নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হে সর্বশক্তিমান বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় পাঠিয়ে ভাগ্য বিড়ম্বিত ভাসমান মানুষ গুলকে সম্মানের মৃত্যু দাও

১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:৫০



হে সর্বশক্তিমান "ধর্ম গ্রন্থে বর্ণীত আছে যুগে যুগে অসৎ কাজে লিপ্ত ও বিশৃঙ্খল বিভিন্ন জাতীকে ধ্বংস করে দিয়েছ তোমার অসীম শক্তি দিয়ে। বঙ্গোপসাগরে তো প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে। নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে সাগর পাড়ি দেওয়া চরম দারিদ্র অসহায় ও দুস্থ মানুষ; যারা গত ২ সপ্তাহ হতে অবর্ণনীয় কষ্টে ধুকে ধুকে মারা যাচ্ছে তাদের বঙ্গোপসাগরে ডুবিয়ে মৃত্যু দাও একটা ঘূর্ণিঝড় পাঠিয়ে"। ভাসমান ৮০০০ মানুষের মধ্যে যদি একজন ও খারাপ মানুষ থাকে তবে তার কৃতকর্মের জন্য নৌকা গুলো ডুবিয়ে দাও অথবা, একজন ও যদি ভাল মানুষ থাকে তবে তাকে সম্মানের মৃত্যু নিশ্চিত করো। তাদেরকে "ক্যানিবাল" হওয়া থেকে রক্ষা করো; ক্ষুধার তাড়নায় মানুষকে মানুষের মাংস খাইতে বাধ্য করিয়ো না"।



বণের রাজা ওসমান গনির মতো প্রবাসী শ্রমিকদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রায় শুয়ে মহাথির হবার স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা; কিন্তু যে প্রবাসী শ্রমিকরা এই স্বপ্ন দেখাতে সাহায্য করেন তাদের মৃত্যুর খবরও তাদের বিচলিত করে না। আজকে সংবাদ মাধ্যমে বিবিসি এর হোম পেজে ভবিষ্যৎ মাহাথিরের দেশের নাগরিকরা নিজেদের জীবন বাঁচাতে নৌকায় অবশিষ্ট খাদ্যে নিয়ে লড়াই করে ১০০ জনের প্রানহানীর সংবাদ ছাপিয়েছে।

"Migrants rescued from a sinking boat off Indonesia have told the BBC that about 100 people died after a fight broke out over the last remaining food." SE Asia migrants 'killed in fight for food' on boat



আশাকরি আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে ভবিষ্যৎ মাহাথিরের দেশের নাগরিকদের নিজেদের জীবন বাঁচাতে "ক্যানিবাল" হয়ে প্রথমে মৃত মানুষের ও পরে জীবিত মানুষের মাংস খাওয়া শুরু করেছে সেই কাহিনী স্থান পেয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।



ছবি: বিশ্বের কোন কোন দেশে প্রধানত প্রবাসী বাংলাদেশীরা থাকে।

যে দেশের GDP এর ১০% আসে জীবন বিপন্ন করে বিদেশ পাড়ি দেওয়া প্রবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে Bangladesh Expatriate Workers and their Contribution to National Development , সেই দেশেরই কিছু মানুষ অর্থনৈতিক মুক্তির সন্ধানে একই ভাবে নিজের জীবন বিপন্ন করে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করে সফল না হওয়ায় গত ২ সপ্তাহ সাগরে ভাসছে; জীবন বাঁচাতে একজন অন্যজনকে মারতেছে; হয়ত বা আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে ক্যানিবাল হয়ে একজন মানুষের মাংস অন্যজন ভক্ষন করবে।



ছবি: বিদেশে যে বাংলাদেশিরা কর্মরত তাদের যোগ্যতা কেমন?



ছবি: বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রবাসীরা যে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠায় তা কোন অন্বচল থেকে কত ভাগ আসে?

বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয় এর ওয়েবসাইটে কি লেখা আছে তা পড়ে দেখুন:

"Bangladeshi workers are mainly engaged in 143 countries of the world but about 90% of the migration takes place in the Middle East and Malaysia. ----------------------- The trend of remittance has accelerated in recent years from $2.07 billion in 2001 to $11.00 billion in 2010--------------The oil-rich Middle Eastern countries with more than 80 percent of the total stock of Bangladesh migrants accounts for a lion’s share of remittances. The Kingdom of Saudi Arabia is the most important source of remittances. Its share is about 29 percent of the aggregate remittances received in Bangladesh."

২০১৩ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রবাসীরা ১৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিল দেশে। এই ১৪ বিলিয়ন ডলারের ৩০% এসেছে শুধু সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসীদের কাছ থেকে। বাংলাদেশ ব্যাংক এর বর্তমান রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার হতে প্রবাসীদের পাঠানো ১৪ বিলিয়ন বিয়োগ করে দেৌন কয় বিলিয়ন ডলার থাকে বাংলাদেশ সরকারের হাতে।

ভাগ্য বিড়ম্বিত এই সকল দারিদ্র, অসহায় ও দুস্হ্য মানুষের জীবনের মূল্য একটা ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের মূল্যের সমান। তারা নিহত হইলে আমাদের জনদরদী রাজনৈতিক নেতারা ইস্ত্রি করা সাদা পান্জাবির বুকে কালো ব্যাচ লাগিয়ে পাজেরো গাড়িতে করে গিয়ে নিহতদের পরিবারকে ১ টা করিয়া ছাগল দিয়া তৃপ্তির ঢেকুর তুলিবেন ; পশ্চিমা দেশের ট্যাক্সের টাকায় ২৪ ঘণ্টা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে বসা মানবাধিকার কর্মীরা আমদানি করা সৌর ক্রিম (sunscreen) মেখে ব্যানার নিয়ে ঢাকার পল্টনের প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফটো-সেশন করিতে পরিবেন আগামী বছরের ফান্ড যোগাড় করিবার জন্য।

টেলিভিশনের সাংবাদিকারা আবারও সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখিয়া ব্যস্ত হইয়া পড়িবেন টিএসসি তে যৌন নির্যাতন কারীদের মুখে দাঁড়ি ছিল কি ছিল না তা উদ্ধার করিতে? দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকরা আবারও ভারতে সাংবাদিক পাঠিয়ে দীর্ঘদিন পরে জনসম্মুখে আসা কোন বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ এর জুতা কর্দমাক্ত ছিল নাকি পোলিশ ছিল? মুখে খোঁচা-খোঁচা দাঁড়ি ছিল নাকি ক্লিন শেভ ছিল? তা জানাইতে উদগ্রীব থাকিবেন। সম্পাদকের কাছে এই সকল ভাগ্য বিড়ম্বিত মানুষের কোন নিউজ ভ্যালু নাই। পত্রিকার কাটতি হইবে না এদের খবর ছাপিয়ে।

হল্‌ফ করিয়াই বলা যায়, বাংলাদেশের মানুষরা আগামী ৭ দিনের মধ্যেই সাগরে ডুবিয়া কয়েক হাজার বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনা (যদি আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করিয়া নেন) ভুলিয়া যাইবে; যেমন করিয়া ভুলিয়া গিয়েছে রানা প্লাজায় চাপা পড়িয়া নিহত প্রায় ২০০০ জন গার্মেন্টস শ্রমিকের কথা। দেশের মানুষ বা গণমাধ্যম যেন রানা প্লাজা দুর্ঘটনার দিনটা মনে করিতে না পারে তাই সরকার বাংলাদেশ-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করেন জনগণকে মাদকে আসক্ত ব্যাক্তির মতো নেশাগ্রস্ত করিয়া রাখিতে।

হে দারিদ্র জনগোষ্ঠী জন্মই তোমাদের আজন্ম পাপ। প্রথম অপরাধ গরিবের ঘরে জন্ম নিয়েছ। দ্বিতীয় পাপ অর্থনৈতিক মুক্তির সন্ধানে জীবন বিপন্ন করে সাগর পাড়ি দিয়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেছো।



গ্রীক মিথলোজিতে গল্প আছে রোম শহর যখন পুড়ছিল তখন রোম সম্রাট নিরো বাঁশি বাজাচ্ছিল। গ্রীক মিথলোজিতে বর্ণীত গল্পের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করতে পারলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের মন্ত্রী-এমপিরা প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকদের লাশের স্তূপের উপর বসে শেখ হাসিনাকে মহাথীর হবার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন মাহাথিরের পথেই হাসিনা: নাসিম তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার কোন উপায় নাই।

মঙ্গোল সম্রাট চেঙ্গিস খান ও হালাকু খান সারা এশিয়া দখল করে; বাগদাদ নগরীর শিল্প সাহিত্য স্থাপত্য ধ্বংস করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে নিজের বীরত্বের পরিচয় দিলেও মানব সভ্যতার ইতিহাসে একজন ঘৃণিত ব্যক্তি হিসাবেই পরিচিত। অসহায় দুস্থ মানুষের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত শক্তি, সম্পদ, নাম কোনদিনও কাউকে মানসিক শান্তি দিতে পারে না।

হে সর্বশক্তিমান আবারও প্রার্থনা করে বলি "বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় দিয়ে ভাসমান মানুষ গুলোকে গৌরবের মৃত্যু দাও; তাদেরকে "ক্যানিবাল" হওয়া থেকে রক্ষা করো; মানুষের মাংস মানুষকে খাইতে বাধ্য করিয়ো না"

অবৈধ ভাবে বিদেশে যাওয়া শ্রমিকদের পাঠানো রেমিটেন্সের যেমন মূল্য আছে সরকারের কাছে তেমনি তাদের জীবনের মূল্য দেওয়া উচিত। প্রবাদে আছে "পেটে খেলে পিঠে সয়"। তাই অবৈধ ভাবে বিদেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়ে সফল না হওয়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়া আনার ব্যবস্হা করাটা সরকারের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।

মন্তব্য ৯৬ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৯৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:০১

মিনি বেগম বলেছেন: ভেরী মোস্ট ইমপডেন্ট কথাগুলো ভাই বলে ফেলেছেন । সত্য কথা গুলোর জন্য আপনাকে সেলুট ।

১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:২১

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন। দুনিয়াতে সবচাইতে নিকৃস্ট অদক্ষ মহা দুর্ণীতিবাজ অভদ্র মিথ্যাবাদি নেতামন্ত্রীআমলার দেশ বাং...।

১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "দুনিয়াতে সবচাইতে নিকৃস্ট অদক্ষ মহা দুর্ণীতিবাজ অভদ্র মিথ্যাবাদি নেতামন্ত্রীআমলার দেশ বাং..."

কোন সন্দেহ নাই।

৩| ১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:২৩

রাফা বলেছেন: আমি বিদেশ যেতে চাই.......অবৈধ পথে।কারন বিনা পয়সায় যাওয়া যায় অথবা কিন্চিত পরিমান টাকাের বিনিময়ে।সব সরকারের দোষ।আমি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বিদেশে গিয়ে ঝাড়ুদার হতে চাই অবৈধ পথে -সব সরকারের দোষ।
দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পুর্ণ-অথচ আমি না খেয়ে মরে গিয়েও বিদেশে যেতে চাই-সব সরকারের দোষ।

১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: এত দিনে বুঝতে পারলাম আমেরিকা সরকার কেন গান্জা বৈধ করতেছে সে দেশে। আজকে কয় কল্কি মেরে মন্তব্য করেছেন?

