নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপির কর্মকাণ্ড

২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে) প্রধান গণতান্ত্রিক দল ছিল তিনটি। আওয়ামী লীগ, ন্যাপ (মুজাফ্ফর) ও ন্যাপ (ভাসানী)। দুই ন্যাপই ছিল বামপন্থী এবং আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ছিল মধ্যবামপন্থী দল। সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে দলটির যে মধ্যডান ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির খোলস ছিল, শেখ মুজিবের নেতৃত্বে সেই খোলস সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত হয়।
পাকিস্তান আমলের শুরুতেই ১৯৫৪ সালে শাসক দল সাম্প্রদায়িক মুসলিম লীগ পূর্ব পাকিস্তানে ক্ষমতাচ্যুত হয় এবং প্রদেশের রাজনীতিতে তার প্রভাব হারায়। ফলে রাজনীতিতে প্রধান ধারা হিসেবে মাথা তোলে দুটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ধারা। একটি আওয়ামী লীগ, অন্যটি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (উভয় গ্রুপ)। পরবর্তীকালে ন্যাপ (ভাসানী) যে রাজনীতিতে প্রভাব ও গুরুত্ব হারাতে থাকে তার কারণ দলে মাওবাদী, নকশালপন্থী, সর্বহারা প্রভৃতি স্প্লিন্টার্স গ্রুপের আবির্ভাব। এরা সন্ত্রাসী। অন্যদিকে এই ন্যাপের একটি প্রতিক্রিয়াশীল গ্রুপ (মশিউর রহমান যাদু মিয়া-আনোয়ার জাহিদ প্রমুখের নেতৃত্বে) পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল আইয়ুবের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা চালায়। দলটি ক্রেডিবিলিটি হারায়।
ন্যাপের (ভাসানী) পতনের কারণ, দলে সামরিক শাসকদের সহযোগী একটি গণবিরোধী গ্রুপের তত্পরতা এবং অন্যদিকে এই দল থেকে নানা সন্ত্রাসী গ্রুপের আবির্ভাব। যাদের উপদ্রবে দক্ষিণবঙ্গের জনজীবন তখন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। মওলানা ভাসানী দলের নেতৃত্বে থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ একা ও অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। দলের মতামতের তোয়াক্কা না করে তিনি তাই একা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দিয়েছিলেন।
উপমহাদেশের রাজনীতিতে একটা ব্যাপার লক্ষণীয়, মানুষ রাজনৈতিক সংগ্রাম পছন্দ করে; রাজনৈতিক সন্ত্রাস পছন্দ করে না। এ জন্য ব্রিটিশ শাসনের প্রতি অবিভক্ত ভারতের মানুষের তীব্র ঘৃণা থাকা সত্ত্বেও তারা গত শতকের বিশ ও তিরিশের দশকের যুগান্তর ও অনুশীলন পার্টির টেররিস্ট মুভমেন্টকে সমর্থন না দেওয়ায় তা ব্যর্থ হয়। সন্ত্রাসী আন্দোলনের বদলে তারা মহত্মা গান্ধীর অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে এবং জেল-জুলুম, সব ধরনের নির্যাতন সহ্য করে সংগ্রামের পথ বেছে নিয়েছিল।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের অবসানের পর ব্রিটিশ ভারতে কংগ্রেসের পরই সবচেয়ে প্রভাবশালী সর্বভারতীয় দল হয়ে উঠেছিল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (অবিভক্ত)। তারা হরতালের ডাক দিলে সারা ভারতে অবলাবস্থা দেখা দিত। ঠিক বাংলাদেশের ভাসানী ন্যাপের মতো ছয় দফার আন্দোলনে বাধা দেওয়ার ও সামরিক শাসকদের সহযোগিতাদানের নীতি গ্রহণ করে যেমন দলটি জনপ্রিয়তা হারায়, তেমনি ১৯৪২ সালে কংগ্রেসের আগস্ট আন্দোলনের বিরোধিতা ও ব্রিটিশ শাসকদের সহযোগিতা দিতে গিয়ে কমিউনিস্ট পার্টি জনপ্রিয়তা হারায়।
তবু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলনে যোগ দিয়ে তারা এই হারানো জনপ্রিয়তা আবার ফিরে পেয়েছিল। কিন্তু ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতার পরপরই ‘ইয়ে আজাদি ঝুটা হায়’ স্লোগান তুলে সশস্ত্র বিপ্লবের নামে স্বাধীন ভারতের ‘বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক সরকার’কে উচ্ছেদ করতে চেয়ে যে ভয়াবহ সন্ত্রাস শুরু করেছিল, তা এই দলের পতনের সূচনা ঘটায়। চীন ও রাশিয়ার তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বে দলটি দ্বিধাবিভক্তও হয়। নেহরু সরকার সন্ত্রাসী দল হিসেবে বেশ কিছুদিনের জন্য কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করেও রেখেছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানেও ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত কমিউনিস্ট পার্টি সন্ত্রাসী দল (a party of subversive activities) হিসেবে নিষিদ্ধ ছিল।