নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"চোরের সাক্ষী মাতোয়াল", আর রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাক্ষী বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক

২২ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫



চোরের সাক্ষী মাতোয়াল, আর রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাক্ষী বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক কাজী বায়েজিদ কবির।

"গত ৪০ বছরে সারা দেশে যে পরিমাণ পারদ পোড়ানো হয়েছে, তাতে মাছের কী হয়েছে? ফারাক্কাতে ২১০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। এর কাছের শহর রাজশাহী ও পদ্মা নদী। সেখান যদি অনেক ছাই হতো তাহলে পদ্মায় মাছ থাকত না এবং রাজশাহীও সবুজ নগরী হতো না।"

উপরোক্ত কথাগুলো নাকি বলেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক কাজী বায়েজিদ কবির। প্রকৌশলিদের প্রফেশনাল সংগঠন আইইবির ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারের। সেমিনারের আয়োজক ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ; কিন্তু সেই সেমিনারে বক্তা ভাড়া করা হয়েছে একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারকে।

ছবি: কাজী বায়েজিদ কবির, সহকারি অধ্যাপক, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)

দৈনক প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদ ‘ফারাক্কায় ২১০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র, পদ্মার কী ক্ষতি হয়েছে?’

কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জনাব কাজী বায়েজিদ কবির এর পড়া-লেখা ও গবেষণার বিষয় নিয়ে ঘাটা-ঘাটি করতে গিয়ে বাংলা ভাষার চিরন্তন প্রবাদ "চোরের সাক্ষী মাতোয়াল" কথাটি কেন সৃষ্টি হয়েছিল তার প্রমাণ পাওয়া গেল।

"কয়লা ধুলে ময়লা যায় না"। কয়লা কোম্পানির টাকায় অন্নের সংস্হান করার মানুষের পক্ষে কি সম্ভব কয়ালা থেকে উৎপন্ন দূষণে পরিবেশ মানবদেহের উপর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে কথা বলা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী বায়েজিদ কবির ও তার পিএচডি সুপারভাইজারের গবেষক জীবনের সকলের গবেষণা কয়লা নিয়া। সহজ ভাষায় বলতে হয় কিভাবে কয়লা মহাত্ন মানুষের কাছে উপস্থাপন করা যায়।

ছবি: Sankar Bhattacharya, কাজী বায়েজিদ কবির এর পিএচডি সুপারভাইজার

জনাব কাজী বায়েজিদ কবির এর পিএচডি সুপারভাইজারের প্রোফাইল দেখে মানীয় স্পীকার হয়ে গেলাম। নাম তার Sankar Bhattacharya, অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক। সেই অধ্যাপক নিজের কর্ম জীবন শুরু করেছে কয়লা কোম্পানিতে ও নিজের কর্ম জীবনের প্রায় পুরোটা সময় কাজ করেছে কয়লা কোম্পানিতে অথবা কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে এমন কোম্পানিতে প্রসেস ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে (Principal Process Engineer, Anglo Coal Australia, 2006; Senior Design Engineer- Coal-fired power station design and commissioning services, Development Consultants, India, 1981-1987)।

Sankar Bhattacharya এর বর্তমান গবেষনা প্রজেক্টগুলো নিম্নরুপ:

১) Gasification of brown coal and biomass - catalytic and mineral matter effects, and assessment of slagging, slag rheology
২) Use of lignitic ash for building products and CO2 storage
৩) Steam and flue gas drying of coal and related drying kinetics
৪) Oxyfuel combustion of Victorian Brown coal and overseas lignites, and mineral matter effects