নিচের কথা গুলো দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদকীয়তে লিখা হয়েছে ২৯ শে মার্চ ২০১৫ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি তথ্য দেখে

"গত বছরের জুলাই থেকে এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যে চাল আমদানি হয়েছে, তার ৯১ শতাংশ হয়েছে সরকারী পর্যায়ে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আড়াই হাজার কোটি টাকার চাল আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারী পর্যায়ে আমদানি হয়েছে মাত্র ২৩৯ কোটি টাকার চাল। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ৯ লাখ ২৬ হাজার টন চাল আমদানি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চালের আমদানি আরও বেড়েছে। গতকাল ইনকিলাবে প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৭ মার্চ পর্যন্ত চাল আমদানি হয়েছে ১১ লাখ ৯ হাজার টন। আর আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে ১৩ লাখ ৩৪ হাজার টন। অব্যাহতভাবে এ রকম চাল আমদানির কারণ সরকারের তরফে ব্যাখ্যা করা হয়নি। দেশ যদি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণই হয়, তাহলে এত চাল আমদানি কেন? -

এই আগ্রাসী আমদানি বন্ধ করতে হবে

আমেরিকায় যে বাংলাদেশিরা বসবাস করে তার বড় একটা অংশ এসেছে অবৈধ ভাবে।

আপনার নেত্রীকে ঘোষনা দিতে বলেন অবৈধ ভাবে যারা বিদেশে গেছে তারা যে টাকা দেশে পাঠায় শুধু সেই টাকাটা অবৈধ চ্যানেলে দেশে পাঠানোর জন্য। অথবা ঘোষনা দিতে বলেন তারা যেন মাত্র ৩ মাস দেশে টাকা না পাঠায়; ঐ টাকা নিজেদের কাছে রাখে।

১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: গান্জার নেশা যদি কমে যায় তবে ৭ ই জুন ২০১৪ সালে দৈনিক প্রথম আলোর রিপোর্ট আবার চাল আমদানি করছে বাংলাদেশ! পড়ে দেখবেন।


"আবারও চাল আমদািন শুরু করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। সরকার খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের দাবি করলেও চলতি অর্থবছরে পৌনে চার লাখ টন চাল আমদানি করা হয়েছে৷ আরও আট লাখ ৩৫ হাজার টন চাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয়েছে৷" ৭ ই জুন ২০১৪ সালে দৈনিক প্রথম আলো

৪| ১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

রাফা বলেছেন: গান্জা কি আমি খেয়েছি না আপনি খেয়েছেন!আমি কি বলছি যে আমরা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পুর্ণতা অর্জন করেছি।খাদ্য ঘাটতি পুরনের জন্য যদি আমদানি করার সক্ষমতা থাকে সেটাকে কি অক্ষমতার লেবেল দিবো নাকি?

আপনিও মনে হয় অবৈধ পথেই কানাডা গিয়েছেন।তাই উৎসাহ দিচ্ছেন সেই পথ অবলম্বনের।বাংলাদেশে আমেরিকা থেকে অন্তত অবৈধ পথে টাকা পাঠানোর রাস্তা নেই।আর টাকা না পাঠালে কি হবে আপনার লজিকটা কি?অবৈধ পথে এসে অবৈধ কাজে লিপ্ত হয়ে পুরো দেশের মানুষের ক্ষতি করছে।এই জন্যই সৃষ্টি হয় নাফিজদের মত অনিষ্টকারিরা।উপকারেতো আসেইনা ুল্টো বৈধদের ১২টা বাঝিয়ে ছাড়ে।

১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৩০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: এই একটা সমস্যা গান্জাখোরদের সাথে আলোচনায়। কল্কিতে টান দিলে এদের হুস থাকে না কোনটা মা আর কোন টা শালি। এরা গান্জার নেশায় মাকে বলে শলি আর শ্যালিকাকে বলে মা।

নাফিস কি অবৈধ ভাবে আমেরিকায় গিয়েছিল? না সে শিক্ষা ভিসা নিয়েই আমেরিকা গিয়েছিল। বুঝতে পেরেছি আজকে রবিবার এক পেগ বেশি খয়েছেন। না হলে নাফিস আসবে কেন এই আলোচনায়।

উপরে পোষ্টের ভিতর যে ৩ টা চার্ট দিয়েছি প্রবাসী আয়ের সেই গুলো কি চোখে পড়েছে নাকি গান্জার নেশায় বুদ হয়ে বাংলা সিনেমায় প্রায়ত গোলাম মোস্তফার মতো গাওয়া শুরু করেছেন "একটানে সাধু; ২ টানে সন্যাসী ৩ টানে দেখ তোমরা ভগবানের হাঁসি"

গান্জার নেশা কমে গেলে পোষ্টে সংযুক্ত চিত্র ৩ টা দেখবেন। সেই সাথে মন্তব্যের চিত্রটাও।



বাংলাদেশের অর্থনিতীতে প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানোর গুরুত্ব কত টুকু তার উপরে সরকারী একটা রিপোর্টের লিন্ক দেওয়া হয়েছে। গান্জার নেশা কমে গেলে এটাও পড়ে দেখবেন।

"আপনিও মনে হয় অবৈধ পথেই কানাডা গিয়েছেন।"

উপরের মন্তব্য পড়ে বহুল প্রচলিত একটা গল্প মনে পড়ে গেল "ভোর বেলা নামাজ পড়তে যাওয়া ইমানদার ব্যক্তি ও চুরি করে বাসায় ফেরা চোরের দেখা হয়ে যায়। চোরে মনে-মনে বলে হুজুরেও আমার মতো চুরি করে বাসায় ফিরতেছে আর হজুর মনে করে অপর ব্যক্তিও নামাজের জন্য বের হয়েছে।"

৫| ১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৪

নয়া দাদা বলেছেন: রাফা হইলো মার্কামারা আওয়ামী হাম্বা , কোন লজিক তার ব্রেনে কাজ করবে না, পোষ্টদাতা যেন তাকে বুজানোর বৃথা চেষ্টা না করেন |

১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আমি তাকে বুঝাতে চেষ্টা করতেছি তথ্য প্রমান দিয়েই। কিন্তু উনি সরা রাত রামায়ন পড়ে সকাল বেলা বলেন রামের মায়ের নাম সীতা।

৬| ১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৭

নয়া দাদা বলেছেন: হাসিনার ৫ % ভোটের সরকার দেশে উন্নয়নের জোয়ার এনেছেন, সেই জোয়ারে কয়েক কোটি লোক সাগরে ভেসে যেতেই পারে, ডাংগায় থাকবে শুধু আমলিগ আর তার দালালরা|

৭| ১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:২৪

আজকের বাকের ভাই বলেছেন: ভাই, রাফা।
সরকারের উচিত জনগনকে বোঝানো। সুখে থাকলে কয়জন এমন পাগলামি করে বলুন, এতো কষ্ট সবইতো নিজের পরিবারকে দুবেলা শান্তিতে রাখার জন্য।

১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। কারে কি বুঝান ভাই। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অংকের অধ্যাপক বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানি স্টিফেন হকিং ও যদি বুঝায় তার পরেও উনি বলবেন ২ যোগ ২ = ৫

৮| ১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

কানাই স্যার বলেছেন: কথা সত্যি সরকারের চাল কেনার সামর্থ্য আছে তাই কিনছে। দেশের মানুষ খুব সুখেই আছে। চিন্তার কোন কারণ নাই। বিম্পির পেট্রোল বোমার আগুন সন্ত্রাসীর চেলা চামুন্ডারা বিদেশ থাইকা খালি ফাল পারে। ওরা থাকুক লাফালাফিতেই। হিংসুটে লেখক।

১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: এতক্ষনে একজন মনের মানুষ পাইলাম। ভাইডি আপনারে দেইখা অনন্ত জলিল ভাইয় ও বর্ষা ভাবির "এত দিন কোথায় ছিলে" গানের কথা মনে পইড়া গেল =p~

৯| ১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:০২

রাফা বলেছেন: নাফিস আসে সেভাবে -যেভাবে অবৈধ পথে প্রবাসিদের পোষ্টে সালাউদ্দিন আসে।আরে ঐটাতো ১টা উদাহারন দিলাম..বৈধ পথে এসেই এই অবস্থা আর অবৈধ পথে গিয়ে কাজ না পেয়ে কি করে সেটাতো নিজের চোখেই দেখি।
সরকার কি বলছে যে অবৈধ পথে হলেও বিদেশে গিয়ে টাকা পাঠাও?
প্রবাসিরা জিডিপি-তে অবদান রাখছে বলে কি সরকার অবৈধ পথে বিদেশ যাওয়াকে উৎসাহিত করছে নাকি কোথাও।

@আজকের বাকের ভাই-অবশ্যই সরকারের দায়িত্ব আছে এখানে মানুষকে সচেতন করার।তার মানে এই না আমরা যা করবো সব কিছুতেই সরকার দায়ি।

১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনি যেই দেশে বসে মন্তব্য করতেছেন সেই দেশের ৩৫ কোটি মানুষের মধ্যে ২ কোটি অবৈধ। এই ২ কোটি মানুষকে চাইলেই বের করে দেওয়া সম্ভব না। কারণ এই মানুষদের উপর আমেরিকার অর্থনিতী নির্ভর করে। নিম্ন আয়ের সকল কাজ এই শ্রেনীর মানুষের উপর নির্ভরশীল।

উন্নত বিশ্বের প্রত্যেকটা দেশের অর্থনিতী অনেক অংশে নির্ভর করে অবৈধ ইমিগ্রান্টদের উপর। আজকে ১০০ জন সাদা চামড়ার উচ্চ আয়ের মানুষকে জিজ্ঞাসা করেন ৫ ডালরে ১ পাউন্ড টমেটো কিনবে কি না যদি আমেরিকা হতে সকল অবৈধ কৃষি শ্রমিকদের বের করে দেওয়া হয় আগামীকাল।

১ ডালের মদের বোতল ২ ডলারে কিনবে কি না যদি ওয়াইন ফার্ম থেকে সকল অবৈধ কৃষি শ্রমিকদের বের করে দেওয়া হয় আগামীকাল?

মধ্যপ্রাচ্যের সকল দেশ বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছে বৈধ ভাবে। সরকার যদি অবৈধ ভাবে বিদেশ যাওয়া দেখে চোখ বন্ধ করে না রাখে তবে আগামী ১ বছর পরে সরকারী কর্মচারিদের বেতন বৃদ্ধি না কমানোর ঘোষনা দিতে বাধ্য হবে।

আপনি বলেন দেশ স্বয়ং সম্পূর্ন বিদেশে যাওয়ার দরকার নাই; কিন্তু সকল সমালোচনা সত্তেই জেনে শুনে আপনার নেত্রী সরকারী উদ্দোগে সৌদি আরবে মহিলা শ্রমিকের নামে যৌন দাসি সরবরাহের চুক্তি করে সৌদি শেখ দের খুশি রাখতে। কেমনে কি? আপনার কথার সাথে তো আপনার নেত্রীর কথার মিল পাই না।

সংবাদ পত্রে সৌদি আরবে মহিলা শ্রমিকদের যৌন নির্যাতনের সংবাদ প্রকাশ হলে রাজাকারের পোলা বেয়াই মোশারফ ঘোষনা দেন শাস্তি মূলক ব্যবস্হা নেওয়া হবে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে।








১০| ১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

মাসূদ রানা বলেছেন: তার মানে এই না আমরা যা করবো সব কিছুতেই সরকার দায়ি।

যা খুশি তাই করা আর সরকারের চোখের সামনে দিয়ে রাষ্ট্রের নাগরিকের অবৈধভাবে দেশত্যাগ করা এক ব্যপার নয় ।

১১| ১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

মাসূদ রানা বলেছেন: লেখককে ধন্যবাদ ব্যপারটি নিয়ে পোস্ট লেখার জন্য :)

