নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগস্ট ও দুঃসহ স্মৃতি

২১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

১৯৭৫-এর বেদনাভরা আগস্ট কেন বারে বারে রক্তাক্ত হয়ে ফিরে আসে। সেটা ছিল মানুষ হত্যার নির্মম সাক্ষী এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের পৈশাচিক রূপ। নিরস্ত্র মানুষের ওপর সশস্ত্রদের সদম্ভ আগ্রাসন। ইতিহাসের রক্তাক্ত মাসটি এবার বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বে ছড়িয়ে গেল। রক্তাক্ত করল স্পেনের বার্সেলোনাকে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে ১৯৭৫ সালের আগস্ট রক্তাক্ত হয়েছিল। স্বাধীনতার স্থপতিকে রক্ষা করতে না পেরে লজ্জিত হয়েছিল বাঙালি জাতি, লজ্জা পেয়েছিল সভ্যতা এবং পরাজয় হয়েছিল শোষিত ও অধিকার বঞ্চিত লড়াকু জনতার। একাত্তরের পরাজিত শক্তি বিজয়ের বেশে ৩০ লাখ শহীদের বাংলাদেশ আবার দখল করেছিল, উত্ফুল্ল হয়েছিল পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিপক্ষে থাকা দেশি-বিদেশি শক্তিগুলো। আগস্ট শোকের মাস হয়ে বাঙালিকে কাঁদিয়ে চলেছে। অনাদিকাল ধরে চলতে থাকবে শোকের ধারা। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে থাকার কারণে খুনিদের আগ্রাসী থাবা থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে থাকা আওয়ামী লীগের হাল ধরে বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া স্বপ্ন হাতে নিয়ে দলের নেতৃত্বে আসেন শেখ হাসিনা। তিনিও ২০০৪ এর আগস্ট মাসে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার শিকার হয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। চব্বিশ জন নিরীহ মানুষের জীবন প্রদীপ নিভে যায় এবং শতাধিক আহত হয়ে স্প্লিন্টারের যন্ত্রণা বয়ে চলেছেন। আটটি আর্জেস গ্রেনেড ছোড়া হয়েছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউর সমাবেশে। ট্রাকের উপর স্থাপিত মঞ্চে ভাষণ শেষ করা মাত্রই একটার পর একটা মানববিধ্বংসী সামরিক গ্রেনেড ফুটতে থাকে আর লুটিয়ে পড়তে থাকে নিরস্ত্র মানুষ। নিরস্ত্রের উপর সশস্ত্রের হামলা কিন্তু রূপ ভিন্ন। ট্রাক লক্ষ্য করে ছোড়া গ্রেনেডটি দৈবক্রমে না ফুটলে আহত হয়েও বেঁচে যান শেখ হাসিনা এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। হামলার দায় শিকার করেনি কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। অত্যন্ত অভিলাষী লক্ষ্য ছিল হামলার। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার বিকল্প হিসেবে অনৈতিক ও অগণতান্ত্রিক সশস্ত্র পথ বেছে নিয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির রাজনীতি। পরে জানা গিয়েছিল আফগান ফেরত মুফতি হান্নানের হরকাত উল জিহাদ আল ইসলাম আল বাংলাদেশ (হুজি)এর জঙ্গিরা গ্রেনেড ছুড়েছিল বিএনপি-জামায়াত নেতাদের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এবং পুলিশ-গোয়েন্দাদের শীর্ষস্থানীয়রাও জড়িয়ে পড়েছিলেন হামলা বাস্তবায়নে এবং সুযোগ করে দিয়েছিলেন পালিয়ে যেতে। আদালতে দেওয়া জবানবন্দি থেকে এইসব বিস্ময়কর তথ্য হতবাক করেছে সবাইকে।

