নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এ বাংলাদেশের সাফল্য

১২ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮

জাতিসংঘ ঘোষিত ১৫ বছর মেয়াদি (২০১৬-৩০) টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সূচক বাস্তবায়নে ১৫৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২০তম। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ৩৯৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি গত সপ্তাহে সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, প্রতিবেশী পাঁচ দেশের তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে।
২০৩০ সাল নাগাদ ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়তে বছর দুয়েক আগে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ১৭টি অভীষ্ট ও ১৬৯টি লক্ষ্য নিয়ে অনুমোদন পায় এসডিজি। সমতা ও বৈষম্যহীন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অনুমোদিত এসডিজিতে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর অগ্রগতি বিচার করেই এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্কের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র বলছে, এসডিজি বাস্তবায়নে সরকার ইতিমধ্যে একটি ম্যাপ তৈরি করেছে। যেখানে ১৭টি অভীষ্ট ও ১৬৯টি লক্ষ্য কোন কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে। কোন মন্ত্রণালয় কোন অভীষ্ট ও লক্ষ্য বাস্তবায়ন করবে, সেটিও ঠিক করে ফেলেছে পরিকল্পনা কমিশন। এসডিজি বাস্তবায়ন সমন্বয় করতে সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদকে এসডিজি বাস্তবায়নবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এরই মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য ৪৪টি জরিপের কাজ হাতে নিয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয়, এসডিজি বাস্তবায়নে সরকার অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এসডিজি সূচকে বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর এক শর মধ্যে ৫৬.২। এই তালিকায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকা সুইডেনের স্কোর ৮৫.৬ এবং সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের স্কোর ৩৬.৭। আঞ্চলিক বিচারে বাংলাদেশের স্কোর পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার গড় স্কোর ৬৩.৩-এর চেয়ে কম। বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে এই সূচকে শ্রীলঙ্কার অবস্থান সবচেয়ে ভালো। ৬৫.৯ স্কোর নিয়ে শ্রীলঙ্কা আছে সূচকের ৮১ নম্বর অবস্থানে। এ ছাড়া ৬৫.৫ স্কোর নিয়ে ভুটান ৮৩তম; ৬১.৬ স্কোর নিয়ে নেপাল ১০৫তম; ৫৯.৫ স্কোর নিয়ে মিয়ানমার ১১০তম এবং ৫৮.১ স্কোর নিয়ে ভারত ১১৬তম অবস্থানে রয়েছে। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে কেবল পাকিস্তান (স্কোর : ৫৫.৬, অবস্থান : ১২২) ও আফগানিস্তান (স্কোর : ৪৬.৮, অবস্থান : ১৫০)। এসডিজির ১৭টি অভীষ্টের মধ্যে ১০টির অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আছে লাল তালিকায়। এর অর্থ হলো, এসব লক্ষ্য পূরণ করতে গেলে বাংলাদেশকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।
এসডিজি বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে গতকাল সোমবার থেকে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে নিয়ে বৈঠক শুরু হয়েছে। মন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা হবে ১৭ জুলাই থেকে। শেষ হবে ১৯ জুলাই। বাংলাদেশ থেকে যাবেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অন্যদের মধ্যে সফরসঙ্গী হবেন এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলমসহ অন্যরা। সেখানে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রতিবেদন তুলে ধরার কথা রয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এসডিজি-২-এ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ক্ষুধামুক্তি, এসডিজি-৩-এ সবার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত জীবন নিশ্চিত করা, এসডিজি-৪-এ ন্যায্যতাভিত্তিক ও মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ, এসডিজি-৭-এ সহজলভ্য ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানির প্রাপ্যতা, এসডিজি-৮-এ সবার মানসম্মত কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, এসডিজি-৯-এ অবকাঠামো, শিল্পায়ন ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহার, এসডিজি-১১-এ টেকসই নগর উন্নয়ন ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা, এসডিজি-১৪-এ সমুদ্রসম্পদের টেকসই উন্নয়ন ও ব্যবহার, এসডিজি-১৬-এ শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রাতিষ্ঠানিক উন্নতি এবং এসডিজি-১৭-তে এসডিজি বাস্তবায়নে বৈশ্বিক অংশীদারত্ব সৃষ্টির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আছে লাল তালিকায়।
এর মধ্যে এসডিজি-৯ এবং এসডিজি-১১-তে বাংলাদেশের স্কোর সবচেয়ে কম, এক শর মধ্যে যথাক্রমে ১২.৫ ও ১৪। আর সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি এসেছে এসডিজি-১-এ দারিদ্র্য দূরীকরণে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্কোর ৯৪.৪। এসডিজি-১সহ সাতটি লক্ষ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সূচকের হলুদ তালিকায় রাখা হয়েছে। এর অর্থ হলো, এসব ক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনে আরো অনেক কাজ করতে হবে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) মেয়াদ পূর্তির পর ২০১৫ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়, যার লক্ষ্য বিশ্বকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও অসাম্য থেকে মুক্ত করা। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে সহায়তার অংশ হিসেবে চার বছরে বাংলাদেশকে ১২০ কোটি ডলার সহায়তা দিতে গত বছর একটি চুক্তি করে জাতিসংঘ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০৯

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: Click This Link
An Ugly Face

এই ব্লগে কমেন্ট করা মানুষগুলোর মতো মানুষ থাকতেও দেশের উন্নতির আশা করতে পারেন কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.