নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধু আপন গুণে গুণান্বিত

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

জন্ম তার শুভক্ষণে শুভদিনে কিন্তু পরাধীনতার মধ্যে। দুই পর্বের পরাধীনতা ও শোষণ তাকে ভোগ করতে হয়েছে। প্রথমত ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শোষণ দ্বিতীয়ত পাকিস্তানি শোষণ-নির্যাতন, জেল-জুলুম-হুলিয়া আরও কত কী। কোনো কিছুই দমাতে পারেনি তাকে। এমনকি মৃত্যুও।
কেউ মানুক আর না মানুক বাঙালি ও বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা তিনি। স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। জেল-জুলুম, নির্যাতন, হুলিয়া বহন করেছেন তিনি। পূর্ববাংলার শোষিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত জনগণকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন তিনিই এবং প্রতিষ্ঠাও করেছেন তিনি। তিনি না হলে তো এ দেশ স্বাধীনই হতো না। তাকে প্রতিষ্ঠিত ও মহিমান্বিত করার জন্য বাংলাদেশে আর কোনো সরকারি-বেসরকারি বা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের প্রয়োজন নেই। আমার বিবেচনায়, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর নামে যদি একটি প্রতিষ্ঠানও গড়ে না উঠত তাতেও বঙ্গবন্ধুর খ্যাতি ও অবদান মস্নান কিংবা তার মর্যাদাহানি হতো না। অথচ এসব নিয়ে চলছে বাণিজ্য ও অসুস্থ প্রতিযোগিতা।
স্মরণে রাখতে হবে জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক বেশি শক্তিশালী, চিরস্থায়ী ও চিরঅমস্নান। প্রাতিষ্ঠানিক নামকরণ কিংবা ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে তাকে টিকিয়ে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। যতদিন বাংলাদেশ টিকে থাকবে ততদিন তার নাম-নিশানা কেউ মুছে ফেলতে পারবে না হাজার চেষ্টাতেও।
অনেকেই প্রশ্ন করেন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে কী হতো। এ ধরনের প্রশ্ন করা চরম নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। যুগে যুগে কিছু মহাপুরুষ পৃথিবীতে আসেন কোনো কোনো জাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে। বঙ্গবন্ধুও তেমনি একজন। মহাপুরুষদের মধ্যে মানবিকতা ও সরলতা এ দুটি গুণ অতিমাত্রায় থাকে। যার কারণে দেশ এবং দেশের মানুষের প্রতি থাকে তাদের সীমাহীন আস্থা ও ভালোবাসা। বঙ্গবন্ধুরও তেমনটা ছিল। এই আস্থা ও ভালোবাসাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সাধারণ মানুষকে কাছে টানা ও সম্মোহন করার ক্ষমতা ছিল তার অসীম। এমন অসীম ক্ষমতার অধিকারী মানুষ বাংলাদেশে আর একজনও জন্মগ্রহণ করেননি।
অথচ আমরা বাঙালি জাতি এতটাই অকৃতজ্ঞ যে, যিনি আমাদের স্বাধীনতা ও জাতিরাষ্ট্রের স্বীকৃতি এনে দিলেন ও প্রতিষ্ঠা করলেন আর আমরা তাকেই সপরিবারে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে খুন করলাম। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির রক্তে রঞ্জিত লাশ সিঁড়ির ওপর পড়ে রইল। আর খুনিরা উল্লাসে মেতে উঠল। রাষ্ট্রীয় উচ্চপর্যায়ের কিছু লোকের অন্যায়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার কারণেই খুনিদের এই উল্লাস ছিল বহু বছর। অবাক ব্যাপার যে, পাকিস্তানিরা যেখানে তাকে হত্যা করতে সাহস পায়নি, বন্দি করে নিয়ে যাওয়ার পরও_ সেখানে স্বাধীন দেশের মাটিতে তাকে নিষ্ঠুরভাবে খুন হতে হলো। জাতি হিসেবে এর চেয়ে লজ্জা ও ঘৃণার আর কী থাকতে পারে?
সেদিন রেহাই পায়নি বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্র রাসেল কিংবা পুত্রবধূরাও। ঘনিষ্ঠজনসহ সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঘটনা ছিল জাতির স্বাধীনতার শক্তিকে হত্যার অপচেষ্টা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং অস্তিত্বের শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে প্রকারান্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকেই হত্যা করতে চেয়েছিল। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি। এই হত্যার মাধ্যমে দেশকে পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে আবার মূল ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
