নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

উত্তরাঞ্চলের ৪ টি জেলায় অস্বাভাবিক বন্যা; বাংলাদেশে আগামী ২ সপ্তাহে ১৯৮৮ সালের মতো বড় মানের বন্যা আসন্ন কি?

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭



The message is clear and loud; time is running out; there shouln't be any room for doubt !!!!


"জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের কার্যালয় (ইউএনআরসিও) ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ গবেষণাকেন্দ্র (জেআরসি) বৈশ্বিক বন্যা পরিস্থিতি বিষয়ক একটি প্রতিবেদনে পূর্বাভাষ করেছেন যে ২০০ বছরের বেশি সময়ের ইতিহাসে ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার উজানে বন্যার মাত্রা সবচেয়ে ভয়াবহ হতে পারে।"

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ৪ টি জেলায় (পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, ও নীলফামারী) গত ৪ দিন থেকে এক নাগাড়ে বৃষ্টি হয়ার কারণে ঐ ৪ টি জেলয় সর্ব-কালের বড় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে প্লাবিত এলাকার পরিমান স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বন্যা ১৯৮৮ সালকেও অতিক্রম করে গেছে। পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, ও নীলফামারী জেলায় বন্যা পরিস্থিতি চরম খারাপ। পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে গিয়ে দেখা যাচ্ছে স্কুলের বারান্দায় গরু-ছাগল ও মানুষের সহ অবস্থান।

অত্যান্ত দুঃখ জনক বিষয় হলো বন্যা পরিস্থিতির কোন খবর গনমাধ্যম গুলোতে এখনও অনুপস্হিত। এমনি কি গনমাধ্যমগুলোর অনলাইন ভার্ষনেই নাই। ব্যাপারটা নিজের কাছে কেমন জানি অ-স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। তাহলে কি ধরে নিতে হবে ঐ সকল এলাকার সকল মানুষ মিথ্যে কথা বলছে; বন্যা পরিস্থিতির যে ছবি দিচ্ছে সেগুলো ফটোশপ করা? নাকি বাংলাদেশের মিডিয়ার চামড়া গণ্ডারের মতোই ৭ স্তর পুরু; চিমটি কাটলে ৭ দিন পড়ে টের পায়।

আবহাওয়া বিজ্ঞানের উপর বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত তথ্য মাধ্যম গুলোর বন্যা পূর্বাভাষ মডেল হতে প্রাপ্ত চিত্র, কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ হতে প্রাপ্ত বায়ু প্রবাহ ও বৃষ্টিপাতের নিয়ার রিলেট টাইম চিত্র, আগামী ৩ দিনের বৃষ্টিপাত পূর্বাভাষের বিভিন্ন চিত্র ব্যবহার করে আবহাওয়া বিজ্ঞানের উপর নিজের অর্জিত সকল জ্ঞান প্রয়োগ করে বাংলাদেশে আগামী ২ সপ্তাহ সম্ভব্য যে বন্যার চিত্র কল্পনা করছি সেটা আসলেই ভয়ংকর।

উপরোক্ত প্রশ্নের উদ্রেক হতো না যদি না ঘুম থেকে উঠে ছোট ভাইয়ের ফেসবুক ওয়াল থেকে জানতে পারতাম যে আমাদের এলাকার প্রায় ১৫০ জন মানুষ নিজেদের বাড়-ঘত ছেড়ে স্কুলে অশ্রয় নিয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার ৩ টি জেলা বাদ দিলে সমুদ্র সমতল থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু স্থানে অবস্থিত নীলফামারী জেলাটি। নির্দিষ্ট করে ১৯৮৮ সালের বন্যার কথা বলা এই কারণে যে ১৯৮৮ সালের বন্যা ব্যতীত গত ৩০ বছরে সংঘটিত অন্য কোন বন্যায় আমাদের এলাকার কোন মানুষে নিজের বাড়ি-ঘড় ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হয় নি। ১৯৮৮ সালের বন্যাটি আমার নিজের চোখে দেখা। দাদা ছিলও জনপ্রতিনিধি। বন্যা উপদ্রুত মানুষদের জন্য আসা ত্রাণ বিতরণ করা হতো আমাদের বাড়ির উঠান হতে। শৈশবে আমার নিজের ঘুমানোর ঘরটি ছেড়ে দিতে হয়েছিল বন্যার জন্য আসা ত্রাণের গোডাউন হিসাবে। বন্ধু ও ছোট ভাই এর দেওয়া ছবি দেখে নিশ্চিত করেই বলতে পারি এবারের এই বন্যার পানি ১৯৮৮ সালের ঐ বন্যার অবস্থা ছাড়িয়ে গেছে।

নিচে বেশ কিছু আবহাওয়া চার্ট (প্রাপ্ত বায়ু প্রবাহ, বৃষ্টিপাত, বন্যা পূর্বাভাষ, নদীর প্রবাহ, বন্যা উপদ্রুত এলাকার ম্যাপ) যোগ করে দিচ্ছি। বন্ধু লিস্টে অনেক সাংবাদিক আছে। আশা করছি জান ও মালের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিষয়টির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিবেন। আপনাদের কোন তথ্যের প্রয়োজন হলে আমাকে জানাবেন নিজের সামর্থ্য ও সীমাবদ্ধতা অনুসারে চেষ্টা করবো আপনাদের সর্বোচ্চ নির্ভরযোগ্য তথ্য ও চিত্র দেওয়ার জন্য।



National Oceanic and Atmospheric Administration (NOAA) কর্তৃক পরিচালিত Color-enhanced Global Winds Visualization সাইট থেকে রিয়েল টাইম বায়ু প্রবাহের চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম দিকের জেলা বৃহত্তর দিনাজপুর এলাকায় স্থল ভাগের উপর মৌসুমি বায়ু প্রবাহের যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে (ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের মতো) তা দেখা যায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় এর সময়। এই বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে ঠিক হিমালয় পর্বতের কোল ঘেঁষে (উপরের চিত্র) । ফলে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে ঐ এলাকায়।



বায়ুর প্রবাহের এই দিক, মেঘের অবস্থান ও বৃষ্টিপাতের চিত্র পুরো-পুরি মিলে যায় Tropical Rainfall Measuring Mission (TRMM) নামক সংস্থা কর্তৃক অনেক গূলো কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত বৃষ্টিপাতের চিত্র যোগ করে বৃষ্টিপাতের ফাইনাল একটি ম্যাপের সাথে (NASA's Level 3 Integrated Multi-Satellite Retrievals for GPM ( IMERG ) gridded product (7-day accumulated precipitation))।

Tropical Rainfall Measuring Mission (TRMM) নামক সংস্থা অনেক গূলো কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত বৃষ্টিপাতের চিত্র যোগ করে বৃষ্টিপাতের ফাইনাল একটি ম্যাপ প্রস্তুত করে প্রতি ৩ ঘণ্টার ও ৭ দিনের। ওয়েবসাইটে পাশা-পাশী চিত্রে দেখা যাচ্ছে গত ৩ ঘণ্টা ও গত ৭ দিনের সর্বমোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।



গত ৭ দিনের বৃষ্টিপাতের চিত্র হতে দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা ও সন্নীহীত ভারতের এলাকা গুলোতে (দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, সিকিম) গুলোর উপর প্রায় ১০০০ মিলিমিটারের (১০০ সেন্টি মিটার বা ১ মিটার) অধিক বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে তিস্তা বাধের উজানে ভারতের গজল ডোবা বাঁধ খুলে দিতে বাধ্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষ (সর্বশেষ সংবাদ: "ভারতের গজলডোবা বাঁধের সব গেট খুলে দেয়ার কারণে তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সব (৪৪টি) জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।")।

এছাড়া ঐ সকল স্থানে পতিত বৃষ্টিপাত দিনাজপুর জেলার আত্রাই নদী, নীলফামরি, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী, ময়মনসিংহ ও জামালপুর জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত বক্ষ্রমপুত্র নদের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে যমুনা নদীতে মিলিত হবে। ফলে বর্তমান সময়ে বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর জেলায় সংঘটিত বন্যার পানি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাংলাদেশের মধ্যভাগে প্রবেশ করবে। ফলে বন্যার অবনিতি হবে সেটা হলফ করেই বালা যায়।



আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এর Tropical Rainfall Measuring Mission (TRMM) এর ওয়েবসাইটে বর্তমান সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে চলমান বৃষ্টিপাত, বন্যায় আক্রান্ত এলাকা ও অতিবৃষ্টির কারণে ভূমিধ্বস এর সম্ভাবনা আছে এমন এলাকার মানচিত্র পাওয়া যায়। এই সাইটে বাংলাদেশে বন্যা উপদ্রুত এলাকার নিম্নোক্ত চিত্রটি পাওয়া যাচ্ছে।



আমেরিকার আমেরিকার University of Maryland এর Global Flood Monitoring System ওয়েবসাইট হতে সারা বিশ্বের বৃষ্টিপাত, বন্যা, নদীর প্রবাহ এর চিত্র পাওয়া যাবে (বর্তমান সময়ের ৩ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত; অর্থাৎ, দুপুর ১২ টায় পাওয়া যাবে সকাল ৯ টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত এর চিত্র)। এখানে উল্লেখ্য যে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে নিখুঁত কৃত্রিম উপগ্রহ হলো Global Precipitation Measurement (GPM)




Extreme Rainfall Detection System পোর্টাল থেকে রিয়েল টাইম সারা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের আগামী ২৪ ঘণ্টা (১ দিন), ৭২ ঘণ্টা (৩ দিন) ও ১৪৪ ঘণ্টা (৬ দিন) এর বন্যার পূর্বাভাষ পাওয়া যায়। একই সাথে নির্দিষ্ট বন্যার ফলে ঐ এলাকায় কি পরিমাণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেই সংখ্যাও পাওয়া যায়। আর একটি তথ্য পাওয়া যায় ঐ পোর্টাল থেকে তা হলও ঐ সকল স্থানে সম্ভাব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। কোন স্থানে কোন ধরনের বন্যা হবে (সাধারণ, মধ্যম ও প্রচণ্ড) তা ৩ টি কালারের মাধ্যমে নির্দেশ করা হয়ে থাকে। এই পোর্টালটি ইতালির Information Technology for Humanitarian Assistance, Cooperation and Action (সংক্ষেপে ITHACA) নামক একটি সংস্থা পরিচালনা করে থাকে। UN World Food Programme (WFP) এই পোর্টালের তথ্য ব্যবহার করে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অতি বৃষ্টি ও বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মধ্যে রিলিফ বিতরণ করে থাকে।



আগামী ২৪ ঘণ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ২০০ মিলিমিটার এর অধিক বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাষ করে হয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম শহরে চলমান জলাবদ্ধতার আরও অবনতি হবে তাই নিশ্চিত করেই বালা যায়।



আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারতের মেঘালয় জেলায় ৩০০ মিলিমিটার এর অধিক বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাষ করে হচ্ছে। ফলে ঐ বৃষ্টি বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের হাওর এলাকায় চলমান বন্যার আরও অবনতি ঘটাবে তা নিশ্চিত করেই বালা যায়।

উত্তর-পূর্ব ভারতের যে এলাকা গুলোতে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে (ভারতীয় দিনাজপুর, বিহার রাজ্য) তার পানি ফারাক্কা বাধের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হবে। ভারত ফারাক্কা বাধের অনেক গুলো গেট খুলে দিতে বাধ্য। ফলে পদ্মা নদীর পানি রাজশাহী অঞ্চলেও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। গত ২৪ ঘন্টায় ভারতের বিহার ও উত্তর প্রদেশ রাজ্যে যে পরিমান বৃষ্টি হয়েছে তাতে করে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফারাক্কা বাঁধের সকল গেট খুলে দেওয়ার সংবাদ শুনলে অবাক হবো না; বরং খুলে না দিলে অবাক হবো।

অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের স্থল ভাগের ৩ দিকেই প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে গত ৭ দিনে ও এখনও হচ্ছে। ঐ সকল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট পানি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাংলাদেশের বন্য পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে।

****************************************************************************************
সম্ভব্য একটি বড় মাপের বন্যা নিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা কি ভাবছেন?
****************************************************************************************

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে এ বছর দেশে একটি বড় মাপের বন্যার সম্ভাব্যতা নাকচ করে দিয়েছে। কারণ হসিবে তারা উল্লেখ করেছেন যে ২০১৫-১০১৬ সালেটি ছিলও এল-নিনো এর বছর ও এলনিনো এর পরের বছর বাংলাদেশে স্বাভাবিকের চয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়।

****************************************************************************************
"মধ্য ও পূর্ব বিষুবীয় প্রশান্ত-মহাসাগর" (Central & Eastern Tropical Pacific) এর সমুদ্র পৃষ্ঠের পানির তাপমাত্রা প্রতি ২ থেকে ৭ বছর পর-পর স্বাভাবিক তাপমাত্রর চেয়ে বেড়ে বা কমে যায়।

ঐ অন্বচলের মুদ্র পৃষ্ঠের পানির তাপমাত্রা যদি পর-পর ৫ মাস স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে শুন্য দশমিক ৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড বেশি থাকে তবে ঐ অবস্হাতে বলা হয় এল-নিনো। বিপরীতক্রমে পর-পর ৫ মাস স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে শুন্য দশমিক ৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড কম থাকে তবে ঐ অবস্হাকে বলা হয় লা-নিনা।

এখানে উল্লেখ্য যে বাংলাদেশের মৌসুমি বৃষ্টিপাত "এল-নিনো সাউর্দান ওছিলেসন" (El-Nino Southern Oscillation) নামক বা এল-নিনো" (El-Nino) এবং "লা-নিনা" (La-Nina) নামক দুইটি প্রক্রিয়ার এর সাথে কিছুটা সম্পর্কযুক্ত।

****************************************************************************************
আমি বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তদের সাথে কিছুটা দ্বিমত পোষণ করছি নিম্নোক্ত কিছু কারণে।

প্রথমত:

২০১৫-২০১৬ সালের El Nino ছিলও রেকর্ডেড হিস্টোরিতে সবচেয়ে শক্তিশালী (প্রশান্ত মহাসাগরের পৃষ্ঠের পানির তাপমাত্রা ও তার বিস্তার অনুসারে)। যার কারণে আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে স্বাভাবিকের চয়ে বেশি বৃষ্টিপাত, বন্যা ও ভূমিধ্বস এর পূর্বাভাষ করা হয়েছিল ২০১৫-২০১৬ এর শীত কালে। কিন্ত ঐ ঘটনা গুলোর কোনটাই ঘটে নি গতবছর। অবাক করা বিষয় হলও গতবছর পূর্বাভাষ করা ঐ সকল ঘটনা ঘটেছে ২০১৬-২০১৭ সালের শীত কালে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে সর্বশেষ El Niño–Southern Oscillation (ENSO) এর কারণে যে ঘটনা গুলো আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে যে সময়ে সংঘটিত হওয়ার কথা ছিলি তা অপেক্ষা ১ বছর পরে সংঘটিত হয়েছে।

