নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করতে গিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যটি লজ্জায় নিজের মুখ ঢেকে ফেলে কিন্তু নির্লজ্জ সরকার ঢাকে না !!!

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪৯


কোন-কোন সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীরা পায় পাখা-বাতাস সহ বিরিয়ানি খাওয়া ও হোটেল শেরাটন-সোনারগাঁ এর রাত্রি যাপনের ব্যবস্হা পক্ষান্তরে অন্য আন্দোলনকারীরা পায় পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ও থানার জেলখানায় রাত্রি যাপনের ব্যবস্হা। মদিনা সনদে চলা দেশে আন্দোলনকারীদের সাথে এই রকম বৈষম্য কেন?

সরকারের নির্দেশ পালন করে কোটা সংস্কারের দাবিতে পথে নেমে আসা মেয়েটিকে গ্রেফতার করতে গিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যটিও নৈতিকতা বিরোধী কাজটি করতে গিয়ে লজ্জায় নিজের মুখ ঢেকে ফেলতে হলও। [কোটা সংস্কার চেয়ে মিছিল, কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিপেটা], সুত্র: দৈনিক প্রথম আলো





সরকারি চাকুরীতে কোটা-প্রথার সংস্কার চেয়ে তৃতীয় বারের মতো সারা-দেশে পথে নেমেছিল বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চাকুরী প্রার্থীরা। সম্পূর্ণ অহিংস একটা আন্দোল দমনে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করলো; প্রথমে আন্দোলনকারী ৩ জনকে গ্রেফতার করলো; এর পরে গ্রেফতারকৃতদের ছড়িয়ে নিতে ৫০ আন্দোলনকারী থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশকে অনুরোধ করলো তাদের ছেড়ে দিতে অথবা তাদের গ্রেফতার করতে। জনগণের সেবক থেকে সরকারের সেবকে পরিণত হওয়া পুলিশ বাহিনী ঐ ৫০ জনকেও গ্রেফতার করে জেলখানায় আটকে রাখলো।





যে সরকার কিছুদিন পূর্বে অন্য একটি সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীদের পাখা-বাতাস সহ বিরিয়ানি খাওয়ার ব্যবস্হা করলো। আন্দোলনের নেতাদের হোটেল শেরাটন-সোনারগাঁ এর রাত্রি যাপনের ব্যবস্হা করলো। সরকার প্রধান সংসদ নামক মাছের বাজারে দাঁড়াইয়া চোখে গ্লিসারিন লাগাইয়া আবেগে কাইন্দা দিলো। বাংলা সিনেমার নায়িকার মতো ডায়লগ "শয়তান দেহ পাবি কিন্তু মন পাবি না" এর অনুকরণ কইরা কইলো তাহার শরীর সংসদে থাকলেও মন সারাদিন আন্দোলনকারীদের ঐখানে পড়ে থাকে।



যে গণমাধ্যম পাখা-বাতাস সহ বিরিয়ানি খাওয়া সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীদের লাইভ কভারেজ দিল দিনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৫ ঘণ্টা সেই একই গণমাধ্যম গুলো সরকারি চাকুরীতে কোটা-প্রথার সংস্কার চেয়ে পথে নামা আন্দোলনকারীদের উপরে পুলিশের কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপের সংবাদ ও আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রেফতারের সংবাদ পুরো ব্ল্যাক আউট করে দিলো।



গতকাল রাতে ছোটবোনকে ফোন দেওয়ার সাথে-সাথে বলে ভাইয়া শুনছিস নাকি খবর? তার কথা শুনে ভয় পেয়ে দ্রুত জিজ্ঞাসা করলাম আব্বা বা আম্মার কিছু হয়েছে নাকি? ২ বছর পূর্বে আব্বার হার্টে ২ টা রিং পড়াতে হয়েছে; আম্মারও একটা মেজর অপারেশন করতে হয়েছিল তাই অসময়ে দেশ থেকে পরিবারের কেউ ফোন দিলে ফোন ধরে প্রথমে জিজ্ঞাসা করতে হয় কোন সমস্যা? যাই হউক, ছোট বোন বলে যে বিপ্লব তো জেলে!!! সরকারি চাকুরীতে কোট সংস্কারের দাবিতে যে ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ তাদের মধ্যে বিপ্লবও আছে। বিপ্লব হলও আমার আপন চাচাত ছোট ভাই।