বছর না ঘুরতেই ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলার ৩০০টি স্থানে ৩০ মিনিটের মধ্যে ৪৫৯টি বোমা বিস্ফোরিত হয় একযোগে। রাজধানী ঢাকার ২৮টি পয়েন্টে বোমা ফুটেছিল। বোমাগুলোর শক্তি সাধারণ মানের ছিল এবং স্প্লিন্টার ছিল না। স্থাপনা তাক করে বোমা পাতলেও দুজননিরীহ মানুষ নিহত হয় এবং শতাধিক আহত হয়। আদালত, সরকারি অফিস, বিমান বন্দর ও হোটেল এলাকা ছিল লক্ষ্যবস্তু। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং মনে ভয়ের কম্পন শুরু হয়। হামলাস্থলে লিফলেট ছড়িয়ে জামায়াত উল মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) হামলার দায় শিকার করে। ইসলামি হুকুমাত কায়েমের জন্য ‘তাগুতি’ আইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা দেয়। স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারে জন্ম নেওয়া শায়ক আব্দুর রহমান স্কলারশিপ নিয়ে সৌদি আরবে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন এবং ১৯৮৫ সালে দেশে ফিরে পাকিস্তানভিত্তিক লস্করে তৈয়েবার সহযোগিতা নিয়ে ১৯৯৮ সালে জেএমবি গঠন করেন। দলটি শক্তি সঞ্চয় করে ২০০১ সাল থেকে জিহাদি তত্পরতা শুরু করে এবং ২০০৪ সালে রাজশাহীর বাগমারা অঞ্চলে উগ্র বামপন্থি সর্বহারা নিধন শুরু করলে প্রথম নজরে আসে কিন্তু সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা তাদের অস্তিত্ব স্বীকার করেন না। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অনেক চিহ্ন দলটি বহন করেই শক্তি অর্জন করেছে। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে চার বছরে করা অন্তত ২৬টি হামলায় ৭৩ জন নিহত এবং ৮০০ জনকে আহত করে। ২০০৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জেএমবিকে নিষিদ্ধ করা হয় এবং ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ৬ শীর্ষ নেতার ফাঁসি কার্যকর হয়। র্যাবের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে জেএমবি টিকে থাকতে না পেরে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।

২০০৭ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ শান্ত ছিল, কিন্তু যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে জামায়াতে ইসলামী হিংসার পথ ধরলে নিরীহ মানুষের প্রাণহানি বাড়তে থাকে এবং কানাডাপ্রবাসী তামিম চৌধুরী দেশে এসে জেএমবি’র সদস্যদের নিয়ে নব্য জেএমবি গঠন করে গোপনে সংগঠিত হতে থাকে। অপর দিকে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় এবং পরবর্তী বছরে বিএনপির ডাকা অবরোধকালীন আগুন সন্ত্রাসের পেছনে জঙ্গিদের অংশগ্রহণের অনেক চিহ্ন পাওয়া যায়। জঙ্গিত্বের ব্যাপ্তি ও মাত্রা রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে ওঠানামা করেছে।

গত বছরে হলি আর্টিজান বেকারির ভয়াবহ হামলার পর পুলিশের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ৬৬ জনের অধিক সক্রিয় ও ভয়ানক প্রকৃতির জঙ্গি সদস্য নিহত হয়। শীর্ষ নেতৃত্বে শূন্যতা ও তাদের নিরাপদ আস্তানাগুলো হাতছাড়া হলে জঙ্গিদলের সক্ষমতা মারাত্মকভাবে খর্ব হয়। জননিরাপত্তার হুমকি কমে আসে এবং স্বাভাবিক হয়ে আসে জীবনযাত্রা।