গত জুন মসে আমেরিকার National Center for Atmospheric Research সংক্ষেপে NCAR এ "Advance Study Program (ASP) summer colloquium: 'The Interaction of Precipitation and Orography' ট্রেনিং চলাকালীন Kevin E. Trenberth নামক এক বৈজ্ঞানিকের সাথে আমার একটা মিটিং হয়েছিল। এই বৈজ্ঞানিককে তুলনা করা যেতে পারে আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষণার "শাহরুখ খান"। আবহাওয়া ও জলবায়ু বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে গবেষণা করে পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নাই যে ব্যক্তি তার নাম শুনে নাই। এল-নিনো, লা-নিনা গবেষণার একজন পাওয়োনিয়ার বলে হয়ে থাকে তাকে।

বৈজ্ঞানিক Kevin E. Trenberth সাথে আলোচনার সময় উনি স্পষ্ট করে আমাকে বলেছেন সময় এসেছে ENSO Teleconnections and Indian Monsoon Rainfall নিয়ে নতুন করে চিন্তা করার (lead-lag relationship)। বিশেষ করে ENSO Teleconnections ম্যাকানিজম ২০১৫-২০১৬ ও ২০১৬-২০১৭ সালের আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে বৃষ্টিপাতের প্যাটার্ন প্রেডিক্ট করতে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ হয়েছে।

দ্বিতীয়ত:

আপনারা যদি বাংলাদেশের ২০১৭ সালের বৃষ্টিপাতের প্যাটার্ন ও পরিমাণ লক্ষ করে থাকেন তবে দেখবেন মৌসুমের শুরুতে (এপ্রিল-মে মসে) বাংলাদেশের রেকর্ডেড হিস্টোরিতে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আমি আমার জীবনে দেখিনি বৈশাখ মাসে বৃষ্টির পানিতে পুকুর ভরাট হওয়া; যে ঘটনা ২০১৭ সালে ঘটেছে। বিশেষ করে বৃহত্তর রংপুর-দিনাজপুর এলাকায়। সিলেট অঞ্চলেও বৃষ্টিপাতের একই রকম চরিত্র দেখা গেছে। হাওড় এলাকার মানুষ বছরের একমাত্র ফলস হারিয়েছে মৌসুমের শুরুতে পাহাড়ি ঢলের কারণে। অর্থাৎ, স্পষ্টত দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের ২০১৭ সালের বৃষ্টিপাত আবহাওয়া বিজ্ঞানের গ্রামার মেনে চলছে না বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই।

আবহাওয়া বিজ্ঞানের সবচেয়ে বেসিক কনসেপ্ট "the atmosphere is a chaotic system. This means that it is sensitively dependent on initial conditions. In a chaotic system, a slight change in the input conditions can lead to a significant change in the output forecast." আমরা যদি উপরোক্ত কনসেপ্টকে সত্য বলে গ্রহণ করে থাকি তবে কখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব না যে ২০১৫-২০১৬ সালটি ছিলও এলনিনো এর বছর তাই এই বছর বাংলাদেশে বড় মানের বন্য হওয়ার সম্ভাবনা নাই। সর্বোপরি কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণাও প্রমাণ করেনি যে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত ও তার ফলে সৃষ্ট বন্যার জন্য পূর্ব শর্ত এলনিনো হওয়া।

নিচে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, ও নীলফামারী জেলার বর্তমান বন্যা পরিস্হিতির কিছু ছবি যোগ করা হলো বন্যার সার্বিক অবস্হা জানানোর জন্য।

নিচের ৪ টি ছবি আমার নিজের গ্রামের (নীলফামারি জেলার সদর উপজেলার গোড়-গ্রাম মাঝ পাড়া গ্রাম)









ছবি: ব্লগার আমিনুর ভাই এর স্ত্রী এর স্কুল এলাকার ছবি (নীলফামারি জেলা)।

দিনাজপুর জেলা সদরের বন্যা উপদ্রুত এলাকার চিত্র:



ছবি কৃতজ্ঞতা: ফেসবুক পেজ Dinajpur 360

"মা তার সন্তানকে বুকে আগলে ধরে বাঁচানোর চেষ্টা!বাবা তার সন্তানকে বন্যার পানি থেকে বাঁচানোর জন্য ভেলা টানা, ভাই তার বোনকে বাঁচানোর জন্য সচেষ্ট হওয়া! ছবিটি দিনাজপুর জেলার ভূষিরবন্দর এলাকা থেকে তোলা।"


ছবি: দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার বন্যা উপদ্রুত এলাকার চিত্র: বন্যা দুর্গত এই মানুষ গুলো চোখে দিকে মাত্র ১ মিনিট তাকিয়ে তাদের অবস্থা অনুভব করার চেষ্টা করুন।

পঞ্চগড় জেলার বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক চিত্র নির্দেশ করতেছে নিচের ৪ টি ছবি। ছবি গুলো ছোট ভাই (পঞ্চগড় জেলার দেবিগন্জ উপজেলায় বাড়ি) ও বোদা উপজেলা প্রসাশন এর ফেসবুক পেজের ওয়াল থেকে সংগৃহীত।









নিচের ৪ টি ছবি ঠাকুরগাঁও জেলার বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা নির্দেশ করতেছে। ছবি গুলো ঠাকুরগাঁও জেলার এক বড় ভাই এর কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। ছবিতে মাথায় গামছা পরিহিত মানুষটি হলো ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ও তার পাশে ছাতা মাথায় অন্য ব্যক্তিটি হলে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র।









গত ৩/৪ দিন ধরে বৃহত্তর রংপুর-দিনাজপুর এলাকায় কি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে; ও ঐ জেলা গুলোতে বন্যা পরিস্হিতি কতটা করুণ তা উপরের ছবি গুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের ৪ টি জেলায় যে বন্যা দেখা দিয়েছে তা সম্পূর্ণ রূপে অস্বাভাবিক। এখানে উল্লেখ্য যে ঐ ৪ টি জেলা সমুদ্র সমতল থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে উঁচু স্হানে অবস্হিত। ঐ জেলা গুলোর বন্যার পানি নামা শুরু করলে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি এলাকা প্লাবিত হবে যমুনার তীরবর্তী এলাকায়। ঠিক এই কারণেই ১৯৯৮ সালের বন্যার কথাটা স্মরণ করা হয়েছে উপরে।

আশা করছি জান ও মালের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বশীল ব্যাক্তিরা বিষয়টির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিবেন।

গনমাধ্যমে কর্মরত বন্ধুদের কোন তথ্যের প্রয়োজন হলে আমাকে জানাবেন নিজের সামর্থ্য ও সীমাবদ্ধতা অনুসারে চেষ্টা করবো আপনাদের সর্বোচ্চ নির্ভরযোগ্য তথ্য ও চিত্র দেওয়ার জন্য।

====================================================
বন্যা পরিস্থিতি আপডেট ১: (মঙ্গল বার দুপুর ৩ টা)
====================================================

রিলিফের জন্য বন্যা দুর্গত মানুষের হাহাকার, সরকার- গণমাধ্যম নির্বিকার। নাগরিক সাংবাদিকতাই প্রধান ভরসা বিপন্ন মানুষদের দুর্দশা দেশের মানুষকে জানানোর। (ছবি কৃতজ্ঞতা: ফেসবুক পেজ Dinajpur 360 )






স্কুল জীবনের বন্ধু, চাকুরী সূত্রে বর্তমানে জামালপুরে কর্মরত। তার এলাকার বন্যা পরিস্থিতি যেমন

"দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা, জামালপুর । চারিদিকে শুধু পানি আর পানি । নৌকা ছাড়া বাসা থেকে বের হওয়া যায়না।"





ছবি কৃতজ্ঞতা: আরবিন্দু রয়, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা, জামালপুর

====================================================
বন্যা পরিস্থিতি আপডেট ২: (মঙ্গল বার রাত ১১ টা)
====================================================

বন্যা দুর্গত মানুষরা কেমন আছেন আর সরকার তাদের কতটু সাহায্য করছে তা বোঝানোর জন্য প্রথম আলো পত্রিকার একটা সংবাদ হতে নিম্নোক্ত অংশ কোট করলাম:

এই পানির মধ্যে কীভাবে থাকছেন জানতে চাইলে বলেন, ‘ঘর ছাড়ি কোনটে যামো। চাইরো পেকে তো খালি পানি আর পানি। সাপ-জোঁকের ভয় নিয়া আছি। তা-ও কারও সাহায্য না পাওছি।’ গ্রামেরই দিনমজুর আফজাল হোসেন (৪০) বলেন, ‘কামকাজ নাই, কী করমো বাবা। চার দিন থাকি পানির মধ্যে আছি। এখন পর্যন্ত কায়ও একটা দানাও দেয় নাই।’

রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বলেন, ‘উপজেলার ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী। এসব মানুষকে ন্যূনতম এক কেজি করে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করতে ইউএনওকে বলেছিলাম। কিন্তু তা হয়নি। আমার নিজস্ব তহবিল থেকে বন্যার্ত মানুষের মধ্যে খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে।’

তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিলুফা সুলতানা বলেন, সরকারিভাবে যে ১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে, তা আজ থেকে বিতরণ করা হচ্ছে। "

১০ মেট্রিক টন চাল = ১০ হাজার কেজি; ঐ উপজেলার ৩০ হাজার পানিবন্দী মানুষের মধ্যে যদি মাত্র ১০ হাজার চরম দারিদ্র মানুষ বন্যা দুর্গত হয়ে থাকে; আর সরকারি দলের নেতা-কর্মী, চেয়ারম্যান-মেম্বার যদি ১ গ্রাম চাউলও চুরি না করে তবুও প্রতিটি বন্যা দুর্গত পরিবার পাবে গড়ে সর্বোচ্চ ১ কেজি চাউল। একটা দুর্গত পরিবারে যদি মাত্র ৪ জন সদস্য থাকে আর দিনে ২ বার মাত্র অর্ধ-পেট ভাত খায় তবে সরকারি ত্রাণের ঐ চাউল দিয়ে সর্বোচ্চ ১ দিন ভাত খেতে পারবে। ভাত খাওয়ার জন্য আরও কিছু দরকার; যে জিনসগুলোর কথা না হয় বাদই দিলাম।



(ছবি কৃতজ্ঞতা: ফেসবুক পেজ Dinajpur 360 )


ছবি কৃতজ্ঞতা: ফারুক আব্দুল্লা

====================================================
বন্যা পরিস্থিতি আপডেট ৩: (১৬ই আগষ্ট, সকাল ৮ টা)
====================================================

"ব্রক্ষ্মপুত্র-যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে এখন যে পানিপ্রবাহ তা গত ষাট বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে মঙ্গলবার সকালে আগের সর্বোচ্চ পানি সমতল রেকর্ডের ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রক্ষ্মপুত্র-যমুনা নদীর নুনখাওয়া, চিলমারি, সারিয়াকান্দি, সিরাজগঞ্জ এবং আরিচার মতো স্পর্শকাতর পয়েন্টে আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এর ফলে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম এবং সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।" (সুত্র: চ্যানেল আই, ১৫ ই আগষ্ট, সময় রাত ১১ টা।)

====================================================
বন্যা পরিস্থিতি আপডেট ৪: (১৬ই আগষ্ট, দুপুর ১ টা)
====================================================

ঘুমোতে যাবার পূর্বে কোন-কোন এলাকার বোন-ব্রাদারদের আশার বানী ও কোন-কোন এলাকার বোন-ব্রাদারদের ভয় দেখাই। নিচে একটা ছবি দিলাম। ছবিটা সংগ্রহ করা হয়েছে আমেরিকার হাওয়াই রাজ্যে অবস্থিত Pacific Disaster Center এর তৈরিকৃত গত ৩ দিনের মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। ছবির রং যে স্থানে যত গাড় সেই স্থানে গত ৩ দিন তত বেশি পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে। লাল চার কোনা বক্সেরের মধ্যকার এলাকা হলও ভারতের বিহার ও উত্তরপ্রদেশ রাজ্য; ঐ এলাকার সকল বৃষ্টির পানি গঙ্গা নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ফারাক্কা বাঁধে হাজির হবে এর পরে দাদা বাবুদের দয়াপরবশ হয়ে ফারাক্কার বাঁধের দরজা গুলো খুলে দিলে আপনারা পদ্মার পানিতে সাঁতার কাটতে পারবে। মালকোঁচা মেরে এখন থেকেই সাঁতার কাটার জন্য রেডি হয়ে থাকেন।

ছবি কৃতজ্ঞতা: আমেরিকার হাওয়াই রাজ্যে অবস্থিত Pacific Disaster Center

লাল বৃত্তের মধ্যে সিলেটের প্রতিবেশি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বর্ডারের কাছে সবচেয়ে গাড় বাদামি রঙের স্থানটা হলো চেরাপুঞ্জি। মনে করার চেষ্টা করেন তো ঐ নামটা জীবনে শুনেছেন কি না? মনে করার চেষ্টা করেন তো পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয় ঐ স্হানের নাম কি? রাজশাহী অঞ্চলে বন্যার পানি দেখার জন্য হয়ত আরও ৩/৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে। সিলেটের হাওর এলাকার মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে। আগামী ১/২ দিনের মধ্যে।

শেষ করি উত্তরাঞ্চলের ৪ টি জেলায় (পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, ও নীলফামারী) মানুষদের আশার বানী শুনিয়ে। যদি নতুন করে ভারি বৃষ্টি না হয় (সম্ভাবনা একটু কম) তবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। বন্যার পানি সরে গেলে সবচেয়ে বড় যে সমস্যাট দেখা দেয় তা হলও কলেরার প্রাদুর্ভাব। বোন-ব্রাদার যারা ডাক্তার আছেন; নিজেদের সুযোগ-সুবিধার কষ্ট লুকাইয়া হাঁসি মুখে দুর্গত মানুষগুলোর একটু সেবা করিবেন।

‘আইজ হামরা কোনো খাই নাই বাহে’

সিরাজগঞ্জে বন্যায় ২১০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীর সঙ্গে জেলাটিসহ সারা দেশের সড়ক ও রেল যোগাযোগ আজ সকাল আটটা থেকে বন্ধ হয়ে গেছে

ষাট বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনার পানি

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুরে দূর্গত মানুষদের মন্তব্য "আশ্রয় নেই, ত্রাণও নেই"

====================================================
বন্যা পরিস্থিতি আপডেট ৫: (১৭ ই আগষ্ট, রাত ১ টা)
====================================================

বন্যার ভয়াবহতা কি সরকার এখনও বুঝতে পারতেছে না?

