নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

১১ই নভেম্বর ২০১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির ১০০ বছর পূর্তি ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সৈনিক জীবন

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৮


আপনি জানেন কি? আজ থেকে ১০০ বছর পূর্বে ১৯১৮ সালের ১১ই নভেম্বর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি হয়; যে যুদ্ধে কোটি-কোটি মানুষ নিহত ও আহত হয়।

আপনি জানেন কি? বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর পক্ষে লড়ার জন্য ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ভারতীয় শাখায় সৈনিক হিসাবে যোগদান করেছিলেন।

প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ থেকে ফেরার কিছুদিন পর থেকেই ভারত উপ মহাদেশের মানুষদের উপর ব্রিটিশ সরকারের নিপীড়ন, নির্যাতন অপশাসন এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে কলম নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন। ১৯২২ সালের ৬ই জানুয়ারি বিজলী নামক একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয় বাংলা সাহিত্যের অমর সৃষ্টি "বিদ্রোহী" কবিতা। যে কবিতা প্রকাশের পর কাজী নজরুল ইসলামের উপর নেমে আসে ব্রিটিশ সরকারের নির্যাতনের খড়গ।

"মহা- বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত,
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল, আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না,
অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না -
বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি আমি সেই দিন হব শান্ত!"

একদা যে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য যোগ দেন সেই একই ব্রিটিশ সরকারের বাহিনীর বিরুদ্ধে জীবনের বড় একটা অংশ যুদ্ধ করেন কলম দিয়ে; জেল খাটেন ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে কবিতা-গল্প-গান লেখার কারণে। পৃথিবীর আর কোন দেশের জাতীয় কবির এই রকম বিচিত্র অভিজ্ঞতা আছে কি না আমার সন্দেহ আছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত সকল মানুষদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।

তথ্যগত ভুল সংশোধন: ১৯১৬ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা ব্রিটিশ বাহিনী ব্যাপক সৈনিক হারান। ফলে ব্রিটিশ আর্মি ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে সৈনিক সংগ্রহের উদ্যোগ নেন যে সৈনিকরা ব্রিটিশ সৈনিকদের সাথে যোগ দিবে প্রয়োজন হলে। ব্রিটিশ আর্মির ভারতীয় কমান্ড ৪৯ ব্রিগেড নামক একটি রেজিমেন্ট চালু করেন। কাজী নজরুল ইসলাম সেই রেজিমেন্টে যোগ দেন ১৯১৭ সালে। পাকিস্তানের করাচী ক্যান্টনমেন্টে অবস্থান করেন যুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য। তার রেজিমেন্ট হতে দুই প্লাটুন সৈনিককে ইরাকে পোস্টিং দেওয়া হয় যুদ্ধের সময়। যেহেতু ৪৯ ব্রিগেড গঠন করা হয়েছিল যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য তাই যুদ্ধ শেষে ১৯২০ সালে ৪৯ ব্রিগেড বিলুপ্ত করা হয়।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত সকল মানুষদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।

তথ্যসুত্র: ১) A century of war, 1914-2014: A writer, a city, and a war

২) WWI Impact on Nazrul

৩) The bhadralok goes to war

৪) WWI swayed works of great litterateurs

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৪১

আরোগ্য বলেছেন: আমাদের সকলের প্রিয় কবির জন্য সশ্রদ্ধ শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। তিনি বাঙালী জাতির গর্ব এবং তার লেখা বাঙালীর অমূল্য সম্পদ।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ব্রিটিশ আর তাদের শত বছরের শাসন আর শোষণ করার ইতিহাস কে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ঘৃনা করি। আমাদের কে তাদের গোলাম বানিয়ে তাদের হয়ে যুদ্ধ করিয়েছে, সেই সাথে না খাইয়ে মেরেছে আমাদের পূর্ব পুরুষদের। বাংলার মসনদ দখল করার পরে ১৭৭০ এর দুর্ভিক্ষে ১০ মিলিয়ন (১কোটি) আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ৩ মিলিয়ন (৩০ লাখ) লোক অনাহারে মৃত্যুর কারণ এই ব্রিটিশ শাসন। বাংলার মানুষের এই অকাল মৃত্যুকে উপহাস করে চার্চিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বলেছিলো, "গান্ধী এখনো কেন মরে নি"। ভেঙ্গে পরুক এই জাতির ইট-কাঠ আর পাথরের ভিত। ধুয়ে মুছে যাক তাদের আগামী। শামসুর রাহমানের ভাষায় বলবো।


