নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুবলীগ নেতা একরামের ক্রসফায়ারের অডিও শুনে বাংলাদেশের সুশীল সমাজের প্রতিক্রিয়া দেখে চিড়িয়াখানার মোটা চামড়ার ঐ প্রাণীর গল্পটা মনে পড়ে গেল:

০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮



এক লোক চিড়িয়াখানায় বেড়াতে গিয়ে বিভিন্ন প্রাণীর খাঁচা ঘুরে গণ্ডারের খাঁচার সামনে উপস্থিত হলও। এই দিকে কিছুক্ষণ পরে গণ্ডারটি হো-হো করে হেঁসে উঠলো। গণ্ডারের হাঁসি দেখে চিড়িয়াখনা ভ্রমণে আসা ব্যক্তিটি গণ্ডারের তত্বাবধায়কে প্রশ্ন করলো ভাই গণ্ডারের এই হাঁসির রহস্য কি? তত্বাবধায়ক প্রশ্নকারীকে বলল যে ৭ দিন পূর্বে গণ্ডারকে গোসল করানোর সময় কিছুটা কাতু-কুতু লেগেছিল। গণ্ডারের চামড়া ৭ স্তর পুরু তো তাই ৭ দিন পড়ে সেই কাতু-কুতু টের পেয়ে আজকে হাঁসতেছে।

টেকনাফ পৌরসভার কমিশনা ও যুবলীগ নেতা একরামের ক্রসফায়ারের অডিও শুনে বাংলাদেশের সুশীল সমাজের প্রতিক্রিয়া দেখে চিড়িয়াখানার মোটা চামড়ার ঐ প্রাণীর উপরোক্ত গল্পটা মনে পড়ে গেল।

আজ থেকে প্রায় ৪ বছর পূর্বে ঢাকা শহরের কোন ওয়ার্ডের মাত্র ২০-২৫ বছর বয়সী ছাত্রদল নেতা জনি ক্রসফায়ারের মুখে দাঁড়িয়ে মাত্র ১ মাস ১ সপ্তাহের জন্য প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছিল যাতে করে মৃত্যুর পূর্বে নিজের ৯ মাসের গর্ভবতী স্ত্রীর প্রথম সন্তানের মুখটা দেখে মৃত্যুবরণ করতে পারে।

যুবলীগ নেতা একরামের নামে মাদক মামলা ছিলও; হোক না সেটা মিথ্যা মামালা; যে মামলায় একরাম কিছুদিন জেলেও ছিলও; ক্রসফায়ারে দেওয়ার পূর্বে জামিনে ছিলও। পক্ষান্তরে ছাত্রদল নেতা জনির নামে সরা বাংলাদেশে একটা মামলাও ছিলও না; এমনকি মিথ্যা বা রাজনৈতিক হয়রানী মামলাও না। একরামের দুইটি কিশোরি মেয়ের বাবার সাথে কিছু স্মৃতি আছে; কিন্তু জনির বাচ্চাটি মায়ের পেটে থাকতেই এতিম হয়ে যায়। কিন্তু গন্ডারের চামড়া ওয়ালা সুশীলদের গত ৪ বছরে দেখিনি কোনদিন পৃথিবীর আলো দেখার ৫ সপ্তাহ পূর্বেই এতিম হওয়া শিশুটির কথা কোনদিন বলেছে বা কোথাও লিখেছে। বরং প্রতিটি ক্রসফায়ারের পরে সরকারের মন্ত্রী-এমপি বা সরকারী বাহিনী যে প্রেস রিলিজ দিয়েছে সেটাই গ্র-গ্রাসে গিলেছে। সম্ভব হলে এই শুশিলরাও যোগ দেয় গুম বাহিনী বা ক্রসফায়ার বাহিনীর সাথে। যে শুশীলরা আজকে একরামের দুই কিশোরী মেয়ের চোখের পানি দেখে আবেগে কান্দালাইছে সেই একই শুশিলদের কর্ন-কুহূরে প্রবেশ করে নাই হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ড়ের কমিশনার যুবদল নেতা ইউনুছ আলীর ৪ শিশু সন্তানের কান্না।



