নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৪

মানবজাতির মহাসংসদ জাতিসংঘের সবচাইতে শক্তিশালী অঙ্গ নিরাপত্তা পরিষদে যখন মাতৃভূমি-বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান নির্যাতন বন্ধে এবং তাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রশ্নে কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারেনি, তখন কেবলমাত্র মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় টানেলের শেষপ্রান্তে কিছুটা আশার আলো দেখতে পাওয়াও কম কথা নয়। গত ২ অক্টোবর বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির দপ্তরের মন্ত্রী কিও তিন্ত সোয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার সম্মতির কথা ঘোষণা করে মিয়ানমার প্রতিনিধি। এজন্যে দুই দেশ একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই বৈঠকের ফলোআপ হিসেবে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শীঘ্রই মিয়ানমার সফর করে সীমান্ত সুরক্ষা সম্পর্কিত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবেন। রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের আন্তরিকতা এবং বহির্বিশ্বের অব্যাহত চাপে অবশেষে মিয়ানমারের বরফ গলতে শুরু করেছে বলে ধরে নেয়া হয়তো যায়। কিন্তু তারপরও ঘরপোড়া গরুর মেঘ দেখে ভয় পাওয়ার ব্যাপারটা তো থাকেই। রোহিঙ্গাদের প্রতি শতাব্দী-প্রাচীন নির্যাতনের দিন কবে ফুরোবে এবং কবেই-বা বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গা নিরাপদে স্বদেশে ফিরে যাবে—সে বিষয়গুলো তো সত্যিই দুর্ভাবনার। তবে আশার কথা হলো বাংলাদেশ বসে নেই।
রোহিঙ্গা সংকটের সবচেয়ে বড়ো আয়রনি হলো তাদের নির্যাতনের প্রতিবাদে সবাইকে যতটা বাকযোদ্ধা হয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে, সংকটের স্থায়ী সমাধানে ততটা এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে না। ১৩ সেপ্টেম্বরের পর তিন তিনবার নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু ফলাফল প্রায় শূন্য। তবে জাতিসংঘ মহাসচিবের ভূমিকা বেশ আন্তরিকই মনে হচ্ছে। নিরাপত্তা পরিষদে তিনি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর মার্কিন সহিংসতার ভয়াবহতা তুলে ধরে সেনাবাহিনীর অভিযান বন্ধ ও মানবাধিকার কর্মীদের প্রবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান এবং অবিলম্বে মানবিক ত্রাণের আহ্বান জানান। পরিষদের অধিকাংশ সদস্যই মিয়ানমারে জাতিগত নিধন এবং গণহত্যার বিবরণ তুলে ধরেন। মার্কিন প্রতিনিধি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত না হওয়া পর্যন্ত মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ রাখার আহ্বান জানান। তবে মিয়ানমার প্রতিনিধি যথারীতি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। উন্মুক্ত আলোচনার পর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব ছাড়াই নিরাপত্তা পক্ষদের সভা শেষ হয়। চলমান সহিংসতায় কোনো ভাটা পড়ে না। মিয়ানমারে প্রবেশাধিকার বঞ্চিত মানবিক কর্মীরা বাইরে দাঁড়িয়ে হা-পিত্যেশ করে। তুরস্ক থেকে মালয়েশিয়া পর্যন্ত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়, আর্থিক সাহায্যের জন্যও এগিয়ে আসে। কিন্তু সমস্যার স্থায়ী সমাধানে নিজেদের জড়াতে চায় না। কিন্তু মার্ক (সাউথ এশিয়ান এসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোঅপারেশন) কিংবা আসিয়ান (এসোসিয়েশন অব সাউথ-আশিয়ান নেশন্স) কাউকেই এ ব্যাপারে রা করতে দেখা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সারা বিশ্ব একমাত্র ব্যতিক্রম হলো বাংলাদেশ। অন্যান্য দেশের মতো রোহিঙ্গা প্রশ্নে মুখে এক মনে আরেক নীতি বাংলাদেশ গ্রহণ করেনি। জাতিগত নিধন এবং গণহত্যার নির্মম শিকার রাখাইনের রোহিঙ্গারা যখন প্রাণ বাঁচানোর শেষ আশ্রয়স্থল বাংলাদেশের দিকে আসতে থাকে, তখন বাংলাদেশ বর্ডার সিল করে দেওয়ার মতো নিষ্ঠুরতা দেখাতে পারেনি। আর্থিক, নিরাপত্তা, আবাসন, স্বাস্থ্য প্রভৃতি ঝুঁকির কথা অগ্রাহ্য করে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিপন্ন