১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

১২| ১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

অেসন বলেছেন: অবৈধপথে বিদেশ যাত্রা মনে হয় এই সরকারের সময় হয়েছে। আগে কি কখনও যায় নাই?
সরকার কি অবৈধপথে বিদেশ যাত্রায় কাউকে উৎসাহিত করে ? দেশের বৈদেশিক মুদ্রা প্রয়োজন।
তাই বলে দেশের সন্মান হানি ঘটিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা কোন রাষ্ট্রের কাম্য হতে পারে না। এরা খাদ্যের
অভাবে জীবিকার প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়ছে- এটা বিশ্বাসযোগ্য না। বরং কিছু লোভী মানুষ
স্বার্থন্বেষী দালালের খপ্পরে পড়ে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। আর আপনারা রাজনীতির সুযোগ খুঁজেন।

১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আবারও বলি মধ্য প্রাচ্যের সকল দেশ বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছে বৈধ ভাবে। সরকার যদি অবৈধ ভাবে বিদেশ যাওয়া দেখে চোখ বন্ধ করে না রাখে তবে আগামী ১ বছর পরে সরকারী কর্মচারিদের বেতন বৃদ্ধি না কমানোর ঘোষনা দিতে বাধ্য হবে বলে আমি মনে করি।

বাংলাদেশের বৈদেশকি মুদ্রা অর্জনের ২য় বৃহত্তম খাত হলো প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিটেন্স। বাংলাদেশের জিডিপির ১০ % আসে প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিটেন্স হতে।

দেশের উন্নয়ন বাজেট বৃদ্ধি করতে হয় প্রতি বছর। অর্থাৎ গত বছর রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধ থাকলে আগামী বছর ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা করতে হবে। এই ৫০০ কোটি টাকার ৩০০ কোটি আসবে গার্মেন্ট সেক্টর থেকে আর ২০০ কোটি টাকা আসবে প্রবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে। সরকার হিসাব করে নতুন করে কয়েক লাখ মানুষ বিদেশে যাবে। সরকারও জানে মধ্যপ্রাচ্যে বা মালএশিয়াতে বৈধ ভাবে শ্রমিক যাতায়ত বন্ধ। তার পরেও সরকার ঐ ২০০ কোটি টাকার হিসাব করেই বাজেট দেয়। সরকার ঐ ২০০ কোটি টাকার হিসাব করেই কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করে।

সরকার খুব ভাল করেই জানে কোন দেশে অবৈধ ভাবে কত শ্রমিক যাইতেছে। বাংলাদেশের মতো ৩য় বিশ্বের দেশ গুলোর সরকার চোখ বন্ধ করে থাকে সব কিছু জানার পরেও।

"ভাত দে হারামজাদা নইলে তোর মানচিত্র খাব" কবি সুকান্ত ভট্রাচার্যের ঐ কবিতার কথা মনে আছে?

পেটে ভাত না থাকলে সরকারি আইন সেই ভাতের ব্যবস্হা করে দিবে না।

এই পোষ্টের সারমর্ম হলো অবৈধ ভাবে বিদেশে যাওয়া শ্রমিকদের পাঠানো রেমিটেন্সের যেমন মূল্য আছে সরকারের কাছে তেমনী তাদের জীবনের মূল্য দেওয়া উচিত।

প্রবাদে আছে পেটে খেলে পিঠে সয়। অবৈধ ভাবে বিদেশে পাড়ি দিয়ে সফল না হওয়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়া আনার ব্যবস্হা করাটা সরকারের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।



১৩| ১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

ইলা বলেছেন: হে আল্লাহ, উত্তম ফায়সালা দা্ও!

১৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

১৪| ১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: ভাইসাব.........আপ্নে হাসিনার দেখতে পারেন আর না পারেন.......বিদেশে থাকলে পরিবারের জন্য আপ্নাকে টাকা পাঠাতেই হবে......। প্রবাসীরা কেউ সরকারে হেল্প করার জন্য রেমিন্টেন্স বাড়ায়না......সবাই টাকা পাঠায় তার পরিবারের জন্য। এটা আপ্নি আমি য্যামনে জানি.....সরকারও ভালোভাবে জানে। আসল কাজ হলে রেমিটেন্স......সেটা বৈধদের কাছ থেকে আসতাছে নাকি মধ্যপ্রচ্যের যৌনদাসীদের কাছ থেকে আসতাছে তা দেখার কাজ সরকারের না।
এতো হাজারো লোক নৌকায় করে বর্ডার ক্রস করতাছে........মনে করছেন কি সরকারের কাছে সেই খবর নেই, অব্যশ্যই আছে........যতো লোক কমবে, সরকারের দায়ও ততো কমবে।
সেদিন নিউইয়কর্ে সদ্য আসা এক দোস্তর জমি কেনার কাহিনী শুনলাম......ও ২০০৪ সালে নিতান্ত অনিচ্ছায় আর এক বিপদগ্রস্ত বিক্রেতাকে বাঁচাতে ওনার ৮৫ শতাংশ জমি কেনে সাড়ে তিনলাখ টাকায়.......। বিক্রেতা ভদ্রলোক টাকার অভাবে সৌদির ভিসাটা প্রায় মিসই করে ফেলেছিলো.........ওর বদন্যতায় উনি ওনার জমি বিক্রি করে সৌদি পাড়ি দিতে পেরেছিলেন.......। আজ আমার দোস্ত শুধু ওই জমির বদৌলতেই কোটিপতি.....ওই জমির প্রতি শতাংশের দাম এখন ৩-৪ লাখ টাকা :-B । আমার খুব জানতে ইচ্ছে হয়.....সৌদি প্রবাসী লোকটা এদ্দিনে কতো টাকার মালিক হতে পেরেছে.......

দেশের লোকদের বিদেশপ্রীতি যদ্দিন না কমবে.......তদ্দিন এভাবেই ঠকে ঠকে মরবে.....(আমারে আবার জিগাইয়েননা.....আপ্নি তাইলে গ্যাছেন ক্যান......সবই উপরআল্লাহর ইচ্ছা :|| )

১৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: মেহদী ভাই আমি যদি হাসিনারে পছন্দ করি তবে কি পোষ্টে লিখা কথা গুলো মিথ্যা হয়ে যাবে? আপনাকে একটা প্রশ্ন করি? পুলিশ বা সেনাবাহিনীতে যে চাকুরি করে সে তো দেশের সেবার করার জন্যই ঐ চাকুরিতে যোগ দিয়েছে তাই নয় কি? তাহলে তারা বেতন নেন কেন? শিক্ষকরা তো শিক্ষা দানের মতো মহান পেশায় যোগ দিয়েছেন? তাহলে বেতন নেন কেন সরকারের কাছে? কৃষকের উৎপাদিত পন্য বিক্রির টাকা নিশ্চয় সরকার পান না; তাহলে প্রতিবছর সরকার কৃষকের সার ও জ্বালানির জন্য ভুর্তুকী দেন কেন?

শুনেন বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকার জমির দাম যদি প্রতি শতাংশে ৩-৪ লাখ টাকা হইতো; আর সবাই যদি আপনার বন্ধুর মতো সাড়ে ৩ লাখ টাকায় জমি কিনে ১০ বছরের মধ্যে কোটিপতি হতো তবে অন্যদের কথা জানিনা আমার বাপের যে জমি আছে তা বিক্রি করে হলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মতো ক্যারিবিয়ান এলাকায় একটা দ্বীপ কিনতে পারত; স্টিভস জবসের মতো একটা ব্যক্তিগত প্রোমোদ তরী থাকত; আর সৌদি প্রিন্সদের মতো সোনায় মুড়ানো বিমান।






১৫| ১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩

অেসন বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যের বাংলাদেশের শ্রমিক না নিলেও অবৈধভাবে যাওয়া শ্রমিকের অর্থের উপর বাংলাদেশকে
নির্ভর করতে হবে না। সরকারী কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধিও থেমে থাকবে না। সৌদী আরব লোক
না নিলে দেশে দূর্ভিক্ষের আশংকাও করেছিলেন। গত সাত বছরে মঙ্গার খবর কোনদিন দেখেছেন ?
বিশ্বব্যাংকের সাহায্য ছাড়াও পদ্মাসেতু হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন মালয়েশিয়া না হলেও তলাবিহীন ঝুড়িও
না। সুতরাং "ভাত দে হারামজাদা নইলে তোর মানচিত্র খাব" মনে রাখার প্রয়োজন নেই।
দেশের দরিদ্র মানুষগুলোর কথা বলে দেখেন, দুবেলা শুধু ভাত অন্তত তাদের জোটে।
কারও উপর করুনাপ্রার্থী না হয়ে আশাবাদী হোন।

১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:২৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: না ভাই, বাংলাদেশে কোন দারিদ্র মানুষ নাই; সবাই ৩ বেলা পেট পুরে খেতে পারে; ঢাকা শহরে কোন বস্তি নাই; কেউ রিক্সা চালায় না; কমলাপুর স্টেশনে কোন টোকাই কাগজ কুড়ায় না; সরকার বিশ্বব্যাংক, আইডিবি, আইএমএফ, জাইকা, সিডা, ইউএসএইড এর কাছে কোন ঋন নেয় না; সরকার কোন যৌন দাসি সরবরাহের চুক্তি করে নাই সৌদি আবর সরকারের সাথে।

আপনার ব্লগ ঘুরে যা দেখতে পেলাম সেটা এক কথায় ভয়ংকর।

আমার পরিসংখ্যান
পোস্ট করেছি: ০টি
মন্তব্য করেছি: ৪০১টি
মন্তব্য পেয়েছি: ০টি
ব্লগ লিখেছি: ৩ বছর ৩ মাস
অনুসরণ করছি: ২ জন
অনুসরণ করছে: ১ জন

ব্লগীয় ভাষায় আপনার মতো একাউন্ট গুলোকে ছাইয়া বলে। ছাইয়াদের সাথে আমি কোন আলোচনা করি না। ছাইয়া একাউন্ট খুলা হয় একটা নির্দিষ্ট লক্ষ নিয়ে। অনেক ল্যাদাইছেন; এবার ল্যাদানো বন্ধ করেন।



১৯ শে মে, ২০১৫ ভোর ৪:৫৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আজকের দৈনিক প্রথম আলোর সংবাদ "হুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি এখন পর্যন্ত ১৮ শতাংশ। এরই মধ্যে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে প্রায় ৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকা"


আশা করি এই বর্ধিত ৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকা মন্ত্রি-এমপিরা তাদের বাপ দাদার জমি বিক্রি করে পরিশোধ করে দেশের মানুষকে ঋনের বোঝা থেকে মুক্ত করিবেন।

১৬| ১৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার বলেছেন: সবাই মুল টপিক থেকে সরে গেছে। সমুদ্রে থাকা মানুষগুলো এখন ইস্যু না,ইস্যু হল তাহারা অবৈধ পথে বিদেশ যাচ্ছে কেন্তাহাদের কোন মানবাধিকার থাকিতে নাই সব মানবাধিকার অই বাম আর সেক্যুলারদের

১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:২৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: একটা বাংলা প্রবাদ আছে "চোরে মন পুলিশ পুলিশ"। পোষ্টের প্রসঙ্গ যদি অন্য দিকে না সরানো হয় তবে মানুষ সত্যটা জানবে; আর সত্য জানলেই সমস্যা।

১৭| ১৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬

পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: লেখককে ধন্যবাদ। আল্লাহ এই লোকগুলিকে হেফাজত করুন! উপরের কিছু মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে দেশ অলরেডী মালোয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর হয়ে গেছে! এখন সামনে আমেরিকা হওয়া বাকী! খোঁজ নিলে দেখা যাবে এদের মধ্যে অনেককেই ভুলিয়ে, অনেক টাকা বেতনের লোভ দেখিয়ে সরকারের খুব কাছের লোকজন লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এদের ট্রলারে তুলে দিয়েছে। এই দালালদের কেশাগ্রও কেউ স্পর্শ করছে না! যত দোষ নন্দ ঘোষ!
আচ্ছা এরকম নির্লজ্জ মন্তব্য করতে কি এদের একবারও বিবেকের কছে জবাবদিহী করতে হয় না!