বিপ্লব কয়েক মাস পূর্বে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ পাস করার পরে এখন চাকুরী খুঁজছে। দেশের উচ্চ শিক্ষিত লাখ-লাখ বেকারের মধ্যে সেও একজন। চাচার মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুযোগ হয় নাই যুদ্ধের সময় বয়স ১০ বছরের কম হওয়ায়। দাদা মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় ও খাদ্য দিয়ে সাহায্য করলেও মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। ফলে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতি কোটার মধ্যেও সে পড়ে না। অগত্যা দেশের শিক্ষিত ৯৮% বেকারের মতো তাকেও পথে নামতে হয়েছে মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকুরীর সুযোগের দাবিতে।

যোগ্য মানুষ থাকার পরেও অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতার মানুষদের কাছ থেকে সরকারি সেবা নিতে বাধ্য করা হবে কেন দেশের করদাতাদের?

গতকাল কোটা সংস্কারের দাবিতে তৃতীয়বারের মতো পথে নেমেছিল। গতকালের কর্মসূচী ছিলও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে নিজেদের যৌক্তিক দাবির পক্ষে স্মারনলিপী প্রদান। অগণতান্ত্রিক বা নামমাত্র গণতান্ত্রিক সরকার গুলো যা করে তা হলও দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ যা চায় তার বিপরীতে নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়। বাংলাদেশ সরকারও এর ব্যতিক্রম না। আজ থেকে ৪৭ বছর পূর্বে যে প্রেক্ষিত বিবেচনা করে সরকারি চাকুরীতে কোটা-প্রথা চালু করা হয়েছিল সেই একই গান গেয়ে যাচ্ছে আজ স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরে।

গতকাল আন্দোলনস্থল হতে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে রমনা থানার হাজতে পুরোয়। এই সংবাদ শুনে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের ৬০ জনের একটি দল রমনা থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশকে অনুরোধ করে গ্রেফতারকৃত ৩ জনকে ছেড়ে দিতে অথবা তাদের ৬০ জনকেও গ্রেফতার করে একই হাজতে পুরার জন্য। আমাদের দয়ার সাগর পুলিশ ভাইয়েরা দয়া পরবশ হয়ে তাদের ৬০ জনকেও হাজতে পুরে দিয়েছে। কারণ তারা চায় না আন্দোলনরত ছোট ভাইয়েরা ঢাকার রাস্তায় বসে রোদে পুরে কালো হয়ে যাক; ঢাকার পাবলিক টয়লেটের অ-স্বাস্থ্যকর পরিবেশে সৌচকৃত সম্পন্ন করুক। অন্তত ছোট ভাইদের মাথার উপর ফ্যান তো ঘুরবে (নিশ্চিত না রমনা থানার হাজতে ফ্যান আদৌ আছে কি না!!)। রমনা থানার পুলিশ ভাইয়েরা বড়ই দয়ালু; তারা চায় না কেউ হাজতে ফ্যানের বাতাস খাবে আর কেউ ঢাকার রাস্তায় বসে রোদে পুরে কালো হয়ে তাই সকলে ফ্যনের বাতাস খাওয়ার সুযোগ করতে দিতে রমনা থানার হাজতের ২০ জন ধরন ক্ষমতার রুমে ৬৫ জন দাঁড়াইয়া থাকার ব্যবস্হা করে দিয়েছিল।

গ্রেফতার ৩ জনকে ছাড়িয়ে নিতে গিয়ে ৬০ জনের কারাবরণের সংবাদ শুনে এবারে প্রায় ৫০০ জন আন্দোনলাকরী থানায় উপস্থিত। ঐ দিকে ঢাকায় আন্দোনলাকরীদের গ্রেফতারের সংবাদ শুনে সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে পথে নেমে রাস্তা অবরোধ করা শুরু করে। বিশেষ করা কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও সাভারে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোনলাকরী ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করা শুরু করলে সরকার ও পুলিশের কর্তা ব্যক্তিদের বোধোদয় হওয়া শরু করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গ্রেফতার করার ৬ ঘণ্টা পরে গ্রেফতারকৃত সকলকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

বড় ভাই হিসাবে ছোট ভাইয়ের জেলে যাওয়ায় চিন্তিত হওয়া উচিত, কিন্তু ছোট ভাইয়ের জেলে যাওয়ায় গর্ববোধ করছি। বাবা-মায়ের দেওয়া "বিপ্লব" নামটাকে সে সার্থক প্রমাণ করেছে ১ টা দিনের জন্য হলেও। পরিবারে চাকুরী প্রার্থীর সংখ্যাও একাধিক; একই সাথে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত সদস্য সংখ্যাও। নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে সরকারের নির্দেশ পালন করতে ছোট ভাইয়ের পিঠে বড় ভাইয়ের লাঠির বাড়ির সম্ভাবনা অস্বীকার করা যায় না।

