নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাম্প্রতিক তাপ-প্রবাহ ও অনা-বৃষ্টির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা, দৈনন্দিন জীবনের উপর তার প্রতিক্রিয়া, আমাদের করনীয় ও সতর্কতা

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:০০





প্রচণ্ড গরমে সিদ্ধ হতে যাওয়া বাংলাদেশের মানুষদের জন্য আগামী ৭-১০ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাষ হতে কোন সু-সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্বের ৪/৫ টা নামকরা আবহাওয়া পূর্বাভাষ সংস্থার আগামী ৭-১০ দিনের পূর্বাভাষ বলতেছে আগামী এক সপ্তাহ বৃষ্টি হবার কোন সম্ভাবনা নাই (তবে অসম্ভব না)। বাতাসে জ্বলিয় বাষ্পের পরিমাণ খুবই কম ( বেশি ভাগ জেলায় গড়ে ৪০-৫০%, কোন কোন জেলায় মাত্র ১০ থেকে ১৫%)।







ছবি ১: কৃতজ্ঞতা, The Weather Network



বাতাসে জ্বলিয় বাষ্পের পরিমাণকে আমরা তুলনা করতে পারি ঢাকার বিখ্যাত ফখর উদ্দিন বিরানি খাওয়ার সাথে। মনে করেন, ফখর উদ্দিন বিরানির ১ প্লেটের দাম ১০০ টাকা, কিন্তু আপনার পকেটে বর্তমানে আছে ১৫ টাকা। আপনি যদি ১৫ টাকা পকেটে নিয়ে দোকানে যান তবে ফখর উদ্দিন বিরানি খাওয়া সম্ভব না। আপনাকে কম করে হলেও ৯০ টাকা নিয়ে দোকানে যেতে হবে। আপনি যদি অনুরোধ করে বলেন যে আজকে পকেটে ৯০ টাকা আছে তবে ক্যাশিয়ার দয়া পরবশ হয়ে হয়ত আজকের জন্য ১ প্লেট বরাদ্দ করতে পারে যদিও আসল মূল্য ১০০ টাকা।



ঠিক একই ভাবে বৃষ্টি পাতের জন্য সাধারণত বাতাসে জ্বলিয় বাষ্পের পরিমাণ থাকতে হয় ১০০% তবে বিশেষ ক্ষেত্রে বাতাসে জ্বলিয় বাষ্পের পরিমাণ ৮০-৯০% হলেও বৃষ্টি হয়ে থাকে। (এর চেয়ে বিস্তারিত লিখতে হলে সেখানে মেঘ ও বৃষ্টির কণা কিভাবে সৃষ্টি হয় তার পদার্থ বিজ্ঞান চলে আসবে, যা বুঝতে সহজ হবে না সাধারণ পাঠকদের জন্য)







ছবি ২: কৃতজ্ঞতা, AccuWeather



তাপমাত্রা আর একটু বাড়তে পারে আগামী শনিবার পর্যন্ত এর পরে একটু কমবে। আগামী শনি-রবিবার ঢাকা ও তার আশ-পাশের জেলায় অল্প পরিমান বৃষ্টি হতে পারে (সম্ভাবনা মাত্র ৩০-৪০%)। সারা দেশের অবস্থা প্রায় একই রকম থকবে।



নিম্নোক্ত সাইটি থেকে আপনি দেখে নিতে পারেন বৃষ্টি পাতের পূর্বাভাষ।



weather-forecast.com



অস্বাভাবিক এই তাপ-প্রবাহ আমারা কমাতে পারব না। মানুষ এখনও সেই শক্তি অর্জন করতে পরে নাই। তবে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় হতে রক্ষা পেতে আমরা নিম্নোক্ত কাজগুলো করতে পারি, আমাদের নিজ-নিজ সামর্থ্যের মধ্যে থেকে।



=========================

অবশ্য করনীয় সাধারণ পরামর্শ

=========================



১) প্রচুর পরিমাণ পানি খান,

২) সম্ভব হলে দিনে ১/২ প্যাকেট ওর স্যালাইন ও ১/২ গ্লাস গ্লুকোজ খান।

৩) প্রচুর পানিযুক্ত ফল যেমন: তরমুজ, পেঁপে, বাঙ্গি, আনারস ইত্যাদি খেতে পারেন।

৪) কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত ড্রিংক (কোকা-কোলা, স্প্রাইট, পেপসি) ইত্যাদির পরিবর্তে সাধারণ পানি খান।







ছবি ৩:, কৃতজ্ঞতা, Time and Date



===========================

স্বাস্থ্য সতর্কতা

===========================



তাপ-প্রবাহের করণে কাদের ক্ষতির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি?



