নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি বড় মাপের ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশের মানুষ ও সরকার কতটুকু প্রস্তুত?

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৬



২০১৫ সালের জুলাই মাসে পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত গবেষণা প্রবন্ধ নেচার এ হিমালয় অঞ্চলে ভূমিকম্প নিয়ে গবেষণা করে এমন বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় আমেরিকার কলোরেডো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রজার বিলহাম একটা গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে যার শিরোনাম ছিল "Seismology: Raising Kathmandu"। ঐ প্রবন্ধে রজার বিলহাম বলেছেন হিমালয় পর্বতের নেপাল সন্নিহিত অঞ্চলে বড় মাপের যে ভূমিকম্পটি হওয়ার কথা তা এপ্রিল মাসে সংগঠিত ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ঐ ভূমিকম্পটি না। এর চেয়ে বড় মাপের ভূমিকম্প সংগঠিত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি সন্বিচিত হয়েছে ঐ অঞ্চলে বলে বেশি ভাগ বৈজ্ঞানিকরা একমত। সুতরাং ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প নেপাল সন্নিহিত অঞ্চলে যে কোন সময় হতে পারে।

Seismology: Raising Kathmandu

২০১৫ সালের ৭ ই আগস্ট গবেষণা প্রবন্ধ নেচারে অন্য একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন California Institute of Technology বা সংক্ষেপে ক্যালটেক এর একজন বিশ্ববিখ্যাত ভূমিকম্প বিষয়ক গবেষক Jean-Philippe Avouac। তার প্রকাশিত প্রবন্ধটির শিরোনাম ছিল Lower edge of locked Main Himalayan Thrust unzipped by the 2015 Gorkha earthquake । এই প্রবন্ধটিতেও বৈজ্ঞানিকরা বলেছেন যে সম্ভব্য মেগা ভূমিকম্পটি এখনও সংগঠিত হয় নি যা যে কোন মুহূর্তে হতে পারে নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডু থেকে পশ্চিম দিকের যে কোন স্থানে।



চিত্র: ১

তার প্রবন্ধে লিখেছেন “It is also possible that the 2015 and 1833 earthquakes produced similar ruptures, but failed to rupture the locked portions of the MHT beneath and west of the Kathmandu basin because of some persistent barrier of mechanical or structural origin. Yet another possibility is that slip on the updip locked portion of theMHTis not entirely seismic. The stress increase could, in principle, be released by afterslip if the updip fault portion obeyed a rate-strengthening friction law and was previously lying in the stress shadow26 of the asperity which ruptured in 2015. If so, it should be observed to slip aseismically in the post-seismic period.

The locked portion of the MHT west of the 2015 event calls for special attention, as the nearly 800-km-long stretch between the 1833/2015 ruptures and the 1905 Mw 7.8 Kangra earthquake is a well-identified seismic gap with no large earthquake for over 500 years. The MHT is clearly locked there (Fig. 1) and its deficit of slip could exceed 10 m.”

প্রায় ২০০০ কিলিমোটার দৈর্ঘ্যের ঐ অংশে যে শক্তি সন্বিচিত হয়েছে তার অল্প অংশই ক্ষয় হয়েছে এপ্রিল মাসে নেপালে সংগঠিত ভূমিকম্পে। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার প্রধান ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল থেকে পূর্ব দিকের ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকার ভূ অভ্যন্তরের সন্বিচত শক্তি ক্ষয় হয়েছে কিন্তু কাঠমুন্ডু হতে পশ্চিম দিকের প্রায় ১৮০০ কিলোমিটার এলাকার ফল্ট এখনও বন্ধ আছে বলে ধারনা করছেন ঐ প্রবন্ধে (উপরের চিত্রে হলুদ তারকা চিহ্নিত স্হানের বামদিকের উপ-বৃত্তাকার স্হান)।



নেপালে ২৫ শে এপ্রিল যে ভূমিকম্প হয়েছে তাতে নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডু মাত্র ১ মিটার উপরে উঁচু হয়েছে যার ফলে প্রায় ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। ভবিষ্যতে যে ভূমিকম্পটির কথা বলছেন বৈজ্ঞানিকরা সেটি যদি ঐ মাত্রার শক্তি ছেড়ে দেয় তবে কোন স্থান ১০ মিটার সড়ে যেতে পারে। এর ফলে জান ও মালের যে ক্ষতি কি হতে পারে তা অকল্পনীয়।


