নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তেলের রাজ্যে বাংলাদেশ গদ্যময়, প্রধানমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলন তো না যেন তেলের হাট-বাজার =p~

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭



"মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তারা আপনার দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে! এটা ভয়ঙ্কর। এটা মানা যায় না" .. দৈনিক সমকাল সম্পাদক সাংবাদিক গোলাম সারোয়ার

"পরিবেশ'জীবি'রা পেট্রো ডলারের ভাগ পাইসে" - ৭১ টিভির মালিক সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু।

"মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার দ্বারা পরিবেশের কোনো ক্ষতি হতে পারে, আমরা বিশ্বাস করিনা"।-'সাংবাদিক' মোল্লা আমজাদ।

সংবাদে প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৪ শে আগষ্ট বুধবার তেজঁগাওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ১৯৬ সাংবাদিক ও তাদের পরিবারকে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার অনুদানের চেক হস্তান্তর করেছেন। শনিবার গণভবনে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। এই পর্বে সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রীকে যে প্রশ্ন করেছেন ও বলেছেন, তা দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকা হইতে কপি পেষ্ট করা হইলো সামু ব্লগারদের জন্য =p~

===================================
৭১- টিভির মালিক মোজাম্মেল বাবু
===================================

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এরা কেউ এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ার না। আমার বন্ধু হাছান মাহমুদ ছাড়া আমিই বোধহয় একমাত্র কোয়ালিফাইড এনভায়রনমেন্টালিস্ট। তাই প্রশ্নটা প্রথমে আমি করছি। বুয়েটের যারা দাবি করেন, তারা কেউ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, কেউ কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, কেউ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, যাদের আমরা মিডিয়ায় বিশেষ বিশেষ পরিবেশবিদ বলি। আপনার কয়েকটি শব্দের সঙ্গে নতুন করে পরিচিত হওয়া প্রয়োজন। পরিবেশবাদী এক জিনিস, পরিবেশ-বাণিজ্য আরেক জিনিস। পরিবেশ নিয়ে যারা আন্দোলন করেন, সেটা একটা বাণিজ্য। পরিবেশ রাজনীতি আরেকটা জিনিস। তারা পরিবেশ নিয়ে রাজনীতি করে। পরিবেশ নিয়ে কাজ করে যারা ডলারে বেঁচে থাকে, তারা পরিবেশজীবী। পরিবেশ রাজনীতিবিদ এবং পরিবেশবিদদের নিয়ে চিন্তা করবেন না। তেলভিত্তিক কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র দিয়ে আপনি যখন সাময়িক সমস্যার সমাধান করছিলেন, তখন তারা বলবে কেন কয়লা পুড়ছেন না। কয়লা পুড়লে সাশ্রয় হবে। আপনি কয়লা তুলতে যাবেন, বলবে পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। বলবে, এমন জায়গায় করেন, যেখানে মানুষ কম। আপনি মানুষ কমের জায়গায় সিলেক্ট করলেন, তখন বলবে সুন্দরবনের এই কাছে, সেই কাছে। আপনি বিশ্বাস করেন আর নাই করেন, আইসিস তৈরি করেছে ইহুদিরা। সে রকম এই সব পরিবেশবাদি আন্দোলনের পেছনে কাজ করে পেট্রোল ডলার। এই সব পেট্রোল বাণিজ্য অব্যাহত রাখার জন্যই কয়লার বিরোধিতা। আমাদের এগুলো শোনার কোনও সময় নেই। আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, ২০৩০-৪০ সাল পর্যন্ত ফুয়েল ডাইভারশনের মাধ্যমে ৫০ ভাগ সাশ্রয়ী কয়লা, ১০ শতাংশ সোলার এবং ২০ শতাংশ, ২৫ শতাংশ গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে যুগপোযোগী পরিকল্পনা আপনি করেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ। আপনার দ্বারাই সম্ভব জ্বালানি নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমি নসরুল হামিদের (বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ) কাছে সাংবাদিক হিসেবে, আপনার (প্রধানমন্ত্রী) লেখা একটা চিরকূট দেখে বিস্মিত হয়েছি। আপনি লিখেছেন, সোলার বিদ্যুৎ করা হবে, তবে এমন জমিতে করা যাবে না, যেখানে ফসল হয়। যদি করাও হয়, তবে এটুকু গ্যাপ-গ্যাপ দিয়ে করা হয়, যেন কিছু আলো আর কোনও না কোনও ফলন হয়। তো এই রকম একজন নেতৃত্বকে যখন পরিবেশের কথা বলা হয়, সেটা সত্যিই মার চেয়ে মাসির দরদ বেশি। আমার শুধু একটাই প্রশ্ন পৃথিবীতে সব প্রযুক্তি আছে। আমাদের খালেদা জিয়া লন্ডনে গিয়ে যেই পানি খান সেটা হচ্ছে স্যুয়ারেজের পানি। স্যুয়ারেজের পানিকে রিসাইক্লিন করে লন্ডনের সিটি করপোরেশন পানের উপযুক্ত করে দিচ্ছে, এক শ শতাংশ গ্যারান্টিসহ।