পূর্বে বলেছি, আবারও বলছি, সরকারি চাকুরীতে বৈষম্য মূলক কোটা সংস্কার করে মেধা ভিত্তিক নিয়োগের জন্য পথে নেমে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নিজের শর্তহীন সমর্থন থাকল।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০৯

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: :(:(
কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করা হোক।

আমরা সবাই সুবিধাবাদী। ঠেলায় না পড়লে কোন কিছু করি না।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
কোটা সংস্কারের দাবিতে পূর্বেও বেশ কয়েকবার আন্দোলন হয়েছিল। তবে মিডিয়ার অসৎ সম্পাদকীয় নিতীর কারণে সেই সকল আন্দোলন জামাত-শিবীরের আন্দোলন বলে সেই সকল আন্দোলনকে মানুষের সামনে ভুল ভাবে উপস্হানপন করে অন্কুরেই বিনষ্ট করে দিয়েছিল। ২০০৭-২০০৮ সালে মইন ইউ আহমেদের সময় আমি নিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ ও ফজলুল হক হলের আন্দোলনের মিছিলে উপস্হিত ছিলাম। কাছে থেকে দেখেছি আন্দোলনেকে কিভাবে নষ্ট করা হলো। সুতরাং আপনার মন্তব্য পুরো-পুরি মেনে নিতে পারতেছি না।

আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: লজ্জা পাওয়ার মধ্য দিয়ে দেখিয়ে দিল পুলিশের মধ্যে এখনো মানবতা বেচে আছে। তারা চায় না কিন্তু বাধ্য হয়ে অনেক কাজ করে। মানুষ এখনো বেচে আছে। সব মরে যায় নাই। ভালো লাগল।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার সাথে আমিও একমত। ছবিটি দেখে আমারও আপনার মতো মনে হয়েছে যে কিছু-কিছু মানুষের বিবেক এখনও শেষ হয়ে যায় নি।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৪২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: যারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য শুভকামনা।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ২:৪৮

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: কোটা সংস্কার আসলেই খুব জরুরী।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ।

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:২০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শুধু ছাত্র ছাত্রীরা আন্দোলন না করে তথাকথিত বুদ্ধিজীবিদেরও সময় হয়েছে কোটা সংস্কারের ব্যপারে বলার। অবশ্য যদি তাদের 'বিবেক' থাকে...

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
বুদ্ধিজিবীরা কোটা সংস্কারের কথা বললে তাদের চেতনা ব্যবসায় মন্দা নেমে আসবে। ব্রিটিশদের ডিভাই ও রুল নিতী বাস্তবায়নেই তাদের বেশি লাভ। যত বেশি চেতনা বিক্রি তত বেশি নিজের আখের গুছানো।

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: প্রশ্ন ফাঁস, কোটা প্রথা মেধাবীদের বিকাশের পথে চরম অন্তরায় | মেধাবীদের উচ্চ শিক্ষা এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে সুযোগ প্রদান না করতে পারলে কোনো দেশই উন্নয়নের স্বপ্ন দেখতে পারে না | এই কোটা প্রথার বিরোধীরা তো কোনো অন্যায় দাবি করেন নাই - কিন্তু তাদের লাঠি পেটা করে সরকার আহাম্মকিরই পরিচয় দিচ্ছে এবং প্রমান করছে দেশে মেধার বিকাশে ক্ষমতাসীনরা মোটেই আগ্রহী নয় |

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
একজন কোটারি ও একজন মেধাবী ছাত্রের উদাহরণ (প্রথম জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় জন বুয়েটের)

মেধা তালিকায় ভর্তি বুয়েটের ছাত্রটি যখন সারা বিশ্বে নিজের যোগ্যতার সাক্ষর রাখে তখন পোষ্য কোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ছাত্রটি নিজের বিভাগের ১২ ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে অনার্স শেষে হয় ১২ তম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের কোন এক বিভাগে পোষ্য কোটায় এক শিক্ষকের ছেলেকে ভর্তি করা হয়; যে ভর্তি পরীক্ষায় টাইনা-টুইনা পাস নম্বর অর্জন করেছিল (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০)। ঐ বিষয়ে ভর্তি হওয়া অন্য সকল ছাত্র-ছাত্রী ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম ১০০ এর মধ্যে অবস্থান করা। ৪ বছরের অনার্স শেষে দেখা গেছে কোটারি ঐ ছাত্র তার ক্লাসে পিছন দিক থেকে প্রথম হয়েছে। কোটায় ভর্তি হওয়া ছেলেটি কেন ৪ বছরে নিজের যোগ্যতার কোন প্রমাণ দিতে পারলো না?

