত্কার তথ্যটাই-বা বেগম জিয়া কোথায় পেলেন? তাহলে কি পাকিস্তানের আইএসআই ছেড়ে ভারতের ‘র’-এর সঙ্গে বিএনপি’র সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে? যদি তা হয়ে থাকে, তাহলেও বলব, বেগম জিয়া ভুল খবর শুনেছেন। ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার খবর শুনে বাংলাদেশে বিএনপি মিষ্টি বিতরণ করেছিল। প্রকাশ্যে আশা প্রকাশ করেছিল, মোদী সরকার আওয়ামী লীগকে নয়, বিএনপিকে সমর্থন দিবে এবং বেগম জিয়াকে ক্ষমতায় বসতে সহায়তা জোগাবে। বিদেশি শক্তির সাহায্যে ক্ষমতায় বসার ব্যাপারে বিএনপি কতটা আগ্রহী তার প্রমাণ তারা আগেও দিয়েছে, এখনো দিচ্ছে।
ধন্য আশা কুহকিনী। বিএনপির আশা কখনো পূর্ণ হয়নি। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় এসেই শেখ হাসিনার দিকে মৈত্রীর হাত বাড়িয়েছেন এবং দু’দেশের মধ্যে অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান হয়েছে। বরং নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরে এলে বেগম জিয়াকে দরখাস্ত করে, নানা জনকে ধরে তার সঙ্গে দেখা করতে হয়েছিল। বর্তমানে দিল্লির বিজেপি সরকারের সঙ্গে বিএনপি’র সম্পর্ক উন্নত হয়নি। বাংলাদেশ-ভারত প্রতিটি সম্পর্কোন্নয়ন-চুক্তির সময়ে ভারতের কাছে বাংলাদেশ বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে বিএনপির নেতা-নেত্রীরা যেভাবে শোরগোল তোলেন এবং এখনো তুলছেন, তাতে এই সম্পর্ক উন্নত হওয়ার কোনো কারণ নেই। দীর্ঘকাল ক্ষমতার বাইরে থাকায় হতাশায় ভুগে ভুগে বেগম জিয়া এখন দিবাস্বপ্ন দেখছেন এবং ভাবছেন, মোদী আবার তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়াবেন। এই দিবাস্বপ্ন তিনি বিজেপি দিল্লিতে ক্ষমতায় আসার সময়ও দেখেছিলেন। সেই আশায় গুড়ে বালি পড়েছিল। এবার যে পড়বে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়?
এখানে আরো একটি প্রশ্ন অনেকে তুলতে পারেন। হাসিনা সরকারের প্রতি ভারতের মোদী সরকারের সমর্থন যদি শিথিল হয়, তাহলে বুঝতে হবে দেশের বৃহত্তর স্বার্থেই মোদী সরকারের সকল দাবি হয়ত হাসিনা সরকারের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে দেশের স্বার্থবিরোধী এসকল দাবি মেনে নিয়েই কি বেগম জিয়া ভারতের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে চাইছেন? কিন্তু পাকিস্তান কি আপন বধূয়াকে সহজে তারই আঙিনা পেরিয়ে নতুন প্রেমের সন্ধানে যেতে দেবে?