১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:২৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: দালালদের ক্রস ফায়ার দেওয়া হচ্ছে যাতে করে গডফাদারদের নাম ও পরিচয় ফাঁস না হয়।

১৮| ১৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: দু:খ জনক হলেও আপনার কথা মত আমীন না বলে পারলাম না।

১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৩১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ছোট বেলায় স্কুল জীবনে ভাবসম্প্রসারন পড়েছিলাম "অসম্মান অপেক্ষা মৃত্যু শ্রেয়"।


তাই এই মানুষগুলোর সম্মান জনক মৃত্যুই চেয়েছি সর্বশক্তিমানের কাছে।

১৯| ১৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

বিদগ্ধ বলেছেন: অপ্রিয় সত্য কথন। যাদের আয়ে এত নির্ভরশীলতা, তাদের প্রতি কোন সরকারই তত দায়িত্বশীলতা দেখাতে পারে নি।

১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: প্রবাসী শ্রমিকরা হলো গাধা শ্রেনীর প্রানী। মনিবের জন্য ভাড় বহন করাই তাদের কাজ। যাদের জন্মই হয়েছে রেমিটেন্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের রাজনিতীবিদদের টেলিফোন বিল; ঢাকায় বাড়ি; সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালে চিকিৎসা নিশ্চিত করা।

২০| ১৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

মিন্টুর নগর সংবাদ বলেছেন: ইয়া আল্লাহুমাবুদ আর কত লাশ দেখলে তুমি খুশি হবে ।
সাগরের মাঝে শত শত মানুষ না খেয়ে প্রাণ হারাচ্ছে ।
আর তুমি ওখানে বসে লাটাই সূতা নিয়ে ঘুড়ি উড়াচ্ছো ।
পৃথিবীর সব কিছুই যদি তোমার হয়,তুমি যদি সব কিছুর মালিক হও,
তুমি যদি সত্য দয়াশীল হও,তুমি যদি মানব জাতিকে সত্যয় সৃষ্টির সেরা ও শ্রেষ্ঠ জীবের খেতাব দিয়ে থাকো,তোমার বন্ধু তোমার প্রেমে পাগল যে রাসুল যে নবীর জন্য এই সারা পৃথিবী তৈরি করছো,যারে না বানাইলে এই পৃথিবী তুমি তৈরি করতে না । আল্লাহ তোমার সেই দোস্তের দোহায় লাগে আমাগো দেশের
আমাগো মত গরীব অসহায় সাধারন মানুষ গুলোর ওপরে তোমার একটু রহমত ফেল । আল্লাহ তুমিতো অন্তর জানি তুমিতো সব বুঝ জানো,তাহলে তুমিতো এইও জানো এদেশের সরকার মন্ত্রী নেতারা কখনো আমাদের পাশে এসে দাড়ায়নি আর দাড়াবেও না । তুমি সারা আমাগো কেইবা আছে বল ।
না হলে আল্লাহ সরকারের মাথায় একটু সু বুদ্ধি দেও যাতে করে কয়েকটি হেলিকাপ্তার নিয়ে গিয়ে বঙ্গপোসাগরে আটকা থাকা মানুষ গুলকে ভালভাবে ফিরিয়ে আনে ।
তাদেরকে ভালো ভাবে উদ্ধার করতে সকলকে সু বুদ্ধি দান কর এবং সকলকে সহযোগীতা কর ।
ইয়া আল্লাহু এত গুলা মানুষের ভেতরে যদি একজন নেকওআলা মানুষ থাকে তার উছিলায় তুমি সবাইকে হেফাজত কর । আমিন ।

১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আল্লাহ সর্বশক্তিমান উনি বান্দাদের জন্য যা ভাল তাই করবেন এই প্রার্থনা করি।

২১| ১৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩

আলী আকবার লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ এই মূল্যবান লেখাটির জন্য।

১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আলী ভাই।

২২| ১৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


রোহিংগারা মগের মুল্লুকে থাকতো, মগেরা ওদের মেরে ফেলছে এখন।
রোহিংগাদের দরকার এ সমস্যার সমাধান করার, ওরা সেটা না করে ভুল পথে এগুচ্ছে বারবার।

১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: অপ্রিয় হলেও সত্য রোহিংগাদের পূর্ব পুরুষরা বাংলাদেশ থেকেই বার্মাতে যায়। শত বছর ধরে সেখানে বসবাস করে আসতেছে; কিন্তু সমস্যা হলো বার্মার সেনা শাসক ক্ষমতায় টিকে থাকতে বুদ্ধ সম্রদায়ের সন্ত্রাসী ভিক্ষু দের সকল সন্ত্রাসি কর্মকান্ড মুখ বুঝে সয়ে যাচ্ছেন।

আমার পোষ্টের লক্ষ রোহিংগাদের বাংলাদেশে ফেরানো; সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করা নিজ দেশের নাগরিকদের দেশে ফেরত আনার ব্যবস্হা করা।

২৩| ১৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭

মোঃ_হাসান_আরিফ বলেছেন: Click This Link
তখন আর সমস্যা থাকবে না

১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার পোষ্টের কথা গুলো বইয়ের কথা; গবেষকদের কথা; অর্থনিতীবিদরা যা বলেন সরকার তার বেশি ভাগই অনুসরন করেন না। যদি অনুসরন করত তবে আর জীবনের রিস্ক নিয়ে সাগড় পারি দিয়ে মালএশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করতো না।

২৪| ১৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ, কেউ তো এদের জন্য কিছু চাইলো .

১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:২৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপু এই ভাবে ধুকে ধুকে মরার চেয়ে ঘূর্নিঝড়ে নৌকা ডুবি হয় মরা অনেক সম্মান কর। মৃত্যু যখন নিশ্চিত তখন তা যত কম কষ্টকর হয় সেটার জন্য প্রার্থনা করাই উপযুক্ত মনে করি আমি।

২৫| ১৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আর এই বাস্তবতা সরকারের ব্যার্থতার এক ভয়াবহ চিত্র!

অনির্বাচিত স্বৈরাচারিতায় বিষফল! সারা বিশ্বের বৈধ মানব শক্তি রফাতানি আজ দীর্ঘ আওয়ামী সময় ধরে বন্ধ বলেই নিরুপায় মানুষ দালাল মানাব পাচারকারীদের মিথ্যা আশ্বাসে নিজের গ্যাটের টাকা খরচ করে আজ মৃত্যুর মূখে!
সৌদি সহ সারা বিশ্বের সাথে অহংকারী মনোবৃত্তিতে স্বৈরাচারিতার কারণে মানব সম্পদ রফাতানি বন্ধ প্রায়! যা কিছূ মিডিয়া ষ্টান্টবাজি হয় তাও সপ্তাহ না ফুরাতেই মিথ্যা বা অতিরঞ্জিত বলে প্রমাণ হয়!
কিন্তু মানুষের কর্মমূখিতা বাঁচে থাকার লড়াইতো আর মিথ্যা বিবৃতিবাজি, চাপাবাজি দিয়ে পূরণ হবার নয়।

এই হাজার হাজার সাগরভাসা মানুষদের এই পথে যাবার তাদের কর্মসংস্থান , তাদের বৈধ ভাবে বিদেশ যাবার সুযোগ করতে না পারার দায় নিয়ে অবৈধ সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।

১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৩১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: সরকার যখন জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয় না; কিংবা ৫ বছর পরে জনগনের ম্যান্ডেটের সম্পূখিন হতে হবে না তা নিশ্চিত হয় তখন জনগনের কল্যানের কথা চিন্তা করে না; চিন্তা করার দরকারও হয় না। ১৬ কোটি মানুষকে খুশি করে ক্ষমতায় আসার পরিবর্তে ১৬ জন মানুষকে খুশি করে ১৬ কোটি মানুষকে শোষন করা অনেক সহজ কাজ।

২৬| ১৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: মানুষের এই ডেস্পারেশন নিকট ভবিষ্যতে আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে আল্লাহ জানে। !

১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভাই, দারিদ্র মানুষরা তাদের জায়গায় থকবে, কারণ তাদের যাওয়ার কোন জায়গা নাই। সরকার দরবেশ বাবার ৫ হাজার কোটি টাকার সাথে কৃষক গনি মিয়ার ৫ হাজার টাকা যোগ করে ২ দিয়া ভাগ করে আমাদের শোনাবেন দরবেশ বাবা ও গনি মিয়ার মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৫০০ কোটি আড়াই হাজার টাকা।

@রাফার মতো মানুষরা সেটা ব্লগে-ব্লগে ফেরি করে বেড়াবেন বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৫০০ কোটি আড়াই হাজার টাকা যেখানে আমেরিকার মানুষের মাথাপিছু আয় মাত্র ৪০ লাখ টাকা। বাংলাদেশের মানুষরা আমেরিকার মানুষের চেয়ে অনেক বড়লোক।

২৭| ১৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

হেলাল উদ্দীন বলেছেন: ভাই আপনার লেখাটি পড়ে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি , তাদের জন্য আমার মত সাধারণ মানুষ কিবা করতে পারব , শুধু পারব আপনার মত কিছু সত্যবাদী লেখকের লেখা পড়ে চুখের জল ফেলতে ।_________________________________________________________
এই দৃশ্যমান মানুষদের আমরা ভালবাসতে পারিনা ,, অদৃশ্য সস্টাকে কি করে ভালবাসব ।

১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভাসমান মানুষ গুলোর দূর্দশা অনুধাবন করতে পারার জন্য।

২৮| ১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:২২

চাঁনপুইরা বলেছেন: উপরের কিছু মন্তব্য দেখে বেশ হতাশ হলাম এই কারনে যে -সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় যে কোন 'কমন সমস্যা' নিয়ে আলোচনা করতে গেলেই সবার মধ্যে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়ে যায় - এটা কি আমার সমর্থনকারী দলের পক্ষে গেল না বিপক্ষে। সার্বজনীন সমস্যা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত চিন্তা ভাবনা যে কত ভয়ংকর এবং আমাদের কোথায় নিয়ে পৌঁছাবে আল্লাই জানে।

"লেখক কে অবশ্যই ধন্যবাদ , একটি বারনিং ইস্যু কে এই পোস্টের মাধ্যমে সুন্দর ভাবে উপস্থাপনের জন্য।"
"রাফা কে বলছি- ঠিক এইরকম একটা পোস্ট আপনারও হতে পারত, যদি 'এরা' ক্ষমতায় না থেকে 'ওরা' থাকত"।

আমারা ভাই 'মুক্ষু সুক্ষু' মানুষ - সোজা হিসাবে বুজি হাজারের অধিক আমার দেশের অভাগা ভাই এই মুহূর্তে সাগরে ভাসছে, সমুদ্র বিহারের উদ্দেশ্যে নয়, এবং দেশের তথাকতিত উন্নয়নের ঠেলায় ও নয়। যারা এই মুহূর্তে ক্ষমতায় তারা নিশ্চয়ই গতকাল বা গতমাসে ক্ষমতাসীন হয় নাই, ক্ষমতায় আছে তারা অন্তত ৬/৭ বৎসরের অধিক। অতএব স্বীকার করতে না চাইলেও এই ইস্যুতে দায় তাদের ই সবচেয়ে বেশী।

১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ব্লগে হাতে গোনা কয়েকটা নির্লজ্জ মানুষ আছে; এরা হলো চিহ্নিত চশমখোর। এর চক্ষু লজ্জা বলে কিছু নাই। এরা ব্লগে আসে মাথা বন্ধক রেখে। এরা শুধু সেই সকল ব্লগে মন্তব্য করে যে ব্লগ গুলোতে সরকারের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা, ব্যর্থতা কিংবা দায়িত্ব হীনতার কথা বলা হয়। এরা হলো শৈশব কালে পোলিও রোগে আক্রান্ত শিশুর মতো; পৃথিবীর কোন চিকিৎসা ব্যবস্হাই ঐ সকল শিশুকে সুস্থ করে তুলতে পারে না। এই সকল ব্লগারও হলো এক প্রকার পোলিও রোগী। এদের রোগ কোন তথ্য প্রমাণ দিয়ে সরানো সম্ভব না।

২৯| ১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৫৯

মুরশীদ বলেছেন: মনেহয় সেটাই ভাল, সব যন্ত্রনার অবসান! সময়োপযোগী, তথ্যবহুল বেদনাদায়ক পোস্ট।

১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৩০| ১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:০১

ফ্রেশ ম্যান বলেছেন: অত্যন্ত সময়োপযোগী লেখা । মানবাদিকার বলে যারা চিতকার করে তারা আজ নিরব কেন ?