জনিকে ক্রসফায়ারে দেওয়ার পরেই আমরা কিছু মানুষ বলেছিলাম যে একদিন সরকারী এই বাহিনী ফ্রান্কেনস্টাইন হবে বা হতে বাধ্য। যে সরকারী বাহিনীকে সরকারী দল আজকে বিরোধীদলের নেতা-কর্মিদের ক্রসফায়ারের কাজে ব্যবহার করতেছে সেই বাহিনীকেই ভবিষ্যতে কেউ ব্যবহার করবে সরকারী দলের আভ্যন্তরীণ কোন্দল দমনের কাজে। নারায়ণগঞ্জে সরকারীদল সমর্থক এক কমিশনরা র‌্যাবকে ভাড়া করলো সরকারীদল সমর্থক অন্য কমিশনকে খুন করার কাজে। ঠিক একই ঘটনা ঘটলো টেকনাফে। সরকারী দলের একপক্ষ সরকারী বাহিনীকে ব্যবহার করলো অন্য পক্ষকে ক্রসফায়ার দেওয়ার কাজে। গত সপ্তাহেই পুলিশেরই এক সোর্স যে নিজেই এক মাদক ব্যবসায়ীর পক্ষে কাজ করে; সে মাদক ব্যবসায়ীর পরিবর্তে একই নামের অন্য একজন সাধারণ মানুষকে সরকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেয় ও সেই নিরীহ ব্যক্তিকে ক্রসফায়ার দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সেই ঘটনা জানা-জানি হলে পুলিশের সেই সোর্সকেই ক্রসফায়ার দেওয়া হয়।



আজ থেকে প্রায় ২ বছর পূর্বে দৈনিক বনিকবার্তা পত্রিকায় একটা উপ-সম্পাদকীয়তে লিখেছিলাম যে আমেরিকার দক্ষিণ পাশের দেশ মেক্সিকোর অর্থনৈতিক ভাবে মোটামুটি সমৃদ্ধ একটা দেশ। মাথাপিছু আয় ১০ হাজার ডলারের বেশি; উন্নত দেশের কাতারেই পড়ে। তবে মেক্সিকো দেশটা সারা বিশ্বে একটি মাফিয়া রাষ্ট্র হিসাবেই পরিচিত। সেই দেশে কোন মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নাই। দিনে-দুপুরে শত-শত মানুষ গুম হয়; খুন হয়। কে কাকে গুম করে; খুন করে তার কোন তদন্ত হয় না; বিচার হয় না। বাংলাদেশে কয়টা গুমের তদন্ত হয়েছে? কয়টা খুনের বিচার হয়েছে খোঁজ নিয়া দেখেন।

বাংলাদেশ পুরোপুরি মেক্সিকোর মতো মাফিয়া রাষ্ট্র হওয়ার পথেই হাঁটছে। কেউ কি আছেন এই ব্যাপারে বাজী ধরতে চান?

বিভিন্ন সরকারী বাহিনীর লক্ষ-লক্ষ সদস্যকে হাজার-হাজার কোটি টাকা বেতন দিয়ে রাখার অর্থ কি? তারা যদি আইনের পথ অনুসরণ করে অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করতে না পারে?

পত্রিকার সংবাদে জানতে পারলাম গতকালকেও হাই কোর্টে ১৯ জন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে? এই ১৯ জন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার অর্থ কি? যদি অপরাধীর বিচারের ভার পুলিশ-র‌্যাবের হাতে তুলে দেওয়ার হয়?

জজ কোর্ট, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ করে দেন জনগণের ট্যাক্সের টাকা কিছু বাঁচুক। বেঁচে যাওয়া সেই টাকা দিয়া দুই-চরটা ব্রিজ-কালভার্ট বানান। লোহার পরিবর্তে বাঁশ দিয়া বানান সেই সকল ব্রিজ-কালভার্ট। বাঁশ তো দেশের জনগনকে এমনিতেও দিচ্ছেন সেটা না হয় বাঁশ দিয়ে দুইচারটা ব্রিজ-কালভার্ট বানিয়েই দিলেন।

সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বাংলার শিরোনাম: 'বিচার-বহির্ভূত হত্যা বন্ধ করুন': সরকারপন্থী বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি"



