নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ ভাল নয় কিন্তু মন ভাল।

মোস্তফা সোহেল

আমি আমার মত করে অন্যদের যতটুকু ভালবাসি অন্যরা আমাকে ততটুকু ভালবাসে না।

মোস্তফা সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

*** সহযাত্রী ***

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১১



একাকী দূরের যাত্রায় আমি সব সময়ই টেনশনে থাকি যে আমার পাশের সহযাত্রী কেমন হবে সেটি নিয়ে।আর মনে মনে প্রার্থনা করি এই দূরের যাত্রায় যেন আমার পাশের সিটে কোন নারী যাত্রী না বসে।কারন মেয়েরা বাস যাত্রায় বমি করে বেশি।অন্য কারও বমি করা দেখলে আমারও গা গুলায়।
অফিসের কাজে ঢাকা এসেছিলাম।কাজ শেষে গাবতলী বাস টার্মিনালে এসে দিগন্ত পরিবহনের টিকিট কাটলাম।বাস ছাড়তে আরও বেশ কিছু সময় দেরি।
তাই আশেপাশেই ঘুরছিলাম।যখন বাসে উঠলাম আমার পাশের সিটটা তখনও খালি।বাস ছাড়ার পাঁচ-ছয় মিনিট আগে আমার কাছে একটা মেয়ে এসে জানতে চাইল ভাইয়া,এইটা কি এত নং সিট?আমি দেখে নিয়ে বললাম হ্যা এইটাই মনে হয় আপনার সিট।
মনে মনে বললাম, যা চাইনি সেটাই হল,অবশেষে এই দূর যাত্রায় একজন নারীই আমার সহযাত্রী হল।

বাস ছাড়লে আমি সিটে হেলান দিয়ে একটু ঘুমাতে চেষ্টা করলাম।কিন্তু ঘুম আসল না।বাসে আমার ঘুম হয়না বললেই চলে।আর অনেক দিন পর বাসে উঠলে মাথাটি কেমন ঝিম ধরে থাকে।বাস অনেক দূরে চলে আসলেও আমার সাথে মেয়েটির কোন কথা হয়নি।আমার কথা বলার কোন ইচ্ছেই ছিল না।
তবে এটা ঠিক সহযাত্রীর সাথে খোলা মনে কথা বললে যাত্রার পথটা হয়তো তেমন দূরের মনে হয়না।

তখনও আরিচা ঘাটে পৌছায়নি।জ্যামে পড়ে ও বাস কিছু জায়গাতে থামার কারনে বেশ দেরি হল ঘাটে পৌছাতে।বাস যখন ফেরির জন্য দাড়িয়ে থাকে সেই সময়টাই আমার কাছে সবচেয়ে বিরক্তিকর।
আরিচা ঘাটে যাওয়ার কিছু আগে পাশে বসা মেয়েছি হঠাৎ আমাকে বললেন,ভাইয়া একটু হেল্প করবেন?আমার পানির বোতলের মুখটা একটু খুলে দিবেন?
আসি পানির বোতলের মুখ খুলে দিলাম।মেয়েটি তার মত ব্যাগ থেকে এটা ওটা বের করে খাচ্ছে।আমি বাসে উঠলে তেমন কিছু খাইনা।
তবে ফেরিতে উঠলে ডিম খাই।ফেরিতে উঠার আগে দেখি এক ফেরিওয়ালা ভ্যানে করে ছোট ছোট আনারস বিক্রি করছে।আমি চারটি কিনলাম।একটু পরে মেয়েটি খাওয়ার জন্য পিস করে কাটা আনারস কিনল।আমার দিকে তাকিয়ে বলল,ভাইয়া কিছু মনে না করলে আপনি এক পিস নিতে পারেন আমি এত খেতে পারব না।
মেয়েটির বলার মাঝে কেমন জানি সরলতা ছিল তাই আর না বললাম না।আনারস খুবই মিষ্টি ছিল।ছোটছোট আনারস গুলো এত মিষ্ট হবে আমি তা ভাবিনি।
তারপর আস্তে আস্তে মেয়েটি ও আমার মধ্যো জানা পরিচায় হল।আমি যাব কোটালীপাড়া উনিও।উনার নানা বাড়ি কোটালীপাড়াতে।আর নিজ বাড়ি খুলনাতে।
ঢাকায় থাকেন উত্তরা।পড়ছেন উকালতি।