গতকালকে জানতে পারলাম এমন একজনের কথা যে কিনা সেই ১৯৪ সালে বুয়েট ভর্তি কোচিং এর সময় ঢাকার সবচেয়ে সেরা কোচিং এর প্রস্তুতি পরীক্ষায় প্রথম হতো। বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় সেই ছেলই প্রথম হয়ে কম্পিউটার সাইন্স বিভাগে ভর্তি হয়। সেই ছেলেটির নাম মোস্তাক আহমেদ; আশাকরি চিনতে পেরেছেন। আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় মোস্তাক আহমেদ, মনিরুল আবেদিন পাপ্পানা ও অন্য একজনকে (তৃতীয় জনের নাম এই মুহূর্তে মনে পড়তেছে না) নিয়ে যে স্থান অর্জন করেছিল (১১ তম) তা আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোন ছাত্র-ছাত্রী ভাঙ্গতে পারে নাই।

আশা করি বুঝতে পারতেছেন মেধা ও কোটার পার্থক্য।

মেনে নিলাম বর্তমান শিক্ষা বসায় অনেক ত্রুটি আছে তার পরেও এই গলদ শিক্ষা ব্যবস্হায় যে ছেলেটি শ্রেণী কক্ষে প্রথম হয় সে ঐ ক্লাসের সকলের চেয়ে ভাল কিছু দেওয়া যোগ্যতা রাখে। মেধা তালিকার পিছন দিক থেকে প্রথম, দ্বিতীয় হওয়াদের বেশি কিছু দেওয়া সম্ভব না (দুই একজন ব্যতিক্রম কখনও উদাহরণ হতে পারে না)।

৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আশাকরছি সাংবাদিক হিসাবে আপনি আপনার নৈতিক দায়িত্ব পালন করবেন।

৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১২

সোহানী বলেছেন: ছি: লজ্জা........ সরকারের যেহেতু লজ্জা নেই তাই আমরাই তাদের নির্লজতা দেখে লজ্জা পাই। ধিক এমন রাস্ট্রের....

কোটা প্রথা বন্ধ হোক! কোটা প্রথা বন্ধ হোক! কোটা প্রথা বন্ধ হোক! কোটা প্রথা বন্ধ হোক! কোটা প্রথা বন্ধ হোক! কোটা প্রথা বন্ধ হোক! কোটা প্রথা বন্ধ হোক! কোটা প্রথা বন্ধ হোক! কোটা প্রথা বন্ধ হোক! কোটা প্রথা বন্ধ হোক! কোটা প্রথা বন্ধ হোক!

১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
সরকার বর্তমান প্রচলিত কোটা ব্যবস্হার যত দ্রুত সংস্কার করবে তত দ্রুত নিজেদের ভোট হারানোর সংখ্যা কমিয়ে আনবে। আগামী ইলেকশনে (যদি হয়, সিলেকশন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি) তরুন প্রজন্মের সমনে কোটা সংস্কার বা বাতিল ইস্যু একটা বড় ফ্যাকটর হয়ে দাঁড়াবে। যে দেড় কোটি নতুন ভোটার হচ্ছে তাদের কাছে এই কোটা প্রথা বিশাল বড় একটা ইস্যু হবে; একই সাথে ভেরিয়েবল ভোটার যারা অভিভাবক তাদের কাছেও এই কোটা ইস্যু বড় একটা ফ্যাক্টর হবে। দেখা যাক গন্ডারের চামড়া ভেদ করে অনুভূতি কখন শরীরে পৌছায়।

৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২০

পদ্মপুকুর বলেছেন: view this link
কোটা নিয়ে পুরোনো এক ব্লগারের এই লেখাটা পইড়া দ্যাক্তে পারেন

১০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

জাহিদ হাসান বলেছেন: কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করা হোক। আসুন ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলি। দেশকে বাচাঁই,জাতিকে বাঁচাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.