গতকাল লিখেছিলাম যে বাংলাদেশের সুশীল সমাজের চামড়া চিড়িয়াখানার ৭ স্তর পুরু চামড়ার প্রাণীটার মতো যাকে শুক্রবার কাতু-কুতু দিলে বৃহস্পতিবার হো-হো করে হেঁসে উঠে। আজকে সকালে বিবিসির বাংলা সংবাদে দেখি বিচার-বহির্ভূত হত্যা বন্ধ করার আহবান জানিয়ে সরকার-পন্থী ১০ বুদ্ধিজীবী বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতি দেওয়া ১০ বুদ্ধিজীবীকে সরকার পন্থি হিসাবে আমি চিহ্নিত করি নাই; সংবাদ মাধ্যম বিবিসি তাদের সংবাদ শিরোনামেই তাদেরকে সরকার পন্থি হিসাবে পরিচয় দিয়েছে। ঐ ১০ জনের মধ্যে দেখে জাতির বিবেক হিসাবে পরিচয় পাওয়া শ্রদ্ধেয় আনিসুজ্জামান স্যার ও কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকও আছে। অবশিষ্ট ৮ জনকে অবশ্য সরকার পন্থি না বলে সরকারি দল কর্মী হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিলেই যথার্থ সম্মান জানানো হয় তাদেরকে।



শ্রদ্ধেয় আনিসুজ্জামান স্যার ও কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হককে বলতে চাই যে আজকে টেকনাফ পৌরসভার কমিশনার ও যুবলীগ নেতা একরামের ক্রসফায়ারের অডিও শুনে ও একরামের মেয়ের কান্নায় ভেঙেপড়া ছবি দেখে যে বিবৃতিটা দিলেন সেই একই বিবৃতি যদি ছাত্রদল নেতা জনির বুকে ১৬ টা গুলি ও জনির মায়ের কান্নায় ভেঙেপড়া ছবি দেখার পড়েই দিতেন তবে আজকে হয়ত "আব্বু তুমি কান্না করতেছো যে?" প্রশ্নটা আপনার-আমার-আমাদের কানে ধ্বনিত হতোনা। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ড়ের কমিশনার যুবদল নেতা ইউনুছ আলীর ৪ শিশু সন্তানের কান্নায় ভেঙেপড়া ছবিটাও দেখতে হতো না। আপনাদের বিবৃতি দেখে বাংলা ভাষার প্রবাদ "সেই তো নত খসালী, তো মানুষ ক্যান হাঁসালি !" মনে পড়ে গেল।

শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক স্যার, আমরা কিন্তু কোন প্রকার মামলাহীন ছাত্রদল নেতা জনির বুকে ১৬ টা গুলি দেখেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন জার্মান বুদ্ধিজীবী মার্টিন নিম্যোলার নাৎসি বাহিনীর গণহত্যা দখে নিশ্চুপ থাকা ও নিজের শেষ পরিণতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে সাবধান করে দিয়েছিলাম। সেই সাথে মার্টিন নিম্যোলারের নিম্নোক্ত শেষ কবিতাটা আবারও আপনাদেরকে পড়ে দেখার অনুরোধ করেছিলাম।

"যখন ওরা প্রথমে কমিউনিস্টদের জন্য এসেছিল, আমি কোনো কথা বলিনি,

কারণ আমি কমিউনিস্ট নই।

তারপর যখন ওরা ট্রেড ইউনিয়নের লোকগুলোকে ধরে নিয়ে গেল, আমি নীরব ছিলাম,

কারণ আমি শ্রমিক নই।

তারপর ওরা যখন ফিরে এলো ইহুদিদের গ্যাস চেম্বারে ভরে মারতে,আমি তখনও চুপ করে ছিলাম,

কারণ আমি ইহুদি নই।

আবারও আসল ওরা ক্যাথলিকদের ধরে নিয়ে যেতে,আমি টুঁ শব্দটিও উচ্চারণ করিনি,

কারণ আমি ক্যাথলিক নই।

শেষবার ওরা ফিরে এলো আমাকে ধরে নিয়ে যেতে,

আমার পক্ষে কেউ কোন কথা বলল না, কারণ, কথা বলার মত তখন আর কেউ বেঁচে ছিল না।"




মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন।
আপনার দেশাত্ব বোধক ভাবনায় মুগ্ধ।

আমার নতুন গল্প
সময়ের প্র য়ো জ ন পর্ব ১
লিংক Click This Link

এক বার ঘুরে আসার বিনীত অনুরোধ রইল।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ১২:১১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: কথা দিচ্ছি আপনার গল্প পড়ে মতামত জানাব আপনাকে। আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ক্রসফায়ার মানে দেশের বিচারহীনতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতাই ফুটে উঠে!

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমান, এরশাদ শিকদারকে যদি প্রচলিত আইন-আদালতের মাধ্যমে বিচার করে ফাঁসির দড়িতে ঝুলানো সম্ভব হয় তবে এই সকল মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীদেরকে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব না কেন?