ফেরি পার হওয়ার পরে মেয়েটি বমি করা শুরু করল।কি আশ্চর্য কারও বমি দেখলেই যেখানে আমার যা গুলায় সেখানে আজ আমার একটুও খারাপ লাগছে না বরং কেমন একটা সহনুভুতি হতে লাগল মেয়টির উপরে।
এক সময় মেয়েটির বমি করা কমল।আমরা টুকটাক কথা বলছি।অনেক কথায় বলেছিলাম সেদিন আমার এই সহযাত্রীর সাথে।
উকালতি পড়া নিয়েও কথা বললাম।বললাম আজকাল উকিলরা তো টাকা ছাড়া কাজ করে না।শুধু টাকা ইনকাম করার ধান্দায় থাকেন সবাই।
মেয়েটি বললেন,এত টাকা খরচ করে পড়ছি টাকা ছাড়া কাজ করব কেন?আমি বললাম এত টাকা দিয়ে আপনি কি করবেন?
মেয়েটি উত্তরে যা বললেন তা আমি কখনই ভাবিনি।

মেয়েটি বললেন,আমার অনেক টাকার দরকার,আমার খুব শখ আমি একটি বিদ্ধাশ্রম বানাব।
মূহুর্তেই মেয়েটির প্রতি আমার শ্রদ্ধায় মাথা অবনত হয়ে এল।কি বলব কিছু ভেবে পাচ্ছিলাম না।মানুষ প্রচুর টাকা ইনকাম করে শুধু নিজের ব্যাংক ব্যালান্স বাড়াতে চাই।অনেকে ইনকাম করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেয়।আর এই মেয়ে কিনা স্বপ্ন দেখে টাকা ইনকাম করে একটা বিদ্ধাশ্রম বানাবে!
আমাদের দেশে এই মেয়েটির মত আরও অনেক ছেলে-মেয়ে সুন্দর কিছু স্বপ্ন দেখে বলেই হয়তো দেশটা এখনও সব নষ্টদের দখলে চলে যায়নি।
আমি শেষে বললাম,আপনি যখন বিদ্ধাশ্রম করবেন তখন সেখানে আমার জন্য একটা চাকরি দিয়েন।মেয়েটি হাসি মুখে বলল,আচ্ছা ঠিক আছে।
সেই বিশাল মনের মেয়েটির নাম মুন্নি।তার ফোন নাম্বার আমাকে দিলেও আমি তাকে কোনদিন ফোন করিনি।
বিশাল মনের মানুষের সাথে কথা বলতে গেলে নিজের মনটাকেও কি বিশাল করা লাগেনা?

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯

দিলের্‌ আড্ডা বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। তবে সব উকিল সমান নয়। কিছু ভা্লোও আছে তাদের মধ্যে।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: উকিলদের সম্মন্ধে তেমন করে কিছু জানি না সবই লোকে মুখে শুনি।
ভাল মন্দ সব জায়গাতেই আছে তেমনই উকিলদের মধ্যেও।তবে আজকাল মনে হয় টাকা ছাড়া খুব কম উকিলই কাজ করেন।
লেখাটি পাঠ ও মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: বিদ্ধাশ্রম নাস বানিয়ে দোয়া করেন- যেন আমাদের দেশে একটাও বিদ্ধাশ্রম না দরকার হয়।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: রাজীব ভাই,সেই কামনায় করি যেন কোন বৃদ্ধকে ওল্ড হোমে না থাকতে হয়।
কিন্ত বর্তমান প্রেক্ষিতে এদেশে অনেক বৃদ্ধাশ্রমের দরকার আছে সেটা তো অস্বীকার করতে পারবেনা।
আমি শুধু সেই অপরিচিত মেয়েটির উদার মনের উদাহরন দিতেই লেখাটি লিখেছি।

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: খুব সাধারণ ঘটনাকে অসাধারণ ভাবে লিখেছেন, ভাল লাগলো সোহেল ভাই।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ঘটনাটি খুব সাধারন কিন্তু একটি মেয়ের এমন উদার মনের পরিচয় পেয়ে বেশ ভাল লেগেছিল।মেয়েটির সাথে সেই ক্ষনিক স্মৃতিটা ধরে রাখতেই এই লেখার অবতারনা।আজকাল এমন করে ভাল চিন্তা কজনই বা করে বলুন।
ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য তারেক ভাই।

৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

আরাফআহনাফ বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিচারন।
কল করে দেখতে পারেন। বৃদ্ধাশ্রম তৈরীর মতো কাজে তাকে সহায়তাও করতে পারেন।