আজ এখানে দাড়িয়ে এই রক্ত গোধূলিতে
অভিশাপ দিচ্ছি।
আমাদের বুকের ভেতর যারা ভয়ানক কৃষ্ঞপক্ষ
দিয়েছিলো সেঁটে,
মগজের কোষে কোষে যারা
পুতেছিলো আমাদেরই আপনজনের লাশ
দগ্ধ, রক্তাপ্লুত,
যারা গনহত্যা
করেছে শহরে গ্রামে টিলায় নদীতে ক্ষেত ও খামারে
আমি অভিশাপ দিচ্ছি নেকড়ের চেয়েও অধিক
পশু সেই সব পশুদের।
ফায়ারিং স্কোয়াডে ওদের
সারিবদ্ধ দাঁড়
করিয়ে নিমিষে ঝা ঝা বুলেটের বৃষ্টি
ঝরালেই সব চুকে বুকে যাবে তা আমি মানি না।
হত্যাকে উতসব ভেবে যারা পার্কে মাঠে
ক্যাম্পাসে বাজারে
বিষাক্ত গ্যাসের মতো মৃত্যুর বীভতস গন্ধ দিয়েছে
ছড়িয়ে,
আমি তো তাদের জন্য অমন সহজ মৃত্যু করি না
কামনা।
আমাকে করেছে বাধ্য যারা
আমার জনক জননীর রক্তে পা ডুবিয়ে দ্রুত
সিড়ি ভেন্গে যেতে আসতে
নদীতে আর বনবাদাড়ে শয্যা পেতে নিতে
অভিশাপ দিচ্ছি আজ সেইখানে দজ্জালদের।


https://www.worldatlas.com/articles/the-deadliest-famines-ever.html
https://en.wikipedia.org/wiki/Bengal_famine_of_1943

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

ব্রিটিশ বাহিনীর মাহাত্ন বর্ণনা করার জন্য এই পোষ্ট লেখা হয় নি; এই পোষ্টের উদ্দেশ্য প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তির দিনটির ১০০ বছর পূর্তির কথা মনে করিয়ে দেওয়া সেই সাথে আমাদের জাতীয় কবির প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর পক্ষ হয়ে যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ভারতীয় উপমহাদেশের শাখায় যোগদান করেছিলেন ও যুদ্ধ শেষে তার সাহিত্যে যুদ্ধের প্রভাবের কথা মনে করিয়ে দেওয়া।

৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৫৫

সোহানী বলেছেন: তথ্যটি আগে জানলেও নতুন করে মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ পলাশ।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপু আপনাকে ধন্যবাদ। শুনলাম আপনার প্রভিন্সের প্রধানমন্ত্রীও নাকি উগান্ডার প্রধানমন্ত্রীর মতো শাসন চালু করেছে?

৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

১ম বিশ্বযুদ্ধ ছিল ভারতের কলোনিয়েল প্রভু বৃটিশের সাথে জার্মান-জাপানের যুদ্ধ; কবি কোন দেশের মুক্তিযোদ্ধা? আপনার মেধা বিস্ময়কর।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার কোন শুভাকাঙ্ক্ষী কি আপনাকে বলেছে যে আপনার একজন মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার?

৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১১

ইয়োডা বলেছেন: শিরোনাম ভালো হয়নি।ক্লাস ফাইভের বাচ্চারও জানার কথা।বিশ্ব আর যুদ্ধ না দেখুক।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
SSC ও HSC তে গোল্ডেন জিপিএ পাওয়া প্রজন্ম যখন উত্তর দিতে পারে না যে ভাষা দিবস কোনটি ও বিজয় দিবস কোনটি তখন ক্লাস ফাইভের বাচ্চাদের কাজী নজরুলের জীবন বৃত্তান্ত সম্বন্ধে সঠিক উত্তর দিতে পারবে তা প্রশ্ন সাপেক্ষ।

৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৯

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, আপনি কী এবিষয়ে জেনেই এমন উদ্ভট প্রশ্ন করছেন? (আশাকরি আপনি জ্ঞাত!)


