নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাম্প্রদায়িকতা একটা মানসিক ব্যাধী আর অসাম্প্রদায়িকতা হলো মানবিক গুন; দুঃখজনক হলেও সত্য যে উপরোক্ত দুটি গুণাবলি মানুষ অর্জন করে তার পরিবার ও পরিবেশ থেকে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭



সাম্প্রদায়িকতা একটা মানসিক ব্যাধি আর অসাম্প্রদায়িকতা হলো মানবিক গুন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে মানব চরিত্রের উপরোক্ত দুটি মানবিক গুণাবলি মানুষ অর্জন করে শৈশব ও কৈশোরে তার পরিবার থেকে বাবা-মা, ভাই-বোন ও আত্নীয়-স্বজন দের কাজ-কর্ম দেখে আর যৌবন বয়সে এসে তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে।



আমার শৈশবে আমি যা দেখেছি বা করেছি।



পরিপ্রেক্ষিত ১:

========

সেই ১৯৮৭ সালে (আমি যখন বুঝতে শিখলাম, ক্লাস থ্রি এর পরের ঘটনা মনে করতে পারি) আমার দাদা হজ্ব করতে যাবার পূর্বে ১৭ ইন্বিচি সাদা-কালো নিক্কন টিভি কিনলেন। এর পর দাদা হজ্ব পালন করে ফিরলেন। আমাদের নীলফামারী জেলা হতে স্যাটেলাইট ক্যবল ছাড়াই ভারতের দূরদর্শন ও নেপালের টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান দেখা যায়। ১৯৮৮-৮৯ সালের দিকে ভারতের দূরদর্শন চ্যানেলে রামায়ণ ও মহাভারত নামক দুইটি হিন্দি সিরিয়াল চলছিল যা হিন্দু ধর্মের কাহিনী অবলম্বনে চিত্রিত ছিল। ঐ সময় আমাদের বাড়ির ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে অন্য কারো বাড়িতে টেলিভিশন ছিল না। আমাদের বাড়ির ৫০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ৩ দিকে ৩ টি গ্রামে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষদের বসবাস। আমার দাদার প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষা ছিল না। উনি ছিলেন প্রচণ্ড ধর্ম ভীরু মানুষ। সেই ৭০ দশকে আমাদের বাড়ির উঠানে উনি একটি কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন যা আজও চলছে। যেই মাদ্রাসায় প্রায় ৩০০ ছেলে পড়া-লেখা করে যাদের মধ্যে প্রায় ৫০ জনই এতিম ছেলে।

যে করণে উপরোক্ত কথা বলা: সেই ১৯৮৮-৮৯ সালে প্রত্যেক রবি বার আমাদের বাড়িতে প্রায় ১০০-২০০ হিন্দু ধর্মালম্বি মানুষ হাজির হতো "রামায়ণ" ও "মহাভারত" দেখার জন্য। আমার পরিবার টিভি আমাদের উঠানে স্থাপন করত তাদেকে দেখার সুযোগ করে দেবার জন্য। এখানে বলে রাখি সেই সময় আমাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল না। ব্যাটারি দিয়ে টেলিভিশন দেখতাম। আমাদের বাড়ি ছিল জেলা শহর থেক অনেক দূরে প্রত্যন্ত গ্রামে।



পরিপ্রেক্ষিত ২:

==========

আমি বুঝতে শেখার পরে সবচেয়ে বড় বন্যটি হয় ১৯৮৮ সালে এরশাদ সরকারের শেষের দিকে। টিভিতে রাত ৮ টার খবরে দেখতাম এরশাদ কোমর সমান পানিতে হেটে দেশের বিভিন্ন বন্যার্ত অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ করছেন। আমাদের বাড়িটি ছিল আমাদের গ্রামের সবচেয়ে উঁচু স্থানে; এছাড়া আমার দাদা ছিল নির্বাচিত স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি (মেম্বার)। সেই সময় দেশের গ্রাম অঞ্চলে প্রচণ্ড চোরা-চালানী হতো; যার বেশি ভাগই ছিল গরু চুরি। দুর্ভাগ্য ক্রমে যে গরু ছিল গ্রামের কৃষকদের উপার্জনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। বন্যার সময় দারিদ্র্যতার কারণে হউক বা অন্য কোন কারণে গ্রাম অঞ্চলে গরু চুরির প্রকোপ বেড়ে যেত। ৩ টা হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রামের ১টি ছিল গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট নদী এর পাশে। বন্যার পুরোটা সময় সেই গ্রামটির মানুষেরা সন্ধ্যা হবার পূর্বে তাদের গরু গুলো আমাদের বাসায় রেখে যেত ও সকাল বেলা সূর্য উঠার সাথে সাথে তা নিয়ে যেত।



পরিপ্রেক্ষিত ৩:

========

পূর্বে উল্লেখ করেছি আমার দাদা ছিল প্রচণ্ড ধর্ম ভীরু, ও হাজি মানুষ। আমার দাদা একটা কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন যা এখনও আমরা চালাই। কিন্তু আপনি শুনলে আশ্চর্যিত হবেন এটা শুনে যে আমার দাদার একটা ধর্ম পুত্র ও মেয়ে ছিল যারা ছিল হিন্দু। তারা আমার দাদাকে বাবা বলে ডাকত সব সময় আমাদের বাড়িতে আসত। আমার শৈশব থেকে দেখেছি আমাদের বাড়িতে একজন বয়স্ক হিন্দু মানুষ কাজ করত যার নাম ছিল "গুলা"। আমি তাকে দাদা বলে ডাকতাম, ঐ দাদা আমাকে ঘড়ে ও পিঠে চড়িয়ে নিয়ে বেড়াত। সেই দাদা আমার আম্মাকে সবসময় "মা" বলে ডাকত।



পরিপ্রেক্ষিত ৪:

========

আমার বাবার অধিকাংশ জমি যারা বর্গা চাষ করেন তারা হলেন হিন্দু ধর্মালম্বি মানুষ। বর্গা চাষের নিয়ম হলে আউশ বা আমন ধানের সিজন শেষে উৎপন্ন ধানের একটা অংশ আমাদের দেওয়া। কিন্তু বেশিভাগ ক্ষেত্রে আমি দেখেছি তারা তা দিতে পারত না কারণ কোন কোন বছর উৎপাদন ভাল হত না। ফলে উৎপন্ন ফসল তাদের নিজেদের পরিবার চালাতে লাগত। আমি একাধিক বার দেখেছি সেই সকল হিন্দু বর্গা চাষি ৩/৪ বছর পরে সেই ঋণ শোধ করেছে। কিন্তু আমি কোনদিন দেখি না যে আমার বাবা তাদেরকে চাপ দিয়ে সেই ঋণ আদায় করেছে।



পরিপ্রেক্ষিত ৫:

========

আমার হাই-স্কুল বন্ধুদের অধিকাংশ ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বী। হাইস্কুল জীবনে আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধুটি ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বী, নাম জয়ন্ত পোদ্দার (বর্তমানে দিনাজপুর জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট)। ক্লাস সিক্স থেকে এসএসসি পাশ করার পূর্ব পর্যন্ত এমন একটা দিনও ছিল না মনে হয় যেদিন আমি তার মায়ের হাতের চা খাই নাই)। আমরা পুরো অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণী একই স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়েছি। স্কুলে তার রোল ছিল ১ আর আমার ছিল ৩। স্কুল ছেড়ে আবারও একই কলেজে (রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ) গিয়ে ভর্তি হলাম। কলেজে আমার রোল হলো ৩১৩ আর তার রোল ৩১৪। কলেজে গিয়ে সে শুধু আমার সহপাঠীই রইল না আমরা একই ম্যাচে একই রুমে থাকলাম।