বুঝতে পারলে তো পুরো একটা উপজেলার লাখের উপরে দুর্গত মানুষদের জন্য ৮০ হাজার টাকা; কিংবা এক উপজেলার ৩০ হাজার দুর্গত মানুষের জন্য ১০ হাজার কেজি (জন প্রতি ৩০০ গ্রাম) চাউল বিতরণ করতো না। পত্রিকার তথ্য মতেই এখন পর্যন্ত বন্যায় ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য গত ৪৮ ঘণ্টায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি পানিতে ডুবে ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। । মৃত মানুষের প্রকৃত সংখ্যাটি যে আরও বেশি সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

গত কয়েক দিন থেকে গণমাধ্যমে বিভিন্ন পানি প্রকৌশলী বাংলা লিংক দামে মন্তব্য করে যাচ্ছে বন্যা ১৯৮৮ সালের মাপের হবে না ১৯৯৮ সালের মানের হবে; বা ঐ দুইটার কোন টার ধারের কাছেও যাবে না। সেই Water resources engineers দের বলতে চাই বন্যার পানিকে যদি পাথরের তৈরি পাহাড়ের সাথে তুলনা করি; তবে গোটা একটা পাহাড় ধসে পড়ার দরকার নাই; পাহাড় হতে মাঝারি মানের (২০০-৩০০ মিটার ব্যাসার্ধের) একটা পাথ গড়িয়ে পড়লেও নিজের চলার পথে ঘড়-বাড়ি, গাছ-পালা সব কিছুই পিষে মেরে সামনের দিকে এগোতে থাকবে। পিছন দিকে থাকবে শুধু ধ্বংসের চিহ্ন।

পানি প্রকৌশলী নিজেরাই বলতেছে বন্যা ১৯৮৮ সালের মাপের হবে না ১৯৯৮ সালের মানের হবে না; ১৯৮৮ সালের বন্যার সময় ঢাকা শহরে ডুবে ছিলও অনেক দিন; দেশের প্রায় ৬০ % এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে ছিলও। তাদের প্রশ্ন করি ঢাকা শহরের আয়তন কতো? ইতিমধ্যে ২০ টি জেলা বন্যা আক্রান্ত। ঐ ২০ টি জেলার আয়তন কতো? কত মানুষ বাস করে? ঐ ২০ জেলার মানুষদের আর্থিক অবস্থা কেমন? বন্যা পরবর্তী তাদের নিজের পুনর্বাসনের সক্ষমতা কেমন? ঐ ২০ টি জেলার উৎপাদিত ধান ও শাক-সবজি ঢাকা শহরের কত % খাদ্যের যোগান দেয়?

সরকারি প্রতিষ্ঠান পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য বলতেছে যমুনা নদীর পানি গত ৬০ বছরে বিপদ সীমার এত উপরে দিয়ে প্রবাহিত হয় নাই। অন্যান্য নদী গুলো ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

অনেকেই নিজেদের পানি বিশেষজ্ঞ ও পানি প্রকৌশলী দাবি করতেছে; কিন্তু তারাই এবার প্রশ্ন করতেছে নদীতে এত পানি আসতেছে কোথা থেকে? তারা হয়ত বিজ্ঞান গবেষণায় প্রচলিত একটা কথা ভুলে গেছে; তাই আবারও মনে করিয়ে দিতে চাই; Think outside the box; Look outside the Bangladesh border।

জানি আপনারা সেটা করবেন না; আপনাদের ক্যারিয়ার জীবনে নতুন করে পাওয়ার কিছু নাই; তাই আপনাদের নতুন করে কিছু জানার আগ্রহ নাই; শেখার ইচ্ছেও নাই। তাই আপনাদের প্রশ্নের উত্তরে নিচের কয়েটি মানচিত্র যোগ করে দিলাম। বাংলাদেশের নদীতে এত পানি কোথা থেকে আসতেছে সেটা নিজেই দেখে নিন। নিচের চিত্র গুলো প্রস্তুত করা হয়েছে বর্তমান সময়ে পৃথিবীর সবচয়ে নির্ভুল কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA ও জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা JAXA এর Global Precipitation Measurement (GPM) নামক ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও অন্যান্য দেশের একাধিক কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ দ্বারা সংগৃহীত তথ্যের সাহায্যে।



৩ দিন পূর্বে বলেছি, আজকে আবারও মনে করিয়ে দেই সবাইকে, প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ও ৩০০-৫০০ কিলোমিটার প্রস্থের এলাকার উপর পতিত ১ মিটার উঁচু (৩ ফুট) পানি একত্রিত হয়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদী গুলোর মধ্যমে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হবে। বাংলাদেশের নদী গুলোর ঐ ক্ষমতা নাই যে ঐ পরিমাণ পানি ১ সপ্তাহের মধ্যে প্রবাহিত করবে; বড় রকমের বন্যা ছাড়াই।



বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ৪ টি জেলা (পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, ও নীলফামারী), ভারতের পশ্চিম বঙ্গের দার্জিলিং, শিলিগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় ৪ দিন ধরে একনাগাড়ে প্রায় ১০০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এত অল্প সময়ে এত অধিক বৃষ্টিপাত ঐ সকল এলাকায় পূর্বে কোনদিন হয় নি (বাবা-দাদাদের জীবদ্দশায়)।

আবহাওয়া বিজ্ঞানের ভাষার এই ধরনের ঘটনাগুলোকে বলা হয়ে থাকে Extreme Events। এই ধরণের ঘটনা গুলো গ্রামার মেনে চলে না। আর একটি সহজ উদাহরণ দেই বুঝার সুবিধার্থে। রাতের মেঘ মুক্ত আকাশের দিকে তাকালে সবসময়ই কিছু ধূমকেতু দেখা যায়। কিন্তু হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায় প্রতি ৭৫ বছর পর-পর। এবারের বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বৃষ্টিপাতের ঘটনাটি ঐ হ্যালির ধূমকেতু দেখার মতোই ঘটনা। আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা এই Extreme Events নিয়ে আগামী দিনে গবেষণা করবে নিশ্চিত করেই বলা যায়। এই বৃষ্টিপাতের কারণ জানার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে বৈজ্ঞানিকদের গবেষণা ও তার ফলাফল প্রকাশ করা পর্যন্ত।



পানি বিশেষজ্ঞ ও পানি প্রকৌশলীদের অনুরোধ করছি, নদীর পানি কোথা থেকে আসতেছে সেই প্রশ্নের উত্তর জানা এখন গুরত্বপূর্ন না; এখন গুরত্বপূর্ন হলো যে মানুষরা ইতিমধ্যে বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও বন্যার পানি বন্দি তাদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্হা করা; আর যে মানুষরা আগামী ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে বন্যার পানিতে প্লাবিত হতে যাচ্ছে তাদের জান ও মালের রক্ষার করার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিন।

উপরে ৩ টি ছবি যোগ করা হলো বিভিন্ন রেজুলেশনে। এই ছবিগুলোতে স্থানের নামও আছে। ছবির রং যে স্থানে যত গাড় সেই স্থানে তত বেশি পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই ছবি বন্যার শুরু প্রথম ৪ দিনের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নির্দেশ করতেছে। এই ছবি গুলো দেখলেই বোঝা যাবে বন্যার পানি সামনের দিন গুলোতে কোন কোন জেলায় উপর দিয়ে প্রবাহিত হবে।



বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাষ মানচিত্রও সাক্ষ্য দিচ্ছে উত্তরাঞ্চলের ৪ টি জেলায় (পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, ও নীলফামারী) বন্যার প্রকোপ কমে আসা শুরু করেছে; ও ঐ ৪ টি জেলার ভাটির জেলাগুলোতে বন্যা শুরু হয়েছে; সময়ের সাথে যার প্রকোপ বাড়তে থাকবে।



ছবি কৃতজ্ঞতা: Pacific Disaster Center, বৃষ্টিপাতের তথ্য: Tropical Rainfall Measuring Mission (TRMM), (NASA's Level 3 Integrated Multi-Satellite Retrievals for GPM ( IMERG ) gridded product (7-day accumulated precipitation)


বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৩ লাখ মানুষ

ফরিদপুরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ফাটল

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে ভয়াল রূপ নিয়েছে বন্যা

জামালপুরের সরিষাবাড়ীর তারকান্দি-ভুয়াপুর সড়ক বাঁধটি আজ যমুনার নদীর পানির তোড়ে ভেঙে গেছে।

২৬ জেলার বন্যা পরিস্থিতি: বড় বন্যার আশঙ্কা, প্রস্তুতি কম

বন্যা মোটেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, এটা মানুষ সৃষ্ট রাজনৈতিক দুর্যোগ!!!

২২ জেলায় বন্যা মৃতের সংখ্যা শতাধিক

====================================================
বন্যা পরিস্থিতি আপডেট ৬: (১৭ ই আগষ্ট, দুপুর ২ টা)
====================================================

কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের আকাশে বর্তমানে যে বায়ু আছে তাতে জলিয় বাষ্পের পরিমাণ খুবই কম। ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশের ভারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে দু-এক জায়গার অল্প বৃষ্টি হতে পারে।



কমলা ও হলুদ কালার নির্দেশ করতেছে শুষ্ক বাতাস (যত বেশি কমলা ও হলুদ তত বেশি জলিয় বাষ্প); নীল-সবুজ-লাল কালার নির্দেশ করতে আর্দ্র বাতাস (যত বেশি সবুজ ও তত বেশি জলিয় বাষ্প)। আকাশে জলিয় বাষ্প না থাকলে মেঘের সৃষ্টি হবে না; মেঘের সৃষ্টি না হলে বৃষ্টি হবে না। তবে সারা দিনে সূর্যের আলোর তাপে পৃথিবী পৃষ্ট থেকে পানি জলিয় বাষ্প হয়ে উড়ে গিয়ে দিনের শেষের দিকে কিছু মেঘের সৃষ্টি হতে পারে। তার ফলে রাতের বেলা কোন-কোন এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে।

বগুড়া, জামালপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগন্জ জেলায় বন্যা পরিস্হিতির অবনতি হতে পারে। পক্ষান্তরে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, ও নীলফামারীর বন্যা পরিস্হিতির উন্নতি হতে পারে।

অতঃপর প্রতীক্ষার অবসান করে পদ্মার পানি বাড়া শুরু করেছে ও আগামী ৭২ ঘণ্টা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। ঐ দিকে উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি বগুড়া, জামালপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো শুরু করেছে। ২১ শে আগস্ট অমাবস্যায় জোয়ারের পানি বন্যার পানি সমুদ্রে পতিত হতে বাঁধা প্রদান করবে। যমুনা ও পদ্মার মিলিত পানি ফরিদপুর, মাদারীপুর এলাকার মানুষ গুলোকে অনেক সাফার করবে বলে মনে হচ্ছে।

পানি বাড়ছে পদ্মার, হুমকিতে রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধ

====================================================
বন্যা পরিস্থিতি আপডেট ৭: (১৭ ই আগষ্ট, রাত ২ টা)
====================================================

দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা দারুণ একটা বিভাগ চালু করেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার চলমান পরিস্থিতি জানার জন্য। যে কেউ নিজ এলকার বন্যা পরিস্থিতি ও ছবি পাঠাতে পারেন নিম্নোক্ত লিংকে গিয়ে। এই সংবাদটি শেয়ার সবাইকে জানান। তাদের আহবানটি নিম্নরুপ:

বানভাসি জীবন নিয়ে জানান

"পানিবন্দী জীবন কেমন যাচ্ছে? আপনার এলাকার কী অবস্থা? অনেক খবরই হয়তো জানা যায় না। কিন্তু আপনিই লিখে বা ছবি তুলে জানাতে পারেন সর্বশেষ খবর। সর্বোচ্চ ৩০০ শব্দের মধ্যে নিজ এলাকার অবস্থা জানিয়ে লিখুন।"

====================================================
বন্যা পরিস্থিতি আপডেট ৮: (১৯ শে আগষ্ট, সকাল ৬ টা)
====================================================

The following image is taken by Japan's Space Agency's Himawari-8 satellite using a wavelength (Band 10 (7.3 µm)) sensitive to the content of water vapor in the atmosphere. Bright and colored areas indicate high water vapor (moisture) content (colored and white areas indicate the presence of both high moisture content and/or ice crystals).



