নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে; জল ও স্থল ভাগের স্থায়ী বরফাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ কমে যাচ্ছে, ফলাফল: জলবায়ুর পরিবর্তন

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০৮



আপনি জানেন কি?

২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসটি ছিলও পৃথিবীর তাপমাত্রা পরিমাপের ইতিহাসে ৫ ম সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রার জানুয়ারি মাস।

২০১৭ সালের জুন মাস থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বিষুবরেখা বরাবর (ট্রপিকাল) পূর্ব-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কমপক্ষে মাইনাস শূন্য দশমিক ৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড বার তার চেয়ে বেশি ছিলও যে অবস্থাকে বলা হয়ে থাকে লা-নিনা কন্ডিশন। অন্যান্য বছরের তুলনায় লা-নিনা বৎসরে আর্কটিক মহাদেশের তাপমাত্রা অনেক কম থাকে ও আর্কটিক মহাসাগরে বেশিভাগ এলাকা বরফে ঢাকা থাকে।

১ নম্বর ছবি

বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে গত কয়েক দশক থেকে ক্রমাগত ভাবে শীতকালে আর্কটিক মহাসাগরের বরফাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ কমে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়; গত কয়েক দশক ধরে প্রতি গ্রীষ্ম কালে আর্কটিক মহাসাগরের বরফাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ পূর্বের বছরের অপেক্ষা কমে যাচ্ছে। শীত ও গ্রীষ্ম কালে আর্কটিক মহাসাগরের বরফাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণকে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তনের অন্যতম একক হিসাবে গণ্য করা হয়ে থাকে। উপরে সংযুক্ত ১ নম্বর চিত্র হতে দেখে নিতে পারেন ১৯৭০ সালের পর থেকে প্রতি ১০ বছরে আর্কটিক মহাসাগরের বরফাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ কতটুকু কমে গেছে।

২ নম্বর ছবি

২০১৮ সালের জানুরায়ি মাসে ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৩০ বছরের (১৯৫১-১৯৮০) জানুয়ারি মসের গড় তাপমাত্রা অপেক্ষা কত ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড বেশি ছিলও তার নির্দেশ করতেছে ২ নম্বর ছবি।

৩ নম্বর ছবি

পৃথিবীর বিভিন্ন সাগর ও মহাসাগরে বরফাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ ১৯৭৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নির্দেশ করতেছে ৩ নম্বর ছবি । সংযুক্ত প্রতিটি চিত্র নির্দেশ করতেছে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে ও বিভিন্ন অঞ্চল চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়া যেমন অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জান ও মালের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

৪ নম্বর ছবি

১৮৫০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির চিত্র

ছবি কৃতজ্ঞতা: ১, ২, ৩ (Dan Satterfield); ৪ (আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়)


মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

ভাইরাস-69 বলেছেন: বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্যে কী কার্বন ডাই অক্সাইডের তুলনায় এই হাইড্রোফ্লোরো কার্বনই অনেক বেশি দায়ী?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
মন্ট্রিয়াল প্রটোকলের কারণে হাইড্রোফ্লোরো কার্বন ব্যাবহার প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে অনেক পূর্বে। মেরু অঞ্চলে যে ওজন হোল সৃষ্টি হয়েছিল তাও প্রায় পুরো বন্ধ হওয়ার পথে। ফলে হাইড্রোফ্লোরো কার্বন এখন সমস্যা না। বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য বর্তমানে সমস্যা হলও জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন কয়লা ও তেল। পুনঃ-ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি যেমন বায়ু, সূর্যের আলো ব্যবহারের বিকল্প নাই। যে দেশ গুলোতে বছর জুরে বায়ু, সূর্যের আলো পর্যাপ্ত সেই দেশ গুলোকে এগিয়ে আসতে হবে পৃথিবীকে বসবাসযোগ্য রাখার জন্য।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

নতুন বলেছেন: এটা নিয়ে খুব কমই ভাবে.... সবারই উচিত নিজের স্হান থেকে যতটুকু সম্ভব ততটুকু চেস্টা করা যাতে এই পৃথিবিকে মানুষ যেন বসবাসের অনুপোযোগী না বানায় তার জন্য সচেতনতা বাড়াতে চেস্টা করে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আমরা সব-সময় চিন্তা করি ছেলের জন্য একটা বাড়ি, কিছু জমি-জায়গা ও ব্যাংকে টাকা রেখে গেলেই আমাদের দায়িত্ব শেষ। কিন্তু একবারওচিন্তা করি না ঢাকা শহরে বাড়িতে বসে ব্যাংকের টাকা দিয়ে পরিষ্কার বাতাস সেবন করতে পারবে কি না আমার ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি? বাজারে গিয়ে যে হাজার টাকা দিয়ে মাছ কিনতেছি সেই মাছ পরিষ্কার পানিতে চাষ হইছে নাকি বুড়িগঙ্গার কালো পানিতে?

আপনি জানেন কি?

আমরা যে সামুদ্রিক মাছ ও মৎস্য জাতীয় অন্যান্য প্রাণী (seafood) খাই (কাঁকড়া) তার তিন ভাগের এক ভাগের মধ্যে ক্ষুদ্রাতি-ক্ষুদ্র প্লাস্টিক পাওয়া যায়। একই সাথে আমরা যে ট্যাপের পানি খাই তার শতকরা ৮০ ভাগ এর মধ্যে ক্ষুদ্র প্লাস্টিক (microscopic particles of plastic) পাওয়া যায়। এর পরেও আমরা প্লাস্টিক বর্জন করতে পারি না।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো শেয়ার :)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ মামা।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৬

সোহানী বলেছেন: এভাবে ওয়ার্মিং হতে হতে কি কানাডার বরফ পড়া বন্ধ হবে??

হাহাহা ফান করলাম। তোমার খবর কি? আর কতদিন বরফে আটকে থাকতে হবে?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
এভাবে ওয়ার্মিং হতে হতে কি কানাডার বরফ পড়া বন্ধ হবে??

না, বরফ পড়া বন্ধ হবে না; তবে ভবিষ্যতে ফ্রিজিং রেইন, যেটা সবচেয়ে ক্ষতিকর ও একই সাথে বিরক্তিকর তা বৃদ্ধিপাবে। তবে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বে যে কয়টি দেশ সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে তার মধ্যে কানাডা ও রাশিয়া অন্যতম। এই দুইটি দেশের শতকরা ৯০ ভাগ জায়গায় শীতের জন্য বসবাস ও চাষাবাস অযোগ্য। ফলে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মানুষের বসবাস ও কৃষি কাজ আরও উত্তরে প্রসারিত হবে। অনেক সহজে কানাডার উত্তরের খনিজ সম্পদ আহরণ করা যাবে।

আপু এই সপ্তাহে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। তবে মনে হয় না এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ সপ্তাহের বেশি স্হায়ী হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.