দুর্গা পূজার সময় আমরা দাওয়াত ভাগ করে নিতাম। আমাদের এত বেশি বন্ধু হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিল যে পুরো ৩ দিন ধরে (নবমী, দশমী ও দশমীর পরের দিন) সকালের নাস্তা, দুপুরের লাঞ্চ ও রাতের ডিনার করতাম তাদের বাসায় পর্যায়ক্রমে। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ঐ রুটিন চালু ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পূর্ব পর্যন্ত। এর পরে সবাই ছড়িয়ে পড়ি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। পূজার দিনে ধর্মীয় কারণে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী বন্ধুদের বাসায় বলি দেওয়া পশুর মাংস খেতাম না একই ভাবে সেই সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বী বন্ধু কুরবানির ঈদে আমার বাসায় এসে হালুয়া ও পায়েস দিয়ে পিঠা খেত মাংস বাদ দিয়ে। পুরো স্কুল জীবনে এমন একটাই পূজা ছিল না যেই পূজায় নবমীর রাতে আরতি দেখি নাই। আমাদের এই বন্ধুত্ব আজও টিকে আছে একই রকম আন্তরিকতায়।



আমি সব সময়ই গর্ব করে সকলকে বলি আমার শৈশবে আমি ঐ ভাবেই বেড়ে উঠেছি; ধর্ম ভীরু কিন্তু অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মা-বাবা, দাদা-নানাকে দেখে শিখেছি।



যখন পত্রিকার পাতা খুলে দেখি শুধু মাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বী হবার কারণে বাড়ি-ঘড় জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে তখন ভাবি কারা মানসিক ভাবে অসুস্থ সেই মানুষ? কোন পরিবেশে তারা বেড়ে উঠেছে? তাদের বাবা-মারাই বা কোন শিক্ষা তাদের দিয়েছেন?

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



"সংখ্যালঘু" শব্দটা আমার কাছে গালি ছাড়া আর কিছুই নয়। যারা আমাদের দেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে এভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় উস্কে দেয় বাংলাদেশী নাগরিকতার সনদ মুছে দেয়ার চেষ্টা করে তারা যে একটি বিশেষ মহলের আস্থাভাজন হতে চাওয়ার লক্ষ্যেই এমন খেলার আয়োজন করে সেটা খুব সহজেই অনুমেয়।

আমাদের ভুলে গেলে চলবে না ওরাও বাংলাদেশী এবং আমাদের ভাই। যারা ওদের সংখ্যালঘু বলে গালি দেয়, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে উস্কে দেয় তাদের প্রতি আমার তীব্র ধিক্কার।

পোস্ট সোজা প্রিয়তে পলাশ ভাই।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনার সাথে আমি পুরো একমত "সংখ্যালঘু" শব্দটাতে আমার প্রচন্ড আপত্তি আছে। একই দেশে বাস করে কেন তারা ভয়ে-ভয়ে রাতে ঘুমাতে যাবে?

ভাবতেই আমার মাথা গুলিয়ে যায় যদি চিন্তা করি আমার শৈশবের সেই বন্ধুটির বাড়িতে কেউ আগুন লাগিয়েছে।

আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১১

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: সেটাই। আপনার পোস্টের শিরোনামই যা বলার বলে দিয়েছে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ বিষয়টি মেনে নেবার জন্য।

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৭

মামুন রশিদ বলেছেন: সেটাই । বড় হলাম এক সাথে, হিন্দু মুসলিম আলাদা ভেদ শিখিনি । প্রতিবেশি হিন্দু পরিবারের সাথে আমাদের হৃদ্যতা নিজ ধর্মের লোকদের চেয়ে কোন অংশে কম ছিল না । কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদি শক্তির উত্থানের পর থেকেই শুরু হয়েছে এই অনাচার ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভাবতেই আমার মাথা গুলিয়ে যায় যদি চিন্তা করি আমার শৈশবের সেই বন্ধুটির বাড়িতে কেউ আগুন লাগিয়েছে।
আমি প্রত্যেকদিন আমার বাবা ও ভাইকে জিজ্ঞেস করি আমাদের এলাকার খবর কি?

