নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনা

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০২

যতই দিন যাচ্ছে, ততই রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার পেছনে যে ষড়যন্ত্র কাজ করছে, তা ক্রমান্বয়ে বের হয়ে আসছে। এ কথা সত্য, আরাকানের এই অঞ্চল কখনো বার্মীয় সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল না। শুধু রোহিঙ্গা কেন এই উপকূলীয় অঞ্চলে অনেক জাতিগোষ্ঠী মিয়ানমারের অধিপত্য মেনে নিতে রাজি হননি। সুদীর্ঘ দিন সংগ্রাম করেছেন, যুদ্ধ করেছেন এই অঞ্চলকে প্রায় স্বাধীন করেছেন। আবার কেন্দ্রীয় সরকারের চরম আঘাতে সবকিছু হয়েছে। অনেক ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী নির্যাতিত নিপীড়নের কারণে সহবস্থানে বাধ্য হয়েছে ও বার্মার কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে বিভিন্ন্ন চুক্তি করে নিজেদের অস্ত্মিত্ব বজায় রেখেছেন। একথা ঠিক নয় রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ ধর্মীয়। মিয়ানমারের অনেক জায়গায় মুসলমানেরা বসবাস করছে। তাদের ওপর এ ধরনের নির্যাতন হচ্ছে বলে জানা নেই। আসল কারণ হচ্ছে রোহিঙ্গাদের কখনো মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকার সে দেশের নাগরিক হিসাবে মেনে নিতে পারেননি। কথিত আছে মিয়ানমারের যেসব ভাষায় সাধারণ জনগণ কথা বলে তার কোনোটাই রোহিঙ্গাদের ভাষা নয়। বরং বাঙালির ভাষা বাংলার সাথে তার মিল বেশি খুঁজে পাওয়া যায়। তাদের এই বক্তব্য সার্বিক নয়। যদি ধরেও নেওয়া যায় রোহিঙ্গা, তাহলেও নিজের দেশ যেখানে তারা শত শত বছর ধরে বসবাস করে আসছে, তাদের দেশত্যাগে বাধ্য করা হবে কেন।
পৃথিবীর এমন কোন দেশ আছে কি যেখানে একই ধর্ম, বর্ণ ভাষার লোক বসবাস করা সত্ত্বেও ভিন্ন ভাষার লোকদের বসবাস করতে দেওয়া হয় না। যেমন রোহিঙ্গারা বহুদিন থেকে বসবাস করে আসছে বাংলদেশে। এই অঞ্চলের বসবাসকারী জনগণের চেহারা শারীরিক গঠন আচার-আচরণ, পোশাক-আশাক, খাবার-দাবার সব কিছুই বিবেচনায় নিলে বোঝা যাবে যে রোহিঙ্গা বলতে যাদের বোঝায় যে এতদাঞ্চলে যারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কিন্তু প্রকৃত রোহিঙ্গারা শত শত বছর ধরে আরাকানে বসবাস করে আসছে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে। আর মিয়ানমার সরকার তাদের নাগরিকত্ব না দেওয়ায় তারা এমনিতেই মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। ওই অঞ্চলে যুদ্ধ বিগ্রহ চলছে শত শত বছর ধরে। এবার আরাকান অঞ্চলে সব রোহিঙ্গার বিতাড়িত করে উপকূল অঞ্চলে যে আর্মির আগ্রাসন চালানো হয়েছে তার নিষ্ঠুর প্রকৃতি দেখে মনে করবার যুক্তি সঙ্গত কারণ রয়েছে। যে গোটা অঞ্চলটাই মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুক্ত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ কারণে এখন স্বভারতই প্রশ্ন জাগে কেন মিয়ানমার সরকার এরূপ সর্বাত্মকভাবে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করে আরাকান অঞ্চল সম্পূর্ণভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চাচ্ছে। অনেকেই অনেক কথাই বলছেন। তবে বার্মার উপকূল অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ।
এই অঞ্চলে ভূগর্ভে তৈল, গ্যাস প্রচুর পরিমাণে আছে বলে অনেকেরই ধারনা। মিয়ানমার হয়তো মনে করে এই অঞ্চল সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকলে তারা ইচ্ছামত এইসব সম্পদ ব্যবহার করে দ্রম্নত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের ভয় যেহেতু রোহিঙ্গাদের সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পর্ক স্বাভাবিক নয় তাই ভূগর্ভস্থ খনিজসম্পদ আবিষ্কৃত হলে তার রোহিঙ্গা কর্তৃক বিস্ত্মার করার চেষ্টা করবেন। তাই এই অঞ্চলে থেকে তাদের বিতাড়িত করা প্রয়োজন। ভারত ও চীনের সাথে রয়েছে মিয়ানমারের সুদীর্ঘ সীমানা। তাছাড়া মিয়ানমারের সাথে চীন ও ভারত উভয়ই তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক রেখেছেন। সেদেশে সরকার প্রকৃতি কি চলছে কতদিন সামরিক শাসক অব্যাহত আছে, কতটুকু গণতন্ত্র পুনরম্নজ্জীবিত হয়েছে সে দেশের নাগরিকেরা সুযোগ সুবিধা, মানবাধিকার বলতে যা বোঝায় তা উপভোগ করছে কি-না তা বোধ হয় ভারত বা চীনের বিবেচ্য বিষয় না। আন্ত্মঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারত ও চীন উভয় ক্ষেত্রে নিজস্ব কৌশল নিয়েই ব্যস্ত্ম। মিয়ানমার একটা সম্পদশালী দেশ। সে দেশের সরকার সুদীর্ঘ দিন সামরিক শাসক অব্যাহত রাখায় শুধু চীন-ভারত কেন বাংলাদেশও তাদের সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। তাছাড়া একটা দেশ তো আরেকটা দেশের অভ্যন্ত্মরীণ পরিবর্তন এনে দিতে পারে না। ধরে নেয়া যেতে পারে অং সান সু চির মিয়ানমার জাতির জনকের কন্যা।