মানবতার পাশে দাঁড়ায়। প্রধানমন্ত্রীর সেই মানবিক প্রশ্রয়ের কৌলিন্যে নতুন করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা। আগে থেকে বসবাসরত ৪ লাখসহ মোট ৯ লক্ষ রোহিঙ্গার দায়ভার এখন বাংলাদেশ বহন করে চলছে সম্পূর্ণ মানবিক কারণে। নির্যাতিত নিপীড়িত মানবতার জন্য শেখ হাসিনার এই অনুপম অবদান বিশ্বে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে। খোদ ব্রিটিশ মিডিয়া তাঁকে মানবতার জননী (Mother of humanity) অভিধায় ভূষিত করেছে। ১৬ কোটি মানুষের খাবার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে খাওয়ার যে আশ্বাস প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তা এখন বিপন্ন মানবিকতার সেবায় আপ্তবাক্য হয়ে উঠেছে। সিরীয় শরণার্থীদের জার্মানিতে আশ্রয় দিয়ে চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মারকেল মানবসেবার যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন—রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে শেখ হাসিনা তা খুব সহজেই ভাঙতে পেরেছেন। শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে পরম মমতায় রোহিঙ্গাদের বুকে টেনে নেওয়া, মাথায় ভরসার হাত রাখার দৃশ্যগুলো মানবতার মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছে।
শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের শুধু সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়েই ক্ষান্ত থাকছেন না, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বন্দোবস্ত করে রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধানের জন্য কূটনৈতিক তত্পরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে আশ্রয় নেওয়া এক কোটি বাঙালি শরণার্থীর পক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টির জন্য ভারতের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী যেমন কূটনৈতিক তত্পরতা চালিয়েছিলেন, বিশ্ব নেতৃবৃন্দের শরণাপন্ন হয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন, কোথাও পেয়েছেন, আবার কোথাও প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, কিন্তু একটুও দমে যাননি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তেমনি বিশ্বের নির্যাতিততম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের সমর্থনে বিশ্বজনমত গড়ে তোলার জন্য নানামুখী তত্পরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনার জন্য বাংলাদেশের পক্ষে পাঁচ দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন। এতে মিয়ানমারকে রাখাইন রাজ্যে অনতিবিলম্বে নিঃশর্তভাবে এবং চিরতরে সহিংসতা এবং জাতিগত নিধন বন্ধ করতে বলা হয়। জাতিসংঘ মহাসচিবকে অনতিবিলম্বে মিয়ানমারে একটি তথ্য অনুসন্ধান মিশন পাঠাতে বলা হয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সুরক্ষার জন্য মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নিরাপদ অঞ্চল (Safe zones) গড়ে তুলতে বলা হয়।
বাংলাদেশে জোরপূর্বক অনুপ্রবিষ্ট রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে স্বদেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা এবং কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট অনতিবিলম্বে সম্পূর্ণভাবে নিঃশর্তে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়। বস্তুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যে পাঁচ দফা প্রস্তাব পেশ করেন তার আলোকেই বাংলাদেশের রোহিঙ্গা পলিসি নির্ধারিত হয়।