হয়ত অবিশ্বাস্য ঠেকবে কথাটা তার পরেও বলি আমার বাড়ির পাশের সেই ৩ টি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষদের গ্রামে গত ২৫ বছরে একটি বারের জন্য সাম্প্রদায়িক কারনে কোন হিন্দু বাড়িতে আক্রমন হয়নি। জমি সনক্রান্ত কারনে হয়ত হাতা-হাতি হয়েছে ঐ পর্যন্তই শেষ। কোন দিন কারো বাড়িতে আগুনে পুড়ে নি বা ভাংচুর হয় নি।

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৭

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: কারা মানসিক ভাবে অসুস্থ সেই মানুষ? কোন পরিবেশে তারা বেড়ে উঠেছে? তাদের বাবা-মারাই বা কোন শিক্ষা তাদের দিয়েছেন?



এ ধরণের পোস্ট ভালো লাগে। প্রিয়তে নিলাম।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫

দাদা- বলেছেন: বিবেক ই হলো সব থেকে বড়ো শিক্ষক । তারমতো বড়ো শিক্ষক আর কেউ নাই ।
সাম্প্রদায়িকতা সমাজে এক মারাত্মক ব্যাধি । এব্যাধিতে যার আক্রান্ত তাদের সুখ কোনদিন ই হয় না। যার বিবেক,উপলব্ধি আপনা থেকে আসে না আমি আপনি বুঝিয়ে তাদের বিবেক কে জাগাতে পারবো না। পারিবারিক সুশিক্ষা-সুরুচির আওতায় থাকলে জন্মথেকেই তা হৃদয়ে গেঁথে থাকে, তাতেই তার দৃষ্টি-ভন্গিও বদলে যায় । সে হয় সম্যকদর্শী । বিবেকবান। আজকের দিনে এমন মানুষই চাই ।

মানুষ কে যারা মানুষ বলে ভাবতে শেখেনি....শুধুমাত্র জাতি ধর্মের বিভেদের জালে ফেলে দেখেছে সেই সব মানুষদের গলায় দরি নিয়ে মরা উচিত ।
যারা এভাবে দুর্বল অসহা্য় মানুষদের আঘাত করে তারা কি জামাত কি হার্মাদ কি সামাদ যেই হোক আমি কাউকেই মানুষ বলে মনে করি না । ওরা নরপশু,লুন্ঠনবাজ,বর্গী,ঠগবাজ, হারাম। সমাজের নোংরা-আবর্জনা মাত্র ।
আমি এখানে শুধু হিন্দু-মুসলীম নয় ভাই। নিরীহ,গরীব,দুর্বল অসহা্য় মানুষদের কথা বলছি যারা নিপীড়িত, অত্যাচারিত,অবহেলিত মানুষদের কথা। এখানে হিন্দু মানে - ভারত আর মুসলীম মানে বাংলাদেশ বলছি না ভাই।
ইহকালের পাপ কর্মের ফল পরকালে তাদের পেতেই হবে - এটা নিশ্চিত ।
বন্ধ হোক হিংসা-তান্ডব লীলা, বন্ধ হোক খুন-খারাপি, চুরি-ছিনতাই, মা-বোনেদের ইজ্জত কাড়াকাড়ি ।
"সমাজে বসবাস করে আমরা আমাদের প্রতিবেশী, পাড়া-পড়শীদের রক্ষা করতে পারছি না.. তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি, কিছু না প্রতিবাদ করে চুপ করে শয়তানদের প্রশয় দিচ্ছি, ওদের সাথে আমরাও কম দোষী নই। আমরাই আবার নির্বাচন করে তাদের ক্ষমতায় বসাচ্ছি। এসব করলে তো চলবে না ভাই। সকল প্রতিবাদীদের একত্র করে রুখে দাঁড়াতে হবে । ছুড়ে ফেলতে হবে তাদের আশ্রয়দানকারী শাসকশ্রেণীকে। গড়ে তুলতে হবে জনমত, বড়ো আন্দোলন ।

