নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গি সনাক্তে রাডার প্রযুক্তি

২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীর নিয়মিত নজরদারির পরও প্রায়ই দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে জঙ্গী কার্যক্রম ও তৎপরতার খবরাখবর পাওয়া যায়। গত কয়েক মাসে রাজধানীর বাইরে রাজশাহী, দিনাজপুর, ঝিনাইদহ, সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও অন্যত্র কিছু কিছু জঙ্গী আস্তানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। কয়েকটি স্থানে সন্ধান পাওয়া গেছে আত্মঘাতী জঙ্গীরও। উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বিপুল পরিমাণের গোলা-বারুদ, অস্ত্রশস্ত্র, বোমা ও গ্রেনেড, সুইসাইডাল ভেস্ট, জিহাদী বই ইত্যাদি। প্রাথমিক পর্যায়ে এসব শনাক্ত করা খুব সহজসাধ্য ছিল না। কেননা, জঙ্গীরা গোপনে গোপনে সংগঠিত হয়। নাম-পরিচয় গোপন করে বাড়ি ভাড়া নিয়ে শুরু করে জঙ্গী তৎপরতা। সংগ্রহ করে অর্থ, অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ। পুলিশের দাবি, পুরনো জঙ্গী সংগঠন হরকত-উল-জিহাদ, জামা’আতুল মুজাহিদীন বা জেএমবি নামের জঙ্গীরা নব্য জেএমবি নামে সংগঠিত হওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। অবশ্য তারা কমবেশি পুলিশী ও গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের আওতায়ই রয়েছে। এবার তাদের যাতে সহজে শনাক্ত করা যায় সে জন্য সংগ্রহ করা হচ্ছে রাডার। রাডারের মাধ্যমে অদৃশ্য বস্তুসামগ্রী ও মানুষকে সহজে শনাক্ত করা যায়। এই মাধ্যমটি বিমান, জাহাজ, আবহাওয়া কেন্দ্র ও অন্যত্র ব্যবহৃত হয়। তবে এমন রাডারও আছে যাতে সহজে শনাক্ত করা সম্ভব জঙ্গীদের গোপন আস্তানাসহ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদের ডিপো। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
বর্তমান সরকার ধর্মীয় উগ্রপন্থাসহ সব রকম জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্র মতবাদের কোন স্থান নেই। প্রকৃতপক্ষে জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরের হাত ধরে দেশে ধর্মীয় রাজনীতি ও জঙ্গীবাদের উদ্ভব ঘটে। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে কুখ্যাত জামায়াত-শিবির হানাদার পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মাধ্যমে প্রসার ঘটায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমের। একাত্তরে পরাজিত হলেও পঁচাত্তর পরবর্তী সামরিক শাসনপুষ্ট সরকারগুলোর সহায়তায় দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী কার্যক্রমের বিকাশ ঘটতে থাকে। তবে আশার কথা এই যে, এ দেশের মাটিতে তা কখনই শিকড় গেড়ে বসতে পারেনি এবং জনসমর্থন পায়নি। ফলে দেশী-বিদেশী গডফাদারসহ আন্তর্জাতিক সহায়তায় সময়ে সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত হলেও ব্যর্থ হয়েছে চূড়ান্তভাবে। গুলশান, শোলাকিয়া ও অন্যান্য স্থানে ছোটবড় কয়েকটি হামলার পর এদেশীয় জঙ্গীদের সঙ্গে কুখ্যাত আইএস, আল কায়েদা, আল শামস, জইশ-ই-মোহাম্মদ, তালেবান ইত্যাদির সঙ্গে যোগাযোগ ও মদদের কথা দেশে-বিদেশে উচ্চারিত হলেও সেসব কখনই প্রমাণিত হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে। তবু এতে আত্মপ্রসাদের কিছু নেই। দেশীয় জঙ্গীদের অস্ত্র ও অর্থের উৎসসহ উৎসাহদাতা, মদদদাতাসহ আন্তর্জাতিক যোগাযোগের বিষয়টি সর্বদাই নজরদারির দাবি রাখে। অর্থাৎ এটি একটি নিরন্তর ও অব্যাহত প্রক্রিয়া। এরই একটি অংশ রাডার ক্রয়। জঙ্গী সন্ত্রাসীরা শুধু অস্ত্র ও বোমাই নয়, বরং প্রযুক্তি ব্যবহারেও অত্যন্ত দক্ষ। সে ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে টেক্কা দিতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও সর্বদাই সতর্ক ও তৎপর হতে হবে। সর্বোপরি সর্বস্তরে সর্বপর্যায়ে তৈরি করতে হবে জনসচেতনতা। টঙ্গী ও কুমিল্লায় জনপ্রতিরোধের বিষয়টি ইতিবাচক বৈকি। রাডার ক্রয়ও জঙ্গী দমনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

নতুন বলেছেন: রাডারের মাধ্যমে অদৃশ্য বস্তুসামগ্রী ও মানুষকে সহজে শনাক্ত করা যায়। এই মাধ্যমটি বিমান, জাহাজ, আবহাওয়া কেন্দ্র ও অন্যত্র ব্যবহৃত হয়। তবে এমন রাডারও আছে যাতে সহজে শনাক্ত করা সম্ভব জঙ্গীদের গোপন আস্তানাসহ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদের ডিপো। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

চায়ের দোকানের গল্প দিয়ে ব্লগ লিখলেন?

রাডার কিভাবে কাজ করে জানেন? একটু বুঝলে .....

আচ্ছা কোন রকমের রাডার দিয়ে বাংলাদেশের মতন ঘনবসতীর দেশে জঙ্গী সনাক্ত করবেন? এর আগেও আরেক জন এই রকমের ব্লগ লিখেছিলো... তিনি মন্তব্যের জবাব দেন নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.