সোজা বাংলা বলতে হয় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের আকাশে উচ্চ জলিয় বাষ্প যুক্ত মেঘ সঞ্চরণশীল ও বৃষ্টি হওয়ার সমূহ সম্ভাব্য রয়েছে। তবে এক নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে চিন্তার বিষয় এই যে বাংলাদেশে উত্তর-পশ্চিমে বক্ষমপুত্র অববাহিকায় নিয়মিত বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে যমুনা নদীর পানি খুব দ্রুত বিপদ সীমার অনেক নিচে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।

যেহেতু, আগামী ২১ শে আগস্ট অমাবস্যা; ফলে জোয়ারের পানি বন্যার পানিকে সমুদ্রে পতিত হতে বাঁধা প্রদান করবে। ফলে দেশের মধ্যাঞ্চলের চলমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা কম; নির্দিষ্ট করে বললে বলতে হয় ফরিদপুর, মাদারীপুর এলাকার মানুষ অন্তত পক্ষে আগামী ১ সপ্তাহ অনেক সাফার করবে বলে মনে হচ্ছে।

অনেক আশান্বিত হচ্ছি এই দেখে যে বরাবরের মতো দেশের অনেক স্বেচ্ছা সেবী সংগঠন বিবেকের তাড়নায় এগিয়ে এসেছে বর্না দুর্গত মানুষদের সাহায্যার্থে। অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ ঐ সকল স্বেচ্ছা সেবী সংগঠন, তাদের সাথে সম্পৃক্ত সেচ্ছাসেবী ও ঐ সকল সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকদের।

অবশেষে কিছু-কিছু মিডিয়ার ঘুম ভেঙ্গেছে বলে মনে হচ্ছে। ঐ সকল মিডিয়াকে ধন্যবাদ। তবে এখনও অনেক মিডিয়া আছে যাদের চামড়া গণ্ডারের চামড়ার চাইতেও পুরু ফলে গত ১২ ই আগস্ট থেকে চিমটি কেটে যাওয়ার পড়েও তাদে মস্তিষ্কে চিমটি কাটার অনুভূতি পৌছায় নি। এক কালের পরাক্রমশালী দৈনিক জনকণ্ঠ ও ভোরের কাগজের পরিণতি দেখেও যদি তারা শিক্ষা নিত তবে হয়ত সঠিক সময়েই বন্যা দুর্গত মানুষের দুর্দশার চিত্র প্রকাশ করত। কিন্তু প্রবাদে আছে ইতিহাসের সবচেয় বড় শিক্ষা হলও ইতিহাস থেকে সবাই শিক্ষা নেয় না।

====================================================
বন্যা পরিস্থিতি আপডেট ৯: (১৯ শে আগষ্ট, দুপুর ১২ টা)
====================================================

বন্যা পরবর্তী সরকারের করনীয় নিয়ে সাহিত্যিক Shakoor Majid এর নিম্নোক্ত চিন্তাভাবনাগুলো সরকারকে ভেবে দেখার অনুরোধ

"একটা খুব খারাপ সময় আসছে বলে মন বলছে। দেশের কৃষিপ্রধান দুটো অঞ্চল (উত্তরাঞ্চল আর ভাটি এলাকা) এ বছর ফসলশূন্য হচ্ছে। কেবলমাত্র ধানফলানোর উপর যারা নির্ভর ছিল, আগামি একবছর তাদের চূলা কী দিয়ে চড়বে তারা কেউ জানে না। পেটের জ্বালা মেটাতে তারা পার্শ্ববর্তী শহরগুলো এবং ক্রমাণ্বয়ে বড় শহরে আসবে কাজের সন্ধানে। শহরে কাজ পাবেনা। বাড়বে অপরাধ। তারা ব্যবহার হবে নষ্ট রাজনীতির কাজে। দেশে উন্নয়নের জন্য শিল্প, কলকারখানা বাড়লে তাদের কাজ পেতে সুবিধা হত। সে সম্ভাবনা নাই। রাজধানী শহরে কিছু কাজের সুযোগ আছে বিবেচনায় বন্যাবিপর্যস্তদের ভিড়ে এই অতি অতি জনবহুল শহরে বাড়বে অযাচিত জনচাপ। এ নিয়ে সরকারকেই ভাবতে হবে।

প্রেসদেখানো দুর্গতসাহায্যের মলমমাখানো কর্মকান্ড কমিয়ে অনাগত দুর্দিন মোকাবেলার যথাযথ পদক্ষেপ নিন। না হলে বন্যা দুর্গতদের অভিশাপ থেকে কেউ মুক্তি পাবে না।"

====================================================
বন্যা পরিস্থিতি আপডেট ১০: (২০ শে আগষ্ট, দুপুর ১২ টা)
====================================================

ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ হইয়া গেছে

গ্রামের কিছু সাহসী মানুষের বদৌলতে ভাগ্যের জোড়ে বেঁচে গেছে নীলসাগর এক্সপ্রেসের প্রায় ৮০০ যাত্রী। ভাঙ্গা ব্রীজের ১০০ গজ সামনে গিয়ে ট্রেন থেমে গেছে।

"টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় পৌলী নদীর ওপরের রেলসেতুর একাংশের মাটি বন্যার পানিতে ধসে গেছে। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রেলসেতুর কাছে নীলফামারী থেকে ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব স্টেশনে ঢাকাগামী রংপুর এক্সপ্রেস, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম স্টেশনে দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস এবং ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো জয়দেবপুর রেলস্টেশনে আটকা পড়ে আছে। "

====================================================
বন্যা পরিস্থিতি আপডেট ১১: (২২ শে আগষ্ট, সকাল ১১ টা)
====================================================

বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষকদের নিয়ে সরাজীবন কাজ করে যে মানুষটি কিংবদন্তি হয়েছে বাংলাদেশের মানুষদের কাছে সেই সাইখ সিরাজের ফেসবুক ওয়াল থেকে নিচের মন্তবটা কোট করলাম। বন্যা পরবর্তী কৃষক পুনর্বাসন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন।

"বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে সদ্য রোপন করা আমন ক্ষেত, সবজি ফসল, রোপা আমনের বীজতলা। ভেসে গেছে মাছের পুকুর, ঘের, গবাদিপশু। ২৬টি জেলার প্রায় অর্ধকোটি মানুষ হয়েছেন বহুমুখী ক্ষতির শিকার। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষক যাতে আবারো আমন রোপনের প্রস্তুতি নিতে পারে সে সহায়তা নিয়ে প্রস্তুত থাকার জন্য আহ্বান জানাই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ কৃষি বিষয়ক উন্নয়ন সংগঠন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি। দেশের এই দুর্যোগ মুহূর্তে আসুন বন্যা কবলিত ও দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াই।"

====================================================
বন্যা পরিস্থিতি আপডেট ১২: (২৪ শে আগষ্ট, সকাল ১০ টা)
====================================================

"সাপে কাটার ফলে, পানিতে ডুবে প্রায় দেড় শ মানুষ মারা গেছে। দুর্যোগের আগাম তথ্য, মোকাবিলার পরামর্শ; প্রশাসন যদি তা জানাত, তাহলে ক্ষতি কমত। তথ্যও একধরনের ত্রাণ; তা বিতরণের দায়িত্ব কিন্তু কর্তৃপক্ষেরই। কিন্তু ত্রাণের মতো তা-ও বিরল।"

সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফের উপরোক্ত মন্তব্যটি ছিলও আমার এই পোষ্টের মূল বক্তব্য। পৃকৃতির সাথে আমরা যুদ্ধ করতে পারবো না; কিন্তু আমাদের পূর্ব-প্রস্তুতি জান ও মালের ক্ষতি কমিয়ে আনতে পারবে হলফ করতে বলা যায়। বন্যা দুর্গত এলাকা ঘুরে কৃষক, গৃহহীন দিন-মজুর, বৃদ্ধ, শিশু ও মহিলাদের মানবেতর জীবন-যাপন নিয়ে দারুণ একটা প্রতিবেদন লিখেছে দৈনিক প্রথম আলোতে। সবাইকে পড়ে দেখার অনুরোধ রইল।

বন্যা ‘আপনারা শুনপেন না, দ্যাখপেন না অবস্থা?’

বন্যা দূর্গত মানুষের সাহার্যার্থে সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করে দারুন একটা লেখা

নিয়ম রক্ষার জন্য নির্বাচিত সরকারকে উন্নয়ন এবং মানুষের সুখ দেখিয়ে যেতে হয়। দেখাতে হয় কোনো প্রান্তিকতা নেই, দুর্যোগ নেই—সবাই সুখে-শান্তিতে দিনাতিপাত করছে। সবকিছু স্বাভাবিক। রাষ্ট্র তাই চায় কিছুদিন চোখ বন্ধ করে রাখতে, যেন এর মধ্যে বন্যার পানি নেমে যায়। এবং প্রান্তিক মানুষেরা আবার ফিরে যায় তাদের সাপ্তাহিক কিস্তির লুকিয়ে রাখা জীবনে, না খেয়ে মরে না যাওয়ার উৎসবে। কিন্তু রাষ্ট্র চোখ বন্ধ করে থাকলেই এই বন্যার্তদের দুর্দশা এখনো লাঘব হচ্ছে না। তাই উত্তরবঙ্গের এই বন্যাদুর্গত প্রান্তিক মানুষের আজকে আপনার সাহায্য প্রয়োজন।

====================================================
বন্যা পরিস্থিতি আপডেট ১৩: (২৪ শে আগষ্ট, রাত ১১ টা)
====================================================

মানুষ হিসাবে নায়ক অনন্ত জ্বলিল অনেক মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন সেটা সে অনেকবারই প্রমাণ করেছে। অনন্ত জলিল সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বন্যা কবলিত মানুষদের সহায়তা করতে অামি এসেছি। এটা কোনও দয়া নয়, এটা দুর্গত মানুষদের অধিকার।’

কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অাব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানান, অনন্ত জলিল চিলমারীর তিনটি ইউনিয়নের ২৪’শ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন। এরমধ্যে থানাহাট ইউনিয়নের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১১০০ পরিবারকে ত্রাণ বিতরণ করবেন। এছাড়াও রমনা ইউনিয়নের ৮০০ পরিবার এবং চিলমারী ইউনিয়নের ৫০০ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেবেন অনন্ত জলিল।

বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ সহায়তা দিতে কুড়িগ্রাম পৌঁছেছেন চিত্রনায়ক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল।

====================================================
বন্যা পরিস্থিতি আপডেট ১৪: (২৭ শে আগষ্ট, দুপুর ২ টা)
====================================================

বরাবরের মতো এবারের বন্যা পরবর্তী দুর্গত মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছে সমাজের সাধারণ মানুষরা। নিজের চার পাশের মানুষদের দেখছি নিজেদের সামর্থ্য অনুসারে ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন দুঃস্থ মানুষের দার গোঁড়ায়। যেমন

১) কুমিল্লা জেলে স্কুলের এসএসসি ৯৪ ব্যাচের বড় ভাইয়েরা ত্রাণ নিয়ে হাজির হয়েছে জামালপুর জেলায়।

২) রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের এক বন্ধু ব্যক্তি উদ্যোগে নিজের পরিচিত সার্কেলে অর্থ সাহায্য সংগ্রহ করে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা জেলায় ইতিমধ্যে কয়েক-শত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। আগামী মঙ্গলবার নীলফামারী জেলায় ২০০ মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবে।

৩) আজকে দেখি বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংক বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে নীলফামারী জেলায়।

৪) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ত্রাণ বিতরণ করেছে নীলফামারী জেলায়।

৫) সিলেটের শাহাজালা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা অর্থ সংগ্রহ করতেছেন বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করার জন্য।

৬) ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকমও নীলফামারী জেলায় ত্রাণ বিতরণ করেছে।

৭) ব্লগার নেক্সাস, সেলিম আনোয়ার সহ অনেক ব্লগার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করছেন দেশের বিভিন্ন বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের মাঝে।

৮) কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিরা ইতিমধ্যেই ১৩ হাজার ডলার সংগ্রহ করেছে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করার জন্য।

দুঃস্থ মানুষদের সাহায্যার্থে সাধারণ মানুষের এগিয়ে আসা দেখে

কবি চণ্ডীদাসের কবিতার ভাষায় বলতে হয়

“ সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপর নাই ”


**********************************************************************************
পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে চলমান ঘূর্ণিঝড়, টাইফুন কিংবা হ্যারিকেন থেকে জীবন ও সম্পদ রক্ষার্থে পরিচিত হউন ১ ডজন ওয়েবসাইট এর সাথে
**********************************************************************************

====================================================
চলমান বন্যা সম্পর্কিত সামু ব্লগে অন্যান্য ব্লগারদের পোষ্ট সংকলন:
====================================================

১) ব্লগার পুলক ঢালী এর "বন্যার পদধ্বনি"

২) ব্লগার হাসু মামা'র বাংলাদেশের বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির দিকে

৩) ব্লগার মো: হাসানূর রহমান রিজভীর "বন্যার প্রস্তুতি"

৪) ব্লগার সাহাবুব আলমের "আমাদের (দিনাজপুর জেলার বন্যা দূর্গত মানুষদের) সাহায্য দরকার"

৫) ব্লগার প্রামানিক ভাই এর বানের জলে যাচ্ছে ভেসে

৬) বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান।

৭) সামহোয়্যার ইন ব্লগের সহ ব্লগারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

৮) একজন তানিশা এবং অনেকের গল্প

৯) বানভাসি মানুষ ভালো থেকো তোমরা

১০) বানভাসি মানুষ :: ঘুড়ি ত্রাণ সহায়তা ২০১৭

১১) মানুষ মানুষের জন্য

১২) প্রাণবিকতা


১৩) বানভাসি মানুষের পাশে জাতীয় ইমাম সমিতি গাজীপুর জোন

১৪) 20 worst floods in Bangladesh in one hundred years

১৫) মানবতার টানে.... (বন্যার্তদের সাহায্য করুন)

মন্তব্য ১২৯ টি রেটিং +৩০/-০

মন্তব্য (১২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

করুণাধারা বলেছেন: আপনি বন্যা আসন্ন বলে আশংকা করছেন, বিভিন্ন লিংকসহ বিস্তারিত যে বর্ণনা দিয়েছেন তাতে আতংকিত না হয়ে উপায় নাই। প্রার্থনা করি আপনার আশংকা যেন মিথ্যা প্রমানিত হয়।

লিংকগুলো দেবার জন্য ধন্যবাদ।

আজকের প্রথম আলোয় বন্যা সম্পর্কিত যে একমাত্র খবর আছে তাতে লিখেছে লাখো মানুষ পানিবন্দি। কিন্তু পোস্ট পড়ে বোঝা যাচ্ছে কোটি কোটি মানুষের জীবনে বন্যার ভয়ংকর প্রভাব শুরু হতে যাচ্ছে।আশাকরি আপনি পরবর্তী আপডেট দিবেন।

পোস্টে অঞ্চল কথাটি অন্বচল হয়ে এসেছে। তাই প্রথমে বুঝতে ভুল হয়েছে। ছবিগুলো নিজেই ব্যাখ্যাককারী। কিন্তু নিচের ৪ টি ছবি ঠাকুরগাঁও জেলার বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা নির্দেশ করতেছে। ছবি গুলো ঠাকুরগাঁও জেলার এক বড় ভাই এর কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। ছবিতে মাথায় গামছা পরিহিত মানুষটি হলো ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ও তার পাশে ছাতা মাথায় অন্য ব্যক্তিটি হলে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র। এখানে কোন গামছা বা ছাতা মাথায় কাউকে দেখলাম না। আর তার উপরের খিচুরি বিতরণের ছবিটা- কোথাও কি লংগরখানা খোলা হয়েছে?

চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ এবং +++

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৫:১৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ "অঞ্চল" বানানটি সংশোধন করে দেওয়ার জন্য।কেন জানি আমি এই বানানটি সঠিক ভাবে লিখতে পারি না অভ্র কিবোর্ডে। আপনি কি অনুগ্রহপূর্ব আমাকে বললবেন কোন কোন কি ব্যাবহার করতে হয় "অঞ্চল" বানানটি লিখার জন্য।

এবারের বন্যা নিয়ে বাংলাদেশের মিডিয়ার উদাসীনতা নিয়ে আমি চরম হতাস, বিরক্ত ও ক্ষুদ্ধ। এমনিতেই বাংলাদেশের সরকার দারিদ্র মানুষদের খোজ নেয় না; মিডিয়া কোন ঘটনা নিয়ে শোর-গোল করলে কিছুটা সাহায্য করে; কিন্তু মিডিয়ার খবর না আসলে সরকার বা তার দায়িত্বশীল মানুষের কোন বোধদয় হয় না।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

নতুন বলেছেন: আশাকরি এতো বড় বন্য আর না হ্উক দেশে।

কিন্তু আমাদের নদী/খালকে আমরাই মেরে ফেলছি এবং বাধ দিয়ে দিয়ে জলাবদ্ধতা তৌরিকরছি।

আর জলবায়ুর পরিবত`নে এবার বৃস্টিও মনে হচ্ছে বেশিই হচ্ছে।

আপনি যেহেতু আবোহাওয়া বিষয়ে এক্সপাট` প্লিজ লিখুন.... হয়তো সরকারের কেউ এটা পড়ে বিষয়টা বুঝতে পারবে এবং আগাম ব্যবস্তা নেবে যাতে ক্ষতি কম হয়।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৫:২২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার মতো আমিও প্রার্থনা করি যেন কোন বড় মাপের বন্যা না হয় এই বছর। এমনিতে সিলেট অঞ্চলে সময়ের পূর্বেই আসা পাহাড়ি ঢলে ধান উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। আবারও দেশে বড় মাপের বন্যা হলে দেশকে ব্যাপক পরিমাণে খাদ্য আমদানি করতে হবে। যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ পড়বে। এমনিতেই গত ২ বছর দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আসার হার প্রায় ১৫ % কমে গেছে পূর্বের বছর গুলোত তুলনায়।

কিন্তু নিচের সংবাদটি পড়ার পর থেকে আমি নিজেও আতংকিত

"জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের কার্যালয় (ইউএনআরসিও) ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ গবেষণাকেন্দ্র (জেআরসি) বৈশ্বিক বন্যা পরিস্থিতি বিষয়ক একটি প্রতিবেদনে পূর্বাভাষ করেছেন যে ২০০ বছরের বেশি সময়ের ইতিহাসে ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার উজানে বন্যার মাত্রা সবচেয়ে ভয়াবহ হতে পারে।"

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

আখেনাটেন বলেছেন: ভালোভাবে তুলে ধরেছেন বিষয়টা। এখন দেখার বিষয় সরকার মশায় এইসব ভাবনাকে গুজব বলে মাটিচাপা দেয় কি না। ইতোমধ্যে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় পানি ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। দেশে বহুদিন থেকে বন্যার প্রকোপ দেখা যায় নি। এবার বুঝি রক্ষা নেই।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৫:২৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
সরকার ও সরকারের কর্তাব্যক্তিদের আচরণ নিচের ছবির মতো না হলেই হয়।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:০৪

সোহানী বলেছেন: খবর আসবে কি করে পত্রিকায়, জেঠা মশায়ের নাম নিতে হয় না জানেনতো...... যারা ইতিমধ্যে সবগুলা্ গেইট খুলে মহা সমারোহে পানি ছেড়ে দিয়েছে। এসব পত্রিকায় আসলেতো আন্তজার্তিক মিডিয়া জেনে যাবে, চাপ হবে,ঝাঁপ হবে......... কি দরকার এতো ঝামেলা কাধেঁ নেয়ার............তার থেকে হুক্কা টানি আর স্টার জলসা দেখি........ এসব দু'চারশো চাষা ভুষা মরলে, কয়েক'শ রেপড্ হলে কি আসে যায়। ওই কে আছিস.. ওই পলাশ ব্যাটা একটু বেশীই মনে হয় জানে, ওরে একটু সাইজের দরকার হইয়া পড়ছে........

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৫:৩৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপু, আন্তজার্তিক মিডিয়া কি আর বাংলাদেশের মিডিয়ার খবর প্রকাশের অপেক্ষায় থাকে। কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ এর কল্যানে পৃথিবীর কোন স্হানে কি হচ্ছে তা ঐ সকল স্হানে না গিয়েই জানা যায় প্রায় রিয়েল টাইম। যদিও কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ঐ ধরণের ছবি গুলোর জন্য অনেক মূল্য পরিশোধ করতে হয়। তবে যার দরকার সে ঠিকই পয়সা খরচ করে কিনে ঐ সকল ছবি।

তবে আমি, এবারের বন্যা নিয়ে বাংলাদেশের মিডিয়ার উদাসীনতা নিয়ে আমি চরম হতাস, বিরক্ত ও ক্ষুদ্ধ। এমনিতেই বাংলাদেশের সরকার দারিদ্র মানুষদের খোজ নেয় না; মিডিয়া কোন ঘটনা নিয়ে শোর-গোল করলে কিছুটা সাহায্য করে; কিন্তু মিডিয়ার খবর না আসলে সরকার বা তার দায়িত্বশীল মানুষের কোন বোধদয় হয় না।

বাবা-মায়েরে বলেছি আমার কথা ভুইলা যাও; মনে করো তোমাদের ৩ সন্তান :((

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: মিডিয়ার ঘুম ভেংগেছে

তবু ভাল, দেরীতে হলেও বন্যার খবর এল। গতকাল আমার বাসায় যে মেয়েটি আমাকে কাজে সাহায্য করে সে তার অঞ্চলের বন্যার যে বর্ণনা দিয়েছিল তার ছবিই যেন আপনার পোস্টের প্রথম ছবিটি। দেশের বড় অংশের অধিবাসীরা বন্যা কবলিত হয়ে কতটা দুর্দশার মধ্যে আছে আমরা তার খবর জানিই না!! আপনার ছবি সমৃদ্ধ পোস্ট দেখেই জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে, দূর প্রবাসে থেকেও দেশের কথা ভাবছেন। তবে আমি অবাক হলাম দেখে এমন গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট এত কম ব্লগার পড়েছেন!!!

আমি অভ্র দিয়ে অঞ্চল লিখি এভাবে-( o nc l) যেভাবে লিখেছেন তাতেও বুঝতে কোন অসুবিধা হয় না
ভাল থাকুন।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৪৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: গতকাল বেশ কিছু পরিচিত সাংবাদিককে প্রশ্ন করেছিলাম:

দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁও জেলায় টেলিভিশন বা পত্রিকা গুলোর কোন প্রতিনিধিরা কোন সংবাদই পাঠায় নি ঢাকা অফিসে?

আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারি না এত বড় একটা বন্যার খবর সকল সাংবাদিক ও মিডিয়া কোন কভারেজ দিলো না।

সামু ব্লগে কিছু সমস্যা আছে। অনেকে সিরিয়াস ব্লগ এড়িয়ে চলে; সেটা জন গুরুত্বপূর্ন হলেও।

৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সরকার চিফ জাস্টিসের রাজাকার লিংক খোঁজায় ব্যস্ত!

পোষ্টটি স্টিকি করা হোক

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
বন্যা পরিস্হিতি সঠিক ভাবে মোকাবেলা করতে না পারলে সরকারেই লস; আগামী বছর ভোট। জনগন ভোটের বক্স ভইরা দেবা নে =p~

৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




দেশের অস্তিত্বের খাতিরে আশা করছি সকল সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ, মন্ত্রণালয় সাহসিকতার সহিত এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করবেন । কেউ যেন যুক্তিহীন কোন অভিযোগ না দেখান তাই কামনা করি ।

আপনার বিশ্লেষণধর্মী লেখা থেকে বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম । অনেক ধন্যবাদ ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
দেশের জন গনের জন্য এটা একটা বিরাট সমস্যা হলেও সরকারের জন্য সুযোগ বলে মনে করি; সুযোগটা হলো দেশের মানুষের সেবার করার চান্স; নিজেদের যোগ্যতা প্রমানের সময়। আশা করছি সরকার সুযোগের সঠিক ব্যবহার করবে।

৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: সরকারের পক্ষ থেকে কোন কিছু শুনতে পাচ্ছি না। তারা আছে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে।

সরকার ছাড়ুন, আমাদের জনগণকে এই বন্যা মোকাবেলা করার জন্য এখনি তৈরী হতে হবে।

সময়োপযোগী পোস্ট।
স্টিকি করার জন্য সামুকে ধন্যবাদ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
সরকারি কর্মকর্তাদের কাণ্ড-জ্ঞান কোন পর্যায়ের হলে দুর্গত মানুষের জন্য সামান্যতম স হানুভূতি নিয়েও নিজের দৈনন্দিন দায়িত্বটুকু পালক করে না।

সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পানি ঢুকছে

"শহরে সবচেয়ে বড় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে সৈয়দপুর কলেজে। গতকাল রোববার রাতে এই আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দাদের অন্ধকারে থাকতে হয়। বিদ্যুতের সংযোগে ত্রুটির কারণে এই সমস্যা হয়েছে বলে জানান কলেজের অধ্যক্ষ সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, সমস্যার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও সমাধান হয়নি।"

৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

ফেল কড়ি মাখ তেল বলেছেন: সবকিছু ই দেশে উন্নয়েনের জোয়ার। আপনার কেন এইসব নেগেটেভ ভাবে দেখছেন????

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আশাকরছি জান ও মালের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বশীল ব্যাক্তিরা বিষয়টির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিবেন।

১০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


পরিস্হিতি ভয়ংকর

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
চাঁদগাঁজি ভাই, বাস্তব পরিস্হিতি ছবিগুলোর চেয়ও ভয়ংকর

১১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪

বর্ষন হোমস বলেছেন:
আজকে একটা নিউজ পোর্টালে পড়লাম সম্ভবত এমন বন্যা হবে যা পূর্বের ২০০ বছরেও হয়নি।ব্যাপারটা সত্যিই ভয়াবহ। খবর দেখার সময়ও বন্যা কবলিত এলাকার বিভিন্ন ছবি দেখছি।আপনার ছবি গুলোও দেখলাম।প্রার্থনা করি যাতে দ্রুতই এই সংকটময় পরিস্থিতি দূর হয়।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
প্রার্থনা করি যাতে দ্রুতই এই সংকটময় পরিস্থিতি দূর হয়। সেই সাথে সরকারের কাছে অনুরোধ দূর্গত মানুষের দ্রুত সাহায্য করা হয়।

আপনাকে ধন্যবাদ।

১২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

ক্লে ডল বলেছেন: প্রার্থনা করি, পানিবন্দি এই নিরীহ মানুষগুলো দ্রুত দুর্দশা মুক্ত হোক। প্রাপ্য সহযোগিতা যেন তারা পায়। :(

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আমারও চাওয়াও আপনার মন্তব্যের কথাগুলো। আপনাকে ধন্যবাদ।

১৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭

এম আর তালুকদার বলেছেন: চলনবিল হার মেনেছে
মতিঝিলের কাছে
বর্ষায় রাস্তা ডুবে যায
হাটু জলের নিচে।

ঢাকা চট্টগ্রাম ডুবে থাকে
ভরসা কুবের মাঝি,
ভোট আসলেই প্রতিশ্রুতি
সকল ব্যাটাই পাজি।

ফারাক্কার দাড় খুললে
উত্তর বঙ্গ ভাসে,
আমজনতা ডুবে মরে
রয়না কেহ পাশে।

দক্ষিনের কথা কি আর বলি
জলোচ্ছ্বাসের কথা কেমনে ভুলি!
প্রকৃতির পরে মানব দূর্যোগ
নেতারা খোঁজে চুরির সুযোগ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

দারুন কবিতা; সেই সাথে সুন্দর ছন্দ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
ব্লগারদের নিজ-নিজ এলাকার বন্যা দুর্গত এলাকার ছবি এই পোষ্টে মন্তব্য আকারে যোগ করার অনুরোধ করছি। এতে করে সারা দেশের বন্যার প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে।

১৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ৮৮ সালের বন্যায় মানুষের দূর্গতি দেখেছিলাম খুব কাছ থেকে। বিত্তশালী পরিবারের মানুষরাও রাস্তায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল সেসময়। এবার পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও মানুষের দূর্ভোগ হবে। সামনে ভয়াবহ বিপদ!!!!

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, ও নীলফামারী জেলার বন্যা পরিস্থিতি ১৯৮৮ সালের চেয়েও খারাপ। ঢাকা থেকে দূরবর্তী হওয়ার ও সংবিধান নিয়ে টানা-টানির কারণের গণমাধ্যমে বন্যার সংবাদের অবস্থা হয়েছে ছাগলের ৩ নম্বর বাচ্চার মতো। ঐ সকল জেলায় এমনিতেই দারিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশি; বছরের একটা সময় মঙ্গা পরিস্থিতির স্বীকার হয়; এবারে এই বন্যার ঐ সকল মানুষকে চরম অবস্থার সম্মুখীন করবে নিশ্চিত করেই বলা যায়। দেখা যাক মিডিয়া কখন সময় পায় ঐ সকল মানুষের কথা লিখার; আর সরকার কখন সময় পায় রিলিফ বিতরণ করার।

আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

নতুন বলেছেন: ব্লগের যারা বন্যা কবলিত এলাকায় আছেন তারা এখানেই ভিডিও, ছবি দিয়ে লিখুন...

তবে সবার নজরে আসবে...

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
হ্যাঁ, আমিও আপনার কথায় বলেছি ১৪ নম্বর মন্তব্যে। তাতে করে যদি সরকারের কর্তা ব্যাক্তি বা মিডিয়ার নজরে আসে।

আপনাকে ধন্যবাদ।

১৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯

জিয়া ৬৩৫১ বলেছেন: দেশবাসী এ

১৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১১

জিয়া ৬৩৫১ বলেছেন:

১৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১১

জিয়া ৬৩৫১ বলেছেন:

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ছবি গুলোর জন্য।

২০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: দিদি তো তিস্তার পানি ছেড়ে দিয়েছেন একদম সুসময়েই। দিনাজপুর অঞ্চল তো ডুবে যাচ্ছে। আরও যাবে। দেশের বন্যার পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। একে তো বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় আর এখন তো অতি বৃষ্টি!
বন্যায় তো অনেকদিন ধরেই গ্রামাঞ্চল গুলো ডুবছে, প্রশাসন কি অন্ধ নাকি পানি সম্পদ মন্ত্রীর মত করে বলবে দেশের কোথাও বন্যা হয় নাই।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

পানি সম্পদ মন্ত্রী আমাদের নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় গিয়ে বলেছে বন্যা নিয়ন্ত্রন প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে; ঐ প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হলে আগামীবছর আর বন্যা হবে না।

২১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: টিভির খবর শুনলে রাগে গা জ্বলে যায়!