১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৪৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: মানবাধিকার কর্মীরা করা সৌর ক্রিম (sunscreen) আমদানির অর্ডার দিয়েছেন; দেশে এসে পৌছোলেই তা মেখে ব্যানার নিয়ে ঢাকার পল্টনের প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় দাঁড়াইয়া পড়িবেন ফটো-সেশন করিতে; যাতে করে আগামী বছরের ফান্ড যোগাড় করিতে পারেন।

৩১| ১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:২২

জামাল হোসেন (সেলিম) বলেছেন: ঘৃণার যদি কোন রূপ দেয়া যেতো, বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের প্রতি আমার ঘৃণা দেখে লোকেরা শিউরে উঠতো। তাদের চ্যালা চামুন্ডাদের কথা আর বললাম না। আরে বাবা, এখানে কথা হচ্ছে হিউম্যানিটি নিয়ে, মানবিকতা নিয়ে। রাজনীতি আসছে কেন এখানে? কেন??
ঘৃণা করাটা আমাদের যেভাবে শেখানো হচ্ছে ভালোবাসাটা সেভাবে শেখানো হচ্ছেনা। জাতিগত ভাবে, রাষ্ট্রীয় ভাবে একই কথা প্রযোজ্য। আমরা কেবল বিভক্ত হচ্ছি। লেখকের সাথে সূর মিলিয়ে সবার প্রতি আমার এই অনুরোধ, প্লীজ একটু সিরিয়াসলি ভাবুন ওদের কথা। ওরা আমার আপনার মতই মানব জাতির অন্তর্গত, কিছু মানুষ। জাতিগত বিভেদের দেয়াল তুলে বৈধ অবৈধতার ধুয়া তুলে পিংপং বলের মত এক দেশ থেকে আরেক দেশের দিকে ঠেলে দিবেন না। আগে ওদের তীরে ভিড়তে দিন, বাঁচতে দিন। তার পর যত খুশি যেভাবে খুশি সাজা দিবেন। প্রতিবাদ করবো না। সবার আগে আমরা মানুষ, এই কথাটা যেন আমরা ভুলে না যাই।

১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভাই এই মানুষ গুলো হলো ভন্ড। আমার পরিচিত এক মানুষ ডিভি লটারি পাইয়া আমেরিকা গেছে। পড়া-লেখা ইন্টার পাশ। ১০ বছর পরে আমেরিকার সিটিজেন শিপ পাইছে। সেই মানুষ এখন নিজের ফেসবুকে স্টাটাস দেয় বরাক ওবামা কেন অবৈধ ইমিগ্রান্টদের দেশ থেকে বের করে দেয় না। এই মানুষ একবারও ভাবে না আমেরিকা সরকার ডিভি লটারি চালু না করলে আজকে সেও হয়ত মালয়েশিয়া গামী ঐ সকল মানুষের মতো নৌকায় ভাসত।

এরা হলো সেই প্রজাতীর প্রানী যারা যেখানে খায় সেখানেই মল ত্যাগ করে। এরা ভুলে যায় কোন পরিবেশ থেকে তারা উঠে এসেছে।

৩২| ১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৫১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দেশের প্রবৃদ্ধিতে প্রবাসীদের সিংহভাগ অংশগ্রহন থাকলেও তারাই আজ অবহেলিত বেশী।।
একজন প্রবাসী হিসাবে কিছু বিষয় তুলে ধরছি,প্রথমতঃ বিপদে বা সংকটে পড়লে দুতাবাস থেকে সাহায্যের আশাই নেই। কেউ আসবে না এগিয়ে। বোবা ও বয়রার মত শুধু শুনেই যাবে।। দ্বিতীয়তঃ কাষ্টমস এবং ইমিগ্রেশন অফিসারদের পোয়াবারো।। মক্কেলদের ফাসিয়ে দু'পয়সার ধান্দায় থাকে।। তৃতীয়তঃ আমরা সারাটি বছর পরিজনহারা থেকে দেশে যাওয়ার সময় তাদের আবদার মত অনেককিছুই নিতে পারি না ট্যাক্সের যন্ত্রনায়।। অথচ সেসব উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পুর্ন নই।। দামও চড়া।।(এক্ষেত্রে শ্রীলংকাকে উদাহরন হিসাবে দেখিয়ে বলতে পারি,তাদের সরকারের নীতি আমরা গরীব,তোমরা যে যা পারো পাঠাও,শুল্ক লাগবে না।। সেখানে আমরা জিম্মি ব্যবসায়ীদের কাছে)।।
যেখানে আমাদের টাকা পাঠানোর পরই এই দশা,সেখানেতো ওরা গিয়েছে ভবিষ্যতে টাকা পাঠানোর আশায়।।তাই তো এইসব হতভাগাদের কথা জানতেও হয় কষ্ট করে!! আমরা সলেই পচেঁ গেছি,গন্ধ ছড়ানো শুধু বাকী।। ধন্যবাদ।।

১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:০৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: যখন প্রথম বার দেশ ছাড়ি ঐ সময় দুবাই বিমান বন্দরে ১২ ঘন্টার ট্রানজিট ছিল। নিজের চোখে দেখেছি শ্রমিকদের কিভাবে ট্রিট করতেছে কাষ্টমস অফিসাররা। দুবাই বিমান বন্দরের বেশি ভাগ চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী বাংলাদেশি। তারা কি পরিমান কষ্ট করে সেটা নিজের চোখে দেখেছি।

ইতালীতে ছিলাম ১ বছর। নিজের চোখে দেখেছি ভেনিস শহরের শতকরা ৮০ জন ছাতা ও ফুল বিক্রেতা বাংলাদেশি। ইতালীটে বসবাসরত বাংলাদেশি মানুষদের বেশি ভাগই অবৈধ ভাবে এসেছে। প্রতি মাসে মোটা অংকের ইউরো দেশে পাঠায়।

কিন্তু সরকারের কাছে সেবা পায় ঠিক আপনি যে কথা গুলো লিখেছেন ঐ রকম। কবে এই অবস্হার পরিবর্তন হবে সেটা একমাত্র আল্লাহই জানে।


৩৩| ১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:২৩

ইসটুপিড বলেছেন: দুঃখজনক হইলেও এদের ফিরায়া আনাটা সরকারের কাঁধেই পড়ে। আপনার এই বক্তব্যের সাথে আমি একমত।

তয় একটা জিনিষ মানতে পারলাম না- এই হিউম্যান ট্রাফিকিং সরাসরি সরকারের দোষ হয় কেমনে? বিএনপির মত লীগও অবৈধপথে মানুষ যে না যায় সেজন্য মিডিয়ারে ইউজ করছে, নিজেই দেখছি। হাজার হাজার গ্রামের দেশে, লাখ লাখ আদম ব্যাপারীরে শাস্তি দেওয়াটা যেকোন সরকারের জন্যই টাফ হইব বাংলাদেশে; পাওয়ারে যেই থাক।

রোহিঙ্গার ইস্যুতে আপনার সাথে একমত হইতে পারলাম না। দীপু মণি একটা ইডিয়ট আর বিনা পয়সায় দুনিয়া ঘুরা মহিলা, কিন্তু ঐ টাইমে লীগ একটা ভাল স্টেপ নিছিল রোহিঙ্গা ঢুকা ব্যান কইরা। আপনে কানাডায় থাকেন, জানিনা কতদুর দেখছেন, মিডল ইস্টের বেশিরভাগ বাংলাদেশ নামধারী ক্রিমিনাল এই রোহিঙ্গা গুষ্ঠী। এখন ছাগু গুষ্ঠী ফাল পারে কথায় কথায়- আমরা ৭১ সালে ইন্ডিয়ায় গেছিলাম...ব্লা ব্লা! আমরা কি যায়া চল্লিশ বছর পইড়া আছিলাম? ইন্ডিয়ান পাসফুট নিছিলাম?

আমাগর পররাষ্ট্র নীতি নিয়া আরও দুইচাইর কথা লেখেন। কোন সরকার আজ পর্যন্ত নীতি চেন্জ করছে? বৈধ পথে যারা যায়, হেরা কি কম হেনস্হার শিকার হইছে গত বিশ বছরে? বিএনপির সময় লোকজন যে চেলচেলায়া ইমিগ্রেশন পার হইছে তাও তো না।

১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ১:৪৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে কিছু সত্য কথা বলি; সেগুলো পড়ে আবগে ছাড়া চিন্তা করেন।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির বর্তমান হার প্রায় ২%। পার্বত্য চট্রগ্রাম ছাড়া বাংলাদেশের কোনায়-কানায় ১ বিঘা জমিও পড়ে নাই যা চাষাবাদ করা হচ্ছে না। আমি আমার গ্রামের কথা বলি; একদম ছোট বেলায় যে ঝোপ-ঝাড়ে মল ত্যাগ করতাম তার একটাও অবশিষ্ট নাই। এমন কি ৩ টা পুরাতন কবর স্হানেও চাষাবাদ করা হচ্ছে এখন।

বাংলাদেশে আবাদ যোগ্য কৃষি জমি পরিমান কমতেছে প্রতিবছর ১% হারে। যেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে ২% কিন্তু কৃষি জমি কমতেছে ১% ও নতুন কোন জমি অবশিষ্ট নাই আবাদের জন্য তাহলে বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্যের যোগান দিবেন কোথা থেকে?

ভারতীয় গরু না আসলে দেশের গরুর মাংসের দাম কি হবে সেটা নিশ্চয় ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছেন। বাকি টা বুঝতে পারবেন আগামী ৩ মাস পরে কুরবানি ঈদের সময়।

পোষ্টের ছবি গুলোতে দেখুন নৌকার মানুষ গুলো চেহারা। উপরে যে চার্ট দিয়েছি সেগুলোতে দেখুন মধ্য প্রাচ্যগামী শ্রমিকদের যোগ্যতা। ২০১০ সালে যে ৪ লাখ মানুষ বিদেশে গেছে তার মধ্যে মাত্র ৩৮৭ জন ডাক্তার ও ইন্জিনিয়ার ৯০ হাজারের সাধারন শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে। ২ লাখ ৮০ হাজারের কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নাই। এই মানুষ গুলোর বেশি ভাগেরই কোন জমি জায়গা নাই। থাকলেও সেটা ১ থেকে ৫ বিঘার বেশি না। আমার দেশের বাড়ি নীলফামারী জেলায়। আমার গ্রামের ১০০ টা পরিবারের মধ্যে মাত্র ১০ টা পরিবারের জমি আছে ৫ বিঘার বেশি। ৫ টা পরিবার মুদি দোকান করে। ১০০ টা পরিবারের গ্রামের জন্য ৫ টা মুদি দোকান যথেষ্ঠ। নতুন ২ টা দোকান হলে পুর্বের ৫ টা দোকান ব্যবসা করে পরিবার চালাতে পারবে না।

৫০ টা পরিবারের বাড়ি ভিটা ছাড়া আর কিছু নাই। ঐ পরিবার গুলো দিন আনে দিন খায়। অন্যের জমিতে কামলা দিয়ে ঐ পরিবারের কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব না নিজের ছেলে-মেয়েকে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো। কিন্তু ঐ মানুষ গুলোও স্বপ্ন দেখে তাদের ছেলে-মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে। তাদের সেই অধীকার আছে। বাংলাদেশের ৬৮ হাজার গ্রাম থেকে আগামীকাল সকাল বেলা মাত্র ৫ জন করে ভূমিহীন শ্রমিক যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে ঢাকা গিয়ে রিক্সা চালাবে তবে ঢাকা শহর কি নতুন ৩ লাখ ৪০ হাজার রিক্সার লোড সামলাইতে পারবে?

