নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকার University of Maryland এর Global Flood Monitoring System হতে প্রাপ্ত কক্সবাজার জেলায় চলমান অতিবৃষ্টি ও বন্যার চিত্র

২৭ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:০১


"বিদ্যার সাথে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ; আর জীবনের সাথে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু"

ফেসবুকের বন্ধু লিস্টের কক্সবাজার জেলার বন্ধুদের বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া বাড়ি-ঘর এর ছবি যুক্ত ওয়াল স্ট্যাটাস দেখে স্কুল জীবনে পড়া উপরের ভাবসম্প্রসারনটির কথা মনে পড়ে গেল। যে শিক্ষার সাথে বাস্তবতার ও কাজের কোন সম্পর্ক নেই সেই শিক্ষা কোন দেশ বা জাতির উপকারে আসে না।

৮ই জুন থেকে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান NASA এর Applied Remote SEnsing Training (ARSET) নামক একটি প্রতিষ্ঠান একটা ফ্রি ট্রেনিং করাচ্ছে যার টাইটেল "NASA Remote Sensing Observations for Flood Management "। এপ্রিল মাসে University of Maryland আয়োজিত আর একটা ট্রেইং করেছিলাম যার টাইটেল ছিলো "Monitoring Global Floods with Satellite Rainfall"। এই ২ টি ট্রেনিং এ বন্যা ও ভূমিধ্বসের ঝুঁকি বিষয়ে রিয়েল টাইম পূর্বাভাষ করে এমন ২ টি প্রতিষ্ঠান ও ওয়েবসাইটের সাথে পরিচয় ও তা ব্যবহারের বিষয়ে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে অংশগ্রহনকারীদের। এপ্রিল মাসের ট্রেইনিংটি করার পরেই আমার ফেসবুক ওয়ালে স্ট্যাটাস দিয়ে উপরোক্ত ২ টি ওয়েবসাইটের সম্বন্ধে মন্তব্য করেছিলাম যে এই ২ টি ওয়েবসাইটের তথ্য বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানো যাবে আগামী ১৫ দিন পর থেকেই। ট্রেনিং এর ২ মাসের মধ্যে অর্জিত শিক্ষা বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারবো সেটা কল্পনা করিনি। কক্সবাজার জেলার বন্যার কথা শুনে বিজ্ঞানী Albert Einstein এর বিখ্যাত একটা উক্তি মনে পড়ে গেল “Those who have the privilege to know have the duty to act.”।

আমেরিকার University of Maryland এর Global Flood Monitoring System; ওয়েবসাইট থেকে কক্সবাজার জেলার বন্যার উপর নিচের ম্যাপ গুলো প্রস্তুত করলাম নিজের সীমাবদ্ধ অবিজ্ঞতার আলোকে। এই ম্যাপ গুলো তৈরি করা হয়েছে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে নিখুঁত স্যাটেলাইট Global Precipitation Measurement (GPM) হতে প্রাপ্ত চিত্র অনুসারে। ম্যাপের উপরের দিকে টাইটেলে বর্ণীত আছে কোন ম্যাপের রেজুলেশন কত কিলোমিটার। বেশিভাগ ম্যাপের রেজুলেশন ১ কিলোমিটার। স্যাটেলাইট থেকে এর চেয়ে নিখুঁত ম্যাপ (অবিচ্ছিন্ন) পাওয়া সম্ভব না। আশা করছি এই ম্যাপ গুলো বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের কর্মী, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠান, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, ও ত্রান বিতরনের সাথে জড়িত সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজে লাগলে ও লাগতে পারে।



ছবি: গত ৭ দিনের সঞ্চিত (জমা হওয়া) বৃষ্টিপাতের চিত্র



ছবি: গত ৩ দিনের সঞ্চিত (জমা হওয়া) বৃষ্টিপাতের চিত্র



ছবি: গত ১ দিনের সঞ্চিত (জমা হওয়া) বৃষ্টিপাতের চিত্র



ছবি: কক্সবাজার জেলার সবচেয়ে বেশি প্লাবিত এলাকা



ছবি: কক্সবাজার জেলার নদী, শাখা নদী ও উপ নদীগুলোর জলপ্রবাহ (Streamflow) চিত্র



ছবি: কক্সবাজার জেলার নদী, শাখা নদী ও উপ নদীগুলোর Runoff চিত্র



ছবি: কক্সবাজার জেলার নদী, শাখা নদী ও উপ নদীগুলোর বিপদ সীমার উপর দিয়ে জলপ্রবাহ (Streamflow above Flood Threshold) চিত্র



ছবি: কক্সবাজার জেলার বন্যা তীব্রতা চিত্র



ছবি: কক্সবাজার জেলার সবচেয়ে বেশি প্লাবিত এলাকার ম্যাপ (গুগল ম্যাপ থেকে সংগৃহীত)



ছবি: কক্সবাজার জেলার সবচেয়ে বেশি প্লাবিত এলাকার ম্যাপ (গুগল ম্যাপ থেকে সংগৃহীত)