Sankar Bhattacharya এর বর্তমান গবেষনা ইন্টারেষ্ট ও পাবলিকেশনের শিরোনাম গুলো দেখে হলফ করেই বলা যায় গবেষনার পুরো অর্থ আসে কয়লা কোম্পানি থেকে। কয়লা কম্পানির স্বার্থ রক্ষা করাই তার গবেষনার মুখ্য উদ্দেশ্য। অনেক চেষ্টা করলাম জানার জন্য যে কোন উৎস থেকে তার গবেষনার অর্থ আসে যা প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যপকের ওয়েবসাইটে থাকে; কিন্তু ব্যাতিক্রম Sankar Bhattacharya। প্রবাদে আছে চোরের মন পুলিশ-পুলিশ। কয়লা বা তেল কোম্পানির অর্থ নিয়ে যে অধ্যাপকরা গবেষনা করে তার প্রায় সকলেই সেই তথ্য লুকায়। জনাব Sankar Bhattacharya ও তাই করেছে।

Sankar Bhattacharya ১৯৯৫ সালে পিএইচডি করার পরে কোথাও পোষ্ট ডক্টরাল ফেলো হিসাবে কাজ করার কোন তথ্য নাই, সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কাজ করার কোন তথ্য নাই। হঠাৎ করে ২০০৯ সালে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে কাজ করার তথ্য দেওয়া আছে। এই ধরণের ঘটনা ঘটে যখন কোন ব্যক্তি দীর্ঘদিন কোম্পানিতে কাজ করে সে কোম্পানির কোন বড় পোষ্টে পৌঁছানোর পরে সেই কোম্পানি বা ঐ ফিল্ডের কোম্পানির থেকে ফান্ড যোগাড় করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করে নিজের ফান্ড নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা শুরে করে দেয় ঐ সকল কোম্পানির স্বার্থ নিয়ে গবেষণার জন্য। কয়লা-তেল-গ্যাস কোম্পানির কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা গুলো সচরাচর দেখা যায়। এই জন্য এই ধরনের গবেষণাগুলো বেশিভাগ-ক্ষেত্রে ফরমায়েশি গবেষণা বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের টাকার নোট গুলো উপর যেমন লিখা থাকে "চাহিবা মাত্র বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে"। কয়লা-তেল-গ্যাস কোম্পানির টাকা নিয়ে করা গবেষণাগুলোও একই ভাবে মূল্যায়িত হয়ে থাকে।

আরও কিছু কথা উল্লেখ না করে পারলাম না। বিশ্বে অন্যতম কয়লা রপ্তানিকারক দেশ অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম উৎস কয়লা। উন্নত দেশ গুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়াই একমাত্র দেশ যে এখনও কয়লার পক্ষে কথা বলে যায়।

কাজী বায়েজিদ কবিরের উদ্যেশ্য বলতে হয় বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন 'আমাদের কেউ দাবাইয়া রাখতে পারবা না'। সাড়ে ৭ কোটি মানুষকে পাকিস্তানি শাষকরা দাবায় রাখতে পারেও নি।

বঙ্গবন্ধুর ভাষায় বলতে হয় রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষে দালালি চালাইয়া যান, আপনারে কেউ দাবাইয়া রাখতে পারবেনা ;
ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার পিলিপসের ১০০ ওয়াটের বাতির মতোই ঝক-ঝকা; ভবিষ্যতে বুয়েটের ভিসি হওয়া কেউ ঠেকাইতে পারবো না।

===========================================================================
রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাম্ভব্য প্রতিক্রিয়া নিয়ে দৈনিক বনিকবার্তা পত্রিকায় প্রকাশিত আমার লেখা উপসম্পাদকীয়:
==========================================================================

লিংক গুলো সঠিক ভাবে সংযুক্ত করা হয়নি তাই কাজ করতেছিলো না। সমাস্যাটি সমাধান করা হয়েছে। সাময়িক সমস্যার জন্য দুঃখিত।

প্রথম পর্ব:

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত্ প্রকল্প নিয়ে কিছু কথা: প্রথম পর্ব

দ্বতীয় পর্ব:

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত্ প্রকল্প নিয়ে কিছু কথা: দ্বিতীয় পর্ব

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩

করুণাধারা বলেছেন: শুধুমাত্র এই পোস্টে মন্তব্য করার জন্য লগ ইন করলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই বুয়েটের এই নতুন দালাল বায়েজিদ সম্পর্ক এ জানানোর জন্য।