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুসলিম লীগ, জামায়াত, নেজামে ইসলাম ইত্যাদি সাম্প্রদায়িক দল নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ায় আশা করা গিয়েছিল, দেশে দ্বিদলীয় গণতান্ত্রিক রাজনীতি শুরু হবে এবং আওয়ামী লীগের পাশাপাশি আরো একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক দলের অস্তিত্ব থাকবে। এই দুই দলের মধ্যেই পালাক্রমে ক্ষমতার হস্তান্তর হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল আদর্শের ভিত্তিতেই দেশটি পরিচালিত হবে।
আওয়ামী লীগের বিকল্প এই দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হওয়ার সম্ভাবনা ছিল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (মুজাফ্ফর)। কিন্তু তারা তাদের পার্টির থিওরি অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগী হওয়ায় (ভারতে সিপিআইয়ের নেহরু সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার মতো) বাংলাদেশে সংসদের ভেতরে ও বাইরে বিরোধী দলের অবস্থানটি শূন্য হয়ে পড়ে। সন্ত্রাসী দল ও উপদল দ্বারা নানা গ্রুপে বিভক্ত ভাসানী ন্যাপ আর মাথা তুলতে পারেনি। আশা করা গিয়েছিল, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কট্টর বামপন্থী অংশ দল থেকে বের হয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল নামে যে নতুন দল গঠন করেছে, তারা কালক্রমে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিরোধী দলের শূন্যস্থানটি পূর্ণ করবে। দেশের মানুষের সেই আশা পূর্ণ হয়নি।
জাসদের জন্ম আওয়ামী লীগ-শাসনের বিরোধিতা থেকে নয়, দলটির জন্ম আওয়ামী লীগ-বিদ্বেষ থেকে। বিদ্বেষই সন্ত্রাসের জন্ম দেয়। যে দেশে তখনো গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রই স্থায়ী প্রতিষ্ঠা পায়নি, সে দেশে তারা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের অবাস্তব ধুয়া তুলে সন্ত্রাস শুরু করে। পিপলস আর্মি গঠনের নামে সামরিক বাহিনীকে তাদের ইনফেনটাইন অ্যাডভেঞ্চারিজমে ব্যবহারের চেষ্টা চালায়। দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার স্থিতিশীলতা লাভ করার আগেই তাকে অগণতান্ত্রিক পন্থায় উচ্ছেদের চেষ্টা সাম্প্রদায়িক ও সামরিক শক্তির অভ্যুত্থানের পথ সুগম করে দেয়। দেশে একটি গণতান্ত্রিক বিরোধী দলের ভূমিকা গ্রহণের পরিবর্তে সন্ত্রাসী তত্পরতা শুরু করা জাসদকে শক্তিহীন ও বহুধাবিভক্ত করে ফেলে।
সন্ত্রাস যে বাংলাদেশের মানুষও সমর্থন করে না, জাসদের রাজনীতি থেকে বর্তমান বিএনপির রাজনীতি তার প্রমাণ। ১৯৭৫ সালের ন্যাশনাল ট্র্যাজেডির পর যে শাসনব্যবস্থা দীর্ঘকাল দেশে কায়েম ছিল, তাকে এককথায় নানা ধরনের সন্ত্রাসের শাসন বলা চলে। এই সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত ছিল সাম্প্রদায়িকতা, যা এখন হিংস্র ধর্মান্ধতায় রূপান্তরিত হয়েছে।
বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে বন্দুকের শক্তির মাধ্যমে। পরে তার ক্ষমতার ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায় জামায়াত ও বিভিন্ন ধর্মান্ধ উগ্রপন্থী দল। বিএনপি তাই প্রকৃত অর্থে একটি স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক দল কি না, নাকি একটি সন্ত্রাসী দল, তা নিয়ে অনেকের মনে সন্দেহ আছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় একটি নিবন্ধে একজন ইতিহাসবিদ যুক্তি-প্রমাণ দিয়ে যে বক্তব্যটি উপস্থাপন করেছেন তা হলো, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। ওয়াশিংটন পোস্টের এই নিবন্ধের বাংলা তরজমা ঢাকার কাগজে প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং এই নিবন্ধের যুক্তি-প্রমাণগুলো আমি আর পুনরুল্লেখ করব না। কিন্তু আমারও এ সম্পর্কে একটি বিশ্লেষণ রয়েছে, তা পাঠকদের কাছে তুলে ধরব।