১) বয়স্ক মানুষ (বৃদ্ধ-বৃদ্ধা)

২) দুগ্ধ পোষ্য শিশু

৩) কিশোর-কিশোরী

৪) যাদের শ্বাস কষ্ট আছে (আজ্যামা রোগী)

৫) দীর্ঘক্ষণ রোদের মধ্যে কাজ করে (কৃষক, রিকশাওয়ালা, নির্মাণ শ্রমিক

৬) রাস্তায় বসবাসকারী মানুষ (পথ শিশু)



==========================

আপনি যা করতে পারেন

==========================



১) আপনি যদি দুগ্ধ পোষ্য শিশু বা কিশোর-কিশোরীর বাবা মা হয়ে থাকেন



যেহেতু অনেক দিন থেকে বৃষ্টি হয়নি তাই বাতাসে ধূলি কণা ও জীবাণুর পরিমাণ অনেক বেশি। ছোট বাচ্চা নিয়ে বাহিরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে করে ডায়রিয়া, কলেরা, ও শ্বাস কষ্ট জনিত রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।



২) আপনার পরিবারে যদি বয়স্ক মানুষ যেমন আপনার বয়স্ক বাবা-মা, দাদা-দাদি ও নানা-নানী থাকে।



অত্যধিক গরমে বয়স্ক মানুষদের হার্ট এটার্কের সম্ভাবনাও বেড়ে যায় অনেক। ২০০৩ সালে ইউরোপে সর্বকালের সেরা তাপপ্রবাহে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল; যাদের বেশিভাগই ছিল বয়স্ক মানুষ ও মৃত্যুর কারণ ছিল হার্ট এট্যাক। সুতরাং আপনার বয়স্ক বাবা-মা, দাদা-দাদি ও নানা-নানীর প্রতি খেয়াল রাখুন।



৩) আপনি যদি কনস্সট্রাকশন সাইট ইঞ্জিনিয়ার বা গার্মেন্টসের প্রডাকশ ফ্লোরের দায়িত্বে থাকেন:



তবে আপনার দায়িত্ব হলো নির্মাণ শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ রাখা। প্রতি ২/৩ ঘণ্টা পর-পর ১০/১৫ মিনিটের বিরতি দিন শ্রমিকদের। এতে করে বিরতির পরে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করবে শ্রমিকরা আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি। মধ্য- প্রাচ্যে বাংলাদেশি শ্রমিকদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ অত্যাধিক গরম জনিত হার্ট-এট্যাক, যে সংবাদটি আপনারা গত কিছুদিন পূর্বে বিভিন্ন পত্রিকায় পড়েছেন।



৪) আপনি আর্থিক ভাবে সক্ষম হলে রিক্সা থেকে নামার সময় হাতের পানির বোতলটি রিকশাওয়ালাকে দিয়ে দিন। খালি পানির বোতলটি ফেলে দেবার পূর্বে রিক্সাওয়ালে জিজ্ঞেস করুন সেটা তার কোন উপকারে আসবে কি না?



