নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যোগ্য মানুষ থাকার পরেও অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতার মানুষদের কাছ থেকে সরকারি সেবা নিতে বাধ্য করা হবে কেন দেশের করদাতাদের?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২২


বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম সিলেকশনের সময় যদি পারফরমেন্সে এগিয়ে থাকা ক্রিকেটারদের টিমে দেখতে চান; তবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের সময় না কেন? এক দেশে দুই নিয়ম কেন? ক্রিকেট টিমই কি শুধু বাংলাদেশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে? বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তারা করে না?

বাংলাদেশে ক্রিকেট টিমের ১১ সদস্যের দলে সাকিব, তামিম, মুশফিকের ও মাশরাফি এর পরিবর্তে কোনমতে ক্রিকেট ব্যাট ধরে ক্রিজে দাঁড়াইতে পারে কিংবা বল ছুড়ে মারতে পারে এই রকম যোগ্যতার ৩ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কিংবা নাতি-নাতনি; ১ জন উপজাতি; ও ১জন জেলা কোটায় ১ খেলোয়াড় যোগ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে বিশ্বকাপে খেলতে পাঠানো হয় তবে সেই ক্রিকেট দল দেশ ও জাতিকে কি পারফরমেন্স উপহার দিবে তা নিশ্চয় বলে দিতে হবে না।



মেধা তালিকায় ৫০০/১০০০ সিরিয়ালের একজনকে কোটায় ফরেন সার্ভিসে নিয়োগ দিয়ে বৈদেশিক মিশনে পাঠালে সে কূটনৈতিক কর্মকর্তা দেশের স্বার্থ কতটুকু রক্ষা করবে সেটা বোঝার জন্য রকেট সাইন্টিস্ট হতে হয় না।




যোগ্য মানুষ থাকার পরেও অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতার মানুষদের কাছ থেকে সরকারি সেবা নিতে বাধ্য করা হবে দেশের করদাতারা?



=======================================================================
একজন কোটারি ও একজন মেধাবী ছাত্রের উদাহরণ (প্রথম জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় জন বুয়েটের)

=======================================================================

মেধা তালিকায় ভর্তি বুয়েটের ছাত্রটি যখন সারা বিশ্বে নিজের যোগ্যতার সাক্ষর রাখে তখন পোষ্য কোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ছাত্রটি নিজের বিভাগের ১২ ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে অনার্স শেষে হয় ১২ তম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের কোন এক বিভাগে পোষ্য কোটায় এক শিক্ষকের ছেলেকে ভর্তি করা হয়; যে ভর্তি পরীক্ষায় টাইনা-টুইনা পাস নম্বর অর্জন করেছিল (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০)। ঐ বিষয়ে ভর্তি হওয়া অন্য সকল ছাত্র-ছাত্রী ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম ১০০ এর মধ্যে অবস্থান করা। ৪ বছরের অনার্স শেষে দেখা গেছে কোটারি ঐ ছাত্র তার ক্লাসে পিছন দিক থেকে প্রথম হয়েছে। কোটায় ভর্তি হওয়া ছেলেটি কেন ৪ বছরে নিজের যোগ্যতার কোন প্রমাণ দিতে পারলো না?




গতকালকে জানতে পারলাম এমন একজনের কথা যে কিনা সেই ১৯৪ সালে বুয়েট ভর্তি কোচিং এর সময় ঢাকার সবচেয়ে সেরা কোচিং এর প্রস্তুতি পরীক্ষায় প্রথম হতো। বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় সেই ছেলই প্রথম হয়ে কম্পিউটার সাইন্স বিভাগে ভর্তি হয়। সেই ছেলেটির নাম মোস্তাক আহমেদ; আশাকরি চিনতে পেরেছেন। আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় মোস্তাক আহমেদ, মনিরুল আবেদিন পাপ্পানা ও অন্য একজনকে (তৃতীয় জনের নাম এই মুহূর্তে মনে পড়তেছে না) নিয়ে যে স্থান অর্জন করেছিল (১১ তম) তা আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোন ছাত্র-ছাত্রী ভাঙ্গতে পারে নাই। সেই সময় পত্রিকা পড়ে জানতে পেড়েছিলাম যে অনার্স শেষ করার পূর্বে মাইক্রোসফট কোম্পানিতে চাকুরী পায় মোস্তাক আহমেদ। বর্তমানে গুগল কোম্পানির অনেক বড় পদে চাকুরী করে; আমি যেই শহরে থাকি সেই ওয়াটারলুর গুগল অফিসে কর্মরত।