লেখাটা ভালই লাগলো। পুনরাবৃত্তির সুযোগ হলো।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
উনার বিশেষ সমস্যা আছে। আশাকরি উনার প্রশ্ন ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪

ফেইরি টেলার বলেছেন: তথ্যটি জানতাম না । তবে যুদ্ধ করে থাকলে তিনি মুসলিমদের বিরুদ্ধেই করেছেন । কেন বলছি সেটা ক্লিয়ার করছি

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সেন্ট্রাল পাওয়ার ছিল অটোম্যান ( উসমানিয় ) খিলাফাত , জার্মানী, জাপান ,ইতালী

উসমানীয় খিলাফাত আধুনিক তুরষ্ক , তারাই প্রথমাবার মুসলমানদের পক্ষ থেকে রোমানদের ( বাইজেনটাইন ) চূরান্তভাবে পরাস্ত করেন এবং কনস্টানটিনোপোল বিজয় করেন । তদের সম্পর্কে মহানবী (সা ) বলেছিলেন - " মুসলিমদের একটি সেনাবাহিনী কনস্টানটিনোপোল জয় করবে, কতই না সুন্দর হবে সে সেনাবাহিনী "

কনস্টানটিনোপোল বিজয়ের পর ইউরোপিয়ানরা তা পূনরুদ্ধারে অসংখবার চেষ্টা করলেও উসমানিয় খিলাফাতের সেনাবাহিনী ওসময় আনপ্যরালাল ছিল । জার্মানরা মুসলমিদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুললেও , রাশিয়া , বলকান, ইংরেজরা অসংখবার যুদ্ধ সংঘটিত করে । যখন তারা বুঝত পারল উসমানীয় খিলাফাতকে কোনভাবেই যুদ্ধে পরাস্ত করা সম্ভব না , তখন তারা পেছন থেকে আক্রমনের স্ট্র্যাটেজী গ্রহণ করে ।

বৃটিশ সাম্রাজ্য প্রথম আঘাত হানে উপমহাদেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মাধ্যমে , তারা হিন্দুদের (মারাঠা ) বোঝাতে সক্ষম হয়, মুঘলরা এলিয়েন । মারাঠারাই ভারতের প্রকৃত প্রভু । তদের উচিত মুঘলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ইংরেজরা তদের স্বাধীনতায় সাহায্য করবে । ভারতীরা তাই করে এবং ২০০ বছরের জন্য ইংরেজদের কলোনীতে পরিণত হয় ।

অত:পর টার্গেট করে আরবদের । তাদেরকে বোঝাতে সক্ষম হয় , ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা) একজন আরব , কোরান আরবীতে অথচ তোমাদের প্রভুত্ব করছে মংগোলিয়ান টুর্ক । যারা আব্বাসীয় খিলাফাত ম্যসাকার করেছিল । আরবরা ইংরেজদের কথায় সম্মত হয় এবং ১ম বিশ্বযুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করে । আরবরা ১ম বিশ্বযুদ্ধে পেছন থেকে রেইনসফোর্সমেন্ট সরবরাহকারী ট্রেনের লাইন উরিয়ে দেয় । ফলে উসমানীয় খিলাফাত সহসাই পতিত হয় । আরবদের এই বিদ্রোহ " দা গ্রেট আরব রিভোল্ট" নামে পরিচিত । ফলে প্যালেস্টাইন মুসলিমদের হাতছাড়া হয়ে যায়

অন্যদিকে জার্মানরা একদিকে রাশিয়া, অন্যদিকে ফ্রান্স , ইংরেজদের সাথে যুদ্ধে বিপর্জস্ত । রাশিয়া, ইংরেজ, ফ্রান্সও বিপর্জস্ত । রাশিয়ায় কমিউনিস্ট বিপ্লব দেখা দেয় । ফ্রান্স যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয় এবং দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা প্রকট হতে শুরু করে । এরই মধ্যে জার্মানী মেক্সিকোকে ইউ এস আক্রমণের আহবান জানায় । জার্মানীর অভিযোগ ছিল ইউ এস রাশিয়া, ইংলিশদের গোপনে অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে । এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইউ এস জার্মানদের বিরুদ্ধে সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় । ইউ এস সৈন্য পৌছালে যুদ্ধ আরো কঠিন হয়ে পড়তে পারে এ আশংকায় জার্মানী শেষবারের মত সর্বশক্তি নিয়োগ করে ফ্রান্স আক্রমন করে । ফলে ইউরোপজুরে অচলাবস্থা তৈরী হয় । অবশেষে উভয় পক্ষ সন্ধি করে এবং যুদ্ধের সমাপ্তি হয় । কেও কারো উপর সুস্পষ্ট বিজয় না পেলেও মিত্রশক্তির আধিপত্য রচিত হয় , বৃটিশ সাম্রাজ্য, রাশিয়ান সাম্রাজ্য, জার্মান সাম্রাজ্য, উসমানীয় খিলাফাত ও জাপান সাম্রাজ্যের পতন হয় ।