এ বছরের ১৫ আগস্টে দেশ যখন বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জড়ো হতে শুরু করে তার খুব কাছে পান্থপথ সড়কের একটি হোটেলে তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ সবাইকে হতচকিত করে। জঙ্গি সাইফুল হক খুলনা থেকে এসে হোটেলে অবস্থান নিয়ে শোক মিছিলে নিরীহ মানুষের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল। পুলিশের সময়োচিত হস্তক্ষেপে হামলা নস্যাত্ হয়। অগণিত মানুষের জীবন রক্ষার জন্য পুলিশ বাহিনীকে অনেক সাধুবাদ। এবারের আগস্টকে রক্তাক্ত করতে চেয়েও অশুভ শক্তির তাণ্ডব থেকে বাংলাদেশ রক্ষা পেলেও স্পেনের বার্সিলোনা শহর জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়ে গেল। বিশ্ব পরিমণ্ডলে আগস্ট নির্মমতার সাক্ষী হয়ে গেল। গত বছরে ফ্রান্সের নিস শহরের অবকাশকেন্দ্রে একইভাবে হামলা করে ৮৬ জনকে খুন করেছিল ইসলামের নামে সন্ত্রাসে লিপ্ত ইসলামিক স্টেট বা আইএস। এই হামলা নিঃসন্দেহে পশ্চিমা বিশ্বে ধর্মীয় ও জাতিগত সংঘাত ও ঘৃণাকে উসকে দেবে। সম্প্রীতি, সহিষ্ণুতা ও মানবতার মূল্যবোধ কিছুটা হলেও উবে যাবে। মুসলিম অভিবাসীদের প্রতি স্থানীয়দের বিতৃষ্ণা বাড়িয়ে দেবে। ফলশ্রুতিতে মুসলিম বিদ্বেষ থেকে ঘৃণাসংবলিত অপরাধ বাড়বে। মুসলিমদের অহেতুক নিগৃহীত হবার আশঙ্কা তুঙ্গে উঠল। ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার করার মানসে তৈরি দানব ফ্রাঙ্কেনস্টাইন হয়ে গেছে। সন্ত্রাস দিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের কৌশল আত্মঘাতীতে পরিণত হয়েছে।

নির্বিচারে মানুষ হত্যার সুযোগ রোধে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের গুলি করার কৌশল প্রয়োগ করল স্পেন। সন্দেহভাজন ৫ জঙ্গিকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গি নিধনে শক্ত কৌশলের প্রয়োগ দেখাল। বাংলাদেশ একই কৌশল প্রয়োগ করে মানবাধিকার প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে বহুবার। বিশ্বের দৃষ্টি যখন স্পেনে আটকে আছে তখন ইউরোপের অপর দেশ ফিনল্যান্ডের তর্কু শহরে ছুরি নিয়ে নিরীহ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে এক সন্ত্রাসী। জঙ্গি হামলার শঙ্কায় অস্থির হয়ে উঠেছে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা।