যারাই হোক না অপরাধী সেই অপরাধীদের এই জঘন্য অপরাধের কঠোর শাস্তি দাবী জানাই।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "বিবেক ই হলো সব থেকে বড়ো শিক্ষক । তারমতো বড়ো শিক্ষক আর কেউ নাই । "

আপনার সাথে একমত।

৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫

নতুন বলেছেন: সাম্প্রদায়িকতা একটা মানসিক ব্যাধী++++

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: অবশ্যই এটা একটা মানসিক ব্যাধী।

৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

উপপাদ্য বলেছেন: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর এই সশস্ত্র আক্রমন কি ধর্মীয় ভায়োলেন্স না পলিটিক্যাল ভায়োলেন্স?

যদি ধর্মীয় ভায়োলেন্স হয় তাহলে বাংলাদেশের মতো দেশে এর সমাধান খুবই সহজে সম্ভব।

আর যদি রাজনৈতিক ভায়োলেন্স হয়ে থাকে তাহলে সত্যিকারের গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এটা চলতে থাকবেই।

আমার ধারনা ভুলও হতে পারে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ দারুন একটা প্রশ্নের অবতারনা করার জন্য। আপনার সাথে আমিও একমত যেএই আক্রমন যদি রাজনৈতিক ভায়োলেন্স হয়ে থাকে তাহলে সত্যিকারের গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এটা চলতে থাকবেই।

৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আমার মনে হয় এই ঘটনা গুলো ধর্মিয় নয়, ১০০% পলিটিক্যাল

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: অনেক গুলো ফ্যাক্টর এই ক্ষেত্রে দায়ি। একক ভাবে পলিটিক্যালও না ।

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৮

শুঁটকি মাছ বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন। এসব শিক্ষা আসলে মানুষ পরিবার থেকেই পায়।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "সাম্প্রদায়িকতা একটা মানসিক ব্যাধি আর অসাম্প্রদায়িকতা হলো মানবিক গুন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে মানব চরিত্রের উপরোক্ত দুটি মানবিক গুণাবলি মানুষ অর্জন করে শৈশব ও কৈশোরে তার পরিবার থেকে বাবা-মা, ভাই-বোন ও আত্নীয়-স্বজন দের কাজ-কর্ম দেখে আর যৌবন বয়সে এসে তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে।"

১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: দুই দিন পরে পরেই অন্য ধর্মালম্বীদের উপর হামলা , ধর্মীয় অনুভূতিকে পুজি করে মিথ্যাচার ! আপনার কি মনে হয় আপনার আশেপাশের মানুষগুলো এতটাই নোংরা যে অন্য ধর্মের বন্ধুদের বাড়ি পুড়াবে ! হ্যাঁ আমরা সামাজিক ভাবে অসাম্প্রদায়িক কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে নয় !! কেননা আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাগুলো আমাদের রাজনীতির বিষপোড়া হিসেবে টিকিয়ে রাখা হয়েছে সময় মত ইউজ করার জন্য ! Nasty politicsএর শেষ ধাপে বাংলাদেশ এসে দাঁড়িয়েছে , আমি নিশ্চিত নই কোন দলের হাইকমান্ডের আঙ্গুলের ইশারায় এতগুলো বাড়ি পুড়িয়ে ভোটের রাজনীতি করা হলো ? যেই করুক না কেন , এক্ষুনি বন্ধ করা উচিৎ , সত্য কথা বলে ... আদর্শের সাথে সমুন্নত থেকে , ভুল স্বীকারের প্রবণতা তৈরী না হলে আমরা হারিয়ে যাবো , অচিরেই !

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: মানুষের জীবন নিয়ে এই রাজনৈতিক খেলা এখনই বন্ধ করা দরকার। এই জন্য দরকার সামাজিক সচেতনতা। কিন্তু রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া এই বর্বরতা বন্ধ করা সম্ভব না মনে হয়।

আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।

১১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

সুমন কর বলেছেন: ধিক্কার জানাই...