৪ ই জানুয়ারী ভারতের মনিপুর রাজ্যের রাজধানী ইমপাল থেকে ২৯ কিলোমিটার ঢাকা থেকে ৩৫২ কিলোমিটার, ও সিলেট থাকে মাত্র ১৫০ (প্রায়) কিলোমিটার দূরত্বে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প সংগঠিত হয়েছে। ভূমিকম্পটি যেহেতু ভোর বেলা সংগঠিত হয়েছে তাই ক্ষয়-ক্ষতি সম্বন্ধে এখনও তেমন কিছু জানা যায় নি। অধিকিন্তু ঐ এলাকাটি অনেক প্রত্যন্ত।



ভূমিকম্পে বাংলাদেশের সম্ভব্য বিপদ নিয়ে ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে নেপালে প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প সংগঠিত হওয়ার পরে ভূমিকম্প নিয়ে দুইটি লেখা লিখেছিলাম সামহোয়ারইন ব্লগে। একটি লেখা সামহোয়ার ইন ব্লগের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়েছিল। ঐ ব্লগ পোষ্টটি ২,১৭১ বার শেয়ার হয়েছিল ও ১ লক্ষ ২ হাজার ৫ শত ১৭ টা লাইক পড়েছিল। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে এই পোষ্টে ঐ ২ টি পোষ্টের লিন্ক যুক্ত করে দিলাম সকলের জানার জন্য। আশা করি পোষ্টের তথ্যগুলো নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগাবেন ও পরিচিত মানুষদের মাঝে শেয়ার করবেন।

প্রথম পোষ্ট:

নেপালে প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিকদের পূর্বাভাস ও বাংলাদেশের মানুষ ও সরকারের করনীয়

২য় পোষ্ট:

ভূমিকম্প গবেষকরা কেন বলেন ঢাকা ও সিলেট শহরের অনেক বাড়ি-ঘর প্রচণ্ড ভূমিকম্প ঝুঁকিতে আছে?

ভূমিকম্প নিয়ে আপনার পড়া-লেখার আগ্রহ থাকলে কলোরেডো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রজার বিলহাম এর ওয়েবসাইটে ঘুরে আসতে পারেন। উনার ওয়েবসাইটে ভূমিকম্প নিয়ে প্রায় সকল তথ্য পাবেন। Roger Bilham

নেপালে সংগঠিত ২০১৫ সালের ভূমিকম্প নিয়ে দুইটি রিভিউ প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ভিন্ন ২ টি বৈজ্ঞানিক ম্যাগাজিনে (livescience, sciencedaily)। আগ্রহ থাকলে পড়ে দেখার নেমন্ত্য রইল।

Warning for Nepal: April Earthquake Didn't Unleash All Its Energy

April 2015 earthquake in Nepal reviewed in detail

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

প্রামানিক বলেছেন: ওয়েব সাইডের লিঙ্ক দেয়ায় অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই আপানর পোষ্ট টির জন্য। বিশেষ করে বাস্তব অবিজ্ঞতা গুলো লিখার জন্য।

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৯

রিকি বলেছেন: আপনার প্রথম পোস্টের লিঙ্ক ভাই আমি প্রামাণিক ভাইয়ের পোস্টে শেয়ার করে দিয়েছি। ভূমিকম্প দেখলেই ভাই আপনার কথা মনে পড়ে, কি করবো !!!!! B-)) B-))

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনার জন্য ১ টন ধন্যবাদ রিকি আপু =p~

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২০

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
নেগেটিভের দিকে

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: তাইলে তো খপর আছে আপনাদের :(( আমি কিন্তু দেশের বাইরে থাকি ;)