একজন সামরিক শাসকের দ্বারা সেনানিবাসে তৈরি একটি দল স্বাভাবিকভাবেই গণতান্ত্রিক দল হতে পারে না। হয় বন্দুকের শক্তিভিত্তিক একটি স্বৈরাচারী দল। এখানে বন্দুকের শক্তির অর্থই সন্ত্রাস। জেনারেল জিয়াউর রহমানের আমলে দেশে কারফিউ, জেলহত্যা (মুক্তিযোদ্ধাদের) ও সন্ত্রাসের যে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, তার শিকার জিয়াউর রহমান নিজেও হয়েছেন।
বিএনপির শরীর থেকে এই সন্ত্রাসী দলের তকমা খুলে ফেলার সুযোগ এসেছিল খালেদা জিয়া দলের নেতৃত্ব গ্রহণের পর। তিনি দলের প্রবীণ নেতাদের সহযোগিতায় দলটিকে সুসংহত করার পর গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায়ও গিয়েছিলেন। প্রথম দফা ক্ষমতায় যাওয়ার পর কিছুকাল তাঁর আচার-আচরণ ছিল গণতান্ত্রিক। এর পরই তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান লায়েক হয়ে ওঠেন এবং তাঁর সহযোগিতায় ধর্মীয় সন্ত্রাসী দল জামায়াত ধীরে ধীরে বিএনপির কাঁধে চেপে বসে। তৈরি হয় সন্ত্রাস ও দুর্নীতির দুর্গ হাওয়া ভবন। বিএনপি-জামায়াতের শাসনের পরবর্তীকাল ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অন্ধকার যুগ।
ক্ষমতায় বসে বিএনপি যে সন্ত্রাস শুরু করে তাকে বিনা দ্বিধায় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলা চলে। এ আমলেই সন্ত্রাসী বাংলা ভাইদের আবির্ভাব হয়। জেএমবি, হিযবুত তাহ্রীর ইত্যাদি ভয়াবহ সন্ত্রাসী দল তৈরি হয়। সরকারি প্রশ্রয়ে বাংলা ভাইদের অত্যাচার-নির্যাতন লাগামহীন হয়ে উঠেছিল। নারী ও সংখ্যালঘু নির্যাতন, আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অনেককে হত্যা, এমনকি আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা ফিলিপাইনের মার্কোসের সন্ত্রাসকে হার মানায়।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও বিএনপি গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথে ফিরে আসেনি। ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে এই নির্বাচন বানচাল করার জন্য জামায়াতের সহযোগিতায় তারা পেট্রলবোমা হামলায় যে কয়েক শ নির্দোষ নর-নারী ও শিশু হত্যা করেছে তাকে রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘শিশুঘাতী-নারীঘাতী বর্বরতা’ আখ্যা দেওয়া যায়। ওয়াশিংটন পোস্টের নিবন্ধকার সংগতভাবেই একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে বিএনপিকে তালিকাভুক্ত করেছেন। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে এবং ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি দেশময় যে সন্ত্রাস চালিয়েছে, সেই সন্ত্রাস বিশ্বের কোনো উন্নত গণতান্ত্রিক দেশে চালাতে গেলেও বিএনপি সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত ও নিষিদ্ধ ঘোষিত হতো।
আমার মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের এটা বিস্ময়কর সহিষ্ণুতা ও উদারতা, তারা বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেনি। বিএনপি তার এই সন্ত্রাসের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরে আসার ঘোষণা এখনো দেয়নি। কিন্তু ভূতের মুখে রামনামের মতো দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে অনবরত চেঁচাচ্ছে। তারা আগে সন্ত্রাসী রাজনীতি ও যুদ্ধাপরাধী জামায়াতিদের সংস্রব ত্যাগের সুস্পষ্ট ঘোষণা দিক, এরপর গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরে আসার প্রমাণ দিক; নেপালে মাওবাদীরা যা করেছে। নইলে নেকড়ে বাঘ যদি মেষ সাজতে চায়, তা সফল হবে না।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: খুবই ভালো বিশ্লেষণ। রবীন্দ্র পরবর্তী কালে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এ রকম অনবদ্য বিশ্লেষণ আর কখনো কেউই করতে পারেনি। এ এক অনন্য সংযোজন। স্টিকি করার দাবি জানাইতাম আগের যুগ থাকলে... :-P