বার্মায় সামরিক শাসনের অবসান করার প্রয়োজনে তিনি দীর্ঘদিন কারাবরণ করেছেন। দীর্ঘদিন কারারম্নদ্ধ থাকবার কারণে তাকে শান্তির জন্য নোবলে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তবে এসব হয়েছে আন্ত্মর্জাতিক মহাশক্তিসমূহের পরোক্ষ সমর্থনের কারণে। সামরিক শাসকদের সাথে সু চির আপস করে নির্বাচন আদায় করে নিতে হয়েছে। তবে পার্লামেন্টকে তিনি সামরিক শাসন মুক্ত করতে পারেনি। নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও তার বেশি কিছু করার নেই। রাষ্ট্রীয় মর্যাদার ক্ষেত্রে অর্থাৎ চতুর্থ (ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সি) সু চির অবস্থান রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তি হিসাবে তার সমাদৃত হওয়া উচিত ছিল। বার্মায় সামরিক বাহিনী তাকে সেই মর্যাদা দিতে রাজি নেই। আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রেও বার্মার জাতীয় সংসদ সার্বভৌম নয়। সামরিক বাহিনীর অনুমোদন ছাড়া কোনো আইন পাস করা সু চির বা তার দলের পক্ষে সম্ভব নয়। যদিও তিনি নির্বাচনে সর্বাত্মক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন। এই যখন বাস্ত্মবতা তখন সু চির পক্ষে বার্মার সামরিক বাহিনীর প্রধানের ইচ্ছার বিরম্নদ্ধে কিছু করা সম্ভব কি? তবে যদি সত্যই তিনি জনগণের নেত্রী হয়ে থাকেন তাহলে বার্মায় সেনবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর যে অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো তার বিরম্নদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিশ্ব জনমতের সমর্থনে তিনি বার্মাকে প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্রের পথে একধাপ হয়তো এগিয়ে নিতে পারতেন। আপসমুখী হয়ে সামরিক বাহিনীর তোষণ নীতি তাকে অনুসরণ করতে হতো না। সুতরাং রোহিঙ্গা ইসু্যই মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করত। একজন নোবেল বিজয়ী হয়ে তিনি বিশ্ব পরিসর হতে যে সম্মান পেয়েছিলেন যা এখন বিপন্ন প্রায়। তারই ধারাবাহিকতায় গণতান্ত্রিক বিশ্বের নেতৃত্বে তার প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব ছিল। তবে প্রথমেই নীরব থেকে ও পরবর্তীতে প্রায় সামরিক শাসকের ভাষায় কথা বলে তিনি প্রমাণ করেছেন তার নেতৃত্ব দুর্বল ও মিয়ানমারে জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব করে না। তার সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের প্রতি বর্তমানে গৃহীত তার নীতি অসামঞ্জ্যস্যপূর্ণ। লক্ষণীয় অং সান সু চির সাথে শেখ হাসিনার বেশ কিছু মিল আছে।
শেখ হাসিনার পিতা বাঙালি জাতির জনক দীর্ঘ সংগ্রামের পরে (প্রায় ১৪ বছর কারাগারে কাটিয়ে) বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। তার পরিণতিও অং সান সু চির পিতার মতো করম্নণ হয়েছে। শেখ হাসিনাকেও পরপর দুটি সামরিক জান্ত্মার বিরম্নদ্ধে সংগ্রাম করে ক্ষমতায় আসতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তার সবচেয়ে সহায়ক শক্তি ছিল বাংলার সাধারণ জনগণ। জনগণের সমর্থনে তিনি ব্যালটের মাধ্যমে বরাবর স্বৈরশাসনের সঙ্গে সংগ্রাম করে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশে যতটুকু গণতন্ত্র আছে তা তিনিই প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। সামরিক শাসকদের রক্ত চক্ষুকে অগ্রাহ্য করে তাকে এই কাজটি করতে হয়েছে। যে ধরনের কর্মকা-ের জন্য সু চিকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তুলনামূলকভাবে ক্ষেত্রে তার চেয়ে তার অবদান অনেক বেশি। অনেকেই ধরে নিয়েছিল পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত করবার পর শেখ হাসিনাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হবে। তবে যেসব লরিস্টদের কারণে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে তা শেখ হাসিনার অনুকূলে না থাকায় সেই সিদ্ধান্ত্ম আসেনি।