ইতিহাসের দীর্ঘ পথ পেরিয়ে বাঙালি জাতি পিতৃহত্যার বিচার পেয়েছে। জাতির জনক হত্যার রায় কার্যকরের মাধ্যমে জাতি কলঙ্কমুক্ত হলেও এখনো কয়েকজন ঘৃণ্য অপরাধী ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর বিদেশে পালিয়ে থাকা ছয় খুনিকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় সরকার। খুনিরা যেসব দেশে পালিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা পাওয়া যায়, সেসব দেশের সঙ্গে আলোচনা ও ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানোকে সরকার অগ্রগতি হিসেবে দেখলেও বাস্তবতা হলো খুনিদের একজনকেও এখনো দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। যেভাবেই হোক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে, এটা দেশবাসীর দাবি।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম মহানায়ক। সেরা মুক্তিসংগ্রামী, সেরা রাষ্ট্রনায়ক। জননন্দিত নেতা হিসেবে তার তুলনা ছিলেন তিনি নিজেই। দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা ও দায়বোধ তাকে মহীরুহে পরিণত করেছিল। ব্যক্তি শেখ মুজিব হয়ে উঠেছিলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু। বাঙালি জাতি, বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছিল।
বাংলাদেশ সৃষ্টির পূর্বাপর দুটি ঘটনা কোনোভাবেই সাধারণ চোখে দেখার সুযোগ নেই। একটি হচ্ছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যটি হচ্ছে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা। জীবনের মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে আপামর বাঙালির স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং মরণপণ লড়াই করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনা। এই সমষ্টিগত অসাধ্য কাজটি দ্বিতীয়বার করা বাঙালি জাতির পক্ষে আর সম্ভব নয়। সেই দেশপ্রেম আর আবেগের সংমিশ্রণ ঘটানোও আর সম্ভব নয়। আজ একুশ শতকে এসে আরও একটি মুক্তিযুদ্ধ করাও আর আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই মুক্তিযুদ্ধকে সাধারণ চোখে দেখা ও বিবেচনা করা অন্যায়। ঠিক তেমনি পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টকেও সাধারণ চোখে দেখা অন্যায়। বাঙালি কতখানি নিষ্ঠুর ও ক্ষমতান্ধ হলে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে তা ভাবতেও গা শিউরে ওঠে।
রাজনীতিতে দূরদর্শিতা ও রাষ্ট্রনায়কোচিত বিশেষ গুণাবলির অধিকারী না হলে কেউ সফল রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছিল বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে গভীর জ্ঞান। তিনি স্পষ্টতই বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করবে। এ কারণেই জাতিকে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য তিনি ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বজ্রকণ্ঠে বলেন, 'আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।'
এক তরুণ বন্ধু আমাকে প্রশ্ন করল, বলুন তো বঙ্গবন্ধুর কী এমন দোষ ছিল যে তাকে হত্যা করা হলো?
আমি বললাম মহাপুরুষদের দোষ থাকলেও তাকে বড় করে দেখা উচিত নয়। বঙ্গবন্ধু যে দোষে দুষ্ট ছিলেন তা অনেকটাই আরোপিত। তার কিছু ঘনিষ্ঠ সহচর তাকে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে ভুল পথে পরিচালিত করেছিল। তিনি বাকশাল গঠন করেছিলেন, রাজনৈতিক দল ও সংবাদপত্রের টুঁটি চেপে ধরেছিলেন, তার ঘনিষ্ঠ সহচর তাজউদ্দীনকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করেছিলেন। এসবই করেছিলেন অন্যের পরামর্শে। বঙ্গবন্ধুর মতো মহান হৃদয়ের মানুষ নিজ বুদ্ধিতে হয়তো এটা করতেন না। তার হত্যাকা-ের মধ্যদিয়ে এসব প্রমাণিত হয়ে গেছে।
ওই বন্ধুটি আমাকে আরও বলল, ছোটবেলায় যখন মাইকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতাম, তখন মনে হতো মাইকে কোনো কিছু বলার ক্ষমতা ও সুযোগ কেবল বঙ্গবন্ধুরই রয়েছে। এ কথাটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এটা অনিবার্যভাবেই সত্য যে, বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতার পক্ষেই লাখ লাখ জনতার সামনে এরকম একটি অলিখিত ভাষণ প্রদান করা সম্ভব ছিল। পুরো ভাষণই ছিল অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ যেন কোনো মহাকাব্য পাঠ। বঙ্গবন্ধুর শব্দ চয়ন, উচ্চারণ ও বাচনভঙ্গি ছিল অতুলনীয়। এ ভাষণের মাধ্যমে তিনি যে উদ্দীপনা ও মহামন্ত্র ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, তাতে বাঙালিরা জীবনের মায়া তুচ্ছ করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধু ছয় দফাকে এক দফায় পরিণত করতে এ ভাষণেই তিনি বাঙালির স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা দেন। এ ভাষণেই ছিল একটি রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের কথা।