পশুর নদীর পানি রিসাইক্লিন থেকে শুরু করে সব কিছুই সম্ভব। সব প্রযুক্তি আছে, শুধু আমার একটাই প্রশ্ন এই সমস্ত যেই ইঞ্জিনিয়ারিং সেটা আপনি নিজে মনিটরিং করবেন কিনা? কারণ আমাদের আস্থা একটু কম। আপনি একটি পৃথক সংস্থা করবেন। পরিবেশ, খাদ্য, জ্বালানি সব কিছু দেখার জন্য একটা বডি প্রয়োজন, সব কিছু একবারে দেখার জন্য। পৃথকভাবে দেখা সম্ভব না। আমি আপনার নেতৃত্বে এই রকম একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনের প্রস্তাব দিচ্ছি, যারা এই তিনটা বিষয়ের নিরাপত্তার সমন্বয় করবে। এটুকুই আমাদের প্রস্তাব।

===========================================================
স্ব-ঘোষিত এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিন সাংবাদিক মোল্লা আমজাদ হোসেন
===========================================================

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সঙ্গে কাজ করি। গত দুই দশক আমি জ্বালানি নিয়ে কাজ করছি। আপনাকে ধন্যবাদ, রামপাল ইস্যু বিশেষ করে কয়লা নিয়ে যেই আলোচনা হচ্ছে এজন্য। আমাদের এখানে পরিবেশবাদী ও বাম ধরাণার রাজনীতিবিদরা একাকার হয়ে গেছেন। যেকোনও কিছুতেই তারা বিরোধিতা করেন। বাবু ভাই যথাযথই পয়েন্ট আউট করেছেন। যে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করার সময়ও তারা একই রকমের বিরোধিতা করেছিলেন। তারা বলছেন রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে, অন্য কোথাও হোক। তবে বাঁশখালীতে যখন কয়লাবিদ্যুৎ করা হচ্ছে আবার তখনও তারা বিরোধিতা করছেন। আমি নিশ্চিত তাদের উদ্দেশ্য অর্ধসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের জ্বালানিখাতের উন্নতি, অগ্রগতি এটা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। আজকে যে সস্তায় জ্বালানি পাওয়া যাচ্ছে, তার সূত্রপাত ঘটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। নইলে আজকে আমাদের গ্যাস আমদানি করে বা বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে কিনে বিদ্যুৎখাত চালাতে হতো। এমনিতেই এই একটি গোষ্ঠীর মিথ্যাচারের কারণে আমরা নিজস্ব উচ্চমানের কয়লা ব্যবহার করতে ব্যর্থ হচ্ছি। এখন পর্যন্ত করতে পারিনি। উপরন্তু আমরা যখন আমদানি করা কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র করার উদ্যোগ নিয়েছি, তখন এই কমিউনিটি এটার বিরোধিতা করছে। যার কারণে এতদিন ধরে আমাদের মনে হচ্ছিল সরকারের মধ্যেও বিভ্রান্তি রয়েছে। কারণ সরকারের মধ্যে এমন দুই একজন মন্ত্রী আছেন, যাদের দলের লোকজনকেও আমরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ করতে দেখি। তখনই এই বিভ্রান্তি তৈরি হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই সুনির্দিষ্ট কথা বলার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমার একটা ছোট্ট প্রশ্ন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না। এটা আমি আমার বিশ্বাস থেকে, হৃদয় থেকে নিশ্চিত। তবে সুন্দরবন অঞ্চলে শিল্পায়নের যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে, যদি নদীর দুই ধারে জমি দখল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হয়, সেটা সুন্দরবনের ক্ষতি করতে পারে। পরিকল্পিত শিল্পায়ন ও দূষণমুক্ত শিল্পায়নে আপনার সরকার কী করবে জানতে চাই?