৫) শরীর হতে অনেক ঘাম ঝরায় এমন ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকুন আপাতত



৬) শারিরীক পরিশ্রম যুক্ত কাজ গুলো দিনের প্রথম ভাগে (সকাল বেলা) বা শেষ ভাগে (সন্ধার পূর্বে) করার চেষ্টা করুন সম্ভব হলে।



৭) সূর্যের আলোতে ছোট বাচ্চা বা পশু-পাখি গাড়ির মধ্যে রেখে দূরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।



৮) আপনার গৃহ-পালিত পশু পাখিরও একই রকম যত্ন নিন, যেমনটি নিচ্ছে আপনার নিজের। অন্তত বেশি করে পানি খওয়ান।



===================================

যে ধরনে কাপড় ব্যবহার করবেন ও করবেন না

===================================



১) কালো বা রঙ্গিন কাপড় পড়ে বাহিরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন।

২) সম্ভব হলে সাদা বা হালকা রঙের কাপড় পড়ুন।

৩) জিনসের প্যান্ট বা স্কিন টাইট টি-শার্ট পড়া থেকে বিরত থাকুন

৪) সুতি কাপড়ের পোশাক সর্বাপেক্ষা আরাম দায়ক







ছবি ৪: কৃতজ্ঞতা, The Weather Channel



=============================

কেন এই অস্বাভাবিক উচ্চ তাপ-প্রবাহ

=============================

নিচের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন ছবির উপরে কোন কোন জায়গায় H ও L লেখা আছে? এই অক্ষর গুলো নির্দেশ করে H (High Pressure System) এবং L (Low Pressure System)। বাংলায় যাকে বলে উচ্চ চাপ ও নিম্নচাপ। আমরা টেলিভিশনে অনেক সময় শুনে থাকি বঙ্গোপসাগরে নিম্ন চপের সৃষ্টি হয়েছে ফলে ঘূর্ণি ঝড়ের সৃষ্টি হতে পারে, অর্থাৎ অনেক বৃষ্টিপাত। প্রায় তার বিপরীত হয়ে থাকে যখন উচ্চ চাপের সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ বৃষ্টি পাতের সম্ভাবনা নাই। আপনারা নিচের ৫ নং ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন যে প্রায় পুরো ভারতের উপরে High Pressure System (উচ্চ চাপ) বিরাজ করতেছে।







ছবি ৫: কৃতজ্ঞতা, http://www.weather-forecast.com/



নিচের ৬ নং ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন যে যখন ভূ-পৃষ্টে High Pressure System বিরাজ করে তখন ঊর্ধ্ব আকাশের শুকনা বাতাস ভূ-পৃষ্ঠে নেমে আসে ও মেঘ তৈরিতে বাধা প্রদান করে। বিপরীত ক্রমে ভূ-পৃষ্টে Low Pressure System বিরাজ করলে ভূ-পৃষ্টের অপেক্ষাকৃত গরম ভেজা বাতাস উপরে উঠে মেঘের সৃষ্টি করে, যা ক্রমাগত ঘনীভূত হয়ে এক সময় বৃষ্টিপাত হিসাবে ভূমিতে পতিত হয়।





ছবি ৬: কৃতজ্ঞতা, ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত



আর একটা কারণ হলো প্রায় সম্পূর্ণ ভারতের উপরে ও অধিকাংশ বাংলাদেশের ভূ-পৃষ্ঠে High Pressure System বিরাজ করছে। যার ফলে স্হল ভাগে বায়ু ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরতেছে যা ক্রান্তীয় (ট্রপিকস) গরম বাতাস স্থল ভাগে নিয়ে আসতেছে।



============================================

প্রশ্ন হলো কত দিন এই অবস্থা বিরাজ করতে পারে??

অথবা

কবে এই অসহ্য গরম থেকে মুক্তি পাব আমরা?

============================================

নিচের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন একটা ঢেউ বা তরঙ্গ প্রবাহিত হচ্ছে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে। একই রকম একটা বাতাসের ঢেউ পৃথিবী প্বষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার উপর দিয়ে পৃথিবীর পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে প্রতিনিয়ত প্রবাহিত হচ্ছে। আমাদের হাইস্কুল জীবনে শিখেছি একটা তরঙ্গের উচ্চতম স্থানকে শীর্ষ ও নিম্নতম স্থানকে তরঙ পাদ বলে। তরঙ্গ শীর্ষের সামনে ও পিছনে থাকে তরঙ্গ পাদ।