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পলাশ ভাই, আমি মনে করি আমাদের সময় হয়েছে দ্রুত এই বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের। শুধু সরকারের দিকে চেয়ে বসে থাকলে 'মইচ্ছি'।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কিছু ট্রেনিং করানো দরকার, আপদকালীন সময়ে সাথে কি থাকা প্রয়োজন, কি করা প্রয়োজন, ইত্যাদি বিষয়ে একটা ট্রেনিং সবাইকে করানো ভীষন প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভূমিকম্পে ঢাকা শহর বড় রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতির পরিমান বহু গুন বেড়ে যাবে উদ্ধার কার্যের জন্য পর্যাপ্ত সক্ষমতা না থাকার জন্য। সেই সাথে মানুষও সচেতন না কি করতে হবে? জরুরি উদ্ধার সামগ্রী পরিবহন সমস্যা সর্বাগ্রে দেখা দিবে।

আপনার মন্তব্যের সথে পুরো একমত কাভা ভাই।

৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমিত ভাবি ভূমিকম্পের পর যদি বড় রকমের কোন ক্ষতি হয়ে যায় সেই থেকে উদ্ধার কার্য কেমন হবে ? আদৌ সম্ভব হবে কিনা, নাকি অপরিত্যাক্ত নগরীতে পরিণত হবে !!

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: সাভারের রানা প্লাজা ধ্বস যে ইতিহাস মনে করিয়ে দিচ্ছে তাতে করে ভাল কিছু চিন্তা করতে পারতেছি না কান্ডারি ভাই।

৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: প্রতিবার আমরা সচেতন হবো বলি কিন্তু পরে আর হই না :(

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আমাদের অবস্হা হবে ঈশপের গল্পের মিথ্যাবাদী রাখাল বালকের মতো। আশে-পাশের দেশে ছোট মাপের ভূমিকম্প থাকে শিক্ষা নিচ্ছি না। যার জন্য ভবিষ্যতে হয়ত অনেক মূল্য দিতে হবে।

৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

নতুন বলেছেন: ট্রেনিংএর কোন বিকল্প নাই সেটার বাস্তব উদাহরন হইলো ৩১ ডিসেম্বরে দুবাইয়ের এড্রেস হোটেলের অগ্নিকান্ড...

৬৩ তলায় ৬২৬ রুমের হোটেলে আগুন লাগে... হোটেলের নিরাপত্তা ব্যবস্হা সব সময়েই সবচেয়ে বেশি থাকে..এবং স্টাফরাও বছরে কয়েকবার ফায়ার ড্রীল করে থাকে ... আগুন লাগার পরে হোটেল কমী`রা এবং দুবাই পুলিশের সহযোগিতায় সারা হোটেলের মানুষকে নিরাপদে শরিয়ে নেয়া হয়.. মাত্র ১৪ জনের আহত হবার ঘটনার খবর পাওয়া গেছে...



একটা জিনিস বার বার ট্রেইনিং দিলে সেটা মাথায় ধুকে থাকে তার ফলে বিপদের সময়ে সেই ভাবে কাজ করতে পারে এবং জিবন বাচে...

আমাদের কলেজে, স্কুলে, সব অফিসে, কারখানায় প্রতি বছর দুইবার ফায়ার ড্রিল করানো দরকার... তবে সেটা ভমিকম্প,আগুনের মতন সময়ে কাজে দেবে।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনি দারুন একটা উদাহারণ তুলে ধরেছেন। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকলে অনকে বড় দূর্ঘটনা থেকেও জান ও মাল রক্ষা করার যায় তা প্রমানিত হয়েছে দুবাই এর এই হোটেলের আগুনে কোন মানুষের প্রায় কোন রকম ক্ষতি নাওয়াই প্রমান করে। আল্লাহ মালুম কবে আমাদের দেশ এই উদাহারন থেকে শিক্ষা নিবে।

আপনাকে ধন্যবাদ চোক্ষে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য।

৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

জনম দাসী বলেছেন: সালাম জানবেন ভাই, রানা প্লাজা ধসের পরে আর কি কোন প্রশ্ন থাকতে পারে বাংলাদেশ কতটুকু ভূমিকম্প মোকাবেলায় প্রস্তুত।
আমাদের ভাগ্য আর যাই জুটুক ঢাকায় ভূকম্পন হলে যে উদ্ধারের কোন ব্যাবস্তা নেই, সে নিশ্চিত। প্রমান রানা প্লাজা। ভাল থাকুন ভাই সাহেব সব সময়। সচেতন লেখাটির জন্য অনেক শুভ কামনা রেখে গেলাম।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "ঢাকায় ভূকম্পন হলে যে উদ্ধারের কোন ব্যাবস্তা নেই, সে নিশ্চিত। প্রমান রানা প্লাজা।"