উপরের চিত্রে দেখুন ২০০৭ ও ২০০৮ সালে ১৭ লাখ মানুষ বিদেশে গেছে।

সরকার চাইলেই কি পারবে আগামীকাল ঘোষনা দিতে? যে ৮ লাখ মানুষ ২০১৫ সালে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করতেছে তাদের মধ্য থেকে ১ লাখ পুলিশ বাহিনীতে; ১ লাখ সেনা বাহিনীতে; ১ লাখ বিসিএস নিয়োগ দিবে?

নাকি রাতের আধারে গার্মেন্টেস মালিকদের সংগঠন গোষনা দিতে পারবে ঐ মানুষদের বিদেশ যাওয়ার দরকার নাই; আমরা গার্মেন্টসে চাকুরি দিবো?

তাহলে, সরকার যদি তাদের চাকুরি দিতে না পারে; বেসরকারি কোম্পানি যদি ঐ সকল অশিক্ষিত মানুষের চাকুরি দিতে না পারে; গ্রামে যদি তাদের চাষাবাদ যোগ্য জমি না থাকে; গ্রামে নতুন কোন মুদি দোকান দিতে না পারে তবে কিভাবে জীবন নির্বাহ করবে বলবেন কি?

আপনার যদি কোন পরামর্শ থাকে তবে নির্দিষ্ট করে বলুন; যে প্রতিবছর বিদেশগামী ৫ থেকে ৮ লাখ অশিক্ষিত মানুষকে এই সকল সেক্টরে কাজে লাগানো যায়। ঘুরে ফিরে আবার বলিয়েন না মাছ চাষ করুক, ধান চাষ করুক; ব্যবসা করুক।


আপনার পরামর্শের অপেক্ষায় থাকলাম।

৩৪| ১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:২৭

ইসটুপিড বলেছেন: ছোট মুখে একখান বড় কথা কই, কিছু মনে নিয়েন না। আমাগর নিজেগর দোষ কম না। কেন, দেশে কাজ করা যায় না? উদাহরণ দিলেন ডিভি না পাইলে সাতরায়া মালয়েশিয়া যাইব, কেন দেশে কাজ করতে সমস্যা কি?

এই জাতির যতদিন সরকারি চাকরি করার লিগা মহাটান না যাইব, বেকার সমস্যা বর্ডার টপকানি/সাতরানি.....এইডি সারতে তত দেরি হইব।

১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ১:৪৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: উপরে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি।

আপনার পরামর্শের অপেক্ষায় থাকলাম।

৩৫| ১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ২:৩৪

ইসটুপিড বলেছেন: দিলেন তো ফাসায়া। এতবড় সাজেশন দেওনের যোগ্যতা আমার নাই। আপনের কথা সত্যি, আমাগর কামের অভাব আছে অনেক সেক্টরে। সমস্যা হইল কি, এর সল্যুশন হিসাবে যদি ইলিগালি বর্ডার ক্রস করে, সেইটার রিস্ক দুনিয়ার কোন সরকার/কোন লিডার নিব না.....লোকাল তালেবান/আইসিস ওগুলার কেস আলাদা। কেউ যদি মানবতার খাতিরে ঢুকতে দেয়ও, কয় বছর দিব?? আমরা নিজেরাও কি রোহিঙ্গা ইস্যুতে টায়ার্ড না?

ওভারপপুলেটেড হয়া গেছি আমরা, সত্যি। কিন্তু, এইটাও আপনার মাথায় রাখতে হইব, নতুন ইনভেস্টমেন্ট না করলে নতুন কামের সেক্টর আসবে না। আর কৃষি কাজ কি খারাপ কিছু? আপনে কানাডায় আছেন, চিন্তা কইরা দেখেন না, এরাও কি এগ্রিবেসড ইকোনমি থিকা এক লাফে ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড হয়া গেছে? না, এরাও সব সেক্টরে সবাইরে কাজে লাগাইছে, দুনিয়ায় ভুরি ভুরি দেশ দেখবেন যারা আমাগর প্রবলেমগুলা ফেস করছে, কোন কোন দেশের অবস্হা আমাগর চেয়েও খারাপ এগ্রিকালচারে। তাই বইলা সবাই গণহারে মাইগ্রেট করে নাই, এটলিস্ট ইললিগালি না।

এই সমস্যাটা এমন না যে লীগের জায়গায় বিএনপি আসলে ঠিক হয়া যাইব। আদম ব্যবসা বন্ধ করতে না পারলে এইডা চলতেই থাকব। এমুন যদি হয়, ১৯শতকের মত ভিসা-ফ্রি দুনিয়া বানাইতে পারবেন আবার, কেবল তাইলেই সম্ভব।

১৯ শে মে, ২০১৫ ভোর ৫:২৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আমি আমার পোষ্টের কোথাও বলি নাই এই সমস্যাটা আওয়ামীলীগ সৃষ্টি করেছে; কিংবা বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কেউ বিদেশে পাড়ি দিবে না অবৈধ ভাবে।

ভাই অনেক কথাই তো বলতেছেন। অনেক দেশের উদাহারনই টানতেছেন। এবারে আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দেন পৃথিবীর কয়টা দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ বসবাস করে?

কানাডার উদাহারন দিলেন। কানাডা হলো খনিজ সম্পদের দেশ। আমি যে প্রভিন্সে থাকি শুধু সেখানে ৫ টা ডায়মন্ডের খনি আছি। কানাডায় একটা গ্যসের খনি পাওয়া গেছে ঐ একটি খনির গ্যাস আগামী ৫০০ বছর ধরে কানাডার চাহিদা মেটাতে পারবে। পৃথিবীর সকল মানুষকে কানাডায় নিয়ে আসলেও প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মানুষের ঘনত্ব হবে মাত্র ৪০০ জন।

১৯৭২ সালে বাংলাদেশে মানুষ ছিলো সাড়ে ৭ কোটি; ৪৫ বছরে তা হয়েছে ১৬ কোটি; আগামী ২০ বছরে যদি মাত্র ৪ কোটি বাড়ে তবে ঐ ৪ কোটি মানুষের ব্যবস্হা করবেন কি ভাবে? খাওয়াবেন কি ? চাকুরি দিবেন কিভাবে? বাংলাদেশের কি কোন খনিজ সম্পদ আছে ২/৩ টা কয়লা খনি ছাড়া?

আমি তো বলি নাই কৃষি কাজ খারাপ কাজ। আমার বাপ কৃষি কাজ করেই আমার পড়া-লেখার খরচ চালিয়েছে। আমার বাপের জমি ছিল তাই কৃষি কাজ করেই আমার পড়া-লেখার খরচ চালিয়েছে। কিন্তু আমার গ্রামের ৫০ পরিবারের সন্তানদের কি হবে? তাদের বাপের তো কোন কৃষি জমি নাই?

৩৬| ১৯ শে মে, ২০১৫ ভোর ৪:৪৪

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: বোধ করি, আপ্নার এক চোখের পাওয়ার অন্যটার চেয়ে আলাদা............তাই একচোখা না হলেও আপ্নার কথাবার্তা দেড়চোখা টাইপের..........কমেন্ট কি করি আর আপ্নে বোঝেন কি........ X(( ?
তাও না হয় ঠিক ছিলো......কিন্তু পরের অন্য এক কমেন্টের রিপ্লাইয়ের পরে আপ্নার পোাষ্টের উদ্দেশ্য যখন আপ্নি ক্লিয়ার করলেন এভাবে,
"আমার পোষ্টের লক্ষ রোহিংগাদের বাংলাদেশে ফেরানো; সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করা নিজ দেশের নাগরিকদের দেশে ফেরত আনার ব্যবস্হা করা"। B:-)

তাইলেই হয়েছে.......এক কাজ করুন.....তাবৎ দুনিয়ায় যতো বাংলাদেশের ডিএনএ নিয়ে লোকজন ঘুরে বেড়াচ্ছে সবাইকে ফেরত আনার ব্যাবস্থা করুন........বিশেষ করে ১৯৪৭এর পর থেকে যতো মানুষ বিভিন্ন কারনে ভারত আর পাকিস্তান চলে গেছে, এছাড়াও আমার বা আপ্নাদের মতো যারা বিভিন্ন কারনে দেশ থেকে দুরে আছে, সবাই চলেন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করি........গলাগলি কইরা একসাথে মরি.......।

১৯ শে মে, ২০১৫ ভোর ৪:৫৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভাই আমার ভুল হয়া গেছে তাদেরকে ফেরত আনার কথা বলে। মাফ করে দিয়েন।

আপনি একটা পোষ্ট লিখে ফেলেন এই দাবি জানিয়ে যে নৌ বাহিনীর সেনা ও জাহাজ পাঠিয়ে নৌকা গুলো ডুবানোর ব্যবস্হা করার জন্য। কারণ আল্লাহ যদি ঘূনিঝড় না দেয়; আর ঐ ৩ টা দেশ নৌকা গুলো বাংলাদেশের জল সীমায় পাঠিয়ে দেয় তবে দেশের জন গন বাইড়া যাবে। এর চেয়ে নৌ বাহিনীর সেনা ও জাহাজ পাঠিয়ে নৌকা গুলো ডুবানোর ব্যবস্হা করা উত্তম।

৩৭| ১৯ শে মে, ২০১৫ ভোর ৫:১৪

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: এ দেশে দেখা যাইতেছে এখন বহু গরু ছাগলের দালাল আছে । মূল্যবান পোস্টির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া ।

১৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:২৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৩৮| ১৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮

সমুদ্রতীর বলেছেন: শুধু লিখে প্রতিবাদ জানালেই আসলে দ্বায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।সাগরে ভাসমান এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাড়ানোটা এখন আমাদের কর্তব্য হয়ে দাড়িয়েছে। এ দেশের রাজনৈতিক দলের কাছে দরিদ্র এই মানুষগুলোর নাম ভোটব্যাংক এবং রেমিটেন্স পাঠানোর যন্ত্র । এদেরকে মানুষ হিসেবে কখনই গন্য করা হয় না আমাদের রাজনীতিতে।তাই সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানিয়ে কোন লাভ নেই। এখন প্রয়োজন সমোয়পযুগী কোন পদক্ষেপ। আমরা যারা মোটামোটি সামর্থের অধিকারী তারা নিজ নিজ সামর্থনুযায়ী একটা ফান্ড গঠন করে জাহাজ ভাড়া করে এই মানুষগুলোকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে পারি।এই ব্লগ এই উদ্যোগটা নিলে মানবতার একটা দৃষ্টান্ত স্থাপিত হত।

১৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:২৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভাই দুঃখজনক হলেও সত্য এখন ব্যাপারটা আমাদের মতো মানুষের হাতে নাই। ভাসমান মানুষ গুলো আন্তর্জাতি জলসীমায় অবস্হান করতেছে। তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পরবে একমাত্র রাষ্ট্র। আমরা একটাই কাজ করতে পারি সেটা হলো গন সচেতনতা তৈরি করে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করা; যদিও সরকার আমাদের কথা শুনবে না।

৩৯| ১৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪

আমিনুর রহমান বলেছেন:


অর্থনীতির অবস্থার একটা ছোট্ট উদাহরণ দেইঃ
একটা বায়িং হাউজ এর কথা বলি। বায়িং হাউজটার অবস্থান মোটামুটি বেশ ভালো। তাই অর্ডার পেতে আমাদের খুব একটা কষ্ট করতে হয় না। ২০১০ সাল এতো অর্ডার পাচ্ছিলো যে inditex এর মতো নামীদামীদের অর্ডারও ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছিলো। কিন্ত এখন কার অবস্থা কি? পারলে লোকাল অর্ডারও নেয়। অফিসের এমপ্লোয়দের বেতন বাড়ে না ৩ বছর পার হয়ে গেছে। একেকজনের চাকুরী অভিজ্ঞতা ১৫/২০ বছরের কিন্তু চাকুরী ছাড়ার সাহস পায় না। চাকুরি ছেড়ে কোথায় যাবে? চাকুরির বাজার ভালো না। হয় আরো কম বেতনে কোথাও জয়েন করতে হবে নয়ত বেকার পরে থাকতে হবে মাসের পর মাস।

এবার নিজের কথা বলি, আমি একসময় গর্বের সাথে বলতাম দেশেই থাকবো। যা পাচ্ছি আর পাবো তাতে এক জীবন ভালোভাবে কেটে যাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য এতো সহজে কেটে যাওয়া এই দেশে এবং এই রকম অবস্থায় অসম্ভব। সেই ১৯৮১ থেকে আমার ফাস্টব্লাডের ৪জন সদস্য কানাডাতে একে একে সেখানে আমার বাবা-মা, বোন সহ আরো মিনিমাম ৫০ জন সরাসরি রিলেটিভ এবং তাদের অর্ধেক জন্মসুত্রে সে দেশের নাগরিক। বাকীরাও সবাই কানাডিয়ান পাসপোর্টধারী। চাইলে অনেকদিন আগেই যেতে পারতাম কিন্তু এতোদিন কখন মন থেকে যেতে ইচ্ছে হয়নি। এখন ইচ্ছে হয় না কিন্তু পেটের দায় এই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার চিন্তাটা এসে যায়।

পলাশ পিএইচডি শেষে দেশে ফিরে আসার যে চিন্তা করছো তুমি, আমার মনে হয় না সেটা তোমার কোন ওয়াইজ ডিসিশান হবে। আর কিছু না হোক ২ বেলা পেটে খাবার আর স্বাভাবিক বেঁচে থাকার গ্যারান্টি তো পাচ্ছো। এটা বাংলাদেশে পাবা না। তোমার মুখের ভাত আর বেঁচে থাকার গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না এখানে।

১৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আমিও মাঝে-মধ্যে ভাবি আপনি কেন দেশে পড়ে রইলেন? আন্কেল-আন্টি সবাই কানাডায়?

বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের জন্য জুলাই মাস থেকেই আর একটা কঠিন সময় আসতে যাচ্ছে। সরকারি কর্মচারিদের বেতন বাড়ানোর সাথে সাথে বেসরকারি চাকুরেদের বেতন বাড়াতে হবে; ডলারের বিপরীতে টাকা শক্তিশালি হওয়ার কারনে বাংলাদেশের অর্ডার এমনিতে কমে আসবে। সেই সাথে যদি কর্মচারিদের বেতন বাড়াতে হয় তবে তো কথায় নাই।

বিদেশে শ্রমিক প্রেরন এমনিতে প্রায় বন্ধ হয়ে এসেছে; এখন গার্মেন্টস রপ্তিনিতে প্রবৃদ্ধি কমে আসলে সামনে খবর আছে।

১৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: বাংলাদেশে গিয়ে থাকতে পারবো কি না জানি না তবে বাংলাদেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাষ ব্যবস্হার উন্নয়ন করার সুযোগ পেলে অবশ্যই যাব। আর সুযোগ না পেলে বিদেশে থেকে যত টুকু করা যায় সেটাই করে যাব। তবে দেশে স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশের যে অবস্হা তাতে করে দেশে গিয়ে লেখা-লেখি করা সম্ভব হবে না। আর আমার পক্ষে লেখা-লেখি বন্ধ করাটা অসম্ভব।

৪০| ১৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

ইসটুপিড বলেছেন: আমি আমার তিনটা কমেন্টেই স্বীকার করছি যে আমরা ওভারপপুলেটেড আর গ্রোথও মাশাল্লাহ। আমি এইটাও স্বীকার করছি যে আমাগর কাজের সুযোগও কম। এরপর আপনেরও রিপ্লাইগুলো আমার সাথে মিলতাছে না কেন, বুঝতাছি না। আপনে কি প্রকারান্তরে ইললিগাল মাইগ্রেশন-রে হালাল বলতাছেন না? কাজের সুযোগ কম, বাইরে যাইতে হয় অনেকরে, আমি একবারও বলি নাই লোকজনের বাইরে যাওয়া পুরা বন কইরা দিতে। হ, মানবতার খাতিরে পাওয়ারে যেই থাকুক, তার দায়িত্ব এগরে ফিরায়া আনা। কথা হইল ইললিগাল ইমিগ্রেশন কেন?? টাকা বাচানির জন্য না? এইটা কি আইনরে কাঁচকলা দেখানি না? আমি আবার পরিষ্কারভাবে কইতাছি, যার দরকার হেই মাইগ্রেট করব, বাট লিগালি। আদম পাচার বন করতে কইতাছি, আর কিছু না।

২৩ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আমার কিছু রিপ্লাইয়ের সাথে আপনার মিলতেছে না কারণ আপনি সমস্যাটা সমাধানের চেষ্টা করতেছেন আইনের দৃষ্টিতে। কিন্তু ভুলে যাচ্ছেন যে মানুষের জন্য আইন; আইনের জন্য মানুষ না।

উপরে বলেছি আমেরিকার মতো দেশও অবৈধ ইমিগ্রান্টদের বের করে দিতে পারে না; কারণ এতে করে তাদের অল্প মূল্যে কৃষি শ্রমিক পাবে না; আমেরিকান আইনে সর্বনিম্ন যে মজুরি আছে সেটা দিয়ে শ্রমিক রাখলে ঐ সকল কৃষি ফার্ম বন্ধ করে দিতে হবে; অথবা দ্বিগুন মূল্যে সবজি বিক্রয় করতে হবে। একই কথা প্রযোজ্য ইউরোপের দেশ গুলোর ক্ষেত্রে। তাই ঐ সকল উন্নত দেশ চোখ বন্ধ রাখে যাখন অবৈধ ইমিগ্রান্ট সেই দেশে প্রবেশ করে।

আমার কথা হলো বাংলাদেশের স্বার্থে ঐ সকল দেশে অবৈধ শ্রমিক গমনে চোখ বন্ধ রাখতে হবে সরকারকে; সরকার সেটা করেও। কিন্তু সরকারকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে দালাল রা শ্রমিকদের জীবন বিপন্ন না করে; সেই সাথে মুক্তিপন আদায় না করে।

৪১| ১৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:১৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পলাশ ভাই আপনাকে ধন্যবাদ যে সব সময় গুরুত্বপূর্ন ইস্যূগুলোতে আপনি আমাদের সকলের সচেতনতার জন্য লিখছেন, যুক্তিতর্ক তথ্য উপাত্ত দিয়ে আমাদের সামনে বাস্তবতা তুলে ধরবার চেষ্টা করছেন। বর্তমান সময়ে যে ব্লগিং ধারা প্রচলিত তাতে আপনার এই চর্চা নিঃসন্দেহে অন্যদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার স্থান হতে পারে বলেই আমি বিশ্বাস করি।

যাইহোক, পোস্টে যে সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেই ইস্যুতে আমার কিছু পর্যবেক্ষন তুলে ধরতে চাই। যে সমস্যার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি, তাতে এই কথাটি বার বার স্পষ্ট হয়ে উঠছে আমাদের দেশ যারা পরিচালনা করছেন তাদের কোন ভবিষ্যত পরিকল্পনা নেই। এদের ম্যাক্সিমাম পরিকল্পনা নিজের ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত। কোন বুদ্ধিদীপ্ত প্ল্যান সহজে চোখে পড়ে না। অথচ সরকার চাইলেই কিন্তু এই সমস্যা থেকে ১ বছরের মধ্যে মুক্তি পেতে পারে, দেশের অর্থনীতি আরো চাঙ্গা হতে পারে।


কিভাবে এই কাজটি করা যেতে পারে?

ক) প্রাথমিকভাবে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে বিশেষ ট্রেনিং সেন্টার চালু করা হোক। যেখানে অদক্ষ জনশক্তিকে ট্রেনিং দেয়ার জন্য বিশেষ ভোকেশনাল সেন্টার থাকবে। এখানে প্রয়োজনীয় ভাষা শেখানো হবে, বিদেশের আইনকানুন, তার নিজের অধিকার ইত্যাদি সম্পর্কে ট্রেনিং দেয়া হবে।

খ) এই ট্রেনিং সার্টিফিকেট সরাসরি বাংলাদেশ সরকার প্রদান করবে কোন নির্দিষ্ট এজেন্সী বা কোন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান না। যদি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এই ধরনের কোণ ট্রেনিং সেন্টার দিতে চায় সেটার মান এবং গ্রহনযোগ্যতার ব্যাপারে সরকারী অনুমোদন লাগবে।

গ) এই ট্রেনিং শেষ করা ছাড়া কেউ বিদেশে যেতে পারবে না। আর ট্রেনিং এর সার্টিফিকেট যেন কেউ দু নাম্বারী করে নিতে না পারে সেটার দিকে নজর রাখতে হবে। মান নিশ্চিত করার জন্য এই ধরনের সেন্টারগুলোতে প্রয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদুত এবং শ্রমমন্ত্রনালয়ের লোকদের এনে দেখাতে হবে।


ঘ) বিদেশে বাংলাদেশের যে দুতাবাস আছে তাদের আচরন দূতেরবাঁশ টাইপ না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

ঞ) যারা অবৈধ ভাবে লোক পাঠায় তাদেরকে আইনের আওয়তায় আনতে হবে এবং জানাতে হবে কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধভাবে বিদেশে যায় তার দায় সরকার বহন করবে না।


আমার মনে হয় এমন কিছু পদক্ষেপ নিলে অতিদ্রুত প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হতে পারে।

আপনাকে আবারও ধন্যবাদ এমন একটা পোস্টের জন্য।

২৩ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: কাভা ভাই বিশাল বড় ধন্যবাদ এই রকম সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। পোষ্টের চেয়ে মন্তব্য বেশি সেক্সি হয়েছে =p~


বিদেশ গামী ৪ জন শ্রমিকের ৩ জনের কোন রকম যোগ্যতা থাকে না শুধু ২ টা হাত ও ২ টা পা ছাড়া। এই শ্রমিকরা যে বেতন পায় তার চেয়ে ২/৩ গুন বেশি বেতন পেত যদি দুই চারটা আরবি ও কিছু কাজ জানত। দুঃখের বিষয় সরকার এই ব্যাপারে সক্রিয় তেমন কিছু করতেছে না। ফলে এই সকল মানুষ বিদেশে গিয়ে অল্প বেতনে চাকুরির জন্য চুক্তি করে ও ১ বছর পরে কাজ ও আরবি ভাষা শেখার পরে পূর্বের মালিকের চাকুরি ছেড়ে দিয়ে নতুন মালিকের কাজে যোগ দেয়। যার ফলে বাংলাদেশিদের সম্বন্ধে অনেক খারাপ ধারনা হয় মালিকদের।

কিন্তু সরকার চাইলেই এই সমস্যা সমাধান করতে পারে।

৪২| ১৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৩২

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: এই দুর্ভোগ দেখে সহ্য করা কঠিন৷ মহান আল্লাহ পাকের কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছুই যেন আমাদের করার নাই৷ আল্লাহ এই অসহায় মানুষগুলোর সহায় হোন