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭

আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: "সুধী পাঠক, শুরু হয়ে গেল বাংলাদেশ টেলিভিশনের মধ্যাহ্নের খবর" :>

অনেক দিন ধরে বিটিভি দেখিনা । আপনাকে ধন্যবাদ ব্লগে বিটিভি দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য। :`>

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪

মুন্না৩৮ বলেছেন: মেোস্ট অন্টেড সরকারি টিভিতে আপনাকে স্বাগতম

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:২১

রিএ্যাক্ট বিডি বলেছেন: হা হা

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯

চিটাগং এক্সপ্রেস বলেছেন: বিএনপির এখনো সুযোগ রয়েছে ঘুরে দাঁড়াবার।

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:২৬

পুলক ঢালী বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন, ইতিহাস স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে থাকে কিন্তু কেউ শিক্ষা নেয়না। ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টির উদাহরন থেকে ন্যাপ (ভাসানী) শেখেনি।
৯০ এর গনআন্দোলন বিএনপিকে বিরাট একটা সুযোগ এনে দিয়েছিলো। আত্নঅহমিকা ত্যাগ করে যদি ৩ জোটের রূপরেখা মেনে দেশ চালাতো তাহলে দেশের এ অবস্থা হতোনা আর বএনপির এই হাল হতনা। এখনও যদি সুস্থ্য রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসার ঘোষনা দেয় তাহলে মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা আছে। সবার আগে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯

কলাবাগান১ বলেছেন: ওয়াশিংটন পোস্ট না ওয়াশিংটন টাইমসে এ প্রকাশিত। তারা নিজেরাও সফট ডানপন্হী...ওয়াশিংটন পোস্ট হল সফট বামপন্হী। ডানপন্হী হয়েও ডানপন্হী বিনপি/জামাতের বিরূদ্ধে নিবন্ধ প্রকাশ করল????
BNP / Jamat

৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "আওয়ামী লীগ সরকারের এটা বিস্ময়কর সহিষ্ণুতা ও উদারতা, তারা বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেনি।"

-- এইটা উদারতা নয় বরং দুর্বলতা। সন্ত্রাসের কাছে অসহায় আত্মসমর্পন।

সহিষ্ণুতা ও উদারতা বিএনপি দেখিয়েছিল যখন নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া রাজনৈতিক দলগুলোকে আবার রাজনৈতিক অনুমতি দিয়েছিল ৭৮ এ। যার মধ্যে আওয়ামী লীগও ছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.