আপনার সাথে পুরো একমত। আল্লাহ আমাদের দেশের সরকারকে সময় থাকতে বিবেক দাও দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য।


আপনাকে ধন্যবাদ।

৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২২

এস কাজী বলেছেন: স্যার, মাত্র ১ মিটার সরাতে ১০হাজার মানুষ মারা গেল!! ভাবতেই পারছিনা।

আজকের ভুকম্প টা অনেক সময় ধরে হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে তেমন কোন ক্ষয় ক্ষতি না হলেও এটা খুভ কঠিন একটা বার্তা দিয়ে গেল।

এরকম তথ্যবহুল পোস্ট লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আগের পোস্ট দুটো ও পড়ব এখন।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনার বাড়িটির কোন পিলারকে যদি বুলডজার দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ১ মিটার বা প্রায় সাড়ে ৩ ফুট দূরে সরানো হয় তবে কি হতে পারে বিল্ডিংটার একবার ভেবে দেখুন? ঠিক একই কাজটি হয়েছে নেপালে।

আপনাকেও ধন্যবাদ সময় করে পোষ্ট পড়ার জন্য।

১০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভূমিকম্প সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে খুবই সুন্দর একটা পোস্ট তৈরি করেছেন ভাই! অনেক ভাল লাগলো আপনার তথ্যবহুল পোস্টটা পড়ে!



ভাল থাকবেন!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

১১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হায় আমাদের নীতি নির্ধারকরা যদি দিনে এক ঘন্টাও ব্লগে সময় দিত! ...

আপনার নতুন পোষ্ট দুটোও এড করে দিয়েছি..
আজকের ভূমিকম্প: সংক্ষিপ্ত খবর ~ ~ আমাদের সচেতনতায় কি এখনো ঝাকুনি লাগে নি? নাকি মৃত্যুপুরি হবার পরে জাগবে চেতনা!!!?? পোষ্টে।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: সুখে দুখে যারে পাই তিনি আমাদের বিদ্রোহী ভৃগু ভাই। আমার লেখা ভূমিকম্প বিষয়ক সকল পোষ্টে আপনার সগৌরব উপস্হিতির জন্য সমগ্র বাংলাদেশ ৫ টন সম পরিমান ধন্যবাদ =p~

১২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ভূমিকম্প-পিডিয়া.... :)

আজকের খবরে বলা হয়েছে আগামি ৭ বছরের মধ্যে (২০২২ নাগাদ) বাংলাদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে পড়তে পারে।

দেশের কর্তাব্যক্তি, বিশেষজ্ঞ এবং আমলারা মিলে একটি ফল-মুখী লক্ষ্যে এখনই পৌঁছানো না গেলে ভবিষ্যত তো ভূমিকম্পেই শেষ হবে দেখছি।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: মইনুল ভাই কি আর করা; বাঁচতে হলে জানতে হবে; জানাতে হবে। গতকাল সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে মনে করলাম যাক আমার বাবা-মা তো গ্রামে বাস করে আমার এর চিন্তা কি? ঐ মনে করে ঘুমাইতে গেলাম। এর পর সকালে ঘুম থেকে উঠে হঠাৎ করে মনে হলো আমার ৬ টা ভাই-বোন (সবাই নিজস্ব চাচাত-ফুফাতো ভাই বোন) ঢাকায় থাকে পড়া-লেখার জন্য। ছোট বোন একটা বিল্ডিং এর ৮ম তলায় থাকে। এর পর মাথা ঘুরা শুরু হলো ঢাকা শহরের ভূমিকম্প ঝুঁকির কথা চিন্তা করে।

"দেশের কর্তাব্যক্তি, বিশেষজ্ঞ এবং আমলারা মিলে একটি ফল-মুখী লক্ষ্যে এখনই পৌঁছানো না গেলে ভবিষ্যৎ তো ভূমিকম্পেই শেষ হবে দেখছি।"

আপনার সাথে পুরো একমত। লালন সাই এর ভাষায় বলতে হয় "সময় গেলে সাধান হবে না"

১৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
মোস্তফা কামাল,
আমাদের উনারা আমাদের চাইতেও অনেক ভাল জানেন ও বুঝেন। বিদ্রোহী ভৃগু যাদেরকে নীতি নির্ধারকরা বলছেন আর কি, তাদের ব্লগে সময় দেয়ার দরকার নাই। এসব কথা মুখস্ত বলে দিতেও পারবেন; কিন্তু কথা হল, আত্মস্থ করার ব্যাপারে। মাঈনউদ্দিন মইনুল বলছেন, একটি ফল-মুখী লক্ষ্যে পৌঁছানোর কথা। ফল-মুখী লক্ষ্যটা বিশেষজ্ঞরা নির্ধারন করেছেন কম সময় তো গেলোনা! ঝুঁকি মোকাবেলার জ্ঞানটা কোনও কোয়ান্টাম ফিজিক্স না।

সরকার কতটুক প্রস্তুত প্রশ্নটা করার আগে আমার প্রশ্নটা হলো- প্রস্তুত হবার মত অবস্থায় কি আছি আমরা ?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "ঝুঁকি মোকাবেলার জ্ঞানটা কোনও কোয়ান্টাম ফিজিক্স না। "

দারুন বলেছেন।

"সরকার কতটুক প্রস্তুত প্রশ্নটা করার আগে আমার প্রশ্নটা হলো- প্রস্তুত হবার মত অবস্থায় কি আছি আমরা?"

ভাই চিলি দেশটা কিন্তু খুব বড়লোক দেশ না। মধ্যম সারির অর্থনিতীর দেশ। সেখানে প্রতিমাসে ৬-৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়ে থাকে। কিন্তু ১জন মানুষও মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায় না। মাত্র ১০-২০ বছর পূর্ব থেকে কঠিন ভাবে বিল্ডিং কোড প্রয়োগ করা শরু করেছে। সেখানে নতুন বিল্ডিং তৈর হয় ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল হিসাবে। বাংলাদেশে বর্তমানে যে আইন আছে তা দিয়েই ঢাকা শহরের মানুষের ক্ষতি প্রায় ৫০% কমানো সম্ভব যদি তা কঠিন ভাবে প্রায়োগ করা হয়।


১৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

জুন বলেছেন: আমি চাই আমি যেন সাথে সাথে মারা যা।। টন টন রাবিশের নীচে পরে থেকে অদক্ষ অক্ষম উদ্ধারকর্মীদের জন্য নিরাশ অপেক্ষা না করতে হয়।
সচেতনতা বিষয়ে তখনই কথা বলি যখন একটু ঝাকি খাই তারপর যেই লাউ সেই কদু।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: এত গুলো সতর্ক বার্তা পাওয়ার পরেও সচেতন হচ্ছি না। আমাদের অবস্হা হবে ঈশপের গল্পের মিথ্যাবাদী রাখাল বালকের মতো।

তয় আপনি যদি ৮-১০ দিন টন টন রাবিশের নীচে পইরা থাকেন তবে রেশমা যেমন করে উদ্ধার হইয়া হোটেল র‌্যাডিসনে মোটা বেতনের চাকুরি পাইছিল তেমন এখান চাকুরির সম্বাবনা থাইকা যা কিন্ত !!!

আপা, আপনি কি ঐ সম্ভাবনা হেলায় ছাইড়া দিতে চান =p~

১৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

জুন বলেছেন: আমি মুলাসনে জব চাই মোস্তফা কামাল পলাশ ;)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

১৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা কামাল পলাশ ,




আপনার এই তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়ে আক্ষেপ শুধু বাড়বেই । কিচ্ছুটি করার থাকবেনা মানুষের, যদি তেমন একটি ভুমিকম্পের কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকে ঢাকা শহরটি । যা কিছু অলরেডী হয়ে আছে সেখানেই তো মানুষ আছে ২ কোটি । নতুনের জন্যে না হয় হুশ হলো । কিন্তু বর্তমানের স্থানটির ডেভাসটেশান থেকে প্রান বাঁচানো যাবে কয়জনার ? যদি উদ্ধার করার (যা অসম্ভব ) প্রস্তুতি থাকেও তবে মুভমেন্ট করার মতো ইঞ্চিখানেক ফাঁকা জায়গা মিলবে কি ?