===================================
দৈনক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার
===================================

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি সমকালে কাজ করি। মোজাম্মেল বাবুর অনেক তীর্যক মন্তব্য উপভোগ করলাম। যেমন আপনি করেছেন। এতেই বোঝা যায়, আসলে প্রশ্ন করার অবকাশ খুব কম আছে। কিন্তু আপনি সুবিস্তারে এই রামপাল প্রসঙ্গে যে মন্তব্য করেছেন, যে প্রশ্নগুলো আমাদের মনে ছিল এবং আছে, তার প্রত্যেকটির জবাব আপনি দিয়েছেন। সুতরাং, আপনি অনেক সময় বলেন, প্রশ্ন করেন, প্রশ্ন করেন। কিন্তু প্রশ্ন করার তেমন কিছুই নেই। আমরা আপনার সঙ্গে কিছু যোগ করতে পারি। সে ক্ষেত্রে এটি বলি যে, আপনি আজ যে কথাগুলো বললেন, আমার কেন জানি মনে হয়, আরও আগে যদি এগুলো বলা হতো, তাহলে এই পর্যায়ে তারা যেতে পারত না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি বলছি, সারা দেশে ব্যাপকভাবে প্রচার করা। কালকে সংবাদপত্রে ছাপা হবে, আজকে টেলিভিশনে যাচ্ছে, কিন্তু সারাদেশে এটা চলা দরকার। যারা এর বিরুদ্ধে কাজ করছে, তারা কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী। আর আমি একটা কথা বলতে চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সবচেয়ে মারাত্মক হচ্ছে, আপনার দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, তিনি দেশের ক্ষতি করছেন, দেশকে বিক্রি করছেন। কিন্তু যিনি দেশের জন্য জীবন দিতে পারেন, তাকে নিয়ে এই কথা। আমি মনে করি এর জোরালো প্রতিবাদ হওয়া প্রয়োজন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি বিদ্যুতের কথা বলেছেন। এই বিএনপি আমলে আমরা বিদ্যুতের কথা জানি। বিদ্যুতের অভাবে ঘুমাতে পারতাম না। এখন আমরা বিদ্যুতবিলাসী হয়ে পড়েছি। বিদ্যুৎ গেলে বিদ্যুৎ গেল কেন, এরকম বলাটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আরেকটি কথা আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলি, বেশ কয়েক বছর আগে সাতজন সাংবাদিক ভারত সফরে গিয়েছিলাম। আমাদের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমরা সারাদিন থেকেছিলাম। চমৎকার একটি গ্রাম। দেখে মনে হয় ছবির মতো সাজানো। সেখানে অ্যাশ ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থা আছে। শত-শত ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে, অ্যাশ নেওয়ার জন্য। আমাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা ছেলেমেয়েদের সঙ্গে কথা বলেছি। কি উজ্জ্বল! কি হাসিখুশি ছেলেমেয়ে! দিল্লি থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে পারে; আর রামপালে হতে পারবে না, এ কথা আমরা মানতে রাজি নই। আরেকটা ব্যাপার আমি বলি, শ্রীলঙ্কায় এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র করার পর পরিবেশবাদীরা আন্দোলন করেছিল। তখন একটা প্রস্তাব দিয়েছিল শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। সেটি হচ্ছে, এলএনজির মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্র করা সম্ভব কিনা। তারা অনেক চিন্তা ভাবনা করে দেখেছে, এটা আর্থিকভাবে কিছুতেই সম্ভব নয়। অনেক বেশি খরচ হবে। তারা এটা নাকচ করে দিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিদ্যুৎকেন্দ্র ওখানেই হবে, ওখানেই করতে হবে। দেশের স্বার্থের চেয়ে আমরা বিদেশের স্বার্থ কিছুতেই মানতে পারি না। আমরা আপনার সঙ্গে আছি।