বাংলাদেশের মানুষ আগস্টের রক্তাক্ততা ভুলতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুকে সেনাবাহিনী দিয়ে হত্যা করতে সমর্থ হলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার পুনরাবৃত্তি সহজ নয়। রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের সস্তা হাতিয়ার হিসেবে জঙ্গিবাদের পাকিস্তানি অভিজ্ঞতাকে কপি করার প্রবণতা দেখা যায় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির মধ্যে। জিহাদি মতাদর্শের প্রসার ও স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তি নিধনে জঙ্গিবাদ কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম মনে করে জঙ্গিনির্ভর কৌশল রচিত হয়। বাংলাদেশে জঙ্গি অপশক্তির কারিগরদের অনুভব করা গেলেও তারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে। ঘটনার বিবরণ, আদালতে দেওয়া শীর্ষ নেতাদের জবানবন্দি থেকে অনুধাবন করতে কষ্ট হয় না যে বাংলাদেশের জঙ্গি দলগুলো রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে স্বাধীনতা বিরোধীদের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায়ন করতে পাকিস্তান তার দক্ষতা, মেধা, অর্থ ও অভিজ্ঞতা দিয়ে হুজি ও জেএমবি গঠনে পূর্ণ সহায়তা দিয়েছে। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই জঙ্গি দল গঠন এবং নিজেদের স্বার্থে তা দেশে ও বিদেশে ব্যবহার করতে অনেক পটু। বেসরকারি সাহায্য সংস্থার আড়ালে মধ্যপ্রাচ্যের অর্থায়ন মৌলবাদী ও জিহাদি সংগঠন বেড়ে ওঠায় অনেক পুষ্টি জুগিয়েছে। বাংলাদেশকে নিজেদের পক্ষে রাখতে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে পোক্ত করা পাকিস্তানি পররাষ্ট্র নীতির গোপন এজেন্ডা। আফগানিস্তানে মার্কিনিদের ওপর হামলা করা থেকে হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও আফগান তালেবানদের নিবৃত্ত না করায় পাকিস্তানের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নাখোশ। পাকিস্তানের জন্য মার্কিন সাহায্য কমে গেছে। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি দল লস্করে তৈয়েবা ও জইশ ই মোহাম্মদের ক্রমাগত হামলা বন্ধ করতে পাকিস্তানকে চাপে ফেলতে ভারতের কূটনীতি এখন অনেক সাফল্যের মুখ দেখছে। কাশ্মিরের জঙ্গি দল হিজবুল মুজাহেদিন মার্কিনিদের বিদেশি জঙ্গি তালিকায় উঠে গেছে।

হুজি ও জেএমবি’র জন্ম-ইতিহাস, নেতৃত্ব ও উদিত হবার কৌশল বিশ্লেষণ করলে পাকিস্তানি গোপন পৃষ্ঠপোষকতার অনেক চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়। ২১ আগস্টের হামলায় তত্কালীন সরকারের মন্ত্রী, আমলা, পুলিশ-গোয়েন্দা, রাজনৈতিক নেতা এবং মুফতি হান্নানের হরকত উল জিহাদ আল বাংলাদেশকে (হুজি) এক কাতারে দেখা গেছে। রাষ্ট্রীয় নটরাজদের তৈরি করা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে মুফতি হান্নানের জঙ্গি দল হুজিকে নিয়োগ করা হয়। হুজি গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য বোমা পেতেছিল। শেখ হাসিনার ওপর ১৯ দফা হামলা থেকে অনুমিত হয় মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের রাজনীতির প্রতীক হিসেবে তিনি স্বাধীনতাবিরোধী রাজনীতির প্রধান টার্গেট। ২১ আগস্টের হামলাটি ছিল দুঃসাহসিক, অভিলাষী এবং পুরোপুরি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। জঙ্গি হামলার নিশানা স্থির হয়ে গেছে মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক চেতনার ওপর। জঙ্গিবাদ নির্মূলে সদর্পে, সম্মিলিত ও সমানভাবে এগুতে হবে জঙ্গি, মদদদাতা ও কারিগরদের বিরুদ্ধে। শান্তি ও মানবিক মতাদর্শের দেয়াল তৈরি করে উগ্রবাদী মতাদর্শকে মোকাবিলা করতে হবে।

আগস্ট আর যেন ফিরে না আসে রক্তাক্ত হয়ে তা স্বদেশে হোক আর বিদেশে হোক। ধর্মের নামে বিদ্বেষ নয়, ধর্মের নামে রাজনীতিও নয়, রাজনীতির লক্ষ্য নিয়ে জিহাদের নামে নিরীহ মানুষ হত্যাও নয়। আগামীর আগস্ট ফিরে আসুক সম্প্রীতি, শান্তি ও সমৃদ্ধি সঙ্গে করে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: ঘটনার দিন আমিও আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে ছিলাম।
আমার প্রেমিকা ফোন দিল- তারপর সেই অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে এলাম।
তা না হলে সেদিন হয়তো আমিও মরে যেতাম।

২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১০

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: কতটা অমানুষ হলে ধর্মের নামে এমন নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা যায়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.