২৩ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: সেটাই প্রার্থনা করি। আল্লাহ এই মানুষ গুলোকে রক্ষা করো।

৪৩| ১৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

লেখোয়াড়. বলেছেন:
অনেক দিন পর ব্লগে একটি জম্পেস পোস্ট পেলাম।
মন্তব্যে, প্রতিউত্তরে, যুক্তিতে পরিপূর্ণ।

লেখককে ধন্যবাদ এই পোস্ট প্রসব করার জন্য। লেখককে আরো বেশি করে ধন্যবাদ যে ধৈর্য্য ধরে উত্তর করছেন।
এই জন্যই তো লেখক আমাদের মোস্তফা কামাল পলাশ।

তবে.................. লীগ এবং দলের সমর্থকেরা, আপনাদের বলছি............... আপনারা যদি না বদলান তাহলে কোনদিন বাংলাদেশের কোন কোন সমস্যার সমাধান করতে পারবেন না। কারণ, যারা লীগ করেন তারা "লীগ" যতই খারাপ কাজ করুক না কেন লীগ ছাড়বেন না, যারা দল করেন তারা " দল" যতই খারাপ কাজ করুক না কেন দল ছাড়বেন না, আবার এই লীগ বা দল যদি কোন ভাল কাজ করে তো তাদের ভাল বলবেন না।

তারমানে আপনারা শুধু দলকানা না, বাংলাদেশের জন্যই সমস্যাস্বরূপ। কারণ, আপনার জনগণ যতদিন ঠিক না হবেন ততদিন বংলাদেশ এমনই সমস্যাবহুল থাকবে। তাই আসুন, আয়নায় আগে নিজের চেহারাটি দেখুন।

ধন্যবাদ।

২৩ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভাই আর লজ্জা দিয়েন না। আমি না লিখলে আপনি লিখতেন সেটা নিশ্চিত।


৪৪| ১৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

রাতুল_শাহ বলেছেন: হুম
যদি কেউ এই সমস্যাটা নিয়ে চিন্তা করে, তবে প্রথমেই তার মাথা ঘুরবে। কারণ অনিয়ম।
তারা কেন যাচ্ছে? পেটের কারণে, একটু সুখের আশায়।
এইটা কি তাদের অপরাধ? আমার দৃষ্টিতে না।
কিন্তু ভাগ্য তাদের জন্য সহায় না। ভাগ্যের কাছে তারা অপরাধী।

প্রসঙ্গটা সম্ভবত অন্যদিকে যাচ্ছে, তারপরও বলছি:
আমাদের এলাকায় অনেক রাজমিস্ত্রী আছে যারা মাসে ২০ হাজার টাকার উপর আয় করে মানে তারা কম বেশি দক্ষ। তারা কিন্তু বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে না।
কিন্তু কিছু লোককে বিদেশ যেতে দেখেছি, তারা কোন কাজই জানে না। বিদেশ গিয়া বাসায় ফোনের পর ফোন, চিঠির পর চিঠি, মা আমারে ওরা মরুভূমিতে চিত করে রাখে, মারে, খাইতে দেয় না, টাকা দেয় না। ১ বছর ধরে ঐখানে কাজ শিখে, তারপর আয় করে, কেউ আবার দেশে ফিরে আসে, চুক্তি শেষে অবৈধ হয়ে যায় আর কত কাহিনী।
আপনি বলেন, আপনার বাড়ি বানানোর জন্য কেমন রাজমিস্ত্রি রাখবেন, অবশ্যই দক্ষ। তারাও তো দক্ষ চাইবে এবং এটা স্বাভাবিক। অদক্ষ শ্রমিকের পরিমাণ বেশি হওয়াতে আমাদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে এবং আমাদের শ্রমবাজার নষ্ট হচ্ছে।

এখন প্রশ্ন আমরা কেন দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে পারছি না? আমাদের এই বিশাল জনগনকে কিভাবে দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তরিত করবেন?
সহজ একটা উপায়: ট্রেনিং এর মাধ্যমে।
ধরেন ট্রেনিং সেন্টার খুলতে চাচ্ছেন, ট্রেনিং দিলে তো হবে না, তাদের জন্য একটা সার্টিফিকেট এর ব্যবস্থা করতে হবে। যেমন তেমন কাগজে তো আর সনদ দেওয়া যায় না। সরকার অনুমোদিত ব্যাপারটি থাকতে হবে।
এই অনুমোদন হয় কাল, শালার দিনের পর দিন, মাসের পর মাস যায় এই অনুমোদন নিতে। পকেট খালি হয়। আরও কত স্থানীয় ঝামেলা।
আর ট্রেনিং সেন্টার গুলো মূলত শহরকেন্দ্রিক। গ্রাম থেকে আসতেও একটা ঝামেলা, টাকা পয়সা খরচ হয়। গরীব মানুষের জন্য গ্রাম থেকে শহরে যাওয়া একটা ঝামেলা।
আমাদের মূল্য সমস্যা শিক্ষা।
আমরা দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে সেভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি নাই।
আমরা কাজকে মূল্য দিতে জানি না। অনেক কাজকে ছোট করে দেখি।
সীমান্তবর্তী এলাকায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। সুবিধা বঞ্চিত গ্রাম চিহ্নিত করে গ্রামেই ট্রেনিং সেন্টার খোলা দরকার, ফ্রি/ খুবই কম খরচ।

আর হ্যা একটা কাজ খুব করা দরকার, বিদেশের দুতাবাসে আমাদের কিছু দূত থাকে, তাদের বাংলাদেশী বানানো, তাদের মানুষ করা। এরা যতদিন না দেশপ্রেমিক হচ্ছে, ততদিন বিদেশে আমাদের বাংলাদেশীর দুর্ভোগ কাটবে না। সরকার থেকে বিদেশে আমাদের একটা ভাষা শেখা কেন্দ্র এবং ট্রেনিং সেন্টার থাকা খুব মানে খুবই দরকার।
ভুলেও যদি কোন অদক্ষ শ্রমিক যায়, যেন সেখানে ভাষা শিখতে পারে এবং ট্রেনিং নিতে পারে।
আর হ্যা অবশ্যই দূতদের জবাবদিহী করার ব্যবস্থা থাকতে হবে।


২৩ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনার সাথে পুরো একমত।

আমাদের দেশের যে মানুষরা মধ্যপ্রাচ্যে যায় তারা শুধু ২ টা হাত ও ২ টা পা নিয়ে সেখানে যায়। এই শ্রমিকরা যে বেতন পায় তার চেয়ে ২/৩ গুন বেশি বেতন পেত যদি দুই চারটা আরবি ভাষা জানত ও কিছু কাজ জানত। দুঃখের বিষয় সরকার এই ব্যাপারে সক্রিয় তেমন কিছু করতেছে না।


আপনার মন্তব্যের জন্য বিশাল বড় ধন্যবাদ।

৪৫| ১৯ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক নিষ্ঠুর হতাশার মাঝে মানবতার একু আশার ঝিলিক..

ভাসমান অভিবাসীদের জায়গা দেবে ফিলিপাইন

আশা করি বাকী দেশগুলোও এই বোধে জেগে উঠবে! আর আমাদের কত্তারা বিদেশ সফরে খালি না ঘুলে ঘুরে জনশক্তি রফতানির দুয়ারটা খোলার চেস্টা করবে! মধ্যপ্রাচ্যতো গত প্রায় ৭ বছর ধরে সরকারের ব্যর্থতায় দুয়ার বন্ধ করে বসে আছে! উল্টো মাঝে মাঝেই ফেরত পাঠায় দেয় বহু লোককে! এগুলোকে সুশীল চেতনায় সমর্থন না করে শক্ত ভাবে সাদাকে সাদা আর কালোকে কাল বলতে হবে।
সরকারী ভাবে বৈধ জনশক্তি রফতানির সুযোগ থাকলে এভাবে মানুষ বানের জলের মতো মৃত্যু ঝুকি নিতো না!
কিন্তু শুধু মিডিয়ায় ষ্টন্টবাজি ছাড়া প্রকৃত জনশক্তি রফাতিনর তুলনামূলক চিত্র দেখলেই সত্য বোঝা যায়।


২৩ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: সরকার যদি প্রবাশী শ্রমিক গুলোকে সেই সকল দেশে পাঠানোর পূর্বে কিছু আরবি ভাষা ও কাজের ট্রেনিং দিতো তবে বর্তমানে যে বেতনে কাজ করতেছে তার চেয়ে দ্বিগুন বেতন পেত। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন দ্বিগুন হয়ে যেত একই সংখ্যাত শ্রমিক হতে।


৪৬| ১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

ইসটুপিড বলেছেন: কা_ভা আর লেখোয়াড়ের সাথে একমত। পাবলিক মাইগ্রেট করবই...এইটা পাবলিকের অধিকার। ইললিগাল মাইগ্রেশন যে বেআইনি এই ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানি দরকার। সমস্যা হইল, এইসব দেইখাও কিছু পাবলিকের হুশ হয় না, কদু মিয়ার কাছে রহিম শেখের সাগর পাড়ি দিয়া কুটিপতি হওনের গপ্প শুইনা সাগরে সাতরাইব।

৪৭| ২০ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:০০

জামাল হোসেন (সেলিম) বলেছেন: সর্বশেষ খবর হলো, ইন্দোনেশিয়া আর মালয়েশিয়ার সুমতি হয়েছে। ওরা রাজী হয়েছে অভিবাসীদের টেম্পোরারি আশ্রয় দিতে। যদিও থাইল্যান্ড এখনো পর্যন্ত কোন কথা বলেনি। তার পরও আশা করা যায় অচিরেই ওরাও কিছু না কিছু পদক্ষেপ নিবে। মিয়ানমার নেতিবাচক মন্তব্য থেকে বেরিয়ে এসেছে। এটাও একটা ভালো খবর। বেশ ভালো লাগছে আজ।

৪৮| ২১ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:৪১

রাফা বলেছেন: Don't just assume we are doing nothing. For last two weeks our mission in Thailand, Malaysia and Indonesia working relentlessly with those countries for food, shelter and medicine of Bangladeshi citizens. We expect some positive outcome from today's meeting and also from the meeting scheduled to take place in Thailand on 29th. Bangladesh has given shelter to over 500,000 illegal migrants from neighbouring country in the past and we simply can not bring them back from a third country but surely all Bangladeshi will be brought back and process has started.
We need awareness to be built locally to stop repeating these tragic incidences

এই হোচ্ছে আমাদের সরকারের বক্তব্য-শাহরিয়ার আলম এম,পি বলেছেন তার ফেসবুক স্টাটাসে।আপনার বক্তব্য কি এই বিষয়ে?

৪৯| ২১ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:১৫

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: যদি একান্তই সাহায্য করার ইচ্ছে থাকে, তবে এদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, ওরা ইন্দোনেশিয়ায় রেহাঙ্গা শিবিরে সাহায্য দেবার প্লান করছে, আমাদের কলেজের অনেক ফ্রেন্ড ডোনেট করেছে করেছে.......এবং ৩দিনে অলরেডি ৬২হাজারের বেশি ডোনেশন পেয়েছে।

http://www.gofundme.com/750rohingya

ফেসবুকে : Us-Sunnah Foundation নামে পাবেন এদের.......।

ওদের অথেন্টিসিটির ব্যাপারে ১০০% শিওর নই.......তাই পুরাটাই আপ্নার ইচ্ছার উপর।

৫০| ২৩ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:৩২

ইসটুপিড বলেছেন: বিয়াফুক মজা পাইলাম আপনের রিপ্লাই পইড়া। ভিসামুক্ত দুনিয়ার আন্দোলন চালায়া যান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.