ছবি ৭: কৃতজ্ঞতা, ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত



আপনারা ৫ নং ছবিতে দেখতে পাচ্ছে যে বর্তমানে ভারতীয় উপমহাদেশের ভূ-পৃষ্টে High Pressure System বিরাজ করেছে, যার ঠিক উপরেই রয়েছে একটি তরঙ্গ শীর্ষ (Ridge) [৮ নং ছবি] ও এর পিছনেই রয়েছে একটি তরঙ্গ পাদ (Trough)। এই তরঙ্গ শীর্ষ যখন ভারতীয় উপমহাদেশ অতিক্রম করে পূর্বে চীনের দিকে অগ্রসর হবে তখন ভারতীয় উপমহাদেশের ঠিক উপরে অবস্থান করবে একটি তরঙ্গ পাদ যা আকাশে মেঘের সৃষ্টি করবে ও বৃষ্টি পাত ঘটাবে।







ছবি ৮: কৃতজ্ঞতা, ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত



মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩০

আরজু পনি বলেছেন:

আজকে আমি এই পোস্টেই আছি... :D

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপু পোস্ট পরে বসে থাকলে হবে না তথ্য গুলো নিজেদের পরিচিত মানুষের মাঝে পৌছাতা হবে ও দৈনন্দিন জীবনে প্রোয়োগ করতে হবে তবেই আমার লিখাটি সার্থক হবে।

আপনাকে ধন্যবাদ পোষ্টের সাথে থাকবার জন্য।

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩৬

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় পোষ্ট। এই পোষ্টে থাকার মধ্যে যদি কোন ঠান্ডা পাওয়া যায়।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: শরৎ দা, পোষ্টের সাথে থেকে কাজ না হলে নিচের পদ্ধতি প্রয়োগ করার নেমন্তন্ন =p~ =p~

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৩

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: অনেক ভাল পোস্ট

বিশেষ করে যে টিপসগুলো দিয়েছেন, তা অনেক উপকারে আসবে

অনেক ধন্যবাদ

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভাল লাগার জন্য।

পোষ্টটি উপকারে আসলে আমার লিখাটি সার্থক হবে।

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৫

প্রকৌশলী আতিক বলেছেন: কি সব বললেন ভাই? বিজ্ঞান দিয়া কি এইসব ব্যাখ্যা করা সম্বভ? কে বলছে বৃষ্টিপাতের জন্যে বায়ুতে জলীয় বাস্প দরকার?

আবহাওয়া/পরিবেশ কন্ট্রোল করা সম্ভব, যদি আপনি জঙ্গীবাদ মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন করতে পারেন। - জাপানি সাইন্টিস্ট ইনু

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আতিক একটা হাদিস আছে যে "অশিক্ষিত মানুষের হাজার রাতের ইবাদতের চেয়ে বিদ্যান ব্যাক্তির ঘুম শ্রেয়"।

৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: গুরুত্বপুর্ণ পোষ্ট।

সম্মানিত মডারেশন প্যানেলের প্রতি অনুরোধ রইলো জনস্বার্থে সাময়িক সময়ের জন্য পোষ্টটি স্টিকি রাখার।


২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ পোষ্ট টি ভাল লাগার ও স্টিকি করার অনুরোধ করার জন্য।

৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: প্রথম ছবিটা সেইরাম হইছে B-)

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: এই ছবিটি নেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফিক ম্যাগাজিন থেকে। এটি ছবিটি তোলা হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার বনে যেখানে প্রচন্ড বৃষ্টিতে ব্যাঙটি নিজের রক্ষা করার চেষ্টা করতেছিল ঐ কচু পাতাটি নিজের মাথার উপরে দিয়ে।

নিচে মূল ছবিটির লিন্ক: Click This Link

৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২৭

মোমের মানুষ-২ বলেছেন: ধন্যবাদ, অনেক কাজের পোসট

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভাল লাগার জন্য।

৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩১

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: সকাল সকাল এই পোস্ট দেখে ঠাণ্ডা হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর পোস্টের জন্য।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ প্রসংসার জন্য।

৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


পোস্ট স্টিকি করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: কান্ডারি ভাই আপনাকে ধন্যবাদ।