এই শংকর ভট্টাচার্য এর প্রোফাইল কয়লার মতই কালিমালিপ্ত, লিংকে গিয়ে তার জন্মভূমি দেখে তার অভিসন্ধি সম্পর্কে নিশ্চিত হলাম। মনে হচ্ছে বায়েজিদ এই লোকের এদেশীয় এদেশীয় দালাল।
ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার পিলিপসের ১০০ ওয়াটের বাতির মতোই ঝক-ঝকা; ভবিষ্যতে বুয়েটের ভিসি হওয়া কেউ ঠেকাইতে পারবো নাএকেবারে ঠিক বলেছেন। বুয়েটকে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে ক্রমাগত এমন ভিসি নিয়োগের মাধ্যমে দালালীই যাদের যোগ্যতা। আশংকা করি, কাজী বায়েজিদ বুয়েটের ভিসি হবে।

২২ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:২১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ২২ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪

মানবী বলেছেন: "বঙ্গবন্ধুর ভাষায় বলতে হয় রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষে দালালি চালাইয়া যান, আপনারে কেউ দাবাইয়া রাখতে পারবেনা ;
ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার পিলিপসের ১০০ ওয়াটের বাতির মতোই ঝক-ঝকা; ভবিষ্যতে বুয়েটের ভিসি হওয়া কেউ ঠেকাইতে পারবো না।"


- তাই তো মনে হচ্ছে।
বেচেরা গুরু দক্ষিনা দিচ্ছে মাত্র! সুপারভাইজারের রুজিতে তো আঘাত হানতে পারেনা, দেশ চুলোয় যাক।


ফিরে এসেছেন আর বরাবরের মতোই একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট নিয়ে, দেখে ভালো লাগলো। :-)
ধন্যবাদ মোস্তফা কামাল পলাশ।

২২ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:২৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কিছু কিছু ঘটনা ঘটে যা দেখে বসে থাকা যায় না। আজ থেকে প্রায় ৮ বছর পূর্বে সামু ব্লগে নিক রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম সেই একই কারণে। কোন একজনের লেখার প্রতিবার করার জন্য। চেষ্টা করব নিয়মিত হওয়ার জন্য।

ভাল থাকবেন।

৩| ২২ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:০৭

মিঃ আতিক বলেছেন: দালাল দের সাথে জাতিকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

২২ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:২৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
হ্যাঁ এদের সকলের মুখোশ খুলে দেওয়া দরকার নইলে দালালির ফলাফল ভোগ করতে হবে আগামী প্রজন্মকে। আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ২২ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:১৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: মানবী বলেছেন: "বঙ্গবন্ধুর ভাষায় বলতে হয় রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষে দালালি চালাইয়া যান, আপনারে কেউ দাবাইয়া রাখতে পারবেনা ;
ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার পিলিপসের ১০০ ওয়াটের বাতির মতোই ঝক-ঝকা; ভবিষ্যতে বুয়েটের ভিসি হওয়া কেউ ঠেকাইতে পারবো না।"

উত্তম জাঝা :-B

২২ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
তবে মনে রাখবেন দালালদের শেষ পরিনতী কখনও ভাল হয় না। আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৫| ২২ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: কিছু বলার আগে নিজের পরিচয় দিয়ে নেই। আমি কোন ইঞ্জিনিয়ার না যে রামপালের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে প্রযুক্তি ব্যবহার হবে, তা ভাল বা খারাপ বলার যোগ্যতা রাখি। আমি Infectious disease-এর উপর পিএইচডি করেছি। আমেরিকা, ইউরোপ ও অষ্ট্রেলিয়াতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি বলে এসব দেশে ইন্ডাষ্ট্রি/কোম্পানীগুলো কিভাবে কাজ করে, তা বেশ ভালভাবেই জানি। দু:খজনকভাবে হলেও সত্যি, আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে, যারা কোন কাজে ইন্ডাষ্ট্রি/কোম্পানীর লেবাস দেখলেই খারাপ দিক খোজার তালে থাকে। আপনি কাজী বায়েজিদ কবিরকে নিয়ে কটাক্ষ তো করলেনই, তার পিএচডি সুপারভাইজারকেও ছাড়লেন না। কাজী বায়েজিদ কবিরকে আমি চিনি না, প্রথম আলোতে তার বক্তব্য পড়েছি। উনি সঠিক বলেছেন না ভুল বলেছেন, তা বিচার করার যোগ্যতা আমার নেই, কারণ আমি ইঞ্জিনিয়ার না। কিন্তু আপনি যখন বিশ্বের নামকরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসরকে কটাক্ষ করেন, তখন বলতেই হয়, বাঙালী জ্ঞানীকে সম্মান দিতে জানে না।