আশা করি বুঝতে পারতেছেন মেধা ও কোটার পার্থক্য।



মেনে নিলাম বর্তমান শিক্ষা বসায় অনেক ত্রুটি আছে তার পরেও এই গলদ শিক্ষা ব্যবস্হায় যে ছেলেটি শ্রেণী কক্ষে প্রথম হয় সে ঐ ক্লাসের সকলের চেয়ে ভাল কিছু দেওয়া যোগ্যতা রাখে। মেধা তালিকার পিছন দিক থেকে প্রথম, দ্বিতীয় হওয়াদের বেশি কিছু দেওয়া সম্ভব না (দুই একজন ব্যতিক্রম কখনও উদাহরণ হতে পারে না)।





পোষ্টে সংযোক্ত ছবিগুলো কোটা সংস্কার এর দাবিতে সারা দেশে মানব-বন্ধরত ছাত্র-ছাত্রীদের ছবি (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)।

আপনি যদি সত্যি-সত্যি জাতীয় সংগীতকে নিজের বুকে ধারণ করেন তবে দেশের স্বার্থে; দেশের মানুষের স্বার্থে সরকারি চাকুরীতে কোটা প্রথাকে না বলুন। আমি চাই সবচেয়ে যোগ্য ডাক্তারটির কাছে নিজের চিকিৎসা করারতে; আমি চাই সবচেয়ে যোগ্য প্রকৌশলীটি দেশের রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট তৈরি করুক; আমি চাই সবচেয়ে যোগ্য ছেলেটি রাষ্ট্রদূত হয়ে বৈদেশিক মিশনে যোগ দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দিক ও অন্য দেশে নিজের দেশের স্বার্থ রক্ষা করুক।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০০

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:

কথাগুলো ঠিক।
সফল মানববন্ধনের কিছু ছবি দিয়ে পুস্ট করুন। যাদের যাওয়া সম্ভব না তারা জানতে পাড়বে। সময়ে সুযোগে তারা সোচ্চার হবে।

ধন্যবাদ

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ। পোষ্টে মানববন্ধের ছবি যোগ করে দেওয়া হয়েছে।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: সরকারী চাকরিতে ঢুকার পর এরা কেমন যেন দায়িত্বহীন হয়ে যায়। কোন সেবা নিতে গেলে সহজে কথা বলে না, মানুষকে কষ্ট দেয়। এরা যেন কখনোই শান্তি না পায়।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আমার দুই বন্ধু দুই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। দুই জেলায় কর্মরত। প্রায় ১৫ দিনের ব্যবধানে দুইজনই নিজ-নিজ জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছে। কলেজে জীবনে একজনের সাথে একই সাথে দেশের সেবার করার লক্ষ নিয়ে বিএনসিসিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমি দেশান্তরি হলেও আমার সেই বন্ধু কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে বিসিএস দিয়ে দেশের সেবার করতেছে। অন্যজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা হলে রক্তদাতা সংগঠনের সভাপতি ছিলও। চাকুরী জীবনের শুরুতেই উপজেলা ভূমি অফিসে যোগ দিয়ে (বাংলাদেশের সরকারি অফিস গুলোর মধ্যে অন্যতম দুর্নীতি প্রবণ অফিস) ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসিয়ে মনিটর বসিয়েছিল নিজের টেবিলে। ফলে অফিসে যোগ দেওয়ার ১ মাসের মাথায় ঐ অফিসের সকল দুর্নীতি, অ-ব্যবস্থাপনা উধাও হয়ে গিয়েছিল। চাকুরীতে যোগ দেওয়ার ২/৩ বছরের মধ্যে জেলার শ্রেষ্ঠ ভূমি কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সহমত!!