বিশ্ব রাজনীতিতে বিশেষ করে জলবায়ু সংকট নিরসনে, দারিদ্র্য বিমোচনে, নারীর ক্ষমতায়ন ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এখন বিশ্ব মাপের নেতা। শেখ হাসিনা যতগুলো আন্ত্মর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন, যেভাবে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় তার দেশের নিরপত্তা কর্মীদের নিয়োগ করে, তাদের জীবনের বিনিময়ে অবদান রাখছেন। সর্বশেষ রোহিঙ্গা সংকটে যে মানবতাবাদী পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন, তাতে করে তার বিরম্নদ্ধে ষড়যন্ত্র করা না হলে তার নোবেল বিজয়ী হওয়ায় অপূর্ব সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে।
মানবতাবাদী শেখ হাসিনা বিশ্ব মানবতার যে উদাহরণ এবার উপস্থাপন করেছেন এবং যেভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে কাজ করে যাচ্ছেন তাতে করে আগামীতে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাবেন- এ প্রত্যাশা বাংলাদেশের শান্তিকামী জনগণের।

ডা. এসএ মালেক: রাজনীতিক ও কলাম লেখক

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪

বারিধারা বলেছেন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুর নরম হয়ে আসছে সরকারের। বিগত দিনগুলোতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অতিমানবিকতার স্লোগান দিলেও ধীরে ধীরে এখান থেকে সরে আসার চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে এবং দেশের বাইরে গিয়েও একাধিকবার বলেছেন, ১৬ কোটি মানুষকে খাবার দিতে পারলে ৫-৭ লাখ মানুষকেও খাবার দিতে পারবো। আমরা প্রয়োজনে একবেলা কম খেয়ে সেই খাবার রোহিঙ্গাদেরকে দেবো। কিন্তু, সেই অবস্থান থেকে এখন তারা সরে আসছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল সোমবার চট্টগ্রামে বলেছেন, রোহিঙ্গাদেরকে দিন দিন টেনে নেয়া বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়।