একজন মানুষ তার কর্ম জীবনের পুরোটা সময় কোন কোম্পানীতে কাজ করলেই ধরে নেয়া যাবে, তার জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন করা যায়?

উন্নত দেশে ইন্ডাষ্ট্রি/কোম্পানী গবেষণা করে ব্যবসার উদ্দেশ্যে - যেমন, আরো cost effective উপায়ে কিভাবে আরো প্রফিট করা যায়। এটা কোন দোষের কিছু না। কারণ, ইন্ডাষ্ট্রির প্রডাক্টের ক্রেতা কিন্তু আপনি, আমি, আমরা সবাই। সারাবিশ্বে Fuel efficient technology নিয়ে গবেষণা হচ্ছে - কিভাবে কয়লা হোক কিংবা তেল হোক, জ্বালানী থেকে অধিক শক্তি উৎপাদন করা যায়? এসব গবেষণায় ইন্ডাষ্ট্রি/কোম্পানী টাকা দেয়, কারণ তারাই গবেষণার ফলটা আমাদের কাছে পৌছে দেয়। বাল্ব কিনতে দোকানে গেলে আপনি কি আগেকার দিনের বাল্ব কিনবেন না-কি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কিন্তু বেশী আলো দেয় এমন বাল্ব কিনবেন? তাহলে ইন্ডাষ্ট্রি/কোম্পানীর টাকায় গবেষণায় আপনার এত আপত্তি কেন?

আপনার কি একবারও মনে হয় নি, মেইন স্ট্রীম গবেষণার সাথে না থেকেও কিভাবে উনি মোনাশের প্রফেসর হলেন? আপনার কথাগুলো যদি সত্য বলে ধরে নেই, তাহলে ধরে নিতে হয়, মোনাশ ইউনিভাসিটির ভিসি গর্দভ জাতীয় কিছু - নাহলে মেইন স্ট্রীম গবেষণার সাথে যুক্ত নয় এমন একজনকে কিভাবে তিনি প্রফেসর হিসাবে নিয়োগ দিলেন?

আপনার লেখা পড়ে আরেকটি বিষয় বোঝা গেল, উন্নত দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কিভাবে প্রফেসর হয়, তা নিয়ে আপনার কোন ধারণা নেই। আপনি যাকে কটাক্ষ করলেন, তার অধীনে ১২জন পিএইচডি করেছে, আরো ১৬জন করছে। আমাদের দেশে একজন প্রফেসর বের করে দেখান তো যার ২৮জন পিএইচডি স্টুডেন্ট আছে।

অনলাইন নিউজ "বণিকবার্তার" খবরের উপর ভিত্তি করে বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসরের জ্ঞানকে চ্যালেঞ্জ করতেই পারবেন, কিন্তু তার মত প্রফেসর কোনদিন হতে পারবেন না। জ্ঞানী মানুষের সমপর্যায়ে না গিয়ে তাকে কটাক্ষ করার আগে একটু ভাববেন প্লজি। আর ভাল কথা, আপনার দেয়া বণিকবার্তার একটা লিঙ্কও কাজ করে না।

২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ২:০৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার মন্তব্য পড়ার পরে আপনার ব্লগ ঘুরে আসলাম। আপনার ব্লগ পরিসংখ্যানটি নিম্নরূপ:

ব্লগ করতেছেন: ৭ বছর ৮ মাস
পোস্ট করেছেন: ১৯টি
মন্তব্য করেছি: ২৫৭০টি
মন্তব্য পেয়েছি: ৩১৬টি