===========================================================================
মলম কোম্পানির ডেস্টিনির প্রতারণার টাকায় পরিচালিত বৈশাখি টিভির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও আওয়ামী সাংবাদিক লীগ নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল
===========================================================================

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি যোগাযোগ-বিজ্ঞানের ছাত্র। যোগাযোগ-বিজ্ঞানে বলা হয়, অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয় সঠিক তথ্য দিয়ে। রামপাল নিয়ে যেসব তথ্য বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তার বিপরীতে আপনি যে তথ্য দিলেন, আমরা নিশ্চিতভাবেই বিশ্বাস করি তা সঠিক তথ্য। এই লড়াইটি চালু রাখতে হবে; শুধু আজকের প্রেস কনফারেন্স নয়, সব জায়গাতেই। আমি শুধুমাত্র একটি জায়গায় বলতে চাই, আজকেও আমরা একটি পত্রিকায় খবর দেখিছি যে, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রায় ১৭৭টি অর্গানাইজেশন ভারতের এক্সিম ব্যাংককে রিকোয়েস্ট করেছে, তারা যেন এই প্রকল্পটিতে অর্থায়ন না করে। এবং আপনি আপনার বক্তব্যে বলেছেন যে, এক্সিম ব্যাংক প্রায় ৭০ পারসেন্ট বিনিয়োগ করবে। এখন ১৭৭টি অর্গানাইজেশনের চাপে এক্সিম ব্যাংক যদি কোনও ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তাহলে রামপাল প্রসঙ্গে আমাদের কোনও বিকল্প চিন্তা আছে কিনা? এটা হলো এক।

আরেকটি হলো, আপনার প্রেসসচিব বলেছেন যে, এই বিষয় (রামপাল) ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে প্রশ্ন করা যাবে না। আপনি যদি অনুমতি দেন, তাহলে রামপালের বাইরে একটি বিষয়ে প্রশ্ন করতে চাই। (এরপর প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পেয়ে) আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বাংলাদেশে আসছেন। গত কয়েক বছর ধরে আমরা ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নানা বিষয়ের ওঠানামা দেখেছি। সেটা কখনও জিএসপি নিয়ে, কখনও গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে, কখনও পদ্মা সেতু নিয়ে। আমি শুধু জানতে চাচ্ছি, ওবামা প্রশাসনের শেষ মুহূর্তে জন কেরি কি বিশেষ কোনও বার্তা নিয়ে আসছেন? কৌশলগত কোনও বিষয়ে ঐকমত্যের ব্যাপার আছে?

==========================================
মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিক রেজওয়ানুল হক রাজা
==========================================