সে নো টু কোটা!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটার দরকার।
তবে বর্তমানে সেটা অতিরিক্ত মনে হচছে।
এর জন্য জাতীকে ভূগতে হবে।
X(

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

সরকারি চাকুরিতে কোটায় নিয়োগ কোন ভাবেই ১০% এর বেশি হওয়া উচিত না। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি গ্রামে এখন স্কুল আছে; প্রতিটি ইউনিয়নে ৪/৫ টা উচ্চ বিদ্যালয় আছে। প্রতিটি উপজেলায় ৪/৫ টি কলেজ আছে। তাহলে বাংলাদেশের কোন এলাকার মানুষ এখনও অনগ্রসর পার্বত্য চট্রগ্রামের ৩ টি জেলার উপজাতি সম্প্রদায় ছাড়া?


৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭

করুণাধারা বলেছেন: হাজারখানেক মানুষকে সুবিধা দেয়া হচ্ছে যার ফলে ষোলো কোটি মানুষ নানা অসুবিধা ভোগ করছে। এটা অন্যায়। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসলেও এখন এই অন্যায়ের অবসান হওয়া দরকার।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

আমি চাই সবচেয়ে যোগ্য ডাক্তারটির কাছে নিজের চিকিৎসা করাতে; আমি চাই সবচেয়ে যোগ্য প্রকৌশলীটি দেশের রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট তৈরি করুক; আমি চাই সবচেয়ে যোগ্য ছেলেটি রাষ্ট্রদূত হয়ে বৈদেশিক মিশনে যোগ দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দিক ও অন্য দেশে নিজের দেশের স্বার্থ রক্ষা করুক।

৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৬

শাহিন-৯৯ বলেছেন: কোটা পদদ্ধি জাতির উপর এখন গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার সাথে একমত। কোটায় নিয়োগ পাওয়া বেশিভাগ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারির কারণে সরকারি অফিস গুলো হয়ে উঠছে অলস, অযোগ্য মানুষদের ভাগাড়। বে-সরকারি ব্যাংক যখন শত-শত কোটি টাকা লাভ করতেছে প্রতি বছর সেখানে সরকারি ব্যাংক গুলো প্রতিবছর শত-শত কোটি টাকা লস করতেছে। কেন করতেছে তা নিয়ে সরকারের কোন চিন্তা নাই; কারণ ঐ সকল পদে যোগ্য মানুষ নিয়োগ দিলে তাদের দিয়ে সরকারি ব্যাংক লুট করা সম্ভব হবে না।

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৫৮

সোহানী বলেছেন: সহমত সহমত সহমত সহমত ...........

কোটা শুধু চাকরীর ক্ষেত্রে না, বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ভর্তির ক্ষেত্রে কোটায় ভর্তি দেখলে আতংক লাগে। আমার সাথে পড়তো ও চাকরী করতো এরকম অনেক ছাগলদেরকে পেয়েছি জীবনে। সরি টু সে, দেশ এখনো শিখলো না। যেখানে মেধাবীরা গিজ গিজ করছে সেখানে কম মেধাবী বা আদৈা মেধাবী নয় এমনদেরকে দিয়ে দেশ চালানো একটা প্রথম শ্রেনীর গাধামী।

নো টু কোটা!
নো টু কোটা!
নো টু কোটা!
নো টু কোটা!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

আপু, বাংলাদেশের ভবিষ্যত অবস্হা হতে পারে ভেনিজুয়েলা, জিম্বাবুয়ে কিংবা গ্রীসের মতো। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে ভেনিজুয়েলা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারি দেশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.