এটাও সত্য যে শিয়াল বা কুকুর অনেক বাচ্চার জন্ম দেয় বছরে কিন্তু রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেয় ২/৩ বছরে দুই থেকে ৩টি। আপনার মন্তব্য পাওয়া ও মন্তব্য করার পরিসংখ্যানটিও অবাক করার মতো। সেটাও প্রশ্নযোগ্য হতে পারে না। তাই আপনার লিখা ১৯ টি ব্লগ দেখলাম। সেগুলোও কাঁচের ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখার মতো। আপনি কেন ব্লগে নিক খুলেছেন বা কেন ব্লগিং করেন সেটা আপনার ব্লগে ঘুরলে স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যায়।

আত্নপরিচয়হীন ব্লগারদের সাথে সিরিয়াস বিষয় নিয়ে আলোচনা করার বিষয়ে আমার কিছুটা রিজার্ভেশন আছে তার পরও আলোচনা করি যখন দেখি পোষ্ট প্রাসঙ্গিক আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু কোন ব্লগার যদি পোষ্ট না পড়েই কপি< পেষ্ট মন্তব্য করে সেই সকল ব্লগারের মন্তব্য আমি এড়িয়ে চলি।

আপনি কোন বিষয়ে পিএইচডি করেছেন, কোন কোন দেশে ঘুরেছেন তা আমার পোষ্টের আলোচনার বিষয় বস্তু না। আপনাকে মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানও নিজের নামের সামনে ডাঃ লাগার। বিল্ডিং নড়া-চড়া তত্ত্বের জনক মহি উদ্দিন খান আলমগির হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন।


২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ২:০৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
"অনলাইন নিউজ "বণিকবার্তার" খবরের উপর ভিত্তি করে বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসরের জ্ঞানকে চ্যালেঞ্জ করতেই পারবেন, কিন্তু তার মত প্রফেসর কোনদিন হতে পারবেন না।"

"বণিকবার্তা" অনলাইন নিউজ পোর্টাল না; মূলধারার প্রচলিত প্রিন্টেড সংবাদপত্র।

মাফ ও চাই দোয়াও চাই, ভাড়াটে অধ্যাপক বা গবেষক হতে চাই না কোনদিন।

"আপনার দেয়া বণিকবার্তার একটা লিঙ্কও কাজ করে না।"

লিংক গুলো সঠিক ভাবে সংযুক্ত করা হয়নি তাই কাজ করতেছিলো না। সমস্যাটি সমাধান করা হয়েছে।

২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ২:১০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

"আপনার লেখা পড়ে আরেকটি বিষয় বোঝা গেল, উন্নত দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কিভাবে প্রফেসর হয়, তা নিয়ে আপনার কোন ধারণা নেই।"

যা বলেছেন বা লিখেছেন সামু ব্লগের ব্লগাররা অনেক বিনোদিত হয়েছে।আশা করছি এই রকম বিনোদন নিয়মিত ভাবে দিয়ে যাবেন।

৬| ২২ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চোরের স্বাক্ষী মাতাল !

হা হা হা
দারুন বলেছেন। সেদিন পড়ে অব্দি তব্দা খেয়ে ভাবছিলাম জাতির কথিত বিবেকরা যদি এভাবে স্বাের্থর কােছ বিক্রি হয়ে যায়- আমজনতা যাবে কোথায়?????

মূখোশ উন্মোচনি পোষ্টে সাধুবাদ!

দুর্জন বিদ্যান পরিত্যাজ্য কথাটা যেন ষ্পষ্ট হয়ে উঠে এরকম চরিত্র দেখলে!!!!!!!!!!!!!!!!!