আমাদের পাহাড়ে অতবিৃষ্টির ফলে ঢলে নাকি বন্যা!!!!!!!!!!!!
পাহাড় তো খুঁজে পাইনা দেশে!
পাবর্ত্য চট্রগ্রামের ঢলে নীলফামারী, পঞ্চগড়ে কেমনে বন্যা হয়!!!

ভারতে ৫৪ নদীতে বাঁধ, শুকনো জলহীন মারা আর বর্ষায় অতিরিক্ত জল ছেড়ে ডুবিয়ে মারার কথা্ও বলতে যেন লজ্জ্বা পায়!

বলিহারি দেশপ্রেম!
এরা ৭১এ থাকলে যে কি করত????

বিটিভি দেখলেতো মনে হয় কোন সম্যাই নাই! এমপি সাব হাট েজলে হেটে এসেছে ২-৪ কেজি শুকনা খাবার দিয়েছে ব্যাস!
বন্যার আর কি কোন সমস্যা আছে নাক???
অদ্ভুত! রাগে গা রি রি করে ওঠে!!

বন্যা, বন্যা পরবর্তী ব্যাকআপ সেবা, দ্রব্যমূল্য কোথায় দাড়াবে ভাবতেই ভয় লাগছে। ২৫ টাকা পিয়াজ এক সপ্তাহে ৭০ টাকা!!!!!
বন্যাত্তোর পূর্নবাসনএর কোন পরিকল্পনা আদৌ আছে কিনা কে জানে?

অনেক ধন্যবা দারুন তথ্যবহুল পোষ্ট দিয়ে সময়কে ধরে রাখায়। বাস্তবতাকে তুলে ধরায়। সচতেনতার আহবান রাখায়।


++++

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

"ইঁদুরের গর্ত আর উইপোকার ঢিবির কারণে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর ওপর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দুর্বল হয়ে ভেঙে পড়েছে এবং বানের জলে ভেসে গিয়েছে।"
"জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, বাঁধের ভেতরের দিকে অসংখ্য ইঁদুরের গর্ত রয়েছে যা বাঁধের কাঠামোকে দুর্বল করে দিয়েছে।"


পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের এই রকম মন্তব্য পড়ে হাঁসবো নাকি কাঁদবো ভেবে পাচ্ছি না।

বিদ্রিহী ভাই, আপনার কথা গুলো নিয়ে মন্তব্য করার কোন ভাষা খুজে পেলাম না।

২২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: প্রতিবছর বন্যা হয়। আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই বন্যা নিয়ন্ত্র পরিকল্পনা না নিলে এই রকম ক্ষতি কমানো সম্ভব না। অবশ্যই সচেতনতার বিকল্প নাই।

আপনাকে ধন্যবাদ মন্তবের জন্য।

২৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

মানিজার বলেছেন: কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ স্টিকি করার জন্য ।

আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯

উদাস মাঝি বলেছেন: আমাদের নওগাঁ জেলাতেও বিপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে,যে কোন সময় বাধ ভেঙে যেতে পারে ।
আমার বাড়ি আবার নদীর পাশেই, খুব ভয় হচ্ছে ।
আমাদের করুন অবস্থা দেখুন

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাদের সর্বশেষ আপডেট কি? বন্যার পানি কি কমা শুরু করেছে? নাকি এখনও বাড়তেছে?

২৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪

মোঃ নুরুজ্জামান (জামান) বলেছেন: thakurgaon ar dinajpur er obostha marattok, shohor dube gese bolte gele gramer je ki obostha?

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
সম্ভব হলে আপনার এলাকার বন্যা পরিস্হিতির ছবি দিন এই ব্লগে যাতে করে সকলের নজরে আসে বন্যা পরিস্হিতির বর্তমান অবস্হা।

২৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬

জাহিদ হাসান বলেছেন: ভাইয়া ঢাকায় বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?
আর হলেও পানি কতটুকু হতে পারে?
আর বন্যার পানি কতদিন স্থায়ী হতে পারে?
একটু জানান।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আরও ২/৩ দিন অপেক্ষা করতে হবে ঢাকার বন্যা পরিস্হিতির অবস্হা জানার জন্য।

আর বন্যার পানি কতদিন স্থায়ী হতে পারে?

উজানে যদি বৃষ্টি অব্যহত থাকে তবে বন্যা পরিস্হিতির উন্নতি সহজে হবে না; কারণ আগামী সপ্তাহে আমাবস্যা আছে। ফলে বন্যার পানি সমুদ্রে পতিত হবে কম।

আপনাকে ধন্যবাদ।

২৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩

সামছুল মালয়েশিয়া প্রবাসী বলেছেন: আমার জয়পুহাট জেলাতে ও ভয়াবহ আবস্তা।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
সম্ভব হলে আপনার এলাকার বন্যা পরিস্হিতির ছবি দিন এই ব্লগে যাতে করে সকলের নজরে আসে বন্যা পরিস্হিতির বর্তমান অবস্হা।

২৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কুম্ভকর্ণদের ঘুম ভাঙ্গবে কবে?

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
দৈনিক মানবজমিনে দেখলাম ৫৮ জন মারা গেছে; কতৃপক্ষ হয়ত অপেক্ষায় আছে দেশের জনসংখ্যা আরও কিছু কমার জন্য।

৩০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে। ১৯৮৮ বন্যা ইতোমধ্যেই হয়ে আছে। এবার মনে হয় সেটি অতিক্রম করবে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: মইনুল ভাই,

প্রার্থনা করতেছি যেন ১৯৮৮ এর অবস্হা না হয় সারা দেশে যদিও পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, ও নীলফামারী জেলার বন্যা পরিস্থিতি ১৯৮৮ সালের চেয়েও খারাপ। আপনি কি ঢাকার স্হায়ী? যদি না হয়ে থাকেন তবে আপনার দেশের বাড়ির অবস্হা কি?

৩১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মাহিরাহি বলেছেন: সা ইন থেকে কিছু করার উদ্যোগ নিলে সাথে আছি।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৫০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সমু থেকে কোন উদ্দোগ নেওয়া হলে অবশ্যই আপনাকে জানাবো।

৩২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভয়াবহ বন্যা অলরেডি শুরু হয়ে গেছে, অথচ আমাদের মিডিয়া আর প্রসাশন নির্বিকার।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৫২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
লিটন ভাই, মিডিয়ার

পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, ও নীলফামারী জেলার বন্যা পরিস্থিতি ১৯৮৮ সালের চেয়েও খারাপ। ঐ সকল জেলায় এমনিতেই দারিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশি; বছরের একটা সময় মঙ্গা পরিস্থিতির স্বীকার হয়; এবারে এই বন্যার ঐ সকল মানুষকে চরম অবস্থার সম্মুখীন করবে নিশ্চিত করেই বলা যায়। ঢাকা থেকে দূরবর্তী হওয়ার ও সংবিধান নিয়ে টানা-টানির কারণের গণমাধ্যমে বন্যার সংবাদের অবস্থা হয়েছে ছাগলের ৩ নম্বর বাচ্চার মতো।

দেখা যাক মিডিয়া কখন সময় পায় ঐ সকল মানুষের কথা লিখার; আর সরকার কখন সময় পায় রিলিফ বিতরণ করার।

আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। মিডিয়াতে আফসা ঝাপসা আসে।

শস্তি পাইলাম, ভাবালাম আমরাই কষ্ট আছি।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:২৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
দরিতে হলেও মিডিয়া বন্যা দূর্গত মানুষদের কথা বলা শুরু করেছে। আপনাকে ধন্যবাদ পোষ্টে মন্তব্য করার জন্য।

৩৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২১

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: অশূভ পরিস্থিতি তৈরী হতে যাচ্ছে। অথচ মোকাবেলার জন্য কোন প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে না।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:২৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
পৃথিবীতে বন্যা পূর্বাভাষ প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে গেলেও আমরা সেই তীমিরেই পড়ে আছি। সঠিক পূর্বাভাষের মাধ্যমে বণ্যার পানি হয়ত আমরা আটকাতে পাড়বো না; তবে মানুষের জান ও মালের ক্ষতি অনেক কমিয়া আনা সম্ভব; সেটা হলফ করিয়াই বলা যায়।

৩৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

তার ছিড়া আমি বলেছেন: বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

উত্তরাঞ্চলের ভাইদের বলবো, আপনারা ভিডিও ও ছবিসহ বন্যা পরিস্থিতি ফেসবুক, ব্লগসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশি বেশি ছড়িয়ে দিন। জনগন জানবে, আওয়াজ উঠবে। অন্যথায় সরকার ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করবে। কেননা পানি বুবুদের এলাকার পানি।

সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ, পোষ্টটি ষ্টিকি করার জন্য।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:৩০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার প্রস্তাবসের সাথে আমি একমত। দূর্গত এলাকার মানুষের দূর্দশার চিত্র যত বেশি গনমাধ্যমে আসবে; সরকারের উপর তত বেশি চাপ বাড়বে ঐ সকল মানুষের সাহায্য করার জন্য।

আপনাকে ধন্যবাদ।

৩৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৪

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এদেশের মিডিয়ার উপর আপনি এখনও আস্থা রাখেন ? মিডিয়ার মালিকদের নামগুলি আপনার জানা দরকার, তাহলে হতাশা কমবে।

আর একটা কথা, ঢাকা শহর না ডুবলে সারা দেশ ডুবে গেলেও কেউই মানবেনা দেশে প্রলয়ংকরি বন্যা হয়েছে বা হবে........

অনেক ধন্যবাদ জরুরী বিষয়ে পোস্টটির জন্য

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:৩২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
বাংলাদেশের মিডিয়ার মালিকগুলো প্রায় সবাই শিল্পপতি; মিডিয়া প্রতিষ্ঠার পিছনে তাদের কিছু উদ্দেশ্য আছে বৈকি। তবে একই সাথে তাদের কিছু সমাজিক দায়িত্বও আছে; যে দায়িত্ব তারা এড়িয়ে যেতে পারে না কোন ভাবেই।

আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০০

রাজীব নুর বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:৩৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
রাজীব ভাই, আপনি তো সাংবাদিক মানুষ; বন্যা পরিস্হিী নিয়ে লিখুন। আপনারা না লিখলে কে লিখবে দূর্গত মানুষদের কথা? শুধু ভাবিকে নিয়ে কবিতা ও গল্প লিখলে হবে ;)

৩৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

লুশ্যে বলেছেন: অবহেলিত উত্তরাঞ্চলের মানুষগুলোকে মানুষ মনে করুন!

এই বন্যা মোকাবেলায় সরকারসহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এই আগাম বন্যার পূর্বাভাস পাওয়ার ফলে বাজারের জিনিস পত্রের দাম যেন বৃদ্ধি না পায়। যারা এই সুযোগে নিত্যপন্যের মূল্য বৃদ্ধি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি থাকতে হবে। লেখকে ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্টের জন্য।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:৪০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:


আপনি দারুণ একটা বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেছেন। আমাদের দেশের বেশির ভাগ ব্যবসায়ীরা মানুষের দুর্বলতা ও অসহায়তার সুযোগ নিয়ে প্র-ফিট করে। ইতিমধ্যেই সংবাদে প্রকাশ; বন্যা দুর্গত এলাকায় জিনিস-পত্রের দাম বেড়ে গেছে। সরকারি কর্তৃপক্ষকে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। নইলে দুর্গত মানুষরা প্রথম বার ক্ষতির স্বীকার হয়েছে প্রকৃতি দ্বারা; দ্বিতীয়বার ক্ষতির স্বীকার হবে অসৎ ব্যবসায়ী দ্বারা।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৩৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এমন একটি পোস্ট দেবার জন্যে। ভীষনই দরকারী ও জরুরি।
শুভেচ্ছা!

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:৪২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। পরিচিত জনের ফেসবুক ওয়ালে দেখলাম আপনাদের এলাকার মানুষরা উদ্যোগ নিয়েছে দেশের বন্যা দুর্গত মানুষদের সাহায্য করার জন্য। আশাকরি আপনিও তাদের ঐ মহৎ উদ্যোগে যোগ দেবেন ও পরিচিত মানুষদের ঐ উদ্যোগে শরিক হতে উৎসাহিত করবেন।

৪০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:১২

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, ও নীলফামারী উজানের জেলা, এবং সমুদ্র পীঠ থেকে ঢাকার তুলনায় অপেক্ষাকৃত অনেক উঁচুতে, (১০০মিটার হবে)। উজানে যদি ভয়াবহ বন্যা হয়, সেই পানি নেমে এসে ভাটির শহরগুলোও একই ভাবে বা আরও বড় আাকারে প্লাবিত করবে; এটা স্বাভাবিক।

কিন্তু উজানের শহরগুলোতে এত পানি শুধু বৃষ্টির কারনে হয় নি। আরও উজানে আমাদের দাদা দেশ ভারত যখন দেখেছে, তাদের শহরগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পানি এসে জমা হয়েছে, তখন উজানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয় তাদের বাঁধের স্লিইস গেট খুলে দিয়ে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, ও নীলফামারী শহরের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি করতে সাহায্য করেছে।

সঠিক অনুসন্ধানে এই সকল তথ্য সহজেই জানা যাবে।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:৪৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ। উজানের দেশ নিজেদের প্রয়োজনে পানিসম্পদের সর্বোচ্চ ব্যব হার নিশ্চিত করবে; আমাদের সুযোগ থাকলে আমরাও হয়ত সেটাই করতাম যা ভারত করেছে। তবে লক্ষ রাখতে হবে নদীর উজানে বাঁধের কারণে ভাটির মানুষ ও পরিবেশের ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে আনা যায়। আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলোর এখন দরকার সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। একই সাথে বৃষ্টিপাত ও বন্যার সংবাদ অন্য দেশ গুলোর সাথে শেয়ার করা; যাতে করে সবাই উইন-উইন ব্যবস্হা নিশ্চিত করতে পারে।

৪১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এমন একটি গুরুত্বপূর্ন পোষ্টের জন্য।। যদিও প্রতিরোধের পথ এতে সুগম হয়।। অন্ততঃপক্ষে মানবজীবনের ক্ষয়ক্ষতি।। এখন সরকারের টনক নড়লেই হয় আর মিডিয়ার বিবেক জগ্র্রত।।
আবারও ধন্য্যবাদ জানাচ্ছি।।।।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:৪৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফের নিম্নোক্ত মন্তব্যটি আমার এই পোষ্টের মূল বক্তব্য।

"সাপে কাটার ফলে, পানিতে ডুবে প্রায় দেড় শ মানুষ মারা গেছে। দুর্যোগের আগাম তথ্য, মোকাবিলার পরামর্শ; প্রশাসন যদি তা জানাত, তাহলে ক্ষতি কমত। তথ্যও একধরনের ত্রাণ; তা বিতরণের দায়িত্ব কিন্তু কর্তৃপক্ষেরই। কিন্তু ত্রাণের মতো তা-ও বিরল।"

৪২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ পলাশ ভাই । দিনাজপুর ভুষি বন্দর এবং ঠাকুর গায়ের আবডেট কোন খবর আছে কি ?