১০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১৯

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: অনেক তথ্য বহুল পোস্ট।

অনেক কস্ট করেছেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাদের উপকারে আসলে আমার লিখা সার্থক হবে।আপনাকে ধন্যবাদ।

১১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: প্রচুর শ্রমসাধ্য অত্যন্ত উপকারী প্রয়োজনীয় পোষ্ট। বৃষ্টির পরিমান বা ফ্রিকোয়েন্সি কমছে কেন? অতিরিক্ত মানুষ।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ পোষ্টি পড়বার ও সুন্দর একটা প্রশ্ন করবার জন্য।

বর্ষার শুরুতে বৃষটি কমার জন্য বেশ কয়েকটি করন পেয়েছেন বৈজ্ঞানিকরা। এর মধ্যে অন্যতম দুটি হলো বাতাসে ধুলি কনার পরিমান বৃদ্ধি ও ভূমির ব্যবহার পরিবর্তন। বিশেষ করে সেচের মাধ্যমে আউশ ধানের চাষাবাদ। আজ থেকে ১৫/২০ বছর পূর্বে আউশ ধানের চাষ কম হতো বেশি হতো পাট চাষ। বর্তমানে সেচ দিয়ে আউশ ধান চাষা-বাদের ফলে বর্ষার শুরুতে দেশের অভ্যন্তরের বিশেষ করে উপকূলীয় অন্বচলে স্হল ভাগের মাটির তাপমাত্রা অনকে কম থাকতেছে। বঙ্গপোসাগরের পানির তাপমাত্রার সাথে উপকূলীয় অন্বচলের মাটির তাপমাত্রার বেশি পার্থক্য না থাকার কারনে সমুদ্র হতে জ্বলিয় বাষ্প দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারতেছে না। ফলে কালবৈশাখি ঝড়ের পরিমান অনেক কমে গেছে ১৫-২০ বছর পূর্বের চেয়ে।

আর একটা কারন হলো বাতাসে যখন অনেক বালুকান থাকে ( ধরুন ১ গ্রাম পানি ১০০ টি কনার মাঝে ভাগ করে দেওয়া হলো) তখন প্রত্যাকটি কনার গায়ে জ্বলিয় বাষ্প জমা হয়ে ছোট-ছোট মেঘের কনা সৃষ্টি করে। কিন্তু কনা গুলো অনেক ছোট হয় যেগুলো উপর অভিকর্ষজ ত্বরনের প্রভাব কম হয়। কিন্তু বাতাসে ধুলি কনার পরিমান কম হলে (১ গ্রাম পানি ১০ টি বালু কনার মাঝে ভাগ করে দেওয়া হলো) সেগুলোর পরিমান বড় হবার কারণে অভিকর্ষজ ত্বরনের প্রভাব বেশি হবার কারনে বৃষ্টির ফোটা হিসাবে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি হবে।

এই কারণে এখন আকাশে মেঘ দেখা গেলেও বৃষ্টি কম হয় বায়ু দূষন বৃদ্ধি হবার করনে।

আমি আশা করছি আপনার প্রশ্নের উত্তরটি ব্যাখ্যা করতে পেরেছি।

১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ন পোষ্ট! অনেক পরিশ্রম করলেন। যেভাবে গাছ পালা কাঁটা হচ্ছে গরম তো আরো বাড়বে। সামনের বছরে আরো খারাপ অবস্থা হবে। এইবারের গরমের মত গরম আমি আর দেখি নাই।

মনটা খুবই খারাপ হইলো এই পোষ্ট পইড়া। আমরা পুরাই তন্দুরী চিকেন হইয়া যাইতেছি। আর বৃষ্টির কোন খবর নাই।

তবে একটা সুখবর আছে, ঢাকার মতিঝিলে আফতাব রেস্টুরেন্টে তীব্র দাবদাহ উপলক্ষে উঠের মাংসের বিরিয়ানি ও কাচ্চি বিরিয়ানীর আয়োজন করা হয়েছে। দেশ আর দেশ নাই, পুরাই সৌদি হইয়া গেসে গা। B-)

