নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো প্রায় দেড় বছর বাকি। এরই মধ্যে দেশজুড়ে নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়ে গেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের ব্যক্তিগত আলোচনা থেকে শুরু করে তৃণমূলের সাধারণ কর্মী পর্যন্ত নির্বাচনের হিসাব-নিকাশ করতে শুরু করেছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় জনসংযোগের পাশাপাশি মনোনয়নের জন্য চেষ্টা-তদবির শুরু করে দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ খোঁজখবর রাখছেন নির্বাচন পরিস্থিতির। গণমাধ্যমও নির্বাচন নিয়ে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে। এ মাসের শেষদিকে ইসি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। সেই হিসাবে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে ২০১৯ সালের জানুয়ারির প্রথম ভাগে কিংবা তার আগের তিন মাসের মধ্যে কোনো সুবিধাজনক সময়ে। গত নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়ায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে দেশে ও বিদেশে অনেক সমালোচনা ছিল। এবারের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বিএনপি অংশ নেবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এ অবশ্যই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য অতি প্রত্যাশিত একটি বিষয়। বিএনপি নির্বাচনকালীন অস্থায়ী বা সহায়ক সরকারের দাবি করে আসছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বিএনপি শীর্ষ নেতাদের আনুষ্ঠানিক না হলেও অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হচ্ছে। আগামী দেড় বছরে আরো আলোচনা হবে এবং আনুষ্ঠানিক আলোচনাও হতে পারে। আমরা আশা করি, আলাপ-আলোচনার ভেতর দিয়ে দুই দলের মধ্যকার দূরত্ব কমে আসবে এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে রূপ নেবে।
বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। নেতাকর্মীদের নামে অনেক মামলা রয়েছে। অনেক নেতাকর্মী জেলখানায় রয়েছেন। অনেকে গ্রেপ্তারের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের দাবি, এ অবস্থায় আগামী নির্বাচনে তাঁদের পক্ষে সমানতালে লড়া সম্ভব হবে না। বিষয়টি ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের কোনো মামলা না থাকলে বিএনপির নেতাকর্মীরা যাতে নির্দ্বিধায় এলাকায় কাজ করতে পারেন তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকেও তাদের কার্যপরিধি অনুযায়ী নির্বাচনী মাঠ অনুকূল রাখার চেষ্টা করে যেতে হবে।
কোনো দেশের শান্তি, স্থিতি, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি অনেকাংশেই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশের সুস্থতার ওপর নির্ভরশীল। সংঘাত বা সাংঘর্ষিক রাজনীতি দেশকে শুধু পেছনেই টানে। প্রকৃত অর্থে দেশের উন্নয়ন চাইলে ক্ষমতাসীন দলকে অবশ্যই তা উপলব্ধি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাদেরই উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে। বিএনপিসহ অন্য যেসব রাজনৈতিক দল গত নির্বাচন বর্জন করেছিল, আলোচনার মাধ্যমে তাদের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। তাদের নির্বাচনে শরিক করতে হবে। সবার অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হোক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.