ঢাকায় ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর বজ্রনির্ঘোষ ঘোষণা 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম'। তিনি আরও বলেন, 'যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুকে প্রতিহত করে ছাড়বা।' বঙ্গবন্ধু স্পষ্ট ভাষায় বলেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না-বাংলার মানুষের অধিকার চাই।'
বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি আমরণ সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি স্বপ্ন দেখতেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশের। অথচ স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও তার স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে পারিনি। এর মূল কারণ রাজনৈতিক বিদ্বেষ ও দলীয় সংকীর্ণতা ও হানাহানি। যে বাঙালির জন্য তার স্বপ্ন ও সংগ্রাম ছিল, ওই বাঙালিরই একটি অংশ তাকে বাঁচতে দিল না। বঙ্গবন্ধুর অপরাধ কি এত বেশি ছিল যে তাকে সপরিবারে হত্যা করতে হবে? এর চেয়ে দুঃখ আর পরিতাপের বিষয় কী হতে পারে? তাতে কি দেশের কোনো লাভ হয়েছে? দেশ প্রগতিশীল ধারা থেকে প্রতিক্রিয়াশীল ধারায় ফিরেছে। রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের উত্থান ঘটেছে। আধুনিক ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছে আমরা ছোট হয়ে গেছি।
আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে আমার এক আত্মীয় বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক জেনে তার সহপাঠীরা আক্রমণাত্মক ভাষায় বলেছিল, তোমরা তোমাদের জাতির পিতাকে হত্যা করেছ। জাতি হিসেবে তোমাদের তো গর্ব করার কিছু নেই। এমনিভাবে দেশে এবং দেশের বাইরে স্বাধীনতার ৪৬ বছরে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাদের।
মনে রাখতে হবে. শেখ মুজিব কেবল একটা নাম নয়, একটি প্রতিষ্ঠান। তাকে অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে তুলনা করা, কোনো দলের বিশেষ মানুষ বা নেতা ভাবা, তার নাম ভাঙিয়ে ব্যবসা করা অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি বলতেন_ 'ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলাদেশ আমার দেশ।' বাঙালি ও বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা তিনি। পাকিস্তানের শুরু থেকেই তিনি বাঙালিদের স্বার্থের বলিষ্ঠ প্রবক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। শুধু তাই নয়_ পাকিস্তান সৃষ্টির আগে থেকেই বাংলা ও বাঙালির স্বার্থরক্ষায় তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা ও অবদান রেখে আসছেন।
এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেতাম না। কারণ বাঙালির স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসন প্রশ্নে নেতৃত্ব দেয়ার মতো যোগ্য লোক পূর্ববাংলায় দ্বিতীয়জন ছিলেন না। আমাদের আজও পশ্চিম পাকিস্তানিদের গোলামি করতে হতো। আজ যে বাঙালিরা স্বাধীন দেশে রাষ্ট্রীয় উচ্চপদে আসীন আছেন, স্বাধীনভাবে কাজ করছেন, মুক্ত বাতাসে ইচ্ছামতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন_ এর কোনো সুযোগ ছিল না।

দেশের যে বর্তমান সমস্যা-সংকট তা নিতান্তই আমাদের, কারও চাপিয়ে দেয়া নয়। আমরা ইচ্ছা করলেই এই সমস্যা-সংকট ও সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি। তবে পদে পদে জাতির জনককে নিয়ে বিভাজন ও বিতর্কের মাধ্যমে সম্ভব নয়। এখন প্রয়োজন জাতির পিতা প্রশ্নে ঐকমত্য। এই ঐকমত্যে পৌঁছা কি আদৌ সম্ভব? নাকি আমরা রাজনৈতিক বিভেদ আর সংকীর্ণতার চোরাগলিতে কেবল পথ হারাবো।

সালাম সালেহ উদদীন : কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক ও কলাম লেখক

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.