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।

১২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪

C/O D!pu... বলেছেন: ব্যাপারটা ১০০% পলিটিক্যাল কিভাবে হয়, যেখানে কিছু নির্দিষ্ট ধর্মালম্বীদের উপর হামলা হচ্ছে...
হ্যাঁ, এটা ঠিক যে, রাজনৈতিক আবহাওয়াটাই এর সুযোগ করে দেয়...

যারা এরকম হামলা করে তাদের পারিবারিক মূল্যবোধ নিম্নমানের...

রাসূলুল্লাহর (সঃ) বিদায়ী ভাষণের মতো এতো সুন্দর সাজেশন্স থাকতেও যারা এমন করে, তাদের ধিক্কার...

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:১৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: না, আমি বলি নাই যে হিন্দুদের উপর হামলা ১০০ ভাগ পলিটিকাল। আপনি আর একবার পড়ুন আমার পোষ্ট।

ভাল থাকবেন

১৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

একজন আরমান বলেছেন:
সাম্প্রদায়িকতা একটা মানসিক ব্যাধী


সহমত।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:১৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ আরমান ভাই।

১৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: মন খারাপ ভাই। বন্ধুদের মুখ দেখাবো কিভাবে?? নিজেকেই নিজের চেহারা দেখাতে লজ্জা করে। এই দেশে তো সবার অধিকার সমান। প্রতিবার এই খবরগুলো শুনি আর লজ্জায় কুকড়ে যাই। মানুষগুলো এই নোংরা আচরণ করে কিভাবে ??

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:১৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আমরা বিএনপি বা আওয়ামীলীহ সমর্থক বা কর্মী হতে পারেছি কিন্তু এখনও মানুষ হতে পারি নি।

১৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৮

রোমেন রুমি বলেছেন:
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের সূক্ষ্ম সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত আর কালো চিন্তার প্রতিফলন অথবা অভূতপূর্ব ফলাফল দ্বি-জাতিত্বের ভিত্তিতে দেশ বিভাগ । ইতিহাসের চড়াই-উতরাই থেমে ছিল না এক মুহূর্তের জন্য । কত কি ঘটে গেল । ৭১ এল ; আমাদের স্বাধীনতা এল । আজ ২০১৪; পেছন ফিরে সেই ৪৭ এর দিকে তাকালে দেখি পেরিয়ে এসেছি প্রায় ৬৭/৬৮ বছর। দুঃখ জনক হলেও বলতে হয় আমরা আজও বাঙ্গালী বা বাংলাদেশী হতে পারিনি! আমরা এখনও হিন্দু-মুসলমানই রয়ে গেলাম ! আমরা এখনও মানুষ হতে পারিনি; ব্রিটিশরা যেভাবে আমাদেরকে নিম্ন শ্রেণির কোন প্রাণী হিসেবে মুল্যায়ন করত আমরা এখনও সেই নিম্ন শ্রেণির প্রাণীতেই রয়ে গেলাম । কেননা নিম্ন শ্রেণির প্রাণী ব্যাতিত কোন মানুষের পক্ষে কখনোই সম্ভব নয় নির্বিচারে মানুষ হত্যা, মানুষের স্বপ্ন হত্যা এবং মানুষের সর্বস্ব অতি আনন্দের সঙ্গে ধ্বংস করে দেয়া । অবশ্য নিম্ন শ্রেণির প্রানিদের সাথে এদের তুলনা করার ক্ষেত্রে বরং ঐ প্রাণীরাই যে লজ্জিত হবে এ কথা বলাই বাহুল্য । তাই এদেরকে শুধু রুখে দেয়া নয় বরং এদেরকে নিঃচিহ্ন করার শপথ নিতে হবে ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:১৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "এদেরকে শুধু রুখে দেয়া নয় বরং এদেরকে নিঃচিহ্ন করার শপথ নিতে হবে ।"

আপনার সাথে একমত। এখনই এদেরকে ঠেকাতে হবে।

১৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৩০

খেয়া ঘাট বলেছেন: আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: সেটাই। আপনার পোস্টের শিরোনামই যা বলার বলে দিয়েছে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৩৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ সহমত প্রকাশের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.