ভালো থাকুন।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কল করার কথা অনেক দিন ভেবেছি তবে কল দেব দেব করেও দেওয়া হয়নি।
একদিন কল দিয়ে নিশ্চয় জানতে চাইব ইচ্ছেটা এখনও আছে কিনা।
ধন্যবাদ আরাফআহনাফ ভাই।

৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আশা করি সেই মেয়েটি যেন বৃদ্ধাশ্রম বানানোর মত অর্থ অর্জন করতে পারে। বলা যায় না, সামনে হয়ত বৃদ্ধাশ্রমের খুব দরকার হতে পারে যদিও সেটা কখনোই কাম্য নয়। ধন্যবাদ ক্ষণিকের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বৃদ্ধাশ্রম কখনই কারও কাম্য নয় কিন্তু এদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সামনে হয়তো অনেক বৃদ্ধাশ্রমের দরকার হতে পারে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ অয়ন ভাই কষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য।

৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: চাকরির জন্য কল দিবেন ঠিকই ; পীসসাবি মাড়াচ্ছেন! ;)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সৈয়দ ভাই দেশে চাকরির বাজার খুব খারাপ।তাই হয়তো একটা চাকরির জন্য মেয়েটিকে কল করা লাগতেই পারে।

৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভাল ঘটনা।

একবার সিলেট থেকে ঢাকা ফেরার পথে এক লোক আমার সহযাত্রী হয়ে বসেছিল। তার কোলে ছিল একটি ফুট ফুটে বাচ্চা। তো সেই বাচ্চা রাতের বেলা বমি করে আমাকে মাখিয়ে ফেলল।

লোকটা অনেক দুঃখ প্রকাশ করল। আমার খারাপ লাগলেও আমি কিছু বলিনি। পরে বোতলের পানি দিয়ে কিছুটা পরিষ্কার করে অস্বস্তিতে বসেছিলাম।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: দূরের যাত্রায় গেলে সবারই কমবেশি সহযাত্রী নিয়ে কোন না কোন অভিজ্ঞতা থাকে।
লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ মাইদুল ভাই।

৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার ফোন না করাটা রহস্যের থেকে গেল।সেবামুলক উদ্দেশ্যে বৃদ্ধাশ্রম নিঃসন্দেহ মহতী কাজ।তবে বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা বৃদ্ধি সমাজেরসমাজের পক্ষে উদ্বেগজনক।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কোন মানুষকে যেন বিদ্ধাশ্রমে না থাকতে হয় সে কামনায় করি মনে-প্রানে।

৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: ভাই, চাকরি কি কেবল আপনারা একাই করবেন?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: চাকরি না করে ব্যবসা করুন।চাকরি ভালনা ;)

১০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

সামিয়া বলেছেন: ভালো অভিজ্ঞতা, আমার পরিচিত আরও দুজন মেয়ের মুখে এই একই কথা শুনেছি বৃদ্ধাশ্রম বানাতে চায়, তারাও খুলনার মেয়ে, তবে উকিন বা এই জাতীয় লেখাপড়া করছেন না।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মেয়েটির বলার মাঝে অন্যরকম কিছু ছিল।যেটা আমাকে খুব বিমহিত করেছিল।
লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ সামিয়া আপু।

১১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: গল্প পড়িয়া আমি মুগ্ধ ! ;)


লাইক প্রদান করা হইল।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কুঁড়ে ভাই ইহা বাস্তব জীবনে ক্ষনিক অংশ বিশেষ।
লাইক পাইয়া খুশি হইলাম।

১২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: উপরের প্রথম কমেন্টটি ডিলেট করে দিয়েন ভাইয়া ভুল ছিলো তাই আবারও লিখলাম।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ কলি আপু।

১৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২১

সুমন কর বলেছেন: সত্য ঘটনা বুঝি.......ভালো হয়েছে।
+।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ সুমন দা।

১৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৪০

মাআইপা বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৩৬

কালীদাস বলেছেন: সকালে এক এয়ারহোস্টেসের তিক্ত অভিজ্ঞতা পড়ছিলাম, এক স্কুলের বাচ্চা প্লেনে ধুমিয়ে বমি করেছিল এক ফ্লাইটে, সেই বমি গড়িয়ে প্লেনের পেছনের কিচেন পর্যন্ত চলে এসেছিল :#) এখানেও আপনার সহপ্যাসেন্জারের সেইম কাহিনি :| হাহা :D