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:০৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:


দিনাজপুর জেলার ভূষিরবন্দর এলাকা থেকে তোলা। এই ছবিটা পেলাম ফেসবুক পেজ Dinajpur 360 এ। ঐ পেজে দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার ছবি দিচ্ছে। যেগুলো খুবই করুণ।

Dinajpur 360 পেজ নিয়মিত ছবি দিচ্ছে

৪৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:২৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ঈদের পরপরই এই ভয়াবহ বন্যার আগমন ঘটবে , সে রকমই পূর্রভাস আসছে
সুতরাং আমাদের প্রয়োজন সর্তকতা মূলক ব্যবস্হা গ্রহন এবং সকলের সমন্বিত
প্রচেষ্টায় সুরক্ষা থাকার উপায় বের করা।
...............................................................................

৪৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:০৫

জাহিদ হাসান বলেছেন: আপনারা উত্তরাঞ্চলের মানুষ বন্যা হলে কলার ভেলা বানাতে পারেন।
আমরা যারা ঢাকার মানুষ বিশেষ করে পুরান ঢাকার, যাদের বাড়ি একতালা তারা কি করব?
আমরা তো একটা কলার ভেলাও পাবো না। ডাইরেক্ট বন্যার পানিতে ডুবতে হবে নতুবা আশেপাশের বিল্ডিংগুলোর ছাদে আশ্রয় নিতে হবে। কিন্তু ছাদ পর্যন্ত কয়টা মালামালই বা নিতে পারবো? গলা পর্যন্ত পানি হলেই আমি শেষ। সাতারও পারি না।
নিজের জীবন নিয়েই টানাটানি। কিভাবে দামী মালপত্র বিল্ডিং এর ছাদে টেনে তুলব? আর আমার বইপত্র, জীবনের অর্জিত সব সার্টিফিকেট? সব পানিতে ভেসে যাবে। বা*র দেশে জম্মাইছিলাম। আর মাত্র তিনটা বছর এই বন্যাটা না হলে বেচেঁ যেতাম। তিনটা বছরই দেশে আছি। বাড়িঘর সব বেচেঁ দিয়ে ইউরোপের রিফিউজি হবো। তাও অন্তত ভালোভাবে বেচেঁ থাকতে পারবো।

৪৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:৩৬

সাহাবুব আলম বলেছেন: আপনি সুন্দর ভাবে তথ্য গুলি উপস্থাপন করেছেন। সামুতে বিশেষ করে উত্তর অঞ্জলের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্থারিত ভাবে লিখার জন্য ধন্যবাদ। আপনাকে জানিয়ে রাখি গত দুন দিন ধরে, বিরামপুর থানার বাধ কেটে ফেলার জন্য, কিছু ব্যাক্তি মহল উঠেপড়ে লেগেছিলো এমপি হস্থক্ষেপে বাধটি দাঁড়িয়ে আছে
তারপরো, আজ তিন দিন হলো পালা ক্রমে বাধ পাহারা দিচ্ছি। সে খানে প্রসাশনের তেমন জোর দার ততপরতা চোখে পড়েনা, হয়তো আমাদের চোখে ছানি পড়ছে। আর আমাদের দেশের প্রথম সারির মিডিয়া কিসের যে নিউজ করে, তা উনারায় ভালো জানে,। আপনার গন্ডার ত্তত্ব টা বেশ ভালো।

৪৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৪:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্টটির জন্য ।
মিডিয়াতেও যে সমস্ত খবর আসতেছে তাতে দেশবাসী উৎকন্ঠিত ।

কুড়িগ্রামে পানিবন্দী সাড়ে ৪ লাখ মানুষ, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
দৈনিক জনকন্ঠ , তারিখ : ১৪/০৮/২০১৭
দিনাজপুরে বন্যা ॥ রেল যোগাযোগ বন্ধ
দৈনিক জনকন্ঠ , তারিখ : ১৪/০৮/২০১৭
সুনামগঞ্জে বন্যার অবনতি ॥ পানিবন্দি ৬ লক্ষাধিক মানুষ
দৈনিক জনকন্ঠ , তারিখ : ১৪/০৮/২০১৭
জয়পুরহাটে ৪ নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি
দৈনিক জনকন্ঠ , তারিখ : ১৪/০৮/২০১৭
মান্দায় আত্রাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৩ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি ॥ ঝুঁকিপূর্ণ ৩০ পয়েন্ট
দৈনিক জনকন্ঠ , তারিখ : ১৪/০৮/২০১৭
হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পানি আবারও ফুঁসে উঠছে
দৈনিক জনকন্ঠ , তারিখ : ১৪/০৮/২০১৭

৪৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৫১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: মানিজার বলেছেন: কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ স্টিকি করার জন্য ।

হ্যা এবার কতৃপক্ষ কাজের একটা পোষ্ট স্টিকি করেছে। ধন্যবাদ ।

৪৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ইঁদুরের গর্ত থাকায় ভেঙে পড়েছে কুড়িগ্রামের বাঁধ

কিসব কথা বলে জনগণকে বোকা, আর কেমন সব অযোগ্য লোক প্রশাসন , মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে!!

৪৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:১৫

আম জনতা০৭ বলেছেন: ব্লগ পড়ে আর ছবিগুলো দেখে
নিজের অজান্তেই দুই ফোটা অশ্রু বেরিয়ে গেল
আমরা কি কিছু করতে পারি না

৫০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: দলমত নির্বিশেষে দেশের সকলের বন্যা দূর্যোগ জনিত লোকদের পাশে দাড়ানো প্রয়োজন ।

৫১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা কামাল পলাশ ,




আগে দেখে থাকলেও মন্তব্য করতে দেরী করার কারন , কি বলবো অভাগা দেশটির ভাগ্য নিয়ন্ত্রক ও অবহেলিত এই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের !!!!!!!!!!!!!!!!!!! এদের বলা আর না বলা সমান কথা । আমার সেবা করার জন্যে যাদের আমি ভোটটি দেই প্রতিবার , তারাই যখন তাদের গদিরক্ষা আর লুটপাটে সময় কাটায়; তখন সময় এসেছে আমার মূল্যবান ভোটটি আমি দেবো কিনা এটা ভেবে দেখার । ঝড়-বন্যা, যাতায়াত , খাদ্য সহ সমস্ত জাতীয় সমস্যায় যখন আমজনতাকে একা একাই লড়ে যেতে হয় তখন ভোট নামের নিয়োগপত্র দিয়ে কিছু লোককে জনতার সেবকের চাকুরীটি দেয়ার প্রয়োজনটা কি, যখন জনতার সমস্যাগুলোর মূলোৎপাটন করায় তাদেরকে পাওয়া যায়না কখনই ????????
প্রতিবারই বন্যা হচ্ছে । মানুষ ভুগছে চতুর্দিক থেকে। কেন ?? বাঁধগুলো ভেঙে যাচ্ছে , দেখার লোক নেই । বাঁধ বানানোর টাকা মেরে দিয়ে তো কিছু লোক নিজের রাস্তা পাকা করে । সে বাঁধ তো ভেঙে যাবেই ! নদ-নদী-খাল ভরাট করে কিছু লোক নিজেদের ভাঙা ভাগ্য ভরাট করছেন । এরাই আমাদের ভোটে চাকুরী পাওয়া লোকজন । এরা জনতার সেবা না করে প্রতিদিনই নিজেদের সেবায় মত্ত । এদেশে তাই এরকম হবেই ।
এইসব ভেবে এই লেখায় মন্তব্য করিনি প্রথমে । দুঃখিত , এমন একটি লেখায় আমার মন্তব্যটিকে প্রথম দিকে রাখতে পারিনি বলে ।

৫২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: একটানা প্রবল বর্ষণ ও উজানের ঢলে আবারও নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ১৩টি জেলার নিম্নাঞ্চল। ১৪টি নদ-নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। মৌলভীবাজার ও দিনাজপুরে মৃত্যুর খবর আছে কয়েকজনের। ভারত গজলডোবা ব্যারাজের সবকটি গেট খুলে দেয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে উত্তরাঞ্চলে। তার অনিবার্য প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে সৃষ্টি হয়েছে মানবেতর পরিস্থিতি।

বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে চরম খাদ্যাভাব ও সুপেয় পানির সঙ্কট। পয়ঃনিষ্কাশন এবং হাঁস-মুরগি-গবাদিপশু সংরক্ষণসহ পশুখাদ্যের অভাব প্রকট। সর্বাধিক যেটা দুঃখজনক ।।মানুষ প্রায় অর্ধাহারে দিনাতিপাত করতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয়ভাবে কোথাও কোথাও কিছু ত্রাণের ব্যবস্থা নেয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। অনেক দুর্গম-দুর্গত এলাকায় বিশেষ করে প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে ত্রাণ তৎপরতার আদৌ কোন খবর নেই। সরকারী হিসাবে বন্যাকবলিত ১৩ জেলার ৪৫ উপজেলায় কয়েক লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেসরকারী হিসাবে আরও বেশি। অনেক জায়গায় কিছু মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থানে খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করতে বাধ্য হচ্ছেন। রোগ, শোক, আমাশয়, পেটের পীড়া, সর্দি-কাশি, জ্বরের প্রকোপও লক্ষণীয়। বীজতলাসহ ফসলহানির খবরও আছে। উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে । অতঃপর প্রশাসনের জরুরী কর্তব্য হবে সব রকম সাহায্য-সহায়তা নিয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো। এনজিওগুলোও এক্ষেত্রে জরুরী ত্রাণ ও চিকিৎসাসেবার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে পারে।

বাংলাদেশের যেসব অংশে বর্তমানে বন্যা দেখা দিয়েছে সেসবই মূলত সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পানির ঢল ও অতিবৃষ্টি, যা অনেক সময় বাঁধ উপচে পড়ার কারণে ছেড়ে দেয়া হয়। একদিকে তিস্তা-ধরলা-তোরসা, অন্যদিকে অসমের ব্রহ্মপুত্রের বন্যার অনিবার্য প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে। প্রতিবেশী দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদ-নদীর বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিত বাঁধ ও ব্যারাজ নির্মাণের কারণেই প্রতিবছর এমন ঘটনা ঘটে থাকে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। আর এর অনিবার্য অসহায় শিকার হচ্ছে দু’দেশের সীমান্তবর্তী লাখ লাখ গরিব মানুষ। প্রধানত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপত্তির কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিন থেকে বিরাজমান অভিন্ন নদ-নদীর পানি সমস্যার নিরসনসহ তিস্তা-ফেনীর পানি সমস্যাটিও ঝুলে আছে। অথচ বন্যাদুর্গত ও নদীভাঙ্গন কবলিত অসহায় মানুষের সাংবাৎসরিক দুর্দশা লাঘবে দু’দেশের মধ্যে পানি সমস্যার মীমাংসা ছাড়া গত্যন্তর নেই। আমরা যথাসম্ভব দ্রুত এ বিষয়ে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করছি। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে অতি জরুরী ব্যবস্থা
নিবেন বলে আশা করি , তা না হলে সমুহ বিপদ ।



৫৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫১

উদাস মাঝি বলেছেন: পানি কমছেই না, বরং প্রতিদিন অবস্থার আরও অবনতি হচ্ছে ।

এখানে ধারনা পাবেন

৫৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: আমি বড় আকারের কোন বন্যার সম্ভাবনা দেখিনা। আওয়ামি লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ কোন বড় প্রাকৃতিক দূর্যোগের মুখোমুখি হয়না। এই সরকার গত ২০০৯ থেকে ক্ষমতায় আছে। এই দীর্ঘ ৯ বছরে দেশে বড় আকারের কোন ভূমিকম্প, ঘুর্ণিঝড় (আইলা বা সিডর টাইপ) বা বন্যার আলামত কেউ দেখেনি। সামনেও দেখবেনা। দেশের অর্থনৈতিক দূরাবস্থা বর্তমানে উন্নয়নের জোয়ার দিয়ে ঢাকার চেষ্টা চলছে, তার উপর নানা ধরণের ইস্যু তৈরি করে পেপার পত্রিকা ব্লগ গরম রাখা হচ্ছে। তাই এ ধরণের কিছু হবেনা বলেই মনে হচ্ছে।

৫৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বন্যা নিয়ে সরকারের তেমন কোন মাথা ব্যথা নেই। ষোড়শ সংশোধনী উপর রায়ে সরকার ব্যস্ত। দেশের মানুষ নিয়ে ভাববার সময় কোথায়। আফটার অল ভোট না হলেও তাদের চলে। বন্যাদূর্গ পাশে কে দাড়াবে? সামনে ঈদ কুরবানীর ঈদ । কঠিন অবস্থার সম্মুখিন বন্যাদূর্গতরা ।

৫৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ তুমি ওদের হেফাজত কর

৫৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩

তপোবণ বলেছেন: রাজনৈতিক বেশ্যাবৃত্তি ছেড়ে মানুষের জন্য কাজ করলে আমাদের এই দুর্গতি দেখতে হতোনা।

৫৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সহায় হোন ।

৫৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপডেট দেয়াতে জানতে সহজ হচ্ছে!

৬০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৫৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার এই পোষ্ট আমাদের জন্য এলারমিং ছিলো ;যদিও মন্তব্য করতে অনেক দেরী হল কিন্তু লেখা অনেক আগেই আমাদের নজরে এসছে ।নিজ নিজ এলাকায় কিছু আগাম ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে ।
যতখানি ভয়াবহতা নিয়ে এগিয়ে আসছে দুর্যোগ তাতে ক্ষয়ক্ষতি মারাত্মক আঁকারে ধারন করা থেকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার চেস্টা আর কি । মহান আল্লাহ আমাদের সবাই কে হেফাজত করুন ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ;জাজাক আল্লাহ খায়রান ।

৬১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:১৪

সাব্বির এইচ খান বলেছেন:
আমরা হয়তো মানুষ হতে পারলাম না, মানুষের জান মাল শেষ হয়ে যাচ্ছে তাতে আমাদের কিচ্ছু যায় আসেনা কারণ জনসংখ্যা দিন দিন বেশী হয়ে যাচ্ছে, তবে প্রতিবেশী দেশের হাতি বিপদে পরলে আমাদের মন কেঁদে উঠে!