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি মাছরাঙা টেলিভিশনে কাজ করি। পার্লামেন্ট সেশন কাভার করতে গিয়ে একটি টার্ম আপনাদের কাছ থেকে শিখেছি। সেটা হচ্ছে, বিএনপি রিসেন্টলি এই ইস্যুতে যুক্ত হয়েছে। গত পরশুদিন তারা ব্রিফিং করেছে। তাদের ওই বক্তব্যের মধ্যে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকলেও থাকতে পারে। আমি তা বাদ দিচ্ছি। বাট রামপাল নিয়ে কয়েক বছর ধরে আন্দোলন হচ্ছে। এবং আজ আপনি অনেক তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন। তারা যখন ব্রিফিং করেন, নানা তথ্য-উপাত্ত দেন। কোনটি সত্য, কোনটি মিথ্যা, আমাদের মতো সাধারণ মানুষরা তা অতোটা বুঝতে পারি না। আমি শুধু একটা জিনিস জানতে চাই যে, জঙ্গিবাদের কারণে আমরা দেশের মধ্যে একটা অস্বস্তির মধ্যে আছি। এই মুহূর্তে এই রামপাল ইস্যু নিয়ে যদি একটা গোলযোগ হয়, সেটি আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক হবে। যারা আন্দোলন করছেন, তাদের মধ্যে আপনার একজন বন্ধুও আছেন; এটা সম্ভব কিনা—তাদের সঙ্গে বসে একটা আলোচনা করে বিষয়টি রিকনসিডার করার সুযোগ আছে কিনা?

===================================
বাংলাদেশ প্রতিদিন সাংবাদিক শাবান মাহমুদ
===================================

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকাতে কাজ করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এই দেশে যখন স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন শুরু হয়েছিল আপনার বাবার নেতৃত্বে, তখন একটি অংশ আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিল। আবার আপনি যখন ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়নে বারবার কাজ করছেন, তখন আমরা দেখেছি, ওই অংশেরই একটা অংশ, যারা উত্তরাধিকার সূত্রে বংশ পরস্পরায় তারা বেড়ে উঠেছে, তারা আপনার বিরোধিতা করে আসছে। এর ফলে আমরা দেখি, বাংলাদেশের উন্নয়নের বিপক্ষে একটি গ্রুপ বরাবরই সক্রিয় রয়েছে। তার ভেতর দিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারপ্রধান হিসেবে কেবল আপনার কাছে আমি জানতে চাইব, এই অংশটি দেশ ও রাষ্ট্রের জন্য কতটা ক্ষতিকর। তারা যদি ক্ষতিকর হয়ে থাকে, দেশপ্রেমী জনগণ তাদের কিভাবে বয়কট করতে পারে? সরকারপ্রধান হিসেবে, উন্নয়নের নেত্রী হিসেবে, দেশের একজন গণমানুষের নেত্রী হিসেবে আপনি কী মনে করেন?

====================================
এশিয়ান টিভির সাংবাাদিক আনিস আলমগীর
====================================

আমি এশিয়ান টিভিতে কাজ করি। আমার প্রশ্নটা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে ভারতবিরোধী রাজনীতি অনুপস্থিত। আমি দেখছিলাম, রামপাল ইস্যুতে আন্দোলন করছিল বাম রাজনৈতিক দলগুলো। তো হঠাৎ করে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো যুক্ত হওয়াতে আপনি কি মনে করেন, ভারতবিরোধী রাজনীতি বাংলাদেশে একটা ট্রামকার্ড হিসেবে ইউজ হবে? আর আমার সেকেন্ড কোশ্চেন হচ্ছে, ব্যক্তিগতভাবে রামপাল নিয়ে আমার নিউট্রাল পজিশন ছিল। আর আজ আপনার প্রেজেন্টেশনের পরে আমার মনে হচ্ছে যে, বিদ্যুৎ প্রকল্প যে দরকার, এটা নিয়ে আমার আর কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু একটা বিষয় ক্লিয়ার হইনি আমি। টাকাটা আমরা দিচ্ছি। কিন্তু বিদ্যুৎ ভাগের ক্ষেত্রে ফিফটি-ফিফটি কেন? এটা কিন্তু সোস্যাল মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে প্রচার আছে, বিদ্যুৎটা অর্ধেক নিয়ে যাবে কেন?

=========================================
এটিএন বাংলার সাংবাাদিক শেখ নাজমুল হক সৈকত
=========================================

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি এটিএন বাংলায় কাজ করি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে, রামপাল নিয়ে বাম দলগুলো বিরোধিতা করছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিএনপি। তাদের এই বিরোধিতার কারণে কি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ব্যহত হবে কিনা? আরেকটা প্রশ্ন হচ্ছে, আজকে এক মাস্টারমাইন্ড জঙ্গি নিহত হয়েছে, এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য জানতে চাচ্ছি।

সংবাদ সুত্র:

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের যে প্রশ্ন গুলো ছিল?