ছবি: আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA এর মডেল অনুসারে সম্ভাব্য এলাকা যেখানে ভূমিধ্বস সম্ভাবনা সর্বোচ্চ।



ছবি: বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড হতে প্রাপ্ত চিত্র

বিশেষ দ্রষ্টব্য: দেশে বন্যা পূর্বাভাষের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানে দেশের বন্যা পরিস্হিতির যে ম্যাপ দেওয়া হয়েছে তা নিম্নরূপ। এই ম্যাপ থেকে বিস্তারিত কোন তথ্য পাওয়া সম্ভব না। যে কারণে উপরোক্ত ছবি গুলো দিতে হলো। মনে রাখবেন উপরে উল্লেখিত চিত্র গুলো হলো স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত অবসারভেশন ও তা হাইড্রলজিকাল মডেলে ব্যবহার করে তৈরি করা। আশা করছি এই ম্যাপ গুলো বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের কর্মী, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠান, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, ও ত্রান বিতরনের সাথে জড়িত সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজে লাগলে ও লাগতে পারে।

রিয়েল টাইম বন্যা পূর্বাভাষ: Global Flood Monitoring System, University of Maryland
http://flood.umd.edu/

রিয়েল টাইম ভূমিধ্বসে পূর্বাভাষ: Near Real Time Landslide Potential in Google Earth
http://trmm.gsfc.nasa.gov/publicat…/potential_landslide.html

Streamflow, or channel runoff, is the flow of water in streams, rivers, and other channels, and is a major element of the water cycle. It is one component of the runoff of water from the land to waterbodies, the other component being surface runoff.

***************************************************
আবারও বলি বন্যা পূর্বাভাষের ওয়েবসাইটের তথ্য বিশ্লেষণ করতে খুব সাধারণ মানের জ্ঞান লাগবে। ভূমি ধসের ওয়েবসাইটের তথ্য বিশ্লেষণ করা একজন অশিক্ষিত রিকশাওয়ালার পক্ষেও সম্ভব যদি তাকে ইন্টারনেট ব্যবহার শিখিয়ে দেওয়া হয়। মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা (উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে) ও ভূমিধ্বস (বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে) বাংলাদেশে মানুষের মৃত্যু নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। আশা করি নিম্নোক্ত দুইটি ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নিজেদের চার পাশের মানুষ গুলোকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে সবাই এগিয়ে আসবেন।

লেখাটার কোন অংশ অন্য কোন মিডিয়ায় প্রকাশ করলে অনুগ্রহপূর্বক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিয়েন।

মোস্তফা কামাল পলাশ
পিএইচডি গবেষক
পৃথিবী ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ
ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়, ওন্টেরিও, কানাডা
E-mail: [email protected]

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:১৫

জাদিদ বলেছেন: খুবই অবাক হলাম পলাশ ভাই!! এই পোস্টে এখন পর্যন্ত ব্লগাররা আলোচনায় অংশ নিলেন না। হোক নতুন বা পুরাতন। এদিকে সময় পেলে তারাই গলা উচিয়ে বলেন, ব্লগে ভালো পোস্ট আসে না। আপনি এখন ১৮ প্লাস একটা পোস্ট দেন, দেখবেন কাতারে কাতারে পাবলিকের ভিজিট আর কমেন্ট। বিষয়টা দুঃখজনক নয়, আতংকের।

২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:৩৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: জাদিদ ভাই, ইমানে কইতেছি ব্লগে রাজনৈতিক ও ১৮+ পোষ্ট ছাড়া পোষ্ট পড়ে না মন্তব্যও করে না। যেই লেখার মধ্যে সামান্যতম রাজনীতি নাই সেই পোষ্টের কোন গুরুত্বও নাই। আর একটা কথা হইলো "হুজুগে বাঙালি"। বৃষ্টি যে দিক থেকে পড়ে ছাতা এরা সেই দিকেই ধরে।

কক্সবাজার জেলার ১০ লক্ষ মানুষ সম্পূর্ণ রূপে পানি বন্দি; ইতি মধ্যে বিভিন্ন ভাবে ২০ জনের মতো মানুষ মারা গেছে কিন্তু কোন পত্রিকা লিড নিউজ করতেছে না। এই ভাবে নিউজ হাইড করার কারণটা সরকারি চাপ নাকি মিডিয়ার উদাসীনতা জানিনা আমি। বিষয়টা যেহেতু আমার পড়া-লেখার বিষয় তাই নৈতিক দায়িত্ব থেকেই লেখাটা লিখতে হয়েছে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বিষয়টা নিয়ে মন্তব্য করার জন্য। একজন রবীন্দ্র প্রেমিক ও নচিকেতা প্রেমিক হিসাবে গাইতে চাই যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলোরে/একলা চলতে হয়।

২| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:০৮

ডি মুন বলেছেন: আপনার মতো আমিও আশা করছি, এই ম্যাপ গুলো বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের কর্মী, সেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠান এবং ত্রান বিতরনের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের কাজে লাগবে। তারা এ থেকে উপকৃত হবেন এবং সময়মত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