জানিনে ...........।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: " যদি উদ্ধার করার (যা অসম্ভব ) প্রস্তুতি থাকেও তবে মুভমেন্ট করার মতো ইঞ্চিখানেক ফাঁকা জায়গা মিলবে কি ? "

অপরিকল্পিত নগরায়নের এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। তবে এ জন্য আমাদের সরকারের সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রি-এমপিদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত। তাদের সদিচ্ছা থাকলেই আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন সম্ভব অন্যথায় না।

আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

১৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: আমাদের সচেতন না হয়ে উপায় নেই।
ব্যক্তি পরিবার হয়ে রাষ্ট্র পর্যন্ত সবাইকেই সচেতন হতে হবে। সর্বোপরি পাপ ছেড়ে কল্যানের পথে সিরাতে মুস্তাকীমের ফিরতে হবে।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: সবাই নিজ নিজ অবস্হান ও পজিশনে নৈতিক দায়িত্ব পালন করলে অনেক গুরুতর সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে আমাদের নৈতিকতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। সেই সাথে সমস্যা গুলো কমার পরিবর্তে বেড়ে যাচ্ছে।

আপনাকে ধন্যবাদ।

১৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আমার জীবনে এই প্রথম ভূমিকম্প ঠিক মতো টের পাইলাম।
বড় মাপের একটা ভূমিকম্প হলে ঢাকার কী অবস্থা হবে তা কল্পনাও করা সম্ভব না।

আপনার তথ্যবহুল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পোষ্ট টি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

ভূমিকম্প আমরা বন্ধ করতে পারবো না; কিন্তু যেটা পারি সেটা হলো ক্ষতি কমিয়ে আনা। এই জন্য সরকার ও জনগণ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রস্তুুতি নিয়ে রাখতে হবে বড় রকমের ভূমিকম্প হলে কিভাবে তা মোকাবেলা করবো।


১৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
~মাত্র ১০-২০ বছর পূর্ব থেকে কঠিন ভাবে বিল্ডিং কোড প্রয়োগ করা শরু করেছে।
যদি তা কঠিন ভাবে প্রায়োগ করা হয়~


মোস্তফা কামাল,
আমিও সে কঠিনের দিকেই ইঙ্গিত করছিলুম। কঠিনভাবে প্রায়োগ করতে একটি সিস্টেমকে কতখানি ডেভেলপ করতে হয় তা চিলি দেখিয়েছি; টাকা দিয়ে নয় মন-মানসিকতা দিয়ে। আপনি আমাকে বিল্ডিং কোড মানতে বাধ্য করবেন, আমি আপনাকে বাধ্য করবো বিল্ডিং কোড এড়িয়ে আমাকে অনুমতি দেয়ার জন্য। আপনি তো জানেন সেটা কিভাবে সম্ভব !

যাইহোক, আমি আশাবাদী। আমরা নিজেরা নিজেরা সচেতন হই। সময় থাকতে...

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: সরকারের মন্ত্রি-এমপিদের সদিচ্ছা থাকলেই আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন সম্ভব অন্যথায় না। আপনি যদি ন্যায়ের পথে থাকেন; আইনকে নিজস্ব গতিতে চলতে দেন তবে যে কোন সমস্যা উত্তরন সম্ভব।

"কাদম্বিনি মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।' সে মরে নাই, তা প্রমাণের জন্য কাদম্বিনীর মরণ ব্যতিত দ্বিতীয় কোন উপায় ছিল না।"

ঢাকা ও সিলেট শহরের অনেক বাড়-ঘর ভূমিকম্প ঝুকিতে আছে তা প্রমান করার জন্য হয়ত আমাদের বড় রকমের ভূমিকম্পের জন্য অপেক্ষা করিতে হইবে।


২০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

কল্লোল পথিক বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: এসবের দরকার নেই, পদ্মা ব্রীজের খরচ আরো সোয়া আট হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হল্

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: নির্মান খরচ বাড়তেই পারে; তাতে কোন সমস্যা নাই; কিন্তু ঐ বাড়তি খরচে স্বচ্ছতা আছে কি না সেটাই আলোচনার বিষয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.