নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নোয়াখালি ইজ দ্যা গ্রেট!

সত্য পথের সন্ধানী

নোয়াখাইল্যা হোলা

সাধারণের মধ্যে সাধারণ হয়ে থাকতে চাই।

নোয়াখাইল্যা হোলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদর্শ রাজনীতিবিদ দেখতে চান-এদিকে আসুন

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৮

এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ -বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ' এর বর্তমান সভাপতি।বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের অহংকার এই ছাত্রনেতা সাধারণ ছাত্রসমাজের কাছে অধিকার আদায়ের অগ্রদূত হিসেবে তুমুল জনপ্রিয়।



বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কালিকাবাড়ী গ্রামের স্কুলশিক্ষক মরহুম আবু তালেব হাওলাদারের তিন ছেলের মধ্যে সোহাগ দ্বিতীয়।মা লুৎফুন্নেছা একজন গৃহিণী। সোহাগের পরিবারের তেমন কেউ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না হলেও ১৯৯৮-৯৯ সালে স্থানীয় সেলিমাবাদ কলেজে পড়ার সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।সোহাগ সেলিমাবাদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক পদে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে তাঁর দায়িত্বশীল রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেন।



এইচএসসি পরীক্ষা পাসের পর ১৯৯৯-২০০০ সেশনে তিনি ভর্তি হন ঢাকা কলেজে। সেখানে এক বছর কাটানোর পর ২০০১-০২ সেশনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ভর্তি হন। সেখানে ভর্তির পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলে আবাসিক ছাত্র হিসেবে অবস্থান করেন । সেখানে অতিদ্রুতই সোহাগ নেতৃত্বগুনের কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী,শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিকট সুপরিচিত হয়ে ওঠেন।পরের বছরই তিনি একুশে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি অমর একুশে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করেন। ২০০৬ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক হন।১/১১ এর সময় রাজনীতিবিদরা যখন কঠিন সংকটে,তখন সোহাগ ছাত্রলীগের নিবেদিতপ্রান কর্মীদের নিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও সেই সময়ে অবৈধ সরকারের হাতে বন্দী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে তিনি ব্যাপক আলোচিত হন।





২০১১ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন।নিয়মিত ছাত্র হিসেবে বাংলাদেশের কোন ছাত্র সংগঠনের সভাপতি হয়ে তিনি এক বিরল রেকর্ড করেন(তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়ছেন।)।নীতি, আদর্শর রাজনীতিই তাঁকে এই পদে নিয়ে এসেছে বলে সাধারন শিক্ষার্থীদের ধারনা।





তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ে মাস্টার্স পাস করার পর ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের আওতায় আবারও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়ছেন।শিক্ষা জীবনে মেধাবী এই ছাত্র পড়াশুনার পাশাপাশি পরিবেশ নিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রোজেক্ট-এ কাজ করছেন।





পড়াশুনা এবং রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সংঘে জড়িত আছেন।কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি সেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন 'বাঁধন' অমর একুশে হল শাখার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।তিনি তাঁর নিজ জেলা বাগেরহাটেও সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের জন্য সুপরিচিত।





বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও রূপকল্প ২০২১ 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি বাংলাদেশের এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্ত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।সোহাগ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কাঠামো আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেকগুণ শক্তিশালী হয়েছে।যোগ্য ও মেধাবীদের দিয়ে বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি গঠন করে তিনি নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন।

বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি যখন আধিপত্য বিস্তারের রাজনীতিতে পরিণীত হচ্ছিল,তখনই এই ছাত্রনেতা অতীতের সব বিভেদ ভুলে সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসগুলুতে সহবস্থানের রাজনীতির চর্চার সূচনা করেন।তিনি সভাপতি হওয়ার পর পরই ঘোষণা দেন,'নিয়মিত ছাত্ররা কোন বাধা ছাড়াই ক্লাস,পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।' তাঁর এই একটি ঘোষণাই সারাদেশের ক্যাম্পাসগুলুর চিত্র বদলে দেয়। সহিংস্রতা আগের চেয়ে কয়েকগুণ কমে আসে কাম্পাসগুলুতে।



বাংলাদেশের রাজনীতিতে যখন মেধাবীদের অংশগ্রহণ কমে আসছিল ,সেখানে সোহাগ এক উজ্জ্বল ব্যাতিক্রম হিসেবেই রাজনীতিতে এসে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.