১৯৬ সাংবাদিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আর্থিক সহায়তার চেক পেয়েছেন খামে করে।




মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৫০

আশাবাদী অধম বলেছেন: যত্তসব রাবিশ। বাঙ্গালী স্বাধীনতার পূর্বেও পাকিদের সামনে গেলে তেল মারত পিছে এসে গাইলাইত। জাতিগত সমস্যা।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

শেখ হাসিনা যদি একবার মনে রাখত যে খন্দকার মোস্তাক ঠিক একই রকম স্তুতি গাইত তার বাবার সমানে সুযোগ পেলেই।

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০৮

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: বিচলিত হচ্ছেন কেন,এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় এসব খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়।
' আস্থা-বিশ্বাস' - রাখার সাংবাদিকতার যুগে আছি আমর।
বলেছেন গোলাম মর্তুজা ( দৈনিক সাপ্তাহিক)

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৫০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
বিচলিত হই এই কারণে যে বাংলা ভাষায় খুবই প্রচলিত একটা প্রবাদ আছে "অতি ভক্তি চোরের লক্ষন"

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কি কইত্তাম??

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
ইয়ে মানে

আপনি কি ঢাকার গুলশান/বনানীতে বাংলা লিংক দামে প্লট পাইতে চান?
আপনি কি প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গি হইতে চান?
আপনি কি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালে চিকিৎসা করাইতে চান?
আপনি কি নিজের ছেলে/মে, ভাই-ভাতিজাকে ঢাকার ভাল স্কুলে ভর্তি করাইতে চান?

তা হলে নিচের কবিতার পংক্তি অনুসরণ করুন:

মহাজ্ঞানি মহাজন যে পথে করে গমন। সেই পথ লক্ষ করে ,স্মীয় কৃতী ধ্বজা ধরে আমরাও হবো বরনীয় ।

৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: ঠিকাচে!

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
জি হুজুর ;)

৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

এম এ কাশেম বলেছেন: গাধার সামনে মূলা দেখাইলে যা হয়।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
গাধাও চালাক হইছে রে ভাই। এখন আর সামনে মুলা ঝুলাইয়া কাজ হয় না। মুলা খাওয়াইয়া তার পর কাজ আদায় করতে হয়।

১৯৬ সাংবাদিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আর্থিক সহায়তার চেক পেয়েছেন খামে করে।

৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: পলাশ ভাই শিরোনামটা ঘুরিয়ে এভাবে লিখলে কেমন হয়- 'চামচামির রাজ্যে সুন্দরবন বিলুপ্ত প্রায়!'

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
শিরোনামটা অনেক ভাবেই করা যায় রে ভাই। তয় "চামচামির" শব্দটা ব্যবহার করলে মানী সাংবাদিকদের মানহানীর মামলা খাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় =p~

৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হায়রে আমার তেল মাখানো দেশ
হায়রে আমার চামচ ভরা মিডিয়া
রুপ দেখে তোদের- কেন আমার পরান মানে না

অথবা
যে জন বঙ্গে জন্মে করে তেলামী
সেসব কাহার জন্ম নির্নয়না জানী ;)
X((

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

আপনি কি ৫৭ ধারার কথা ভুইলা গেছেন :P

৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৩১

গোফরান চ.বি বলেছেন: তেল শুধু লীগরাই মারে :) আর গুলো সব ধৌত করা তুলসি পাতা =p~ জামাতি ইসলামী সরকারকে তেল মারেনা । বিম্পি দলে দলে লীগে যোগ দেয় কিতা জানে :)

তেল দিলে সয়াই সাদরে গ্রহণ করে। কাউরে ফেলে দিতে দেখছেন জীবনে ?