১ম বিশ্বযুদ্ধে আরবদের বিদ্রোহ বিস্তারিত পাবেন নিচের ভিডিওতে


১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
প্রথম কথা হলও প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কোন ধর্মযুদ্ধ ছিলও না।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য কাজী নজরুল ইসলাম সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর বিপক্ষ শক্তি ছিলও তুরস্কের অটোম্যান ( উসমানীয় ) সম্রাজ্য। এই কারণে কোন ভাবে বলা যায় না যে কাজী নজরুল ইসলাম মুসলিম বাহিনীর বিপক্ষে যুদ্ধ করেছে। আপনি জানেন কি? মক্কা ও মদিনা মসজিদের বর্তমান কষ্টডিয়ান সৌদি রাজ পরিবারের প্রতিষ্ঠাটা আল সাউদ (প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের দাদা) প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর পক্ষে যুদ্ধ করেছিল।

৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪০

ফেইরি টেলার বলেছেন: মন্তব্যটি বড় হওয়ায় দু:খিত । মুল কনসান্ট্রেশন ছিল আরব, ভারতীয় মুসলিমদের ১ম বিশ্বযুদ্ধে উসমানীয় খিলাফাতের সাথে বিদ্রোহ এবং বিশ্বে মুসলিম ও মুসলিম মিত্রদের আধিপত হারানো । ভালো থাকুন

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
এটা সত্য যে তুরস্কের অটোম্যান ( উসমানীয় ) সম্রাজ্য পতনের পরে মুসলিম অধিপাত্য কমে গেছে। তবে এই জন্য দায়ি পশ্চিমা বিশ্বের ডিভাইড ও রুল নিতী বুঝতে না পারা। ইরাকের সাথে ইরানের যুদ্ধ করতে হবে কেন? ইরাকের কুয়েত দখল করতে হবে কেন? সৌদি আরবের ইয়েমেনের সাথে যুদ্ধ করতে হবে কেন? সৌদি-বাহারাই-আরব-আমিরাত মিলে কাতারকে একঘরে করে রাখতে হবে কেন?

৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট কবি।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ।

১০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৪

বিজন রয় বলেছেন: জানি।
জানবো না কেন?

তবে আজকালকার পোলাপান জানেনা।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার সাথে একমত। নাহিদ মিয়ার SSC ও HSC তে গোল্ডেন জিপিএ পাওয়া প্রজন্ম যখন উত্তর দিতে পারে না যে ভাষা দিবস কোনটি ও বিজয় দিবস কোনটি তখন ক্লাস ফাইভের বাচ্চাদের কাজী নজরুলের জীবন বৃত্তান্ত সম্বন্ধে সঠিক উত্তর দিতে পারবে তা প্রশ্ন সাপেক্ষ।

১১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

নজসু বলেছেন:



কত অজানা।
বিশদ তথ্য জানা ছিলোনা।
জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

১২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

বনসাই বলেছেন: @ ফেইরি টেলার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানী আর জাপান একপক্ষে ছিল কি?
ইফতেখার ভূইয়া শামসুর রাহমান কবিতাটি কি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লিখেছেন? না কি পাকিস্থানের বিরুদ্ধে?

১৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

বলেছেন: যদি একাত্তরে ভারত পাকিস্তান আক্রমণ করত এবং ইয়াহিয়া খান ঘোষণা দিত যে পাকিস্তান যুদ্ধে জিতলে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করে দেয়া হবে - তারপর যারা পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করত, তাদেরকে কি মুক্তিযোদ্ধা বলা হত? কখনোই না। ১৯১৪ সালে ভারত লড়াই করেছিল ঊসমানিয়া খেলাফতের বিরুদ্ধে। তাদের লড়াইয়ের ক্ষেত্র ছিল ভয়ঙ্কর ক্ষেত্র ইসরাইলের হাইফা ও কারমেল। এই যুদ্ধে উসমানিয়া সেনাদের গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ভারতীয়রা লড়াইয়ে জিতে যায়। এই লড়াইয়ে মূখ্য ভূমিকা পালন করে ব্রিটিশ নৌ কমান্ডোরা, তারা হাইফা বন্দর দখল করে রাখায় উসমানিয়া রসদবাহী জাহাজ এই বন্দরে ভিড়তে পারেনি।

এই যুদ্ধে ভারতীয়রা যদিও জয়লাভ করেছিল, কিন্তু তাদের এতটা অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছিল যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তারা তেমন কোন ভূমিকাই রাখতে পারেনি।

১৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

ফেইরি টেলার বলেছেন: তথ্য বিভ্রাটের জন্য আন্তরিকভাবে দু:খিত । ১ম বিশ্বযুদ্ধের বর্ণনা করতে গিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মিলিয়ে গেছে । দুটি ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