প্রধানমন্ত্রী যেদিন রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন, এর পরের দিনই বিভিন্ন মহল থেকে বলা হয়েছিল যে আওয়ামী লীগ বড় ধরণের কোনো স্বার্থ হাসিলের জন্য এখন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নোবেলের জন্য ওই সময় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বলেও অনেকে মনে করেছিলেন। এনিয়ে তখন মানুষ সমালোচনাও করেছে।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫

বারিধারা বলেছেন: মানুষের সমালোচনার কারণ ছিল, প্রথম দিকে মিয়ানমার বাহিনীর হাতে হত্যা-নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করলেও সরকার তাদেরকে আশ্রয় দেয়নি। বরং সরকার বিজিবিকে নির্দেশ দিয়েছিল রোহিঙ্গারা যাতে কোনোভাবেই বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করতে না পারে। আর এটা শুধু এখন নয়, ২০১২ সালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেছিলেন, রোহিঙ্গাদেরকে কোনো প্রকার সহায়তা করা হবে না। নির্যাতিত রোহিঙ্গা যখন রাখাইন থেকে পালিয়ে এসে সীমান্তের জিরো পয়েন্টেও বাচঁতে পারেনি, তখন দেশি-বিদেশি চাপ আসে সরকারের ওপর। সরকার তার অবস্থানে অনড়। কিন্তু, হঠাৎ করেই একদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিবিকে বললেন সীমান্ত শিথিল করে দিয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে। এর একদিন পর দলীয় নেতাকর্মীদেরকেও নির্দেশ দিলেন রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে।

এরপর রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজার চলে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। কিছু ত্রাণ বিতরণ ও কান্নাকাটি করে আসলেন। আর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের থেকে গেলেন কক্সবাজারেই। এরই মধ্যে লন্ডনের অখ্যাত একটি অনলাইনে শেখ হাসিনার উদারতা নিয়ে একটি আর্টিক্যাল প্রকাশ করা হয়। যেটাতে শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। এরপর আরেকটি অনলাইনে প্রকাশ করা হয় যে, বিদেশি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা শিক্ষাবিদরা নোবেল কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করেছেন। এটাকে কেন্দ্র করে সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও আ.লীগ নেতাকর্মীরা সকলে একসঙ্গে জারি গান শুরু করেন যে, শেখ হাসিনা এখন মানবিকতার মা। তিনি এখন উচ্চ শিখরে পৌছে গেছেন। তার তুলনা শুধু তিনি নিজেই।
এসব থেকে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হয় যে, শুধু নোবেলের জন্যই শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। বিএনপি নেতারাও প্রকাশ্যে বলেছেন, নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের কান্না ও রক্তকে পুজি করে শেখ হাসিনার নোবেল পাওয়ার চেষ্টা করছেন। নোবেলের জন্য লবিস্ট নিয়োগ করে রাষ্ট্রে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।
এছাড়া নোবেল পুরস্কার ঘোষণার আগ পর্যন্ত ওবায়দুল কাদের কক্সবাজার থেকে ঢাকা আসেননি। ওইখানে বসে বসে প্রতিদিন গণমাধ্যমের কাছে শেখ হাসিনার উচ্চ প্রশংসা করতেন। কিন্তু, যখনই জানতে পারলেন যে নোবেলের তালিকায় শেখ হাসিনার নাম নেই তখনই তাদের সুর নরম হয়ে আসতে থাকে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে আন্তর্জাতিক মহলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। চাপ সৃষ্টি না করায় জাতিসংঘের সমালোচনা করছেন ওবায়দুল কাদের। আর গতকাল পরিষ্কার করেই বলেছেন, দিন দিন রোহিঙ্গাদেরকে টেনে নেয়া বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়।

কাদেরের এ বক্তব্য এখন আবার নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বস্তরেই সমালোচনা হচ্ছে যে, নোবেলও নেই আওয়ামী লীগের মানবিকতাও নেই। একটি নোবেলের জন্যই শেখ হাসিনা এতদিন এসব নাটক করেছে। এখন রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিতেও শেখ হাসিনা কোনো কুণ্ঠাবোধ করবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.