বেগম জিয়ার রঙ্গরসের আরেকটা প্রমাণ দেই। তিনি বলেছেন, এক-এগারোর সময় তখনকার ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দীন সরকার তাকে দেশ ছেড়ে যেতে বলেছিল। তিনি যাননি। যদি যেতেন তাহলে তার বড় ছেলে তারেক রহমান ভালো থাকত। ছোট ছেলে কোকোকেও তিনি হারাতেন না। তিনি দেশের মাটি ছেড়ে যাননি। অন্যদিকে শেখ হাসিনা ওদের কথায় দেশ ছেড়ে গেলেন এবং তাদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক নাটক করে দেশে ফিরলেন।
শুধু রঙ্গরস নয়, এর সঙ্গে কিছুটা সত্যের অপলাপও মিশ্রিত রয়েছে। ফখর-মইনুদ্দীন সরকারের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে এবং দণ্ড এড়াবার জন্য বেগম জিয়া তার দু’ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়ে দেন। তারেক রহমান তো মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন এবং বর্তমানে ব্রিটেনে রাজার হালে আছেন। সিংহাসনচ্যুত মিসরের রাজা ফারুক অথবা ইরানের শাহও বিদেশে এত দীর্ঘকাল এত বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে পারেননি। কোকোও বিদেশে টাকা পাচারের দায়ে দণ্ডিত হয়েও দণ্ড ভোগ করেননি। তার বিদেশে পালিয়ে থাকাতেই এটা সম্ভব হয়েছিল।
বেগম জিয়াও এক-এগারোর সরকারের আদেশ মেনে দেশ ছাড়তে রাজি হয়েছিলেন। এখন যত দম্ভই তিনি প্রকাশ করুন, তার সউদি আরবে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। যেদিন তিনি সউদি যাত্রা করবেন, সেদিন সকালে ঢাকা বিমানবন্দরে বিমান প্রস্তুত ছিল। কিন্তু সউদি সরকারের রাজনৈতিক কৌশলে তিনি বেঁচে যান। বেগম জিয়াকে যাতে দেশত্যাগ করতে না হয় সেজন্যে সউদি সরকার তাকে ভিসা দানে অসম্মতি জানায়। ফলে তাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়নি। এই তথ্যটিকে চাপা দিয়ে বর্তমানে তিনি যেসব কথা বলছেন, তাতে মনে হয় দেশের সকল মানুষেরই স্মৃতিশক্তি অত্যন্ত দুর্বল বলে তিনি মনে করেন।
অন্যদিকে শেখ হাসিনা সরকারের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে দেশ ছেড়ে পালাননি। প্যারোলে মুক্তি পেয়ে চোখের চিকিত্সার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। তখন তার দেশে ফেরত আসায় বাধা সৃষ্টির জন্য ফখর-মইনুদ্দীন সরকার সকল শক্তি প্রয়োগ করেছিল। সে সব বাধা-বিঘ্ন উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা ওয়ারেন্ট ও হুলিয়া মাথায় নিয়ে দেশে ফিরে আসেন এবং রাজনৈতিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। এই সাহসের পুরস্কার তিনি পেয়েছেন এবং ২০০৭ সালের নির্বাচনে বিশাল জয়লাভের অধিকারী হন।
বেগম জিয়ার কাছে আমার একটাই আবেদন, রঙ্গরস ও কৌতুক নাট্য বর্জন করে তিনি বাস্তবতায় ফিরে আসুন। ক্ষমতার জন্য ভারত-প্রেমের অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বাস্তবতার নিরিখে ভারতের সঙ্গে এমন সম্পর্ক গড়ে তুলুন, যাতে দু’দেশেরই মানুষের কল্যাণ হয়। ভারত, চীন, আমেরিকা প্রভৃতি বড় দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে ছোট দেশ হিসেবে বাংলাদেশের বড় দু’টি দলের প্রায় অভিন্ন নীতি অনুসরণ করা উচিত, যাতে বড় দেশগুলোর সঙ্গে সমমর্যাদামূলক সম্পর্ক রক্ষা করে চলা যায়। বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তারা নাক গলাতে না পারে। বিএনপি’র ভারত-বিদ্বেষের রাজনীতি যেমন ভুল; তেমনি বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের হস্তক্ষেপ কামনা আরো বড় ভুল।
বিএনপি’র ভারত-প্রেম কথা বাজারে বিকোবে না। জন্মাবধি ভারত-বিদ্বেষের রাজনীতি করে, ভারতকে বাংলাদেশের প্রধান শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে এখন রাতারাতি ভারত-প্রেমিক সাজা বিএনপি’র রাজনীতি দলটিকে কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য করে তুলবে না।
বিএনপি বাস্তব কর্মসূচি নিয়ে নির্বাচনে আসুক, দুর্নীতিমুক্ত যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে দিক, নির্বাচন বর্জনের নীতি বর্জন করুক, তারেক রহমান ও জামায়াতের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত হোক, তাহলে দেশের বৃহত্তম দ্বিতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে তার টিকে থাকা সম্ভব। তা না হলে বেগম জিয়া যতই বাগাড়ম্বর করুন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি’র মুসলিম লীগের পরিণতি বরণের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

মোঃ নুরুজ্জামান (জামান) বলেছেন: নব্য Abdul Gaffar Choudhury.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.