১/ ১ম বিশ্বযুদ্ধে জাপান,ইতালি মিত্রশক্তির সাথে ছিল । সেন্ট্রাল পাওয়ার ছিল জার্মান, অটোমান আর অস্ট্র্রিয়া-হাংগেরি । যুদ্ধের সূচনা হয় সার্বিয়ার অস্ট্র্রিয়ান ফ্রান্জ ফারদিনেন্দকে এসাসিন করা এবং তার প্রতিক্রিয়ায় অস্ট্র্রিয়া-হাংগেরির সার্বিয়া আক্রমনের মধ্য দিয়ে

২/ ১ম বিশ্বযুদ্ধে মুলত অটোমান, জার্মান সাম্রাজ্যের পতন ঘটে । জাপান, বৃটিশ সাম্রাজ্যের পতন ঘটে ২য় বিশ্বযুদ্ধে , যার মধ্য দিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশ বৃটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে

ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য বনসাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞতা

১৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পোস্টে ভালোলাগা !

১৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "আপনার কোন শুভাকাঙ্ক্ষী কি আপনাকে বলেছে যে আপনার একজন মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার? "

-আপনি ফাঁসকরা প্রশ্নে পাশ করে চলেছেন, অবশ্যই

১৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার হাউকাউ পোষ্টের শিরোনাম বদলায়ে দিয়েছেন দেখছি

১৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

ফেইরি টেলার বলেছেন: মতামতের ভিন্নতা থাকলে তবেই না সেটা আড্ডা ! আলোচনায় আমাদের আন্তরিকতা বাড়বে আমার বিশ্বাস ;)

আপনার মন্তব্য আর আমার বক্তব্য প্রায় এক । আপনি বলেছেন - "মক্কা ও মদিনা মসজিদের বর্তমান কষ্টডিয়ান সৌদি রাজ পরিবারের প্রতিষ্ঠাটা আল সাউদ (প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের দাদা) প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর পক্ষে যুদ্ধ করেছিল।"

আমি ইতিপূর্বেই বলেছি আরবরা ১ম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে উসমানী খিলাফতের সাথে বিদ্রোহ করে

আরো বলেছেন -"এটা সত্য যে তুরস্কের অটোম্যান ( উসমানীয় ) সম্রাজ্য পতনের পরে মুসলিম অধিপাত্য কমে গেছে। তবে এই জন্য দায়ি পশ্চিমা বিশ্বের ডিভাইড ও রুল নিতী বুঝতে না পারা। ইরাকের সাথে ইরানের যুদ্ধ করতে হবে কেন? ইরাকের কুয়েত দখল করতে হবে কেন? সৌদি আরবের ইয়েমেনের সাথে যুদ্ধ করতে হবে কেন? সৌদি-বাহারাই-আরব-আমিরাত মিলে কাতারকে একঘরে করে রাখতে হবে কেন? "

এখানেও একমত, ভুলটা মূলত আরব, আর উপমহাদেশীয় মুসলিমদের । প্রশ্ন হচ্ছে কাজী নজরুল ইসলাম সে সকল ভুল করা মুসলিমদেরই একজন কি না

আরো বলেছেন - " প্রথম কথা হলও প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কোন ধর্মযুদ্ধ ছিলও না। "

এ ব্যপারে আমি যতটুকু জানি -

ধর্মযুদ্ধের পূর্বশর্তগুলো হচ্ছে :
#খিলাফাত প্রতিষ্ঠিত থাকতে হবে
# খিলাফাত প্রতিষ্ঠিত থাকা কালে ,সুপ্রিম খলিফা যদি কোন শত্রু রাষ্ট্রের আগ্রাসণ প্রতিহত করতে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধ লিপ্ত হন কিংবা কোন মিত্র রাষ্ট্র ( মুসলিম,খৃষ্টান) যাদের সাথে সন্ধি রয়েছে তাদেরকে রেসকিউ করতে যুদ্ধ লিপ্ত হন সেটাই ধর্মযুদ্ধ

১ম বিশ্বযুদ্ধে উসমানী খিলাফাত মিত্র অষ্ট্রিয়া -হাংগেরী ও জার্মানদের রেসকিও করতে এবং বিশ্বজুড়ে ব্রিটিশ, ফ্রেন্চ,রাশিয়ান আগ্রাসণ প্রতিহত করতে যুদ্ধে জড়ায় এবং বিশ্বের সকল মুসলিমদের তাদের সাথে জেহাদে যুক্ত হতে নির্দেশ দেন। সুতরাং মুসলমানদের জন্য ডেফিনিশন অনুযায়ী এটা ধর্মযুদ্ধই ছিল ! এ ব্যপারে আপনার মতামতের অপেক্ষায় রইলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.