আপনি সবসময়ই দায়িত্বশীল ব্লগিং করেন।
প্রয়োজনীয় ও সময়োপযোগী পোস্টের জন্যে ধন্যবাদ পলাশ ভাই।

২৮ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: মুন ভাই দেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকায় বিনে পয়সায় পড়েছি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর পর জাতিসংঘ পূর্ন বৃত্তি দিয়ে ইতালিতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ করে দিয়েছিল এই ভেবে যে ভবিষ্যতে যেন বাংলাদেশের কল্যানে কাজ করি। তাই অনেক ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করি দেশের মানুষের ঋন পরোশোধ করার। আমি জানি ঐ ঋন কোনদিনও শোধ করতে পারবো না।

আপনাকে ধন্যবাদ কম্লিমেন্ট এর জন্য।

৩| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:১৭

ডি মুন বলেছেন: কী বলব পলাশ ভাই ! জাদিদ ভাই ঠিকই বলেছেন।

সামাজিক গণমাধ্যমের জ্ঞানী বুদ্ধিজীবী জনতা এখন নিউ টপিক 'সমকামিতা' নিয়ে দেশ উদ্ধারে ব্যস্ত।
আমাদের ক্ষেত্রে "হুজুগে বাঙালি" - কথাটা সর্বাংশে সত্য। তবে হুজুগটা যদি ভালো কাজের ক্ষেত্রে সর্বদা চালিত হত - তাহলে আর চিন্তা ছিল না !!!!!

অবশ্য সেরকম সম্ভাবনা কোনোকালে ছিল না; এখনো নেই।

২৮ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আমাদের দেশে বুদ্ধিজিবী হতে সবচেয়ে বেশি যে যোগ্যতা প্রয়োজন সেটা হলো বুদ্ধি প্রতিবন্ধি হওয়া; নিজের বিবেক বন্ধক রাখা। সেটা তারা খুব ভাল করেই পারে।

৪| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:০১

কলাবাগান১ বলেছেন: যেখানে গন্ধ শুকে খাদ্যের ভেজাল নির্নয় করতে হয়, সেখানে এমন সায়েন্স বেইসড ইনফরমেশন ইউজ করার লোক না থাকার ই কথা

২৮ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনি দারুন একটা কথা বলেছেন। ফরমালিন পরীক্ষা করতে গিয়ে প্রায় তুঘলকি কারবার করতেছে ভ্রাম্যমান আদালত। সংবাদ পত্রের মাঝে মাঝে পড়ি। কিছু-কিছু ফল পাকলে প্রাকৃতিক ভাবেই ইথিলিন গ্যাস নির্গত হয় যেমন কলা। কিন্তু আমাদের দেশের ভ্রাম্যমান আদালত যে যন্ত্র নিয়ে মাঠে ফল পরীক্ষা করে সেটা নাকি ভুতুড়ে রেজাল্ট দেয়; তাছাড়া নির্দিষ্ট গাইড লাইনও নাই নাকি; যে কত মাত্রা পর্যন্ত গ্রহনযোগ্য আর কোন মাত্রা গ্রহন যোগ্য না।

৫| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ৩:১৮

নতুন বলেছেন: মানুষ এখনো ইন্টারেট ব্যবহার করে ফেসবুক আর লালনীল সাইট দেখতে।

শেখার জন্য ইন্টানেট এখনো ব্যবহার দেশে শুরু হয়নাই।

২৮ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:০৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: অপ্রিয় হলেও আপনার মন্তব্যটা সত্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখেছি পোলা-পান সারারাত ল্যাবে থাকত টরেন্ট থেকে পাইরেটেড ইংরেজি কিংবা হিন্দি ছবি ডাউলোড করার জন্য।

৬| ২৮ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:০১

সুফিয়া বলেছেন: কলাবাগান১ এর সাথে সহ,ত পোষণ করছি। যেখানে গন্ধ শুকে খাদ্যের ভেজাল নির্নয় করতে হয়, সেখানে এমন সায়েন্স বেইসড ইনফরমেশন ইউজ করার লোক না থাকার ই কথা ।

ধন্যবাদ আপনাকে সময়োপযোগী গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট দেবার জন্য। এই পোস্টের যথার্থতা যদি কাজে লাগানো যেত তাহলে বাংলাদেশ অনেক উপকৃত হতো।

পোস্টে +++++++++++++

২৮ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আমিও কালাবাগানে১ এর সাথে একমত পোষন করেছি। সমস্যা হলো আমরা সঠিক মানুষকে সঠিক স্হানে বসাই না; ফলে সঠিক সার্ভিস পাওয়া সম্ভব হয় না। খুজলে দেখা যাবে যে মেজিস্ট্রেট ফরমালিন পরীক্ষা করতে গেছে সেই মেজিস্ট্রেট বাংলায় কিংবা ইতিহাসে অনার্স পাস করেছে; বিজ্ঞান সম্বন্ধে তার সামান্যতম ধারনা নাই। আপনাকে ধন্যবাদ।

৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

jiad82 বলেছেন: আমিও কক্সবাজারের ,আমার ভালো লাগলো।পোস্টে +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.