আরো কিছু ঘটনা রোহিঙ্গা সমস্যা ঘনীভূত করে তুলছে। যেমন— আরসা (আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি)। সশস্ত্র বিদ্রোহীদের নিয়ে গড়ে ওঠা এই সংগঠনের সাথে সাধারণ রোহিঙ্গাদের বস্তুতই কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা নির্ণয় না করেই বর্মি সেনাবাহিনীর নির্বিচারে রোহিঙ্গা নিধন অভিযান কোনো বিবেকসম্পন্ন মানুষের কাছে সমর্থন পেতে পারে না। তাছাড়া ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসমূহের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত মিয়ানমারে নতুন কোনো ঘটনা নয়। অতএব, আরসার নাশকতার জবাব দিতে গিয়ে নিরীহ নিরস্ত্র গণরোহিঙ্গাদের ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানো কতোটুকু যুক্তিযুক্ত হচ্ছে তা নিশ্চয়ই একদিন বিশ্ববিবেক জানতে চাইবে। গণহত্যা কিংবা জাতিগত নিধন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আইনের ভাষায় একে বলা হয়— জাম কোজেন্স। এই অপরাধের বিচার কখনো তামাদি হয় না। যুদ্ধাপরাধের অপরাধে যদি নাত্সী-ফ্যাসিস্টদের বিচার হতে পারে, তাহলে রোহিঙ্গা নির্যাতন, গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের বিচার কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো শাসক অং সান সু চি তার নোবেল বক্তৃতায় বার্মার নৃগোষ্ঠীসমূহের মধ্যকার দ্বন্দ্ব-সংঘাত দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠার যে প্রত্যয় ঘোষণা করেছিলেন আজ রোহিঙ্গাদের প্রশ্নে তিনি তা থেকে অনেক দূরে সরে এসেছেন। রোহিঙ্গাদের তিনি রোহিঙ্গা বলতেও কুণ্ঠিত বোধ করছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে বিশ্বস্বীকৃত নির্যাতনের করুণ কাহিনিকে তিনি ভ্রান্ত তথ্যের হিমশৈল (Iceberg of misinformation) বলে মরুভূমির উটপাখির মতো বালুতে মুখ গুঁজে মিথ্যে আশ্বাস লাভের চেষ্টা করছেন। কিন্তু ইতিহাস বড় নির্মম। ইতিহাসের নির্মম বিচারে তিনি কিংবা তার সেনাবাহিনীর খলনায়কেরা কেউই রেহাই পাবে না।
আপাত দৃষ্টিতে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়টিকে নৃগোষ্ঠীক বিতাড়ন কিংবা আধিপত্যের রাজনীতির নির্মম প্রকাশ মনে হলেও এর পেছনে প্রাকৃতিক সম্পদ অধিগ্রহণের লোলুপ রাজনীতিও যুক্ত রয়েছে। বিগত ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে বর্মী সেনাবাহিনী ক্রমবর্ধমান ভাবে রাষ্ট্র এবং বড় বড় কর্পোরেশনগুলোকে রাখাইনে ভূমি দখলে সাহায্য করে চলেছে। খনি, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, কাঠ ও কৃষিতে অর্থনৈতিক আগ্রহ বাড়াবার জন্যে রাষ্ট্র তার ভূখণ্ড এবং পানি সরবরাহে নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়ে চলেছে। অধুনার দৃষ্টিগ্রাহ্য বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংস্কার সত্ত্বেও দেশটির সামরিক নেতৃত্ব সরকার এবং বাণিজ্য উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসীম নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে চলেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াবার জন্যে সেনাবাহিনী চীন, কোরিয়া, জাপান এবং অন্যান্য বহুজাতিক বিনিয়োগকারীদের রোহিঙ্গা, কারেন এবং শান-এর মতো বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায় কাজে লাগাচ্ছেন। গণতন্ত্রের ছত্রছায়ায় পরিচালিত মিয়ানমারের সংবিধানে এখনো প্রকৃত কর্তৃত্ব সামরিক বাহিনীর হাতে ন্যস্ত থাকায় ব্যাপারটি রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের পথে সর্বদাই একটি বাধা হয়ে থাকবে।
তারপরও আশার বিপরীতে আশা থাকেই। চলমান রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে যেভাবে বিশ্ববিবেক সোচ্চার হচ্ছে— তাতে চীন, রাশিয়া ও ভারতের মতো ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো যদি সত্যিকার আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসে, তাহলে রোহিঙ্গারাও যেমন স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের স্বাদ পাবে, তেমনি বাংলাদেশের মাথা থেকে একটা বিরাট বোঝা অপসারিত হবে এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের একটা স্থায়ী সমাধান মিলবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০৮

আমিই মুসাফির বলেছেন: রোহিঙ্গাদের যদিও মিয়ানমার সরকার ফিরিয়ে নেয় তারপরও কোন লাভ নেই
কারন
মরন ফাঁদ অতিক্রম করে আসা অসহায় মানুষগুলো আবারও ওই একি ফাঁদে পা দিবে

যার ফলাফল হবে আরো ভয়াবহ

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এটার কোন স্থায়ী সমাধান নেই। কোন দিন হবেনা।





ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.