২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ২:১২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:


"দুর্জন বিদ্যান পরিত্যাজ্য কথাটা যেন ষ্পষ্ট হয়ে উঠে এরকম চরিত্র দেখলে"

আপনার মন্তব্যের সাথে দ্বীমত করার কোন কারণ দেখছি না। আপনাকে ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভাই।

৭| ২২ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

বাংলার জামিনদার বলেছেন: এরচেয়ে অল্প খরচে আপাতত সল্যুশান নাই, কিন্তু বিদ্যুতের অতি চাহিদা সামাল দিতে হবে। বাড়িতে কারেন্ত না থাকলে আপনেই গালি দেন সরকার রে, তাইলে সমাধান কি?
ঢাকা শহরের যানবাহন কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রের চাইতে বেশি দুষণ করছে। কিন্তু আমরা থেমে নেই। থেমে থাকা সমাধানও নয়। প্রয়োজনটা বুঝতে পারছি বলেই আমরা থেমে নেই। কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রেও প্রয়োজন আর লাভ-ক্ষতি সবটুকু বিবেচনায় এনে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
ঢাকার বাতাসের সীসার পরিমাণ জানেন? এর পেছনে দায়ী আমাদের যানবাহন আর কলকারখানা, জানেন তো? ২ কোটি মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এর কারণে। আপনি একদিনও বাসে/গাড়িতে চড়া বন্ধ করেছেন?

২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:০০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
বর্তমানে উৎপাদিত প্রায় ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পুরোটাই কয়লা মুক্ত (দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া মাত্র ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছাড়া)। অর্থাৎ গত ৪৫ বছরে আমাদের দেশ চলেছে কয়লা মুক্ত বিদ্যুৎ দিয়ে। গত প্রায় ৮ বছর থেকে আমরা চলছি কুইক রেন্টার কেন্দ্রে তেল, ফার্নেস বা গ্যাস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকে। আমাদের প্রতিষ্ঠিত গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো আছে সেগুলো গ্যাসের অভাবে চলছে উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র ৪০-৬০ ক্ষমতায়। আমাদের দেশের আগামী ৫-১০ বছরের চাহিদা পুরোটাই মেটানো সম্ভব প্রতিষ্ঠিত গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলোতে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ করতে পারলে। বিদ্যুৎ শিল্পের সাথে জড়িত আমাদের যে মানব সম্পদ তার পুরোটাই গ্যাস প্রযুক্তি নির্ভর। আমার যে দক্ষ মানব সম্পদ আছে তাদেরকে কাজে লাগানোর কথা না চিন্তা করে কেন সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রযুক্তির দিকে এগোচ্ছি যে প্রযুক্তিতে আমাদের কোন দক্ষ মানব সম্পদ নাই; সব চেয়ে বড় কথা হচ্ছে ঐ প্রযুক্তি আমাদের দেশের মতো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জন ঘনত্ব সম্পূর্ণ দেশের জন্য চরম ভাবে অগ্রহণযোগ্য।

আমাদের দেশে তো কোন দুর্ভিক্ষ চলতেছে; বা আমাদের কোন আর্থিক সামর্থ্য নাই; তাই মরা গরুর মাংস খেয়ে হবে শরীরের আমিষের চাহিদা পূরণ করতে হবে। কোন কোন কসাই মরা গরুর বা ছাগলের মাংস বিক্রি করে। কেন করে সেটা বুঝার জন্য কি কাউকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া-লেখা করতে হবে?

৮| ২২ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৩১

বিলুনী বলেছেন: ঠিক কথাই বলা হয়েছে
আসলেই চোরের সাক্ষী মতাল
পোষ্টের লিংক দুটিতে ক্লিক করলে
নীচের কথা গুলি চলে আসে

Forbidden!

Powered By Bonik Barta



২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৩৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
লিংক গুলো সঠিক ভাবে সংযুক্ত করা হয়নি তাই কাজ করতেছিলো না। সমাস্যাটি সমাধান করা হয়েছে। সাময়িক সমস্যার জন্য দুঃখিত।

৯| ২২ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা কামাল পলাশ ,




পোস্টের বিষয় বস্তুতে না গিয়ে শুধু বলি , যে চেতনা থেকে আপনার এই লেখা সে চেতনার অংশীদার আমি এবং আমার মতো লাখো আমজনতা । যদিও এই আমজনতাদের কিছুই করার নেই এই বিপর্যয় ঠেকাতে কারন পকেটে নগদ কড়ি কথা বলে । এই কথা বলার তোড়ে দেশ , জাতি, গোষ্ঠীর আশা আকাঙ্খা ভেসেই যায় ।