৩| ০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সারভাইভেল অফ দি ফিটেস্ট
অর্থাৎ শক্তি যার বেঁচে থাকার অধিকার তার।
এই বৃত্তিটা পশুবৃত্তি। পশুদের মাঝে এমন নীতি
প্রচলিত আছে। কারণ তাদের বিচার করার আইন
নাই। মানুষ পশু নয় এবং বুদ্ধিমান প্রাণি, তাই তার
আইন আছে, বিচারও আছে। তার পরেও কেন
আমরা পশুদের নিয়ম অনুসরণ করি?

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
অইনের বাহিরে গিয়ে ১০০০ দোষী ব্যাক্তিকে মারলাম; দেখা গেল ঐ মৃত মানুষদের মাঝে একজন নিরাপরধ ছইলো। রাষ্ট্র কি সেই নিরাপরাধ ব্যাক্তির পরিবারের দায়িত্ব নিবে আগামী ৫০-৭০ বছর? রাষ্ট্র টাকা দিয়ে না হয় দায় সারলো কিন্তু পিতা-ভাই-মামা-চাচার স্নেহ কি ফেরত দিতে পারবে?

৪| ০২ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: তাহলে বদির ক্ষেত্রেও একটা ভুল হোক....

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
বদির ক্ষেত্রেও আমি এই ভুল হতে দিতে চাই না। আমার ষ্পষ্ট কথা হলো বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমান, এরশাদ শিকদারকে যদি প্রচলিত আইন-আদালতের মাধ্যমে বিচার করে ফাঁসির দড়িতে ঝুলানো সম্ভব হয় তবে এই সকল মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীদেরকে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব না কেন?

৫| ০২ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

গরল বলেছেন: বাংলাদেশ পুলিশের এখন জগাঁখিচুরি অবস্থা, CID, DB, SB, APBN (Armed Police Battalion), RAB, SPBN (Special Protection Battalion) এবং PBI (police Bureau of Investigation) এতগুলো সংস্থা বানিেছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুতো হচ্ছেই না হচ্ছে শুধু গুম, খুন, ডাকাতি, চুরি ইত্যাদি। আগে ছিল ছিনতািকারী, চাঁদাবাজ, মাস্তান, সণ্ত্রাসী, ক্যাডার বাহিনী, আততায়ী, পাচারকারী আর এখন এসবের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে পুলিশ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ১২:২২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
দেশে মাদকের এই সর্বগ্রাসী বিস্তারে মাদক ব্যবসায়ীদের চেয়েও বেশি দায়ি সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের একজন ২য় শ্রেনীর কর্মকর্তার ঢাকায় একাধিক বাড়ি থাকে কিভাবে? দেশ দরদী প্রধানমন্তী কি পুলিশের আইজিকে ডেকে জানতে চেয়েছেন একজন এসপির ব্যাংক একাউন্টে কিভাবে নগদ ৫-১০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট থাকে? আমার নিজের স্কুলের ৩ বছর এক বড় ভাই পুলিশের এসআই (২য় শ্রেনীর কর্মকর্তা)। সেই বড় ভাই গত ১০ বছরে কমপক্ষে ২ কোটি টাকার মালিক হয়েছে। সেই টাকা দিয়ে ১০ টার বেশি মাইক্রবাস-কার কিনে ভাড়া খাটাচ্ছে। তো এই টাকার উৎস কি?

৬| ০২ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এই দেশটা অনেক আগেই হ-য-ব-র-ল হয়ে গেছে!

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার সাথে দ্বিমত করার কোন কারণ নাই।

৭| ০২ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

ক্লে ডল বলেছেন: বিচার বহির্ভূত কোন প্রকার হত্যাকাণ্ডই মেনে নেওয়া যায় না!!
এই ক্রসফায়ার প্রথার সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে......

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আমি আপনার সাথে একমত।

৮| ০২ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। সহমত।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ সুমন ভাই।

৯| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩২

সনেট কবি বলেছেন: সহমত।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ।

১০| ০৩ রা জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৫১

অক্পটে বলেছেন: সত্য উপলব্ধি। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১১| ০৩ রা জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এই অডিও আমার দ্বিতীয়বার শোনার ইচ্ছে হয়নি। সৃষ্টি কর্তা আমাদের কে রক্ষা করুণ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আমি একবারও শুনি নাই। শুনে নতুন করে আর কি শুনব? সেখানে কি নতুন কিছু রয়েছে? পূর্বে যাদেরকে একই ভাবে হত্যা করা হয়েছে তাদের অপ্রকাশিত ফোনালাপ গুলো কি ভিন্ন হতো (যদি প্রকাশ হতো?)