৬২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

জে আর সিকদার বলেছেন: ১৯৯৮ সালের বন্যা দেখেছি মায়ের কোলে থেকে, ২০০০ সালের পর বর্ষাকাল দেখেছি , বন্যা দেখেছি, নদী ভাংন দেখেছি। যমুনার চরঅঞ্চল সিরাজগঞ্জ, চৌহালী উপজেলার মানুষ হবার সৌভাগ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিত্যদিনের সঙ্গী। এবার দেশের বাইরে থাকায় কাছের মানুষদের কষ্ট দেখা হলো না কাছ থেকে। আল্লাহ সকলের সহায় হোন।

৬৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

কাছের-মানুষ বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্ট। মানুষগুলো খবই মানবেতর জীবন যাপন করছে। পানি নেমে যাক এই দোয়া করি।

৬৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

শুভ্র বিকেল বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। আল্লাহ যেন তারাতারি আমাদের মুক্তি দেন। এত কষ্ট মানুষের সহ্য করার মত না।

৬৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

শ্রোডিঙ্গার বলেছেন: আমাদের দেশের অবস্থা দেখলে খারাপ লাগে ভাই।

৬৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪

অালপিন বলেছেন: আঁতেলরা দেখুন ফালতু সব পোষ্টে কমেন্টের বন্যা বয়ে দিচ্ছে। আর এরকম একটি জনগুরুত্বপূর্ণ পোষ্টে একটি কমেন্টের মাধ্যমেও সহমর্মিতা জানানোর টাইম নাই।

বন্যার্ত মানুষদের হাহাকার দেখলে বুকটা হু হু করে উঠে। আমার কাছে এ পর্যন্ত আট-দশজন তাদের সামনের দিনগুলো কেমন করে পার হবে এই নিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে। আমার সামান্য আচ্ছাস তাদের কান্নার দমক থামাতে পারছে না।

একজনের পাঁচ বিঘা জমিতে ধান ছিল। পানিতে ডুবে আছে কয়েকদিন হল। ধান পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। উনার একটা ছেলে রাজশাহীতে কলেজে পড়ে। এখন কীভাবে টাকার সংস্থান হবে এই ভেবে ফোনে হু হু কান্না শুনে হৃদয় মথিত হয়ে নিজেরও কান্না চলে আসে।

৬৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পরিস্থিতি ভয়ানক । :( আমিও লিখে ফেললাম একটি কবিতা ।

৬৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০৯

কানিজ রিনা বলেছেন: বিস্তারিত উপস্থাপন করায় আপনাকে
ছালাম। আপনার লেখা স্টিকি হওয়ার
এক সপ্তাহ পর আরও নতুন এলাকা
প্লাবিত হয়েছে। অবস্থার অবনতি বেগতিক।
আমার পোস্টে আপনি মন্তব্য রেখেছেন।
তাই আবারও ধন্যবাদ। লেখালেখিতে
জনসচেতনতা বাড়বে আশা রাখি।
আল্লাহ্ সহায় হোন।

৬৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

কাল হিরা বলেছেন: দারুন !! একটি ফান্ড রাইজিং ইভেন্ট এ আপনার লেখাটি ব্যবহার করতে চাই । অনুমতি প্রদান করলে বাধিত হতাম।

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আমার কোন আপত্তি নাই; তবে আমাকে জনাতে হবে কে বা কাহারো উদ্দোগ নিয়েছেন। কোথায় ত্রান বিতরন করবেন; এই পোষ্ট কিভাবে ব্যবহার করবেন?

৭০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৪২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ব্লগ থেকে আমাদের ব্লগাররা যদি কোন উদ্যোগ গ্রহন করেন, তাহলে খুবই চমৎকার হয়।

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৩১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
উত্তম প্রস্তাব জাদিদ ভাই; বন্যা দুর্গত মানুষদের এই সময়ে সামু ব্লগের ব্লগাররা এগিয়ে আসতে পারে নিজেদের সামর্থ্য অনুসারে বরাবরের মতো। অন্যান্য ব্লগাররা কে কি ভাবছেন তা আলোচনার জন্য অনুরোধ করছি।

৭১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একনজরে বন্যায় ক্ষতি

* ২৭ জেলার ১৫৪ উপজেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত

* ৫৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৪ জন ক্ষতিগ্রস্ত

* ৯৩ জন মারা গেছে ১৪ জেলায়

* ৫ লাখ ৩১ হাজার ৯৪১টি ঘরবাড়ির ক্ষতি

* ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৬০৯ হেক্টর জমির ক্ষতি

সুত্র: প্রথম আলো
২০-০৮-২০১৭

৭২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮

ধুতরার ফুল বলেছেন: জাদিদ ভাই এর প্রস্তাব টা বিবেচনা করা দরকার। তিনি যদি একটা ইভেন্ট খুলেন, আশা করি সকল ব্লগার আগ্রহী হবে।
শুরু করতে পারলে শেষ তো হবেই ।

৭৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

আজাবুল মরফুদ বলেছেন: উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুসারে ১৯৮৮ সালের তুলনায় ১৯৯৮ সালের বন্যা বেশী ভয়াবহ ছিল। ১৯৯৮ সালের বন্যায় দেশের ৭৫ ভাগ এলাকা এবং ১৯৮৮ সালের বন্যায় ৬০ ভাগ এলাকা বন্যা কবলিত হয়।
আসলে বেশী মাত্রায় ভোগান্তি/ক্ষতির শিকার না হলে পাবলিকে সবকিছু ভুলে যায়। জননেত্রী শেখ হাসিনার সিস্টেমেটিক দৃঢ় পদক্ষেপেরে কারণে ১৯৯৮ সালের বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতির মাত্রা কম হয়েছিল।
কিন্ত বর্তমানের মিডিয়ায় বার বার ১৯৮৮ সালের বন্যাকে ফোকাস করা হচ্ছে!!! ১৯৮৮ সালের বন্যা উপলক্ষে এরশাদ সাহেবের সেই গান, (তোমাদের পাশে এসে বিপদের সাথী হতে আজকের চেষ্টা আমার…) মনে হয় মিডিয়া ভুলতে পারে নাই। এরশাদ সাহেবেরে এই গানের সুবাদে “বন্যা” নামক ভার্সিটি পড়ুয়া এক রূপসী বান্ধবী পড়েছিল মহা বিপদে। রাস্ত-ঘাটে তাকে দেখলেই সুরে সুরে গান, “বন্যার ভয়াবহ রূপ”!!!

৭৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

তপোবণ বলেছেন: "এ নিয়ে সরকারকেই ভাবতে হবে।"

সরকার আছে অন্যভাবনায়, ব্যাপারটা নিয়ে আমাদেরই ভাবতে হবে। আমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব চলুন তা দিয়েই আমরা শুরু করি।

৭৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:২৫

ডিজিটাল মাঠবাডিয়া বলেছেন: এসো মঠবাড়িয়া বাসী তথ্য প্রযুক্তির আলোতে আলোকিত হই, ডিজিটাল মঠবাড়িয়া

৭৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:১২

আরজু পনি বলেছেন: ঘরে আরামে ঘুমিয়ে, এসি গাড়িতে চড়ে তিন বেলার বদলে পাঁচ বেলা খেয়ে কী সুখেই না আছি আমরা!
অথচ আমাদের দেশেই মানুষ না খেয়ে, পানি বন্দী অসহায় জীবন পার করছে!!
নিজেকে খুব বেশি অসহায় লাগছে!

৭৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৫:৫৬

হাফিজ রাহমান বলেছেন: আল্লাহ ! আমাদের রক্ষা করুন। আমরা আমাদের বানভাসী ভাইদের জন্য আর কিছু না হোক দু হাত তুলে একটু দুআ তো করতে পারি।

৭৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:০২

রাকিব মুন্না বলেছেন: বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

৭৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অফিস একদিনের বেতনের টাকা নিবে বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য । উদ্যোগ ভাল । ত্রাণ জায়গামত পৌঁছলেই হবে ।

৮০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

জানা বলেছেন: পলাশ,

চলমান বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা করার লক্ষ্যে আমরা (সামহোয়্যার ইন) ছোট-বড় বিভিন্ন সংস্থা বা কোম্পানিকে ইতিমধ্যে ইমেইল করেছি। দেশে নানান দুর্ঘটনায়, দুর্যোগে, মানবিক সহায়তায় বরাবর ব্লগারদের নিঃস্বার্থ এবং আন্তরিক সহযোগিতা ও তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার শক্তির কথা জানিয়ে তা সদ্ব্যাবহারের অনুরোধ করেছি। বিনিময়ে আমরা (সামহোয়্যার ইন) তাদেরকে বিনামূল্যে নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে আমাদের প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপণ দেবার সুযোগ দিতে চেয়েছি। একটি নির্দিষ্ট ব্যানারে যাতে তাদের সাম্প্রতিক বন্যা সংক্রান্ত কার্যক্রম আপডেট করতে চায় তারও প্রস্তাব রেখেছি। জানিনা কতটুকু কাজ হবে। এ বিষয়ে উদ্দোমী ব্লগাররা সহ আপনার সাথে কথা বলে একটা ব্যাবস্থা নেয়া যেতে পারে।

উল্লেখ্য, সামহোয়্যার যেহেতু কোন সাহায্য সংস্থার সাথে যুক্ত/জড়িত নয় তাই বরাবরের মতই আমরা সরাসরি কোন আর্থিক বিষয়ে সম্পৃক্ত হতে পারিনা। কোন সংস্থা/কোম্পানী আমাদের প্রস্তাবে আগ্রহী হলে এ বিষয়ে একটি সহজ সমাধানও বার করা যেতে পারে।

আজই একবার আপনার সাথে যোগাযোগ হবে আশা করি। শুভেচ্ছা সকলকে।

(৮০ নম্বর মন্তব্যের ঘরে আমার ভুলটি মুছে দিন)।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:২৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
জানা আপু,

আপনার মাধ্যমে সামহোয়ারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অশেষ ধন্যবাদ বন্যা দুর্গত মানুষের তথ্য মিডিয়ার ও সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের নজরে আনার জন্য আমার বন্যা পূর্বাভাষ সম্পর্কিত এই পোষ্টকে স্টিকি করার জন্য। সেই সাথে বন্যা পরবর্তী দুর্গত মানুষের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে নিজেদের প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন সহায়তা প্রদানের ইচ্ছে প্রকাশ করে। আমার বিশ্বাস অতীতে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যেমন করে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সামর্থবান মানুষরা এগিয়ে এসেছিল দুর্গত মানুষকে সাহায্য করার জন্য; এবারও একই ভাবে এগিয়ে আসবে।

আপু, ভুল করে ফোন সাইলেন্ট মুডে রেখে ঘুমাতে গিয়েছিলাম রাতে। সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনার ভয়েস ম্যাসেজ পেলাম। কিভাবে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারি।

৮১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২৮

রোমেল রাজবিডি বলেছেন: আমি romel rajbd, ভাই তথ্য বহুল এই পোষ্টটি করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । আমার মনে হয় এই রকম পরিস্থিতিতে আমাদের সকলকেই এক হয়ে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।

৮২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

শরতের ছবি বলেছেন: কী আর বলব !

দুর্ভাগা বানভাসি তারা
----------------------

এই জলেই আগুন জ্বলে
জলের ক্রোধে মানুষ ভাসছে জলে
জল যেন হায়েনা ,
সে জ্বলছে প্রতিশোধের স্পৃহায়
মানুষ খেয়েছে নদী ;
এখন নদী কেবল মানুষ খেতে চায়
সাধ্য কার তারে ফেরায় ?
কে করেছে পাপ
কে তার সাজা পায় !
হামাগুড়ির শিশু
ভেসেছে পানির তোড়ে ;
ও পাড়ার সুমা , বিলাল গিয়েছে মরে
সব কী আর আসে খবরে ?
সেই দুর্ভাগাদের কথা বলছি ,
যাদের চাল নেই ঘরে
চুলো গেছে মরে ,
পানি ঢুকেছে চারিধারে
খাট বিছানা চালের উপরে ।
সাপ ওঠেছে মরে,
গরু ভেসে গেছে
পেট তো বুঝে না কিছু
ক্ষুদা তার পাল্লা দিয়ে বাড়ে !
দিনে দিনে বাড়ে অনটন
জীবনের আরও কত প্রয়োজন !
বাড়ছে অসুখের প্রাদুর্ভাব
অসুখে কী করে ;
কেনা হবে অসুধ ,বিসুধ
মানুষগুলোর গালে হাত
দিন তবু যায় ,
থেমে যায় রাত ।
ঘোর অমানিশায়
বেঁচে থাকা দায় !
বাড়ালে কেউ হাত
ভাবে ,এসেছে বুঝি দেব দুত !
জড়ো হয়ে সব তারা হাত পাতে
কিছু ত্রানের আশায় ।
কিছু আসে ত্রাণ ;
তবে যায় না সেই ব্যাকওয়ার্ড পাড়ায় ।
জলের খেয়ালে তার বানভাসি আজ
তারা বুভুক্ষা, নিঃস্ব অসহায় ,
আপন নিবাস ভুলে রাস্তায় দাঁড়ায়
ওদের সব গেছে বন্যায়
তলিয়েছে ফসলের জমি -মাছের পুকুর
জলকেলিতে ভাঙছে বসত এবার !

৮৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

মহসিন উদ্দিন বলেছেন: আমরা কি পারিনা দেশের সবাই মিলে ঐ পানিতে আটকাতে? কিংবা এই বন্যার জন্য অতি সত্ত্বর কোনো ব্যবস্থা নিতে? দেশের সবাই সব দিক থেকে তাদের মতামত প্রকাশ করে। কিন্তু উর্দ্ধতন মন্ত্রণালয় কি এ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে?

৮৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০০

বিজন রয় বলেছেন: আমরা যাচ্ছি আগামী বুধবার।

৮৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:২৭

আমপাবলিক বলেছেন: হে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন...

৮৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

মঈনুদ্দিন অারিফ মিরসরায়ী বলেছেন: হে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন...

৮৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৯

ভিশন ২০৩০ বলেছেন: ত্রান সহায়তা হিসেবে স্বল্প পরিমান খাদ্যদ্রব্য দেয়ার চাইতে এখন জরুরী হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, ক্ষতিগ্রস্থ আবাসন মেরামত কেন্দ্রীক সহায়তা, ক্ষতিগ্রস্থ ফসলী জমি ও জমিতে বপনকৃত ফসল কেন্দ্রীক সহায়তা, ক্ষতিগ্রস্থ যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত মেরামত করে সচলের উপযোগী করা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.