২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ২:৪১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

আহমেদ জি এস ভাই, আপনার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দারুণ একটা উক্তি খুজে পেলাম।

১০| ২২ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৩০

সুমন কর বলেছেন: আপনার কাছ থেকেই এমন একটি চমৎকার পোস্ট পাওয়া যায়। অনেক ধন্যবাদ।

২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:০১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
পোষ্ট পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ সুমন ভাই।

১১| ২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৩৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: একই ক্ষেত্রে ভারতে কি হচ্ছে!! আমাদের কন্ঠরুদ্ধ করার প্রচেষ্টাো চলছেই।।
সবার উপরে মিডিয়া কি করছে!! যার গুরুত্ব অনেকই :( ।। সব প্রতিবাদ/আর বাস্তবতার সুদৃষ্টি কে/কার আছে??

২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:০৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
ভারতের জ্বালানী পলিসি হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ নির্ভরতা সম্পূর্ণ ভাবে কমিয়ে আনা। সাম্প্রতিক কালে ভারত সরকার কয়েক ডজন বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রজেক্ট বাতিল করে দিয়েছে যেগুলো ছিলও কয়লা ভিত্তিক। সেই একই দেশে প্রোমোট করছে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। কেন করছে? আমরা সেই প্রশ্নটা করছি না। জানার চেষ্টাও করতেছি না।

আপনাকে ধন্যবাদ।

১২| ২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ৭:১৯

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন: সবাইকে গাধা ভাবতেসে

২৩ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:


"You can fool all the people some of the time, and some of the people all the time, but you cannot fool all the people all the time." ......... Abraham Lincoln

১৩| ২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন কামাল ভাই। এদেশে তো তেলবাজদেরই কদর বেশি।
তবে একদিন ঠিক হয়তো চিত্র উল্টে যাবে। আামরা সাধারন মানুষ সেই অপেক্ষায় আছি।

২৩ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

আহমেদ জি এস ভাইকে যে উত্তরটা করেছি সেই একই উত্তর করতে চাই আপনাকে।

১৪| ২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ৭:৪৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
লেখক বলেছেন : বঙ্গবন্ধুর ভাষায় বলতে হয় রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষে দালালি চালাইয়া যান, আপনারে কেউ দাবাইয়া রাখতে পারবেনা ;
আজ সেটা শেখ কন্যা বলিতেছেন, নিজ দায়িত্বে কাজও আঞ্জাম দিচ্ছেন।
সেলুট মাননীয়া

একটু আমাগো মত আমজনতারে দেইখেন। শেখ সাহেব কিন্তু আমাগোরে দেখছিলেন।
"বাপকা বেটি; সিপাহিকা ঘোড়ি"

১৫| ২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ৭:৪৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
এমন তথ্যবহুল আলোচনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

২৮ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

আপনাকেও ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ার জন্য। সেই সাথে অনুরোধ ফরমায়েশি গবেষক ও কয়লা কোম্পানির মুখপত্রদের বিভ্রান্তিমূল তথ্য থেকে।

১৬| ২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

আখেনাটেন বলেছেন: এই শ্রেণির লোকে এখন দেশটা ভরে গেছে। নিজের সামান্য লাভের জন্য গোটা জাতিকে হেয় করে যাচ্ছে এরা। কী ধরণের ভণ্ডামি হিসেবে এটাকে বিবেচনা করা যেতে পারে অাল্লাহ মালুম!

২৮ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
কয়লা কোম্পানির মুখপত্রদের বিভ্রান্তিমূল তথ্য থেকে নিজে সাবধান হউন ও অপরকে সতর্ক করুণ যাতে করে বিভ্রান্ত না হয়। আপনাকে ধন্যবাদ।

১৭| ১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

থিওরি বলেছেন: ভবিষ্যৎ পরিষ্কার। আপনার লেখাগুলো বুকমার্ক করে রাখলাম। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.