১২| ০৩ রা জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১৪

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন:



হক কথা লিখেছেন।
বদিরা নিরাপদ থাকে সবসময়।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
বদি ভাই এগিয়ে চলো সরকার আছে তোমার সাথে:

১৩| ০৩ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সহমত

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ।

১৪| ০৩ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। সহমত।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ।

১৫| ০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনির্বাচিত স্বৈরাচারকে যারা স্বৈরাচার বলতে চায়না তারা দেশের শত্রু!
তারা নব্য রাজাকার! স্বৈরাচারের সহযোগী!
ইতিহাসে তাদের্ও একদিন কঠগড়ায় দাড়াতে হবে।

গণতন্ত্রকে হত্যার পর যারা তথাকথিত বক্তৃতা বিবৃতির উন্নয়নের নামে গণতন্ত্র বিসর্জন দেয়
তারা পাকি হানাদারদের জারজ!

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ১২:৫১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
উন্নয়ন চাইলে বন্দুকযুদ্ধকে হাঁ বলুন; বন্দুক যুদ্ধ না চাইলে পাকিস্তানে চলে যান।

১৬| ০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: সমস্যা হলো কি, আমাদের দেশটাই দুই ভাগ হয়ে গেছে। নিরপেক্ষ বিচার-চিন্তা কেউই করছি না। বিএনপি আমলে যখন ক্লিন হার্ট অপারেশন চালানো হয়, আমাদের অনেকেরই তখন ভালো লেগেছে। হ্যাঁ, প্রাথমিকভাবে র্র্যব হয়তো ন্যায়নিষ্ঠ কাজই করেছে। জনগণের সমর্থন পেয়েছে। আমরা আনন্দিত হয়েছি। কিন্তু তখনই আমাদের বুঝতে পারা উচিৎ ছিল যে এই দৈত্যই একসময় ফ্রাংকেনস্টাইনের দৈত্য হিসেবে হাজির হবে।

হয়তো তখনও আমরা অনেকেই বুঝতে পেরেছি, মার্টিন নিম্লার এর মত নিজের গায়ে লাগছে না দেখে চুপ থেকেছি। এখন যখন নিজের গায়ে এসে পড়েছে তখন কাউকেই পাচ্ছি না পাশে প্রতিবাদ করার জন্য। একইভাবে এই সরকারের প্রতি সহানুভুতিশীল সুশীল নামের গন্ডাররাও নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি হচ্ছে দেখে চুপ রয়েছে।

ভালো থাকবেন।

১৭| ০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৯

দিলের্‌ আড্ডা বলেছেন: শেষে যে কবিতাটা দিলেন; সেখানে উল্লেখিত ইহুদিরা আজ গনহত্যা চালাচ্ছে।

অথচ নাৎসিরা নাকি তাদের অনেককে গ্যাস চ্যাম্বারে ঢুকিয়ে ঢুকিয়ে হ্ত্যা করতেছিলো।

১৮| ০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: স্বাধীনতা চাইনি আমি এই স্বাধীনতা
স্বাধীনতা পাইনি আমি সেই স্বাধীনতা
যাহা চেয়েছি তাহা পাইনি আমি
পেয়েছি যাহা চাইনি
তাইতো আমি বিদ্রোহী আজ
কথাগুলো বেআইনী।

১৯| ০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

অভি চৌধুরী বলেছেন: কামাল পাশারা হলো সমাজের আরেক ইয়াবা। এই ইয়াবা মানুসের রক্তে যায়না। যায় মস্তিষ্কে।আর এটা এতই ভয়াবহ যে তা জন্ম দেয় এক বিকার গ্রস্তহ জাতি। পলাশ সাহেব আপনি কি জানেন এই দেশে কত কোটি নেশাখোরে মা মেয়ে বোন বউ মুখে আচল দিয়ে রাত দিন চোখের পানি ফেলে? আপনি কি জানেন এই দেশে মাছের পোনার মত ইতি মধ্যে কত গুলো ঐশী ডিম ফুটে বেড়িয়ে এসেছে? এই একরাম জনিদের কারণে? যত গুলো ক্রশফায়ার হয়েছে তার একটাও নিরাপরাধ নয় । ধুর তোমাগরে মোবাইল দিয়ে হবেনা। মোটা লেপটপ লাঘবো । আইতাছি

২০| ০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শুধুই চেয়ে থাকা !!
ভোঁতা বিবেক বাক রুদ্ধ !!