বড়ই মচৎকার পুস্ট।

(মাইনাছ) বাটন টা কেন যে নাই :(

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৪৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
শোন মানুষ ভাই
সবার উপর তেল সত্য তাহার উপর না।

মাইরা যান ভাই, বিফলে মূল্য ফেরত =p~

৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: তেলময় বিনুদন!! হাঃ হাঃ হাঃ আসলেই আমরা সবাই ন্যাংটা রাজা!!!

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৪৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

জনস্বার্থে তেলকে জাতীয় তরল পদার্থ ঘোষনা করা হউক :D

১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমার কেন জানি মনে হচ্ছে দিন দিন আমরা মাথা মোটা জাতিতে পরিণত হচ্ছি।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৪৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার ঐ মামলার খবর কি নুর ভাই? কোর্টে হাজিরা দিতে হয় নাকি ছাত্রলীগের মামাদের লাগে মিউচুয়াল কইরা লাইছেন বাপ-মা দেওয়া প্রাণটা রক্ষার্থে?

১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩২

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: তেলে আর জলে ভেসে গেল দেশ !!

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৪৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার প্রপিকের মানুষটারে বালা পাই। দেশ ভাইসা গেলে প্রধানমন্ত্রী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানাইবো কেমতে :((

১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৫৩

মামুন ইসলাম বলেছেন: মোস্তফা ভাই সরিষা বা সৈয়াবিন ছাড়া খাঁটি নারিকেলতেল দিয়া তরকারি রাঁধলে কি মজা লাগবে না ?মোস্তফা ভাই সরিষা বা সৈয়াবিন ছাড়া খাঁটি নারিকেলতেল দিয়া তরকারি রাঁধলে কি মজা লাগবে না ?
মোস্তফা ভাই সরিষা বা সৈয়াবিন ছাড়া খাঁটি নারিকেলতেল দিয়া তরকারি রাঁধলে কি মজা লাগবে না ?মোস্তফা ভাই সরিষা বা সৈয়াবিন ছাড়া খাঁটি নারিকেলতেল দিয়া তরকারি রাঁধলে কি মজা লাগবে না ?
নেন ভাই একদিন নারিকেল তেল দিয়া তরকারি রেঁধে দেখার রিকুয়েস্ট থাকলো ।
কেননা পাথরা কয়লার ছাই থেকে যদি ভালো সার হয় তাহলে নারিকেলতেল দিয়েও তরকারি ভালো হবে নিশ্চয়ই ।হা হা হা
চমৎকার পোস্ট মোস্তফা ভাই । তবে মাইনেস এর বার্টন নাই আছে প্লাস বার্টন । !:#P

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

ভাইডি, উপকুলীয় এলাকার মানুষরা কিন্তু ঠিকই নারিকেল তেল দিয়ে রানা করে =p~ যদিও আমি কোন দিন খাই নাই।

১৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০৬

চাঁনপুইরা বলেছেন: মানুষ একসময় পশুর ন্যায় একাকী জীবন যাপন করত, ক্রমান্বয়ে নিজকে ছাড়া তারই মত এক বা একাধিক মানুষ কে নিয়ে এবং তার সাথে পারিপার্শ্বিকতা আরও নানাবিধ বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনার থেকে আসে সামাজিক ভাবে বসবাসের বা দলবদ্ধভাবে থাকার আইডিয়া , যা থেকে পরবর্তীতে মানব সমাজ ব্যবস্থার উত্তরন । এই ক্ষেত্রে শুধু মাত্র নিজে ভাল থাকার চিন্তা আর ব্যক্তিগত লাভালাভের চেয়ে আশেপাশের সবাইকে নিয়ে কমবেশি ভাল থাকার বিষয়টি মানুষকে করে তোলে সভ্য ও সামাজিক।
ধন্যবাদ ব্লগার ভাইজান কে - এসব মেকী সভ্য ভদ্রলোকদের (সম্পাদক বৃন্দ) মানসিক দীনতা এভাবে প্রকাশের জন্য। এরা আসলে সেই প্রস্তর যুগেই ফিরে গেছে যা ওনাদের আচরনেই প্রকাশ। কেননা এই মুহূর্তে এই ভদ্রবেশী চামচারা স্থান কাল পাত্র ভুলে এই হাস্যকর তেল বাজীর প্রতিযোগিতায় নেমেছে শ্রেফ ব্যক্তিগত লাভের আশায়, আর কিছুই নয়। আশেপাশের কোন কিছুর ভালোমন্দে এদের কিছু যায় আসে না, মনে হয় যেন ভাঁড়ামির প্রতিযোগিতা, আসলে ভাঁড়ামি বলাও ঠিক না। কারন এরা জেনে বুজেই এসব করছে শুধু আখের গছানোর ধান্দায়।
আমরা আমজনতা যখন শাসকদের দুঃশাসন আর ভুল সিদ্ধান্তের কারনে অসহায় তখন আরও বেশী অসহায় বোধ করি , যদি দেখি এই সব ভুল ভ্রান্তি নিয়ে সমালোচনা করা অথবা নিদেন পক্ষে ভুল ধরিয়ে দিয়ে সঠিক পথে নিয়ে আসার দায়িত্ব যাদের তাদের এই রকম হীন স্বার্থ চিন্তায় নিমজ্জিত হওয়া।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
কাজী নজরুল ইসলাম এর "সাহেব ও মোসাহেব" কবিতাটা পড়েছেন কখনও? না পড়লে আজই পড়ে ফেলুন। তাহলেই সাংবাদিক ও সম্পাদকদের তেলের মর্মার্থ খুজে পাবেন। যদি মনে করেন তোষামদ কারী সম্পাদক ও সাংবাদিকরা ভুদাই তবে বলতে হবে আপনি বোকার রাজ্যে বাস করতেছেন। সম্পাদক ও সাংবাদিকরা জেনে শুনে বুঝেই ঐ তেল মেরেছে।

১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

মিঃ অলিম্পিক বলেছেন: কিচুই কইতাম না...

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
কইলেই গুম কইরা দেবানে B-))

১৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: তেলের স্রোতে মিডিয়া মীরজাফরময়!! বাংলার আকাশে বাতাসে আজ তেল উড়ে, তেল!! শীগ্রি আমিও তেল নিয়ে তেলাতেলি করতে আসছি! ;)

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
ঝাতি আপনার তৈলে তৈলাক্ত হইবার বাসনায় শহরীর উদোম কইরা বইসা রইলো =p~

১৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:০৭

মাহফুজ বলেছেন: সাংবাদিকদের এমন ভালোবাসা আর প্রশংসায় দেখিছি সুন্দরবন আত্মহত্যাই করে বসবে!!!! বিচিত্র, বিচিত্র, বিচিত্র তুমি হে অভাগা জনগোষ্ঠীর অসহায় জননী। :'(

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
ব্যাপার না ঐ রকম সুন্দরবণ আর একটা বানাইয়া দিবোনা সরকার।

১৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:১২

মাদিহা মৌ বলেছেন: বিশ্ব জুড়ে তেল নিয়ে এত তেলেসমাতি … এর কিছু ইংশ রপ্তানি করলেও তো আয়ের উৎস হতে পারতো!

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:০০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
বিদেশে রপ্তানী করবো কি? আমার তো সন্দেহ হইতাছে আগামী কুরবানীর ঈদে দেশে তেলের আকাল পড়ে কি না যেমন করে তৈল মারা শুরু করেছে সাংবাদিক ও সম্পাদকরা :P

১৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:১৭

অািমই বাঙ্গালী বলেছেন: তেলই যখন মারবেন তো Extra Virgin জলপাইয়ের তেলই মারুন
তেলই যখন মারবেন তো Extra Virgin জলপাইয়ের তেলই মারুন

১৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:১০

সিকদার বাড়ীর পোলা বলেছেন: +++++++++++

২০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:১৯

হুমম্‌ বলেছেন: ভালো লাগা

২১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৫২

হুমম্‌ বলেছেন: +++++++++++++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.