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বাসে উঠলে মেয়েরাই মনে হয় বেশি বমি করে।
আমি শুধু মেয়েটির উদার মনমানসিকতার কথায় বলদে চেয়েছি।
ধন্যবাদ ভাই।

১৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাল লাগল

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ছবি আপু।

১৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

নীলপরি বলেছেন: বাস্তব ঘটনার বিবরণ খুব সাবলীলভাবে করেছেন । ভালো লাগলো ।

বৃদ্ধাশ্রম কিরকম হবে সেটা কি জেনেছেন ? মানে সেখানে কি সহায়সম্বলহীন বৃদ্ধদের রাখা হবে ? যারা কোনো রকম অর্থ দিতে পারবেন না তারা কি থাকার সুযোগ পাবেন ? বাস্তবে কিন্তু বৃদ্ধদের প্রচুর টাকা দিয়েই থাকতে হয় । এখানেও ক্যাটাগরী আছে । যে যেমন টাকা দেবেন তেমন পরিসেবা পাবেন । যদিও তারা দেখায় নন প্রফিটেবল । আইনি জটিলতা ও সুবিধার (কর ছাড় ইত্যাদি )জন্য । এটা কিন্তু এখন নতুন বিজনেস । কথাগুলো বললাম বাস্তব কিছু তথ্য জেনে । আপনার ভাবনাকে নেগেটিভ করার জন্য নয় । আশাকরি বুঝবেন ।

শুভকামনা ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: নীলপরি আমি বুঝেছি।তবে মুন্নির ইচ্ছে তার নিজের খরচে এবং বন্ধু বান্ধবদের সহায়তায় একটি বৃদ্ধাশ্রম করবে এবং সেখানে অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা সম্পূর্ন বিনা খরচে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সেখানেই থেকে যাবে।
আমিও এই বিষয়টি জানি অনেক বৃদ্ধাশ্রমে টাকার বিনিময়ে শেষ বয়সে তাদের কেয়ার করা হয়।

১৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

নীলপরি বলেছেন: তাহলে তো ভালো ।

শুভকামনা ।:)

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মুন্নির জন্য আমিও অনেক শুভকামনা করি।

১৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভালো লাগলো।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পটি পড়ার সময় ভাবছিলাম কোন রোমান্টিকতায় রসালো না হয়ে যায় কিন্তু পড়ার পরে দেখলাম একটা সুন্দর মেসেজ। ভাল লাগরো গল্প পাঠে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এটি গল্প নয় সুজন ভাই।এটা বাস্তব জীবনের ঘটনা।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের উত্তর দেয়ার জন্য।

২২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:

বাহ ! খুব সরল স্বাভাবিকভাবে লিখেছেন।
সহযাত্রী। যাত্রীর সাথে আলাপ আমাদের সাথে শেয়ার করে ভাল করেছেন।

আপনার সেই যাত্রী যদি এই লেখাটি পড়ে তাহলে নিশ্চয়ই মনে মনে হাসবে।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সময় করে আমার পাতায় এসে লেখাটি পড়েছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জাহিদ অনিক ভাই।
লেখাটি তিনি পড়বেন কি না জানিনা তবে না পড়ার চান্সই বেশি।

২৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: ভালো লাগলো।
সাবলীল লেখনী।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সময় করে পড়ে মন্তব্য করেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ মাহের ভাই।

২৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মনও তো কম বিশাল নয়। নইলে মেয়েটির বমির পরেও সেই সীটে বশে থাকতে পারতেন না, আলাপচারিতা তো নয়ই। আর তা ছাড়া যাত্রাপথে কাটা আনারস খাবার খাবার দু"সাহস করেছেন। এ যাত্রায় বেঁচে গেলেও, ভবিষ্যতে কখনো এ কাজটি করবেন না। অজ্ঞান হয়ে পথে বেপথে বেঘোরে পড়ে থাকতে হবে হয়তো।
যাহোক, গল্প ভালই হয়েছে।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাইয়া এটা গল্প নয় বাস্তব জীবনের ঘটনা।আসলে সেদিন মেয়েটির বমি দেখেও কেন জানি মনের মধ্যে কোন ঘৃনা আসেনি।বরং এক রকম সহানুভুতি এসেছিল মনে।আর আমার সামনেই আনারস কিনেছিল বাসের জানালা দিয়ে।বাস যখন ফেরি ঘাটে দাড়িয়ে ছিল তাই খেয়েছিলাম।আর মেয়েটির বলার মাঝে এমন সরলতা ছিল যা দেখে আর না করতে পারেনি।
সময় করে লেখাটি পড়ে যাওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.