২১| ০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

হাঙ্গামা বলেছেন: ধারালো লেখা।

২২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: বিচারহীনতার আরেক নাম ক্রস ফায়ার। জামাত-বিএনপি জোট সরকারের সময় এ সংস্কৃতি তথা র‍্যাব-এর জন্ম। এর পেছনে অনেক ইতিহাস। আপনি শুধু মাঝখান থেকে বলা শুরু করেছেন, প্রথম থেকে নয়। প্রথম থেকে বললে বলাটা যথেষ্ট নিরপেক্ষতা পেতো। আংশিক হলেও বলেছেন তো।
রাজনীতির ভেলকীবাজিতে যে যার সুবিধামতো আইনগুলোর অপব্যবহার করে। আওয়ামী লীগের সৃষ্ট বিশেষ ক্ষমতা আইন যা কালো আইন হিসেবে কুখ্যাতি ছিল, তা পরবর্তিতে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ব্যবহার করে ফায়দা লুটেছে। আবার বিএনপির সৃষ্ট র‍্যাবএর বেনিফিশিয়ারি হচ্ছে আওয়ামী লীগ। সামনে ৫৭ ধারার ফলাফল খাবে পরের কোন স্বৈরাচারী সরকার। মাঝে পিষে মরছে কেবল জনগণ।
চাই, বিচারহীনতার এই সংস্কৃতির অবসান হোক। ধন্যবাদ মোস্তফা কামাল পলাশ ভাই।

২৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিএনপি যখন প্রথম র‍্যাপিড একশন টীম ( বা সংক্ষেপে র‍্যাট, যা শুনতে খারাপ শোনায় বিধায় পরবর্তীতে 'র‍্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন' বা র‍্যাব হিসেবে নতুন নামকরণ করা হয়) বানায়, তখনই ভেবেছিলাম এটা একটা অপ্রয়োজনীয় ফোর্স, সুশাসনে অপারগ শাসকদের দুঃশাসন প্রলম্বিত করার শেষ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। হয়েছেও তাই। এই বাহিনীর প্রথম পরিচিত শিকার ছিল সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নান, যার অন্তর্ধানে অনেকেই তখন উল্লসিত হলেও এর সুদূরপ্রসারী কুপ্রভাব সম্পর্কে কল্পনাও করতে পারেন নাই।
আপনার পোস্টের মূল বক্তব্যের সাথে একমত, অর্থাৎ বাংলাদেশের সুশীল সমাজের প্রতিক্রিয়া সব বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারেই যথাসময়ে হওয়া উচিত ছিল। ক্লে ডল যেমনটি বলেছেন: বিচার বহির্ভূত কোন প্রকার হত্যাকাণ্ডই মেনে নেওয়া যায় না!!
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ক্রসফায়ার মানে দেশের বিচারহীনতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতাই ফুটে উঠে -এটাও ঠিক কথা।
পদ্ম পুকুর বলেছেনঃ "তখনই আমাদের বুঝতে পারা উচিৎ ছিল যে এই দৈত্যই একসময় ফ্রাংকেনস্টাইনের দৈত্য হিসেবে হাজির হবে" - আইন প্রণয়নকারী জনপ্রতিনিধিদের কখনোই এরকম একটা কালো বাহিনীকে আইনের বৈধতা দেয়া উচিত নয়।
সবশেষে ব্লগার জহিরুল ইসলাম সেতু এর সাথে একমত পোষণ করে তার কথাগুলোর পুনরাবৃত্তি করছিঃ
"রাজনীতির ভেলকীবাজিতে যে যার সুবিধামতো আইনগুলোর অপব্যবহার করে। আওয়ামী লীগের সৃষ্ট বিশেষ ক্ষমতা আইন যা কালো আইন হিসেবে কুখ্যাতি ছিল, তা পরবর্তিতে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ব্যবহার করে ফায়দা লুটেছে। আবার বিএনপির সৃষ্ট র‍্যাবএর বেনিফিশিয়ারি হচ্ছে আওয়ামী লীগ। সামনে ৫৭ ধারার ফলাফল খাবে পরের কোন স্বৈরাচারী সরকার। মাঝে পিষে মরছে কেবল জনগণ। চাই, বিচারহীনতার এই সংস্কৃতির অবসান হোক।"






আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.