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: কাল্পনিক ভাই, এই তাহলে উঠের মাংসের বিরিয়ানীর কাহিনী? ফেসবুকে দেখলাম কে যেন স্টাটাস দিয়েছে উঠের মাংসের বিরিয়ানী খয়ে এসে। তখন মনে করলাম যে হয়ত কোথাও জবাই হয়েছে। কিন্তু দেশের রেস্টুরেন্টে উঠের মাংসের বিরিয়ানী বিক্রি হচ্ছে তা শুনে মাননীয় স্পিকার হইয়া গেলাম।

হ্যা এবার কার গরমের স্হায়িত্ব কাল অনেক বেশি। আপাতত কোন সু-সংবাদ নেই জদিনা বিধাতা দয়া পরবশ হয়ে কিছু দেয়।

আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯

নবীউল করিম বলেছেন: ++++++++++++++

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

১৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৯

জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম। এত সহজ করে বুঝিয়ে লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করবার জন্য।

১৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কাজের পোষ্ট !
আমার তো ইচ্ছে করে শাওয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমাই !! বিছানা শুদ্ধা গরম :(
কাল রাতে একাই ৩ লিটার পানি খেয়ে ফেলেছি !

বৃষ্টি নামুক এই পোষ্টে !

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আসিলেন উনি আসিলেন অতঃপর আসিলেন


যথাবিহিত আমার পূর্বাভাষ অনুযায়ী শনিবার বৃষ্টি নামিয়াছে ঢাকায়।

১৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: তথ্য বহুল চমৎকার একটি পোষ্ট।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্য করবার জন্য।

১৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: এমন একটা পোষ্টের জন্য আপনাকে প্লাস । ভাল থাকুন ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ পোষ্টটি ভাল লাগার জন্য।

১৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: এই উপদেশটা

"২) সম্ভব হলে দিনে ১/২ প্যাকেট ওর স্যালাইন ও ১/২ গ্লাস গ্লুকোজ খান। " ভালোহয় নাই!!

বাকি পোষ্ট নাইস

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: কেন ভাই। উপদেশটা কি খারাপ দিয়েছি?

১৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহারে.. গরম!!!

পদ্মা মরে গেল, মেঘনা যমুনা শুকনা, তিস্তায় জল নাই! ৫৪টি নদীর একই দশা!

মরুকরণের পথে নদী মাতৃক বাংলা!

প্রকৃতির বিরুদ্ধে যাবার ফল ভারতকে ভোগ করতেই হবে। আর আমাদের খুজতে হবে বাঁচার পথ।

পোষ্ট পইরে এসিতেও গরম বেশি নাগতেছে;) আর বরফ কোলে যে ফটুক দিছেন- আহা কু বিদ্ধি মায় শিতে চাদলও গায়-- পুরাই চেতনাওয়ালাগো লাহান;) =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

এইযে আবহাওয়ার চরম ভাবপন্নতা-তাতো বাড়ছেই দেখি ফি বছর!
আর এইবারের নিম্মচাপও বোধকরি সেইরকম প্রলয় শক্তি নিয়া আসবে! লক্ষনতো তাই বলে!!!!নয় কি?

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "ভারত যেভাবে পানি সরিয়ে নিচ্ছে, তাতে ৩০ বছরের মধ্যে দেশের ৬০ ভাগ এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হবে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক পানি বিশেষজ্ঞ এস আই খান।"

আজকের দৈনিক প্রথম আলোর খবর: ‘দেশের ৬০ ভাগ এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হবে’

২০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

লোপা এসহক বলেছেন: লেবুর সরবত বেষ্ট।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনার সাথে সহমত। তবে লেবুের শরবতে দেহের হারানো লবন-পানি পুরোটা পূরন করা সম্ভব হবে না হয়ত।

২১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০১

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: যাক! অনেক্ষন পর একটা কাজের পোস্ট পাইলাম
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টা সামুতে শেয়ার করবার জন্য

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ে মন্তব্য করবার জন্য।

২২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০২

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ওহ! প্রিয়তে গেল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.