নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহানায়ক বঙ্গবন্ধু

০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬

তিনি শুধু একজন ব্যক্তি নন। তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। অন্যায়ের প্রতি ন্যায়ের আন্দোলনের প্রতীক। শোষিত প্রাণের বিপ্লব। বিশ্ব কাঁপানো অভ্যুত্থান। জাতি নির্মাণের কারিগর। মহাকাব্যের অমর গাথা এবং একটি ইতিহাস। এই ইতিহাসের ব্যাপ্তি হাজার বছর। তাই সমকাল তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে। মহাকালের মহানায়করূপে তিনি বেঁচে থাকবেন। ইতিহাসে অক্ষয় ধ্রæবতারার মতো অ¤øান গরিমায় ভাস্বর হয়ে থাকবেন তিনি। বাঙালি জাতিকে পথ দেখাবেন। তার স্বপ্ন বাঙালির অস্তিত্ব।
জনগণের কাছে তিনি বন্ধু। জাতির কাছে তিনি পিতা। তার দীর্ঘ দেহ, বজ্রকণ্ঠ আওয়াজ, মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করার বাগ্মিতা এবং জনগণকে নেতৃত্বদানের আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব ও সাহস তাকে এ যুগের এক মহীরূহে রূপান্তর করেছে। ১৯৪৭ থেকে শুরু করে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট পর্যন্ত যেখানেই বাঙালির স্বার্থের প্রশ্ন ছিল সেখানেই গর্জে উঠেছিলেন তিনি। ১৯৪৭ থেকে ৬৫ সাল পর্যন্ত বাঙালির স্বার্থের কথা বলতে গিয়ে ১২ বার কারাবরণ করেন তিনি। ৬৬-এর ৬ দফা আন্দোলনে বারবার গ্রেপ্তার হন তিনি। প্রথম তিন মাসে মোট ৮ বার গ্রেপ্তার হন। ১৯৫৯ সালে পাকিস্তান সরকার ৬ বছরের জন্য বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ভাষা আন্দোলনে তিনি ১৯৪৮ সালে প্রথম পাকিস্তানের তমুদ্দিন মজলিসে নাজিমুদ্দিনের বক্তব্যের বিরুদ্ধে ধর্মঘট আহ্বান করেন। ৫২-এর ভাষা আন্দোলনে কারাগারে বন্দি অবস্থায় তিনি অনশন করেন এবং সালাম, বরকত, রফিক ও জব্বার শহীদ হওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনিই ৫৫ সালে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে প্রথম বাংলাদেশের নামকরণ প্রস্তাব করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দকে বাদ দিয়ে তার দলের নামকরণ করেন শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ।
জেল-জুলুম হুলিয়ায় এক চুলও ছাড় দেননি বাঙালির স্বার্থের দাবি। ভারতের আদিবাসী গবেষক মিরিয়াক মাপরিয়াল বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এক গবেষণায় বলেছিলেন, ভারতীয় হিসেবে আমরা গর্বিত যে, আমাদের দেশে মহাত্মা গান্ধীর জন্ম হয়েছিল, বাঙালি হিসেবে তোমাদের গর্ব তোমাদের দেশে বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল। গান্ধীজীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর তফাৎ- বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে দুবার স্বাধীন করেছিলেন। একবার ১৯৭১ সালে, দ্বিতীয়বার ১৯৭২ সালে যখন তার অনুরোধে ভারতীয় সৈন্য এ দেশ ছেড়ে চলে যায়।
বঙ্গবন্ধু তার সিদ্ধান্তে সব সময়ই ছিলেন আপসহীন। তাই সৌদি বাদশাহ বাংলাদেশের নামকরণ ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ করতে বললে তিনি তার জবাবে বলেছিলেন সৌদি আরবের নামকরণ কেন ইসলামিক রিপাবলিক অব আমিরাটস নয়? তিনি এভাবেই নিজের দেশের স্বকীয়তা আর স্বার্থের ক্ষেত্রে ছিলেন আপসহীন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: লেখা চালিয়ে যান। একদিন সাফল্য আসবেই। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.